আজ উম্মাহর উপর দিয়ে যে মাত্রার অত্যাচার, নির্যাতন বয়ে চলছে তা দেখে যেকোনো মানবাত্মা কেঁদে উঠবে। আফগান, কাশ্মির, আরাকান, শাম, সোমালিয়া প্রতিটা ভূমিতেই এমন এক উম্মাহর রক্ত ঝরছে যাদের আল্লাহ বলেছেন, "খাইরা উম্মাত " বা সর্বশ্রষ্ঠ উম্মাহ। যাদের আবির্ভাব হয়েছিল পুরো মানবজাতির কল্যানের জন্য। যাদের কল্যানে অসভ্যরা সভ্য হয়েছিল। আজ সেই উম্মাহর হাহাকারে আকাশ বাতাস মুখরিত। অথচ ইতিপূর্বে এই উম্মাহই ছিল নেতৃত্বের আসনে। লাঞ্চিত, অপদস্ত ছিল পাপিষ্ঠ কাফিররা। কিন্তু জয় পরাজয়ের এই দিনগুলো আবর্তিত হয়ে আজ আমরা লাঞ্চিত, অপদস্ত, অবহেলিত। হে আল্লাহ, হে সকল ইজ্জতের অধিকারী আরশের রব! তাই বলে কি এই উম্মাহ হীনবল হয়ে পড়বে? দূর্বল হয়ে পড়বে কাফিরদের দম্ভ দেখে? দেশে দেশে কাফিরদের পদচারনায় কি এই উম্মাহ বিভ্রান্ত হয়ে পড়বে?
হে আল্লাহ আপনিই আমাদের প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেন!
আল্লাহ বলেন, (সূরা আলে ইমরান ১৩৯- ১৪০)।
"তোমরা হীনবল হয়ো না, দূর্বল হয়ো না। বস্তুত তোমরাই হবে বিজয়ী যদি তোমরা মুমিন হও"
إِن يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ ٱلْقَوْمَ قَرْحٌ مِّثْلُهُۥۚ وَتِلْكَ ٱلْأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ ٱلنَّاسِ وَلِيَعْلَمَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَيَتَّخِذَ مِنكُمْ شُهَدَآءَۗ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلظَّٰلِمِينَ
যদি তোমাদেরকে আঘাত স্পর্শ করে, অনুরূপ আঘাত তো অপর পক্ষকেও স্পর্শ করেছিল। (জয়-পরাজয়ের) এ দিনগুলোকে আমি মানুষের মধ্যে আবর্তিত করে থাকি যাতে আল্লাহ মু’মিনদেরকে চিনে নিতে পারেন এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে কাউকে শহীদ হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন, বস্তুতঃ আল্লাহ যালিমদেরকে ভালবাসেন না।
....
আমরা প্রশ্ন করলাম হে আল্লাহ! তাহলে আপনি কেন এমনটা করেন? আল্লাহ বলেন, "যাতে আল্লাহ মুমিনদের চিনে নিতে পারেন
এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে শহীদ হিসেবে গ্রহন করতে পারেন। "
সুবহানাল্লাহ, তাহলে কি ইন্দোনেশিয়া থেকে মরক্কো আর ককেশাস থেকে মালি পর্যন্ত মুসলিমদের এই দূরাবস্তা প্রকৃত মুমিনদেরকে চেনে নেয়ার মাধ্যম এবং শহীদ হওয়ার মৌসুম!!!
আরে, এজন্যই তো আব্দুল্লাহ আজ্জাম রাহি; জিহাদকে বাজারের সাথে তুলনা করেছেন যা বন্ধ হয়ে গেলে ক্রয় বিক্রয় বন্ধ হয়ে যায়।
...
আমরা বললাম, হে আল্লাহ আপনি "এই দূরাবস্তার মাধ্যমে মুমিনদেরকে চিনে নেবেন " এই ব্যপারটা আরো ক্লিয়ারলি বুঝতে চাই।
আল্লাহ বলেন, সূরা ইমরান -১৭৯
مَّا كَانَ ٱللَّهُ لِيَذَرَ ٱلْمُؤْمِنِينَ عَلَىٰ مَآ أَنتُمْ عَلَيْهِ حَتَّىٰ يَمِيزَ ٱلْخَبِيثَ مِنَ ٱلطَّيِّبِۗ وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُطْلِعَكُمْ عَلَى ٱلْغَيْبِ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ يَجْتَبِى مِن رُّسُلِهِۧ مَن يَشَآءُۖ فَئَامِنُواۡ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۧۚ وَإِن تُؤْمِنُواۡ وَتَتَّقُواۡ فَلَكُمْ أَجْرٌ عَظِيمٌ
অসৎকে সৎ থেকে পৃথক না করা পর্যন্ত তোমরা যে অবস্থায় আছ, আল্লাহ মু’মিনদেরকে সে অবস্থায় ছেড়ে দিতে পারেন না এবং আল্লাহ তোমাদেরকে গায়িবের বিধান জ্ঞাত করেন না, তবে আল্লাহ তাঁর রাসূলগণের মধ্যে যাকে ইচ্ছে বেছে নেন, কাজেই তোমরা আল্লাহ এবং তাঁর রসূলগণের প্রতি ঈমান আন। যদি তোমরা ঈমান আন আর তাকওয়া অবলম্বন কর, তাহলে তোমাদের জন্য আছে মহাপুরস্কার।
....
সুবহানাল্লাহ! আমাদের রব তো সত্যই বলেছেন।
আমরা তো আগে এই অপবিত্র অসৎ মুনাফিকদের চিনতাম না। তাদেরকে তো আমাদেরই ভাই ভাবতাম। কিন্তু যেই না আমাদের উপর দূরাবস্তা আপতিত হলো তখন কতো কতো শায়খ আর আলেমই না নির্যাতিত মুসলিমদের বিপক্ষে, মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিচ্ছে। শাসকদের থেকে ডলার আর রিয়ালের আশায় জিহাদকে সন্ত্রাস বলছে (লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)।
এই শায়খ আর আলেমদেরকেই তো দেখতাম জিহাদের কথা বলছে আজ থেকে ৫, ৮, কিংবা ১০বছর আগে।কিন্তু আজ? ত্বাগুত শাসকদের সাথে ডিনার করছে।
আমাদের রব যেভাবে শাসকদেরকে আমাদের থেকে পৃথক করে কুফফারদের সাথী বানিয়ে দিলেন ঠিক সেভাবেই নেফাকে অপবিত্র আলিম আর শায়খদেরও আলাদা করে দিচ্ছেন। এখন তো তর্জনি দিয়ে ওদের দিকে ইশারা দিয়েও বলতে পারছে যে "হে অমুক তুমি মুনাফিক, রাজদরবারের শায়খ।
আল্লাহ আপনে সত্যই বলেছেন। আপনি কতোই না পবিত্র।
আমরা তো তাদের চিনতাম না, জানতাম না। আপনিই চিনিয়ে দিলেন এদের। নিশ্চয় আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী ।
হে আল্লাহ আপনিই আমাদের প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেন!
আল্লাহ বলেন, (সূরা আলে ইমরান ১৩৯- ১৪০)।
"তোমরা হীনবল হয়ো না, দূর্বল হয়ো না। বস্তুত তোমরাই হবে বিজয়ী যদি তোমরা মুমিন হও"
إِن يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ ٱلْقَوْمَ قَرْحٌ مِّثْلُهُۥۚ وَتِلْكَ ٱلْأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ ٱلنَّاسِ وَلِيَعْلَمَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَيَتَّخِذَ مِنكُمْ شُهَدَآءَۗ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلظَّٰلِمِينَ
যদি তোমাদেরকে আঘাত স্পর্শ করে, অনুরূপ আঘাত তো অপর পক্ষকেও স্পর্শ করেছিল। (জয়-পরাজয়ের) এ দিনগুলোকে আমি মানুষের মধ্যে আবর্তিত করে থাকি যাতে আল্লাহ মু’মিনদেরকে চিনে নিতে পারেন এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে কাউকে শহীদ হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন, বস্তুতঃ আল্লাহ যালিমদেরকে ভালবাসেন না।
....
আমরা প্রশ্ন করলাম হে আল্লাহ! তাহলে আপনি কেন এমনটা করেন? আল্লাহ বলেন, "যাতে আল্লাহ মুমিনদের চিনে নিতে পারেন
এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে শহীদ হিসেবে গ্রহন করতে পারেন। "
সুবহানাল্লাহ, তাহলে কি ইন্দোনেশিয়া থেকে মরক্কো আর ককেশাস থেকে মালি পর্যন্ত মুসলিমদের এই দূরাবস্তা প্রকৃত মুমিনদেরকে চেনে নেয়ার মাধ্যম এবং শহীদ হওয়ার মৌসুম!!!
আরে, এজন্যই তো আব্দুল্লাহ আজ্জাম রাহি; জিহাদকে বাজারের সাথে তুলনা করেছেন যা বন্ধ হয়ে গেলে ক্রয় বিক্রয় বন্ধ হয়ে যায়।
...
আমরা বললাম, হে আল্লাহ আপনি "এই দূরাবস্তার মাধ্যমে মুমিনদেরকে চিনে নেবেন " এই ব্যপারটা আরো ক্লিয়ারলি বুঝতে চাই।
আল্লাহ বলেন, সূরা ইমরান -১৭৯
مَّا كَانَ ٱللَّهُ لِيَذَرَ ٱلْمُؤْمِنِينَ عَلَىٰ مَآ أَنتُمْ عَلَيْهِ حَتَّىٰ يَمِيزَ ٱلْخَبِيثَ مِنَ ٱلطَّيِّبِۗ وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُطْلِعَكُمْ عَلَى ٱلْغَيْبِ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ يَجْتَبِى مِن رُّسُلِهِۧ مَن يَشَآءُۖ فَئَامِنُواۡ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۧۚ وَإِن تُؤْمِنُواۡ وَتَتَّقُواۡ فَلَكُمْ أَجْرٌ عَظِيمٌ
অসৎকে সৎ থেকে পৃথক না করা পর্যন্ত তোমরা যে অবস্থায় আছ, আল্লাহ মু’মিনদেরকে সে অবস্থায় ছেড়ে দিতে পারেন না এবং আল্লাহ তোমাদেরকে গায়িবের বিধান জ্ঞাত করেন না, তবে আল্লাহ তাঁর রাসূলগণের মধ্যে যাকে ইচ্ছে বেছে নেন, কাজেই তোমরা আল্লাহ এবং তাঁর রসূলগণের প্রতি ঈমান আন। যদি তোমরা ঈমান আন আর তাকওয়া অবলম্বন কর, তাহলে তোমাদের জন্য আছে মহাপুরস্কার।
....
সুবহানাল্লাহ! আমাদের রব তো সত্যই বলেছেন।
আমরা তো আগে এই অপবিত্র অসৎ মুনাফিকদের চিনতাম না। তাদেরকে তো আমাদেরই ভাই ভাবতাম। কিন্তু যেই না আমাদের উপর দূরাবস্তা আপতিত হলো তখন কতো কতো শায়খ আর আলেমই না নির্যাতিত মুসলিমদের বিপক্ষে, মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিচ্ছে। শাসকদের থেকে ডলার আর রিয়ালের আশায় জিহাদকে সন্ত্রাস বলছে (লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)।
এই শায়খ আর আলেমদেরকেই তো দেখতাম জিহাদের কথা বলছে আজ থেকে ৫, ৮, কিংবা ১০বছর আগে।কিন্তু আজ? ত্বাগুত শাসকদের সাথে ডিনার করছে।
আমাদের রব যেভাবে শাসকদেরকে আমাদের থেকে পৃথক করে কুফফারদের সাথী বানিয়ে দিলেন ঠিক সেভাবেই নেফাকে অপবিত্র আলিম আর শায়খদেরও আলাদা করে দিচ্ছেন। এখন তো তর্জনি দিয়ে ওদের দিকে ইশারা দিয়েও বলতে পারছে যে "হে অমুক তুমি মুনাফিক, রাজদরবারের শায়খ।
আল্লাহ আপনে সত্যই বলেছেন। আপনি কতোই না পবিত্র।
আমরা তো তাদের চিনতাম না, জানতাম না। আপনিই চিনিয়ে দিলেন এদের। নিশ্চয় আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী ।
Comment