আহলে হাদীস পথভ্রষ্ট, আহলে হাদীস হলৈই পথভ্রষ্ট এশব্দ গুলো সরাসরি এভাবে বলা কি ঠিক?
মনের অমিল /মতের অমিল হলে , অথবা ক্বিতালের আলোচনা করলেই আহলে হাদীস বলা /উক্ত শব্দটি গালি হিসেবে ব্যবহার করা কি ঠিক?
যারা এ শব্দগুলো ব্যবহার করে তাদের নিকট জানতে ইচ্ছুক?
আল্লাহ তাআলা বলেন
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا
রাসূল তোমাদের যা দেয় তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করে তা থেকে বিরত হও
* এ আয়াত দ্বারা সাহাবায়ে কিরাম সবসময়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত যে অবশ্য পালনীয় তা বর্ণনা করতেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট এক মহিলা এসে বলল, শুনেছি আপনিউন্ধি আঁকা ও পরচুলা ব্যবহার করা থেকে নিষেধ করেন?
এটা কি আপনি আল্লাহর কিতাবে পেয়েছেন?
নাকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসে পেয়েছেন? তিনি বললেন, অবশ্যই হ্যাঁ, আমি সেটা আল্লাহর কিতাব এবং রাসূলের সুন্নাত সব জায়গায়ই পেয়েছি।
মহিলা বলল, আমি তো আল্লাহর কিতাব ঘেটে শেষ করেছি কিন্তু কোথাও পাইনি।
তিনি বললেন, তবে কি তুমি তাতে
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا
“রাসূল তোমাদেরকে যা দেয় তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাক”
এটা পাওনি?
সে বললঃ হ্যাঁ, তারপর ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, পরচুলা ব্যবহারকারিনী, উল্কি অংকনকারীনী, ভ্ৰ ব্লাককারীনীর প্রতি আল্লাহ লা'নত করেছেন।
[দেখুন, বুখারী: ৪৮৮৬, ৪৮৮৭, মুসলিম: ২১২৫, আবুদাউদ: ৪১৬৯, তিরমিয়ী: ২৭৮২, নাসায়ী: ৫০৯৯, ইবনে মাজাহ: ১৯৮৯, মুসনাদে আহমাদ: ১/৪৩২]
অনুরূপভাবে ইবনে উমর ও ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম বলেন যে, “তারা সাক্ষ্য দিচ্ছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুব্বা, হানতাম, নাকীর ও মুযাফফাত, (এগুলো জাহেলী যুগের বিভিন্নপ্রকার মদ তৈরী করার পাত্ৰ বিশেষ) এ কয়েক প্রকার পাত্ৰ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই তিলাওয়াত করলেন,
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا
[মুসলিমঃ ১৯৯৭, আবু দাউদঃ ৩৬৯০, নাসায়ীঃ ৫৬৪৩]
النجم আন-নাজম
وَ مَا یَنۡطِقُ عَنِ الۡہَوٰی ؕ﴿۳﴾
আর সে মনগড়া কথা বলে না।
اِنۡ ہُوَ اِلَّا وَحۡیٌ یُّوۡحٰی ۙ﴿۴﴾
তাতো কেবল ওহী, যা তার প্রতি ওহীরূপে প্রেরণ করা হয়।
الحاقة আল-হাক্বাহ
وَ لَوۡ تَقَوَّلَ عَلَیۡنَا بَعۡضَ الۡاَقَاوِیۡلِ ﴿ۙ
۴۴﴾ যদি সে আমার নামে কোন মিথ্যা রচনা করত,
لَاَخَذۡنَا مِنۡہُ بِالۡیَمِیۡنِ ﴿ۙ۴۵﴾
তবে আমি তার ডান হাত পাকড়াও করতাম।
ثُمَّ لَقَطَعۡنَا مِنۡہُ الۡوَتِیۡنَ ﴿۫ۖ۴۶﴾
তারপর অবশ্যই আমি তার হৃদপিন্ডের শিরা কেটে ফেলতাম।
فَمَا مِنۡکُمۡ مِّنۡ اَحَدٍ عَنۡہُ حٰجِزِیۡنَ ﴿۴۷﴾
অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউই তাকে রক্ষা করার থাকত না।
তবে হ্যাঁ! বাস্তবে যদি পথভ্রষ্ট হয়?
ও আহলে হাদীস নাম ধারণ করে ,
তাহলে আপনি "নামধারী আহলে হাদীস"
"তথাকথিত আহলে হাদীস"
এগুলো ব্যবহার করলে কেমন হয় ?
কারন পথভ্রষ্ট তো পথভ্রষ্টই।
হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে সঠিক ভাবে দ্বীনের উপর চলার তাওফিক দাও। আমিন।
মনের অমিল /মতের অমিল হলে , অথবা ক্বিতালের আলোচনা করলেই আহলে হাদীস বলা /উক্ত শব্দটি গালি হিসেবে ব্যবহার করা কি ঠিক?
যারা এ শব্দগুলো ব্যবহার করে তাদের নিকট জানতে ইচ্ছুক?
আল্লাহ তাআলা বলেন
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا
রাসূল তোমাদের যা দেয় তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করে তা থেকে বিরত হও
* এ আয়াত দ্বারা সাহাবায়ে কিরাম সবসময়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত যে অবশ্য পালনীয় তা বর্ণনা করতেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট এক মহিলা এসে বলল, শুনেছি আপনিউন্ধি আঁকা ও পরচুলা ব্যবহার করা থেকে নিষেধ করেন?
এটা কি আপনি আল্লাহর কিতাবে পেয়েছেন?
নাকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসে পেয়েছেন? তিনি বললেন, অবশ্যই হ্যাঁ, আমি সেটা আল্লাহর কিতাব এবং রাসূলের সুন্নাত সব জায়গায়ই পেয়েছি।
মহিলা বলল, আমি তো আল্লাহর কিতাব ঘেটে শেষ করেছি কিন্তু কোথাও পাইনি।
তিনি বললেন, তবে কি তুমি তাতে
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا
“রাসূল তোমাদেরকে যা দেয় তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাক”
এটা পাওনি?
সে বললঃ হ্যাঁ, তারপর ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, পরচুলা ব্যবহারকারিনী, উল্কি অংকনকারীনী, ভ্ৰ ব্লাককারীনীর প্রতি আল্লাহ লা'নত করেছেন।
[দেখুন, বুখারী: ৪৮৮৬, ৪৮৮৭, মুসলিম: ২১২৫, আবুদাউদ: ৪১৬৯, তিরমিয়ী: ২৭৮২, নাসায়ী: ৫০৯৯, ইবনে মাজাহ: ১৯৮৯, মুসনাদে আহমাদ: ১/৪৩২]
অনুরূপভাবে ইবনে উমর ও ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম বলেন যে, “তারা সাক্ষ্য দিচ্ছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুব্বা, হানতাম, নাকীর ও মুযাফফাত, (এগুলো জাহেলী যুগের বিভিন্নপ্রকার মদ তৈরী করার পাত্ৰ বিশেষ) এ কয়েক প্রকার পাত্ৰ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই তিলাওয়াত করলেন,
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا
[মুসলিমঃ ১৯৯৭, আবু দাউদঃ ৩৬৯০, নাসায়ীঃ ৫৬৪৩]
النجم আন-নাজম
وَ مَا یَنۡطِقُ عَنِ الۡہَوٰی ؕ﴿۳﴾
আর সে মনগড়া কথা বলে না।
اِنۡ ہُوَ اِلَّا وَحۡیٌ یُّوۡحٰی ۙ﴿۴﴾
তাতো কেবল ওহী, যা তার প্রতি ওহীরূপে প্রেরণ করা হয়।
الحاقة আল-হাক্বাহ
وَ لَوۡ تَقَوَّلَ عَلَیۡنَا بَعۡضَ الۡاَقَاوِیۡلِ ﴿ۙ
۴۴﴾ যদি সে আমার নামে কোন মিথ্যা রচনা করত,
لَاَخَذۡنَا مِنۡہُ بِالۡیَمِیۡنِ ﴿ۙ۴۵﴾
তবে আমি তার ডান হাত পাকড়াও করতাম।
ثُمَّ لَقَطَعۡنَا مِنۡہُ الۡوَتِیۡنَ ﴿۫ۖ۴۶﴾
তারপর অবশ্যই আমি তার হৃদপিন্ডের শিরা কেটে ফেলতাম।
فَمَا مِنۡکُمۡ مِّنۡ اَحَدٍ عَنۡہُ حٰجِزِیۡنَ ﴿۴۷﴾
অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউই তাকে রক্ষা করার থাকত না।
তবে হ্যাঁ! বাস্তবে যদি পথভ্রষ্ট হয়?
ও আহলে হাদীস নাম ধারণ করে ,
তাহলে আপনি "নামধারী আহলে হাদীস"
"তথাকথিত আহলে হাদীস"
এগুলো ব্যবহার করলে কেমন হয় ?
কারন পথভ্রষ্ট তো পথভ্রষ্টই।
হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে সঠিক ভাবে দ্বীনের উপর চলার তাওফিক দাও। আমিন।
Comment