মুনাফিকের আলামত

[আল কিতাব]

মুনাফিকের কিছু আলামত
1)জিহাদকে অপছন্দ করা।
2)জিহাদে না যেতে মিথ্যা বাহানা দেখানো।
3)নিজেদের পরহেজগারিকে জিহাদে না যাওয়ার বাহানা বানানো।
4)মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করা।
5)মুসলমানদের দোষ খুজে বের করা।তাদেরকে ধোকা দেওয়া।
6)মুসলমানদের ধর্মীয় নেতাদের দোষ খোজা ও কষ্ট দেওয়া।
7)আল্লাহ ও রাসূলকে নিয়ে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করা।
8)ধর্মীয় ব্যাপারে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকা।
9)সতকাজে বাধা অসৎকাজে সহযোগীতা করা।
10)কাফেরদের অনুসরণ করা।
11)খাটি মুসলমানদেরকে উগ্র,নিজেদেরকে শান্তিপ্রিয় মনে করা।
12)খাটি মুসলমানদেরকে বোকা-নির্বোধ, নিজেদেরকে চালাক ভাবা।
13)যারা জিহাদ করে শহীদ হয়েছে, তাদের নিন্দা করা।
14)মুসলমান বা কোন মুজাহিদ বিপদে পড়লে আনন্দিত হওয়া।
15)মুসলমান,আল্লাহ ও তার রাসূলকে নিয়ে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করা।
16)নামাজে অবহেলা, মিথ্যা বলা,অহংকার করা,বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।
প্রত্যাক মুজাহিদ ভাইকে দেখতে হবে, নিজেদের মাঝে এগুলোর কোন একটি আমার মাঝে আছে কি না।
তাহলেই আস্তে আস্তে নেফাক মুক্ত হতে পারব ইনশাআল্লাহ।
আয়াতসহ পেশ করব ইনশাআল্লাহ।

[media jihad]

ইনশাআল্লাহ ""আমরা অপেক্ষমান জাঝাকাল্লাহ্ হজরত

আল্লাহ আমাদের সকলকে শাহাদাত এর মউত নসীব করুন

ঈমান সবার আগে

[Bara ibn Malik]

আখি, আপনাকে ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার মেহনত কবুল করুন, আমীন। সুপ্রিয় আখি,খুব উপকৃত হয়েছি।

[raajneeti]

জাজাকাল্লাহ সুন্দর পোস্টের জন্য।
কিন্তু আবার এমন যেন না হয় যে, আমার মতের সাথে না মিললেই যে কেও মুনাফিক হয়ে গেল!
এমন চিন্তাধারা আইএসএর মত খারেজি দলের সাথেই মিলে। তাদের সাথে মিলেনাই দেখে সবাই কাফির/মুরতাদ/গুপ্তচর।

[nidaye tawhid]

এগুলো ছাড়া আরো অনেক মুনাফেকীর আলামত আছে। ‘তাওহীদের আহবান’ কিতাব দ্রষ্টব্য।

[bokhtiar]

মুসলিমদের উচিত যাচাই করা কোন একটি নিফাক আছে কি না!!

[সাইয়েদ আহমাদ]

অনেক সুন্দর হয়েছে

[epson]

Onek manuser motamot onek rokom, in this reason "your think is right".

[epson]

মডারেট ইসলাম

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা! আজকে আপনাদেরকে ইসলাম বিরোধী অপশক্তির কিছু ফাদ ও কুটচালের কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
দিল- কান লাগিয়ে শুনুন জাগ্রত হবার সময় ঘুমিয়ে থাকা যাবেনা।
কাফেরদের ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এগুলো নতুন কোনকিছু নয়। কিন্তু আজকের যুগে এরা এক অভিনব কৌশল প্রয়োগ করছে। ইসলামের ইতিহাসে একদম নতুন। আগে এরা ইসলামের সরাসরি যুদ্ধ করতো, মুসলিমদের ব্যবহার করতো ইসলামকে পরাজিত বা ধ্বংস করার জন্য। কিন্তু আজ এরা নতুন এক প্লানে এগোচ্ছে এর নাম হল "মডারেট ইসলাম"। কাটছাঁট ইসলাম। এরা আজ কিছু নামধারী মুসলিমদের ব্যবহার করছে এই কাজ আঞ্জাম দেওয়ার জন্য। আসুন এই ফিতনা থেকে বাচার জন্য ভূমিকা স্বরূপ মুসলিমদের সম্পর্কে আমেরিকার করা একটি বিভাজন জেনে নই। আমেরিকার উচু পর্যায়ের Think-tank হল RAND Corporation.
এরা বিশ্বের মুসলিমদেরকে চার ভাগে ভাগ করেছে।
০১. Fundamental Muslim
এরা হল ঐ সকল মুসলিম ইসলামকে কেবলমাত্র ধর্মই মনে করনা বরং সমাজ, রস্ট্র, সংস্কৃতি সবকিছুতে ইসলাম কায়েম করতে চায়। তাই এরাই হল আমেরিকার মূল শত্রু, তাই
এদেরকে মৌলবাদী চরমপন্থী জঙ্গি ইত্যাদি অপবাদ দিতে হবে, যাতে সকল মুসলিমরা ওদের বিরুদ্ধে থাকে।
০২. Traditional Muslim
যারা মসজিদ ও মাদ্রাসা নিয়ে ব্যস্ত, এদের নিয়ে আমেরিকার সিদ্ধান্ত হল এরা যেন প্রথম শ্রেনীতে যোগ না দেয়।
০৩. Moderate Islam
এরা হচ্ছে তারা যারা পশ্চিমাদের চাহিদা অনুযায়ী ইসলামের ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। এদের দ্বারাই আমেরিকা ও তার দোসরেরা নতুন এক ইসলামকে Promote করছে। এদের ফিতনা গুলো সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
০৪. Secular Muslim
এরা শুধু নামে মাত্র নিজেদেরকে মুসলিম বলে থাকে, অন্যথায় এদের আক্বীদা বিশ্বাস, চিন্তা চেতনা সব কাফিরদের মতোই। ইসলামের শত্রুরা এদেরকে নিজেদের লোক বলেই গন্য করে। এই চার শ্রেনীর মাঝে moderate ও secular এরাই পশ্চিমাদের বেশ আস্থাভাজন।
Details of Moderateঃ এই মডারেটদের মাঝে গেলাম আহমদ কদিয়ানীর মিল পাওয়া যায়। কিন্তু মডারেটদের ষড়যন্ত্র বুঝা খুব কঠিন। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী সরাসরি নবুয়তের ঘোষনা দেয়ার কারনে কারো চিনতে কস্ট হয় নি। কিন্তু মডারেটদের ফিতনা খুব মারাত্মক যা সকলের পক্ষে বুঝা সম্ভব নয়।
মডারেট ইসলাম দ্বারা উদ্দেশ্য কি???
তারা পশ্চিমাদের দাসত্ব করবে, তাদের প্রদত্ত জীবনবিধান গনতন্ত্রকে মেনে নিবে, মডারেটদের আপত্তির বিষয়গুলো দেখুনঃ তারা খলীফা ছাড়া জিহাদ করা বৈধ নয়, দেশের সব মুসলমান কার বিরুদ্ধে জিহাদ করবে???
জিহাদ আমাদের জন্য ফরজ নয়, আক্বীদার মূল বিষয় আল ওয়ালা ওয়াল বারা কে অস্বীকার করে,।
এটা তাদের মনস্তাত্বিক যুদ্ধ।
আমরা ইসলামের সকল ব্যাখ্যা সালাফদের কাছ থেকে নিব,।
আফসোস এখন তো মাওলানাদের মাঝেও এটা ছরিয়ে গেছে, তাই সাবধান !
তাই আমরা ইসলাম, জিহাদ, আল ওয়ালা ওয়াল বারা ইত্যাদি সম্পর্কে জানার জন্য আমরা পূর্ববর্তী সালাফদের ইজমাকে নিয়ে কাজ করব।

[হেলাল]

আনেক সুন্দর ও উপকারি পোষ্ট।
আল্লাহ আপনাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন,আমিন।

[আল কিতাব]

1)জিহাদ থেকে অব্যহতি চাওয়া।
انمايستاذنك الذين لايؤمنون بالله..( التوبة/٤٥)
واذا انزلت ...و قالوا ذرنانكن مع القاعدين (التوبة/٨٦)
2)জিহাদ না করা ও তাতে সন্তষ্ট থাকা।
رضوا بايكونوا مع الخوالف.. (التوبة/٨٧)
3)জিহাদ অপছন্দ করা।
فرح المخلفون بمقعدهم خلاف رسول الله وكرهوا ان يجاهدواباموالهم وانفسهم فى سبيل الله....(التوبة/٨)

4)জিহাদে অংশ গ্রহণ না করতে মিথ্যা আপত্তি উপস্থাপন করা ।
يعتذرون اليكم اذا رجعتم اليهم قل لا تعتذروا لن نؤمن لكم قد نباناالله من اخباركم..(.التوبة/٩٤)
5)নিজের পরহেযগারি,খোদাভীতিকে জিহাদ ত্যাগ করার বাহানা বানানো।
منهم من يقول اءذن لى ولا تفتنى الا فى فتنة سقطوا..( التوبة/ ٤٩)
6)অন্যকেও জিহাদ থেকে বিরত রাখা।
وقالوا لاتنفروا فى الحر ..( التوبة/٨١)
7)যারা জিহাদে অংশ গ্রহণ করে শহিদ হয়েছে, তাদেরকে গালাগাল করা।
وقالوا...لو كانواعندنا ماماتوا وماقتلوا...(العمران/١٥٦)
8)কাপুরুষতার কারণে সবসময় ভীতসন্ত্রস্ত থাকা।
فاذا انزلت سورة محكمة وذكر فيها القتال رءيت الذين في قلوبهم مرض ينظرون اليك نظر المغشى عليه الموت فاولى لهم.(محمد/٢٠)
9)প্রকৃত মুসলমানের ওপর কোন বিপদ আসে, তখন সে তাতে আনন্দ প্রকাশ করে।
ان تصبك حسنة تسؤهم وان تصبك مصيبة يقول قد اخذنا امرنا من قبل ويتولوا وهم فرحون (التوبة/٥٠)
10)মুসলমানদের মাঝে অনৈক্য, মতানৈক্য সৃষ্টি করা।
والذين اتخذوا مسجدا ضرارا وكفرا وتفريقا بين المؤمنين ...(التوبة/١٠٧)
11)মুসলমানদের দোষ খোঁজে বেড়ান।
الذين يلمزون المطو عين من المؤمنين فى الصدقات... (التوبة/٧٩)
12)মুসলমানদেরকে ধোকা দেওয়া।
ومن الناس من يقول امنا بالله وباليوم الاخر وماهم بمؤمنين(٨) يخادعون الله والذين امنوا وما يخدعون الا انفسهم وما يشعرون(البقرة/٨/٩)
13)মুসলমানদের নিয়ে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করা।
...فيسخرون منهم سخرالله منهم..(التوبة/٧٩)
14)মিথ্যা ওয়াদা করা ও মিথ্যা কসম খাওয়া।
ومنهم من عاهد الله لءن اتانا من فضله لنصدقن ولنكونن من الصالحين (٧٥)فلما اتاهم من فضله بخلوا به وتولوا وهم معرضون(التوبة/٧٥-٧٦)
15)মুসলমানদের ধর্মীয় পথিকৃৎদের দোষ-ত্রুটি খোঁজা।
ومنهم من يلمزك في الصدقات فان اعطوا منها رضوا وان لم يعطوا منها اذاهم يسخطون(التوبة/٥٨)
16)মুসলমানদের ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গকে কষ্ট দেওয়া।
ومنهم الذين يؤذون النبي ويقولون هو اذن ...(التوبة/٦١)
17)আল্লাহও তার রাসুলকে নিয়ে কুটুক্তি করা।
يحذر المنافقون ان تنزل عليهم سورة تنبءهم بما في قلوبهم قل استهزءوا ان الله مجرج ما تحذرون(التوبة/٦٤)
18)আল্লাহ তাআলা সম্পর্কে কুধারণা পোষণ করা।
الم يعلموا انه من يحادد الله ورسوله فان له نار جهنم خالدا فيها ذلك الخزي العظيم(التوبة/٦٢)
19)আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের বিরোধিতা করা।
الم يعلموا انه من يحاددالله ورسوله فانه له نار جهنم...(.التوبة/٦٣)
20)দ্বীনি বিষয়ে সন্দেহ ও সংশয় প্রকাশ করা।
...وارتابت قلوبهم فهم في ريبهم يترددون (التوبة/٤٥)
21)নামাজে অলসতা করা।
الذين هم عن صلاتهم ساهون( الماعون/٥)
22)ইবাদত শুধু মানুষকে দেখানোর জন্য করা।
الذين يراءون(الماعون/٦)
...يراءون الناس..(.النساء/١٤٢)
23)মিথ্যা বলা।
وسيحلفون بالله لو استطعنا لخرجنا معكم يهلكون انفسهم والله يعلم انهم لكاذبون(التوبة/٤٢)
24)অহংকার করা।
واذا قيل لهم ...لووا رءوسهم ورءيتهم يصدون وهم مستكبرون (المنافقون/٦)
25)মন্দ কাজের আদেশ দেওয়া এবং ভালকাজে বাঁধা প্রদান করা।
...يامرون بالمنكر وينهون عن المعروف...( التوبة/٦٧)
26)কৃপণতা করা।
...ويقبضون ايديهم..(التوبة/٦٧)
27)ফিৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি করা।
...يبغونكم الفتنة ...،(التوبة/٤٨)
28)কাফেরদের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখা।
الذين يتخذون الكافرين اولياء من دون المؤمنين...( النساء/١٣٩)
29)কাফেরদের অানুগত্য করা।
سنطيعكم فى بعض الامر ...(محمد/ ٢٧)
30)নিজে নিজেকে শান্তি স্থাপনকারী এবং সত্য মুসলমানদের ফাসাদকারী মনে করা ও তা বলা।
واذا قيل لهم لا تفسدوا في الارض قالوا انما نحن مصلحون (البقرة /١١)
31)নিজে নিজেকে সম্মানিত এবং প্রকৃত মুসলমানকে লান্ঞিত ভাবা, তাদেরকে অবমূল্যায়িত মনে করা।
يقولون لىءن رجعنا الى المدينة ليخرجن الاعز منها الاذل....(المنافقون/٨)
32) নিজেরা নিজেদেরকে হুশিয়ার, কল্যাণকামী আর মুসলমানদেরকে নির্বোধ, অপরিপক্ব জ...এবং স্বল্প বুদ্ধি মনে করে।
..قالوا انؤمن كما امن السفهاء...(البقرة/١٣)
33)অশালীন-অশ্লীল কথা বলা ও অতিরিক্ত কথা বলা।(সুনানে তিরমিযী)
34)সময়মত নামাজ না পড়া। নামাজের শেষ সময় দ্রুত নামাজ পড়ে নেওয়া। (মুসলিম )
35)গোপন ঘাঁটি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া।
وارصادا لمن حارب الله ورسوله..(التوبة/١٠٧)
বিঃদ্রঃ এ আলামতগুলোর কাউকে মুনাফিক বলার জন্য নয়। বরং নিজের মাঝে তা আছে কি না দেখা ও এগুলো থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চেষ্টা করা।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে নিফাক মুক্ত করে দিন। আমিন।

[আবু যুবাইর]

মহান আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে নিফাক থেকে হেফাযত করুন। আমীন

[তাওহীদবাদী যুবক]

জাঝাকাল্লাহ্, ভাই অনেক সুন্দর
হয়েছে,, হে আল্লাহ আপনি ভাইদের
চেষ্টাকে উত্তম রুপে কবুল করুন।
আমিন,,,

[Bara ibn Malik]

আল্লাহ কবুল করুন, আমীন।আল্লাহ আপনি আমাদের পরিপূর্ণভাবে ঈমান আনার তাওফীক দান করুন, আমীন।

[tawhidul islam]

Jazakallahu khairan
Mashaallah,vai khub guruttopurno bishoye likhechen.
Allah kobul korun.