কাফিরদের বুং বাং, মুমিনদের ইমান।

[নুরুদ্দিন]

"সন্ত্রাসীদের মূলোৎপাটন করা হবে। মৌলবাদীদের সকল অপতৎপরতা রুখে দিতে আমাদের পুলিশ বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী, র*্যাব, সংবাদকর্মী, আমাদের সরকার, অমুক, তমুক সবাই একত্র হচ্ছে। সবাই আজ জঙ্গিদের বিরুধ্যে রুখে দাড়াচ্ছে। এদেশে জঙ্গিরা সফল হবে না। জঙ্গিবাদ রুখে দিতে আমাদের পাশে অমুক দেশের সরকার সর্বদা থাকবে। জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে সরকার! জিরো টলারেন্স" এ আছে। ওদের আ___র নিস্তার নাই! "

এরকম শত সহস্র মুখের বুলি আউড়ানো এখন ত্বাগুদ, ত্বাগুদের গোলাম, আর ত্বাগুদের রক্ষকদের অতিব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হয়ে দাড়িয়েছে।
আর তাদের এইসব বুং বাং এ কতোই শায়খ আর আলিমেরই না ভয়ে চোখ বের হয়ে আসার উপক্রম।
এদেরকেই যখন বলা হয় আসো কাফেলাবদ্ধ হয়! অন্তত পক্ষে নিজেদের প্রতিরক্ষার প্রাচীর তো মজবুত করা দরকার। তখন তাদের বলতে শোনা যায়, "সাবধান, সাবধান, আমাদের হাতে কিছুই নেই। শত্রুদের হাতে এটা সেটা, মিডিয়া, যুদ্ধজাহাজ, ড্রোন আরো কতো কি। "
মূলত এই ভয়ভীতি শয়তানের পক্ষ থেকেই। শয়তানই মুসলিমদের তার পাপিষ্ঠ বন্ধুদের ভয় দেখায়। এতে মুনাফিকরা বিচলিত হয়ে জিহাদ অপছন্দ করলেও প্রকৃত মুমিনদের ইমান বরং আরো বেড়ে যায়। একই অবস্থা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ছাত্র সাহাবাদের বেলায়ও।
কোরআন দিচ্ছে সেই অবস্থার বিবরণ ; (আলে ইমরানঃ১৭৪-৭৫)

ٱلَّذِينَ قَالَ لَهُمُ ٱلنَّاسُ إِنَّ ٱلنَّاسَ قَدْ جَمَعُواۡ لَكُمْ فَٱخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَٰنًا وَقَالُواۡ حَسْبُنَا ٱللَّهُ وَنِعْمَ ٱلْوَكِيلُ

যাদেরকে লোকে খবর দিয়েছিল যে, একটা বড় বাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে জড় হচ্ছে, কাজেই তাদেরকে ভয় কর। তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে দিল এবং তারা বলল, ‘আমাদের জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট এবং তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক!’

فَٱنقَلَبُواۡ بِنِعْمَةٍ مِّنَ ٱللَّهِ وَفَضْلٍ لَّمْ يَمْسَسْهُمْ سُوٓءٌ وَٱتَّبَعُواۡ رِضْوَٰنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَظِيمٍ

অতঃপর তারা আল্লাহর নি‘মাত ও অনুগ্রহসহ ফিরে আসল, কোনও প্রকার অনিষ্ট তাদেরকে স্পর্শ করেনি, তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির অনুসরণ করেছিল এবং আল্লাহ মহাকল্যাণময়।"

সুবহানাল্লাহ! মুনাফিকরা পিছু হটলেও মুমিনরা জিহাদের পথে অটল থাকবেই। এবং তারা আল্লাহর অনুগ্রহ পেয়ে ধন্য হবেই।
আর কাফির ত্বাগুদদের ক্ষমতা, দম্ভের যে ভয় ছিল তার উৎস কী?
আল্লাহ বলেন ; (আলে ইমরানঃ১৭৬)

إِنَّمَا ذَٰلِكُمُ ٱلشَّيْطَٰنُ يُخَوِّفُ أَوْلِيَآءَهُ*و فَلَا تَخَافُوهُمْ وَخَافُونِ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

এ লোকেরা হচ্ছে শয়ত্বান; তোমাদেরকে তার বন্ধুদের ভয় দেখায়, তোমরা তাদেরকে ভয় করো না, আমাকেই ভয় কর, যদি তোমরা মু’মিন হও।

ওয়াল্লাহি! আজকে যে ভয় দেখানো হচ্ছে। যেভাবে কাফিরদের শক্তি, সামর্থ, একতার কথা বলা হচ্ছে তা মুনাফিকদের জন্য ভীতিকর হলেও প্রকৃত মুমিনদের জন্য ইমান মজবুতির বাক্য শুনা ছাড়া কিছুই নয়।
কাজেই ;


يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواۡ ٱصْبِرُواۡ وَصَابِرُواۡ وَرَابِطُواۡ وَٱتَّقُواۡ ٱللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ


হে মু’মিনগণ! ধৈর্য অবলম্বন কর, দৃঢ়তা প্রদর্শন কর, নিজেদের প্রতিরক্ষাকল্পে পারস্পরিক বন্ধন মজবুত কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
(আলে ইমরানঃ২০০)

[হেলাল]

জাযাকাল্লাহ।।।
আল্লাহ তায়ালা ভাইকে শহিদ হিসাবে কবুল করুন,আমিন।

[ফানা ফিল্লাহ]

ভয় দেখাবে মুমিনরা আর তা গ্রহন করবে মুনাফিক ও কাফেররা। সুতরাং মুমিনদের কোন ভয় নাই, কারন পরম করুনাময় দয়াশীল আল্লাহ আছে আমাদের সাথে ।
এগিয়ে চল মুজাহিদ ভায়েরা আমাদের সাথে নিয়ে ।

[বদর মানসুর]

ভাই,খুব উপকারী পোষ্ট।
আল্লাহ সুবঃ আপনার 'ইলমে বারাকাহ দান করুন,আমীন।

[খুররাম আশিক]

আসলে এদেশের মুসলিমরা প্রকৃত দ্বীন কি তা বুঝে নাই, বা বুঝার মত পরিবেশও তাদের যাওয়ার সুযোগ হয়নি। সাধারণ মানুষদের মধ্য থেকে মুনাহিক তৈরী হয়। প্রথমে সাধারণ মুসলিমকে সঠিক দ্বীন বুঝা থেকে দূরে রাখে। সে আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগুই, একটা রাজনীতি দল করা শুরু করে, এরপর পর্যায়ে সে একজন নেতা হয়, এরপর সে কুফরি শাসনকেই মনে দ্বীনী শাসন। আর যারা প্রকৃত দ্বীনের কাজ করে তাদেরকে সন্ত্রাসী বলতে থাকে। এভাবে শুরু হয় দ্বীন থেকে সরে যাওয়ার ইতিহাস। আজ যেখান থেকে ছহিহ দ্বীন শিখার কথা সেখান থেকেই ভুল দ্বীন শিখছে! আমাদের উলামারাকি মুজাজিদিনদের জঙ্গি বলেনি??? হলিতে আক্রমণ এর পরে সারা দেশে মানব বন্ধন হলো জঙ্গিবাদের বিরোদ্ধে। তাহলে আমাদের আলিমরা কি বুঝাতে চাচ্ছে??? কাফের হত্যা করা কি জিহাদ নয়। হলিতে যাদের হত্যা করা হয়েছে প্রত্যেকটার সরকার ই আফগানে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলো। কিন্তু আমাদের উলামারা নিজেদের পাক পবিত্র বুঝাতে এক অভিনব ট্রাউট করলো।