অস্ত্র হাতে এক তালেবান যোদ্ধা; ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬। রয়টার্স
অস্ত্র হাতে এক তালেবান যোদ্ধা; ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬। রয়টার্স
বহু পুলিশ ও সেনাকে হতাহত করে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় একটি জেলার দখল নিয়েছে তালেবান বিদ্রোহীরা।
এতে পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক হুমকির মুখে পড়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিয়া প্রদেশের জানি খেল জেলার গভর্নর আব্দুল রহমান সোলামল জানিয়েছেন, রাতভর তীব্র লড়াইয়ের পর নিরাপত্তা বাহিনীকে জেলাটি থেকে হটিয়ে দিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা।
এতে ২০ জনেরও বেশি সেনা ও পুলিশ নিহত এবং আরও ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। অপরদিতে ২০০ জন তালেবান বিদ্রেোহী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি; তবে তালেবান যোদ্ধাদের নিহত হওয়ার দাবিটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
জানি খেলে আটটি জেলা থেকে আসা মহাসড়ক মিলিত হয়েছে এবং এখান থেকে বের হওয়া সড়ক পাকতিকার সঙ্গে প্রতিবেশী খোস্ত প্রদেশ ও পাকিস্তানকে যুক্ত করেছে।
“প্রায় পাঁচদিন ধরে আমাদের জেলাটি ঘিরে রেখেছিল তালেবান। রাতে তাদের কয়েকশত যোদ্ধা আমাদের নিরাপত্তা চৌকিগুলো আক্রমণ করে।,” বলেন সোলামল।
“যদি জেলাটি দ্রুত পুনরুদ্ধার করা না যায়, তাহলে তালেবান খুব সহজেই এক জেলা থেকে অপর জেলায় চলে যেতে পারবে এবং অন্তত তিনটি প্রদেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারবে,” বলেন তিনি।
আফগানিস্তানের আরো কয়েকটি জায়গায় তালেবানের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলার মধ*্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটল। দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হেলমান্দে তালেবান আক্রমণ প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপদেষ্টাদের মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে গত বছর অল্প সময়ের জন*্য তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজেও বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জানি খেলে বহু আফগান সেনা ও পুলিশ নিহত হয়েছেন এবং প্রচুর রসদ তাদের হস্তগত হয়েছে, এগুলোর মধ*্যে সাঁজোয়া যান, হাল্কা ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র এবং গুলি রয়েছে।
জুলাইতে করা যুক্তরাষ্ট্রের জরিপ অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুতে আফগানিস্তানের ৭০ ভাগ এলাকা আফগান সরকারি বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বছরের মাঝামাঝি তা ৬৬ ভাগে নেমে এসেছে।
মে-তে সাবেক প্রধান মোল্লা আখতার মনসুর নিহত হওয়ার পর তালেবানরা আক্রমণের ব*্যাপকতা বাড়ানোর পর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে পিছিয়ে আসছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীগুলো।
দেশটির ৪০৭টি জেলার মধ*্যে ৩৬টি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে বা প্রভাবাধীন রয়েছে এবং ১০৪টি ‘ঝুঁকিতে’ আছে বলে জানা গেছে।
অস্ত্র হাতে এক তালেবান যোদ্ধা; ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬। রয়টার্স
বহু পুলিশ ও সেনাকে হতাহত করে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় একটি জেলার দখল নিয়েছে তালেবান বিদ্রোহীরা।
এতে পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক হুমকির মুখে পড়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিয়া প্রদেশের জানি খেল জেলার গভর্নর আব্দুল রহমান সোলামল জানিয়েছেন, রাতভর তীব্র লড়াইয়ের পর নিরাপত্তা বাহিনীকে জেলাটি থেকে হটিয়ে দিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা।
এতে ২০ জনেরও বেশি সেনা ও পুলিশ নিহত এবং আরও ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। অপরদিতে ২০০ জন তালেবান বিদ্রেোহী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি; তবে তালেবান যোদ্ধাদের নিহত হওয়ার দাবিটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
জানি খেলে আটটি জেলা থেকে আসা মহাসড়ক মিলিত হয়েছে এবং এখান থেকে বের হওয়া সড়ক পাকতিকার সঙ্গে প্রতিবেশী খোস্ত প্রদেশ ও পাকিস্তানকে যুক্ত করেছে।
“প্রায় পাঁচদিন ধরে আমাদের জেলাটি ঘিরে রেখেছিল তালেবান। রাতে তাদের কয়েকশত যোদ্ধা আমাদের নিরাপত্তা চৌকিগুলো আক্রমণ করে।,” বলেন সোলামল।
“যদি জেলাটি দ্রুত পুনরুদ্ধার করা না যায়, তাহলে তালেবান খুব সহজেই এক জেলা থেকে অপর জেলায় চলে যেতে পারবে এবং অন্তত তিনটি প্রদেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারবে,” বলেন তিনি।
আফগানিস্তানের আরো কয়েকটি জায়গায় তালেবানের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলার মধ*্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটল। দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হেলমান্দে তালেবান আক্রমণ প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপদেষ্টাদের মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে গত বছর অল্প সময়ের জন*্য তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজেও বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জানি খেলে বহু আফগান সেনা ও পুলিশ নিহত হয়েছেন এবং প্রচুর রসদ তাদের হস্তগত হয়েছে, এগুলোর মধ*্যে সাঁজোয়া যান, হাল্কা ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র এবং গুলি রয়েছে।
জুলাইতে করা যুক্তরাষ্ট্রের জরিপ অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুতে আফগানিস্তানের ৭০ ভাগ এলাকা আফগান সরকারি বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বছরের মাঝামাঝি তা ৬৬ ভাগে নেমে এসেছে।
মে-তে সাবেক প্রধান মোল্লা আখতার মনসুর নিহত হওয়ার পর তালেবানরা আক্রমণের ব*্যাপকতা বাড়ানোর পর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে পিছিয়ে আসছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীগুলো।
দেশটির ৪০৭টি জেলার মধ*্যে ৩৬টি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে বা প্রভাবাধীন রয়েছে এবং ১০৪টি ‘ঝুঁকিতে’ আছে বলে জানা গেছে।
Comment