জঙ্গ, জঙ্গি, সন্ত্রাসও সন্ত্রাসী

[আল কিতাব]

জঙ্গ, জঙ্গি, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী

ধরার বুকে বিধাতা জ্বালিয়েছে যে বাতি ।
নিভাতে যাহা দিবে যে থুথু
পুড়িবে তাহার দাড়ি।
জঙ্গ :- শব্দটি মুলত ফারসি । এর অর্থ হল যুদ্ধ ।
জঙ্গি :- যে যুদ্ধ করে তাকে জঙ্গি বলে । অর্থাৎ ফারসি ভাষায় জঙ্গি। আর বাংলা ভাষায় যুদ্ধা ।
সন্ত্রাস:- আতঙ্ক সৃষ্টি করা, ভয় প্রদর্শন করা।


আল্লাহ তাআলা বলেন:-

وأعدوالهم ما استطعتم من قوة و من رباط الخیل تر هبون به عدو الله وعدو کم... (الانفال/٦٠)

অর্থ"আর তোমরা প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য যাই কিছু সংগ্রহ
করতে পার নিজের শক্তির সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে
যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর"।
(সুরা আনফাল, আয়াত:৬০)

এ আয়াতে ترهبون একটি শব্দ এসেছে ترهبون (ارهاب) رهب হতে باب افعال এর مصدر এর অর্থ হল
আতঙ্কিত করা, ভীতি প্রদর্শন করা, সন্ত্রাস করা। (অভিধান দেখুন)
প্রশ্ন
সন্ত্রাস :- শব্দটি ভাল, না খারাপ ।
আপনার নিকট প্রশ্ন: দা, বটি, ব্লেড, বন্দুক,পিস্তল রিভলভার এ অস্ত্রগুলো ভাল না খারাপ।
উওর আসবে ! এগুলোর ব্যপারে কিছু বলা যায় না। কারন, এগুলোর নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই । তা নির্বর করে ব্যবহারকারীর উপর। ব্যবহারকারী ভাল হলে , তার ব্যবহার ভাল হবে। ব্যবহারকারী খারাপ হলে, তার ব্যবহারও খারাপ হবে।
যেমন ব্লেড বাচ্চাকে দিলে হাত,পা,কাপড়- চোপর কেটে ফেলে। ঐসময় তা ক্ষতিকর। কিন্ত ব্লেড ছাড়া চলাও মানুষের জন্য কষ্টকর। যেমন ;- হাতও পায়ের নখ কাটা ইত্যাদি ।
চুর সাধু কে ভয় পাবে এটাই স্বাভাবিক , চুর হয়েও সে যদি কোন সাধু কে ভয় না পায় তাহলে হয়তো সে সাধু বেশ ধারি ব্যক্তি চুরের সহযোগি নতুবা সে ক্লীব নামরদ।


হে মুজাহিদ ভাই ! তারা আপনাকে জঙ্গি বলে, সন্ত্রাসী বলে।
একারনে আপনি কি অসুন্তষ্ট?
আপনি কি ব্যথিত? কেন?
আপনি কি জানেন?
রাসুল সাঃ কে কাফির, মুশরিকরা কি বলত?
কি গালি দিত?
তাহলে শুনোন।
তাদের কথাগুলো কুরআনে কারীমে বর্ণীত আছে। তাদের কথা:-
1) انك لمجنون (الحجر/٦) অবশ্যই তুমি পাগল

তাদের কথা:- অবশ্যই তুমি জাদুকর
2)و قال الكافرون هذا سحر كذاب(سورة ص/٤)
আল্লাহ তাআলা তার উওরে বলেন
افسحر هذا (الطور/١٥)
همزه استفهام انكارى? উহা কি যাদু
অর্থাৎ তোমাদের ধারনা ভূল। উহা যাদু নয়।
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন
ولا بقول كاهن..(الحاقة/٤٢)
এবং তা কোন গণকের কথা নয়।

তাদের কথা:- অবশ্যই তুমি মিথ্যাবাদী
3) فقالوا سحر( 3) كذاب(غافر/٢٤)
তাদের কথা:-
4) ان هذا لشىء يراد(الصاد/٦) মতলববাজ

তারা বলে:- একজন পাগল শায়েরের জন্য কি আমরা আমাদের ইলাহদের পরিত্যাগ করবيقولون اءنا لتاركوا الهتنا لشاعر.? ا مجنون(الصافات/٣٦
আল্লাহ তাআলা বলেন :- উহা কোন শায়েরের কথা নয়।
6) وما هو بقول شاعر قليلا يؤمنون(الحاقة/٤١)
তারা বলে:-
7) اراذلنا بادى الراى (سورة الهود/ ٢٧) এরা আমাদের মধ্যে নিন্ম শ্রেণীর লোক
তারা আরও বলে :-
8)وما نرى لكم علينا من فضل
আমাদের উপর তোমার কোন শ্রেষ্টত্য দেখিনা।
(بل نظنكم كاذبين(الهود/٣٧) বরং আমরা তোমাকে মিথ্যাবাদি ধারনা করি।
তারা বলে:-
9)( وقالوا ما هذا الا افك مفترى(سباء/٤٣)-;তারা বলে ইহা মিথ্যা বানানো

আল্লাহ তাআলা বলেন:-
ما ينطق عن الهواء ان هو الا وحى يوحى(النجم/٣-٤)
সে নিজ থেকে কিছুই বলে না,বরং যা বলে তা আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে অহি।

বিঃদ্রঃ
বাস্তবে আপনি রাসুলের অনুসারী হবেন, আর তারা আপনাকে গালি দিবেনা ?
তারা আপনাকে জঙ্গি বলবেনা?
তারা আপনাকে সন্ত্রাসী বলবেনা?
বিভিন্ন ধরণের কটুবাক্য বলবেনা?
আপনাকে বিভিন্ন ধরণের উপহাস মুলক শব্দ উপহার দিবেনা?
তা কি হতে পারে?
না, কখনো নয়।
////////
আর হ্যা তা হতে পারে ।
1)যদি আপনি শুধু দাবিদার হন।
2)বালআম বায়োরার দলের অন্তর্ভুক্ত হন।
3)মুনাফিকদের সহযোগীহন।
4)গাদ্দারদের কাতারে শামিলহন।
5)ইয়াহুদদের অনুসারীহন।
6)খ্রিষ্টানদের কথামত চলেন।
7)দেশিয় তাবেদারদের কথার সাথে তালমিলিয়ে কথা বলেন।
8)তাদের পা চাটেন।
9)আরো কতকি?
ইত্যা।

[lahul hukmu]

মাসা আল্লাহ ভাই খুব সুন্দর পোস্ট
আল্লাহ আপনাকে শহিদ হিসাবে কবুল করুক
আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন

[বদর মানসুর]

মাশা-আল্লাহ!
উৎসাহিত হলাম...

[musab bin sayf]

মাশাল্লাহ ভাই চমৎকার হয়েছে
সান্তনারবাণী খুজে পেলাম

[সত্যের খুজে]

আসলেই কথা সত্য, আবদুল্লাহ আজ্জম রহ বলেন যদি কেও বলে ইসলামে সন্ত্রাসী নেই তার ঈমান থাকবে না, কেন না আল্লাহ পাক বলেছেন ترهبون ইরহাব অর্থ হোল সন্ত্রাসী ৷ অবশ্যই যারা ইসলামের শত্রু তাদের সাথে আমাদের আচরণ হবে সন্ত্রাসী শুলভ ৷

[আদনানমারুফ]

জাযাকাল্লাহু ভাই, সুন্দর বলেছেন, যারা আমাদের কটাক্ষ করে জঙ্গী-সন্ত্রাসী বলে ওরা ইসলাম সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ, কারণ তাহলে ওদের পরিভাষা অনুযায়ী রাসূল, সাহাবায়ে কেরাম ও সকল আলেমগণ সন্ত্রাসী হয়ে যাবেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনু কুরাইযার সাতশত পুরুষকে একসাথে হত্যা করেছেন, আতিয়্যা কুরাযী বলেন, আমি বালেগ হয়েছি কিনা তা দেখার জন্য আমার কাপড় উঠিয়ে চেক করা হয়, পশম গজিয়েয়ে কিনা। অথচ যাদের বালেগ হওয়াই নিশ্চিত নয় তাদের হত্যা করা তো ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য নয়। শুধু কুফরের কারণেই।

হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় যখন রাসূল আবু জানদালকে ফিরিয়ে দিচ্ছেলেন, তখন উমর রাযিআল্লাহু আনহু আবু জানদালের দিকে তরবারী এগিয়ে দিচ্ছেলেন, যেন সে তার পিতা সুহাইলকে হত্যা করে, এবং উমর বলছিলেন, এদের রক্ত তো কুকুর-শুকরের রক্তের মত।

ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, যদি কোন মুসলমান ক্ষুধার তাড়নায় মৃত্যুবরণ করার উপক্রম হয় এবং তার পাশে কোন কাফের থাকে তাহলে তাকে হত্যা করে ভক্ষণ করা জায়েয!!!
যদি কোন বুড়ো কাফের শুধু সন্তান জন্ম দিতেও সক্ষম হয় তাহলেও ইমাম জাসসাস আহকামুল কুরআনে তাকে হত্যা করা বৈধ বলেছেন। হানাফী মাযহাবের অনেক ফকিহই এই মত সমর্থণ করেছেন। যদিও আমাদের মতে এ মাসয়ালাটি সহিহ নয়, তারপরেও আমরা খারাপ হলে ফুকাহায়ে কেরাম কি হবেন?

[হেলাল]

আখি চমৎকার আলোচনা।
আল্লাহ আপনাকে শহিদ হিসাবে কবুল করুন,আমিন।

[nazir as sams]

আখি। ধন্যবাদ।অনেক খুসি হলাম।।আল্লাহ কবুল করুক।

[lahul hukmu]

আখি চমৎকার আলোচনা।
আল্লাহ আপনাকে শহিদ হিসাবে কবুল করুন,আমিন।

amin amin amin