আজকে আলোচনা করবো ভ্রান্ত ইলাহ “রব” হওয়া ও বানানো নিয়ে।
#রব_অর্থঃ
আসলে রব এমন একটি ব্যপক অর্থবহ শব্দ এক শব্দে যার অর্থ করাটা অসম্ভব।
রিজিকদাত, পালনকর্তা, লালনকর্তা,রক্ষণকর্তা, বিধানদাতা থেকে নিয়ে আল্লাহর ৯৯'টি নামের প্রতিটিই রব/রুবুবিয়্যাহ'র অর্থ।
#কে_রব_হয়ঃ
এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে যে,
হাকিকি রব একমাত্র একজনই,
আর তিনিই হলেন আল্লাহ তায়ালা।
ইহা সত্বেও পৃথিবীতে অনেক মানুষ নিজেকে রবের আসনে বসিয়ে রাখে আর অন্যান্য অধিনস্ত জনগনকে তাকে রব মানতে বাধ্য করে থাকে।
আবার অনেক সময়ই সাধারণ জনগণ স্বইচ্ছায়ই অন্যান্য মানুষকে রব হিসেবে মেনে নেয়।
#নোটঃ
আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকো রব হিসেবে গ্রহন করার জন্য তাকে রব হিসেবে রব শব্দে আখ্যা দিয়ে তার আনুগত্য করা আবশ্যক নয়। বরং কিছু কাজ আছে যাতে লিপ্ত হলে অটোমেটিক অন্যকে রব মানা হয়ে যায়।
[সামনেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে
ইন-শাআল্লাহ]
#ভ্রান্ত_রব_কীভাবে_হয়ঃ
“আল্লাহর দেয় শরীয়তের বিধিনিষেধগুলো অপরিবর্তনীয়। যাকে বলা হয় মুহকাম।
এই বিষয়ে আল্লাহর এগেনেইস্টে গিয়ে কোন বিধান প্রণয়ন করা ও জাতিকে তা মানতে বাধ্য করা”
উক্ত কাজই মূলত [ভ্রান্ত] রব হিসেবে নিজেকে সাব্যস্ত করার জন্য যথেষ্ট।
যেমন সুরা তাওবা ৩১ নং আয়াতে ইহুদি ও খৃষ্টানদের তিরস্কার করে বলা হয়েছে যে তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে, তাদের ধর্মগুরু, যাজক, পাদ্রী ইত্যাদি'দেরকে রব হিসেবে গ্রহন করে নিয়েছে,
অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ ছিলো যে তারা এগুলো করবেনা..
[اتخذوا أحبارهم ورهبانهم أربابا من دون الله.......]
উক্ত আয়াতের তাফসীর দেখলে পাওয়া যায়-
আদী ইবনে হাতেম রাজিঃ গলায় ক্রুশ অবস্থায় নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসলেন, নবী মুহাম্মদ ﷺ- তাকে সেই ক্রুশটি গলা থেকে ফেলে দেয়ার নির্দেশ দিলে হজরত আদী ইবনে হাতেম তা বাহিরে নিক্ষেপ করে ফেলে দিয়ে যখন রুমে প্রবেশ করতে লাগলেন ঠিক তখনই
তিনি শুনলেন যে
নবী মুহাম্মদ ﷺ সুরা তাওবার এই আয়াতটি পড়ছিলো যে-
❝ইহুদি ও খৃষ্টানদের তিরস্কার করে বলা হয়েছে যে তারা তাদের ধর্মগুরু, যাজক, পাদ্রী ইত্যাদি'দেরকে রব হিসেবে গ্রহন করে নিয়েছে, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ ছিলো যে তারা এগুলো করবেনা..❞
তখন তিনি নবী মুহাম্মদ ﷺ-এর কাছে জানতে চাইলেন যে
তারা তো ধর্মগুরু, যজক, পাদ্রীদের পুজা করতোনা, তা সত্বেও কোরআনে বলা হল তারা নাকি তাদের রব হিসেবে গ্রহন করেছে, এটার ব্যখ্যা কী?
জওয়াবে নবী মুহাম্মদ ﷺ বললেন ধর্মগুরু,পাদ্রী ও যাজকরা আল্লাহর হালালকে হারাম বলতো আর তোমরা সেটাকে হারামই মানতে, আবার তারা আল্লাহর দেয়া হারামকে হালাল বলতো তোমরা সেটাকে হালাল মানতে.??
সাহাবী আদী ইবনে হাতেম বললেন জী এমনটি হতো।
তখন নবী মুহাম্মদ ﷺ বললেন فتلك عبادتهم এটাই তো তাদের ইবাদাত করা, অর্থাৎ এর মাধ্যমেই তাদেরকে রব হিসেবে গ্রহন করা।
উপরের আয়াত ও তাফসীর থেকে মৌলিক যে কথাগুলো বুঝে আসে-
১। আল্লাহর দেয়া হালালকে কোন ব্যক্তি/গোষ্ঠি যদি হারাম/অবৈধ ঘোষণা দেয়।
২। অথব আল্লাহর হারামকে যদি কোন ব্যক্তি/গোষ্ঠী হালাল/বৈধ ঘোষনা দেয়।
৩। আর জনগন যদি ওই ব্যক্তি/গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আসা ঘোষনাকেই মানে।
তাহলে জনগন উক্ত ব্যক্তি/গোষ্ঠীর ইবাদাত করলো আর তাকে রব হিসেবে গ্রহন করলো, যদিও জনগন তা বুঝে করুক বা না বুঝে করুক।
কারণ- উপরের আয়াত ও তাফসীর দেখলে বুঝা যায় ইহুদি ও নাসারা ধর্মীয়গুরু, পাদ্রী ও যাজকদের আল্লাহদ্রোহী সীদ্ধান্ত মানতো ঠিক, কিন্তু তা ইবাদাত করার উদ্দেশ্যেও নয় আবার তাদেরকে রব আখা দেয়ার উদ্দেশ্যেও নয়, এরপরও কোরআন বলছে যে, তারা তাদেরকে রব হিসেবেই গ্রহন করেছে।
#আরো_কিছু_বিষয়_বুঝে_আসে-
১। আল্লাহার দেয়া হালালকে হারাম ঘোষণা করা কিংবা হারামাকে হালাল ঘোষনাকারী ব্যক্তি/দলকে যদি জনগণই নেতৃত্বে বসায়
২। কিংবা তাদের উপর উক্ত কাজের পরও জনগণ সন্তোষ্ট থাকে।
তাহলে এটা স্পষ্ট যে উক্ত ভ্রান্ত রব ব্যক্তি/গোষ্ঠিকে জনগনই মেনে নিয়েছে।
৩। যদি জনগনের কোন হাত নেই বরং জনগন তা পরিবর্তনের আপ্রাণ চেষ্টা করে, এতদাসত্বেও যদি কোন ব্যক্তি/গোষ্ঠী আলাহর দেয়া হালালকে হারাম করে আর আল্লাহর দেয়া হারামকে হারাম করে ও জনগনকে মানতে বাধ্য করে, তাহলে এক্ষেত্রে জনগনের উপর কোন পাপ আসবেনা, বরং জনগন যেহেতু ওইটা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে তাই তারা প্রতিদান পাবেন ইন-শাআল্লাহ।
কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেন
« لا يكلف الله نفسا إلا وسعها»
« আল্লাহ তায়ালা বান্দার উপর সাধ্যাতীত কিছুই চাপিয়ে দেননা»
#সংসদ_নির্বাচন_অর্থই_দেশের_রব_হওয়ার_নির্বাচনঃ
গনতান্ত্রিক পার্লামেন্ট সদস্যগনও [ভ্রান্ত] রব হিসেবেই নিজেদেরকে উপস্থাপন করে থাকে।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা!
শুরুতেই আমরা দেখেছি “রব” এটি একক কোন অর্থ বহনকারী শব্দ নয়। বরং এটি ব্যাপক অর্থবহ একটি শব্দ।
আমরা দেখে থাকি তাওহীদের প্রকারের মধ্যে বেশিরভাগই তািহীদকে ৩ প্রকার বলেছেন [উলুহিয়্যাহ, রুবুবিয়্যাহ, আসমা ও সিফাত] এখানে হাকিমিয়্যাহ কোন তাওহীদকে তারা আলাদা করেননি।
কারণ হাকিমিয়্যাহটা মূলতই রুবুবিয়্যাহরই অন্তর্ভুক্ত।
আর যারা হাকিমিয়্যাহকে আলাা করে প্রকার ভাগ করেন, তারা বিষয়টির আলাদা গুরুত্ব বুঝানোর জন্যই ভাগ করে থাকেন।
রবের একাধিক অর্থ থাকলেও মানুষ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আল্লাহকেই রব মানে, যেমন রিজিকদাতা, সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, বিশ্বনির্মাতা, বিশ্ব নিয়ন্ত্রণকারী৷
এই বিষয়ে বহু আয়াত এসেছে, যে হে নবী আপনি মুশরিকদের জিজ্ঞেস করুন, বলো আসামন জমিনের রব কে, বলো তোমাদের সৃষ্টিকর্তা কে ইত্যাদি ইত্যাদি, জওয়াবে মুশরিকরা বলতো আল্লহা তায়ালা।
কিন্তু মুশরিকরা শিরক করে বসতো উলুহিয়্যাহর ক্ষেত্রে অর্থাৎ তারা ইবাদাত এক আল্লাহর জন্য করতোনা।
কিন্তু আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষ এখন অনেক ক্ষেত্রে মক্কার মুশরিকদের থেকেই অধঃপতনে চলে গেছে। কারণ তারা এখন রুবুবিয়্যাহতেও শিরক করছে আবার উলুহিয়্যাহতেও শিরক করেই যাচ্ছে। [উলুহিয়্যাহতে শরিকের বিষয়ে আমরা কখনো বিশদভাবে আলোচনা করবো ইন-শাআল্লাহ, আজকে শুধু রুবুবিয়্যাহ নিয়ে কথা শেষ করবো]
#সংসদ_নিয়ে_কিছু_কথাঃ
☞ সংসদ নির্বাচন ভ্রান্ত রব হওয়ার নির্বাচন
☞ সংসদসটা ভ্রান্ত রবের কারখানা
☞ আর সংসদ সদস্যরা ভ্রান্ত রব
☞ আর সংসদের কাজই হলো ভ্রান্ত রুবুবিয়্যাহ
কারণ আপনি উইকিপিডিয়া সার্চ করেই দেখতে পাবেন “সংসদ সদস্যদের কাজ কী” এই শিরনামে মূল ও মৌলিক কথাই হলো সংসদসদস্য বা সাংসদদের মূল কাজ হলো তারা রাষ্ট্রীয় বিধান প্রণয়ন করবে [নাউজুবিল্লাহ]।
আর এটা তো জানা কথা যে, চলমান সময়ের গনতান্ত্রিক পার্লামেন্ট ব্যবস্থায় সকল রাষ্ট্রেই সংসদসদস্যরা রাষ্ট্রীয় বিধান প্রনয়ণ করে নিজদেরে খেয়ালখুশি মোতাবেক সরাসরি কোরআন ও সুন্নাহর উপর নিজেদের কুপ্রবৃত্তিকে প্রাধান্য দিয়ে।
তাই তো দেখা যায় আল্লাহর দেয়া হারাম বিধান জিনা, মদ, সুদ'কে তারা বৈধতা ঘোষনা করলো।
আল্লাহর দেয়া শাস্তি, [চোরের, জিনার, জিনার অপবাদের, ডাকাতের, মদখোরের] শাস্তিকে রহিত করে এর এগেনেইস্টে নিজেদের খেয়ালখুশির মতো বিধান প্রনয়ণ করেছে।
আর উক্ত আয়াতে ও তাফসীরে আমরা বিষয়টি দেখেছি যে আল্লাহ দেয়া হালাল/বৈধকে যদি কেউ হারাম/অবৈধ সাব্যস্ত করে, কিংবা আল্লাহর দেয়া হারাম/অবৈধ কোন নির্দেশকে যদি কেউ হালাল/বৈধ সাব্যস্ত করে,, তাহলে উক্ত ব্যক্তি হাকিমিয়্যাহ তথা বিধানপ্রণয়নের ক্ষেত্রে নিজেকে রবের স্থানে বসালো [নাউজুবিল্লাহ]
#এইজন্যই_বলা_হয়_ইসলাম_নিয়ে_সংসদে_গেলেও_সেই_কুফরিই_ হবে
আপনি যদিও ইসলাম নিয়েই যাননা কেন কেন, সেখানে কিন্তু মৌলিক কিছু অধিকার দেয়া থাকবে।
১। সকল সংসদ সদস্যদের আপনার দেয়া প্রস্তাবিত বিলের বিরোধিতা করা সুযোগ থাকবে, যদিও তা কোরআনের অকাট্য কোন বিধানই হোকনা কেন।
[আর এটা তো সুস্পষ্ট কুফর যে, আল্লাহ তায়ালার দেয়া কোন বিধানের ক্ষেত্রে কেউ এমন অধিকার দাবি করা যে, আমি চাইলে মানবো মা চাইলে মানবোনা]
২। আর যদিও কোরআনের কোন বিধান সংসদে পাশ হয়ও তা এইজন্য পাশ হবেনা যে তা কোরআনে আছে, বরং সেটা এইজন্যই পাশ হবে যে, অধিকাংশ সাংসদ তাতে সম্মত হয়েছে।
[এটাও কুফর কারণ তখন আর সেগুলো কোরআন ও আল্লাহর দেয়া বিধান হিসেবে আবশ্যক বাকি থাকলোনা বরং তা এখন বাকি রইলো সংসদসদস্যদের মতের উপরে]
৩। এইজন্যই তো অধিকাংশ সাংসদ যদি তাতে অসম্মতি হয় তাহলে সেটা কোরআনের বিধান হলেও তা বাস্তবয়ান হবেনা।
[এই বিষয়টওর কুফর অস্পষ্ট নয়, কারণ সদস্যদের এই অধিকার কে দিলো যে আল্লাহর দেয়া বিধান সামনে এলে তারা এতে দ্বিমতের সুযোগ পাবে?? আর এটা কুফর না হলে শররয়াহ প্রত্যাখ্যানকারী কে হবে??]
৪। যদি সংসদের সকল সদস্য আপনারই ইসকামপন্থি দলেরই হয়, এবং আপনি তাদের সামনে বিল উত্থাপন করার পরে সকলেই তাতে সম্মতি হয় তবুও তা কুফরই হবে, কারণ আপনি কোরআনের বিধান বাস্তবায়ন হওয়া বা না হওয়ার জন্যই বিল উত্থাপন করেছেন সদস্যদের অনুমতি চেয়েছেন, আল্লাহর আইন চলবে কি চলবেনা তাতে অপরের মতামত কীভাবে প্রাধান্য পেতে পারে.??
#প্রচলিত_সংসদ_আর_ইসলামি_শুরা_এক_নয়
☞ এখান থেকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বুঝে আসে তা হলো-
ইসলামি রাষ্ট্রে শুরা ব্যবস্থা।
শুরা মানে পরামর্শ।
সেই শুরা কাউন্সিলগন যে পরামর্শ করেন সেই পরামর্শ সকল বিধানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
বরং আল্লাহর দেয়া অকাট্য বিধিবিধানগুলোর ক্ষেত্রে কোন পরামর্শই গ্রহনযোগ্য নয়।
যেভাবে আছে তা সেভাবেই বাস্তবয়ান হবে। শুরা কমিটির পরামর্শ হবে ওই সমস্ত বিষয়ে যেই বিষয়ে কোরআন ও সুন্নাহতে অকাট্য কোন নির্দেশনা নেই। যেমন রাস্তা নির্মান, শিক্ষা দিক্ষার উন্নতির পথ ও পন্থা, জনকল্যাণমুখী কাজগুলোর উন্নয়ন ইত্যাদি ইত্যাদি কীভাবে করা যায়।
☞ আর শুরা গঠনের পূর্ব শর্তই হলো শরীরয়তের অকাট্য বিধানের ক্ষেত্রে কোন ইখতিয়া চলবেনা যে,
এটা মানবোনা এটা মানবো
[মাগরিব তিন রাকাত মানবোনা আসর দুই রাকাত মানবো ইত্যাদি ইত্যাদি]
কিন্ত সংসদে থাকে এর সম্পূর্ণ বিপরীত, সেখানে কোরআন ও সুন্নাহর যত অকাট্য বিধানই পেশ করা হোক সদস্যদের অধিকার থাকে মন চাইলে তারা মানবে মন না চাইলে তারা ভেটো দিবে।
#সারকথাঃ
☞ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় যেই শিরক-কুফরগুলো আমাদের ধ্বংস করেছে, তার মধ্যে রুবুবিয়্যাহর বিষয়টি উল্লেখযোগ্য বিশেষ করে হাকিমিয়্যাহর বিষয়টিতে বেশি শিরক হচ্ছে।
☞ মানুষ ও মানুষের রব হয়, আর এই মানুষ রবনহওয়ার সবচেয়ে সহজ ও সরল পথ এই জামানায় হলো “সংসদীয় শাসনব্যবস্থা”
#কিছু_প্রয়োজনীয়_নোট
১। উপরের আলোচনায় আমরা বলেছিলাম জনগনও মানুষকে রব বানায় যদিও তারা জানেনা বাস্তবতা, কিন্তু রব ঠিকই বানায়। আমাদের উক্ত কথা ধরে কেউ জনগনকে আবার কাফির আখ্যা দিয়েন না।
২। ইসলামি দলগুলোর বিষয়প আমরা বলেছি কাজটি কুফর, কিন্তু এটা ধরে তাদেরকে কেউ কাফের আখ্যা দিয়েননা, কারণ কুফর ও কাফিরের মাঝে পার্থক্য রয়েছে যা মুফতিয়ানে কিরামগন গবেষনা করেই কেবল সীদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন।
[ পূর্বের আকীদা নিয়ে আলোচনা
১ ও ২ "আল কোরআন " এই থ্রেডে পাবেন ইনশা'আল্লাহ ]
✍️ এক মুওয়াহিদ
#রব_অর্থঃ
আসলে রব এমন একটি ব্যপক অর্থবহ শব্দ এক শব্দে যার অর্থ করাটা অসম্ভব।
রিজিকদাত, পালনকর্তা, লালনকর্তা,রক্ষণকর্তা, বিধানদাতা থেকে নিয়ে আল্লাহর ৯৯'টি নামের প্রতিটিই রব/রুবুবিয়্যাহ'র অর্থ।
#কে_রব_হয়ঃ
এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে যে,
হাকিকি রব একমাত্র একজনই,
আর তিনিই হলেন আল্লাহ তায়ালা।
ইহা সত্বেও পৃথিবীতে অনেক মানুষ নিজেকে রবের আসনে বসিয়ে রাখে আর অন্যান্য অধিনস্ত জনগনকে তাকে রব মানতে বাধ্য করে থাকে।
আবার অনেক সময়ই সাধারণ জনগণ স্বইচ্ছায়ই অন্যান্য মানুষকে রব হিসেবে মেনে নেয়।
#নোটঃ
আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকো রব হিসেবে গ্রহন করার জন্য তাকে রব হিসেবে রব শব্দে আখ্যা দিয়ে তার আনুগত্য করা আবশ্যক নয়। বরং কিছু কাজ আছে যাতে লিপ্ত হলে অটোমেটিক অন্যকে রব মানা হয়ে যায়।
[সামনেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে
ইন-শাআল্লাহ]
#ভ্রান্ত_রব_কীভাবে_হয়ঃ
“আল্লাহর দেয় শরীয়তের বিধিনিষেধগুলো অপরিবর্তনীয়। যাকে বলা হয় মুহকাম।
এই বিষয়ে আল্লাহর এগেনেইস্টে গিয়ে কোন বিধান প্রণয়ন করা ও জাতিকে তা মানতে বাধ্য করা”
উক্ত কাজই মূলত [ভ্রান্ত] রব হিসেবে নিজেকে সাব্যস্ত করার জন্য যথেষ্ট।
যেমন সুরা তাওবা ৩১ নং আয়াতে ইহুদি ও খৃষ্টানদের তিরস্কার করে বলা হয়েছে যে তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে, তাদের ধর্মগুরু, যাজক, পাদ্রী ইত্যাদি'দেরকে রব হিসেবে গ্রহন করে নিয়েছে,
অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ ছিলো যে তারা এগুলো করবেনা..
[اتخذوا أحبارهم ورهبانهم أربابا من دون الله.......]
উক্ত আয়াতের তাফসীর দেখলে পাওয়া যায়-
আদী ইবনে হাতেম রাজিঃ গলায় ক্রুশ অবস্থায় নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসলেন, নবী মুহাম্মদ ﷺ- তাকে সেই ক্রুশটি গলা থেকে ফেলে দেয়ার নির্দেশ দিলে হজরত আদী ইবনে হাতেম তা বাহিরে নিক্ষেপ করে ফেলে দিয়ে যখন রুমে প্রবেশ করতে লাগলেন ঠিক তখনই
তিনি শুনলেন যে
নবী মুহাম্মদ ﷺ সুরা তাওবার এই আয়াতটি পড়ছিলো যে-
❝ইহুদি ও খৃষ্টানদের তিরস্কার করে বলা হয়েছে যে তারা তাদের ধর্মগুরু, যাজক, পাদ্রী ইত্যাদি'দেরকে রব হিসেবে গ্রহন করে নিয়েছে, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ ছিলো যে তারা এগুলো করবেনা..❞
তখন তিনি নবী মুহাম্মদ ﷺ-এর কাছে জানতে চাইলেন যে
তারা তো ধর্মগুরু, যজক, পাদ্রীদের পুজা করতোনা, তা সত্বেও কোরআনে বলা হল তারা নাকি তাদের রব হিসেবে গ্রহন করেছে, এটার ব্যখ্যা কী?
জওয়াবে নবী মুহাম্মদ ﷺ বললেন ধর্মগুরু,পাদ্রী ও যাজকরা আল্লাহর হালালকে হারাম বলতো আর তোমরা সেটাকে হারামই মানতে, আবার তারা আল্লাহর দেয়া হারামকে হালাল বলতো তোমরা সেটাকে হালাল মানতে.??
সাহাবী আদী ইবনে হাতেম বললেন জী এমনটি হতো।
তখন নবী মুহাম্মদ ﷺ বললেন فتلك عبادتهم এটাই তো তাদের ইবাদাত করা, অর্থাৎ এর মাধ্যমেই তাদেরকে রব হিসেবে গ্রহন করা।
উপরের আয়াত ও তাফসীর থেকে মৌলিক যে কথাগুলো বুঝে আসে-
১। আল্লাহর দেয়া হালালকে কোন ব্যক্তি/গোষ্ঠি যদি হারাম/অবৈধ ঘোষণা দেয়।
২। অথব আল্লাহর হারামকে যদি কোন ব্যক্তি/গোষ্ঠী হালাল/বৈধ ঘোষনা দেয়।
৩। আর জনগন যদি ওই ব্যক্তি/গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আসা ঘোষনাকেই মানে।
তাহলে জনগন উক্ত ব্যক্তি/গোষ্ঠীর ইবাদাত করলো আর তাকে রব হিসেবে গ্রহন করলো, যদিও জনগন তা বুঝে করুক বা না বুঝে করুক।
কারণ- উপরের আয়াত ও তাফসীর দেখলে বুঝা যায় ইহুদি ও নাসারা ধর্মীয়গুরু, পাদ্রী ও যাজকদের আল্লাহদ্রোহী সীদ্ধান্ত মানতো ঠিক, কিন্তু তা ইবাদাত করার উদ্দেশ্যেও নয় আবার তাদেরকে রব আখা দেয়ার উদ্দেশ্যেও নয়, এরপরও কোরআন বলছে যে, তারা তাদেরকে রব হিসেবেই গ্রহন করেছে।
#আরো_কিছু_বিষয়_বুঝে_আসে-
১। আল্লাহার দেয়া হালালকে হারাম ঘোষণা করা কিংবা হারামাকে হালাল ঘোষনাকারী ব্যক্তি/দলকে যদি জনগণই নেতৃত্বে বসায়
২। কিংবা তাদের উপর উক্ত কাজের পরও জনগণ সন্তোষ্ট থাকে।
তাহলে এটা স্পষ্ট যে উক্ত ভ্রান্ত রব ব্যক্তি/গোষ্ঠিকে জনগনই মেনে নিয়েছে।
৩। যদি জনগনের কোন হাত নেই বরং জনগন তা পরিবর্তনের আপ্রাণ চেষ্টা করে, এতদাসত্বেও যদি কোন ব্যক্তি/গোষ্ঠী আলাহর দেয়া হালালকে হারাম করে আর আল্লাহর দেয়া হারামকে হারাম করে ও জনগনকে মানতে বাধ্য করে, তাহলে এক্ষেত্রে জনগনের উপর কোন পাপ আসবেনা, বরং জনগন যেহেতু ওইটা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে তাই তারা প্রতিদান পাবেন ইন-শাআল্লাহ।
কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেন
« لا يكلف الله نفسا إلا وسعها»
« আল্লাহ তায়ালা বান্দার উপর সাধ্যাতীত কিছুই চাপিয়ে দেননা»
#সংসদ_নির্বাচন_অর্থই_দেশের_রব_হওয়ার_নির্বাচনঃ
গনতান্ত্রিক পার্লামেন্ট সদস্যগনও [ভ্রান্ত] রব হিসেবেই নিজেদেরকে উপস্থাপন করে থাকে।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা!
শুরুতেই আমরা দেখেছি “রব” এটি একক কোন অর্থ বহনকারী শব্দ নয়। বরং এটি ব্যাপক অর্থবহ একটি শব্দ।
আমরা দেখে থাকি তাওহীদের প্রকারের মধ্যে বেশিরভাগই তািহীদকে ৩ প্রকার বলেছেন [উলুহিয়্যাহ, রুবুবিয়্যাহ, আসমা ও সিফাত] এখানে হাকিমিয়্যাহ কোন তাওহীদকে তারা আলাদা করেননি।
কারণ হাকিমিয়্যাহটা মূলতই রুবুবিয়্যাহরই অন্তর্ভুক্ত।
আর যারা হাকিমিয়্যাহকে আলাা করে প্রকার ভাগ করেন, তারা বিষয়টির আলাদা গুরুত্ব বুঝানোর জন্যই ভাগ করে থাকেন।
রবের একাধিক অর্থ থাকলেও মানুষ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আল্লাহকেই রব মানে, যেমন রিজিকদাতা, সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, বিশ্বনির্মাতা, বিশ্ব নিয়ন্ত্রণকারী৷
এই বিষয়ে বহু আয়াত এসেছে, যে হে নবী আপনি মুশরিকদের জিজ্ঞেস করুন, বলো আসামন জমিনের রব কে, বলো তোমাদের সৃষ্টিকর্তা কে ইত্যাদি ইত্যাদি, জওয়াবে মুশরিকরা বলতো আল্লহা তায়ালা।
কিন্তু মুশরিকরা শিরক করে বসতো উলুহিয়্যাহর ক্ষেত্রে অর্থাৎ তারা ইবাদাত এক আল্লাহর জন্য করতোনা।
কিন্তু আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষ এখন অনেক ক্ষেত্রে মক্কার মুশরিকদের থেকেই অধঃপতনে চলে গেছে। কারণ তারা এখন রুবুবিয়্যাহতেও শিরক করছে আবার উলুহিয়্যাহতেও শিরক করেই যাচ্ছে। [উলুহিয়্যাহতে শরিকের বিষয়ে আমরা কখনো বিশদভাবে আলোচনা করবো ইন-শাআল্লাহ, আজকে শুধু রুবুবিয়্যাহ নিয়ে কথা শেষ করবো]
#সংসদ_নিয়ে_কিছু_কথাঃ
☞ সংসদ নির্বাচন ভ্রান্ত রব হওয়ার নির্বাচন
☞ সংসদসটা ভ্রান্ত রবের কারখানা
☞ আর সংসদ সদস্যরা ভ্রান্ত রব
☞ আর সংসদের কাজই হলো ভ্রান্ত রুবুবিয়্যাহ
কারণ আপনি উইকিপিডিয়া সার্চ করেই দেখতে পাবেন “সংসদ সদস্যদের কাজ কী” এই শিরনামে মূল ও মৌলিক কথাই হলো সংসদসদস্য বা সাংসদদের মূল কাজ হলো তারা রাষ্ট্রীয় বিধান প্রণয়ন করবে [নাউজুবিল্লাহ]।
আর এটা তো জানা কথা যে, চলমান সময়ের গনতান্ত্রিক পার্লামেন্ট ব্যবস্থায় সকল রাষ্ট্রেই সংসদসদস্যরা রাষ্ট্রীয় বিধান প্রনয়ণ করে নিজদেরে খেয়ালখুশি মোতাবেক সরাসরি কোরআন ও সুন্নাহর উপর নিজেদের কুপ্রবৃত্তিকে প্রাধান্য দিয়ে।
তাই তো দেখা যায় আল্লাহর দেয়া হারাম বিধান জিনা, মদ, সুদ'কে তারা বৈধতা ঘোষনা করলো।
আল্লাহর দেয়া শাস্তি, [চোরের, জিনার, জিনার অপবাদের, ডাকাতের, মদখোরের] শাস্তিকে রহিত করে এর এগেনেইস্টে নিজেদের খেয়ালখুশির মতো বিধান প্রনয়ণ করেছে।
আর উক্ত আয়াতে ও তাফসীরে আমরা বিষয়টি দেখেছি যে আল্লাহ দেয়া হালাল/বৈধকে যদি কেউ হারাম/অবৈধ সাব্যস্ত করে, কিংবা আল্লাহর দেয়া হারাম/অবৈধ কোন নির্দেশকে যদি কেউ হালাল/বৈধ সাব্যস্ত করে,, তাহলে উক্ত ব্যক্তি হাকিমিয়্যাহ তথা বিধানপ্রণয়নের ক্ষেত্রে নিজেকে রবের স্থানে বসালো [নাউজুবিল্লাহ]
#এইজন্যই_বলা_হয়_ইসলাম_নিয়ে_সংসদে_গেলেও_সেই_কুফরিই_ হবে
আপনি যদিও ইসলাম নিয়েই যাননা কেন কেন, সেখানে কিন্তু মৌলিক কিছু অধিকার দেয়া থাকবে।
১। সকল সংসদ সদস্যদের আপনার দেয়া প্রস্তাবিত বিলের বিরোধিতা করা সুযোগ থাকবে, যদিও তা কোরআনের অকাট্য কোন বিধানই হোকনা কেন।
[আর এটা তো সুস্পষ্ট কুফর যে, আল্লাহ তায়ালার দেয়া কোন বিধানের ক্ষেত্রে কেউ এমন অধিকার দাবি করা যে, আমি চাইলে মানবো মা চাইলে মানবোনা]
২। আর যদিও কোরআনের কোন বিধান সংসদে পাশ হয়ও তা এইজন্য পাশ হবেনা যে তা কোরআনে আছে, বরং সেটা এইজন্যই পাশ হবে যে, অধিকাংশ সাংসদ তাতে সম্মত হয়েছে।
[এটাও কুফর কারণ তখন আর সেগুলো কোরআন ও আল্লাহর দেয়া বিধান হিসেবে আবশ্যক বাকি থাকলোনা বরং তা এখন বাকি রইলো সংসদসদস্যদের মতের উপরে]
৩। এইজন্যই তো অধিকাংশ সাংসদ যদি তাতে অসম্মতি হয় তাহলে সেটা কোরআনের বিধান হলেও তা বাস্তবয়ান হবেনা।
[এই বিষয়টওর কুফর অস্পষ্ট নয়, কারণ সদস্যদের এই অধিকার কে দিলো যে আল্লাহর দেয়া বিধান সামনে এলে তারা এতে দ্বিমতের সুযোগ পাবে?? আর এটা কুফর না হলে শররয়াহ প্রত্যাখ্যানকারী কে হবে??]
৪। যদি সংসদের সকল সদস্য আপনারই ইসকামপন্থি দলেরই হয়, এবং আপনি তাদের সামনে বিল উত্থাপন করার পরে সকলেই তাতে সম্মতি হয় তবুও তা কুফরই হবে, কারণ আপনি কোরআনের বিধান বাস্তবায়ন হওয়া বা না হওয়ার জন্যই বিল উত্থাপন করেছেন সদস্যদের অনুমতি চেয়েছেন, আল্লাহর আইন চলবে কি চলবেনা তাতে অপরের মতামত কীভাবে প্রাধান্য পেতে পারে.??
#প্রচলিত_সংসদ_আর_ইসলামি_শুরা_এক_নয়
☞ এখান থেকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বুঝে আসে তা হলো-
ইসলামি রাষ্ট্রে শুরা ব্যবস্থা।
শুরা মানে পরামর্শ।
সেই শুরা কাউন্সিলগন যে পরামর্শ করেন সেই পরামর্শ সকল বিধানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
বরং আল্লাহর দেয়া অকাট্য বিধিবিধানগুলোর ক্ষেত্রে কোন পরামর্শই গ্রহনযোগ্য নয়।
যেভাবে আছে তা সেভাবেই বাস্তবয়ান হবে। শুরা কমিটির পরামর্শ হবে ওই সমস্ত বিষয়ে যেই বিষয়ে কোরআন ও সুন্নাহতে অকাট্য কোন নির্দেশনা নেই। যেমন রাস্তা নির্মান, শিক্ষা দিক্ষার উন্নতির পথ ও পন্থা, জনকল্যাণমুখী কাজগুলোর উন্নয়ন ইত্যাদি ইত্যাদি কীভাবে করা যায়।
☞ আর শুরা গঠনের পূর্ব শর্তই হলো শরীরয়তের অকাট্য বিধানের ক্ষেত্রে কোন ইখতিয়া চলবেনা যে,
এটা মানবোনা এটা মানবো
[মাগরিব তিন রাকাত মানবোনা আসর দুই রাকাত মানবো ইত্যাদি ইত্যাদি]
কিন্ত সংসদে থাকে এর সম্পূর্ণ বিপরীত, সেখানে কোরআন ও সুন্নাহর যত অকাট্য বিধানই পেশ করা হোক সদস্যদের অধিকার থাকে মন চাইলে তারা মানবে মন না চাইলে তারা ভেটো দিবে।
#সারকথাঃ
☞ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় যেই শিরক-কুফরগুলো আমাদের ধ্বংস করেছে, তার মধ্যে রুবুবিয়্যাহর বিষয়টি উল্লেখযোগ্য বিশেষ করে হাকিমিয়্যাহর বিষয়টিতে বেশি শিরক হচ্ছে।
☞ মানুষ ও মানুষের রব হয়, আর এই মানুষ রবনহওয়ার সবচেয়ে সহজ ও সরল পথ এই জামানায় হলো “সংসদীয় শাসনব্যবস্থা”
#কিছু_প্রয়োজনীয়_নোট
১। উপরের আলোচনায় আমরা বলেছিলাম জনগনও মানুষকে রব বানায় যদিও তারা জানেনা বাস্তবতা, কিন্তু রব ঠিকই বানায়। আমাদের উক্ত কথা ধরে কেউ জনগনকে আবার কাফির আখ্যা দিয়েন না।
২। ইসলামি দলগুলোর বিষয়প আমরা বলেছি কাজটি কুফর, কিন্তু এটা ধরে তাদেরকে কেউ কাফের আখ্যা দিয়েননা, কারণ কুফর ও কাফিরের মাঝে পার্থক্য রয়েছে যা মুফতিয়ানে কিরামগন গবেষনা করেই কেবল সীদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন।
[ পূর্বের আকীদা নিয়ে আলোচনা
১ ও ২ "আল কোরআন " এই থ্রেডে পাবেন ইনশা'আল্লাহ ]
✍️ এক মুওয়াহিদ