Announcement

Collapse
No announcement yet.

আকিদা_সংলাপঃ-১

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আকিদা_সংলাপঃ-১


    [আকিদার মিসকিন না থেকে জানতে সময় দিন ও জানুন]

    যদি কোনো ভিত্তিতে অস্পষ্ট বা অসম্পূর্ণ থাকে কিংবা ত্রুটিযুক্ত তাহলে সেই ভিত্তির উপর আপনি যেই স্ট্রাকচার দাড় করাবেন তা অবশ্যই ত্রুটি ও ঝুকিপূর্ণ থাকবে।

    ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তিই হলো ‘আকিদাহ’ এই আকিদায় যার যত ত্রুটি থাকবে, ইমান হরণকারী কর্মকাণ্ড তার থেকে প্রকাশ পেতেই থাকবে লাগাতার।

    তাওহিদ ৪ প্রকার;
    ১। উলুহিয়্যাহ
    ২। রুবুবিয়্যাহ
    ৩। হাকিমিয়্যাহ
    ৪। আসমা ও সিফাত

    #উলুহিয়্যার_উপর_ইমান_বলতে_কী_বুঝায়?
    ইলাহ একমাত্র আল্লাহ তায়ালা, তাই ঐবাদাতকে একমাত্র তারজন্যই সাব্যস্ত করা, এক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি/বস্তুকে শরীক না করা।

    #ইবাদাত_বলতে_কী_বুঝায়? আল্লাহর আদেশানুরূপ আমল করা ও নিষিদ্ধ বিষয়াবলী থেকে বেঁচে থাকা। কথাটি যদিও সংক্ষিপ্ত, কিন্তু কথাটি কি বুঝার চেষ্টা করেছেন?

    #আল্লাহর_উপর_ইমান_আনার_পন্থা_কী?

    ☞ মিথ্যা ইলাহসমূহকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করা

    ☞ আল্লাহর উপরই একনিষ্ঠ বিশ্বাস স্থাপন করা

    ☞ কালিমার শর্ত পূঙ্খানুপুঙ্খ আঁকড়ে ধরা

    ☞ ওয়ালা বারা [বন্ধুত্ব-শত্রুতা] বিশুদ্ধ হওয়া

    #মিথ্যা_ইলাহ_বলতে_কী_বুঝায়? মিথ্যা ইলাহ বলতে

    কোরআন চার ধরণের ইলাহকে উল্লেখ করেছে
    ১। আনদাদ [أنداد] সমকক্ষ
    ২। তাগুত
    ৩। রব
    ৪। নফসের চাহিদা

    #আনদাদ_বা_সমকক্ষ_দ্বারা_উদ্দেশ্য_কী?
    কোরআন বলছে-
    মানুষের মধ্যে কিছু আছে, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে [মুর্তি,মানুষ, জ্বীন, আদর্শ কিংবা কোন বস্তু] সমকক্ষ হিসেবে গ্রহন করেছে, তারা সেই আনদাদ/সমকক্ষদেরকে ভালোবাসে আল্লাহকে ভালোবাসার সমতূল্য ভালোবাসা। অথচ মুমিনগন সবচেয়ে বেশি আল্লাহকেই ভালোবাসে....[বাকারা]
    ومن الناس من
    يتخذ نمن دون الله أدادا، يحبونهم كحب الله والذين أمنوا أشد حبا لله... ] আয়াত সমকক্ষ স্থাপন করার একটি পন্থা বলে দিয়েছে 'ভালোবাসা'। অর্থাৎ কেউ যদি কোন ব্যক্তি,বস্তু,আদর্শকে আল্লাহকে ভালোবাসার সমতূল্য ভালোবাসে তাহলে সেই ব্যক্তি মূলত আল্লাহর সমকক্ষ স্থাপন করে নিলো [নাউজুবিল্লাহ]।
    এরকম সমকক্ষ স্থাপন হতে পারে আনুগত্যে, হতে পারে মানত,কোরবনানী অথবা অন্য কোথায়।

    #সংশয়ঃ
    অনেকেই হয়তো বলবে যে, আমরা তো আল্লাহকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি”

    #নিরসনঃ
    কিন্তু তাদের কাজগুলো তাদের কথার নিফাকি সুস্পষ্ট ফুটে উঠে। তারাই বলে, ইসলাম মধ্যযুগীয় আইন, তারাই বলে ইসলাম সন্ত্রাস করে, তারাই বলবে কোরআন ব্যক্তি জীবনে থাকবে, তারাই বলবে আমরা শরীয়াহ শাসম চাইনা
    যখন কপালে টিপ দেয়া ও হিজাব নিয়ে সমাজে আলোচনা উঠে তৈন তারা সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে টিপের পক্ষে ঠিকই যায়
    কিন্তু তারা হিজাবকে সহ্য করতে পারেনা উপরোক্ত কাজগুলো মূলত ওই ব্যক্তির কথাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে যে ব্যক্তি বলে আমি আল্লাহকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি,,
    #সুতরাং_আলোচনা_দ্বারা_বুঝা_গেলো
    “এই শ্রেণির ব্যক্তি সংস্কৃতি নামক আদর্শকে আল্লাহর চাইতেও বেশি ভালোবেসে ফেলার মাধ্যমে আল্লাহর সমকক্ষ স্থাপন করে বসলো, আর এর মাধ্যমে সে আল্লাহ পক্ষ থেকে আসা ওই নির্দেশের লঙ্ঘন করল যেই নির্দেশে সমকক্ষ প্রত্যাখ্যান করতে বলা হয়েছে, ফলে তারা আকিদায় শিরক স্থান পেয়ে বসল [নাউজুবিল্লাহ]”

    কিন্তু এই ব্যক্তিরই মাদ্রাসা ও মসজিদে কিছু দান সদকার কারণেই আমরা তাকে মাথায় তুলে নাচি, অথছ আদতে তার ইমানই নেই।
    চলবে... ইনশাআল্লাহ

    ✍️ একজন মুওয়াহিদ
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2
    সন্ত্রাসতো বলা তাদেরকে যাদের নেশাই হল মানুষ হত্যা করা । যারা কারণে অকারণে মানুষ হত্যা করে কোন ভেদবিচার ছাড়াই মানুষ হত্যা করে এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে সন্ত্রাসবাদ বলে । কিন্তু যাদের মানুষ হত্যা করার কোন মনমানষিকতা নেই এবং তাদের এতে কোন নেশাও নেই এবং এ নিয়ে তারা মাথা ঘামায়ও না বরং তারা মানুষকে বাঁচাতে চায় এই লক্ষ্যে তারা তাদের ন্যায় এবং সত্য আদর্শকে বাস্তবায়নের চিন্তায় থাকে এবং এই আদর্শ বাস্তবায়ন করার কারণে যারা তাদেরকে হত্যা করতে আসে বা যুদ্ধ করতে আসে বা এই আদর্শ ধ্বংসে যারা পাঁয়তারা চালায় শুধু কেবল তাদেরই হত্যা করে এর বাহিরে কাউকে হত্যা করা নিয়ে তাদের কোন মনযোগই নেই তাহলে ইহাকে কিভাবে সন্ত্রাসবাদ বলা হতে পারে তাহলেতো বলতে হবে প্রতিটি দেশের সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসী এভাবে পৃথিবীর সবাইই সন্ত্রাসী সুতরাং পৃথিবীর সবাই সন্ত্রাসী হতে পারলে আমরা সন্ত্রাসী হতে দোষ কোথায়?
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment

    Working...
    X