Announcement

Collapse
No announcement yet.

★★ জঙ্গিদের সঙ্গি হও ★★

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ★★ জঙ্গিদের সঙ্গি হও ★★

    ★★ জঙ্গিদের সঙ্গি হও ★★

    জঙ্গি, জঙ্গি, জঙ্গি, জঙ্গি, জঙ্গি..................................... .......

    জঙ্গিদের সঙ্গি হও
    তাহলেই তুমি আল্লাহকে পেয়ে যাবে।
    প্রশ্ন ঃ আল্লাহ তাআলাকে কিভাবে পাব?
    উত্তর ঃ আরে ভাই জঙ্গিদের সঙ্গি হও তাহলেই তুমি আল্লাহকে পেয়ে যাবে।
    প্রশ্ন ঃ এটা কিভাবে সম্ভব? অথচ বিভিন্ন মানুষতো জঙ্গিদের খারাপ বলে।
    উত্তর ঃ আল্লাহ তাআলা যা করেছেন তোমরা তাই কর।
    প্রশ্ন ঃ আল্লাহ তাআলা কি করেছেন ‌?
    উত্তর ঃ আল্লাহ তাআলা বলেন
    প্রশ্ন ঃ কিভাবে জানলে?
    উত্তর ঃ আল্লাহ তাআলা নিজেই বলেছেন
    আল্লাহ তাআলা বলেন
    ১)
    ) فَلَمۡ تَقۡتُلُوۡہُمۡ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ قَتَلَہُمۡ ۪ সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন।
    ২)
    وَ مَا رَمَیۡتَ اِذۡ رَمَیۡتَ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ رَمٰی ۚ আর তুমি নিক্ষেপ করনি যখন তুমি নিক্ষেপ করেছিলে;
    বরং আল্লাহই নিক্ষেপ করেছেন*
    ( اِذۡ رَمَیۡتَ যখন তুমি নিক্ষেপ করেছিলে
    আল্লাহ তাআলা উক্ত শব্দটি ব্যবহার না করলে বুঝাই যেত না যে নিক্ষেপ মূলত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন।
    প্রশ্ন ঃ তুমি কি জান আল্লাহ তাআলা কি করেছেন ?
    উত্তর ঃ হ্যাঁ! আল্লাহ তাআলা ক্বিতাল ও রমি এ দুটি কাজ করেছেন।
    ( প্রশ্ন ঃ জঙ্গিরা কি করে? কেন করে? উত্তর ঃ সামনে আসবে ইনশাআল্লাহ)

    প্রশ্ন ঃ কিভাবে জানলে?
    উত্তর ঃ আল্লাহ তাআলা নিজেই বলেছেন
    আল্লাহ তাআলা বলেন فَلَمۡ تَقۡتُلُوۡہُمۡ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ قَتَلَہُمۡ ۪ وَ مَا رَمَیۡتَ اِذۡ رَمَیۡتَ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ رَمٰی ۚ وَ لِیُبۡلِیَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ مِنۡہُ بَلَآءً حَسَنًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿الانفال/۱۷﴾
    সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি নিক্ষেপ করনি যখন তুমি নিক্ষেপ করেছিলে; বরং আল্লাহই নিক্ষেপ করেছেন* এবং যাতে তিনি তাঁর পক্ষ থেকে মুমিনদেরকে পরীক্ষা করেন উত্তম পরীক্ষা। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
    * বদর যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একমুষ্টি মাটি নিয়ে মুশরিকদের উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন, সে ধূলিকণা তাদের প্রত্যেকেরই চোখে, মুখে ও নাকে গিয়ে পৌঁছেছিল। যার ফলে তারা দিগ্বিদিক জ্ঞান-শূন্য হয়ে ছুটাছুটি করে। ঐ সময়েই তাদের অনেকে নিহত আর অনেকে বন্দী হয় এবং পরাজয় বরণ করে। --তাফসীরে ফাতহুল কাদীর ও তাইসীরুল কারীমির রহমান।

    [১] এ আয়াতে যে ঘটনা বর্ণিত হয়েছে তা হচ্ছে, বদর যুদ্ধের দিনে যখন মক্কার এক হাজার জওয়ানের বাহিনী ময়দানে এসে উপস্থিত হয়, তখন মুসলিমদের সংখ্যাল্পতা এবং নিজেদের সংখ্যাধিক্যের কারণে তারা একান্ত গর্বিত ও সদম্ভ ভঙ্গিতে উপস্থিত হয়। সে সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দো’আ করেনঃ ইয়া আল্লাহ! আপনাকে মিথ্যা জ্ঞানকারী এই কুরাইশরা গর্ব ও দম্ভ নিয়ে এগিয়ে আসছে, আপনি বিজয়ের যে প্রতিশ্রুতি আমাকে দিয়েছেন, তা যথাশীঘ্র পূরণ করুন। তখন জিবরাঈল আলাইহিস সালাম এসে নিবেদন করেনঃ

    ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি একমুঠো মাটি তুলে নিয়ে শক্রবাহিনীর প্রতি নিক্ষেপ করুন। তিনি তাই করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার মাটি ও কাঁকরের মুঠো তুলে নেন এবং একবার শক্রবাহিনীর ডান অংশের উপর, একবার বাম অংশের উপর এবং একবার সামনের দিকে নিক্ষেপ করেন।
    সেই এক কিংবা তিন মুঠি কাঁকরকে আল্লাহ তার একান্ত কুদরতে এমন বিস্তৃত করে দেন যে, প্রতিপক্ষের সৈন্যদের এমন একটি লোকও বাকী ছিল না, যার চোখ অথবা মুখমণ্ডলে এই ধুলি ও কাকর পৌঁছেনি। আর তারই প্রতিক্রিয়ায় গোটা শক্রবাহিনীর মাঝে এক ভীতির সঞ্চার হয়ে যায়। [তাবারী]

    এভাবে মুসলিমগণ এই মহান বিজয় লাভে সমর্থ হন। আয়াতে মুসলিমদেরকে হেদায়াত দান করা হয় যে, নিজের চেষ্টা-চরিত্রের জন্য গর্ব করো না; যা কিছু ঘটেছে তা শুধুমাত্র তোমাদের চেষ্টা ও পরিশ্রমেরই ফসল নয়; বরং এটা আল্লাহ্ তা'আলার একান্ত সাহায্য ও সহায়তারই ফল। তোমাদের হাতে যেসব শক্র নিহত হয়েছে প্রকৃতপক্ষে তাদেরকে তোমরা হত্যা করনি; বরং আল্লাহ্ তা'আলাই হত্যা করেছেন।

    [২] অর্থাৎ আপনি যে কাঁকরের মুঠো নিক্ষেপ করেছেন প্রকৃতপক্ষে তা আপনি নিক্ষেপ করেননি, বরং স্বয়ং আল্লাহই নিক্ষেপ করেছেন। কাঁকর নিক্ষেপের এই কাজটি যদিও আপনার দ্বারা হয়েছিল, কিন্তু সেগুলো কাফেরদের চোখে-মুখে পৌঁছে দেয়ার কাজটি ছিল আল্লাহর। [সা'দী]

    [৩] অর্থাৎ আমি মুমিনগণকে এই মহাবিজয় দিয়েছি তাদের পরিশ্রমের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেয়ার উদ্দেশ্যে। (بَلاءً) এর শব্দগত অর্থ হল পরীক্ষা। অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা বিনা উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হতে পারে। [সা'দী]
    (بَلاءً) দ্বারা নেয়ামতও উদ্দেশ্য হতে পারে। তখন অর্থ হবে, আমি তাদেরকে যে নে'আমত দান করেছি তারা যেন সেটার শুকরিয়া করে। [আইসারুত তাফসীর]

    প্রশ্ন ঃ জঙ্গিরা কি করে ?
    উত্তর ঃ জঙ্গিরা ক্বিতাল ও রমি এ দুটি কাজ করে।

    প্রশ্ন ঃ জঙ্গিরা ক্বিতাল ও রমি এ দুটি কাজ কেন করে?
    উত্তর ঃ
    ১) আল্লাহ তাআলা একাজ যেহেতু করে, এজন্য তারা ও করে।
    ২) আল্লাহ তাআলার কালাম বাস্তবায়নের মাধ্যমে ওলী (অভিভাবক) ও নাসিরের (সাহায্যকারীর) কাজ সম্পাদনের জন্য করে।

    আল্লাহ তাআলা বলেন
    4:75 وَ مَا لَکُمۡ لَا تُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ الۡمُسۡتَضۡعَفِیۡنَ مِنَ الرِّجَالِ وَ النِّسَآءِ وَ الۡوِلۡدَانِ الَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا مِنۡ ہٰذِہِ الۡقَرۡیَۃِ الظَّالِمِ اَہۡلُہَا ۚ وَ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ وَلِیًّا ۚۙ وَّ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ نَصِیۡرًا ﴿ؕ۷۵﴾
    আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না! অথচ দুর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুরা বলছে, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী।’

    [১] মক্কা নগরীতে এমন কিছু দুর্বল মুসলিম রয়ে গিয়েছিলেন, যারা দৈহিক দুর্বলতা এবং আর্থিক দৈন্যের কারণে হিজরত করতে পারছিলেন না। পরে কাফেররাও তাদেরকে হিজরত করতে বাঁধাদান করেছিল এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে আরম্ভ করেছিল, যাতে তারা ইসলাম ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। যেমন ইবন আব্বাস ও তাঁর মাতা, সালামা ইবন হিশাম, ওলীদ ইবন ওলীদ, আবু জান্দাল ইবন সাহল্‌ প্রমূখ।
    এসব সাহাবী নিজেদের ঈমানী বলিষ্ঠতার দরুন কাফেরদের অসহনীয় উৎপীড়ন সহ্য করেও ঈমানের উপর স্থির থাকেন। অবশ্য তাঁরা এসব অত্যাচার উৎপীড়ন থেকে অব্যাহতি লাভের জন্য বরাবরই আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের দরবারে দো’আ করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্ তা’আলা তাঁদের সে প্রার্থনা মঞ্জুর করে নেন এবং মুসলিমদেরকে নির্দেশ দেন যাতে তাঁরা জিহাদের মাধ্যমে সেই নিপীড়িতদেরকে কাফেরদের অত্যাচার থেকে মুক্ত করেন। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, ‘আমি ও আমার মা অসহায়দের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম’ [বুখারী ৪৫৮৭]

    এ আয়াতে মুমিনরা আল্লাহ তা’আলার দরবারে দুটি বিষয়ে দোআ করেছিলেন। একটি হলো এই যে, আমাদিগকে এই(মক্কা) নগরী থেকে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করুন এবং দ্বিতীয়টি হলো, আমাদের জন্য কোন সহায় বা সাহায্যকারী পাঠান। আল্লাহ তাদের দু’টি প্রার্থনাই কবুল করে নিয়েছিলেন। তা এভাবে যে, কিছু লোককে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, যাতে তাঁদের প্রথম প্রার্থনাটি পূরণ হয়েছিল। অবশ্য কোন কোন লোক সেখানেই রয়ে যান এবং বিজয়ের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আত্তাব ইবন উসায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে সেসব লোকের মুতাওয়াল্লী নিযুক্ত করেন। অতঃপর তিনি এসব উৎপীড়িতদেরকে অত্যাচারীদের উৎপীড়ন-অত্যাচার থেকে মুক্ত করেন। আর এভাবেই পূর্ণ হয় তাদের দ্বিতীয় প্রার্থনাটি। আয়াতে বলা হয়েছে যে, জিহাদের নির্দেশ দানের পিছনে একটি কারণ ছিল সে সমস্ত অসহায় দুর্বল নারী-পুরুষের প্রার্থনা। মুসলিমগণকে জিহাদ করার নির্দেশ দানের মাধ্যমে সে প্রার্থনা মঞ্জুরীর কথাই ঘোষণা করা হয়েছে।


    ( "মানুষ ইচ্ছা করলে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে পারে কিন্তু তার চেষ্টা করে না। মৃত্যুর থেকে বাঁচতে চেষ্টা করে কিন্তু তা সম্ভব না।" )

  • #2
    Mashallah alhamdulillah

    Comment


    • #3
      কমেন্টে যোগ হবে ইনশাআল্লাহ ইসলামী আইন বনাম বাংলাদেশ সংবিধান ।
      কিছু মৌলিক পার্থক্য 1 day ago (((((( ((১))য প্রশ্নঃ একই গর্তে বার বার হোঁচট খাওয়া কি মুমিনের কাজ? ))))) যতোটুকু বাংলাদেশ সংবিধানের বিপক্ষে ততটুকুই বাতিল বলো গন্য হবে?
      ইসলামঃ- ধর্মের জন্য যুদ্ধ করা ফরজ
      সংবিধানঃ জিহাদ বাতিল, কারণ তা সাম্প্রদায়িকতা
      ইসলামঃ মদ হারাম
      সংবিধানঃ এটা বৈধ কারণ সাংসদদের অধিকাংশই এর পক্ষে
      ইসলামঃ জিনা হারাম
      সংবিধানঃ এটা বৈধ কারণ সাংসদদের অধিকাংশই এর পক্ষে
      ইসলামঃ নামাজ ফরজ, আবশ্যক
      সংবিধানঃ ইবাদাত ঐচ্ছিক, কেউ না পালন করলে তাকে চাপ দেয়া যাবেনা, কারণ এটা তার ব্যক্তি স্বাধীনতা
      ইসলামঃ মুহাম্মদ ﷺ- কে গালি দেয়া কুফর
      সংবিধানঃ এটা বাক স্বাধীনতার অংশ
      ইসলামঃ ভারত ও কাশ্মীরের মুসলিমদের রক্ষা করা ফরজ
      সংবিধানঃ এটা জাতীয়তাবাদের নীতিবিরোধী
      ইসলামঃ চোরের শাস্তি হাত কাটা
      সংবিধানঃ এসব বর্বর আইন বাদ, সাংসদদের অধিকাংশ যা মত দিবে তাই
      ইসলামঃ জিনা প্রমাণিত হলে রজম নয়তো দোররা
      সংবিধানঃ এসব বর্বর আইন বাদ, সাংসদদের অধিকাংশ যা মত দিবে তাই
      ইসলামঃ পৃথিবী চলবে আল্লাহর আইনে
      সংবিধানঃ বিধান প্রণয়নকারী জনগনের নির্বাচিত সরকার, তাদেরটাই গ্রহনযোগ্য
      ইসলামঃ বিবাহ বৈধ বাল্য হোক বা সাবালক
      সংবিধানঃ বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ
      ইসলামঃ পর্দা ফরজ
      সংবিধানঃ ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করা হয়, নারী অধিকার খর্ব করা হয়
      ইসলামঃ কুফর ও শিরকি অনুষ্ঠানে যাওয়া হারাম
      সংবিধানঃ ধর্ম যার যার উৎসব সবার
      এরপরও যখন কেউ বলে কোরআনি আইন ও সংবিধান সাংঘর্ষিক নয়, তখন সেই ব্যক্তির উপর আমাদের ভিন্ন একটি প্রশ্ন চলে আসে, ❝আসলে সে ইসলাম বলতে কী বুঝে❞ " হক্ব তারাই গ্রহণ করেন যাদের নফস অহংকার ও স্বেচ্ছাচারিতার উপর প্রাধান্য বিস্তার করে " __শহীদ ওস্তাদ আহমেদ ফারুক (রহঃ)
      Last edited by Munshi Abdur Rahman; 06-27-2022, 07:25 PM.

      Comment

      Working...
      X