বাংলাদেশের বর্তমান মুরতাদ সরকারের দলীয় গঠনতন্ত্র যদি কেউ একবার চোখ বুলায় তাইলে ইসলামের সাথে যে এর শত্রুতা কতটুকু তা স্পষ্ট হয়ে যায়। যেমন শুরুর কথা যদি ধরা হয় এদের দলের নাম ছিল প্রথমে 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' যাকে সাম্প্রদায়িক করার জন্য বাংলাদেশের সব মানুষের বাপ (নাউজুবিল্লাহ) শেখ মুজিব এর নাম পরিবর্তন করে রাখে 'আওয়ামী লীগ'। এই কাজের মাধ্যমে ইসলামের সাথে এদের শত্রুতা শুরু। এবং পরবর্তী ইতিহাস শুধু ইসলামকে বাংলার জমীন থেকে বিলীন করে দেওয়ার। আসুন আমরা এই মুরতাদ শাসকদের বর্তমান যে গঠনতন্ত্র রয়েছে তার উপর একটু নজর বুলিয়ে দেখে নিই বাস্তবতার সাথে এটি কতটা মানানসই আর ইসলামের সাথে এদের শত্রুতা কতটা গভীর।
নামঃ
এই প্রতিষ্ঠানের নাম হইবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
প্রস্তাবনা
ক. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংহত করা এবং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা সমুন্নত রাখা।
মন্তব্যঃ এ ব্যপারে বাংলাদেশের যে মানুষটা সবচেয়ে নির্বোধ সেও জানে যে এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংহত করার ব্যপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এ জাবতকাল বর্তমান মুরতাদ হাসিনার বাবার আমলের বেরুবারী হস্তান্তর থেকে শুরু করে গণতন্ত্রের এই বেশ্যা (দুঃখিত এর চেয়ে উত্তম কোন শব্দ ব্যবহার করতে পারলাম না। কারণ গণতন্ত্রের নামে কুফফার রাষ্ট্রগুলো একে এতবার ধর্ষণ করেছে যে একজন বেশ্যাও তাঁর জীবনে এত বার শরীর বিক্রি করে কিনা সন্দেহ) মালাউন ভারতের সাথে যতগুলো চুক্তি করেছে তা থেকে এটা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত যে কোনভাবেই এই দল স্বাধীনতা সংহত ত করছেই না বরং যে টুকু স্বাধীনতা ছিল তাও দিন দিন জলাঞ্জলি দিচ্ছে। আর সার্বভৌমত্ব রক্ষা এ ব্যপারে বলা যায় এটা একটা নিকৃষ্ট মিথ্যাচার। প্রতিদিন যেখানে মালাউনদের বুলেট সীমান্তে বাংলীদের বুকে বিদ্ধ হচ্ছে সেখানে এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না।
খ. প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। জনগণের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ করা।
মন্তব্যঃ প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ না বলে যদি বলা হয় আওয়ামী লীগ তাহলে জিনিসটা সঠিক হতে পারে।। প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি জিনিস চাই তা হোক কোন অসহায় পরিবারের কিশোরী মেয়ের সম্ভ্রম (প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের কেউ না কেউ কোন অসহায় মেয়েকে হয় ধর্ষণ করে অথবা মীমাংসার নামে টাকার বিনিময়ে ধর্ষককে বাঁচানোর চেষ্টা করে) চাই তা টেন্ডারবাজি, খুন, রাহাজানী, সাংবাদিক পিটানো, চাঁদাবাজি এমন কোন ক্ষেত্র নাই যেখানে আওয়ামী লীগ নামক কুলাঙ্গারদের একক আধিপত্য খুজে পাওয়া যাবে না।
গ. রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি এবং কল্যাণ নিশ্চিত করা।
মন্তব্যঃ
রাজনৈতিক মুক্তিঃ কেউ যদি রাজনীতি করতে চায় তবে তাঁর জেলে যাবার/মামলার মাধ্যমে রাজনীতির বদলে আদালতে হাজিরা দেওয়ার অধিকার তারা নিশ্চিত করেছে।
অর্থনৈতিক মুক্তিঃ প্রতিদিন যেখানে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে এটাকে যদি অর্থনৈতিক মুক্তি বলে তাহলে কিছু বলার নাই। দ্রব্যমুল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির পিছনে ছুটতে ছুটতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে আর এটাকে বলা হচ্ছে অর্থনৈতিক মুক্তি। তারল্য সংকট দেখা দিলেই ছেপে ফেল নতুন টাকা আর ঝাড়ের সবচেয়ে বড় বাঁশটা চাপে জনগণের কাঁধে আর একে বলে অর্থনৈতিক মুক্তি।
সামাজিক মুক্তিঃ সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে অবক্ষয়ের ষোল কলার জায়গায় আঠার কলা পূরণ হয়ে গেছে আর এটা হল সামাজিক মুক্তি। ১২ মাসের শিশু থেকে শুরু করে রাস্তার পাগলীর সম্ভ্রম যেখানে নিরাপদ না সেটাকে যদি বলে সামাজিক মুক্তি, পুলিশ হেফাজতে যেখানে ধর্ষণ চলে সেটাকে বলে সামাজিক মুক্তি, শিক্ষক থেকে শুরু করে সুইপার পর্যন্ত যেখানে ঘুষের সাথে জড়িত সেটাকে বলে সামাজিক মুক্তি। সামাজিক এমন কোন অবকাঠামো খুজে পাওয়া যাবে না যেখানে নৈতিকতা বোধের ছিটেফোটা অবশিষ্ট আছে আর এটাকেই ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মুক্তি হিসেবে।
সাংস্কৃতিক মুক্তিঃ মালাউন সংস্কৃতির করাল গ্রাসে যখন এফডিসির বেশ্যারা পর্যন্ত হতাশ হয়ে বলতেছে আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আর এই বাস্তবতাই এখন শ্লোগান সাংস্কৃতিক মুক্তির। মালাউনদের কাপড় খোলা সংস্কৃতির প্রচারকেই এখন সাংস্কৃতিক মুক্তির মাপকাঠি ধরা হচ্ছে। আর এর ফলে বলি হচ্ছে প্রতিদিন ৮/১০ জন (এটা ত পত্রিকার খবর। এর বাইরে প্রতিদিন যে কত শত ধর্ষণ হচ্ছে তা আল্লাহই ভাল জানে) ধর্ষণের শিকার হয়ে। একথা তাই বুক ফুলিয়ে বলা এই কুত্তা লীগ অপসংস্কৃতি প্রসারের কাজ প্রচন্ড গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।।
ঘ. মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা।
মন্তব্যঃ
অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রঃ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বলতে যদি বোঝায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হওয়া সত্ত্বেও মালাউনদের গান-বাজনায় মুসলিমদের জুম্মার নামাজ আদায়ে বিঘ্ন ঘটানো, হিন্দুদের পূজার জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা, হিন্দুদের মন্দির নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া, ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের সন্তানদের শিক্ষার একমাত্র উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া, মাদ্রাসাগুলোর ইসলামী শিক্ষানীতি পরিবর্তন করে কুফুরী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের জন্য অব্যাহত চাপ বজায় রাখা তাহলে এটা নিশ্চিতই একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। ১০% হিন্দুরা যখন সরকারী ৩০% পদ দখল করে রাখে তখন এটা নিশ্চিতই একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রঃ শব্দটা আসলে লিখার কথা ছিল আওয়ামী লীগ তান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলা। প্রিন্টিং মিস্টেক হয়েছে সম্ভবত।
মূলনীতি:
বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা তথা সকল ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং সমাজতন্ত্র তথা শোষণমুক্ত সমাজ ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হইবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মূলনীতি।
মন্তব্যঃ বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে আওয়ামী লীগের মূলনীতি হিসেবে আমরা যা পাই তা এমন হতে পারে-
হিন্দু জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষ তথা হিন্দু ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ ও এককেন্দ্রিক রাজনীতি এবং সমাজতন্ত্র তথা ইসলামমুক্ত সমাজ ও সামাজিক অনাচার প্রতিষ্ঠা হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা কুত্তা লীগের মূলনীতি।
অঙ্গীকারঃ
একটি উন্নত, সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী রূপকল্প সম্বলিত এই ঘোষণাপত্র ও কর্মসূচির মৌলিক লক্ষ্য ও অঙ্গীকার হইবেঃ
---- একটি ভঙ্গুর, ফাঁপা রাষ্ট্র হিসেবে ডিজিটাল (পরনগ্রাফীতে আসক্ত) বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী রূপকল্প সম্বলিত এই ঘোষণাপত্র ও কর্মসূচির মৌলিক লক্ষ্য ও অঙ্গীকার হইবেঃ
১। স্বাধীনতার আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা।
---- এটা তারা ঠিকই বলেছে কারণ স্বাধীনতার আদর্শ বলতে তারা বোঝায় মালাউনদের আদর্শ, চেতনা ও মূল্যবোধ।
২। মানবসত্তার মর্যাদা ও মানবিক মূল্যবোধের স্বীকৃতি।
---- মানবসত্তা/মানবিক এই শব্দ দুটোর অর্থ যদি এই দলের ১০০% মানুষের উপর জরীপ চালানো হয় তাহলে সম্ভবত ০.০০০০০১% মানুষও পাওয়া যাবে না যারা এটার অর্থ জানে। তাই তারা মানবসত্তার মর্যাদা ও মানবিক মূল্যবোধের স্বীকৃতি কিভাবে দিবে??
৩। বাংলাদেশের জনগণের ঐক্য ও সংহতির বিধান।
---- হ্যা তারা এক শেখ মুজিবরে সবার পিতা বানাইয়া ইহা প্রমাণ করিবার চেষ্টা করিতেছে যে তাহারা সবার মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সংকল্পবদ্ধ।
৪। সংসদীয় গনতন্ত্রের সুস্থ বিকাশ ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান। জনগণের পছন্দমতো ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
---- একে ত কুফুরী তন্ত্র কায়েম করে মুসলমানদের ঈমান ধ্বংসের সব আয়োজন সম্পন্ন। তার পরেও এই তন্ত্রের চর্চাও এরা করে সইরতান্ত্রিক উপায়ে। জনগণ ভোটকেন্দ্রে ভোট ঠিকই স্বাধীনভাবে দেয় কিন্তু ভোটের মার্কাটা এরা নিজেদের পছন্দমত পরিবর্তন করে দেয়।। জনগণের অধিকার তাই শুধু ভোট দেওয়া পর্যন্ত। আর ভোট না দিলেই ক্ষতি নাই নির্বাচন কমিশন তাদের কথামত বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ইচ্ছামত ভোটারের উপস্থিতি দেখিয়ে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য বলবত আছে।
৫। একটি গণমুখী, স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক দক্ষ জনপ্রশাসন ব্যবস্থা গড়িয়া তোলা এবং সুশাসন নিশ্চিত করা।
----প্রশাসনের এমন কোন স্তর পাওয়া যাবে না যারা জনগণের রক্ত পানি করা পয়সা লোপাট করতে ব্যস্ত না আর এটাই গণমুখী প্রশাসন আর জবাবদিহিতা--সুবহানাল্লাহ এই শব্দ এদের কোন ইউনিয়ন কমিটির বাসার কাজের লোকের মধ্যেও এই সংস্কৃতি নাই বাকিদের কথা আর নাই বা বললাম।
৬। তৃণমূল পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনার সকল স্তরে জনগণের অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গড়িয়া তোলা।
---- তৃণমূল পর্যন্ত জনগণ যাতে আওয়ামী লীগের চ্যালা – চামুন্ডাদের দ্বারা নিষ্পেষিত হতে পারে এরকম একটা সরকার ব্যবস্থা তারা নিশ্চিত করেছে।।
৭। নর-নারী, ধর্ম-বর্ণ, সম্প্রদায়, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা নির্বিশেষে মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা বিধান এবং তাদের উন্নত জীবন বিকাশের পরিপূর্ণ সুযোগ প্রদান।
---- নারীর অধিকারের নামে ব্যভিচারকে সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রতিষ্ঠার ব্যপারে তারা সংকল্পবদ্ধ এ ব্যপারে কোন সন্দেহ নাই। এমনকি নিম্ন মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরাও যাতে ব্যভিচার কি ঠিকমত জানতে পারে তাঁর জন্য পাঠ্যসূচীতে ব্যপক পরিবর্তন সাধন এর বড় প্রমাণ। আর উন্নত জীবনের মাপকাঠি বলতে তারা বোঝায় দেশে কত ভাগ নারী অর্ধ- উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় বের হয় এটাকে। মাদ্রাসার মেয়েদের বোরকা খুলে ফুটবল খেলানোকে উন্নতির মাপকাঠি মনে করে এরা।
৮। ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ এবং সকল প্রকার সাম্প্রদায়িকতার বিলোপ সাধন।
---- এর চেয়ে নির্লজ্জ বাক্য কি হতে পারে। কোরবানীর পশু জবাই করলে শহর নোংরা হয় এই অজুহাতে কোরবানীর জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয় যাতে এই হয়রানীতে অনেক মানুষ পশু জবাই করা থেকে বিরত থাকে আবার কেউ নিজ বাড়ির পাশে পশু জবাই করলে সেটা হয় পত্রিকার নিউজ এরা এমনকি নিজেদের কোরবানীর অধিকারও দরবারী বেতনভূক্তদের হাতে দিয়ে দেয় আর এরা বলে ধর্মীয় স্বাধীনতা। নাস্তিকতার প্রসার, ইসলামকে বাংলার জমীন থেকে বিলুপ্তির জন্য এহেন কোন চক্রান্ত নাই যা এই মালাউন মদদপুস্ট বেশ্যাটা করে নাই। এরা মন্দিরের উন্নতির জন্য দুয়া করে এই পর্যায়ের মুরতাদ। ইবলিস শয়তানও এদের কাজ দেখে লজ্জায় পালিয়ে যায়। ধর্মীয় স্বাধীনতার নামে এই কুলাঙ্গাররা বাংলার জমিন থেকে মুসলিমদের সরিয়ে এই জায়গায় এমন এক জাতি নিয়ে আসার মিশন নিয়ে কাজ করছে যারা নামাজও পড়বে আবার সালাম ফিরায়ে মন্দিরে গিয়ে পূজাও করবে।
৯। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ। সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠন।
---- মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ এই দেশে মুসলিমদেরকে ইসলামী আইনের পরিবর্তে বিদেশী খদ্দেরদের দ্বারা প্রণীত আইন দ্বারা বিচার ফয়সালা নিতে বাধ্য করতেছে। আর এই কুফরী আইনের প্রয়োগের গন্ডীও সীমাবদ্ধ শুধুমাত্র সাধারণ জনগণের মধ্যে। আর আইন এখন উলটো জনগণকে শোষণের একটা হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। একজন ধর্ষিতার আইনের সহায়তা পেতে যুগের পর যুগ অপেক্ষা করতে হয় আর বিপরীত দিকে একজন আওয়ামী নিকৃষ্ট কোন কীটের বিরুদ্ধে কেউ একটা শব্দ উচ্চারন করলেও সাথে সাথে জেল-জরিমানা হয়ে যায়। আর এটা হল আইনের শাসনের হাল-হকিকত। আর বিচার বিভাগকে নিজেদের লোক বসিয়ে স্বাধীন করে দেওয়া হয়েছে যাতে করে বিভাগ স্বাধীন থাকলেও হুকুমত পরাধীনই থাকে। বিষয়টা ঠিক ব্রিটিশ কুলাঙ্গারদের দেখানো পদ্ধতির মত যারা যাওয়ার দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছে কিন্তু ক্ষমতায় বসিয়ে গেছে তাদের ঔরসজাত নাপাকগুলোকে।
১০। নারী নির্যাতন বন্ধ, নারীর অধিকার ও মর্যাদা সংরক্ষণ এবং রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ সুনিশ্চিতকরণ।
---- নারীদের জন্য পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ভরে নতুন নতুন আইন বানাচ্ছে আর নারীর অধিকারের নামে মুসলিম কন্যাদের ঘরের বাইরে নিয়ে এসে তাদের সম্ভ্রম হানীর রাস্তাকে প্রসারিত করছে। গর্দভ এই নারীগুলো তাদের পাতা ফাঁদে পা দেওয়ার জন্যই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। নারীকে ঘরের বাইরে নিয়ে এসে রাস্তার বিলবোর্ডে স্থাপনের মাধ্যমে এরা এদের মর্যাদা বৃদ্ধি করছে, পুলিশ বাহিনীতে এদের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে পুলিশদের শারীরিক চাহিদা পূরনের মাধ্যম বানাচ্ছে, আর্মিতেও এর ব্যতিক্রম নেই। অর্থাৎ রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সকল জায়গায় অবস্থান করা পুরুষরাই যাতে ব্যভিচারের অবাধ সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হতে পারে তাঁর জন্য সব জায়গায় নারীকে পন্যের মতই ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
১১। শিশুর অধিকার সংরক্ষণ, তাদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশের সুযোগের নিশ্চয়তা বিধান এবং যুব সমাজের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
---- এক দিকে নারী স্বাধীনতার নামে শিশুর মাকে ঘরের বাইরে নিয়ে এসে শিশুকে তাঁর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় স্থলকে করছে শূন্য। তাঁর বেড়ে ওঠার জন্য যার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি তাঁর থেকে বিচ্ছিন্ন করে শিশুকে জন্মের পর থেকেই মানসিকভাবে, সামাজিকভাবে পঙ্গু করার রাস্তা পাকাপোক্ত করার মাধ্যমে তাদের অধিকার নিশ্চিত করছে। আর সারাদেশে মদের অবাধ লাইসেন্স, মাদকের প্রসারের মাধ্যমে যুব সমাজের উন্নয়নও নিশ্চিত করছে। মাদককে এতটাই সহজলোভ্য করা হয়েছে যে জেলখানার কয়েদীদেরও এই জিনিস পেতে কোন বেগ পেতে হয় না। আর মাদককে না বলুন এই সব বস্তা পচা বুলির মাধ্যমে জনগণকে বোঝানো হচ্ছে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
১২। সংবাদপত্রসহ সকল গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা।
---- সত্যিই সেলুইকাস এই দল। তাদের বিরুদ্ধে লেখনী ধরার চিন্তা করলেও যারা সেই পত্রিকা, টিভির লাইসেন্স বাতিল করে দেয় তাদের গঠনতন্ত্রেই আবার তারা বলে আমরা গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা এবং অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে চাই।
১৩। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ মানুষের জীবন ধারণের মৌলিক সমস্যার সমাধান এবং কর্মের অধিকার এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করা।
---- তথৈবচ।।
১৪। অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার অবসান, দারিদ্র্য বিমোচন, অধিকতর কর্মসংস্থান, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, একপাক্ষিক বৈদেশিক নির্ভরশীলতা কাটানো, ব্যাক্তিখাত এবং রাষ্ট্রীয় ও ব্যাক্তিখাতের যৌথ উদ্যোগে (পিপিপি) উৎপাদনমুখী বিনিয়োগ উৎসাহিত করা। একটি শিল্পসমৃদ্ধ জাতীয় অর্থনীতির ভিত্তি রচনা করা।
---- অর্থনৈতিকভাবে যারা পিছিয়ে ছিল তাদের পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে অনগ্রসরতার অবসানের বিষয়টা সত্য। নিজেদের দলীয় লোকদের বিভিন্ন ব্যবসা-টেন্ডারবাজির মাধ্যমে, কুইকরেন্টালের মাধ্যমে টাকা পয়সার লূটপাট আজ সর্বজন বিদীত। যে কোন মন্ত্রী যার আর্থিক অবস্থা একটু খারাপ তাকে বেশী কিছু করতে হয় না শুধু তাঁর মন্ত্রণালয়ে নতুন একটা প্রজেক্ট চালু করতে হয় তারপরেই তার আর্থিক অভাব ইতিহাসের পাতায় ঠাই নেয়। দেশের মানুষ বাজারে যায় মন খারাপ করে ফিরে আসে ততোধিক বিষণ্ণ মনে কিন্তু সরকারী আমলাদের ফ্রীজ থাকে মাছ-মাংসে ভরপুর, এমপি-মন্ত্রীদের কথা বাদই দিলাম।
---- দারিদ্র বিমোচনের নামে চলে একটার পর একটা প্রোগ্রাম আর চলে সেই প্রোগ্রাম থেকে টাকা চুরির প্রতিযোগিতা। দিন দিন মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ যেখানে বেড়েই চলেছে সেখানে উনারা বৈদেশিক নির্ভরতা হ্রাসের, রিজার্ভ সমৃদ্ধির ধুয়া ছড়িয়ে এই মাকাল জনতাকে অন্ধ করে রাখছে।
---- জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির নামে জনগণের উপর এই ট্যাক্স, সেই ট্যাক্স চাপিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সংগীত ভালোই খাওয়ানো হচ্ছে। জনগণ এখন জানেই যে তারা কিসের উপর ট্যাক্স দেয় না। বিয়ে করা থেকে শুরু করে জীবনের এমন কোন কাজ নাই যেখানে সরকারকে নজরানা দিতে হয় না।
১৫। সর্বাঙ্গীণ গ্রামীণ-উন্নয়ন, ভূমি ও কৃষিব্যবস্থার আমূল সংস্কার, কৃষিতে বিশ্বায়নের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, আধুনিকায়ন, কৃষিতে টেকসই প্রযুক্তির ব্যবস্থা এবং সমবায় ব্যবস্থা বহুমুখীকরণ ও ফলপ্রসূ করা।
---- কৃষি খাত স্বনির্ভর। কিন্তু কৃষকের পরিবার না খেয়ে থাকে। সব কিছুই সহজলভ্য করা হয়েছে কিন্তু টাকার বিনিময়ে। এবং চাষ করতে এখন এত বেশি খরচ হয় যে এক বছর কেউ চাষ করলে পরের বছর আর চাষ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এক মৌসুম খরার কবলে ত পরের মৌসুম বন্যার কবলে ভালোই সুযোগ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত এই সরকার।
১৬। খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতার ধারা অব্যাহত রাখিয়া জনগণের খাদ্যের অধিকার তথা ভাতের অধিকার নিশ্চিত করা, কৃষিপণ্যের লাভজনক দামের নিশ্চয়তা বিধান।
---- ভাতের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু সাথে আছে বিষ ফ্রি। এখন এমন কোন খাদ্যপন্য পাওয়া যাবে না যেটার মধ্যে বিষ নাই।
১৭। জাতীয় স্বার্থে প্রাকৃতিক সম্পদের যুক্তিসংগত ব্যবহার নিশ্চিত করা, দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়িয়া তোলা, বিদ্যুতায়ন, যোগাযোগ, আইটি খাতসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
---- হ্যা বিদেশী কুত্তাদের হাতে প্রাকৃতিক সম্পদের পুরোটা ছেড়ে দিয়ে দেশের মানুষকে সেবা না দিয়ে মালাউনদের কাছে নামমাত্র মূল্যে ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে দিয়ে অবশ্যই দেশবাসীর উত্তম সেবা নিশ্চিত করছেন। বিদ্যুতায়নের নামে কুইক রেন্টালের নামে কোটি কোটি টাকা দলীয় লোকজনের পকেটস্থ করার সব ব্যবস্থা এরা করেছে। আর যোগাযোগ ব্যবস্থার নামে বছরজুরে খোরাখুরি আর জনগণের ভোগান্তি। একই রাস্তা যে ৫ বছরে কত বার খনন করা সম্ভব তা এই সরকারকে না দেখলে জানা যাবে না। একবার ওয়াসার লোক খনন করবে অতঃপর সেটা ঠিক করা হবে, অতঃপর গ্যাস লাইনের জন্য খুঁড়বে, সেটা ঠিক হবে এভাবে পারলে সব সব মন্ত্রণালয় দ্বারা একবার করে রাস্তাগুলো ধর্ষণের শিকার না হলে যেন সরকারের স্বস্তি হয় না। আর জনগণকে দেখানো হচ্ছে দেখ আমরা কত কাজ করছি। উন্নয়নের জোয়ারে বাংলাদেশকে চীন বানায়ে ফেলতেছি।
১৮। মানবসম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান। সমাজের প্রয়োজনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ সার্বজনীন, সুলভ ও প্রগতিশীল শিক্ষানীতি এবং ব্যবস্থার প্রবর্তন ও বাস্তবায়ন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ধারাকে উৎসাহিতকরণ।
---- শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান। সমাজের প্রয়োজনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ সার্বজনীন, সুলভ ও প্রগতিশীল শিক্ষানীতি এবং ব্যবস্থার প্রবর্তন ও বাস্তবায়নঃ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যদি হয় সমাজের প্রয়োজনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ তাইলে অসামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা যে কি জিনিস তা জানার জন্য বিস্তর গবেষণা করতে হবে। প্রতিবছর বেকারত্বের ঘানি টানতে টানতে কেউ সন্ত্রাসী, কেউ মাদকাসক্ত এই সব পেশায় জড়িত হচ্ছে। তবে একটা বিষয় সত্য এই নাপাক দলের কাছে সমাজ বলতে বোঝায় মাদকাসক্ত, মানসিক বিকারগ্রস্থ, শরীর সর্বস্ব একটা সমাজ তাহলে তারা সঠিক পথেই আছে বলতে হবে। এদের শিক্ষানীতির পরিবর্তন বলতে এতদিনে একটা জিনিসই পরিস্কার ফুটে উঠেছে আর তা হল শিক্ষার ভিতরে যতটুকু ইসলামের নাম-গন্ধ আছে তা ধুয়ে মুছে সাফ করে দেওয়া।
১৯। বাঙালি জাতির সভ্যতা, কৃষ্টি, ভাষা এবং শিল্প সাহিত্যের বিকাশ নিশ্চিতকরণ। দেশের আদিবাসী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও উপজাতীয় জনগণের জীবনধারা, ভাষা-সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশের সুযোগ নিশ্চিত করা।
---- বাঙালি জাতির সভ্যতা, কৃষ্টি, ভাষা এবং শিল্প সাহিত্যের বিকাশ নিশ্চিতকরণঃ এখানে সবই ঠিক আছে শুধু বাঙালীর জায়গায় নাপাক হিন্দু জাতির হবে।
২০। শ্রমজীবী, সমাজের দুর্বল, অনগ্রসর, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মানবেতর জীবন হইতে উত্তরণে সার্বিক সহায়তা প্রদান। পঙ্গু, অসহায়, বিধবা, দরিদ্র, বয়স্ক, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়িয়া তোলা।
---- এখন পর্যন্ত রানা প্লাজা ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো তাদের ক্ষতিপূরন পায় নাই, কিন্তু প্লাজার মালিক এতগুলো প্রাণ হরনকারী হয়ে দিব্যি বহাল তবিয়তে বিরিয়ানী খাচ্ছেন আর তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেছেন। অন্যদের কথা আর নাই বা বললাম। এই বছরও বন্যার ত্রানের জিনিসপত্র লুটের চিত্র পত্রিকায় পাতায় তরতাজা আর এভাবেই উনারা সার্বিক সহায়তার হাত প্রসারিত করছেন। আজকে দেশের কোন মানুষের আর জানতে বাকি নাই যে টি.আর. (টেস্ট রিলিফ), কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) এই প্রজেক্টগুলো হলো মন্ত্রী, এমপি এদের পকেট ভারী করার আর দলীয় লোকজনদের পরিবার চালানোর উদ্যোগ।
---- অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার সামাজিক নিরাপত্তাঃ এটা এই দলের সবচেয়ে কুৎসিত রাজনীতি। তাদের সব জায়গায় কোটা দেওয়ার নামে একেবারে অকর্মণ্য বানিয়ে ফেলছে আর সাধারণ মানুষজনের মনে মুক্তিজোদ্ধাদের প্রতি যাও বা যত সামান্য শ্রদ্ধা ভক্তি ছিল সেই জায়গায় এখন ঘৃণা মিশ্রিত অবজ্ঞা জায়গা পেয়েছে। এদের যত সম্মান সব শুধু পত্রিকার পাতায় আর সভা সেমিনারে। আর মুক্তিযুদ্ধ নামক আজিব এক মন্ত্রণালয় (পৃথিবীর কোথাও এমন কোন মন্ত্রণালয় পাওয়া যাবে কিনা আমার জানা নেই) যারা এই স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরও নতুন নতুন মুক্তিযোদ্ধা বানাচ্ছেন। আর লোকজনও সার্টিফিকেটের জন্য ঘুষ দিয়ে লাইনে দ্বারায় কারণ কোনমতে একটা সার্টিফিকেট বাগাইতে পারলেই ত দেশটাই আপনার, সন্তান-সন্ততি, নাতি-পুতি কারও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে না।।
২১। বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান বিপদ মোকাবিলায় বৈশ্বিক ও দেশীয় উদ্যোগ গ্রহণ। পানিসম্পদের প্রাপ্যতা, সংরক্ষণ ও যথাযথ ব্যাবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ। পরিবেশ সংরক্ষণ, বন সৃজন ও সামাজিক বনায়ন সম্প্রসারণে উৎসাহিত করা, প্রাণী বৈচিত্র্য রক্ষা এবং গ্রিন হাউজ এফেক্ট রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
---- বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান বিপদ মোকাবেলায় বৈশ্বিক ও দেশীয় উদ্যোগঃ বৈশ্বিক উদ্যোগ বলতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন গিয়ে টাকা চেয়ে কান্নাকাটি করা। অতঃপর কিছু টাকা ভর্তুকি পেলে সেটা নিয়ে বছরজুরে নাচানাচি করা।
---- পানিসম্পদের প্রাপ্যতা, সংরক্ষণ ও যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণঃ সুবহানাল্লাহ! দেশের সবচেয়ে বড় ব্যারেজ তিস্তা ব্যারেজে কৃষির জন্য পানি থাকে না, দাদাদের মন খারাপ হবে এজন্য চুপ করে থেকে পদ্মাকে শুকিয়ে খাল বানিয়ে ফেলা, আর বন্যার সময়ে ফারাক্কার অতিরিক্ত পানির চাপে দেশকে বন্যার পানিতে হাবুডুবু খাওয়ানো যদি হয় পানিসম্পদের যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা তাহলে আর বলার কিছু নাই।
---- বন সংরক্ষণ, বন সুজন ও সামাজিক বনায়ন সম্প্রসারণ করাঃ সুন্দরবনের মাঝখানে দাদাদের পা চাটতে গিয়ে কয়লা বিদ্যুৎ স্থাপন করা বন সংরক্ষণের উৎকৃষ্ট নমুনাই বটে। যেখানে প্রত্যেকটা জরীপের মাধ্যমে ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে সেখানে গণতন্ত্রের বেশ্যাটা বাবা গণেশের কাছ থেকে সপ্নজোগে পেয়েছে যে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাবে। রাস্তার পাশের গাছগুলো এই দলের সবাই নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে যখন খুশি কেটে নিয়ে বিক্রি করে আর গঠনতন্ত্রে সাধু বাক্য। দেশ রশাতলে যাক গঠনতন্ত্র ত ঠিক রাখতে হবে।
---- প্রাণী বৈচিত্র্য রক্ষা এবং গ্রিন হাউজ এফেক্ট রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করাঃ জঙ্গল ধ্বংস করে প্রানীর থাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ বিলীন করে প্রাণীদের অভয়ারণ্যের নামে চিড়িয়াখানা বানিয়ে, বন বিভাগের টাকা লুটপাটের নতুন খাত বানিয়ে কাগজে কলমে প্রাণী বৈচিত্র্য রক্ষা এবং গ্রিন হাউজ এফেক্ট রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। জঙ্গলের রয়েল বেঙ্গল টাইগারও এদের যন্ত্রণায় বিলীন হওয়ার পথে। আর দুই প্রাণীর বিয়ের নাটক বানিয়ে রথযাত্রার আয়োজন করে জনগণকে ভালোই অন্ধ করে রাখা হচ্ছে।
২২। অপরিকল্পিত নগরায়ণ রোধ, শহরাঞ্চলে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং গ্রাম ও শহরের বৈষম্য দূর করা। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত পরিকল্পিত গ্রামীণ জনপদ গড়িয়া তোলা।
---- গ্রাম ও শহরের মধ্যে বৈষম্য দূর করা বলতে আসলে বোঝানো হয়েছে শহরের যত অপসংস্কৃতি রয়েছে তা গ্রামের সরল-মতি মানুষদের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া। আর এ ব্যপারে এই মালাউনরা সফল বলতে হবে।।
২৩। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও বিশ্বশান্তি রক্ষার লক্ষ্যে আধুনিক, যুগোপযোগী ও শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়িয়া তোলা।
---- শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঠিক আছে কিন্তু সেটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য না বরং তা হিন্দুদের রক্ষা এবং মুসলিমদের নির্যাতন নিশ্চিত করার জন্য। আর বিডিআর বিদ্রোহ যার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। যেখানে বাংলাদেশী বিডিআরদের জন্য তাদের নাগর মালাউনরা সীমান্তে নির্যাতন চালাতে পারে না। তাই তাদের সাথে যোগসাজশ করে বিডিয়ারের মধ্যে ভাঙ্গন ধরানো এবং এটাকে একটা অকর্মণ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিডিয়ার বিদ্রোহ ঘটানো হল। আর ফলাফল হিসেবে বাংলাদেশের নাপাক আর্মির ভিতরের এখন আর শৃঙ্খলার ছিটেফোটাও অবশিষ্ট নাই।
২৪। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বৈদেশিক নীতির ভিত্তি হবে সকলের সহিত বন্ধুত্ব, কারো সহিত বৈরিতা নয়। বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার সকল প্রচেষ্টায় সাহায্য ও সহযোগিতা করা এবং সন্ত্রাসবাদ, বর্ণবৈষম্যবাদ, উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জাতি ও জনগণের ন্যায়সঙ্গত মুক্তিসংগ্রামকে সমর্থন করা।
----- সকলের সহিত বন্ধুত্ব, কারো সহিত বৈরিতা নয়ঃ অর্থাৎ ইসলাম যা বলে ঠিক এর বিপরীত কিছু না করলে এই দলের লোকজনের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। ইসলাম যেখানে বলে, তোমরা ইহুদী ও খৃষ্টানদের নিজেদের বন্ধু হিসেবে গ্রহন কর না। সেখানে উনারা সবার সাথেই বন্ধুত্ব করায় বিশ্বাসী। তাই ত মালাউনদের সাথে তাদের এতই পিরীতি যে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যারপন আইনের নামে দেশের একচতুর্থাংশ জায়গা মালাউনদের দিয়ে দিচ্ছেন। আর অপরদিকে মালাউনদের শত্রু হওয়ার কারণে মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের সাথে দাকুমড়া সম্পর্ক তৈরি করেছেন (এসময় তাদের কারো সাথে বৈরিতা নয় এই নীতি খাটে না)।
----- বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করাঃ এই নামে জাতিসংঘের দ্বারা পরিচালিত মুসলিমদের দেশগুলোর উপর নিপীড়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার দ্বার উন্মোচন করেছে।
----- উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জাতি ও জনগণের ন্যায়সঙ্গত মুক্তিসংগ্রামকে সমর্থনঃ তাদের এই কথার অর্থ দ্বারায় কাশ্মীরের জনগণের মুক্তিসংগ্রাম ন্যায়সঙ্গত নয়। তারা সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। তাই ত মালাউনরা সেখানে নব্য উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদের এবং সাম্প্রদায়িকতার চরম প্রকাশ থাকা সত্ত্বেও তারা মালাউনদেরই সমর্থন করে। এর দ্বারা তারা এটা প্রমাণ করছে যে মালাউনরা যাই করুক তার জন্য সাত খুন মাফ। আর এই জন্যই একটা মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও এক মালাউন পুলিশ মসজিদের ভিতরে একটা মুসলিমকে গুলি করে হত্যা করার পরেও সে এখন ডিবিতে (চট্টগ্রাম ডিবিতে কর্মরত বিকাশ দত্ত- যার প্রিয় সখ মুসলিম হত্যা করা এবং সে এটা গর্ব করে চারপাশের লোকজনকে বলে বেড়ায়) গুরুত্বপূর্ণ পদ ভোগ করে।
((উল্লিখিত লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্যে বর্ণিত প্রস্তাবনা, মূলনীতি ও অঙ্গীকার অনুসরণ এবং বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য, উদ্দীপনা এবং নবজাগরণ সৃষ্টিতে আওয়ামী লীগ সর্বদা সচেষ্ট থাকিবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরাধ্য এক উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অবিচল নিষ্ঠা, সততা, শৃঙ্খলা ও দৃঢ়তার সহিত আত্মনিয়োগ করিবে।))
---- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন ছিল এই কথা বলে যদি কেউ ইসলামের নামে যা ইচ্ছা তাই বলে তবে সে হয়ে যাই বিপ্লবী (তাদের কাছে থাবা বাবা তাদের মিশন পূরণ করতে গিয়ে শহীদ হওয়া প্রথম ব্যক্তি, এরপরে লিস্টে আরও কিছু নাপাক কীট যোগ হয়েছে)। কিন্তু যদি কোন ঈমানদার পুলিশ এটা বলে যে আমাদের জাতির পিতা হল ইবরাহীম (আঃ), শেখ মুজিবকে জাতির পিতা মানলে ঈমান থাকবে না ত তাকে ক্লোস করে ব্যারাকে ফেরত নিয়ে বিভাগীয় মামলা চালু করা হয়। শেখ মুজিবের স্বপ্নটাকে এরা গুলিস্তানের পাবলিক টয়লেট থেকে শুরু করে এহেন কোন জায়গা নাই যেখানে ব্যবহার করে না। বিষয়টা যেন এমন শেখ মুজিবের নাম ব্যবহার করলে আল্লাহ্*র কাছে কোন জবাবদিহিতা করতে হবে না।।
আল্লাহ্* আপনি এই দলের প্রত্যেকটা কীটকে নরকের স্বাদ ভোগ করার সুযোগ করে দাও।। এরা যেন দুনিয়াতেও ঈমানদার মুজাহিদদের দ্বারা শাস্তি পায় আর জাহান্নামে তাদের শাস্তির ভয়াবহতা দেখে যেন বাকিরা বিস্মিত হয়।।
নামঃ
এই প্রতিষ্ঠানের নাম হইবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
প্রস্তাবনা
ক. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংহত করা এবং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা সমুন্নত রাখা।
মন্তব্যঃ এ ব্যপারে বাংলাদেশের যে মানুষটা সবচেয়ে নির্বোধ সেও জানে যে এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংহত করার ব্যপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এ জাবতকাল বর্তমান মুরতাদ হাসিনার বাবার আমলের বেরুবারী হস্তান্তর থেকে শুরু করে গণতন্ত্রের এই বেশ্যা (দুঃখিত এর চেয়ে উত্তম কোন শব্দ ব্যবহার করতে পারলাম না। কারণ গণতন্ত্রের নামে কুফফার রাষ্ট্রগুলো একে এতবার ধর্ষণ করেছে যে একজন বেশ্যাও তাঁর জীবনে এত বার শরীর বিক্রি করে কিনা সন্দেহ) মালাউন ভারতের সাথে যতগুলো চুক্তি করেছে তা থেকে এটা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত যে কোনভাবেই এই দল স্বাধীনতা সংহত ত করছেই না বরং যে টুকু স্বাধীনতা ছিল তাও দিন দিন জলাঞ্জলি দিচ্ছে। আর সার্বভৌমত্ব রক্ষা এ ব্যপারে বলা যায় এটা একটা নিকৃষ্ট মিথ্যাচার। প্রতিদিন যেখানে মালাউনদের বুলেট সীমান্তে বাংলীদের বুকে বিদ্ধ হচ্ছে সেখানে এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না।
খ. প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। জনগণের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ করা।
মন্তব্যঃ প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ না বলে যদি বলা হয় আওয়ামী লীগ তাহলে জিনিসটা সঠিক হতে পারে।। প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি জিনিস চাই তা হোক কোন অসহায় পরিবারের কিশোরী মেয়ের সম্ভ্রম (প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের কেউ না কেউ কোন অসহায় মেয়েকে হয় ধর্ষণ করে অথবা মীমাংসার নামে টাকার বিনিময়ে ধর্ষককে বাঁচানোর চেষ্টা করে) চাই তা টেন্ডারবাজি, খুন, রাহাজানী, সাংবাদিক পিটানো, চাঁদাবাজি এমন কোন ক্ষেত্র নাই যেখানে আওয়ামী লীগ নামক কুলাঙ্গারদের একক আধিপত্য খুজে পাওয়া যাবে না।
গ. রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি এবং কল্যাণ নিশ্চিত করা।
মন্তব্যঃ
রাজনৈতিক মুক্তিঃ কেউ যদি রাজনীতি করতে চায় তবে তাঁর জেলে যাবার/মামলার মাধ্যমে রাজনীতির বদলে আদালতে হাজিরা দেওয়ার অধিকার তারা নিশ্চিত করেছে।
অর্থনৈতিক মুক্তিঃ প্রতিদিন যেখানে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে এটাকে যদি অর্থনৈতিক মুক্তি বলে তাহলে কিছু বলার নাই। দ্রব্যমুল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির পিছনে ছুটতে ছুটতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে আর এটাকে বলা হচ্ছে অর্থনৈতিক মুক্তি। তারল্য সংকট দেখা দিলেই ছেপে ফেল নতুন টাকা আর ঝাড়ের সবচেয়ে বড় বাঁশটা চাপে জনগণের কাঁধে আর একে বলে অর্থনৈতিক মুক্তি।
সামাজিক মুক্তিঃ সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে অবক্ষয়ের ষোল কলার জায়গায় আঠার কলা পূরণ হয়ে গেছে আর এটা হল সামাজিক মুক্তি। ১২ মাসের শিশু থেকে শুরু করে রাস্তার পাগলীর সম্ভ্রম যেখানে নিরাপদ না সেটাকে যদি বলে সামাজিক মুক্তি, পুলিশ হেফাজতে যেখানে ধর্ষণ চলে সেটাকে বলে সামাজিক মুক্তি, শিক্ষক থেকে শুরু করে সুইপার পর্যন্ত যেখানে ঘুষের সাথে জড়িত সেটাকে বলে সামাজিক মুক্তি। সামাজিক এমন কোন অবকাঠামো খুজে পাওয়া যাবে না যেখানে নৈতিকতা বোধের ছিটেফোটা অবশিষ্ট আছে আর এটাকেই ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মুক্তি হিসেবে।
সাংস্কৃতিক মুক্তিঃ মালাউন সংস্কৃতির করাল গ্রাসে যখন এফডিসির বেশ্যারা পর্যন্ত হতাশ হয়ে বলতেছে আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আর এই বাস্তবতাই এখন শ্লোগান সাংস্কৃতিক মুক্তির। মালাউনদের কাপড় খোলা সংস্কৃতির প্রচারকেই এখন সাংস্কৃতিক মুক্তির মাপকাঠি ধরা হচ্ছে। আর এর ফলে বলি হচ্ছে প্রতিদিন ৮/১০ জন (এটা ত পত্রিকার খবর। এর বাইরে প্রতিদিন যে কত শত ধর্ষণ হচ্ছে তা আল্লাহই ভাল জানে) ধর্ষণের শিকার হয়ে। একথা তাই বুক ফুলিয়ে বলা এই কুত্তা লীগ অপসংস্কৃতি প্রসারের কাজ প্রচন্ড গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।।
ঘ. মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা।
মন্তব্যঃ
অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রঃ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বলতে যদি বোঝায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হওয়া সত্ত্বেও মালাউনদের গান-বাজনায় মুসলিমদের জুম্মার নামাজ আদায়ে বিঘ্ন ঘটানো, হিন্দুদের পূজার জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা, হিন্দুদের মন্দির নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া, ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের সন্তানদের শিক্ষার একমাত্র উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া, মাদ্রাসাগুলোর ইসলামী শিক্ষানীতি পরিবর্তন করে কুফুরী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের জন্য অব্যাহত চাপ বজায় রাখা তাহলে এটা নিশ্চিতই একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। ১০% হিন্দুরা যখন সরকারী ৩০% পদ দখল করে রাখে তখন এটা নিশ্চিতই একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রঃ শব্দটা আসলে লিখার কথা ছিল আওয়ামী লীগ তান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলা। প্রিন্টিং মিস্টেক হয়েছে সম্ভবত।
মূলনীতি:
বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা তথা সকল ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং সমাজতন্ত্র তথা শোষণমুক্ত সমাজ ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হইবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মূলনীতি।
মন্তব্যঃ বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে আওয়ামী লীগের মূলনীতি হিসেবে আমরা যা পাই তা এমন হতে পারে-
হিন্দু জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষ তথা হিন্দু ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ ও এককেন্দ্রিক রাজনীতি এবং সমাজতন্ত্র তথা ইসলামমুক্ত সমাজ ও সামাজিক অনাচার প্রতিষ্ঠা হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা কুত্তা লীগের মূলনীতি।
অঙ্গীকারঃ
একটি উন্নত, সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী রূপকল্প সম্বলিত এই ঘোষণাপত্র ও কর্মসূচির মৌলিক লক্ষ্য ও অঙ্গীকার হইবেঃ
---- একটি ভঙ্গুর, ফাঁপা রাষ্ট্র হিসেবে ডিজিটাল (পরনগ্রাফীতে আসক্ত) বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী রূপকল্প সম্বলিত এই ঘোষণাপত্র ও কর্মসূচির মৌলিক লক্ষ্য ও অঙ্গীকার হইবেঃ
১। স্বাধীনতার আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা।
---- এটা তারা ঠিকই বলেছে কারণ স্বাধীনতার আদর্শ বলতে তারা বোঝায় মালাউনদের আদর্শ, চেতনা ও মূল্যবোধ।
২। মানবসত্তার মর্যাদা ও মানবিক মূল্যবোধের স্বীকৃতি।
---- মানবসত্তা/মানবিক এই শব্দ দুটোর অর্থ যদি এই দলের ১০০% মানুষের উপর জরীপ চালানো হয় তাহলে সম্ভবত ০.০০০০০১% মানুষও পাওয়া যাবে না যারা এটার অর্থ জানে। তাই তারা মানবসত্তার মর্যাদা ও মানবিক মূল্যবোধের স্বীকৃতি কিভাবে দিবে??
৩। বাংলাদেশের জনগণের ঐক্য ও সংহতির বিধান।
---- হ্যা তারা এক শেখ মুজিবরে সবার পিতা বানাইয়া ইহা প্রমাণ করিবার চেষ্টা করিতেছে যে তাহারা সবার মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সংকল্পবদ্ধ।
৪। সংসদীয় গনতন্ত্রের সুস্থ বিকাশ ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান। জনগণের পছন্দমতো ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
---- একে ত কুফুরী তন্ত্র কায়েম করে মুসলমানদের ঈমান ধ্বংসের সব আয়োজন সম্পন্ন। তার পরেও এই তন্ত্রের চর্চাও এরা করে সইরতান্ত্রিক উপায়ে। জনগণ ভোটকেন্দ্রে ভোট ঠিকই স্বাধীনভাবে দেয় কিন্তু ভোটের মার্কাটা এরা নিজেদের পছন্দমত পরিবর্তন করে দেয়।। জনগণের অধিকার তাই শুধু ভোট দেওয়া পর্যন্ত। আর ভোট না দিলেই ক্ষতি নাই নির্বাচন কমিশন তাদের কথামত বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ইচ্ছামত ভোটারের উপস্থিতি দেখিয়ে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য বলবত আছে।
৫। একটি গণমুখী, স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক দক্ষ জনপ্রশাসন ব্যবস্থা গড়িয়া তোলা এবং সুশাসন নিশ্চিত করা।
----প্রশাসনের এমন কোন স্তর পাওয়া যাবে না যারা জনগণের রক্ত পানি করা পয়সা লোপাট করতে ব্যস্ত না আর এটাই গণমুখী প্রশাসন আর জবাবদিহিতা--সুবহানাল্লাহ এই শব্দ এদের কোন ইউনিয়ন কমিটির বাসার কাজের লোকের মধ্যেও এই সংস্কৃতি নাই বাকিদের কথা আর নাই বা বললাম।
৬। তৃণমূল পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনার সকল স্তরে জনগণের অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গড়িয়া তোলা।
---- তৃণমূল পর্যন্ত জনগণ যাতে আওয়ামী লীগের চ্যালা – চামুন্ডাদের দ্বারা নিষ্পেষিত হতে পারে এরকম একটা সরকার ব্যবস্থা তারা নিশ্চিত করেছে।।
৭। নর-নারী, ধর্ম-বর্ণ, সম্প্রদায়, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা নির্বিশেষে মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা বিধান এবং তাদের উন্নত জীবন বিকাশের পরিপূর্ণ সুযোগ প্রদান।
---- নারীর অধিকারের নামে ব্যভিচারকে সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রতিষ্ঠার ব্যপারে তারা সংকল্পবদ্ধ এ ব্যপারে কোন সন্দেহ নাই। এমনকি নিম্ন মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরাও যাতে ব্যভিচার কি ঠিকমত জানতে পারে তাঁর জন্য পাঠ্যসূচীতে ব্যপক পরিবর্তন সাধন এর বড় প্রমাণ। আর উন্নত জীবনের মাপকাঠি বলতে তারা বোঝায় দেশে কত ভাগ নারী অর্ধ- উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় বের হয় এটাকে। মাদ্রাসার মেয়েদের বোরকা খুলে ফুটবল খেলানোকে উন্নতির মাপকাঠি মনে করে এরা।
৮। ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ এবং সকল প্রকার সাম্প্রদায়িকতার বিলোপ সাধন।
---- এর চেয়ে নির্লজ্জ বাক্য কি হতে পারে। কোরবানীর পশু জবাই করলে শহর নোংরা হয় এই অজুহাতে কোরবানীর জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয় যাতে এই হয়রানীতে অনেক মানুষ পশু জবাই করা থেকে বিরত থাকে আবার কেউ নিজ বাড়ির পাশে পশু জবাই করলে সেটা হয় পত্রিকার নিউজ এরা এমনকি নিজেদের কোরবানীর অধিকারও দরবারী বেতনভূক্তদের হাতে দিয়ে দেয় আর এরা বলে ধর্মীয় স্বাধীনতা। নাস্তিকতার প্রসার, ইসলামকে বাংলার জমীন থেকে বিলুপ্তির জন্য এহেন কোন চক্রান্ত নাই যা এই মালাউন মদদপুস্ট বেশ্যাটা করে নাই। এরা মন্দিরের উন্নতির জন্য দুয়া করে এই পর্যায়ের মুরতাদ। ইবলিস শয়তানও এদের কাজ দেখে লজ্জায় পালিয়ে যায়। ধর্মীয় স্বাধীনতার নামে এই কুলাঙ্গাররা বাংলার জমিন থেকে মুসলিমদের সরিয়ে এই জায়গায় এমন এক জাতি নিয়ে আসার মিশন নিয়ে কাজ করছে যারা নামাজও পড়বে আবার সালাম ফিরায়ে মন্দিরে গিয়ে পূজাও করবে।
৯। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ। সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠন।
---- মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ এই দেশে মুসলিমদেরকে ইসলামী আইনের পরিবর্তে বিদেশী খদ্দেরদের দ্বারা প্রণীত আইন দ্বারা বিচার ফয়সালা নিতে বাধ্য করতেছে। আর এই কুফরী আইনের প্রয়োগের গন্ডীও সীমাবদ্ধ শুধুমাত্র সাধারণ জনগণের মধ্যে। আর আইন এখন উলটো জনগণকে শোষণের একটা হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। একজন ধর্ষিতার আইনের সহায়তা পেতে যুগের পর যুগ অপেক্ষা করতে হয় আর বিপরীত দিকে একজন আওয়ামী নিকৃষ্ট কোন কীটের বিরুদ্ধে কেউ একটা শব্দ উচ্চারন করলেও সাথে সাথে জেল-জরিমানা হয়ে যায়। আর এটা হল আইনের শাসনের হাল-হকিকত। আর বিচার বিভাগকে নিজেদের লোক বসিয়ে স্বাধীন করে দেওয়া হয়েছে যাতে করে বিভাগ স্বাধীন থাকলেও হুকুমত পরাধীনই থাকে। বিষয়টা ঠিক ব্রিটিশ কুলাঙ্গারদের দেখানো পদ্ধতির মত যারা যাওয়ার দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছে কিন্তু ক্ষমতায় বসিয়ে গেছে তাদের ঔরসজাত নাপাকগুলোকে।
১০। নারী নির্যাতন বন্ধ, নারীর অধিকার ও মর্যাদা সংরক্ষণ এবং রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ সুনিশ্চিতকরণ।
---- নারীদের জন্য পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ভরে নতুন নতুন আইন বানাচ্ছে আর নারীর অধিকারের নামে মুসলিম কন্যাদের ঘরের বাইরে নিয়ে এসে তাদের সম্ভ্রম হানীর রাস্তাকে প্রসারিত করছে। গর্দভ এই নারীগুলো তাদের পাতা ফাঁদে পা দেওয়ার জন্যই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। নারীকে ঘরের বাইরে নিয়ে এসে রাস্তার বিলবোর্ডে স্থাপনের মাধ্যমে এরা এদের মর্যাদা বৃদ্ধি করছে, পুলিশ বাহিনীতে এদের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে পুলিশদের শারীরিক চাহিদা পূরনের মাধ্যম বানাচ্ছে, আর্মিতেও এর ব্যতিক্রম নেই। অর্থাৎ রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সকল জায়গায় অবস্থান করা পুরুষরাই যাতে ব্যভিচারের অবাধ সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হতে পারে তাঁর জন্য সব জায়গায় নারীকে পন্যের মতই ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
১১। শিশুর অধিকার সংরক্ষণ, তাদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশের সুযোগের নিশ্চয়তা বিধান এবং যুব সমাজের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
---- এক দিকে নারী স্বাধীনতার নামে শিশুর মাকে ঘরের বাইরে নিয়ে এসে শিশুকে তাঁর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় স্থলকে করছে শূন্য। তাঁর বেড়ে ওঠার জন্য যার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি তাঁর থেকে বিচ্ছিন্ন করে শিশুকে জন্মের পর থেকেই মানসিকভাবে, সামাজিকভাবে পঙ্গু করার রাস্তা পাকাপোক্ত করার মাধ্যমে তাদের অধিকার নিশ্চিত করছে। আর সারাদেশে মদের অবাধ লাইসেন্স, মাদকের প্রসারের মাধ্যমে যুব সমাজের উন্নয়নও নিশ্চিত করছে। মাদককে এতটাই সহজলোভ্য করা হয়েছে যে জেলখানার কয়েদীদেরও এই জিনিস পেতে কোন বেগ পেতে হয় না। আর মাদককে না বলুন এই সব বস্তা পচা বুলির মাধ্যমে জনগণকে বোঝানো হচ্ছে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
১২। সংবাদপত্রসহ সকল গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা।
---- সত্যিই সেলুইকাস এই দল। তাদের বিরুদ্ধে লেখনী ধরার চিন্তা করলেও যারা সেই পত্রিকা, টিভির লাইসেন্স বাতিল করে দেয় তাদের গঠনতন্ত্রেই আবার তারা বলে আমরা গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা এবং অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে চাই।
১৩। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ মানুষের জীবন ধারণের মৌলিক সমস্যার সমাধান এবং কর্মের অধিকার এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করা।
---- তথৈবচ।।
১৪। অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার অবসান, দারিদ্র্য বিমোচন, অধিকতর কর্মসংস্থান, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, একপাক্ষিক বৈদেশিক নির্ভরশীলতা কাটানো, ব্যাক্তিখাত এবং রাষ্ট্রীয় ও ব্যাক্তিখাতের যৌথ উদ্যোগে (পিপিপি) উৎপাদনমুখী বিনিয়োগ উৎসাহিত করা। একটি শিল্পসমৃদ্ধ জাতীয় অর্থনীতির ভিত্তি রচনা করা।
---- অর্থনৈতিকভাবে যারা পিছিয়ে ছিল তাদের পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে অনগ্রসরতার অবসানের বিষয়টা সত্য। নিজেদের দলীয় লোকদের বিভিন্ন ব্যবসা-টেন্ডারবাজির মাধ্যমে, কুইকরেন্টালের মাধ্যমে টাকা পয়সার লূটপাট আজ সর্বজন বিদীত। যে কোন মন্ত্রী যার আর্থিক অবস্থা একটু খারাপ তাকে বেশী কিছু করতে হয় না শুধু তাঁর মন্ত্রণালয়ে নতুন একটা প্রজেক্ট চালু করতে হয় তারপরেই তার আর্থিক অভাব ইতিহাসের পাতায় ঠাই নেয়। দেশের মানুষ বাজারে যায় মন খারাপ করে ফিরে আসে ততোধিক বিষণ্ণ মনে কিন্তু সরকারী আমলাদের ফ্রীজ থাকে মাছ-মাংসে ভরপুর, এমপি-মন্ত্রীদের কথা বাদই দিলাম।
---- দারিদ্র বিমোচনের নামে চলে একটার পর একটা প্রোগ্রাম আর চলে সেই প্রোগ্রাম থেকে টাকা চুরির প্রতিযোগিতা। দিন দিন মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ যেখানে বেড়েই চলেছে সেখানে উনারা বৈদেশিক নির্ভরতা হ্রাসের, রিজার্ভ সমৃদ্ধির ধুয়া ছড়িয়ে এই মাকাল জনতাকে অন্ধ করে রাখছে।
---- জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির নামে জনগণের উপর এই ট্যাক্স, সেই ট্যাক্স চাপিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সংগীত ভালোই খাওয়ানো হচ্ছে। জনগণ এখন জানেই যে তারা কিসের উপর ট্যাক্স দেয় না। বিয়ে করা থেকে শুরু করে জীবনের এমন কোন কাজ নাই যেখানে সরকারকে নজরানা দিতে হয় না।
১৫। সর্বাঙ্গীণ গ্রামীণ-উন্নয়ন, ভূমি ও কৃষিব্যবস্থার আমূল সংস্কার, কৃষিতে বিশ্বায়নের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, আধুনিকায়ন, কৃষিতে টেকসই প্রযুক্তির ব্যবস্থা এবং সমবায় ব্যবস্থা বহুমুখীকরণ ও ফলপ্রসূ করা।
---- কৃষি খাত স্বনির্ভর। কিন্তু কৃষকের পরিবার না খেয়ে থাকে। সব কিছুই সহজলভ্য করা হয়েছে কিন্তু টাকার বিনিময়ে। এবং চাষ করতে এখন এত বেশি খরচ হয় যে এক বছর কেউ চাষ করলে পরের বছর আর চাষ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এক মৌসুম খরার কবলে ত পরের মৌসুম বন্যার কবলে ভালোই সুযোগ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত এই সরকার।
১৬। খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতার ধারা অব্যাহত রাখিয়া জনগণের খাদ্যের অধিকার তথা ভাতের অধিকার নিশ্চিত করা, কৃষিপণ্যের লাভজনক দামের নিশ্চয়তা বিধান।
---- ভাতের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু সাথে আছে বিষ ফ্রি। এখন এমন কোন খাদ্যপন্য পাওয়া যাবে না যেটার মধ্যে বিষ নাই।
১৭। জাতীয় স্বার্থে প্রাকৃতিক সম্পদের যুক্তিসংগত ব্যবহার নিশ্চিত করা, দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়িয়া তোলা, বিদ্যুতায়ন, যোগাযোগ, আইটি খাতসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
---- হ্যা বিদেশী কুত্তাদের হাতে প্রাকৃতিক সম্পদের পুরোটা ছেড়ে দিয়ে দেশের মানুষকে সেবা না দিয়ে মালাউনদের কাছে নামমাত্র মূল্যে ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে দিয়ে অবশ্যই দেশবাসীর উত্তম সেবা নিশ্চিত করছেন। বিদ্যুতায়নের নামে কুইক রেন্টালের নামে কোটি কোটি টাকা দলীয় লোকজনের পকেটস্থ করার সব ব্যবস্থা এরা করেছে। আর যোগাযোগ ব্যবস্থার নামে বছরজুরে খোরাখুরি আর জনগণের ভোগান্তি। একই রাস্তা যে ৫ বছরে কত বার খনন করা সম্ভব তা এই সরকারকে না দেখলে জানা যাবে না। একবার ওয়াসার লোক খনন করবে অতঃপর সেটা ঠিক করা হবে, অতঃপর গ্যাস লাইনের জন্য খুঁড়বে, সেটা ঠিক হবে এভাবে পারলে সব সব মন্ত্রণালয় দ্বারা একবার করে রাস্তাগুলো ধর্ষণের শিকার না হলে যেন সরকারের স্বস্তি হয় না। আর জনগণকে দেখানো হচ্ছে দেখ আমরা কত কাজ করছি। উন্নয়নের জোয়ারে বাংলাদেশকে চীন বানায়ে ফেলতেছি।
১৮। মানবসম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান। সমাজের প্রয়োজনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ সার্বজনীন, সুলভ ও প্রগতিশীল শিক্ষানীতি এবং ব্যবস্থার প্রবর্তন ও বাস্তবায়ন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ধারাকে উৎসাহিতকরণ।
---- শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান। সমাজের প্রয়োজনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ সার্বজনীন, সুলভ ও প্রগতিশীল শিক্ষানীতি এবং ব্যবস্থার প্রবর্তন ও বাস্তবায়নঃ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যদি হয় সমাজের প্রয়োজনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ তাইলে অসামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা যে কি জিনিস তা জানার জন্য বিস্তর গবেষণা করতে হবে। প্রতিবছর বেকারত্বের ঘানি টানতে টানতে কেউ সন্ত্রাসী, কেউ মাদকাসক্ত এই সব পেশায় জড়িত হচ্ছে। তবে একটা বিষয় সত্য এই নাপাক দলের কাছে সমাজ বলতে বোঝায় মাদকাসক্ত, মানসিক বিকারগ্রস্থ, শরীর সর্বস্ব একটা সমাজ তাহলে তারা সঠিক পথেই আছে বলতে হবে। এদের শিক্ষানীতির পরিবর্তন বলতে এতদিনে একটা জিনিসই পরিস্কার ফুটে উঠেছে আর তা হল শিক্ষার ভিতরে যতটুকু ইসলামের নাম-গন্ধ আছে তা ধুয়ে মুছে সাফ করে দেওয়া।
১৯। বাঙালি জাতির সভ্যতা, কৃষ্টি, ভাষা এবং শিল্প সাহিত্যের বিকাশ নিশ্চিতকরণ। দেশের আদিবাসী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও উপজাতীয় জনগণের জীবনধারা, ভাষা-সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশের সুযোগ নিশ্চিত করা।
---- বাঙালি জাতির সভ্যতা, কৃষ্টি, ভাষা এবং শিল্প সাহিত্যের বিকাশ নিশ্চিতকরণঃ এখানে সবই ঠিক আছে শুধু বাঙালীর জায়গায় নাপাক হিন্দু জাতির হবে।
২০। শ্রমজীবী, সমাজের দুর্বল, অনগ্রসর, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মানবেতর জীবন হইতে উত্তরণে সার্বিক সহায়তা প্রদান। পঙ্গু, অসহায়, বিধবা, দরিদ্র, বয়স্ক, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়িয়া তোলা।
---- এখন পর্যন্ত রানা প্লাজা ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো তাদের ক্ষতিপূরন পায় নাই, কিন্তু প্লাজার মালিক এতগুলো প্রাণ হরনকারী হয়ে দিব্যি বহাল তবিয়তে বিরিয়ানী খাচ্ছেন আর তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেছেন। অন্যদের কথা আর নাই বা বললাম। এই বছরও বন্যার ত্রানের জিনিসপত্র লুটের চিত্র পত্রিকায় পাতায় তরতাজা আর এভাবেই উনারা সার্বিক সহায়তার হাত প্রসারিত করছেন। আজকে দেশের কোন মানুষের আর জানতে বাকি নাই যে টি.আর. (টেস্ট রিলিফ), কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) এই প্রজেক্টগুলো হলো মন্ত্রী, এমপি এদের পকেট ভারী করার আর দলীয় লোকজনদের পরিবার চালানোর উদ্যোগ।
---- অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার সামাজিক নিরাপত্তাঃ এটা এই দলের সবচেয়ে কুৎসিত রাজনীতি। তাদের সব জায়গায় কোটা দেওয়ার নামে একেবারে অকর্মণ্য বানিয়ে ফেলছে আর সাধারণ মানুষজনের মনে মুক্তিজোদ্ধাদের প্রতি যাও বা যত সামান্য শ্রদ্ধা ভক্তি ছিল সেই জায়গায় এখন ঘৃণা মিশ্রিত অবজ্ঞা জায়গা পেয়েছে। এদের যত সম্মান সব শুধু পত্রিকার পাতায় আর সভা সেমিনারে। আর মুক্তিযুদ্ধ নামক আজিব এক মন্ত্রণালয় (পৃথিবীর কোথাও এমন কোন মন্ত্রণালয় পাওয়া যাবে কিনা আমার জানা নেই) যারা এই স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরও নতুন নতুন মুক্তিযোদ্ধা বানাচ্ছেন। আর লোকজনও সার্টিফিকেটের জন্য ঘুষ দিয়ে লাইনে দ্বারায় কারণ কোনমতে একটা সার্টিফিকেট বাগাইতে পারলেই ত দেশটাই আপনার, সন্তান-সন্ততি, নাতি-পুতি কারও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে না।।
২১। বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান বিপদ মোকাবিলায় বৈশ্বিক ও দেশীয় উদ্যোগ গ্রহণ। পানিসম্পদের প্রাপ্যতা, সংরক্ষণ ও যথাযথ ব্যাবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ। পরিবেশ সংরক্ষণ, বন সৃজন ও সামাজিক বনায়ন সম্প্রসারণে উৎসাহিত করা, প্রাণী বৈচিত্র্য রক্ষা এবং গ্রিন হাউজ এফেক্ট রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
---- বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান বিপদ মোকাবেলায় বৈশ্বিক ও দেশীয় উদ্যোগঃ বৈশ্বিক উদ্যোগ বলতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন গিয়ে টাকা চেয়ে কান্নাকাটি করা। অতঃপর কিছু টাকা ভর্তুকি পেলে সেটা নিয়ে বছরজুরে নাচানাচি করা।
---- পানিসম্পদের প্রাপ্যতা, সংরক্ষণ ও যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণঃ সুবহানাল্লাহ! দেশের সবচেয়ে বড় ব্যারেজ তিস্তা ব্যারেজে কৃষির জন্য পানি থাকে না, দাদাদের মন খারাপ হবে এজন্য চুপ করে থেকে পদ্মাকে শুকিয়ে খাল বানিয়ে ফেলা, আর বন্যার সময়ে ফারাক্কার অতিরিক্ত পানির চাপে দেশকে বন্যার পানিতে হাবুডুবু খাওয়ানো যদি হয় পানিসম্পদের যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা তাহলে আর বলার কিছু নাই।
---- বন সংরক্ষণ, বন সুজন ও সামাজিক বনায়ন সম্প্রসারণ করাঃ সুন্দরবনের মাঝখানে দাদাদের পা চাটতে গিয়ে কয়লা বিদ্যুৎ স্থাপন করা বন সংরক্ষণের উৎকৃষ্ট নমুনাই বটে। যেখানে প্রত্যেকটা জরীপের মাধ্যমে ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে সেখানে গণতন্ত্রের বেশ্যাটা বাবা গণেশের কাছ থেকে সপ্নজোগে পেয়েছে যে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাবে। রাস্তার পাশের গাছগুলো এই দলের সবাই নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে যখন খুশি কেটে নিয়ে বিক্রি করে আর গঠনতন্ত্রে সাধু বাক্য। দেশ রশাতলে যাক গঠনতন্ত্র ত ঠিক রাখতে হবে।
---- প্রাণী বৈচিত্র্য রক্ষা এবং গ্রিন হাউজ এফেক্ট রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করাঃ জঙ্গল ধ্বংস করে প্রানীর থাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ বিলীন করে প্রাণীদের অভয়ারণ্যের নামে চিড়িয়াখানা বানিয়ে, বন বিভাগের টাকা লুটপাটের নতুন খাত বানিয়ে কাগজে কলমে প্রাণী বৈচিত্র্য রক্ষা এবং গ্রিন হাউজ এফেক্ট রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। জঙ্গলের রয়েল বেঙ্গল টাইগারও এদের যন্ত্রণায় বিলীন হওয়ার পথে। আর দুই প্রাণীর বিয়ের নাটক বানিয়ে রথযাত্রার আয়োজন করে জনগণকে ভালোই অন্ধ করে রাখা হচ্ছে।
২২। অপরিকল্পিত নগরায়ণ রোধ, শহরাঞ্চলে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং গ্রাম ও শহরের বৈষম্য দূর করা। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত পরিকল্পিত গ্রামীণ জনপদ গড়িয়া তোলা।
---- গ্রাম ও শহরের মধ্যে বৈষম্য দূর করা বলতে আসলে বোঝানো হয়েছে শহরের যত অপসংস্কৃতি রয়েছে তা গ্রামের সরল-মতি মানুষদের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া। আর এ ব্যপারে এই মালাউনরা সফল বলতে হবে।।
২৩। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও বিশ্বশান্তি রক্ষার লক্ষ্যে আধুনিক, যুগোপযোগী ও শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়িয়া তোলা।
---- শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঠিক আছে কিন্তু সেটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য না বরং তা হিন্দুদের রক্ষা এবং মুসলিমদের নির্যাতন নিশ্চিত করার জন্য। আর বিডিআর বিদ্রোহ যার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। যেখানে বাংলাদেশী বিডিআরদের জন্য তাদের নাগর মালাউনরা সীমান্তে নির্যাতন চালাতে পারে না। তাই তাদের সাথে যোগসাজশ করে বিডিয়ারের মধ্যে ভাঙ্গন ধরানো এবং এটাকে একটা অকর্মণ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিডিয়ার বিদ্রোহ ঘটানো হল। আর ফলাফল হিসেবে বাংলাদেশের নাপাক আর্মির ভিতরের এখন আর শৃঙ্খলার ছিটেফোটাও অবশিষ্ট নাই।
২৪। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বৈদেশিক নীতির ভিত্তি হবে সকলের সহিত বন্ধুত্ব, কারো সহিত বৈরিতা নয়। বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার সকল প্রচেষ্টায় সাহায্য ও সহযোগিতা করা এবং সন্ত্রাসবাদ, বর্ণবৈষম্যবাদ, উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জাতি ও জনগণের ন্যায়সঙ্গত মুক্তিসংগ্রামকে সমর্থন করা।
----- সকলের সহিত বন্ধুত্ব, কারো সহিত বৈরিতা নয়ঃ অর্থাৎ ইসলাম যা বলে ঠিক এর বিপরীত কিছু না করলে এই দলের লোকজনের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। ইসলাম যেখানে বলে, তোমরা ইহুদী ও খৃষ্টানদের নিজেদের বন্ধু হিসেবে গ্রহন কর না। সেখানে উনারা সবার সাথেই বন্ধুত্ব করায় বিশ্বাসী। তাই ত মালাউনদের সাথে তাদের এতই পিরীতি যে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যারপন আইনের নামে দেশের একচতুর্থাংশ জায়গা মালাউনদের দিয়ে দিচ্ছেন। আর অপরদিকে মালাউনদের শত্রু হওয়ার কারণে মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের সাথে দাকুমড়া সম্পর্ক তৈরি করেছেন (এসময় তাদের কারো সাথে বৈরিতা নয় এই নীতি খাটে না)।
----- বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করাঃ এই নামে জাতিসংঘের দ্বারা পরিচালিত মুসলিমদের দেশগুলোর উপর নিপীড়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার দ্বার উন্মোচন করেছে।
----- উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জাতি ও জনগণের ন্যায়সঙ্গত মুক্তিসংগ্রামকে সমর্থনঃ তাদের এই কথার অর্থ দ্বারায় কাশ্মীরের জনগণের মুক্তিসংগ্রাম ন্যায়সঙ্গত নয়। তারা সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। তাই ত মালাউনরা সেখানে নব্য উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদের এবং সাম্প্রদায়িকতার চরম প্রকাশ থাকা সত্ত্বেও তারা মালাউনদেরই সমর্থন করে। এর দ্বারা তারা এটা প্রমাণ করছে যে মালাউনরা যাই করুক তার জন্য সাত খুন মাফ। আর এই জন্যই একটা মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও এক মালাউন পুলিশ মসজিদের ভিতরে একটা মুসলিমকে গুলি করে হত্যা করার পরেও সে এখন ডিবিতে (চট্টগ্রাম ডিবিতে কর্মরত বিকাশ দত্ত- যার প্রিয় সখ মুসলিম হত্যা করা এবং সে এটা গর্ব করে চারপাশের লোকজনকে বলে বেড়ায়) গুরুত্বপূর্ণ পদ ভোগ করে।
((উল্লিখিত লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্যে বর্ণিত প্রস্তাবনা, মূলনীতি ও অঙ্গীকার অনুসরণ এবং বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য, উদ্দীপনা এবং নবজাগরণ সৃষ্টিতে আওয়ামী লীগ সর্বদা সচেষ্ট থাকিবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরাধ্য এক উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অবিচল নিষ্ঠা, সততা, শৃঙ্খলা ও দৃঢ়তার সহিত আত্মনিয়োগ করিবে।))
---- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন ছিল এই কথা বলে যদি কেউ ইসলামের নামে যা ইচ্ছা তাই বলে তবে সে হয়ে যাই বিপ্লবী (তাদের কাছে থাবা বাবা তাদের মিশন পূরণ করতে গিয়ে শহীদ হওয়া প্রথম ব্যক্তি, এরপরে লিস্টে আরও কিছু নাপাক কীট যোগ হয়েছে)। কিন্তু যদি কোন ঈমানদার পুলিশ এটা বলে যে আমাদের জাতির পিতা হল ইবরাহীম (আঃ), শেখ মুজিবকে জাতির পিতা মানলে ঈমান থাকবে না ত তাকে ক্লোস করে ব্যারাকে ফেরত নিয়ে বিভাগীয় মামলা চালু করা হয়। শেখ মুজিবের স্বপ্নটাকে এরা গুলিস্তানের পাবলিক টয়লেট থেকে শুরু করে এহেন কোন জায়গা নাই যেখানে ব্যবহার করে না। বিষয়টা যেন এমন শেখ মুজিবের নাম ব্যবহার করলে আল্লাহ্*র কাছে কোন জবাবদিহিতা করতে হবে না।।
আল্লাহ্* আপনি এই দলের প্রত্যেকটা কীটকে নরকের স্বাদ ভোগ করার সুযোগ করে দাও।। এরা যেন দুনিয়াতেও ঈমানদার মুজাহিদদের দ্বারা শাস্তি পায় আর জাহান্নামে তাদের শাস্তির ভয়াবহতা দেখে যেন বাকিরা বিস্মিত হয়।।
Comment