ঈদ পোষাকের নাম বাজিরাও মাস্তানি, কিন্তু বাঙালী মুসলমান কি জানে এর অর্থ কি ?
ঈদের মাকের্টে এক জনপ্রিয় পোষাকের নাম হচ্ছে ‘বাজিরাও মাস্তানি’। একটা ইন্ডিয়ান মুভির নাম থেকে এই নাম এসেছে। কিন্তু বাংলার মুসলিম জনগণ কি জানে, কোন অর্থ প্রকাশ করছে এই নামটি ?
‘বাজিরাও মাস্তানি’ দুটো শব্দ নিয়ে তৈরী, ১) বাজিরাও, ২) মাস্তানি।
বাজিরাও কে :
বাজিরাও বলা হয় মারাঠাদের মন্ত্রীকে (পেশওয়া)। মারাঠা নেতারা অনেকে শূদ্র ছিলো বলে তারা মন্ত্রী হিসেবে ব্রাহ্মণ নিয়োগ করতো। বাজিরাও ছিলো সেই মারাঠাদের মন্ত্রী। মারাঠা বলতে অনেকে না চিনতে পারেন, তাদের জন্য বলছি, শিশুবেলার সেই ছড়া-“খোকা ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো, বর্গী এলো দেশে। বুলবুলিতে ধান খেয়েছে, খাজনা দিবো কিসে?”-এই বর্গী শব্দ দ্বারা মারাঠাদের বুঝানো হয়, যাদের কাজ ছিলো ডাকাতি করা। মারাঠারা ছিলো কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী। মুনীর চৌধুরীর লেখা রক্তাক্ত প্রান্তর নামক নাটকে মারাঠাদের পরিচয় পাওয়া যায়- যারা যবননিধন (মুসলিম হত্যা) করতে আশ্রমে অস্ত্র শিক্ষা নিতো।
মাস্তানি কে :
মুভিতে ‘বাজিরাও’ এর প্রথম স্ত্রী ছিলো ‘কাশীবাঈ’ (প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এই চরিত্রে অভিনয় করেছে)। দ্বিতীয় স্ত্রী মাস্তানি ছিলো ‘ছত্রসাল’ নামে এক হিন্দু রাজার অবৈধ সন্তান। ‘ছত্রসাল’ এর সভায় এক ইরানী নর্তকী ছিলো, তার গর্ভে ছত্রসাল এর ঔরসে মাস্তানির জন্ম হয়। পরবর্তীতে বাজিরাও এর সাথে ছত্রসালের সম্পর্ক গড়ে উঠলে ছত্রসাল মাস্তানিকে বাজিরাওয়ের নিকট উপহার দেয়। উইকিপিডিয়ায় Bajirao I আর্টিকেলে বলা হয়েছে, Bajirao also took Mastani as a mistress. মিসট্রেস অর্থ হলো রক্ষিতা বা বাঁধা পতিতা। অর্থাৎ মাস্তানির মা ছিলো এক বেশ্যা, তার মেয়েও ছিলো বেশ্যার ঘরের বেশ্যা।
বাজিরাও মাস্তানি মুভির উদ্দেশ্য:
‘বাজিরাও মাস্তানি’ সিনেমাটি আসলে তৈরী করা হয়েছে ভারতের হিন্দুদের মুসলিম হত্যায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য। সিনেমার একটি দৃশ্যে দেখানো হয়, রণবীর সিং গণেশের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে তার হাতের আঙুল কেটে রক্ত বের করছে। এসব দৃশ্য রাখা হয়েছে উগ্র হিন্দুদের তাতিয়ে তোলার জন্য, যার পরবর্তী স্টেপ মুসলিমনিধনে দাঙ্গা।
আর সেই কুখ্যাত ‘বাজিরাও মাস্তানি’ নাম নিয়ে বানানো ঈদের জামা পড়ছে মুসলমানরা, তাও আবার নিজেদের ধর্মীয় উৎসবে। বুঝুন অবস্থা, মুসলমান জাতি কতটাই না অবুঝ।
ঈদের মাকের্টে এক জনপ্রিয় পোষাকের নাম হচ্ছে ‘বাজিরাও মাস্তানি’। একটা ইন্ডিয়ান মুভির নাম থেকে এই নাম এসেছে। কিন্তু বাংলার মুসলিম জনগণ কি জানে, কোন অর্থ প্রকাশ করছে এই নামটি ?
‘বাজিরাও মাস্তানি’ দুটো শব্দ নিয়ে তৈরী, ১) বাজিরাও, ২) মাস্তানি।
বাজিরাও কে :
বাজিরাও বলা হয় মারাঠাদের মন্ত্রীকে (পেশওয়া)। মারাঠা নেতারা অনেকে শূদ্র ছিলো বলে তারা মন্ত্রী হিসেবে ব্রাহ্মণ নিয়োগ করতো। বাজিরাও ছিলো সেই মারাঠাদের মন্ত্রী। মারাঠা বলতে অনেকে না চিনতে পারেন, তাদের জন্য বলছি, শিশুবেলার সেই ছড়া-“খোকা ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো, বর্গী এলো দেশে। বুলবুলিতে ধান খেয়েছে, খাজনা দিবো কিসে?”-এই বর্গী শব্দ দ্বারা মারাঠাদের বুঝানো হয়, যাদের কাজ ছিলো ডাকাতি করা। মারাঠারা ছিলো কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী। মুনীর চৌধুরীর লেখা রক্তাক্ত প্রান্তর নামক নাটকে মারাঠাদের পরিচয় পাওয়া যায়- যারা যবননিধন (মুসলিম হত্যা) করতে আশ্রমে অস্ত্র শিক্ষা নিতো।
মাস্তানি কে :
মুভিতে ‘বাজিরাও’ এর প্রথম স্ত্রী ছিলো ‘কাশীবাঈ’ (প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এই চরিত্রে অভিনয় করেছে)। দ্বিতীয় স্ত্রী মাস্তানি ছিলো ‘ছত্রসাল’ নামে এক হিন্দু রাজার অবৈধ সন্তান। ‘ছত্রসাল’ এর সভায় এক ইরানী নর্তকী ছিলো, তার গর্ভে ছত্রসাল এর ঔরসে মাস্তানির জন্ম হয়। পরবর্তীতে বাজিরাও এর সাথে ছত্রসালের সম্পর্ক গড়ে উঠলে ছত্রসাল মাস্তানিকে বাজিরাওয়ের নিকট উপহার দেয়। উইকিপিডিয়ায় Bajirao I আর্টিকেলে বলা হয়েছে, Bajirao also took Mastani as a mistress. মিসট্রেস অর্থ হলো রক্ষিতা বা বাঁধা পতিতা। অর্থাৎ মাস্তানির মা ছিলো এক বেশ্যা, তার মেয়েও ছিলো বেশ্যার ঘরের বেশ্যা।
বাজিরাও মাস্তানি মুভির উদ্দেশ্য:
‘বাজিরাও মাস্তানি’ সিনেমাটি আসলে তৈরী করা হয়েছে ভারতের হিন্দুদের মুসলিম হত্যায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য। সিনেমার একটি দৃশ্যে দেখানো হয়, রণবীর সিং গণেশের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে তার হাতের আঙুল কেটে রক্ত বের করছে। এসব দৃশ্য রাখা হয়েছে উগ্র হিন্দুদের তাতিয়ে তোলার জন্য, যার পরবর্তী স্টেপ মুসলিমনিধনে দাঙ্গা।
আর সেই কুখ্যাত ‘বাজিরাও মাস্তানি’ নাম নিয়ে বানানো ঈদের জামা পড়ছে মুসলমানরা, তাও আবার নিজেদের ধর্মীয় উৎসবে। বুঝুন অবস্থা, মুসলমান জাতি কতটাই না অবুঝ।
Comment