Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুসলমানদের উপর নির্যাতন/মুছিবাতের কারণ ও প্রতিকার - শেষ পর্বঃ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুসলমানদের উপর নির্যাতন/মুছিবাতের কারণ ও প্রতিকার - শেষ পর্বঃ

    শেষ পর্বঃ
    শিরকের মত মহাপাপ ছাড়াও আমরা প্রতিনিয়ত আরও অসংখ্য কবিরা গুনাহে লিপ্ত আছি । আর কোন কবিরা গুনাহই প্রকৃত তাওবা ছাড়া মাফ হবে না। তাই পাঠকের জ্ঞাতার্থে কবিরা গুনাহের একটি তালিকা নিম্নে পেশ করছি, যাতে আমরা নিজেরাই নিজেদের কৃত/চলমান কবিরা গুনাহগুলো চিহ্নীত করে সেই গুনাহগুলো থেকে নিজেদেরকে পরহেজ করতে পারি ও মহান আল্লাহর দরবারে তাওবা করতে পারি :

    ক্র নং শিরোনাম
    ১ আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা’
    ২ মানুষ হত্যা করা
    ৩ যাদু করা
    ৪ সালাত ত্যাগ করা
    ৫ যাকাত আদায় না করা
    ৬ সঙ্গত কারণ ছাড়া রমযানের সাওম ভঙ্গ করা বা না রাখা
    ৭ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ না করা
    ৮ মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া
    ৯ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং নিকট আত্মীয়দের পরিত্যাগ করা
    ১০ যিনা/ব্যভিচার করা
    ১১ পুং মৈথুন এবং স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করা
    ১২ সুদী কারবারে সমপৃক্ত থাকা
    ১৩ ইয়াতীমের সম্পদ ভক্ষণ করা
    ১৪ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের ওপর মিথ্যারোপ করা
    ১৫ জিহাদ/যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা
    ১৬ শাসক কর্তৃক প্রজাদেরকে ধোকা দেওয়া এবং তাদের ওপর অত্যাচার করা
    ১৭ গর্ব, অহংকার, আত্মম্ভরিতা, হট-ধর্মিতা
    ১৮ মিথ্যা সাক্ষী দেওয়া’
    ১৯ মাদক দ্রব্য সেবন করা
    ২০ জুয়া খেলা
    ২১ সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি ব্যভিচারের অপবাদ দেওয়া
    ২২ গনীমতের মাল আত্মসাৎ করা
    ২৩ চুরি করা
    ২৪ ডাকাতি করা
    ২৫ মিথ্যা শপথ
    ২৬ যুলুম, অত্যাচারা করা
    ২৭ চাঁদাবাজী ও অন্যায় টোল আদায়
    ২৮ হারাম খাওয়া, তা যে কোনো উপায়ে হোক না কেন
    ২৯ আত্মাহত্যা করা
    ৩০ মিথ্যা বলা
    ৩১ মানব রচিত বিধানে দেশ পরিচালনা ও বিচার ফয়সালা করা
    ৩২ বিচার ফয়সালার ক্ষেত্রে ঘুষ গ্রহণ করা
    ৩৩ মহিলা পুরুষের বেশ ধারণ করা এবং পুরুষের মহিলার বেশ ধারণ করা
    ৩৪ আপন স্ত্রীকে ব্যভিচারে সুযোগ দেওয়া
    ৩৫ হালালকারী এবং যার জন্য হালাল করা হয় উভয়ে গুনাহগার । (এর ব্যাখ্যা হলো: কেউ কারো তিন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে এ শর্তে বিবাহ করে যে, সে সহবাস করে আবার তালাক দিয়ে দিবে, যাতে প্রথম স্বামী পুণরায় বিবাহ করতে পারে, এই ব্যক্তিকে মুহাল্লিল বা হালালকারী বলে। )
    ৩৬ পেশাব থেকে পবিত্রতা অর্জন না করা
    ৩৭ চতুষ্পদ জন্তুর চেহারা বিকৃতি করা
    ৩৮ দুনিয়া অর্জনের লক্ষ্যে ইলমে দীন শিক্ষা করা এবং সত্যেকে গোপন করা
    ৩৯ আমানতের খিয়ানত করা
    ৪০ দান করে খোটা দেওয়া
    ৪১ তাকদীরকে অস্বীকার করা
    ৪২ মানুষের নিকট অন্যের গোপন তথ্য ফাঁস করা
    ৪৩ পরনিন্দা করা
    ৪৪ অভিশাপ দেওয়া
    ৪৫ গাদ্দারী করা, ওয়াদা পালন না করা
    ৪৬ গণক ও জ্যোতির্বিদদের বিশ্বাস করা
    ৪৭ স্বামীর অবাধ্য হওয়া
    ৪৮ কাপড় , দেওয়াল ও পাথর ইত্যাদিতে প্রাণীর ছবি আঁকা
    ৪৯ শোক প্রকাশার্থে চেহারার উপর আঘাত করা, মাতম করা, কাপড় ছেড়া, মাথা মুণ্ডানো বা চুল উঠানো, বিপদের সময় ধ্বংসের জন্য দো‘আ করা
    ৫০ অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করা
    ৫১ দুর্বল, চাকর-চাকরানী, স্ত্রী ও চতুষ্পদ জন্তুর ওপর অত্যাচার করা
    ৫২ প্রতিবেশীদের কষ্ট দেওয়া
    ৫৩ মুসলিমদের কষ্ট দেওয়া ও গালি দেওয়া
    ৫৪ পুরুষ লোকের টাখনুর নিচে লুঙ্গি, পায়জামা ইত্যাদি ঝুলিয়ে পরিধান করা
    ৫৫ স্বর্ণ রৌপ্যের পাত্রে পানাহার করা
    ৫৬ পুরুষের স্বর্ণ ও রেশমী কাপড় পরিধান করা
    ৫৭ গোলামের পলায়ন করা
    ৫৮ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশ্যে পশু যবেহ করা
    ৫৯ জেনে শুনে অন্যকে পিতা বলে স্বীকৃতি দেওয়া
    ৬০ তর্ক-বির্তক, ঝগড়া এবং শত্রুতা পোষণ করা
    ৬১ প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি দান করতে অস্বীকার করা
    ৬২ ওজনে ও মাপে কম দেওয়া
    ৬৩ আল্লাহর পাকড়াও থেকে নিশ্চিন্ত হওয়া
    ৬৪ মৃত জন্তু, প্রবহিত রক্ত এবং শুকরের গোশত খাওয়া
    ৬৫ জুমু‘আর সালাত ও জামা‘আত ছেড়ে দিয়ে বিনা কারণে একা একা সালাত আদায় করা
    ৬৬ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া
    ৬৭ মুসলিমকে কাফির বলে আখ্যায়িত করা
    ৬৮ ষড়যন্ত্র করা এবং ধোঁকা দেওয়া
    ৬৯ মুসলিমদের ত্রুটি-বিচ্যুতি তালাশ করা এবং তাদের গোপন তথ্য প্রকাশ করা
    ৭০ কোনো সাহাবীকে গালি দেওয়া
    ৭১ অন্যায় বিচার
    ৭২ ঝগড়া করার সময় গালি দেওয়া
    ৭৩ কোনো বংশ বা তার লোকদের খারাপ গুণে অভিহিত করা
    ৭৪ মৃত ব্যক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক ও উচ্চ শব্দে কান্নাকাটি করা
    ৭৫ যমীনের সীমানা উঠিয়ে ফেলা বা পরিবর্তন করা
    ৭৬ অপসংস্কৃতি ও কু-প্রথার প্রচলন করা অথবা বিভ্রান্তির দিকে আহ্বান করা
    ৭৭ নারী অন্যের চুল ব্যবহার করা, শরীরে উলকি আঁকা, ভ্রু উপড়ানো, দাত ফাক করা
    ৭৮ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কারো দিকে ইশারা করা
    ৭৯ হারাম শরীফে ধর্মদ্রোহী কাজ করা


    উপরোক্ত আলোচনান্তে এটা পরিস্কার যে উপোরোল্লিখিত শিরকি ও কবিরা গুনাহ করে আমরা মালিকের নাফরমানিকে লিপ্ত হয়েছি। যে কারণে মালিক আমাদের উপর অসন্তুষ্ট। আর মালিককে অসন্তুষ্ট রেখে আমরা কি করে মালিকের সাহায্য আশা করতে পারি । কাজেই আমাদের উপর আপতিত সকল বালা- মুছিবাত ও বিপদ-আপদ থেকে বাঁচতে হলে বা মহান রাব্বুল আ’লামিনের রহমত পেতে হলে এই সকল গুনাহ পরিত্যাগ করার ও খালেছ তাওবা করার কোন বিকল্প নেই । আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন এবং সকল প্রকার গোমরাহী, বালা- মুছিবাত ও বিপদ-আপদ থেকে হেফাজত করুন। আমিন।


    মুসলমানদের উপর নির্যাতন/মুছিবাতের কারণ ও প্রতিকার – ১ম পর্ব
    এসো জিহাদ শিখি

  • #2
    আখি, কবিরা গুনাহর জন্য তাওবা আন নাসুহা বা প্রকৃত বা আন্তরিক তাওবা জরুরী --এতে সন্দেহ নেই! কিন্তু এ লাইনটা
    আর কোন কবিরা গুনাহই প্রকৃত তাওবা ছাড়া মাফ হবে না।
    সম্পূর্ণ সঠিক না। প্রকৃত তাওবা ছাড়াও আল্লাহ ইচ্ছে করলে কবীরা গুণাহ মাফ করে দিতে পারেন। শুধু শিরকের কবীরা(বড়) গুণাহ ছাড়া।
    মুসলিম উম্মাহ তো জিহাদের উম্মাহ!

    Comment


    • #3
      আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
      প্রিয় ভাই আল্লাহ হচ্ছেন স্রষ্টা । আর স্রষ্টা সকল ক্ষমতার অধিকারী । তাই আল্লাহ তা’আলা ইচ্ছা করলে যে কোন গুনাহই মাফ করতে পারেন। কিন্তু আল্লাহ তা’আলা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মাধ্যমে তাঁর বান্দাদের জন্য গুনাহ মাফের যে পন্থা নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা হচ্ছে তাওবা। কাজেই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নির্দেশিত পন্থা পরিহার করে গুনাহ মাফের আশা করার কোন সুযোগ নেই।
      এসো জিহাদ শিখি

      Comment


      • #4
        আসুন আমরা সকলেই সমস্ত গুণাহ থেকে করি।
        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

        Comment

        Working...
        X