একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা আমরা প্রায় ভুলতে বসেছি তা হল - তাফাক্কুর। তাফাক্কুর মানে গভীর চিন্তা ভাবনা করা। আল্লাহর নামসমূহ, সত্ত্বা, গুণাবলী ও ক্ষমতা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা। আল্লাহর নিদর্শনসমূহ যেমন আকাশ, জমিন, পাহাড়, রাত, দিন, বাতাস, জল, কুরআনের আয়াত নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা। আল্লাহর সৃষ্টি ও সৃষ্টির ক্ষমতা নিয়ে ভাবা। এগুলো নিয়ে চিন্তা করা মানে সুফিবাদ নয় কারন এই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের কথা কুরআনেই আছে। কুরআনে শত শত আয়াত আছে যা আমাদের চিন্তা ভাবনা করতে উৎসাহিত করে। এই চিন্তা ভাবনা অর্থাৎ তাফাক্কুরের মাধ্যমে তৌহিদ জোরালো হয়, আল্লাহর একাত্মবাদের মহিমা আরও গভীর হয় ভেতরে।
শরীর যেমন আত্মার সাথে চলে, তেমনই এই ইবাদতও আপনার অন্যান্য ইবাদতের পাশাপাশি চলবে। তাফাক্কুর দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু নয়, বরং এটি একটি হারিয়ে যাওয়া ইবাদত। এই ইবাদতের মাধ্যমে আমাদের বদ্ধ অন্তর উন্মুক্ত হয়। পাপের যে কালিমা দিয়ে অন্তর ঢেকে গিয়েছিল, তাফাক্কুরের মাধ্যমে তা ধুয়ে মুছে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এই ইবাদত কুরআনের অর্থকে অনুধাবন করার জন্য অন্তরকে উন্মুক্ত করে দেয় আর ঈমান বৃদ্ধি করে।
এই ইবাদত আপনার মধ্যে আল্লাহর প্রতি ভয়, ভালোবাসা, ভরসা, ঈমান বৃদ্ধি করবে। আপনার কঠিন অন্তরকে নরম করবে এই ইবাদত। যখন আপনি আল্লাহর ক্ষমতা নিয়ে ক্রমাগত চিন্তা করবেন, তা আপনাকে বিনয়ী করবে। যখন আপনি আল্লাহর দয়া আর ক্ষমাপরায়নতা নিয়ে ভাববেন, তা আপনাকে আরও বেশী ভালো কাজ করতে সাহায্য করবে। সাবান যেভাবে ময়লা পরিস্কার করে, তাফাক্কুরও আপনার ক্কলবের ময়লা দূর করবে।
আপনি যা কিছুই দেখেন তাই নিয়ে গভীর চিন্তা করার অভ্যেস গড়ে তুলুন। আবু সুলাইমান আদ দ্বারানি বলেন - আমি ঘর থেকে বেরিয়ে যা কিছু দেখেছি, তার মধ্যে আল্লাহর দয়া আর ক্ষমতা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছি। যা কিছু তিনি দেখতেন, তার মধ্যে তিনি আল্লাহর দয়া আর ক্ষমতা নিয়ে ভাবতেন।
যখনই আকাশের দিকে তাকাবেন, ভাববেন কোন স্তম্ভ ছাড়া এই বিরাট আকাশকে কে ধরে রেখেছে? আকাশের দিকে দেখুন তারপর আপনার ঘরের দেওয়ালের দিকে দেখুন - প্রতিমাসে কিছু না কিছু মেরামত করা লাগে মিস্ত্রী দিয়ে। অথচ আকাশের মত বিশাল এক সৃষ্টিকে আল্লাহ বছরের পর বছর অটুট রেখেছেন। ঘর বা মাসজিদ থেকে বেরিয়ে যখনই আকাশের দিকে তাকাবেন আর চিন্তা করবেন - যে আল্লাহ এই আকাশকে বানালেন, তিনি আপনার এইমাত্র করা দু'আ কে কবুল করতে সক্ষম। এটি আপনার হৃদয়কে আশা ভরসা দিয়ে ভরিয়ে দেবে।
একটু সময় নিয়ে আখেরাতের দৃশ্যগুলোকে কল্পনা করুন। আপনার উপর আল্লাহর অনুগ্রহসমূহ নিয়ে চিন্তা করুন। জান্নাতে আপনার প্রাসাদ আর আশেপাশে আপনার প্রতিবেশী কেমন হবে, তা নিয়ে ভাবুন। জান্নাতে আপনার বাড়ির সামনে এবং পিছনে বাগান কেমন হবে, আপনার প্রাসাদের ছাদ কত বড় হবে, ভাবনাহীন এক জীবনে আপনার পরিবারের সাথে পুনর্মিলিত হওয়ার পর আপনার অনুভূতি কেমন হবে, তা নিয়ে ভাবুন। দুনিয়া নামক জেলখানার সমস্ত দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলতে এসব ভাবনা কাজে দেবে। এটি আপনার মনে প্রশান্তি এনে দেবে। আল্লাহর আদেশে তাঁর সাথে দেখা করার কথা ভাবুন। এটি আপনার মাঝে তাঁর প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে দেবে। তাকওয়া বৃদ্ধি করবে। শয়তানের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে, কারন আপনি আল্লাহর সাথে দেখা করতে চান।
জাহান্নাম নিয়ে ভাবুন। সেখানকার অধিবাসীদের দুর্দশা নিয়ে এবং তাদের শাস্তি নিয়ে ভাবুন। এটি আপনার অন্তর নরম করবে। অতীত পাপের জন্য অনুশোচনা তৈরি করবে। তওবা করতে উৎসাহ যোগাবে। ঈমান ও তাকওয়ার সাথে নতুন জীবন গড়ার প্রত্যয় জাগাবে। এই ইবাদত আপনার মাঝে আল্লাহর প্রতি ইয়াক্কীন বৃদ্ধি করবে।
আধুনিক সভ্যতা থেকে বিচ্যুত এবং একজন অশিক্ষিত বেদুইন যখন তাফাক্কুর করছিল, তখন এই গভীর চিন্তাভাবনা তাকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল, যার ব্যাপারে আজকের আধুনিক শিক্ষিত লোকদের কোন ধারণাই হবেনা।
উটের বিষ্ঠা দেখে বোঝা যায় এখানে উট ছিল। পায়ের ছাপ দেখে বোঝা যায় এখান থেকে কেউ হেঁটে গিয়েছে। তারা ভরা বিশাল আকাশ আর সাগর ভরা মনোমুগ্ধকর ঢেউ দেখে বোঝা যায় - সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান আল্লাহর অস্তিত্ব আছে। এই তাফাক্কুরের ফলেই ঐ বেদুইন আল্লাহর অস্তিত্ব অনুভব করেছিল।
শরীর যেমন আত্মার সাথে চলে, তেমনই এই ইবাদতও আপনার অন্যান্য ইবাদতের পাশাপাশি চলবে। তাফাক্কুর দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু নয়, বরং এটি একটি হারিয়ে যাওয়া ইবাদত। এই ইবাদতের মাধ্যমে আমাদের বদ্ধ অন্তর উন্মুক্ত হয়। পাপের যে কালিমা দিয়ে অন্তর ঢেকে গিয়েছিল, তাফাক্কুরের মাধ্যমে তা ধুয়ে মুছে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এই ইবাদত কুরআনের অর্থকে অনুধাবন করার জন্য অন্তরকে উন্মুক্ত করে দেয় আর ঈমান বৃদ্ধি করে।
এই ইবাদত আপনার মধ্যে আল্লাহর প্রতি ভয়, ভালোবাসা, ভরসা, ঈমান বৃদ্ধি করবে। আপনার কঠিন অন্তরকে নরম করবে এই ইবাদত। যখন আপনি আল্লাহর ক্ষমতা নিয়ে ক্রমাগত চিন্তা করবেন, তা আপনাকে বিনয়ী করবে। যখন আপনি আল্লাহর দয়া আর ক্ষমাপরায়নতা নিয়ে ভাববেন, তা আপনাকে আরও বেশী ভালো কাজ করতে সাহায্য করবে। সাবান যেভাবে ময়লা পরিস্কার করে, তাফাক্কুরও আপনার ক্কলবের ময়লা দূর করবে।
আপনি যা কিছুই দেখেন তাই নিয়ে গভীর চিন্তা করার অভ্যেস গড়ে তুলুন। আবু সুলাইমান আদ দ্বারানি বলেন - আমি ঘর থেকে বেরিয়ে যা কিছু দেখেছি, তার মধ্যে আল্লাহর দয়া আর ক্ষমতা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছি। যা কিছু তিনি দেখতেন, তার মধ্যে তিনি আল্লাহর দয়া আর ক্ষমতা নিয়ে ভাবতেন।
যখনই আকাশের দিকে তাকাবেন, ভাববেন কোন স্তম্ভ ছাড়া এই বিরাট আকাশকে কে ধরে রেখেছে? আকাশের দিকে দেখুন তারপর আপনার ঘরের দেওয়ালের দিকে দেখুন - প্রতিমাসে কিছু না কিছু মেরামত করা লাগে মিস্ত্রী দিয়ে। অথচ আকাশের মত বিশাল এক সৃষ্টিকে আল্লাহ বছরের পর বছর অটুট রেখেছেন। ঘর বা মাসজিদ থেকে বেরিয়ে যখনই আকাশের দিকে তাকাবেন আর চিন্তা করবেন - যে আল্লাহ এই আকাশকে বানালেন, তিনি আপনার এইমাত্র করা দু'আ কে কবুল করতে সক্ষম। এটি আপনার হৃদয়কে আশা ভরসা দিয়ে ভরিয়ে দেবে।
একটু সময় নিয়ে আখেরাতের দৃশ্যগুলোকে কল্পনা করুন। আপনার উপর আল্লাহর অনুগ্রহসমূহ নিয়ে চিন্তা করুন। জান্নাতে আপনার প্রাসাদ আর আশেপাশে আপনার প্রতিবেশী কেমন হবে, তা নিয়ে ভাবুন। জান্নাতে আপনার বাড়ির সামনে এবং পিছনে বাগান কেমন হবে, আপনার প্রাসাদের ছাদ কত বড় হবে, ভাবনাহীন এক জীবনে আপনার পরিবারের সাথে পুনর্মিলিত হওয়ার পর আপনার অনুভূতি কেমন হবে, তা নিয়ে ভাবুন। দুনিয়া নামক জেলখানার সমস্ত দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলতে এসব ভাবনা কাজে দেবে। এটি আপনার মনে প্রশান্তি এনে দেবে। আল্লাহর আদেশে তাঁর সাথে দেখা করার কথা ভাবুন। এটি আপনার মাঝে তাঁর প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে দেবে। তাকওয়া বৃদ্ধি করবে। শয়তানের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে, কারন আপনি আল্লাহর সাথে দেখা করতে চান।
জাহান্নাম নিয়ে ভাবুন। সেখানকার অধিবাসীদের দুর্দশা নিয়ে এবং তাদের শাস্তি নিয়ে ভাবুন। এটি আপনার অন্তর নরম করবে। অতীত পাপের জন্য অনুশোচনা তৈরি করবে। তওবা করতে উৎসাহ যোগাবে। ঈমান ও তাকওয়ার সাথে নতুন জীবন গড়ার প্রত্যয় জাগাবে। এই ইবাদত আপনার মাঝে আল্লাহর প্রতি ইয়াক্কীন বৃদ্ধি করবে।
আধুনিক সভ্যতা থেকে বিচ্যুত এবং একজন অশিক্ষিত বেদুইন যখন তাফাক্কুর করছিল, তখন এই গভীর চিন্তাভাবনা তাকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল, যার ব্যাপারে আজকের আধুনিক শিক্ষিত লোকদের কোন ধারণাই হবেনা।
উটের বিষ্ঠা দেখে বোঝা যায় এখানে উট ছিল। পায়ের ছাপ দেখে বোঝা যায় এখান থেকে কেউ হেঁটে গিয়েছে। তারা ভরা বিশাল আকাশ আর সাগর ভরা মনোমুগ্ধকর ঢেউ দেখে বোঝা যায় - সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান আল্লাহর অস্তিত্ব আছে। এই তাফাক্কুরের ফলেই ঐ বেদুইন আল্লাহর অস্তিত্ব অনুভব করেছিল।
সংগৃহিত
Comment