★মুফতি সাহেব শুনেছেন?
::কি?
: সিরিয়ায় লক্ষ লক্ষ মুসলিম হত্যা করছে কুফফাররা।
:: আরে ভাই বাদ দেন না এসব! আমিতো ব্যস্ত
মাদ্রাসা নিয়ে! কিসের মধ্য কি নিয়ে কথা বলেন যে
ভাই! আগে বলেন মাদ্রাসায় কত টাকা চান্দা দিবেন!
.
★ইমাম সাহেব শুনেছেন?
:: কি?
: মসজিদুল আকসা ইহুদিরা বন্ধ করে দিয়েছে!
:: দুর মিয়া আপনি কার থেকে কি খবর নিয়ে আসেন।
আমি পেরেশান মসজিদের উপরের ছাদ নিয়ে।ছাদটি
ঢালাই দিতে পারলে জুমায় অনেক লোক হবে।
জুমার কালেকসন বাড়বে!
.
★ পীর সাহেব শুনছেন?
:: কি?
:মায়ানমারে বুদ্ধুরা নির্বিচারে মুসলিম হত্যা করে
চলেছে!
:: আরে ভাই থামেন।আগে বলেন, আপনি কার
কাছে বায়াত নিয়েছেন। আপনার বায়াত গ্রহনযোগ্য
কিনা তা আগে পরিক্ষা করে নেই!
.
★হে মুসলিম উম্মাহ! আপনাদের বলছি।
মসলিম বিশ্ব আজ গভির শংকটে! চারদিক থেকে
কাফেরেরা ঘিরে ধরেছে। আফগানস্তান,
কাশ্মীর, উইঘুর, চেচনিয়া,বসনিয়া, ইরাকসহ অসংখ্য
দেশে কুফফার বিশ্ব মুসলিমদের কোনঠাসা করে
মুসলিমদের গনহত্যা চালাচ্ছে। জাতির এই ক্রান্তি
লগ্নে আমাদের সবার এগিয়ে আসা একান্ত কাম্য।
আমাদের জন্য এমত অবস্থায় জিহাদ ফরজ হয়ে
গিয়েছে। চলুন আমরা সবাই জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ্-য় অংশ
গ্রহন করি। কাফেরদের কচুকাটা করি। রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছুন্নত জিন্দা করি। সহাবি
আজমাঈনের ছুন্নত জিন্দা করি।সাবিলুনা সাবিলুনা আল
জিহাদ আল জিহাদ।
:: ওই মিয়া খাইয়া-লিইয়া আর কাম পান না।জঙ্গিবাদি কথা-বার্তা
কইতাছেন! হুজুররা কয় জিহাদ ফরজে কেফায়া! আর
আপনে কইর থিকা কি লইয়া আইছেন জিহাদ ফরজ হইয়া
গেছে! বেশি পেচাল পারলে ধরাইয়া দিমু, তখন
বুঝবেন কত ধানে কত চাল!
-----
উপরের ঘটানা গুলো কাল্পনিক নয়।এটাই সমাজের
বাস্তব চিত্র।অধিকাংশের বেলায়ই এমনটি হয়ে থাকে।
দুংখজনক বস্তব চিত্র।
ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করে না। মুসলিম জাতি যখনি
জিহাদ ছেড়ে দিয়েছে তখনি কাফেরেরা তাদের
গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ করেছে।
.
এই মুহুর্ত একটি ঘটনা খুব মনে পড়ে গেল, খৃষ্টানরা
যখন মুসলিমদের প্রানের শহর গ্রানাডা পুড়িয়ে
দিলো।অশংখ্য মসজিদ আর লক্ষ লক্ষ মুসলিম সে
আগুনে ভুষ্মীভুত হলো। তখনো এমনি এক
অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। আরবরা নিজেদের শান-
সওকত নিয়ে বস্ত ছিল। মোঘলদের যে হাতে
সর্বদা তরবারির ঝনঝনানি ছিল,যাদের ভয়ে এশিয়ার ভূমি
কাঁপতে থাকতো, দুঃখজনক সত্য তরবারি ফেলে
তাদের হাতে তুলে নিয়েছিল সেতার। সেতারে
মুর্ছনায় তারা মজলুম মুসলিমের আহাজারি ভুলে থাকতে
ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। ইতিহাস তাদের ক্ষমা
করেনি। কালের নির্মম পরিহাস তারা এক সময় হারিয়ে
গেছে। তাদের দিকে কেউ ফিরেও তাকায়নি।
.
ইতিহাস বারবার ঘুরে ফিরে আসে, মনে করিয়ে
দেয় আমাদের,মনে করিয়ে দেয় মুসলিমদের
উথ্থান আর পতনের গল্প। আজ যদি আমরা আমাদের
ভাইদের সহায্যে এগিয়ে না যাই, শত্রুর সমনে বুক
টান করে না দাড়াই। এমন একদিন হয়ত আমাদের
আসবে। আসতে কতক্ষন! ভুলে গেলে চলবে
না আমাদের চতুর্দিক মুশরিক দেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত।
আল্লাহ্ না করুন আমরা যদি আক্রান্ত হই তখন
আমাদের সাহায্য কেউ এগিয়ে আসবে না, যেমনটা
আজ আমরা করছি। কাফেরেরা তখন কচুকাটা করবে,
কেউ সাহায্য করবে তো দূরের কথা একটু
দীর্ঘশ্বাস হয়তো ফেলবে না, হয়তো
ফেলবে নিরবে নিভৃতে! আকাশে-বাতাসে মিলিয়ে
যাবে নিপীড়িত মানুষের আহাযারী।
.
আমাদের কি ঘুম ভাঙ্গবে না, আমরা কি ঘুমিয়েই
থাকবো !? নাকি তখনি ঘুম ভাঙ্গবে, যখন কাফেরের
ধ্বংসের লেলিহান শিখা আমাদের প্রতিটি ঘর স্পর্শ
করবে? তখন জেগে আর কি হবে তখন তো
দেখবো সবই শেষ!!!
::কি?
: সিরিয়ায় লক্ষ লক্ষ মুসলিম হত্যা করছে কুফফাররা।
:: আরে ভাই বাদ দেন না এসব! আমিতো ব্যস্ত
মাদ্রাসা নিয়ে! কিসের মধ্য কি নিয়ে কথা বলেন যে
ভাই! আগে বলেন মাদ্রাসায় কত টাকা চান্দা দিবেন!
.
★ইমাম সাহেব শুনেছেন?
:: কি?
: মসজিদুল আকসা ইহুদিরা বন্ধ করে দিয়েছে!
:: দুর মিয়া আপনি কার থেকে কি খবর নিয়ে আসেন।
আমি পেরেশান মসজিদের উপরের ছাদ নিয়ে।ছাদটি
ঢালাই দিতে পারলে জুমায় অনেক লোক হবে।
জুমার কালেকসন বাড়বে!
.
★ পীর সাহেব শুনছেন?
:: কি?
:মায়ানমারে বুদ্ধুরা নির্বিচারে মুসলিম হত্যা করে
চলেছে!
:: আরে ভাই থামেন।আগে বলেন, আপনি কার
কাছে বায়াত নিয়েছেন। আপনার বায়াত গ্রহনযোগ্য
কিনা তা আগে পরিক্ষা করে নেই!
.
★হে মুসলিম উম্মাহ! আপনাদের বলছি।
মসলিম বিশ্ব আজ গভির শংকটে! চারদিক থেকে
কাফেরেরা ঘিরে ধরেছে। আফগানস্তান,
কাশ্মীর, উইঘুর, চেচনিয়া,বসনিয়া, ইরাকসহ অসংখ্য
দেশে কুফফার বিশ্ব মুসলিমদের কোনঠাসা করে
মুসলিমদের গনহত্যা চালাচ্ছে। জাতির এই ক্রান্তি
লগ্নে আমাদের সবার এগিয়ে আসা একান্ত কাম্য।
আমাদের জন্য এমত অবস্থায় জিহাদ ফরজ হয়ে
গিয়েছে। চলুন আমরা সবাই জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ্-য় অংশ
গ্রহন করি। কাফেরদের কচুকাটা করি। রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছুন্নত জিন্দা করি। সহাবি
আজমাঈনের ছুন্নত জিন্দা করি।সাবিলুনা সাবিলুনা আল
জিহাদ আল জিহাদ।
:: ওই মিয়া খাইয়া-লিইয়া আর কাম পান না।জঙ্গিবাদি কথা-বার্তা
কইতাছেন! হুজুররা কয় জিহাদ ফরজে কেফায়া! আর
আপনে কইর থিকা কি লইয়া আইছেন জিহাদ ফরজ হইয়া
গেছে! বেশি পেচাল পারলে ধরাইয়া দিমু, তখন
বুঝবেন কত ধানে কত চাল!
-----
উপরের ঘটানা গুলো কাল্পনিক নয়।এটাই সমাজের
বাস্তব চিত্র।অধিকাংশের বেলায়ই এমনটি হয়ে থাকে।
দুংখজনক বস্তব চিত্র।
ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করে না। মুসলিম জাতি যখনি
জিহাদ ছেড়ে দিয়েছে তখনি কাফেরেরা তাদের
গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ করেছে।
.
এই মুহুর্ত একটি ঘটনা খুব মনে পড়ে গেল, খৃষ্টানরা
যখন মুসলিমদের প্রানের শহর গ্রানাডা পুড়িয়ে
দিলো।অশংখ্য মসজিদ আর লক্ষ লক্ষ মুসলিম সে
আগুনে ভুষ্মীভুত হলো। তখনো এমনি এক
অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। আরবরা নিজেদের শান-
সওকত নিয়ে বস্ত ছিল। মোঘলদের যে হাতে
সর্বদা তরবারির ঝনঝনানি ছিল,যাদের ভয়ে এশিয়ার ভূমি
কাঁপতে থাকতো, দুঃখজনক সত্য তরবারি ফেলে
তাদের হাতে তুলে নিয়েছিল সেতার। সেতারে
মুর্ছনায় তারা মজলুম মুসলিমের আহাজারি ভুলে থাকতে
ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। ইতিহাস তাদের ক্ষমা
করেনি। কালের নির্মম পরিহাস তারা এক সময় হারিয়ে
গেছে। তাদের দিকে কেউ ফিরেও তাকায়নি।
.
ইতিহাস বারবার ঘুরে ফিরে আসে, মনে করিয়ে
দেয় আমাদের,মনে করিয়ে দেয় মুসলিমদের
উথ্থান আর পতনের গল্প। আজ যদি আমরা আমাদের
ভাইদের সহায্যে এগিয়ে না যাই, শত্রুর সমনে বুক
টান করে না দাড়াই। এমন একদিন হয়ত আমাদের
আসবে। আসতে কতক্ষন! ভুলে গেলে চলবে
না আমাদের চতুর্দিক মুশরিক দেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত।
আল্লাহ্ না করুন আমরা যদি আক্রান্ত হই তখন
আমাদের সাহায্য কেউ এগিয়ে আসবে না, যেমনটা
আজ আমরা করছি। কাফেরেরা তখন কচুকাটা করবে,
কেউ সাহায্য করবে তো দূরের কথা একটু
দীর্ঘশ্বাস হয়তো ফেলবে না, হয়তো
ফেলবে নিরবে নিভৃতে! আকাশে-বাতাসে মিলিয়ে
যাবে নিপীড়িত মানুষের আহাযারী।
.
আমাদের কি ঘুম ভাঙ্গবে না, আমরা কি ঘুমিয়েই
থাকবো !? নাকি তখনি ঘুম ভাঙ্গবে, যখন কাফেরের
ধ্বংসের লেলিহান শিখা আমাদের প্রতিটি ঘর স্পর্শ
করবে? তখন জেগে আর কি হবে তখন তো
দেখবো সবই শেষ!!!
Comment