আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় ভাই!
কেমন আছেন আপনারা?
চলুন একটি ছোট্ট বিষয় নিয়ে নিরসন করি--
দ্বীনের ধারকবাহক দাবিদারদের পক্ষ থেকে একেমন যুক্তি..?
★মাদ্রাসার উস্তাদ মহোদয়গণ;-
জিহাদ নিয়ে স্পষ্ট কিছু বললেই আমাদের সারেতাজগণ জওয়াব দেন আরে আমি তো দরস-তাদরীস নিয়ে আছি দ্বীনের একটি সাইড নিয়ে আছি সুতরাং জিহাদে যাবো কি করে,
★দাওয়াত ও তাবলিগের ভাইদের জিহাদের কথা বললে তারা জওয়াব দেয়-
আরে ভাই আমরাও তো দ্বীনের একটি সাইড নিয়ে আছি আপনারা জিহাদ করেন আমরা তো একটা নিয়ে মেহনত করছি।
★খানকাওয়ালাদের যখন বলা হয় জিহাদের কথা!
তাদের জওয়াবঃ-
আমরা তো দ্বীনের একটা বড়ো অংশ নিয়েই আছি-
-উল্যেখিত তিন শ্রেনীর লেকদের জওয়াবগুলো নিয়ে একটু পর্যালোচনা মূলক জওয়াবঃ-
সুবহানাল্লাহ!
আল্লাহ তায়ালা সবচেয়ে বেশি মহান!
এটা কেমন দাবি..?
আমি
এসব বিষয় বিস্তারিত কথা বলতে গেলেই আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাবে।
তাই সরাসরি জওয়াবের দিকে আসি-
আসলে এরা এমন প্রকৃতির লোক আপনি ৩০পারা কোরআন যদি তাদের খাইয়েও দেন তাও তারা তা গ্রহন করবে না।
আচ্ছা আসুন-
আগে জওয়াবটি দেই-
"কোনো মাদ্রাসার শিক্ষক, কোন খানকার পীর,কোনো তাবলিগের দায়ী(যারা উল্লেখিত অজুহাত পেশ করে) তাদেরকে ফজর,যোহর,আসর,মাগরিব,ইশা,জুমুয়া,তাহাজ্জুদ,
ইশরাক,আওয়াবিন,চাশত এই সলাতগুলে আদায় করতে ডাকা হলে তারা একনিষ্ঠ ভাবে তা আদায় করার চেষ্টা করবে,
তাদেরকে রোজা রাখা বলা হলে তারা তাও স্বেচ্ছায়, স্বাচ্ছন্দ্যে রোজা রাখবে,
তাদেরকে হজ্বের অফার দিলে অবশ্যই তারা হজ্ব পালন করবে,
এই নামাজ,রোজা,হজ্জ এগুলো মহান আল্লাহর বিধান।"
এগুলো পালন করতে গিয়ে যদি হুজুরের মাদ্রাসায় তালা লাগে লাগুক তাতে হুজুরের আপত্তি কখনোই থাকে না,
এগুলে পালন করতে গিয়ে খানকাওয়ালার খানকায় তালা লাগে লাগুক তাতে খানকাওয়ালার আপত্তি কখনোই থাকে না,
এগুলো আমল করতে গিয়ে দাওয়াত ও তাবলিগ বন্ধ থাকে, থাকুক তাতেও তাদের আপত্তি কখনোই থাকে না
কিন্তু আপত্তি শুরু হয় জিহাদের কথা আসলেই।
অথচ জিহাদ ইসলামের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ইন্না লিল্লাহ!
এটা কেমন আনুগত্য..?
আল্লাহ তায়ালা যেই শব্দ দ্বারা রোজা ফরজ করেছেন একই শব্দ দিয়ে জিহাদ/ কিতাকলেও ফরজ করেছেন,
রোজার সময় আমল বেড়ে যায় (আলহামদুলিল্লাহ এটা অত্যন্ত ভালো) কিন্তু জিহাদের কথা শুনলে ঠোঁট শুকিয়ে যায়, কলিজা কেঁপে উঠে, অজানা এক ভয়ভীতি কাজ করে, বিরক্তিকর বিরক্তিকর ভাব আসে...
এগুলো কি নেফাকের আলামত নয়..?
আল্লাহর নবী সাঃ এর সকল সাহাবী আলেম ছিলেন না,হাফেজ ছিলেন না,মুফতি ছিলেন না,মুহাদ্দিস আর মুফাসসির ছিলেন না কিন্তু সকলেই ১০০% মুজাহিদ ছিলেন।
হায়!
এটা কেমন মুসলিম..?
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
"তোমাদের উপর কিতাল ফরজ করা হয়েছে অথচ তা তোমাদের নিকট অপছন্দনীয়। অনেক কিছু এমন আছে যা তোমরা অপছন্দ করো কিন্ত প্রকৃতপক্ষে তা তোমাদের জন্য কল্যাণ, আর অনেক বিষয় এমন আছে যা তোমাদের নিকট পছন্দের কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা তোমাদের জন্য অকল্যাণ"
(সুরা বাকারা)
আল্লাহু আকবর!!
এই আয়াতের সাথে হুবুহু মিলে গেলো,
আমার ভাইয়েরা!!
লেখাটি যদি আপনার বিরুদ্ধে যায় তাহলে আমার বিরোধিতা করার আগে আপনি ভেবে দেখুন-
আপনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াতে আপনি আমার বিরোধিতা করবেন তাহলে জেনে রাখবেন-
আল্লাহর কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে মহান আল্লাহ তায়ালাই আপনার জন্য উত্তম ফায়সালা করবেন ইনশাআল্লাহ।
লেখাটি দীর্ঘ হওয়াতে আমায় ক্ষমা করবেন।
আপনার অপর ভাইয়ের কাছে পৌঁছে দিন ইনশাআল্লাহ।
কষ্ট করে পড়েছেন- জাজাকাল্লাহ খাইরান প্রিয়।
"আপনাদের নেক দোয়ায় মুজাহিদ ও মাজলুম ভাইদের কথা কখনই ভুলে যাবেন না"
ওয়াসসালাম।
প্রিয় ভাই!
কেমন আছেন আপনারা?
চলুন একটি ছোট্ট বিষয় নিয়ে নিরসন করি--
দ্বীনের ধারকবাহক দাবিদারদের পক্ষ থেকে একেমন যুক্তি..?
★মাদ্রাসার উস্তাদ মহোদয়গণ;-
জিহাদ নিয়ে স্পষ্ট কিছু বললেই আমাদের সারেতাজগণ জওয়াব দেন আরে আমি তো দরস-তাদরীস নিয়ে আছি দ্বীনের একটি সাইড নিয়ে আছি সুতরাং জিহাদে যাবো কি করে,
★দাওয়াত ও তাবলিগের ভাইদের জিহাদের কথা বললে তারা জওয়াব দেয়-
আরে ভাই আমরাও তো দ্বীনের একটি সাইড নিয়ে আছি আপনারা জিহাদ করেন আমরা তো একটা নিয়ে মেহনত করছি।
★খানকাওয়ালাদের যখন বলা হয় জিহাদের কথা!
তাদের জওয়াবঃ-
আমরা তো দ্বীনের একটা বড়ো অংশ নিয়েই আছি-
-উল্যেখিত তিন শ্রেনীর লেকদের জওয়াবগুলো নিয়ে একটু পর্যালোচনা মূলক জওয়াবঃ-
সুবহানাল্লাহ!
আল্লাহ তায়ালা সবচেয়ে বেশি মহান!
এটা কেমন দাবি..?
আমি
আশ্চর্যান্বিত
হই এটা ভেবে যে, কি করে দ্বীনের একজন আলেম এসব খোঁড়া ও মুর্খতাময় যুক্তি পেশ করতে পারে..!!!!এসব বিষয় বিস্তারিত কথা বলতে গেলেই আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাবে।
তাই সরাসরি জওয়াবের দিকে আসি-
আসলে এরা এমন প্রকৃতির লোক আপনি ৩০পারা কোরআন যদি তাদের খাইয়েও দেন তাও তারা তা গ্রহন করবে না।
আচ্ছা আসুন-
আগে জওয়াবটি দেই-
"কোনো মাদ্রাসার শিক্ষক, কোন খানকার পীর,কোনো তাবলিগের দায়ী(যারা উল্লেখিত অজুহাত পেশ করে) তাদেরকে ফজর,যোহর,আসর,মাগরিব,ইশা,জুমুয়া,তাহাজ্জুদ,
ইশরাক,আওয়াবিন,চাশত এই সলাতগুলে আদায় করতে ডাকা হলে তারা একনিষ্ঠ ভাবে তা আদায় করার চেষ্টা করবে,
তাদেরকে রোজা রাখা বলা হলে তারা তাও স্বেচ্ছায়, স্বাচ্ছন্দ্যে রোজা রাখবে,
তাদেরকে হজ্বের অফার দিলে অবশ্যই তারা হজ্ব পালন করবে,
এই নামাজ,রোজা,হজ্জ এগুলো মহান আল্লাহর বিধান।"
এগুলো পালন করতে গিয়ে যদি হুজুরের মাদ্রাসায় তালা লাগে লাগুক তাতে হুজুরের আপত্তি কখনোই থাকে না,
এগুলে পালন করতে গিয়ে খানকাওয়ালার খানকায় তালা লাগে লাগুক তাতে খানকাওয়ালার আপত্তি কখনোই থাকে না,
এগুলো আমল করতে গিয়ে দাওয়াত ও তাবলিগ বন্ধ থাকে, থাকুক তাতেও তাদের আপত্তি কখনোই থাকে না
কিন্তু আপত্তি শুরু হয় জিহাদের কথা আসলেই।
অথচ জিহাদ ইসলামের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ইন্না লিল্লাহ!
এটা কেমন আনুগত্য..?
আল্লাহ তায়ালা যেই শব্দ দ্বারা রোজা ফরজ করেছেন একই শব্দ দিয়ে জিহাদ/ কিতাকলেও ফরজ করেছেন,
রোজার সময় আমল বেড়ে যায় (আলহামদুলিল্লাহ এটা অত্যন্ত ভালো) কিন্তু জিহাদের কথা শুনলে ঠোঁট শুকিয়ে যায়, কলিজা কেঁপে উঠে, অজানা এক ভয়ভীতি কাজ করে, বিরক্তিকর বিরক্তিকর ভাব আসে...
এগুলো কি নেফাকের আলামত নয়..?
আল্লাহর নবী সাঃ এর সকল সাহাবী আলেম ছিলেন না,হাফেজ ছিলেন না,মুফতি ছিলেন না,মুহাদ্দিস আর মুফাসসির ছিলেন না কিন্তু সকলেই ১০০% মুজাহিদ ছিলেন।
হায়!
এটা কেমন মুসলিম..?
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
"তোমাদের উপর কিতাল ফরজ করা হয়েছে অথচ তা তোমাদের নিকট অপছন্দনীয়। অনেক কিছু এমন আছে যা তোমরা অপছন্দ করো কিন্ত প্রকৃতপক্ষে তা তোমাদের জন্য কল্যাণ, আর অনেক বিষয় এমন আছে যা তোমাদের নিকট পছন্দের কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা তোমাদের জন্য অকল্যাণ"
(সুরা বাকারা)
আল্লাহু আকবর!!
এই আয়াতের সাথে হুবুহু মিলে গেলো,
আমার ভাইয়েরা!!
লেখাটি যদি আপনার বিরুদ্ধে যায় তাহলে আমার বিরোধিতা করার আগে আপনি ভেবে দেখুন-
আপনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াতে আপনি আমার বিরোধিতা করবেন তাহলে জেনে রাখবেন-
আল্লাহর কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে মহান আল্লাহ তায়ালাই আপনার জন্য উত্তম ফায়সালা করবেন ইনশাআল্লাহ।
লেখাটি দীর্ঘ হওয়াতে আমায় ক্ষমা করবেন।
আপনার অপর ভাইয়ের কাছে পৌঁছে দিন ইনশাআল্লাহ।
কষ্ট করে পড়েছেন- জাজাকাল্লাহ খাইরান প্রিয়।
"আপনাদের নেক দোয়ায় মুজাহিদ ও মাজলুম ভাইদের কথা কখনই ভুলে যাবেন না"
ওয়াসসালাম।
Comment