ঈমান দূর্বল; জিহাদে না যাওয়ার ওযর নয়।
আল কুরআনের তাফসীরঃ
(১)
{وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ ائْذَنْ لِي وَلا تَفْتِنِّي أَلا فِي الْفِتْنَةِ سَقَطُوا وَإِنَّ جَهَنَّمَ لَمُحِيطَةٌ بِالْكَافِرِينَ (49) }
يَقُولُ تَعَالَى: وَمِنَ الْمُنَافِقِينَ مَنْ يَقُولُ لَكَ يَا مُحَمَّدُ: {ائْذَنْ لِي} فِي الْقُعُودِ {وَلا تَفْتِنِّي} بِالْخُرُوجِ مَعَكَ، بِسَبَبِ الْجَوَارِي مِنْ نِسَاءِ الرُّومِ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {أَلا فِي الْفِتْنَةِ سَقَطُوا} أَيْ: قَدْ سَقَطُوا فِي الْفِتْنَةِ بِقَوْلِهِمْ هَذَا. كَمَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَيَزِيدَ بْنِ رُومان، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَعَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ وَغَيْرِهِمْ قَالُوا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ، وَهُوَ فِي جَهَازِهِ، لِلْجَدِّ بْنِ قَيْسٍ أَخِي بَنِي سَلَمَةَ: "هَلْ لَكَ يَا جَدُّ العامَ فِي جِلَادِ بَنِي الْأَصْفَرِ؟ " فَقَالَ: يَا رسول الله، أو تأذن لِي وَلَا تَفْتِنِّي، فَوَاللَّهِ لَقَدْ عَرَفَ قَوْمِي مَا رَجُلٌ أَشَدُّ عَجَبًا بِالنِّسَاءِ مِنِّي، وَإِنِّي أَخْشَى إِنْ رَأَيْتُ نِسَاءَ بَنِي الْأَصْفَرِ لَا أَصْبِرُ عَنْهُنَّ. فَأَعْرَضَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: "قَدْ أَذِنْتُ لَكَ". فَفِي الجَدِّ بْنِ قَيْسٍ نَزَلَتْ هَذِهِ: {وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ ائْذَنْ لِي وَلا تَفْتِنِّي} الْآيَةَ، أَيْ: إِنْ كَانَ إِنَّمَا يَخْشَى مِنْ نِسَاءِ بَنِي الْأَصْفَرِ وَلَيْسَ ذَلِكَ بِهِ، فَمَا سَقَطَ فِيهِ مِنَ الْفِتْنَةِ بِتَخَلُّفِهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالرَّغْبَةِ بِنَفْسِهِ عَنْ نَفْسِهِ، أَعْظَمُ (2)
মুনাফিকদের মধ্যে কেউ বলে, হে রাসূল ! আমাকে জিহাদে না যাওয়ার অনুমতি দিন। আমাকে ফিতনায় ফেলবেন না। জেনে রাখ ! তারা তো ফিতনায় পড়েই আছে। নিশ্চয়ই জাহান্নাম কাফেরদের বেষ্টনকারী। (সূরা তাওবা-৪৯)
তাফসীরঃ মুহাম্মাদ বিন ইসহাক যুহরী, য়াযীদ বিন রুমান, আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর, আসেম বিন ওমর বিন কাতাদা প্রমুখ থেকে বর্ণনা করেছেন। তারা বলেন যে, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ প্রস্তুতি কালে জাদ্দ বিন কায়েসকে বললেন, বনু আসফারকে দেশান্তর করলে তোমার কোন সমস্যা হে জাদ্দ ! সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল ! আমাকে অনুমতি দিন, আমাকে ফিতনায় ফেলবেন না। আল্লাহর শপথ ! আমার গোত্রের লোকেরা জানে, আমার চেয়ে নারী লোভী মানুষ আর কেউ নেই। আমার ভয় হয়, আমি বনূ আসফারের রমণীদের দেখলে সহ্য করতে পারব না। একথা বলার পর রাসূল তার থেকে বিমুখ হয়ে বললেন, তোমাকে অনুমতি দিলাম। আয়াতটি জাদ্দ বিন কায়েসের এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই নাযিল হয়েছে। (ইবনে কাসীর)
শিক্ষাঃ বর্তমানে একটি ওযর অনেক জোরেসোরে প্রচার করা হয়। তাহলো আমার ইমান মজবুত নয়। যদি জিহাদে বের হই তাহলে পলায়ন করার আশঙ্কা বেশী। তাই এখন জিহাদে যাচ্ছি না। এই ওযরটি হুবহু জাদ্দ বিন কায়েসের ওজরের ন্যায়। যেমন, সে তাবুক যুদ্ধে গেলে রূমের বনু আসফার গোত্রের নারীদের দেখলে সহ্য করতে পারবেনা। কারণ, সে নারী লোভী। ঠিক এখানেও সে জিহাদে গেলে যুদ্ধের বিভীষিকা দেখলে সহ্য করতে পারবে না। কারণ, তার ইমান দূর্বল। হে আল্লাহ ! মুনাফিকদের সাদৃশ্য গ্রহণ থেকে আমাদের হিফাজত করো।।
আল কুরআনের তাফসীরঃ
(১)
{وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ ائْذَنْ لِي وَلا تَفْتِنِّي أَلا فِي الْفِتْنَةِ سَقَطُوا وَإِنَّ جَهَنَّمَ لَمُحِيطَةٌ بِالْكَافِرِينَ (49) }
يَقُولُ تَعَالَى: وَمِنَ الْمُنَافِقِينَ مَنْ يَقُولُ لَكَ يَا مُحَمَّدُ: {ائْذَنْ لِي} فِي الْقُعُودِ {وَلا تَفْتِنِّي} بِالْخُرُوجِ مَعَكَ، بِسَبَبِ الْجَوَارِي مِنْ نِسَاءِ الرُّومِ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {أَلا فِي الْفِتْنَةِ سَقَطُوا} أَيْ: قَدْ سَقَطُوا فِي الْفِتْنَةِ بِقَوْلِهِمْ هَذَا. كَمَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَيَزِيدَ بْنِ رُومان، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَعَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ وَغَيْرِهِمْ قَالُوا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ، وَهُوَ فِي جَهَازِهِ، لِلْجَدِّ بْنِ قَيْسٍ أَخِي بَنِي سَلَمَةَ: "هَلْ لَكَ يَا جَدُّ العامَ فِي جِلَادِ بَنِي الْأَصْفَرِ؟ " فَقَالَ: يَا رسول الله، أو تأذن لِي وَلَا تَفْتِنِّي، فَوَاللَّهِ لَقَدْ عَرَفَ قَوْمِي مَا رَجُلٌ أَشَدُّ عَجَبًا بِالنِّسَاءِ مِنِّي، وَإِنِّي أَخْشَى إِنْ رَأَيْتُ نِسَاءَ بَنِي الْأَصْفَرِ لَا أَصْبِرُ عَنْهُنَّ. فَأَعْرَضَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: "قَدْ أَذِنْتُ لَكَ". فَفِي الجَدِّ بْنِ قَيْسٍ نَزَلَتْ هَذِهِ: {وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ ائْذَنْ لِي وَلا تَفْتِنِّي} الْآيَةَ، أَيْ: إِنْ كَانَ إِنَّمَا يَخْشَى مِنْ نِسَاءِ بَنِي الْأَصْفَرِ وَلَيْسَ ذَلِكَ بِهِ، فَمَا سَقَطَ فِيهِ مِنَ الْفِتْنَةِ بِتَخَلُّفِهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالرَّغْبَةِ بِنَفْسِهِ عَنْ نَفْسِهِ، أَعْظَمُ (2)
মুনাফিকদের মধ্যে কেউ বলে, হে রাসূল ! আমাকে জিহাদে না যাওয়ার অনুমতি দিন। আমাকে ফিতনায় ফেলবেন না। জেনে রাখ ! তারা তো ফিতনায় পড়েই আছে। নিশ্চয়ই জাহান্নাম কাফেরদের বেষ্টনকারী। (সূরা তাওবা-৪৯)
তাফসীরঃ মুহাম্মাদ বিন ইসহাক যুহরী, য়াযীদ বিন রুমান, আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর, আসেম বিন ওমর বিন কাতাদা প্রমুখ থেকে বর্ণনা করেছেন। তারা বলেন যে, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ প্রস্তুতি কালে জাদ্দ বিন কায়েসকে বললেন, বনু আসফারকে দেশান্তর করলে তোমার কোন সমস্যা হে জাদ্দ ! সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল ! আমাকে অনুমতি দিন, আমাকে ফিতনায় ফেলবেন না। আল্লাহর শপথ ! আমার গোত্রের লোকেরা জানে, আমার চেয়ে নারী লোভী মানুষ আর কেউ নেই। আমার ভয় হয়, আমি বনূ আসফারের রমণীদের দেখলে সহ্য করতে পারব না। একথা বলার পর রাসূল তার থেকে বিমুখ হয়ে বললেন, তোমাকে অনুমতি দিলাম। আয়াতটি জাদ্দ বিন কায়েসের এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই নাযিল হয়েছে। (ইবনে কাসীর)
শিক্ষাঃ বর্তমানে একটি ওযর অনেক জোরেসোরে প্রচার করা হয়। তাহলো আমার ইমান মজবুত নয়। যদি জিহাদে বের হই তাহলে পলায়ন করার আশঙ্কা বেশী। তাই এখন জিহাদে যাচ্ছি না। এই ওযরটি হুবহু জাদ্দ বিন কায়েসের ওজরের ন্যায়। যেমন, সে তাবুক যুদ্ধে গেলে রূমের বনু আসফার গোত্রের নারীদের দেখলে সহ্য করতে পারবেনা। কারণ, সে নারী লোভী। ঠিক এখানেও সে জিহাদে গেলে যুদ্ধের বিভীষিকা দেখলে সহ্য করতে পারবে না। কারণ, তার ইমান দূর্বল। হে আল্লাহ ! মুনাফিকদের সাদৃশ্য গ্রহণ থেকে আমাদের হিফাজত করো।।
Comment