মৃত অনুভূতির উপর আফসুস - উম্মাহর শহীদদের পক্ষ থেকে বার্তা
ইসলাম এমন এক জীবন ব্যবস্থা যা প্রত্যেক জামানায় নিজ অনুসারীদের থেকে কোরবানী চায়। এবং হকের রাস্তায় পালাক্রমে পরিক্ষা আসে, যাতে করে ঈমানদারদের কাতার সুস্পষ্ট হয়ে যায়, এবং মুনাফিক দল আলাদা হয়ে যায়।
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা এই পরিক্ষা এবং বিপদের কারন বর্ননা করেছেন:-
ليميز الله اللخبيث من الطيب.
মুসলমানদের উপর বিপদ এই কারনে আসে যে, ফাসেদ আকিদার লোকেরা সঠিক আকিদার লোকদের থেকে পৃথক হয়ে যায়। এই পরিক্ষাকে মুনাফিকরা আযাব মনে করে। কিন্তু বাস্তবে এটা আল্লাহর রহমত।
হে ইমানদারগণ! এটা তো পুরাতন ইতিহাস। প্রত্যেক জামানার ফেরাউন হাক্বকে ভয় দেখায়। প্রথমে ফাসীর ধমকি দেয়, পরে যুগের ফেরাউন এটা বস্তবায়ন করে।
কিছু দিন আগে ত্বাগুত সরকার বংলাদেশে পাচজন মুজাহিদীনকে ফাসী দিয়েছে। আমরা বাংলাদেশের এই কাজকে ফেরাউনের অনুসরনই মনে করি। এবং সেই মুজাহিদীনদের যে মর্যাদা অর্জন হয়েছে, এটা সেই মর্যাদা যার জন্যে আল্লাহর রাসূল সা: বারংবার আশা করতেন। যার এই মর্যাদা অর্জন হয়েছে সে সফল হয়েছে ও সম্মানিত হয়েছে। তারা তো ইসলামের সত্যিককারের অনুসারী।
কিন্তু আমি এই উম্মাতে মুহাম্মাদীর অমনযোগীতার উপর কেন আফসুস করব না?!!! উম্মাহ যখন জাগ্রত ছিল এবং উসমান রাজি: শহীদ হয়েছিল। হজয়ত মুআবীয়া রাজি: শামে এক মাজলিসে ছিলেন। যখন এই খবর পৌছাল, তখন বৈঠক 'প্রতিশোধ প্রতিশোধ' আওয়াজ উঠতে শুরু করল। এবং আবু হামীদ সায়ীদী নামক এক ব্যাক্তি কসম করল যে, সে মৃত্যুর আগে কখনো হাসবে না। আর বর্তমান জামানায় মুসলিম উম্মাহ গাফলতির ঘুমের মাধ্যে ঢুবে আছে। মুমিনদেরকে নির্যাতন করা হচ্ছে, জেলখানায় বন্ধি করা হচ্ছে, জায়গায় জায়গায় লাশ গুম করা হচ্ছে, ফাসীতে ঝুলানো হচ্ছে। কিন্তু শত আফসুস! মুসলিম উম্মাহ সজাগ হচ্ছে না।
এদিন কি তাদের বায়আতে রিদয়ানের কথা স্বরনে আসে না? যে দিন মুহাম্মাদে আরাবী সাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম একজন সাহাবীর প্রতিশোধ নিতে সমস্ত সাহাবী থেকে ফেদায়ী হামলার বায়আত নিয়েছিলেন। হে মুমিনগণ! একটু সজাগ হোন। আর না হয় সর্বদা আফসোস করতে হবে।
ওহে যুগের ফেরাউন! ভাল করে শুনে রাখ যে, আমরা কারাগার, শাহাদাত বা ফাসীর কারণে নিজের অবস্থান থেকে বিন্দু পরিমান পিছপা হব না। হজরত খুবাইব এবং হজরত বেলাল রাজি: যারা আমাদের আকাবীর ছিলেন, তাদের জীবনী কি দুনিয়ার মানুষের স্বরন নেই!!!
পরিশেষে আমি আমার শহীদ ভাইদের পরিবারবর্গকে সুসংবাদ জানাচ্ছি; এটা তো গৌরবের কথা যে, আপনি শহীদদের উত্তরসূরী হবেন। আপনার বংশে শাহাদাতের বড় মর্যাদার অধীকারী ব্যক্তি গড়ে উঠছে। যিনি ইসলামের আলোকে আলোকিতকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
যখন ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান রাজি: এই পর্যায়ে পৌছে গেলেন, তখন উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রাজি: বর্ননা করেছিলেন:- হজরত উসমান রাজি:কে মাজলুম শহীদ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার শপথ করে বলছি, উনার আমাল নামা ধৌত করা কাপড়ের ন্যায় পবিত্র হয়ে গেছে। আল্লাহর কছম, আমরা ওই সকল শহীদদেরকে এমনই মনে করি।
আমরা ব্যপারে এমন ধারনা করি, আল্লাহই তাদের জন্য যতেষ্ঠ। আল্লাহর উপরে কাউকে আমরা নিরাপদ ঘোষনা করি না।
ন্যায়পরায়ণ কাফের কি জালেম মুসলিম শাষক অপেক্ষা উত্তম? - শাইখ আবূ মারিয়া আল কাহতানী
এই মাসআলাটা ইমাম আহমাদ রহঃ এর যুগে আলোচনায় উঠেনি। বরং এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠে হালাকু খাঁনের যুগে। শিয়া রাফেজী আলী ইবনে তাউস সর্ব প্রথম ব্যক্তি যে এই ব্যাপারে ফতওয়া প্রদান করেছে হালাকু খাঁনের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে।
এই ব্যক্তি হচ্ছে আলী বিন তাউস আল আলাউয়ী। হালাকু খাঁ ৬৫৬ হিজরীতে বাগদাদে কিছু আলেমদেরকে একত্রিত করে এবং তাদের কাছে জালেম মুসলিম শাসক বনাম ন্যায়পরায়ণ কাফের বাদশাহর ব্যাপারে ফতওয়া জিজ্ঞাসা করে যে, তাদের মাঝে কে সর্বোত্তম? তখন উলামায়ে কেরাম উত্তর প্রদানে বিলম্ব করছিলেন। তখন শিয়া রাফেজী আলী বিন তাউসের উত্তর ছিল “ন্যায়পরায়ণ কাফের উত্তম।”
(ফখরুদ্দীন রাযীর কিতাব এবং শিয়াদের বিভিন্ন কিতাবাদী দেখুন, যেখানে তারা গর্ব করছে তাদের এই বিষয়টি দ্বারা যে, তাদের রাফেজী ফকীহই এব্যাপারে সর্ব প্রথম ফতওয়া দিয়েছে।)
শিয়াদের কিতাব “বিহারুল আনওয়ার” এর ৪১ খন্ডের ২৮৪ পৃষ্ঠায় আছে,“নওশিরওঁয়া বাদশাহ যদিও অগ্নিপূজক ছিল তথাপি আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিবেন প্রজাদের মাঝে তার ন্যায় ও ইনসাফের কারণে। সে আগুনে থাকবে কিন্তু আগুন তার জন্য হারাম হবে।”
কুরআন শিয়াদের কিতাবের এই কথাকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَاءُ ۚ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَىٰ إِثْمًا عَظِيمًا [٤:٤٨]
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল।
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেনঃ
إِنَّ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَاسْتَكْبَرُوا عَنْهَا لَا تُفَتَّحُ لَهُمْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَلَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّىٰ يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ ۚ وَكَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُجْرِمِينَ [٧:٤٠]
নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছে এবং এগুলো থেকে অহংকার করেছে, তাদের জন্যে আকাশের দ্বার উম্মুক্ত করা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যে পর্যন্ত না সূচের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করে। আমি এমনিভাবে পাপীদেরকে শাস্তি প্রদান করি।
আলী ইবনে তাউস রাফেজী এর ফতোয়াকে কয়েকভাবে উত্তর দেয়া যায়ঃ-
প্রথমতঃ একথার উপর মুসলিম উম্মাহর ইজমা রয়েছে যে,জালেম মুসলিম শাসক, কাফের ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ অপেক্ষা উত্তম। আর শরয়ী নুসূসগুলো এই মতের উপরই দালালাত করে।
দ্বিতীয়তঃ উলামায়ে কেরাম হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের জুলুম এবং তার অবাধ্যতার ব্যাপারে একমত হয়েছেন এবং কোন কোন আলেম তাকে কাফেরও বলেছেন। এতদসত্ত্বেও কেউ একথা বলেননি যে,ন্যায়পরায়ণ কাফের হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ অপেক্ষা উত্তম।
তৃতীয়তঃ মুসলিম উম্মাহ খারেজীদের ভ্রষ্টতার উপর একমত হয়েছেন। কিন্তু এতদাসত্ত্বেও আহলে সুন্নাহর কেউ একথা বলেননি যে,ন্যায়পরায়ণ কাফেরের রাষ্ট্র পরিচালনা খারেজীদের রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে উত্তম হবে যাদের বিরুদ্ধে আহলে সুন্নাহর মুসলিমরা যু্দ্ধ করে।
চতুর্থতঃ ইয়াযীদ তার শাসনামলে জুলুম করা সত্ত্বেও অতীতের কোন আলেম একথা বলেননি যে,ন্যায়পরায়ণ কাফেরের শাসন ইয়াযীদের শাসন থেকে উত্তম।
পঞ্চমতঃ জালেম মুসলিম শাসকের জুলুম থেকে বাঁচার জন্য কারো ন্যায়পরায়ণ কাফেরের রাষ্ট্রে পালিয়ে যাওয়ার মাসআলাটি এই কথার উপর দালালত করে না যে,উম্মতে মুসলিমাহর জন্য জালেম মুসলিম শাসকের তুলনায় ন্যায়পরায়ণ কাফের শাসক উত্তম।
ইহার কয়েক কারণে হয়ে থাকেঃ-
১/ উলামায়ে কেরামের এ ব্যাপারে ইজমা’ রয়েছে যে, কিয়ামত পর্যন্ত জিহাদ জারী থাকবে । চাই নেককার আমীরের অধীনে হোক বা বদকার আমীরের অধীনে।
২/ উলামায়ে ইসলাম মুসলিমদের ইমাম বানানোর ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন এবং সাথে সাথে ইমাম মুসলিম হওয়ার শর্তের ব্যাপারেও একমত পোষণ করেছেন। সুতরাং মুসলিমদের কোন দেশ জুলুমসহ প্রতিষ্ঠিত হওয়া তাদের উপর কোন কাফের চড়ে বসার চেয়ে উত্তম। যদিও ঐ কাফের ন্যায়পরায়ণতার সাথে প্রসিদ্ধ থাকে।
৩/ জমহুর উলামায়ে কেরামের মত হলো মুসলিম শাসকদের জুলুমের উপর সবর করবে। তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা জায়েয নেই যতক্ষণ না তাদের থেকে কুফরে বাওয়াহ বা সুস্পষ্ট কুফর প্রকাশ না পাবে।
এক্ষেত্রে অনেক আলেম ইজমা’র কথাও উল্লেখ করেছেন। ইমাম নববী রহঃ বলেন,“মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করা মুসলিমদের ঐক্যমতে হারাম। যদিও শাসক জালেম ফাসেক হয়। আর আমি যা বললাম তার ব্যাপারে অনেক হাদীস আছে। আহলে সুন্নাহ এব্যাপারে একমত হয়েছেন যে, মুসলিম শাসক ফিসকের কারণে বহিস্কৃত হবে না।”
৪/ মুসলিম শাসক যদি কারও প্রতি জুলুম করে তাহলে তার জন্য ন্যায়পরায়ণ কাফের রাষ্ট্রে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু মুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব তার ইসলাম বাকি থাকা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
৫/ এব্যাপারে উলামায়ে কেরামের ইজমা’ রয়েছে যে, বিবাহ, নেতৃত্ব ইত্যাদির ক্ষেত্রে মুসলিমদের উপর কাফেরদে কোন কর্তৃত্ব থাকবে না।
আল্লামা ইবনে তাইমিয়্যাহ রহঃ যা বলেছেন: (নিশ্চয় মানুষ একথা নিয়ে বিবাদ করেনা যে, জুলুমের পরিণাম খুবই মন্দ এবং ইনাসাফের পরিণাম অনেক ভাল। আর এ কারণেই তো কথিত আছে «আল্লাহ ইনসাফকারী রাষ্ট্রকে সাহায্য করেন যদিও কুফুরী রাষ্ট্র হয় এবং জুলুমকারী রাষ্ট্রকে সাহায্য করেন না যদিও তা ইসলামি রাষ্ট্র হয়।» (মাজমুউল ফাতাওয়া)))
তিনি কোন কাফেরকে মুসলিমদের থেকে উত্তম বলেন নি। বরং তিনি তা বলেছেন, রাষ্ট্রে জুলুমের মন্দতা এবং ইনসাফের বরকতের বিষয়টি বুঝানোর জন্য। যখন মুসলিমদের থেকে জুলুম প্রকাশ পাবে তখন কাফেরদের সাথে সহাবস্থান পবিত্র ঘোষণা দেওয়ার জন্য নয় । তিনি কথাটি বলেছিলেন, প্রশান্ত করার উদ্দেশ্যে (অর্থাৎ জুলুম যে বাস্তবেই অনেক ভয়ানক বিষয় তা বুঝানোর জন্য),দলীল হিসাবে নয়। তাই তিনি বলেছেন,“বলা হয়ে থাকে”
মোট কথা, মুসলিমদের উপর ন্যায়পরায়ণ কাফের শাসক নিযুক্ত হওয়ার এমন কিছু ক্ষতিকর দিক আছে যা থেকে শাইখ রহঃ এর এই কথা মুক্ত নয়। এখানে যেই ব্যক্তি শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহঃ এর উপর মিথ্যারোপ করেছে সে নিজেও এই কথা প্রত্যাখ্যানের দিকে ধাবিত। যার কারণে তিনি বলেছেন, কিছু ফক্বিহ যাদের ভিতর শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহঃও আছেন তারা বলেন, ন্যায়পরায়ণকারী কাফের জালেম মুসলিমের চেয়ে শাসনের ব্যাপারে অধিক উপযোগী।
এই কথাকে এই কারণে তরক করতে হবে যে, শাইখ ইবনে তাইমিয়াহ রহঃ এবং বাগদাদের আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের কোন আলেম,বরং কোন জ্ঞান সম্পন্ন মুসলিমকে পাওয়া যাবে না যে. সে মুসলিমদের তুলনায় কাফেরকে প্রাধান্য দিবে এবং বলবে যে, ন্যায়পরায়ণকারী কাফের জালেম মুসলিমের চেয়ে শাসনের ব্যাপারে অধিক উপযোগী। আর এতেও সন্দেহ নেই যে, এরকম কথার ফল অনেক ভয়ানক। কারণ এটা যেই ব্যক্তির অন্তরে ব্যধি কিংবা ইসলাম এবং মুসলিমদের প্রতি সামান্যও বিদ্বেষ আছে তার জন্য অনেক অকাল্যণের পথ খুলে দিবে এবং তা এভাবে হবে যে, সে কাফের রাষ্ট্রের সাথে আঁতাত করবে এবং তাদের সাথে গোপনে বিভিন্ন চুক্তি করবে এই যুক্তিতে যে, ন্যায়পরায়ণকারী কাফের জালেম মুসলিমের চেয়ে শাসনের ব্যাপারে অধিক উপযোগী। এই কাজটিই করেছিল মন্ত্রী ইবনে আলকমা।
শাইখ ইবনে তাইমিয়া রহঃ যা বলেছেন তা হচ্ছেঃ " নিশ্চয় মানুষ একথা নিয়ে বিবাদ করেনা যে, জুলুমের পরিণাম খুবই মন্দ এবং ইনাসাফের পরিণাম অনেক ভাল। আর কথিত আছে «আল্লাহ ইনসাফকারী রাষ্ট্রকে সাহায্য করেন যদিও কুফুরী রাষ্ট্র হয় এবং জুলুমকারী রাষ্ট্রকে সাহায্য করেন না যদিও তা ইসলামি রাষ্ট্র হয়।» (মাজমুউল ফাতাওয়া)
উনি বলেছেন (কথিত আছে) আরেক জায়গায় বলেছেন (বলা হয়ে থাকে)। উনি এই কথাটি দৃঢ়তার সাথে বলেননি এবং তা উল্লেখ করেছেন অন্যদের উক্তি পেশ করার শব্দ দিয়ে। আর তিনি এটাকে কোন মূলনীতিও বানাননি।
আমি বলব, একারণেই বর্তমানে রাফেজীদেরকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফেরদেরকে সাহায্য করতে দেখা যায়। তাদের দলিল হচ্ছে,কাফেররা ইনসাফকারী আর আমাদের নিযুক্ত ব্যক্তিরা জুলুমকারী।
(আল্লাহই আমাদের সাহায্যকারী।)
ইসলাম এমন এক জীবন ব্যবস্থা যা প্রত্যেক জামানায় নিজ অনুসারীদের থেকে কোরবানী চায়। এবং হকের রাস্তায় পালাক্রমে পরিক্ষা আসে, যাতে করে ঈমানদারদের কাতার সুস্পষ্ট হয়ে যায়, এবং মুনাফিক দল আলাদা হয়ে যায়।
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা এই পরিক্ষা এবং বিপদের কারন বর্ননা করেছেন:-
ليميز الله اللخبيث من الطيب.
মুসলমানদের উপর বিপদ এই কারনে আসে যে, ফাসেদ আকিদার লোকেরা সঠিক আকিদার লোকদের থেকে পৃথক হয়ে যায়। এই পরিক্ষাকে মুনাফিকরা আযাব মনে করে। কিন্তু বাস্তবে এটা আল্লাহর রহমত।
হে ইমানদারগণ! এটা তো পুরাতন ইতিহাস। প্রত্যেক জামানার ফেরাউন হাক্বকে ভয় দেখায়। প্রথমে ফাসীর ধমকি দেয়, পরে যুগের ফেরাউন এটা বস্তবায়ন করে।
কিছু দিন আগে ত্বাগুত সরকার বংলাদেশে পাচজন মুজাহিদীনকে ফাসী দিয়েছে। আমরা বাংলাদেশের এই কাজকে ফেরাউনের অনুসরনই মনে করি। এবং সেই মুজাহিদীনদের যে মর্যাদা অর্জন হয়েছে, এটা সেই মর্যাদা যার জন্যে আল্লাহর রাসূল সা: বারংবার আশা করতেন। যার এই মর্যাদা অর্জন হয়েছে সে সফল হয়েছে ও সম্মানিত হয়েছে। তারা তো ইসলামের সত্যিককারের অনুসারী।
কিন্তু আমি এই উম্মাতে মুহাম্মাদীর অমনযোগীতার উপর কেন আফসুস করব না?!!! উম্মাহ যখন জাগ্রত ছিল এবং উসমান রাজি: শহীদ হয়েছিল। হজয়ত মুআবীয়া রাজি: শামে এক মাজলিসে ছিলেন। যখন এই খবর পৌছাল, তখন বৈঠক 'প্রতিশোধ প্রতিশোধ' আওয়াজ উঠতে শুরু করল। এবং আবু হামীদ সায়ীদী নামক এক ব্যাক্তি কসম করল যে, সে মৃত্যুর আগে কখনো হাসবে না। আর বর্তমান জামানায় মুসলিম উম্মাহ গাফলতির ঘুমের মাধ্যে ঢুবে আছে। মুমিনদেরকে নির্যাতন করা হচ্ছে, জেলখানায় বন্ধি করা হচ্ছে, জায়গায় জায়গায় লাশ গুম করা হচ্ছে, ফাসীতে ঝুলানো হচ্ছে। কিন্তু শত আফসুস! মুসলিম উম্মাহ সজাগ হচ্ছে না।
এদিন কি তাদের বায়আতে রিদয়ানের কথা স্বরনে আসে না? যে দিন মুহাম্মাদে আরাবী সাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম একজন সাহাবীর প্রতিশোধ নিতে সমস্ত সাহাবী থেকে ফেদায়ী হামলার বায়আত নিয়েছিলেন। হে মুমিনগণ! একটু সজাগ হোন। আর না হয় সর্বদা আফসোস করতে হবে।
ওহে যুগের ফেরাউন! ভাল করে শুনে রাখ যে, আমরা কারাগার, শাহাদাত বা ফাসীর কারণে নিজের অবস্থান থেকে বিন্দু পরিমান পিছপা হব না। হজরত খুবাইব এবং হজরত বেলাল রাজি: যারা আমাদের আকাবীর ছিলেন, তাদের জীবনী কি দুনিয়ার মানুষের স্বরন নেই!!!
পরিশেষে আমি আমার শহীদ ভাইদের পরিবারবর্গকে সুসংবাদ জানাচ্ছি; এটা তো গৌরবের কথা যে, আপনি শহীদদের উত্তরসূরী হবেন। আপনার বংশে শাহাদাতের বড় মর্যাদার অধীকারী ব্যক্তি গড়ে উঠছে। যিনি ইসলামের আলোকে আলোকিতকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
যখন ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান রাজি: এই পর্যায়ে পৌছে গেলেন, তখন উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রাজি: বর্ননা করেছিলেন:- হজরত উসমান রাজি:কে মাজলুম শহীদ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার শপথ করে বলছি, উনার আমাল নামা ধৌত করা কাপড়ের ন্যায় পবিত্র হয়ে গেছে। আল্লাহর কছম, আমরা ওই সকল শহীদদেরকে এমনই মনে করি।
আমরা ব্যপারে এমন ধারনা করি, আল্লাহই তাদের জন্য যতেষ্ঠ। আল্লাহর উপরে কাউকে আমরা নিরাপদ ঘোষনা করি না।
ন্যায়পরায়ণ কাফের কি জালেম মুসলিম শাষক অপেক্ষা উত্তম? - শাইখ আবূ মারিয়া আল কাহতানী
এই মাসআলাটা ইমাম আহমাদ রহঃ এর যুগে আলোচনায় উঠেনি। বরং এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠে হালাকু খাঁনের যুগে। শিয়া রাফেজী আলী ইবনে তাউস সর্ব প্রথম ব্যক্তি যে এই ব্যাপারে ফতওয়া প্রদান করেছে হালাকু খাঁনের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে।
এই ব্যক্তি হচ্ছে আলী বিন তাউস আল আলাউয়ী। হালাকু খাঁ ৬৫৬ হিজরীতে বাগদাদে কিছু আলেমদেরকে একত্রিত করে এবং তাদের কাছে জালেম মুসলিম শাসক বনাম ন্যায়পরায়ণ কাফের বাদশাহর ব্যাপারে ফতওয়া জিজ্ঞাসা করে যে, তাদের মাঝে কে সর্বোত্তম? তখন উলামায়ে কেরাম উত্তর প্রদানে বিলম্ব করছিলেন। তখন শিয়া রাফেজী আলী বিন তাউসের উত্তর ছিল “ন্যায়পরায়ণ কাফের উত্তম।”
(ফখরুদ্দীন রাযীর কিতাব এবং শিয়াদের বিভিন্ন কিতাবাদী দেখুন, যেখানে তারা গর্ব করছে তাদের এই বিষয়টি দ্বারা যে, তাদের রাফেজী ফকীহই এব্যাপারে সর্ব প্রথম ফতওয়া দিয়েছে।)
শিয়াদের কিতাব “বিহারুল আনওয়ার” এর ৪১ খন্ডের ২৮৪ পৃষ্ঠায় আছে,“নওশিরওঁয়া বাদশাহ যদিও অগ্নিপূজক ছিল তথাপি আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিবেন প্রজাদের মাঝে তার ন্যায় ও ইনসাফের কারণে। সে আগুনে থাকবে কিন্তু আগুন তার জন্য হারাম হবে।”
কুরআন শিয়াদের কিতাবের এই কথাকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَاءُ ۚ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَىٰ إِثْمًا عَظِيمًا [٤:٤٨]
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল।
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেনঃ
إِنَّ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَاسْتَكْبَرُوا عَنْهَا لَا تُفَتَّحُ لَهُمْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَلَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّىٰ يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ ۚ وَكَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُجْرِمِينَ [٧:٤٠]
নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছে এবং এগুলো থেকে অহংকার করেছে, তাদের জন্যে আকাশের দ্বার উম্মুক্ত করা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যে পর্যন্ত না সূচের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করে। আমি এমনিভাবে পাপীদেরকে শাস্তি প্রদান করি।
আলী ইবনে তাউস রাফেজী এর ফতোয়াকে কয়েকভাবে উত্তর দেয়া যায়ঃ-
প্রথমতঃ একথার উপর মুসলিম উম্মাহর ইজমা রয়েছে যে,জালেম মুসলিম শাসক, কাফের ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ অপেক্ষা উত্তম। আর শরয়ী নুসূসগুলো এই মতের উপরই দালালাত করে।
দ্বিতীয়তঃ উলামায়ে কেরাম হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের জুলুম এবং তার অবাধ্যতার ব্যাপারে একমত হয়েছেন এবং কোন কোন আলেম তাকে কাফেরও বলেছেন। এতদসত্ত্বেও কেউ একথা বলেননি যে,ন্যায়পরায়ণ কাফের হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ অপেক্ষা উত্তম।
তৃতীয়তঃ মুসলিম উম্মাহ খারেজীদের ভ্রষ্টতার উপর একমত হয়েছেন। কিন্তু এতদাসত্ত্বেও আহলে সুন্নাহর কেউ একথা বলেননি যে,ন্যায়পরায়ণ কাফেরের রাষ্ট্র পরিচালনা খারেজীদের রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে উত্তম হবে যাদের বিরুদ্ধে আহলে সুন্নাহর মুসলিমরা যু্দ্ধ করে।
চতুর্থতঃ ইয়াযীদ তার শাসনামলে জুলুম করা সত্ত্বেও অতীতের কোন আলেম একথা বলেননি যে,ন্যায়পরায়ণ কাফেরের শাসন ইয়াযীদের শাসন থেকে উত্তম।
পঞ্চমতঃ জালেম মুসলিম শাসকের জুলুম থেকে বাঁচার জন্য কারো ন্যায়পরায়ণ কাফেরের রাষ্ট্রে পালিয়ে যাওয়ার মাসআলাটি এই কথার উপর দালালত করে না যে,উম্মতে মুসলিমাহর জন্য জালেম মুসলিম শাসকের তুলনায় ন্যায়পরায়ণ কাফের শাসক উত্তম।
ইহার কয়েক কারণে হয়ে থাকেঃ-
১/ উলামায়ে কেরামের এ ব্যাপারে ইজমা’ রয়েছে যে, কিয়ামত পর্যন্ত জিহাদ জারী থাকবে । চাই নেককার আমীরের অধীনে হোক বা বদকার আমীরের অধীনে।
২/ উলামায়ে ইসলাম মুসলিমদের ইমাম বানানোর ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন এবং সাথে সাথে ইমাম মুসলিম হওয়ার শর্তের ব্যাপারেও একমত পোষণ করেছেন। সুতরাং মুসলিমদের কোন দেশ জুলুমসহ প্রতিষ্ঠিত হওয়া তাদের উপর কোন কাফের চড়ে বসার চেয়ে উত্তম। যদিও ঐ কাফের ন্যায়পরায়ণতার সাথে প্রসিদ্ধ থাকে।
৩/ জমহুর উলামায়ে কেরামের মত হলো মুসলিম শাসকদের জুলুমের উপর সবর করবে। তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা জায়েয নেই যতক্ষণ না তাদের থেকে কুফরে বাওয়াহ বা সুস্পষ্ট কুফর প্রকাশ না পাবে।
এক্ষেত্রে অনেক আলেম ইজমা’র কথাও উল্লেখ করেছেন। ইমাম নববী রহঃ বলেন,“মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করা মুসলিমদের ঐক্যমতে হারাম। যদিও শাসক জালেম ফাসেক হয়। আর আমি যা বললাম তার ব্যাপারে অনেক হাদীস আছে। আহলে সুন্নাহ এব্যাপারে একমত হয়েছেন যে, মুসলিম শাসক ফিসকের কারণে বহিস্কৃত হবে না।”
৪/ মুসলিম শাসক যদি কারও প্রতি জুলুম করে তাহলে তার জন্য ন্যায়পরায়ণ কাফের রাষ্ট্রে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু মুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব তার ইসলাম বাকি থাকা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
৫/ এব্যাপারে উলামায়ে কেরামের ইজমা’ রয়েছে যে, বিবাহ, নেতৃত্ব ইত্যাদির ক্ষেত্রে মুসলিমদের উপর কাফেরদে কোন কর্তৃত্ব থাকবে না।
আল্লামা ইবনে তাইমিয়্যাহ রহঃ যা বলেছেন: (নিশ্চয় মানুষ একথা নিয়ে বিবাদ করেনা যে, জুলুমের পরিণাম খুবই মন্দ এবং ইনাসাফের পরিণাম অনেক ভাল। আর এ কারণেই তো কথিত আছে «আল্লাহ ইনসাফকারী রাষ্ট্রকে সাহায্য করেন যদিও কুফুরী রাষ্ট্র হয় এবং জুলুমকারী রাষ্ট্রকে সাহায্য করেন না যদিও তা ইসলামি রাষ্ট্র হয়।» (মাজমুউল ফাতাওয়া)))
তিনি কোন কাফেরকে মুসলিমদের থেকে উত্তম বলেন নি। বরং তিনি তা বলেছেন, রাষ্ট্রে জুলুমের মন্দতা এবং ইনসাফের বরকতের বিষয়টি বুঝানোর জন্য। যখন মুসলিমদের থেকে জুলুম প্রকাশ পাবে তখন কাফেরদের সাথে সহাবস্থান পবিত্র ঘোষণা দেওয়ার জন্য নয় । তিনি কথাটি বলেছিলেন, প্রশান্ত করার উদ্দেশ্যে (অর্থাৎ জুলুম যে বাস্তবেই অনেক ভয়ানক বিষয় তা বুঝানোর জন্য),দলীল হিসাবে নয়। তাই তিনি বলেছেন,“বলা হয়ে থাকে”
মোট কথা, মুসলিমদের উপর ন্যায়পরায়ণ কাফের শাসক নিযুক্ত হওয়ার এমন কিছু ক্ষতিকর দিক আছে যা থেকে শাইখ রহঃ এর এই কথা মুক্ত নয়। এখানে যেই ব্যক্তি শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহঃ এর উপর মিথ্যারোপ করেছে সে নিজেও এই কথা প্রত্যাখ্যানের দিকে ধাবিত। যার কারণে তিনি বলেছেন, কিছু ফক্বিহ যাদের ভিতর শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহঃও আছেন তারা বলেন, ন্যায়পরায়ণকারী কাফের জালেম মুসলিমের চেয়ে শাসনের ব্যাপারে অধিক উপযোগী।
এই কথাকে এই কারণে তরক করতে হবে যে, শাইখ ইবনে তাইমিয়াহ রহঃ এবং বাগদাদের আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের কোন আলেম,বরং কোন জ্ঞান সম্পন্ন মুসলিমকে পাওয়া যাবে না যে. সে মুসলিমদের তুলনায় কাফেরকে প্রাধান্য দিবে এবং বলবে যে, ন্যায়পরায়ণকারী কাফের জালেম মুসলিমের চেয়ে শাসনের ব্যাপারে অধিক উপযোগী। আর এতেও সন্দেহ নেই যে, এরকম কথার ফল অনেক ভয়ানক। কারণ এটা যেই ব্যক্তির অন্তরে ব্যধি কিংবা ইসলাম এবং মুসলিমদের প্রতি সামান্যও বিদ্বেষ আছে তার জন্য অনেক অকাল্যণের পথ খুলে দিবে এবং তা এভাবে হবে যে, সে কাফের রাষ্ট্রের সাথে আঁতাত করবে এবং তাদের সাথে গোপনে বিভিন্ন চুক্তি করবে এই যুক্তিতে যে, ন্যায়পরায়ণকারী কাফের জালেম মুসলিমের চেয়ে শাসনের ব্যাপারে অধিক উপযোগী। এই কাজটিই করেছিল মন্ত্রী ইবনে আলকমা।
শাইখ ইবনে তাইমিয়া রহঃ যা বলেছেন তা হচ্ছেঃ " নিশ্চয় মানুষ একথা নিয়ে বিবাদ করেনা যে, জুলুমের পরিণাম খুবই মন্দ এবং ইনাসাফের পরিণাম অনেক ভাল। আর কথিত আছে «আল্লাহ ইনসাফকারী রাষ্ট্রকে সাহায্য করেন যদিও কুফুরী রাষ্ট্র হয় এবং জুলুমকারী রাষ্ট্রকে সাহায্য করেন না যদিও তা ইসলামি রাষ্ট্র হয়।» (মাজমুউল ফাতাওয়া)
উনি বলেছেন (কথিত আছে) আরেক জায়গায় বলেছেন (বলা হয়ে থাকে)। উনি এই কথাটি দৃঢ়তার সাথে বলেননি এবং তা উল্লেখ করেছেন অন্যদের উক্তি পেশ করার শব্দ দিয়ে। আর তিনি এটাকে কোন মূলনীতিও বানাননি।
আমি বলব, একারণেই বর্তমানে রাফেজীদেরকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফেরদেরকে সাহায্য করতে দেখা যায়। তাদের দলিল হচ্ছে,কাফেররা ইনসাফকারী আর আমাদের নিযুক্ত ব্যক্তিরা জুলুমকারী।
(আল্লাহই আমাদের সাহায্যকারী।)
Comment