তুমি কি জানো কুরআনুল-কারিমে তোমার পরিচিতি রয়েছে !?
তোমার জন্য তুমি মহা-পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তায়ালার কিতাব খুলো! পড়ো এবং নিজেকে চিনতে সাহায্য করো যে, কে তুমি? কেমন হওয়া উচিত তোমার?!
আহানাফ ইবনে কাইস রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বর্ণনা করেন, একদা তিনি বসেছিলেন, হঠাৎ উনার দিলে আল্লাহ তায়ালার এই বাণী
"আমি অবশ্যই তোমাদের প্রতি এমন গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমাদের জন্য উপদেশ আছে, তবুও কি তোমরা বুঝবে না?" আল-আম্বিয়া ২১:১০
ঘুরপাক খাচ্ছিল।
তখন তিনি বললেন আমার জন্য আবশ্যক হলো আমি কুরআন অনুসন্ধান করব এবং দেখব আমি কে? আমার কেমন হওয়া উচিত!?
অতঃপর অনুসন্ধান করতে করতে একপর্যায়ে এমন এক সম্প্রদায়ের আলোচনা পেলেনঃ-
"যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় (আল্লাহর পথে) ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ সংবরণকারী এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল, আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।" আলি ‘ইমরান ৩:১৩৪
একটু সামনে আরেকদল লোকের আলোচনা পেলেনঃ-
"যারা বড় বড় পাপ এবং অশ্লীল কার্যকলাপ হতে বেঁচে চলে এবং রাগান্বিত হয়েও ক্ষমা করে।" আশ-শুরা ৪২:৩৭
একটু সামনে আরেকদল লোকের আলোচনা পেলেনঃ-
"তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করত। রাত্রির শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করত। আর তাদের ধন-সম্পদে রয়েছে ভিক্ষুক ও বঞ্চিতের হক।" আয-যারিয়াত ৫১: ১৭ - ১৯
একটু সামনে আরেকদল লোকের আলোচনা পেলেনঃ-
"(আর এ সম্পদ তাদের জন্যও) যারা মুহাজিরদের আসার আগে থেকেই (মাদীনাহ) নগরীর বাসিন্দা ছিল আর ঈমান গ্রহণ করেছে। তারা তাদেরকে ভালবাসে যারা তাদের কাছে হিজরাত করে এসেছে। মুহাজিরদেরকে যা দেয়া হয়েছে তা পাওয়ার জন্য তারা নিজেদের অন্তরে কোন কামনা রাখে না, আর তাদেরকে (অর্থাৎ মুহাজিরদেরকে) নিজেদের উপর অগ্রাধিকার দেয়- নিজেরা যতই অভাবগ্রস্ত হোক না কেন। বস্তুত: যাদেরকে হৃদয়ের সংকীর্ণতা থেকে রক্ষা করা হয়েছে তারাই সফলকাম।"
আল-হাশ্*র ৫৯:৯
অতপর তিনি বললেনঃ- হে আল্লাহ আমি নিজেকে চিনতে পারিনি। যদি তাদের অন্তরর্ভুক্ত হতে পারতাম!!
অতঃপর আবার পড়তে লাগলেন...
একটু সামনে আরেকদল লোকের আলোচনা পেলেনঃ
তাদেরকে যখন ‘আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই’ বলা হত, তখন তারা অহংকার করত। আস-সাফফাত ৩৭:৩৫
একটু সামনে আরেকদল লোকের আলোচনা পেলেনঃ-
‘কিসে তোমাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে গেছে?তারা বলবে, ‘আমরা নামায আদায়কারী লোকেদের মধ্যে শামিল ছিলাম না, আর মিসকীনদেরকে খাবার খাওয়াতাম না, আর আমরা (সত্য পথের পথিকদের) সমালোচনা করতাম সমালোচনাকারীদের সঙ্গে (থেকে)। আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম। আমাদের নিকট নিশ্চিত বিশ্বাস (অর্থাৎ মৃত্যু) না আসা পর্যন্ত।’ আল-মুদ্দাসসির ৭৪: ৪২ - ৪৭
অতঃপর তিনি বললেন হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট এদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কামনা করছি।
পরিশেষে এই আয়াতে এসে থেমে গেলেনঃ-
"আর অপর কিছু লোক আছে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে, তারা এক সৎকাজের সাথে অন্য অসৎকাজ মিশিয়ে ফেলেছে; আল্লাহ্ হয়ত তাদেরকে ক্ষমা করবেন; নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।"
আত-তাওবাহ ৯:১০২
فقال : اللهم أنا من هؤلاء .. وأنا من هؤلاء ..
সুতরাং বেশি বেশি তাওবা ও ইস্তিগফার করো। নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক দয়াময় ও ক্ষমাশীল।
তোমার জন্য তুমি মহা-পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তায়ালার কিতাব খুলো! পড়ো এবং নিজেকে চিনতে সাহায্য করো যে, কে তুমি? কেমন হওয়া উচিত তোমার?!
আহানাফ ইবনে কাইস রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বর্ণনা করেন, একদা তিনি বসেছিলেন, হঠাৎ উনার দিলে আল্লাহ তায়ালার এই বাণী
"আমি অবশ্যই তোমাদের প্রতি এমন গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমাদের জন্য উপদেশ আছে, তবুও কি তোমরা বুঝবে না?" আল-আম্বিয়া ২১:১০
ঘুরপাক খাচ্ছিল।
তখন তিনি বললেন আমার জন্য আবশ্যক হলো আমি কুরআন অনুসন্ধান করব এবং দেখব আমি কে? আমার কেমন হওয়া উচিত!?
অতঃপর অনুসন্ধান করতে করতে একপর্যায়ে এমন এক সম্প্রদায়ের আলোচনা পেলেনঃ-
"যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় (আল্লাহর পথে) ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ সংবরণকারী এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল, আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।" আলি ‘ইমরান ৩:১৩৪
একটু সামনে আরেকদল লোকের আলোচনা পেলেনঃ-
"যারা বড় বড় পাপ এবং অশ্লীল কার্যকলাপ হতে বেঁচে চলে এবং রাগান্বিত হয়েও ক্ষমা করে।" আশ-শুরা ৪২:৩৭
একটু সামনে আরেকদল লোকের আলোচনা পেলেনঃ-
"তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করত। রাত্রির শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করত। আর তাদের ধন-সম্পদে রয়েছে ভিক্ষুক ও বঞ্চিতের হক।" আয-যারিয়াত ৫১: ১৭ - ১৯
একটু সামনে আরেকদল লোকের আলোচনা পেলেনঃ-
"(আর এ সম্পদ তাদের জন্যও) যারা মুহাজিরদের আসার আগে থেকেই (মাদীনাহ) নগরীর বাসিন্দা ছিল আর ঈমান গ্রহণ করেছে। তারা তাদেরকে ভালবাসে যারা তাদের কাছে হিজরাত করে এসেছে। মুহাজিরদেরকে যা দেয়া হয়েছে তা পাওয়ার জন্য তারা নিজেদের অন্তরে কোন কামনা রাখে না, আর তাদেরকে (অর্থাৎ মুহাজিরদেরকে) নিজেদের উপর অগ্রাধিকার দেয়- নিজেরা যতই অভাবগ্রস্ত হোক না কেন। বস্তুত: যাদেরকে হৃদয়ের সংকীর্ণতা থেকে রক্ষা করা হয়েছে তারাই সফলকাম।"
আল-হাশ্*র ৫৯:৯
অতপর তিনি বললেনঃ- হে আল্লাহ আমি নিজেকে চিনতে পারিনি। যদি তাদের অন্তরর্ভুক্ত হতে পারতাম!!
অতঃপর আবার পড়তে লাগলেন...
একটু সামনে আরেকদল লোকের আলোচনা পেলেনঃ
তাদেরকে যখন ‘আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই’ বলা হত, তখন তারা অহংকার করত। আস-সাফফাত ৩৭:৩৫
একটু সামনে আরেকদল লোকের আলোচনা পেলেনঃ-
‘কিসে তোমাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে গেছে?তারা বলবে, ‘আমরা নামায আদায়কারী লোকেদের মধ্যে শামিল ছিলাম না, আর মিসকীনদেরকে খাবার খাওয়াতাম না, আর আমরা (সত্য পথের পথিকদের) সমালোচনা করতাম সমালোচনাকারীদের সঙ্গে (থেকে)। আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম। আমাদের নিকট নিশ্চিত বিশ্বাস (অর্থাৎ মৃত্যু) না আসা পর্যন্ত।’ আল-মুদ্দাসসির ৭৪: ৪২ - ৪৭
অতঃপর তিনি বললেন হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট এদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কামনা করছি।
পরিশেষে এই আয়াতে এসে থেমে গেলেনঃ-
"আর অপর কিছু লোক আছে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে, তারা এক সৎকাজের সাথে অন্য অসৎকাজ মিশিয়ে ফেলেছে; আল্লাহ্ হয়ত তাদেরকে ক্ষমা করবেন; নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।"
আত-তাওবাহ ৯:১০২
فقال : اللهم أنا من هؤلاء .. وأنا من هؤلاء ..
সুতরাং বেশি বেশি তাওবা ও ইস্তিগফার করো। নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক দয়াময় ও ক্ষমাশীল।
Comment