[ ১ ]
কুরআন কে তোমার অতিরিক্ত সময় দিওনা। বরং তার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করো! যেন কেউ তোমাকে সে সময় বিরক্ত না করে ।
__________
[ ২ ]
তিলাওয়াতের পূর্বে অজু নবায়ন করে নাও, কিবলা মুখি হও, ইস্তিআ'জা (আউজুবিল্লাহি মিনাশ-শাইতানির-রজিম) তারপর বাসমালা (বিসমিল্লাহির-রহমানির-রহিম) দিয়ে শুরু করো, এবং কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত সমুহ স্মরণ করো!!
__________
[ ৩ ]
তোমার আওয়াজ যেন মাঝারি হয়, যেন খুব উঁচু না হয় যা তোমাকে ক্লান্ত ও বিরক্ত করে তোলবে। অথবা এমন নীচু ও যেন না হয় যে ঝিমিয়ে পড়ো। এবং তোমার দ্রুততা ও যেন মাঝারি হয়, এত দ্রুত করোনা যে বকবক শুনা যায়, আবার এমন ধীরে ও যেন না হয় যে বিরক্তি ও নিস্পৃহা চলে আসে।
__________
[ ৪ ]
কুরআনের একটি মর্যাদা ও গাম্ভীর্যতা রয়েছে, আর যে কুরআন কে আন্তরিক ভাবে সুউচ্চে স্থান দেয়, আল্লাহ তায়ালা ও মানুষের মাঝে তার স্হান কে উঁচু করে দেন! কারো সাথে কথা বলে তোমার তিলাওয়াত বন্ধ করে দিওনা।
__________
[ ৫ ]
সলফুসালেহিনদের কেউ যখন কোনো সুরা তিলাওয়াত শুরু করতেন, তখন ঐ সুরা সমাপ্ত না করে পড়া বিরতি দিতেননা। আর এটা আল্লাহ তায়ালার কালামের সাথে আদব! অথচ আমাদের অনেকেই এমন আছি যে আয়াতের মাঝে ও থেমে যাই।
__________
[ ৬ ]
যখন তিলাওয়াত শুরু করবে তখন কাউকে পাত্তা দিওনা। আর যদি কেউ তোমার সাথে কথা বলতে চায়, তুমি হাতদিয়ে ইশারা করে ওজরখাহি (অনুরোধ) করো! এটাই হলো আল্লাহর কিতাবের তা'জিম। (অন্যের উপর কোরআন কে প্রাধান্য দেওয়া)
__________
[ ৭ ]
যদি কারো জন্য তিলাওয়াত বিরত করতেই হয় তাহলে তাৎক্ষণিক তাকে সাড়া দিওনা বরং সে যেন তোমার. অন্তত উপযুক্ত স্হানে আয়াত সমাপ্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করে।
__________
[ ৮ ]
তোমার জন্য আবশ্যক জিহ্বা নেড়ে কোরআন তিলাওয়াত করা, কেননা শুধু চোখের তিলাওয়াত জায়েজ নেই এবং এই ব্যক্তি কে তিলাওয়াত কারী ও বলা হবেনা। এমনি ফাতাওয়া প্রদান করেছেন আল্লামা ইবনু-বাজ রাহিমাহুল্লহু তায়ালা।
__________
[ ৯ ]
কুরআনের কোন সহজ আয়াত তিলাওয়াত করে তাহা ফেসবুক টুইটারে ইত্যাদি সোশাল মিডিয়ায় প্রচার করা আর এমনিতে অন্যান্য আয়াত তিলাওয়াত করা এটাও আল্লাহ কালামের অবমাননা।
__________
[ ১০ ]
হে ভাই! তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি তুমি এমন দূর কোনো অঞ্চলের মসজিদে চলে যাও যেখানে কেউ তোমাকে চিনেনা, এবং হে বোন! তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি তুমি নির্জন বা গোপন কোনো কামরায় চলে যাও! এবং সেখানে তিলাওয়াত করো! যাতে আল্লাহ তায়ালার কালাম অনুধাবনের স্বাদ উপভোগ করতে পারো!
__________
[ ১১ ]
গুরুত্বপূর্নঃ-
কুরআনের তিলাওয়াতের মজলিশে তোমার সবচেয়ে নিকৃষ্ট সাথি হলো তোমার মোবাইল, তিলাওয়াতের সময় তুমি তাকে তোমার সাথে নিবেনা, এবং তুমি একেবারেই একাকি তিলাওয়াত এর স্হানে যাবে এমনকি শয়তান ও যেন না যেতে পারে।
__________
[ ১২ ]
তিলাওয়াত এর মাঝে কখনো রহমতের আয়াত আসবে কখনো জান্নাতের প্রতিশ্রতির আয়াত আসবে জাহান্নামের ভয়াবহতার আয়াত আসবে, এমন আয়াত গুলুর কাছে এসে থামো! দুই হাত উত্তলন করো এবং আল্লাহ তায়ালার নিকট অনুগ্রহ প্রার্থনা করো! অন্তরে এর বড় প্রভাব পড়ে।
__________
[ ১৩ ]
যদি তুমি ধীরগতিতে তিলাওয়াত কারি হও, অথবা সুন্দর করে পড়তে পারোনা এমন হও, তাহলে নিরাশ হয়োনা জেনে রেখো! তোমার প্রতিদান দিগুন হবে, তুমি দুইবার প্রতিদান পাবে, আমি তোমাকে ওয়াসিয়ত করছি তুমি কোরআনের তিলাওয়াত তোমার ফোনে ডাউনলোড করে নাও ! এবং তা অনুসরণ করে শিখে নাও!
__________
[ ১৪ ]
পারার শেষে তিলাওয়াত স্থগিত করার চেয়ে সুরার শেষে তিলাওয়াত স্থগিত করাই পূর্ণতা ও উত্তম।
ইবনে উমর রাযিয়াল্লহু তায়ালা আনহু যদি কোন সুরা শুরু করতেন তো শেষ না করে তিলাওয়াত বন্ধ করতেননা।
__________
[ ১৫ ]
পারা সমাপ্তির নেশা যেন তোমাকে কুরআন অনুধাবন ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি যেমন একটি আয়াত কে বারংবার পড়া, প্রয়োজনে দশ বার হলেও পড়া যতক্ষণ না তোমার হৃদয় বিগলিত হয়, কুরআন অনুধাবনের স্বাদ আস্বাদন থেকে উদাসীন না করে।
ﺗﻘﺒﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻨﺎ ﻭﻣﻨﻚ
آمين
__________
কুরআন কে তোমার অতিরিক্ত সময় দিওনা। বরং তার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করো! যেন কেউ তোমাকে সে সময় বিরক্ত না করে ।
__________
[ ২ ]
তিলাওয়াতের পূর্বে অজু নবায়ন করে নাও, কিবলা মুখি হও, ইস্তিআ'জা (আউজুবিল্লাহি মিনাশ-শাইতানির-রজিম) তারপর বাসমালা (বিসমিল্লাহির-রহমানির-রহিম) দিয়ে শুরু করো, এবং কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত সমুহ স্মরণ করো!!
__________
[ ৩ ]
তোমার আওয়াজ যেন মাঝারি হয়, যেন খুব উঁচু না হয় যা তোমাকে ক্লান্ত ও বিরক্ত করে তোলবে। অথবা এমন নীচু ও যেন না হয় যে ঝিমিয়ে পড়ো। এবং তোমার দ্রুততা ও যেন মাঝারি হয়, এত দ্রুত করোনা যে বকবক শুনা যায়, আবার এমন ধীরে ও যেন না হয় যে বিরক্তি ও নিস্পৃহা চলে আসে।
__________
[ ৪ ]
কুরআনের একটি মর্যাদা ও গাম্ভীর্যতা রয়েছে, আর যে কুরআন কে আন্তরিক ভাবে সুউচ্চে স্থান দেয়, আল্লাহ তায়ালা ও মানুষের মাঝে তার স্হান কে উঁচু করে দেন! কারো সাথে কথা বলে তোমার তিলাওয়াত বন্ধ করে দিওনা।
__________
[ ৫ ]
সলফুসালেহিনদের কেউ যখন কোনো সুরা তিলাওয়াত শুরু করতেন, তখন ঐ সুরা সমাপ্ত না করে পড়া বিরতি দিতেননা। আর এটা আল্লাহ তায়ালার কালামের সাথে আদব! অথচ আমাদের অনেকেই এমন আছি যে আয়াতের মাঝে ও থেমে যাই।
__________
[ ৬ ]
যখন তিলাওয়াত শুরু করবে তখন কাউকে পাত্তা দিওনা। আর যদি কেউ তোমার সাথে কথা বলতে চায়, তুমি হাতদিয়ে ইশারা করে ওজরখাহি (অনুরোধ) করো! এটাই হলো আল্লাহর কিতাবের তা'জিম। (অন্যের উপর কোরআন কে প্রাধান্য দেওয়া)
__________
[ ৭ ]
যদি কারো জন্য তিলাওয়াত বিরত করতেই হয় তাহলে তাৎক্ষণিক তাকে সাড়া দিওনা বরং সে যেন তোমার. অন্তত উপযুক্ত স্হানে আয়াত সমাপ্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করে।
__________
[ ৮ ]
তোমার জন্য আবশ্যক জিহ্বা নেড়ে কোরআন তিলাওয়াত করা, কেননা শুধু চোখের তিলাওয়াত জায়েজ নেই এবং এই ব্যক্তি কে তিলাওয়াত কারী ও বলা হবেনা। এমনি ফাতাওয়া প্রদান করেছেন আল্লামা ইবনু-বাজ রাহিমাহুল্লহু তায়ালা।
__________
[ ৯ ]
কুরআনের কোন সহজ আয়াত তিলাওয়াত করে তাহা ফেসবুক টুইটারে ইত্যাদি সোশাল মিডিয়ায় প্রচার করা আর এমনিতে অন্যান্য আয়াত তিলাওয়াত করা এটাও আল্লাহ কালামের অবমাননা।
__________
[ ১০ ]
হে ভাই! তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি তুমি এমন দূর কোনো অঞ্চলের মসজিদে চলে যাও যেখানে কেউ তোমাকে চিনেনা, এবং হে বোন! তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি তুমি নির্জন বা গোপন কোনো কামরায় চলে যাও! এবং সেখানে তিলাওয়াত করো! যাতে আল্লাহ তায়ালার কালাম অনুধাবনের স্বাদ উপভোগ করতে পারো!
__________
[ ১১ ]
গুরুত্বপূর্নঃ-
কুরআনের তিলাওয়াতের মজলিশে তোমার সবচেয়ে নিকৃষ্ট সাথি হলো তোমার মোবাইল, তিলাওয়াতের সময় তুমি তাকে তোমার সাথে নিবেনা, এবং তুমি একেবারেই একাকি তিলাওয়াত এর স্হানে যাবে এমনকি শয়তান ও যেন না যেতে পারে।
__________
[ ১২ ]
তিলাওয়াত এর মাঝে কখনো রহমতের আয়াত আসবে কখনো জান্নাতের প্রতিশ্রতির আয়াত আসবে জাহান্নামের ভয়াবহতার আয়াত আসবে, এমন আয়াত গুলুর কাছে এসে থামো! দুই হাত উত্তলন করো এবং আল্লাহ তায়ালার নিকট অনুগ্রহ প্রার্থনা করো! অন্তরে এর বড় প্রভাব পড়ে।
__________
[ ১৩ ]
যদি তুমি ধীরগতিতে তিলাওয়াত কারি হও, অথবা সুন্দর করে পড়তে পারোনা এমন হও, তাহলে নিরাশ হয়োনা জেনে রেখো! তোমার প্রতিদান দিগুন হবে, তুমি দুইবার প্রতিদান পাবে, আমি তোমাকে ওয়াসিয়ত করছি তুমি কোরআনের তিলাওয়াত তোমার ফোনে ডাউনলোড করে নাও ! এবং তা অনুসরণ করে শিখে নাও!
__________
[ ১৪ ]
পারার শেষে তিলাওয়াত স্থগিত করার চেয়ে সুরার শেষে তিলাওয়াত স্থগিত করাই পূর্ণতা ও উত্তম।
ইবনে উমর রাযিয়াল্লহু তায়ালা আনহু যদি কোন সুরা শুরু করতেন তো শেষ না করে তিলাওয়াত বন্ধ করতেননা।
__________
[ ১৫ ]
পারা সমাপ্তির নেশা যেন তোমাকে কুরআন অনুধাবন ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি যেমন একটি আয়াত কে বারংবার পড়া, প্রয়োজনে দশ বার হলেও পড়া যতক্ষণ না তোমার হৃদয় বিগলিত হয়, কুরআন অনুধাবনের স্বাদ আস্বাদন থেকে উদাসীন না করে।
ﺗﻘﺒﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻨﺎ ﻭﻣﻨﻚ
آمين
__________
Comment