ক্বিতাল কাদের সাথে করব?
হে আল্লাহ তুমি বল! আমরা কাদের সাথে ক্বিতাল করব?
1)যারা তোমাদের সাথে ক্বিতাল করে তাদের সাথে কর।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
وقاتلوا في سبيل الله الذين يقاتلونكم ولاتعتدوا ان الله لايحب المعتدين(البقرة/١٩٠)
আর আল্লাহর পথে তোমরা তাদের বিরোদ্ধে লড়াই করো, যারা তোমাদের বিরোদ্ধে লড়াই করে, তবে সীমালঙ্গন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সিমালঙ্গনকারীদেরকে ভালবাসেন না।
2)মুশরিকদের সাথে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
فاقتلوا المشركين حيث وجدتموهم وخذوهم واحصروهم واقعدو لهم كل مرصد..(التوبة/٥٣)
মুশরিকদেরকে যেখানে পাও সেখানেই হত্যা কর, এবং তাদেরকে ধর, ও তাদেরকে বন্দি কর, এবং তাদের জন্য ওৎপেতে বসে থাক..
3) চুক্তি ভংগকারি ধর্ম অবমাননা কারি কাফের নেতৃবৃন্দের সাথে
وَإِنْ نَكَثُوا أَيْمَانَهُمْ مِنْ بَعْدِ عَهْدِهِمْ وَطَعَنُوا فِي دِينِكُمْ فَقَاتِلُوا أَئِمَّةَ الْكُفْرِ إِنَّهُمْ لَا أَيْمَانَ لَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَنْتَهُونَ
4)নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে ক্বিতাল কর ও তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন কর।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
يايهاالذين امنوا قاتلوا الذين يلونكم من الكفار وليجدوا فيكم غلظة واعلموا ان الله مع المتقين(التوبة/١٢٣)
হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফেরদের মধ্যে যারা তোমাদের নিকটবর্তী তাদের সাথে যুদ্ধ কর। এবং তারা যেন তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখতে পায়। জেনে রেখ, আল্লাহ তো মুওাকিদের সঙ্গেই আছেন।(সুরা তাওবা:১২৩)
5) ক্বিতাল ! ঈমান ও কুফুরের মাঝে পার্থক্য করে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
)الذين امنوا يقاتلون في سبيل الله والذين كفروا يقاتلون في سبيل الطاغوت فقاتلوا اولياء الشيطان ان كيد الشيطان كان ضعيفا(النساء/٧٦)
যারা ঈমানদার, তারা আল্লাহর রাস্তায় ক্বিতাল করে, আর যারা কাফের, তারা ত্বাগুতের জন্য লড়াই করে।সুতরাং তোমরা শয়তানের অভিভাবকদের হত্যা কর।..
★আপনি কি ঈমানদার ?
★তাহলে ক্বিতাল ফিসাবিলিল্লাহ এ অংশ নিয়েছেন কি?
★আপনি কি উক্ত হাদিসটি শুনেছেন?
রাসুল সাঃ বলেছেন:-
من مات لم يغزو ولم يحدث به نفسه مات علي شعبة من نفاق
★যে ব্যক্তি মারা গেল ,যুদ্ধ করেনি, যুদ্ধের আখাঙ্খা ও রাখেনি, সে মুনাফিক হয়ে
মৃত্যুবরণ করল।
★ প্রশ্ন হবে! যারা জিবিত রইল তাদের হুকুম কি?
উওর আসবে। নিফাকের উপর।
★আপনি কি জানেন জিহাদে অংশগ্রহণের উপায় কয়টি?
★জিহাদে অংশগ্রহণের 39টি /44টি উপায় বইটি পড়েছেন কি?
★আপনার মাঝে কোনটি/কয়টি পাওয়া যায় ফিকির করেছেন কি?
★★ এগুলো না পাওয়া গেলে বিরোধি/অসহযোগি গন্য না হবার কোন পথ আছে কি?
6) যারা অঙ্গিকার ভঙ্গ করেছে তাদের সাথে। ,
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
الا تقاتلون قوما نكثوا ايمانهم وهموا باخراج الرسول وهم بدؤوكم اول مرة اتخشونهم فالله احق ان تخشوه ان كنتم مؤمنين(التوبة/١٢)
তোমরা কি সে সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুদ্ধ করবে না,যারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে এবং রাসুলকে বহিস্কার করার জন্য সংকল্প করেছে। তারাই প্রথম তোমাদের বিরুদ্ধাচারণ করেছে। তোমরা কি তাদেরকে ভয় করছ? প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকে ভয় করাই তোমাদের পক্ষে অধিক সমীচীন, যদি তোমরা মুমিন হও!(সুরা তাওবা:১৩)
বিঃদ্রঃ বর্তমানে রাসুল সাঃ দুনিয়াতে নেই, তার ওয়ারিশরাই এর অন্তভুক্ত হবে।
★মুসলিম রাষ্টের প্রধান হয়ে আল্লাহ তাআলার দেওয়া সংবিধান ব্যতিত সংবিধান রচনা করা অঙ্গিকার ভঙ্গ নয় কি?
★রাসুল সাঃ 23 যুদ্ধে স্বয়ং অংশগ্রহণ করেছেন। 43 যুদ্ধে সাহাবাদেরকে প্রেরণ করেছেন। (সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া)
★কুরআনে কারীমে ক্বিতাল ফিসাবিলিল্লাহ এর বিষয়ে 288 টি আয়াত রয়েছে ।
★ ক্বিতাল ফিসাবিলিল্লাহ ও যুদ্ধ বিষয়ে আলোচনা করলে তাদেরকে জঙ্গি বলে গ্রেফতার করা, দেশান্তরের ফিকির করা, আল্লাহ তাআলার সাথে বিরুদ্ধাচারন নয় কি?
★ উক্ত আয়াতগুলোকে অস্বিকার কারী হবে কি?
★রাসুল সাঃ এর উক্ত যুদ্ধগুলোর বিরুদ্ধাচরণ নয় কি?
7)নিন্মোক্ত আয়াতের কারনে ।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
...وقاتلوا المشركين كافة كمايقاتلونكم كافة واعلموا ان الله مع المتقين(التوبة/٣٦)
তোমরা মুশরিকদের সঙ্গে সর্বাত্মকভাবে লড়াই করবে, যেমন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করে।
8)মুমিনদের দুই গ্রুপ ঝগড়া করলে সংশোধনের করবে। যারা আল্লাহর শরিয়তের বিচার মানতে স্বীকৃতি না দিবে সে সব বাগিদের সাথে যুদ্ধ কর।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
وان طاءفتان من المؤمنين اقتتلو فاصلحوا بينهما فان بغت احداهما على الاخرى فقاتلوا التى تبغي حتى تفىء الى امرالله...(الحجرات /٩)
9) আল্লাহ তাআলার প্রতি, ও পরকালের প্রতি ঈমান না আনার কারনে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
قاتلوا الذين لايؤمون بالله ولاباليوم الاخر...
(التوبة/٢٦)
ক)যারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করে না তাদের সাথে।
যথা:- আল্লাহ তাআলা বলেন
اقيموا الصلوة..(البقرة/٤٣)
খ)যারা ছেলে, মেয়ের অংশকে সমান বলে।তাদের সাথে।
যথা :- আল্লাহ তাআলা বলেন
للذكر مثل حظ الانثيين ...(النساء/١١)
গ)যারা সমঅধিকারের নামে পর্দার বিধানের সাথে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করে।
যথা :- আল্লাহ তাআলা বলেন
و قرن فى بيوتكن ولاتبرجن تبرج الجاهلية الاولى..(الاحزاب/٣٣)
10)আল্লাহ তাআলা যা হারাম করেছে তা হালাল মনে করে করার কারনে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
ولايحرمون ماحرم الله ورسوله ولايدينون دين الحق من الذين اتوا الكتاب حتى يعطوا الجزية عن يد وهم صاغرون(التوبة/٢٦)
এবং আল্লাহ ও কার রাসুল যা করেছেন, তা হারাম গণ্য করে না,তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই কর, যতক্ষণ না তারা নত হয়ে নিজের হাতে জিযিয়া প্রদান করে (সুরা তাওবা:২৯)
ক)যারা সুদকে হালাল বলে তাদের সাথে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
.. احل الله البيع وحرم الرباء..)البقرة/٢٧٥)
খ)যারা মদকে হালাল বলে তাদের সাথে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
يايهاالذين امنواانما الخمر والميسر والانصاب والازلام رجس من عمل الشيطان فاجتنوه. الماءدة/٩٠)
গ)যারা জুয়ার বৈধতা দেয় তাদের সাথে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
يايهاالذين امنواانما الخمر والميسر ..(الماءدة/٩٠)
ঘ)যারা লটারির অনুমোদন দেয় তাদের সাথে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
يايهاالذين امنواانما الخمر والميسر والانصاب والازلام...م
11)আল্লাহ তাআলা যা হালাল করেছেন তা হারাম করে ।
ক) যথা:- বাল্যবিবাহর নামে 18 বৎসরের পূর্বে বিবাহর জন্য বাধা সৃষ্টি করা।
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
و انكحوا الايامى منكم والصالحين من عبادكم وامائكم..(النور/٣٢)
অথচ উক্ত আয়াতে কোন সময়সিমা নেই।
খ) সন্তান ভুমিষ্ট হলে, মাতা-পিতার তিনটি দায়িত্ব। 1)সুন্দর নাম রাখা। 2)দ্বীন শিক্ষা দেওয়া। 3)বালেগ হলে দ্বীনদার পাএ-পাএী দেখে বিবাহ দেওয়া।
★ পিতা-মাতার, দায়িত্ব ছেলে— মেয়ে বালেগ হলে দূরত বিবাহর ব্যবস্থা করা।
গ) রাসুল সাঃ আম্মাজান আয়েশা রাঃ বিবাহ করেন, তখন তার বয়স ছিল মাএ ছয় বৎসর।
ঘ)আল্লাহ তাআলা ক্বিতাল ফরজ করেছেন
তা অস্বিকার করাও এর বিরোধিতা করার কারনে।অথচ
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
كتب عليكم القتال وهو كره لكم...(البقرة/٢١٦)
তোমাদের উপর ক্বিতাল ফরজ করা হয়েছে অথচ তা তোমাদের নিকট অপছন্দনিয় ....
12) বা শর্তযুক্ত করে দেওয়ার কারনে।
যথা:-
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
فانكحوا ماطاب لكم من النساء مثنى وثلاث ورباع...(النساء/٣)
তোমরা পছন্দসই দুইটি, তিনটি, চারটি বিবাহ কর..
★ উক্ত আয়াতে কোথাও স্ত্রীর অনুমিতর কথা নেই।
★ অথচ তারা বলে স্ত্রীর অনুমতি অাবশ্যক।
13)পতিতালয়ের অনুমোদন দেওয়ার কারনে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
ولاتقربواالزنا انه كان فاحشة وساء سبيلا..(الاسراء/٣٢)
তোমরা যিনার নিকটবর্তী হয়োনা, কেননা তা খারাফ....
14)যারা আল্লাহ তাআলার বিধান পরিবর্তন করে তাদের সাথে ক্বিতাল কর।
আল্লাহ তাআলা বলেন
..ان الحكم الا لله..(الانعام/٣٥)
ক)বিবাহিত নারী,পুরুষ যিনা করলে তাদের ব্যপারে হুকুম :-
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
الشيخ والشيخة اذا زنيا فارجموهما
- রজম অর্থাৎ প্রস্তাগাতে হত্যা করা।
উক্ত আয়াতের হুকুম বাকি আছে।
★বর্তমান আইন হল জেল /জরিমানা
খ)বিবাহিত নারী,পুরুষ যিনা করলে তাদের ব্যপারে হুকুম :-
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
الزانية والزانى فاجلدوا كل واحد منهما ماةجلدة.(النور/٢)
(অবিবাহিত )ব্যভিচারিণী নারী ও ব্যভিচারী পুরুষ উভয়কে একশত ব্যতরাঘাত কর।
★বর্তমান আইন হল জেল/জরিমানা
গ)চোর চোরনি উভয়ের ব্যপারে হুকুম :-
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
السارق والسارقة فاقطعوا ايديهما جزاء بماكسب نكالا من الله.( المائدة/٣٨)
তাদের উভয়ের হাত কেটে দাও।
★বর্তমান আইন হল জেল/জরিমানা
15)যারা আল্লাহর দেওয়া সংবিধান অনুযায়ী ফয়সালা করে না তাদের বিরুদ্ধে । অথচ
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
ক)
ومن لم يحكم بما انزل الله فاولئك هم
الكافرون(المائدة/٤٤)
খ)
ومن لم يحكم بما انزل الله فاولئك هم الفاسقون(المائدة/٤٧)
গ)
ومن لم يحكم بما انزل الله فاولئك هم الظالمون(المائدة/٤٥)
16) যারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বিকার করেছে তাদের অনুস্বরণের কারনে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
ولاتتبع اهواء الذين كذبوا بايتنا و لا يؤمنون باليوم الاخر (المائدة/١٥٠)
যারা আমার আয়াতকে মিথ্যপ্রতিপন্ন করেছে, ও পরকালের প্রতি ঈমাম আনেনি তোমরা তাদের প্রবৃত্তির অনুসরন করোনা।
17)আল্লাহ তাআলার বিধান অনুযায়ী ফায়সালা না করে যারা শয়তানের অনুস্বরণ করে তাদের সাথে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
وان احكم بينهم بما انزل الله ولا تتبع خطوات الشيطان...(المائدة/٤٩)
আর তুমি তাদের মাঝে আল্লাহ তাআলা যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী ফয়সালা কর। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরন করোনা।
18)কাফেরদের সাথে লড়াই কর।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
يايها النبى جاهد الكفار والمنافقين واغلظ عليهم وماواهم جهنم وبئس المصير (التوبة/٧٣)
হে নবি! আপনি কাফের ও মুনাফিকদের বিরোদ্ধে লড়াই করুন এবং তাদের ওপর আপনি কঠোর হোন .....
19)মুনাফিকদের সাথে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
يايها النبى جاهد الكفار والمنافقين..(.التوبة/٧٣)
বিঃদ্রঃ দুস্ত !তুমি কি ক্বিতালের কথা শুনে ভয় পাচ্ছ?
★তাহলে শুন!
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
ولا تقولوا لمن يقتل في سبيل الله اموات بل احياء ولكن لا تشعرون (البقرة/١٥٤ )١٥٤
যারা আল্লার রাহে জিবনদেয় তোমরা তাদের মৃত বলনা।
বিঃদ্রঃ :- জিহাদে অংশগ্রহণের 39টি /44টি উপায় বইটি পড়েছেন কি?
মডারেটের ভাইয়ের কাছে এ বইটির লিংক থাকলে দিয়ে দিলে ভাল হবে ইনশাআল্লাহ।
হে আল্লাহ তুমি বল! আমরা কাদের সাথে ক্বিতাল করব?
1)যারা তোমাদের সাথে ক্বিতাল করে তাদের সাথে কর।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
وقاتلوا في سبيل الله الذين يقاتلونكم ولاتعتدوا ان الله لايحب المعتدين(البقرة/١٩٠)
আর আল্লাহর পথে তোমরা তাদের বিরোদ্ধে লড়াই করো, যারা তোমাদের বিরোদ্ধে লড়াই করে, তবে সীমালঙ্গন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সিমালঙ্গনকারীদেরকে ভালবাসেন না।
2)মুশরিকদের সাথে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
فاقتلوا المشركين حيث وجدتموهم وخذوهم واحصروهم واقعدو لهم كل مرصد..(التوبة/٥٣)
মুশরিকদেরকে যেখানে পাও সেখানেই হত্যা কর, এবং তাদেরকে ধর, ও তাদেরকে বন্দি কর, এবং তাদের জন্য ওৎপেতে বসে থাক..
3) চুক্তি ভংগকারি ধর্ম অবমাননা কারি কাফের নেতৃবৃন্দের সাথে
وَإِنْ نَكَثُوا أَيْمَانَهُمْ مِنْ بَعْدِ عَهْدِهِمْ وَطَعَنُوا فِي دِينِكُمْ فَقَاتِلُوا أَئِمَّةَ الْكُفْرِ إِنَّهُمْ لَا أَيْمَانَ لَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَنْتَهُونَ
4)নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে ক্বিতাল কর ও তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন কর।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
يايهاالذين امنوا قاتلوا الذين يلونكم من الكفار وليجدوا فيكم غلظة واعلموا ان الله مع المتقين(التوبة/١٢٣)
হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফেরদের মধ্যে যারা তোমাদের নিকটবর্তী তাদের সাথে যুদ্ধ কর। এবং তারা যেন তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখতে পায়। জেনে রেখ, আল্লাহ তো মুওাকিদের সঙ্গেই আছেন।(সুরা তাওবা:১২৩)
5) ক্বিতাল ! ঈমান ও কুফুরের মাঝে পার্থক্য করে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
)الذين امنوا يقاتلون في سبيل الله والذين كفروا يقاتلون في سبيل الطاغوت فقاتلوا اولياء الشيطان ان كيد الشيطان كان ضعيفا(النساء/٧٦)
যারা ঈমানদার, তারা আল্লাহর রাস্তায় ক্বিতাল করে, আর যারা কাফের, তারা ত্বাগুতের জন্য লড়াই করে।সুতরাং তোমরা শয়তানের অভিভাবকদের হত্যা কর।..
★আপনি কি ঈমানদার ?
★তাহলে ক্বিতাল ফিসাবিলিল্লাহ এ অংশ নিয়েছেন কি?
★আপনি কি উক্ত হাদিসটি শুনেছেন?
রাসুল সাঃ বলেছেন:-
من مات لم يغزو ولم يحدث به نفسه مات علي شعبة من نفاق
★যে ব্যক্তি মারা গেল ,যুদ্ধ করেনি, যুদ্ধের আখাঙ্খা ও রাখেনি, সে মুনাফিক হয়ে
মৃত্যুবরণ করল।
★ প্রশ্ন হবে! যারা জিবিত রইল তাদের হুকুম কি?
উওর আসবে। নিফাকের উপর।
★আপনি কি জানেন জিহাদে অংশগ্রহণের উপায় কয়টি?
★জিহাদে অংশগ্রহণের 39টি /44টি উপায় বইটি পড়েছেন কি?
★আপনার মাঝে কোনটি/কয়টি পাওয়া যায় ফিকির করেছেন কি?
★★ এগুলো না পাওয়া গেলে বিরোধি/অসহযোগি গন্য না হবার কোন পথ আছে কি?
6) যারা অঙ্গিকার ভঙ্গ করেছে তাদের সাথে। ,
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
الا تقاتلون قوما نكثوا ايمانهم وهموا باخراج الرسول وهم بدؤوكم اول مرة اتخشونهم فالله احق ان تخشوه ان كنتم مؤمنين(التوبة/١٢)
তোমরা কি সে সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুদ্ধ করবে না,যারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে এবং রাসুলকে বহিস্কার করার জন্য সংকল্প করেছে। তারাই প্রথম তোমাদের বিরুদ্ধাচারণ করেছে। তোমরা কি তাদেরকে ভয় করছ? প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকে ভয় করাই তোমাদের পক্ষে অধিক সমীচীন, যদি তোমরা মুমিন হও!(সুরা তাওবা:১৩)
বিঃদ্রঃ বর্তমানে রাসুল সাঃ দুনিয়াতে নেই, তার ওয়ারিশরাই এর অন্তভুক্ত হবে।
★মুসলিম রাষ্টের প্রধান হয়ে আল্লাহ তাআলার দেওয়া সংবিধান ব্যতিত সংবিধান রচনা করা অঙ্গিকার ভঙ্গ নয় কি?
★রাসুল সাঃ 23 যুদ্ধে স্বয়ং অংশগ্রহণ করেছেন। 43 যুদ্ধে সাহাবাদেরকে প্রেরণ করেছেন। (সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া)
★কুরআনে কারীমে ক্বিতাল ফিসাবিলিল্লাহ এর বিষয়ে 288 টি আয়াত রয়েছে ।
★ ক্বিতাল ফিসাবিলিল্লাহ ও যুদ্ধ বিষয়ে আলোচনা করলে তাদেরকে জঙ্গি বলে গ্রেফতার করা, দেশান্তরের ফিকির করা, আল্লাহ তাআলার সাথে বিরুদ্ধাচারন নয় কি?
★ উক্ত আয়াতগুলোকে অস্বিকার কারী হবে কি?
★রাসুল সাঃ এর উক্ত যুদ্ধগুলোর বিরুদ্ধাচরণ নয় কি?
7)নিন্মোক্ত আয়াতের কারনে ।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
...وقاتلوا المشركين كافة كمايقاتلونكم كافة واعلموا ان الله مع المتقين(التوبة/٣٦)
তোমরা মুশরিকদের সঙ্গে সর্বাত্মকভাবে লড়াই করবে, যেমন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করে।
8)মুমিনদের দুই গ্রুপ ঝগড়া করলে সংশোধনের করবে। যারা আল্লাহর শরিয়তের বিচার মানতে স্বীকৃতি না দিবে সে সব বাগিদের সাথে যুদ্ধ কর।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
وان طاءفتان من المؤمنين اقتتلو فاصلحوا بينهما فان بغت احداهما على الاخرى فقاتلوا التى تبغي حتى تفىء الى امرالله...(الحجرات /٩)
9) আল্লাহ তাআলার প্রতি, ও পরকালের প্রতি ঈমান না আনার কারনে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
قاتلوا الذين لايؤمون بالله ولاباليوم الاخر...
(التوبة/٢٦)
ক)যারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করে না তাদের সাথে।
যথা:- আল্লাহ তাআলা বলেন
اقيموا الصلوة..(البقرة/٤٣)
খ)যারা ছেলে, মেয়ের অংশকে সমান বলে।তাদের সাথে।
যথা :- আল্লাহ তাআলা বলেন
للذكر مثل حظ الانثيين ...(النساء/١١)
গ)যারা সমঅধিকারের নামে পর্দার বিধানের সাথে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করে।
যথা :- আল্লাহ তাআলা বলেন
و قرن فى بيوتكن ولاتبرجن تبرج الجاهلية الاولى..(الاحزاب/٣٣)
10)আল্লাহ তাআলা যা হারাম করেছে তা হালাল মনে করে করার কারনে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
ولايحرمون ماحرم الله ورسوله ولايدينون دين الحق من الذين اتوا الكتاب حتى يعطوا الجزية عن يد وهم صاغرون(التوبة/٢٦)
এবং আল্লাহ ও কার রাসুল যা করেছেন, তা হারাম গণ্য করে না,তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই কর, যতক্ষণ না তারা নত হয়ে নিজের হাতে জিযিয়া প্রদান করে (সুরা তাওবা:২৯)
ক)যারা সুদকে হালাল বলে তাদের সাথে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
.. احل الله البيع وحرم الرباء..)البقرة/٢٧٥)
খ)যারা মদকে হালাল বলে তাদের সাথে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
يايهاالذين امنواانما الخمر والميسر والانصاب والازلام رجس من عمل الشيطان فاجتنوه. الماءدة/٩٠)
গ)যারা জুয়ার বৈধতা দেয় তাদের সাথে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
يايهاالذين امنواانما الخمر والميسر ..(الماءدة/٩٠)
ঘ)যারা লটারির অনুমোদন দেয় তাদের সাথে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
يايهاالذين امنواانما الخمر والميسر والانصاب والازلام...م
11)আল্লাহ তাআলা যা হালাল করেছেন তা হারাম করে ।
ক) যথা:- বাল্যবিবাহর নামে 18 বৎসরের পূর্বে বিবাহর জন্য বাধা সৃষ্টি করা।
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
و انكحوا الايامى منكم والصالحين من عبادكم وامائكم..(النور/٣٢)
অথচ উক্ত আয়াতে কোন সময়সিমা নেই।
খ) সন্তান ভুমিষ্ট হলে, মাতা-পিতার তিনটি দায়িত্ব। 1)সুন্দর নাম রাখা। 2)দ্বীন শিক্ষা দেওয়া। 3)বালেগ হলে দ্বীনদার পাএ-পাএী দেখে বিবাহ দেওয়া।
★ পিতা-মাতার, দায়িত্ব ছেলে— মেয়ে বালেগ হলে দূরত বিবাহর ব্যবস্থা করা।
গ) রাসুল সাঃ আম্মাজান আয়েশা রাঃ বিবাহ করেন, তখন তার বয়স ছিল মাএ ছয় বৎসর।
ঘ)আল্লাহ তাআলা ক্বিতাল ফরজ করেছেন
তা অস্বিকার করাও এর বিরোধিতা করার কারনে।অথচ
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
كتب عليكم القتال وهو كره لكم...(البقرة/٢١٦)
তোমাদের উপর ক্বিতাল ফরজ করা হয়েছে অথচ তা তোমাদের নিকট অপছন্দনিয় ....
12) বা শর্তযুক্ত করে দেওয়ার কারনে।
যথা:-
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
فانكحوا ماطاب لكم من النساء مثنى وثلاث ورباع...(النساء/٣)
তোমরা পছন্দসই দুইটি, তিনটি, চারটি বিবাহ কর..
★ উক্ত আয়াতে কোথাও স্ত্রীর অনুমিতর কথা নেই।
★ অথচ তারা বলে স্ত্রীর অনুমতি অাবশ্যক।
13)পতিতালয়ের অনুমোদন দেওয়ার কারনে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
ولاتقربواالزنا انه كان فاحشة وساء سبيلا..(الاسراء/٣٢)
তোমরা যিনার নিকটবর্তী হয়োনা, কেননা তা খারাফ....
14)যারা আল্লাহ তাআলার বিধান পরিবর্তন করে তাদের সাথে ক্বিতাল কর।
আল্লাহ তাআলা বলেন
..ان الحكم الا لله..(الانعام/٣٥)
ক)বিবাহিত নারী,পুরুষ যিনা করলে তাদের ব্যপারে হুকুম :-
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
الشيخ والشيخة اذا زنيا فارجموهما
- রজম অর্থাৎ প্রস্তাগাতে হত্যা করা।
উক্ত আয়াতের হুকুম বাকি আছে।
★বর্তমান আইন হল জেল /জরিমানা
খ)বিবাহিত নারী,পুরুষ যিনা করলে তাদের ব্যপারে হুকুম :-
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
الزانية والزانى فاجلدوا كل واحد منهما ماةجلدة.(النور/٢)
(অবিবাহিত )ব্যভিচারিণী নারী ও ব্যভিচারী পুরুষ উভয়কে একশত ব্যতরাঘাত কর।
★বর্তমান আইন হল জেল/জরিমানা
গ)চোর চোরনি উভয়ের ব্যপারে হুকুম :-
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
السارق والسارقة فاقطعوا ايديهما جزاء بماكسب نكالا من الله.( المائدة/٣٨)
তাদের উভয়ের হাত কেটে দাও।
★বর্তমান আইন হল জেল/জরিমানা
15)যারা আল্লাহর দেওয়া সংবিধান অনুযায়ী ফয়সালা করে না তাদের বিরুদ্ধে । অথচ
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
ক)
ومن لم يحكم بما انزل الله فاولئك هم
الكافرون(المائدة/٤٤)
খ)
ومن لم يحكم بما انزل الله فاولئك هم الفاسقون(المائدة/٤٧)
গ)
ومن لم يحكم بما انزل الله فاولئك هم الظالمون(المائدة/٤٥)
16) যারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বিকার করেছে তাদের অনুস্বরণের কারনে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
ولاتتبع اهواء الذين كذبوا بايتنا و لا يؤمنون باليوم الاخر (المائدة/١٥٠)
যারা আমার আয়াতকে মিথ্যপ্রতিপন্ন করেছে, ও পরকালের প্রতি ঈমাম আনেনি তোমরা তাদের প্রবৃত্তির অনুসরন করোনা।
17)আল্লাহ তাআলার বিধান অনুযায়ী ফায়সালা না করে যারা শয়তানের অনুস্বরণ করে তাদের সাথে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
وان احكم بينهم بما انزل الله ولا تتبع خطوات الشيطان...(المائدة/٤٩)
আর তুমি তাদের মাঝে আল্লাহ তাআলা যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী ফয়সালা কর। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরন করোনা।
18)কাফেরদের সাথে লড়াই কর।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
يايها النبى جاهد الكفار والمنافقين واغلظ عليهم وماواهم جهنم وبئس المصير (التوبة/٧٣)
হে নবি! আপনি কাফের ও মুনাফিকদের বিরোদ্ধে লড়াই করুন এবং তাদের ওপর আপনি কঠোর হোন .....
19)মুনাফিকদের সাথে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-
يايها النبى جاهد الكفار والمنافقين..(.التوبة/٧٣)
বিঃদ্রঃ দুস্ত !তুমি কি ক্বিতালের কথা শুনে ভয় পাচ্ছ?
★তাহলে শুন!
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
ولا تقولوا لمن يقتل في سبيل الله اموات بل احياء ولكن لا تشعرون (البقرة/١٥٤ )١٥٤
যারা আল্লার রাহে জিবনদেয় তোমরা তাদের মৃত বলনা।
বিঃদ্রঃ :- জিহাদে অংশগ্রহণের 39টি /44টি উপায় বইটি পড়েছেন কি?
মডারেটের ভাইয়ের কাছে এ বইটির লিংক থাকলে দিয়ে দিলে ভাল হবে ইনশাআল্লাহ।
Comment