আল কোরআন মানবজাতির জীবনবিধান সম্বলিত এক মহাগ্রন্থ। যাতে সংশয়-সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। যা সকল প্রশংসার অধিকারী, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময় আল্লাহর পক্ষ হতে সমস্ত মানবজাতির হিদায়াতের জন্যে অবতির্ণ। যে কিতাবের জ্যৈাতিময়ী পথনির্দেশনা, কল্যাণধর্মী ফায়সালা, সত্যসন্ধানী প্রচারণা মানবজাতির সামনে দ্বিপ্রহরের সূর্য়ের ন্যায় উজ্জ্বল। সত্যসন্ধানী বিবেকের জন্যে যা সুস্পষ্ট পথ-নির্দেশক আর মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণকারীদের জন্যে এ কিতাব বিপথগামী। কোরআনের ভাষায়:
কোরআনের বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে এটিও একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য যে, কোরআন আল্লাহর সাথে সততার পরিচয় দানকারী, সত্যের অনুসারীদেরকে যেভাবে হিদায়াতের পথে পরিচালিত করে। ঠিক তদ্রুপ বিপরীত দিক হতে মিথ্যাবাদী ও মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণকারীদেরকে বিভিন্ন ভ্রান্তির বেড়াজালে আটকে দেয়। যদ্দরূণ এক সময় তারা হিদায়েতের পথ হতে ছিটকে গিয়ে শয়তানের পাতানো ফাঁদে আটকা পড়ে। শয়তানের কূট-কৌশল আর ধোকায় ধরাশয়ী হয়ে যায়। আর তখন শয়তান তাদের নিয়ে খেলা করে। তাদের অশুভ কৃতকর্মকে তাদের দৃষ্টি গোচরে শোভন করে দেয়।
এখন আমরা কোরআনের উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যের একটি যৌক্তিক দৃষ্টান্ত পেশ করবো। আর তখন সত্যবাদীদের জন্যে কোরআন কেন হিদায়াতের আলোক মশাল আর মিথ্যাবাদীদের জন্যে কেন তা বিপথগামীতার মাধ্যম এর কারণ আমাদের কাছে সুস্পষ্ট হবে। ইনশাল্লাহ।
আমরা জানি একজন ডাক্তারের দায়িত্ব হলো রোগীর আরোগ্যতার লক্ষ্যে সঠিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা। রোগীর রোগ বুঝে সঠিক পথ্য-ফেকসিফশন লিখে দেয়া। এখন ধরে নিন যে, একজন ডাক্তার রোগীর সঠিক চিকিৎসা সেবাই প্রদান করল। রোগীর জন্যে যথাপোযুক্ত ঔষধ সামগ্রী লিখে দিল। সুতরাং এখানে ডাক্তারের প্রদানকৃত ফেকসিফশন ও ঔষধ সামগ্রী রোগীর জন্যে সঠিক পথ-নির্দেশক। এই তো? তাহলে এখন রোগীর জন্যে প্রধান ও প্রথমত করণীয় হলো ডাক্তারের পদত্ত নির্দেশনার ওপর আস্তা ও বিশ্বাস রাখা। দ্বিতীয়ত করণীয় হলো ডাক্তারের লিখিত দিক-নির্দেশনা অনুযায়ি ঔষধ সেবন করা। যা কিনা বাস্তবতার বিচারে রোগীর আরোগ্যতার জন্যে হেদায়েতেরই আলোক মশাল।
কিন্তু রোগী যদি মনে করেন, ডাক্তার সাহেব আমার আরোগ্যতার জন্যেই যেহেতু ঔষধগুলো আমাকে সেবন করতে দিয়েছেন সুতরাং দ্রুত সুস্থতার জন্যে আজই সব ঔষধগুলো খেয়ে নেই? কিংবা সেবন করলেই যেহেতু হয় তাই ফেকশিফশন রোল মানার কিসের প্রয়োজন? যখন যে ঔষধ খেতে ইচ্ছে হয় তখন সেটিই সেবন করব। কিংবা তিক্ত ঔষধ সেবন যেহেতু বিরক্তি কর, তাই মিষ্টি ঔষধটিই শুধু সেবন করি? যাক রোগী যদি কোনো কারণে তখন প্রবঞ্চণার শিকার হয় তবে বাস্তবতার বিচারে ডাক্তারের ফেকসিফশন আর তার জন্যে পথ-নির্দেশনা বা হেদায়েতের ভূমিকা পালন করবে না। ডাক্তারের ফেকসিপশন তার কোনো উপকারেই আসবে না। উল্টো তখন সে বিপথে পা বাড়াবে।
ঠিক তদ্রুপ কোরআনুল কারীমও মানবজাতির জন্যে যেহেতু আল্লাহ পদত্ত এক ঐশী ফেকসিফশন। তাই মুসলিমজাতির জন্যে করণীয় ছিল একজন পাজ্ঞ-বিজ্ঞ ডাক্তারের *ফ্রেকসিফশনকে যতটুক না গুরুত্ব দেওয়া, তার চেয়ে বহুগুন বেশি মানবজাতির জীবন সমস্যার ফেকসিফশন আল কোরআনকে মূল্যায়ন করা। এ কোরআনকে হাতে নিয়ে চুমু খাওয়া। এ কোরআনের বাস্তবধর্মী দিকনির্দেশনা দ্বারা নিজেদের জীবনকে পুরোই রাঙিয়ে ফেলা। এ দুনিয়ার প্রতিটি বনী আদমকে কোরআনের সাম্যবাদের প্রতি আকৃষ্ট করা। এ কোরআনকে প্রতিষ্টিত করার জন্যে জীবনের প্রতিটি মুহুর্তকে উজাড় করা দেওয়া। এ কোরআনের বিধান দ্বারাই নিজেদের জীবনের মামলা-মুকাদ্দামা নিষ্পত্তি করা।
কিন্তু মুসলিমজাতি আজ তাদের দায়-দায়িত্বের কথা পুরোই ভুলে গিয়েছে। তারা আল্লাহর সম্মান, আল্লাহর কিতাবের সম্মান আস্তাখোড়ে নিক্ষেপ করেছে। দুনিয়ার মোহ-মায়ার প্রতি মুসলিমজাতি আজ এমনই লালায়িত যে, এদেরকে দেখলে মনেই হবে না এরা ঐশী গ্রন্থ আল কোরআনের ধারক-বাহক। এ দুনিয়ায় আল্লাহর মনোনিত প্রতিনিধি। কুকুর যেমন সামান্য হাড্ডি-ঝোটুর জন্যে লালায়িত হয়ে হাড্ডি-ঝোটুর প্রতি এক ধরনের অভিনব দৃষ্টিতে থাকিয়ে থাকে ঠিক তদ্রুপ মুসলিমজাতিটিও আজ দুনিয়ার কিঞ্চিৎ আরাম-আয়েশ কৃত্রিম বিত্ত-ভৈববের প্রতি এমন লালায়িত যে, শিগাল-কুকুরের সব ধরনের আচার-আচরণই তাদের থেকে প্রকাশ পাচ্ছে। চলমান দুনিয়ায় এ জাতিটিকে কোনো যুক্তির আলোকেই আদর্শিক জাতি বলা যাবে না।
স্বর্ণ যত দামি আর মূল্যবান পদার্থই হোক না কেন? যতক্ষণ এ প্রদার্থটিকে ভেজাল মুক্ত করা না হবে। স্বর্ণের সরলতার সুযোগে এ পদার্থটির অস্তিতের সাথে জড়িয়ে পড়া খাত যতদিন না বিদূরিত করা হবে, ততদিন শুধু নাম আর জষেই প্রদার্থটির পরিচয় পর্ব বাকি থাকবে। কিন্তু বাস্তব কার্যকারিতার ক্ষেত্রে খাত যুক্ত এ স্বর্ণের কোনো মূল্য নেই। ঠিক তদ্রুপ মুসলিমজাতি সত্তার পরিচয়টি সাধারণ কোনো পরিচয় নয়। বরং তা স্বর্ণের চেয়ে আরো বহুগুন দামি একটি পরিচয়। মুসলিম জাতিসত্তা নামক পদার্থটি সাধারণ কোনো পদার্থ নয়। বরং তা হিরে, মানিক, মক্তার চেয়ে আরো দামি কোনো পদার্থ। কিন্তু হবে কি? স্বর্ণের চেয়েও দামি জাতিটি যে আজ সে উক্তিরই বাস্তব প্রতিচ্ছবি “সর্বাঙ্গেই ব্যথা ঔষধ দিব কোন যায়গা”। হিরে মানিক মুক্তার চেযে দাবি এ পদার্থেয় আজ সব অপদার্থের যায়গা।
অতচ মুসলিম জাতিসত্তার পরিচয় ধারণ করা কোনো কথার কথা নয়। মুসলিম জাতিসত্তার সাথে নিজ সম্পর্কের দাবি তুলা কোনো চাট্টিখানি বিষয় নয়। আমাদের জাতিরপিতা হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো আমাদেরকে আনুষ্ঠানিক মুসলিম হওয়ার জন্যে, মুসলিম জাতিসত্তার পরিচয়টি দিয়ে যাননি? আল্লাহ তো আমাদেরকে চুল-দাড়ি কেটে, গোপ্তাঙ্গের খৎনাকাজ সেরেই কেবল মুসলিম হতে বলেননি? সুতরাং আমাদেরকে জাতীয় পরিচয় পত্রের বিচারে মুসলিম হলে চলবে না। আমাদেরকে মিল্লাতে ইব্রহিমের অনুসারি মুসলিম হতে হবে। তাওহীদবাদি মুসলিম হতে হবে। যাক, আল্লাহ আমাদের সকলকে প্রকৃত মুসলিম হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন!
يُضِلُّ بِهِ كَثِيرًا وَيَهْدِي بِهِ كَثِيرًا وَمَا يُضِلُّ بِهِ إِلَّا الْفَاسِقِينَ
এ কোরআনের মাধ্যমে অনেকই পথভ্রষ্ট হবে আর এ কোরআনের মাধ্যমে অনেকেই সুপথ পাবে। পাপাচারী ছাড়া অন্য কেউ এ কোরআনের মাধ্যমে পথভ্রষ্ট হবে না। (সূরা বাকারা: ২৬)لِيَهْلِكَ مَنْ هَلَكَ عَنْ بَيِّنَةٍ وَيَحْيَى مَنْ حَيَّ عَنْ بَيِّنَةٍ وَإِنَّ اللَّهَ لَسَمِيعٌ عَلِيمٌ
যে ধ্বঃস হয় সে দলিলের আলোকেই ধ্বঃস হয়। আর যে বেঁচে থাকে সে দলিলের উপরই বেঁচে থাকে। নিশ্চই আল্লাহ তায়ালা সর্বজ্ঞ ও সর্বশ্রোতা। (সূরা আনফাল: ৪২)কোরআনের বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে এটিও একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য যে, কোরআন আল্লাহর সাথে সততার পরিচয় দানকারী, সত্যের অনুসারীদেরকে যেভাবে হিদায়াতের পথে পরিচালিত করে। ঠিক তদ্রুপ বিপরীত দিক হতে মিথ্যাবাদী ও মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণকারীদেরকে বিভিন্ন ভ্রান্তির বেড়াজালে আটকে দেয়। যদ্দরূণ এক সময় তারা হিদায়েতের পথ হতে ছিটকে গিয়ে শয়তানের পাতানো ফাঁদে আটকা পড়ে। শয়তানের কূট-কৌশল আর ধোকায় ধরাশয়ী হয়ে যায়। আর তখন শয়তান তাদের নিয়ে খেলা করে। তাদের অশুভ কৃতকর্মকে তাদের দৃষ্টি গোচরে শোভন করে দেয়।
এখন আমরা কোরআনের উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যের একটি যৌক্তিক দৃষ্টান্ত পেশ করবো। আর তখন সত্যবাদীদের জন্যে কোরআন কেন হিদায়াতের আলোক মশাল আর মিথ্যাবাদীদের জন্যে কেন তা বিপথগামীতার মাধ্যম এর কারণ আমাদের কাছে সুস্পষ্ট হবে। ইনশাল্লাহ।
আমরা জানি একজন ডাক্তারের দায়িত্ব হলো রোগীর আরোগ্যতার লক্ষ্যে সঠিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা। রোগীর রোগ বুঝে সঠিক পথ্য-ফেকসিফশন লিখে দেয়া। এখন ধরে নিন যে, একজন ডাক্তার রোগীর সঠিক চিকিৎসা সেবাই প্রদান করল। রোগীর জন্যে যথাপোযুক্ত ঔষধ সামগ্রী লিখে দিল। সুতরাং এখানে ডাক্তারের প্রদানকৃত ফেকসিফশন ও ঔষধ সামগ্রী রোগীর জন্যে সঠিক পথ-নির্দেশক। এই তো? তাহলে এখন রোগীর জন্যে প্রধান ও প্রথমত করণীয় হলো ডাক্তারের পদত্ত নির্দেশনার ওপর আস্তা ও বিশ্বাস রাখা। দ্বিতীয়ত করণীয় হলো ডাক্তারের লিখিত দিক-নির্দেশনা অনুযায়ি ঔষধ সেবন করা। যা কিনা বাস্তবতার বিচারে রোগীর আরোগ্যতার জন্যে হেদায়েতেরই আলোক মশাল।
কিন্তু রোগী যদি মনে করেন, ডাক্তার সাহেব আমার আরোগ্যতার জন্যেই যেহেতু ঔষধগুলো আমাকে সেবন করতে দিয়েছেন সুতরাং দ্রুত সুস্থতার জন্যে আজই সব ঔষধগুলো খেয়ে নেই? কিংবা সেবন করলেই যেহেতু হয় তাই ফেকশিফশন রোল মানার কিসের প্রয়োজন? যখন যে ঔষধ খেতে ইচ্ছে হয় তখন সেটিই সেবন করব। কিংবা তিক্ত ঔষধ সেবন যেহেতু বিরক্তি কর, তাই মিষ্টি ঔষধটিই শুধু সেবন করি? যাক রোগী যদি কোনো কারণে তখন প্রবঞ্চণার শিকার হয় তবে বাস্তবতার বিচারে ডাক্তারের ফেকসিফশন আর তার জন্যে পথ-নির্দেশনা বা হেদায়েতের ভূমিকা পালন করবে না। ডাক্তারের ফেকসিপশন তার কোনো উপকারেই আসবে না। উল্টো তখন সে বিপথে পা বাড়াবে।
ঠিক তদ্রুপ কোরআনুল কারীমও মানবজাতির জন্যে যেহেতু আল্লাহ পদত্ত এক ঐশী ফেকসিফশন। তাই মুসলিমজাতির জন্যে করণীয় ছিল একজন পাজ্ঞ-বিজ্ঞ ডাক্তারের *ফ্রেকসিফশনকে যতটুক না গুরুত্ব দেওয়া, তার চেয়ে বহুগুন বেশি মানবজাতির জীবন সমস্যার ফেকসিফশন আল কোরআনকে মূল্যায়ন করা। এ কোরআনকে হাতে নিয়ে চুমু খাওয়া। এ কোরআনের বাস্তবধর্মী দিকনির্দেশনা দ্বারা নিজেদের জীবনকে পুরোই রাঙিয়ে ফেলা। এ দুনিয়ার প্রতিটি বনী আদমকে কোরআনের সাম্যবাদের প্রতি আকৃষ্ট করা। এ কোরআনকে প্রতিষ্টিত করার জন্যে জীবনের প্রতিটি মুহুর্তকে উজাড় করা দেওয়া। এ কোরআনের বিধান দ্বারাই নিজেদের জীবনের মামলা-মুকাদ্দামা নিষ্পত্তি করা।
কিন্তু মুসলিমজাতি আজ তাদের দায়-দায়িত্বের কথা পুরোই ভুলে গিয়েছে। তারা আল্লাহর সম্মান, আল্লাহর কিতাবের সম্মান আস্তাখোড়ে নিক্ষেপ করেছে। দুনিয়ার মোহ-মায়ার প্রতি মুসলিমজাতি আজ এমনই লালায়িত যে, এদেরকে দেখলে মনেই হবে না এরা ঐশী গ্রন্থ আল কোরআনের ধারক-বাহক। এ দুনিয়ায় আল্লাহর মনোনিত প্রতিনিধি। কুকুর যেমন সামান্য হাড্ডি-ঝোটুর জন্যে লালায়িত হয়ে হাড্ডি-ঝোটুর প্রতি এক ধরনের অভিনব দৃষ্টিতে থাকিয়ে থাকে ঠিক তদ্রুপ মুসলিমজাতিটিও আজ দুনিয়ার কিঞ্চিৎ আরাম-আয়েশ কৃত্রিম বিত্ত-ভৈববের প্রতি এমন লালায়িত যে, শিগাল-কুকুরের সব ধরনের আচার-আচরণই তাদের থেকে প্রকাশ পাচ্ছে। চলমান দুনিয়ায় এ জাতিটিকে কোনো যুক্তির আলোকেই আদর্শিক জাতি বলা যাবে না।
স্বর্ণ যত দামি আর মূল্যবান পদার্থই হোক না কেন? যতক্ষণ এ প্রদার্থটিকে ভেজাল মুক্ত করা না হবে। স্বর্ণের সরলতার সুযোগে এ পদার্থটির অস্তিতের সাথে জড়িয়ে পড়া খাত যতদিন না বিদূরিত করা হবে, ততদিন শুধু নাম আর জষেই প্রদার্থটির পরিচয় পর্ব বাকি থাকবে। কিন্তু বাস্তব কার্যকারিতার ক্ষেত্রে খাত যুক্ত এ স্বর্ণের কোনো মূল্য নেই। ঠিক তদ্রুপ মুসলিমজাতি সত্তার পরিচয়টি সাধারণ কোনো পরিচয় নয়। বরং তা স্বর্ণের চেয়ে আরো বহুগুন দামি একটি পরিচয়। মুসলিম জাতিসত্তা নামক পদার্থটি সাধারণ কোনো পদার্থ নয়। বরং তা হিরে, মানিক, মক্তার চেয়ে আরো দামি কোনো পদার্থ। কিন্তু হবে কি? স্বর্ণের চেয়েও দামি জাতিটি যে আজ সে উক্তিরই বাস্তব প্রতিচ্ছবি “সর্বাঙ্গেই ব্যথা ঔষধ দিব কোন যায়গা”। হিরে মানিক মুক্তার চেযে দাবি এ পদার্থেয় আজ সব অপদার্থের যায়গা।
অতচ মুসলিম জাতিসত্তার পরিচয় ধারণ করা কোনো কথার কথা নয়। মুসলিম জাতিসত্তার সাথে নিজ সম্পর্কের দাবি তুলা কোনো চাট্টিখানি বিষয় নয়। আমাদের জাতিরপিতা হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো আমাদেরকে আনুষ্ঠানিক মুসলিম হওয়ার জন্যে, মুসলিম জাতিসত্তার পরিচয়টি দিয়ে যাননি? আল্লাহ তো আমাদেরকে চুল-দাড়ি কেটে, গোপ্তাঙ্গের খৎনাকাজ সেরেই কেবল মুসলিম হতে বলেননি? সুতরাং আমাদেরকে জাতীয় পরিচয় পত্রের বিচারে মুসলিম হলে চলবে না। আমাদেরকে মিল্লাতে ইব্রহিমের অনুসারি মুসলিম হতে হবে। তাওহীদবাদি মুসলিম হতে হবে। যাক, আল্লাহ আমাদের সকলকে প্রকৃত মুসলিম হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন!
Comment