Announcement

Collapse
No announcement yet.

আকিদা সংলাপ- ২

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আকিদা সংলাপ- ২

    [আপনি যদি তাওহীদ বিষয়ে অস্পষ্টতায় থাকেন,
    তাহলে আপনার জন্য]

    চলছিলো আকিদা সংলাপ-

    আমরা আলোচনা করছিলাম
    আগের পর্বে যে তাওহীদবাদী হতে হবে, আর তাওহীদ তো চার প্রকার উলুহিয়্যাহ, রুবুবিয়্যাহ, হাকিমিয়্যা, আসমা ও সিফাত।
    আমরা তাওহীদুল উলুহিয়্যা নিয়ে কথা বলছিলাম,
    আর আলোচনা সমাপ্ত করেছিলাম আল্লাহর উপর ইমান আনার মৌলিক পন্থাগুলোর মধ্যে প্রথম পন্থা
    অর্থাৎ আনদাদ বা সমকক্ষ স্থাপন করা থেকে বেঁচে থাকা নিয়ে।

    আজকে আলোচনা করবো ভ্রান্ত দ্বিতীয় ইলাহ ‘তাগুত’নিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় কথা।

    #তাগুত_কী তাগুত প্রত্যেক এমন ব্যক্তি বা বস্তু যার অনুসরণ করা হয় কিংবা যার ইবাদাত করা হয় কিংবা যার আনুগত্য করা হয় আল্লাহর দেয়া সীমালঙ্ঘন করে, আর সে তাতে সন্তোষ্ট থাকে।

    #তাগুতের_বিষয়ে_যা_যা_স্পষ্ট_হয় তাগুত হওয়ার জন্য শর্ত
    দুইটি;
    ১। [নিচের তিনটির কোনটি থাকা

    ☞ যার আনুগত্য করা হয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘন করে
    ☞ যার অনুসরণ করা হয় আল্লাহর সীমালঙ্ঘন করে
    ☞ যার ইবাদাত করা হয় আল্লাহর সীমালঙ্ঘন করে

    ২। এবং অনুসৃত, মা'বুদ বা আনুগত্যের অধিকারী তাতে সন্তোষ থাকে।

    #নোটঃ
    ☞ মা'বুদ- যার ইবাদাত করা হয়],
    ☞ মুত্বা'য়- যার ইতাআত/আনুগত্য করা হয়]
    ☞ মাতবু'য়- যার অনুসরণ করা হয়শয়তান, মুর্তি, আল্লাহর বিধান পরিবর্তনকারী শাসক কিংবা শিরকের দিকে আহ্বানকারী পীর ইত্যাদিরা হলো তাগুত।

    তাগুত_বর্জন_কেন আল্লাহ তায়ালা কোরআনে কারীমে বলেন-

    ❝সুতরাং যে তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করলো ও আল্লাহর উপর ইমান আনলো সেই মজবুত হাতল ধরলো যা বিচ্ছিন্ন হবার নয়❞ [সুরা বাকারা ২৫৬] [
    فمن يكفر بالطاغوت ويؤمن بالله فقداستمسك.......]

    #লক্ষনীয়ঃ
    উক্ত আয়াতে দুটি নির্দেশনা, আল্লাহর উপর ইমাম মূলতই গ্রহনযোগ্য নয় যদি তাগুত বর্জন না করা হয়, তাইতো আল্লাহ তায়ালা আয়াতে প্রথমেই তাগুত বর্জনের কথা বলেছেন পরে আল্লাহর উপর ইমান আনার নির্দেশ জারি করেছেন।
    কারণ ব্যক্তি যতই ইমান আনুকনা কেন, যদি তাগুত বর্জনই না হয় মূলত তার ইমানটি তখন শিরক যুক্তই থাকে যা আসলে গ্রহনযোগ্য নয়।

    অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন-
    “আমি প্রতিটি উম্মাহর মধ্যে রাসুল পাঠিয়েছি এই মর্মে যে, আল্লাহরই ইবাদাত করো আর তাগুত বর্জন করো” [সুরা নাহল-৩৬]
    ولقد بعثنا في كل أمة رسولا أن اعبدوا الله واجتنبوا الطاغوت..

    #লক্ষ্যনীয়ঃ
    রাসূল পাঠািয়েছেন ২টি নির্দেশনা দিয়ে
    ১। এক আল্লাহরই ইবাদাত করো।
    ২। তাগুত বর্জন করো।
    আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে যেই বিচারক/জজ বিচার করবে, সেই বিচারক/শাসক তাগুত. আল্লাহ তায়ালা ওদের সম্পর্কে বলেন- “আপনি তাদেরকে দেখেছেন যারা মনে করে যে তারা তো আপনার উপর যা নাজিল হয়ে সেগুলোর প্রতি এবং এর পূর্বেকার নাজিল হওয়া বিষয়গুলোর প্রতি ইমান আনে, অথচ তারা ❝তাগুতের কাছে বিচার নিয়ে যায়❞ অথচ তাদের জন্য নির্দেশ ছিলো যে তারা যেন তাগুত প্রত্যাখান করে”[সুরা নিসা-৬০]
    ألم تر ألى الذين يزعمون...... يريدون أن يتحاكمو ألى الطاغوت....

    #লক্ষ্যনীয়ঃ
    আয়াতেরশানে নুজুলেই এর জলন্ত প্রমাণ, কারণ ইমানদার দাবি করে “নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম/শরীয়াহকে বাদ দিয়ে ইহুদি পন্ডিতের কাছে বিচার চাইতে যাওয়া ব্যক্তিকে বলা হয়েছে “তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থী, আর বিচারককে বলা হয়েছে তাগুত” নিরসনঃ হাসিনা, খালেদা, জজ, শয়তান এরা তাগুত, কারণ এরা হয়তো মা'বুদ, নয়তো অনুসৃত নয়তো আনুগত্যের অধিকারী এবং পাশাপাশি এরা উক্ত কাজের [আল্লাহর বিরুদ্ধাচারণ] কারণে সন্তোষ্ট। হজরত ইসা আলাইহিসসালাম তাগুত নয়, কারণ খৃষ্টানরা যদিও তাকে ইলাহ মানে,, কিন্তু তিনি এই কাজের কারণে সন্তোষ্ট নয়।

    #আনুগত্য_কী আল্লাহর তায়ালা বললেন “রোজা রাখো” আর কোন বান্দা বললো রোজা রাখিওনা। আপনি কোনটা করবেন?
    রোজা রাখলে আল্লাহর আনুগত্য করলেন, আর রোজা না রাখলে বান্দার আনুগত্য করলেন।
    পাশাপাশি শিরকও করলেন, কারণ এমন বিষয়ে বান্দার কথা মেনেছেন যে বিষয়ে বিপরীতে আল্লাহর নির্দেশ রয়েছে।

    #ইবাদাত_কী আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা আদেশ অনুযায়ী চলা ও নিষিদ্ধ বিষয়াবলী থেকে বেঁচে থাকাই হলো ইবাদাত। সুতরাং যদি আপনি কারো কথাতেই এমন কাজ করে বসেন যা আল্লাহর আদেশ/নিষেধের সীমা লঙ্ঘন করে, তাহলেই আপনি এই ক্ষেত্রে আল্লাহর ইবাদাত না করে উক্ত ব্যক্তির ইবাদাত করলেন।

    #সুতরাং_সংক্ষিপ্ত_আলোচনা_দ্বারা_বুঝা_যায়-

    ☞ তাগুত চিনা আবশ্যক
    ☞ তাগুত বর্জন করা আবশ্যক
    ☞ ইমানের প্রথম শর্ত তাগুত বর্জন ☞ তাগুতের পরিচয়
    ☞ আনুগত্য, ইবাদাত ও অনুসরণ কেবলই আল্লাহর

    ইনশাআল্লাহ
    চলবেই....

    ✍️ এক মুওয়াহিদ
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2


    وَمَن يَكفُر بِالإيمٰنِ فَقَد حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِى الءاخِرَةِ مِنَ الخٰسِرينَ
    যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে কুফরি করবে তার আমল ধ্বংস হয়ে যাবে এবং আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment

    Working...
    X