সূরা আল ইমরানের ১৮০ নং আয়াতে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন –
কিছু কিছু দিক দিয়ে আমরা সবাই একইরকম। আমাদের সবাইকে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তার রহমত ও নিয়ামত দান করেছেন, বেশি হোক আর কম হোক। আমরা সবাই ভালোবাসি আমাদের যতটুকু আছে তার চাইতে আরো বেশী পেতে। মুখে আমরা যাই বলি না কেন – যখন আমাদের নিজের কোন জিনিস ত্যাগ করতে হয়, তখন আমরা সবাই সামান্য হলেও দ্বিধা বোধ করি। এবং আমরা সবাই খুব ভালোমতো বুঝি আল্লাহর জন্য কোন ত্যাগ স্বীকার করার গুরুত্ব কী ও এর মূল্য কত বড়। এটা হতে পারে সেটা দরিদ্রকে অর্থ-সম্পদের মাধ্যমে সাহায্য করা, কিংবা হতে পারে আল্লাহর পথে অন্য কোন ত্যাগ স্বীকার করা। আমরা আমাদের এই উপলব্ধি অনুসারে কাজ করি বা না করি, আমাদের এই উপলব্ধিগুলো সার্বজনীন।
এই উপলব্ধিকে কাজে পরিণত করা এবং মনের দ্বিধা-দ্বন্দ্বগুলো ঝেড়ে ফেলার সবচেয়ে সহজ উপায় কি?
সবচাইতে সহজ উপায় হল, দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ধাপে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার যেই নিয়ামতগুলো আপনি ভোগ করছেন সেগুলো এক এক করে গুণতে শুরু করুন। সেটা হতে পারে মনে মনে, মুখে মুখে, বা কাগজে লিখে; সকাল থেকে রাত পর্যন্ত, প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার যেই নিয়ামতগুলো আপনি ভোগ করছেন তার একটা লিস্ট বানানো শুরু করে দিন। সবচেয়ে ছোট এবং আপাত দৃষ্টিতে অগুরুত্বপূর্ণ নিয়ামতটাও লিস্টে টুকে রাখুন...
ভাবুন আপনার জীবন নিয়ে, আপনার প্রতিটি নিঃশ্বাস, আপনার দৃষ্টিশক্তি এবং আপনার শরীর সম্পর্কিত সব কিছু -আপনার বাড়ি-গাড়ি, পোষাক-আশাক, খাবার এবং সব ধরণের সম্পদ - আপনার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, কাজকর্ম, মসজিদ এবং আপনার সমাজ ও সামাজিকতা। ভাবুন আপনার স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াবার ক্ষমতা – জীবনের আনন্দের মুহূর্তগুলো - আপনার প্রতি আপনার স্বামী বা স্ত্রীর ভালোবাসা – ইসলাম – বিশুদ্ধ বাতাস – ঠাণ্ডা পানি –আপনার নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার অনুভূতি – যেই দয়া, উদারতা ও ভালোবাসা আপনি অন্য মানুষের কাছ থেকে পেয়ে থাকেন। আপনি খেয়াল করে দেখেবেন, প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে এরকম অসংখ্য নিয়ামত আপনি ভোগ করছেন, যেগুলো লিখে শেষ করা যাবে না।
কিছুদিন আগে আমি একটা ম্যাগাজিন আর্টিকেল পড়ছিলাম, যেটাতে ইন্ডিয়া ও আফ্রিকার কিছু জায়গায় পানি স্বল্পতার জন্য কি কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এসব জায়গাতে, প্রতিদিন সকালে, প্রত্যেক পরিবারের মায়েরা হেঁটে ছয় ঘণ্টার পথ পাড়ি দেওয়ার পর এক কলসী পানি পান, তারপর তারা সেটা বয়ে আনেন, এবং তারপর সেই এক কলসী পানি দিয়ে পুরো পরিবারের খাওয়া, গোসল ও রান্নার কাজ সারতে হয়, কেননা পানির আর কোন উৎস তাদের হাতের নাগালে নেই!
আর আমি কারাগারে সেলে আছি তাতে কি? শুধু উঠে দাড়িয়ে দু’পা হেটে গিয়ে বেসিনের একটা বোতাম চাপলেই, সেকেন্ডের ব্যাবধানে ইচ্ছামতো বিশুদ্ধ, ঠাণ্ডা পানি পেতে পারি। প্রথম দৃষ্টিতে আপনাদের কাছে হয়তো এটাকে একটা অভিশাপ মনে হবে, কারণ আমি কারাগারে। কিন্তু সেইসব মায়েদের সাথে তুলনা করুন একবার – যারা এত সহজে বিশুদ্ধ পানি পাবার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না – তখনই বোঝা যায়, কারাগারে সেলে বসেও আমি প্রতিদিন যেসব নিয়ামত ভোগ করছি তার মধ্যে এই পানি একটি। চিন্তা করে দেখুন,জেলে বসে আমি যদি এরকম নিয়ামত ভোগ করি, তাহলে বাইরের স্বাধীন, মুক্ত জীবনে আপনার নিয়ামতের লিস্ট কতো লম্বা হবে!
কাজেই এই নিয়ামতগুলোর তালিকা তৈরি করে ফেলুন। লিস্ট যতো বড় হবে আপনি ততো গভীরভাবে উপলব্ধি করবেন, আপনার চোখের সামনে থেকেও কত কী আপনার নজর এড়িয়ে গেছে। আপনার নাকের ডগায় থাকা সত্ত্বেও এতদিন কি নিয়ে আপনি সামান্যতম চিন্তাটুকুও করেননি। এবং তারপর আপনি উপলব্ধি করবেন, আপনি এই সব কোনকিছু পাবারই যোগ্য নন। এসব কিছুই আপনার প্রতি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার রহমত, যা তিনি তাঁর অসীম করুনার বশে আপনাকে দান করেছেন। এর কোনটার উপরই আপনার কোন অধিকার নেই। এবং আপনি যখন আপনার লিস্টের উপর বারবার চোখ বোলাবেন এবং দেখতে পাবেন, কিভাবে আপনার শত অযোগ্যতা সত্ত্বেও আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তার অসীম ভালোবাসা, উদারতা ও করুনায় আপনাকে একটার পর একটা নিয়ামত দান করেছেন – তখন আপনি আপনার হৃদয় ও মনে পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
মানুষের স্বভাব হল, তার সাথে যেমন ব্যবহার করা হয়, অন্যের সাথে সে তেমনই ব্যবহার করে। সারাজীবন যদি আপনার সাথে খারাপ ব্যাবহার করা হয় তাহলে আপনার স্বাভাবিক প্রবণতা হবে মানুষের সাথে রুক্ষ ব্যবহার করা, কারণ আপনি তেমনটাই শিখে এসেছেন। একইভাবে আপনার সারাজীবন যদি আপনি উদারতা, দয়া ও করুণার পেয়ে আসেন, তাহলে আপনি মানুষের সাথে সেভাবেই আচরণ করবেন; কারণ আপনি সেই শিক্ষাই পেয়েছেন। আমাদের সমস্যা হল, আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা প্রতিনিয়ত আমাদের দয়া, করুনা ও উদারতা দেখাচ্ছেন – প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতিটি সেকেন্ডে – কিন্তু বেশীর ভাগ সময়ই আমরা এটা মনে রাখি না, কিংবা মনে রাখলেও এই করুনার পরিধি ও মাত্রা নিয়ে চিন্তা করি না।
তাই আমাদের উদার ও দানশীল হবার পথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সুক্ষ বাঁধাটি হল, আমাদের প্রতি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দয়া ও করুণা সম্পর্কে আমাদের উদাসীনতা। যতো বেশী আপনি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নিয়ামতগুলোকে আবিষ্কার করবেন, গুণতে থাকবেন – এবং আপনি যতো উপলব্ধি করবেন যে এই অসংখ্য নিয়ামতের কোনটারই যোগ্য আপনি নন – আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত থেকে অপরকে সাহায্য করার আকাঙ্ক্ষা আপনি তত বেশি অনুভব করবেন। উদারতা ও দানশীলতাকে ভালবাসতে শেখার সবচেয়ে সহজ উপায় এটাই।
طارق مهنا
তারিক মেহান্না
প্লাইমাউথ কারেকশনাল ফ্যাসিলিটি
আইসোলেশন ইউনিট- সেল #১০৮
“এবং তারা যেন কিছুতেই মনে না করে যে আল্লাহ্ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তাতে কৃপণতা করলে তাদের ভালো হবে...”
কিছু কিছু দিক দিয়ে আমরা সবাই একইরকম। আমাদের সবাইকে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তার রহমত ও নিয়ামত দান করেছেন, বেশি হোক আর কম হোক। আমরা সবাই ভালোবাসি আমাদের যতটুকু আছে তার চাইতে আরো বেশী পেতে। মুখে আমরা যাই বলি না কেন – যখন আমাদের নিজের কোন জিনিস ত্যাগ করতে হয়, তখন আমরা সবাই সামান্য হলেও দ্বিধা বোধ করি। এবং আমরা সবাই খুব ভালোমতো বুঝি আল্লাহর জন্য কোন ত্যাগ স্বীকার করার গুরুত্ব কী ও এর মূল্য কত বড়। এটা হতে পারে সেটা দরিদ্রকে অর্থ-সম্পদের মাধ্যমে সাহায্য করা, কিংবা হতে পারে আল্লাহর পথে অন্য কোন ত্যাগ স্বীকার করা। আমরা আমাদের এই উপলব্ধি অনুসারে কাজ করি বা না করি, আমাদের এই উপলব্ধিগুলো সার্বজনীন।
এই উপলব্ধিকে কাজে পরিণত করা এবং মনের দ্বিধা-দ্বন্দ্বগুলো ঝেড়ে ফেলার সবচেয়ে সহজ উপায় কি?
সবচাইতে সহজ উপায় হল, দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ধাপে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার যেই নিয়ামতগুলো আপনি ভোগ করছেন সেগুলো এক এক করে গুণতে শুরু করুন। সেটা হতে পারে মনে মনে, মুখে মুখে, বা কাগজে লিখে; সকাল থেকে রাত পর্যন্ত, প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার যেই নিয়ামতগুলো আপনি ভোগ করছেন তার একটা লিস্ট বানানো শুরু করে দিন। সবচেয়ে ছোট এবং আপাত দৃষ্টিতে অগুরুত্বপূর্ণ নিয়ামতটাও লিস্টে টুকে রাখুন...
ভাবুন আপনার জীবন নিয়ে, আপনার প্রতিটি নিঃশ্বাস, আপনার দৃষ্টিশক্তি এবং আপনার শরীর সম্পর্কিত সব কিছু -আপনার বাড়ি-গাড়ি, পোষাক-আশাক, খাবার এবং সব ধরণের সম্পদ - আপনার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, কাজকর্ম, মসজিদ এবং আপনার সমাজ ও সামাজিকতা। ভাবুন আপনার স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াবার ক্ষমতা – জীবনের আনন্দের মুহূর্তগুলো - আপনার প্রতি আপনার স্বামী বা স্ত্রীর ভালোবাসা – ইসলাম – বিশুদ্ধ বাতাস – ঠাণ্ডা পানি –আপনার নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার অনুভূতি – যেই দয়া, উদারতা ও ভালোবাসা আপনি অন্য মানুষের কাছ থেকে পেয়ে থাকেন। আপনি খেয়াল করে দেখেবেন, প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে এরকম অসংখ্য নিয়ামত আপনি ভোগ করছেন, যেগুলো লিখে শেষ করা যাবে না।
কিছুদিন আগে আমি একটা ম্যাগাজিন আর্টিকেল পড়ছিলাম, যেটাতে ইন্ডিয়া ও আফ্রিকার কিছু জায়গায় পানি স্বল্পতার জন্য কি কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এসব জায়গাতে, প্রতিদিন সকালে, প্রত্যেক পরিবারের মায়েরা হেঁটে ছয় ঘণ্টার পথ পাড়ি দেওয়ার পর এক কলসী পানি পান, তারপর তারা সেটা বয়ে আনেন, এবং তারপর সেই এক কলসী পানি দিয়ে পুরো পরিবারের খাওয়া, গোসল ও রান্নার কাজ সারতে হয়, কেননা পানির আর কোন উৎস তাদের হাতের নাগালে নেই!
আর আমি কারাগারে সেলে আছি তাতে কি? শুধু উঠে দাড়িয়ে দু’পা হেটে গিয়ে বেসিনের একটা বোতাম চাপলেই, সেকেন্ডের ব্যাবধানে ইচ্ছামতো বিশুদ্ধ, ঠাণ্ডা পানি পেতে পারি। প্রথম দৃষ্টিতে আপনাদের কাছে হয়তো এটাকে একটা অভিশাপ মনে হবে, কারণ আমি কারাগারে। কিন্তু সেইসব মায়েদের সাথে তুলনা করুন একবার – যারা এত সহজে বিশুদ্ধ পানি পাবার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না – তখনই বোঝা যায়, কারাগারে সেলে বসেও আমি প্রতিদিন যেসব নিয়ামত ভোগ করছি তার মধ্যে এই পানি একটি। চিন্তা করে দেখুন,জেলে বসে আমি যদি এরকম নিয়ামত ভোগ করি, তাহলে বাইরের স্বাধীন, মুক্ত জীবনে আপনার নিয়ামতের লিস্ট কতো লম্বা হবে!
কাজেই এই নিয়ামতগুলোর তালিকা তৈরি করে ফেলুন। লিস্ট যতো বড় হবে আপনি ততো গভীরভাবে উপলব্ধি করবেন, আপনার চোখের সামনে থেকেও কত কী আপনার নজর এড়িয়ে গেছে। আপনার নাকের ডগায় থাকা সত্ত্বেও এতদিন কি নিয়ে আপনি সামান্যতম চিন্তাটুকুও করেননি। এবং তারপর আপনি উপলব্ধি করবেন, আপনি এই সব কোনকিছু পাবারই যোগ্য নন। এসব কিছুই আপনার প্রতি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার রহমত, যা তিনি তাঁর অসীম করুনার বশে আপনাকে দান করেছেন। এর কোনটার উপরই আপনার কোন অধিকার নেই। এবং আপনি যখন আপনার লিস্টের উপর বারবার চোখ বোলাবেন এবং দেখতে পাবেন, কিভাবে আপনার শত অযোগ্যতা সত্ত্বেও আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তার অসীম ভালোবাসা, উদারতা ও করুনায় আপনাকে একটার পর একটা নিয়ামত দান করেছেন – তখন আপনি আপনার হৃদয় ও মনে পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
মানুষের স্বভাব হল, তার সাথে যেমন ব্যবহার করা হয়, অন্যের সাথে সে তেমনই ব্যবহার করে। সারাজীবন যদি আপনার সাথে খারাপ ব্যাবহার করা হয় তাহলে আপনার স্বাভাবিক প্রবণতা হবে মানুষের সাথে রুক্ষ ব্যবহার করা, কারণ আপনি তেমনটাই শিখে এসেছেন। একইভাবে আপনার সারাজীবন যদি আপনি উদারতা, দয়া ও করুণার পেয়ে আসেন, তাহলে আপনি মানুষের সাথে সেভাবেই আচরণ করবেন; কারণ আপনি সেই শিক্ষাই পেয়েছেন। আমাদের সমস্যা হল, আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা প্রতিনিয়ত আমাদের দয়া, করুনা ও উদারতা দেখাচ্ছেন – প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতিটি সেকেন্ডে – কিন্তু বেশীর ভাগ সময়ই আমরা এটা মনে রাখি না, কিংবা মনে রাখলেও এই করুনার পরিধি ও মাত্রা নিয়ে চিন্তা করি না।
তাই আমাদের উদার ও দানশীল হবার পথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সুক্ষ বাঁধাটি হল, আমাদের প্রতি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দয়া ও করুণা সম্পর্কে আমাদের উদাসীনতা। যতো বেশী আপনি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নিয়ামতগুলোকে আবিষ্কার করবেন, গুণতে থাকবেন – এবং আপনি যতো উপলব্ধি করবেন যে এই অসংখ্য নিয়ামতের কোনটারই যোগ্য আপনি নন – আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত থেকে অপরকে সাহায্য করার আকাঙ্ক্ষা আপনি তত বেশি অনুভব করবেন। উদারতা ও দানশীলতাকে ভালবাসতে শেখার সবচেয়ে সহজ উপায় এটাই।
طارق مهنا
তারিক মেহান্না
প্লাইমাউথ কারেকশনাল ফ্যাসিলিটি
আইসোলেশন ইউনিট- সেল #১০৮
Comment