Announcement

Collapse
No announcement yet.

কুরআন পড়বো নাকি বুঝবো?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কুরআন পড়বো নাকি বুঝবো?

    চলমান সময়ে একটি আলোচিত বিষয়। যারা কোরআন পড়তে পারেনঃ তারা অনেকটাই বুঝার ক্ষেত্রে উদাসীন থাকেন।
    শুধুই হাফেজ হয়ে থাকেন,
    এক্ষেত্রে কোরআনের মূল ম্যাসেজটি তিনি অনেকটাই বুঝার চেষ্টা করেননা

    কিন্তু দেখুন একজন মানুষ যখন পূর্ণ কোরআন সহীহ-শুদ্ধ ও সুন্দর তারতীলের সাথে কোরআন পাঠ করার পাশাপাশি

    পূর্ণ কোরআনের তরজমাটাও পড়ার ও বুঝার চেষ্টা করে তখন সেটা তার জন্য কতবড় একটি সফলতা ও পূর্ণতা, তা সহজেই অনুমেয়।

    যারা কোরআন বুঝার কথা বলেনঃ তাদের বক্তব্য অবশ্যই সঠিক,
    কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তাদের মেক্সিমাম'ই কোরআন এতটুকুও শুদ্ধ করে পড়তে পারেননা যার দ্বারা নামাজটা অন্তত পড়া যায়।

    অসংখ্য সাহাবীদের মাঝে হাফেজ, মুফতি,মুফাসসীর কম পাওয়া যেতে পারে কিন্তু কারো যে কোরআন তিলওয়াত অশুদ্ধ ছিলো
    এমনটি আমাদের জানা নেই।

    সুতরাং আমার যেই ভাইটি কষ্ট করে কোরআনের তরজমা ও তাফসীর পড়ার চেষ্টা করছেন,

    তাদের এমন কি'বা ক্ষতি হতো যদি তারা কোরআন শুদ্ধ, সহীহ ও তারতিলের সাথে সুমধুর কণ্ঠে রবের বানী পাঠ করবেন..?

    প্রিয় ভাই! কোরআন পড়বো, শুধু পড়লেই বা কী ফায়দা?

    না বুঝে পড়ার কোন অর্থ হতে পারে? ইত্যাদি প্রশ্ন আমাদের হৃদয়ে উদয় হচ্ছে।


    আমরা বলি-
    কোরআন পড়া ও বুঝা দুটিই শরীয়তের আলাদা নির্দেশনা।

    শুধু তিলওয়াতের কথা ও এর গুরুত্ব ও এর ফজিলতের বিষয়ে কোরআন ও সুন্নাহে যথেষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।

    বিষয়টি এমন নয় যে একটি আরেকটির সাথে সাংঘর্ষিক বরং একটি আরেকটির সম্পূরক।


    কেই যদি সারাটি জীবন শুধু কোরআন পড়েই যায় অর্থ না বুঝে, তাহলেও এটা এভাবে বলার অধিকার আমাদের নেই যে,
    ❝শুধু পড়লে কোন ফায়দা নেই, এতে কোন লাভ নেই❞।

    কারণ মনে রাখা দরকার যে, ❝নামাজে কিন্তু অর্থ নয় শুধু তিলওয়াতই করতে হয়, বিষয়টি একেবারেই অগুরুত্বপূর্ণ হলে কখনই তা অনুমোদন দেয়া হতোনা।❞

    ❝আর কোরআনকে অন্য যে কোন কিতাব/বইয়ের সাথে তুলনা করলে সম্পূর্ণ ভুল হবে, কারণ কোরআন আল্লাহর সরাসরি “কথা”।

    কোরআন আমাদের মত সৃষ্ট নয় বরং তা আল্লাহর একটি সিফাত/গুন❞

    হাদিসে সরাসরি এসেছে কোরআনের একটি অক্ষরে দশ দশটি করে নেকি। এই হাদিস সম্পূর্ণ তিলওয়াত কেন্দ্রিক


    ❝অতএব একথা বলার এক চুলও সুযোগ নেই যে,

    কোরআন পড়লাম কিন্তু বুঝলাম না এতে কোন ফায়দা নেই,
    বরং পড়ার ফজিলত অবশ্যই আছে, যদিও সে না বুঝেই পড়ুকনা কেন,

    এক্ষেত্রে আমরা যা বলতে পারি তা হলো যে ব্যক্তি কোরআন পড়তে ও বুঝতে কোনটিই পারেনা তাকে প্রথমে পড়ার ও পরে বুঝার এবং যে পড়তে পারে তাকে বুঝার এবং যে বুঝতে পারে তাকে পড়ার জন্য গুরুত্বারোপ করতে পারি❞


    কোরআন পাঠ/তিলওয়াত যে শরীয়তের আলাদা নির্দেশনা তার কিছু প্রমাণ-

    দলীলঃ১

    নবী ইব্রাহিম আলাইহিসসালাম দোয়া করেছিলেন
    ❝হে রব! আপনি তাদের মাঝেই তাদের থেকে একজন রাসুল প্রেরণ করুন যে আপনার আয়াত তাদেরকে তিলওয়াত করে শুনাবে,
    কিতাব শিক্ষা দিবে, হিকমাহ শিক্ষা দিবে এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবে❞
    [বাকারা-আয়াত-১২৯]

    এই আয়াতে হজরত ইবরাহীম আলাইহিসসালাম আল্লাহর কাছে মক্কাবাসীর জন্য নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রেরণের বিষয়ে দোয়া করেছেন। [তাফসীরের সারসংক্ষেপ]

    দোয়াতে হজরত ইবরাহীম আলাইহিসসালাম চারটি কথা বলেছেন-

    ১। কিতাব শুধু তিলওয়াত করা

    ২। হুকুম আহকাম [বিধিবিধান] শিক্ষা দেয়া।

    ৩। সুন্নাহ, ফিকহা ইত্যাদি শিক্ষা দেয়া

    ৪। পরিশুদ্ধ করা

    সুতরাং এখানে রাসুলের একটি স্বতন্ত্র কাজই হলো ❝শুধুমাত্র কোরআন তিলওয়াত করা❞

    দলিল ২য়ঃ

    নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কোরআনের একটি অক্ষর/হরফ তিলওয়াত করলে দশটি নেকি দেয়া হবে

    [এখানে বুঝে বা না বুঝে পড়া কোনটিরই কথা উল্লেখ নেই]

    তাই আমরা হাদিসটিকে সাধারণ ভাবেই রেখে দিবো এবং বলবো কেউ বুঝুক আর না বুঝুক তিলওয়াতের নিয়তে পড়লেই সওয়াব হবে।
    [যদি সে মুসলিম হয়]

    লোখা দীর্ঘ হচ্ছে, তাই আর কথা বাড়াবোনা।


    বাকি এরকম আরো আয়াত ও হাদিস পাওয়া যাবে, সেখানে শুধুমাত্র তিলওয়াত করাকেই আলাদা বুঝানো হয়েছে।


    সুতরাং 'তিলওয়াতকারীকে কোরআন না বুঝার জন্য তিরস্কার করা এই বলে যে শুধুমাত্র তিলওয়াতে কোন ফায়দা নেই' এমনটি বলা নিঃসন্দেহে বোকামি বৈ আর কিছুই না।


    আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন। ( আমীন )

    ~ এক মুওয়াহিদ
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2
    وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ قَرَأ حَرْفاً مِنْ كِتَابِ اللهِ فَلَهُ حَسَنَةٌ وَالحَسَنَةُ بِعَشْرِ أمْثَالِهَا لاَ أَقُولُ : الـم حَرفٌ وَلَكِنْ : ألِفٌ حَرْفٌ وَلاَمٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ رواه الترمذي وقال حديث حَسَنٌ صَحِيْحٌ ১৪২২) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব (কুরআন মাজীদ) এর একটি বর্ণ পাঠ করবে, তার একটি নেকী হবে। আর একটি নেকী, দশটি নেকীর সমান হয়। আমি বলছি না যে, ’আলিফ-লাম-মীম’ একটি বর্ণ; বরং আলিফ একটি বর্ণ, লাম একটি বর্ণ এবং মীম একটি বর্ণ। (অর্থাৎ, তিনটি বর্ণ দ্বারা গঠিত ’আলিফ-লাম-মীম, যার নেকীর সংখ্যা হবে ত্রিশ।) উক্ত হাদীসের মধ্যে শুধু মাত্র হরফ উচ্চারণের ভিত্তিতে বলা হয়েছে যে দশ নেকি দেওয়া হয় আর সর্বসম্মতিক্রমে এইকথা গৃহিত যে হরফের কোন অর্থ নেই তাই অর্থ বুঝা ব্যতিত কুরআন মাজিদ তিলাওয়াত করলে প্রতি হরফে দশ নেকি পাওয়া যাবে এবং আল্লাহ তায়ালা কুরআন মজিদের মধ্যে বলেন فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ ۚ অর্থাৎ তোমাদের সাধ্য অনুযায়ী তোমরা কুরআন তেলাওয়াত কর সুতরাং যে যার সাধ্য অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত করবে সে আল্লাহর আদেশ মান্য করার কারণে সাওয়াবের অধিকারী হবে সুতরাং সবার পক্ষে অর্থ বুঝে কুরআন তিলাওয়াত করা সম্ভব হবে না তাদের সধ্য শুধু শব্দিক ভাবে তেলাওয়াত করে যাওয়া সুতরাং এই ক্ষেত্রেও যেহেতু আল্লাহ তায়ালার আদেশ রয়েছে তাই তারাও আল্লাহর আদেশ পালনের কারনে সাওয়াবের অধিকারী হবে এবং আর কিরাত বলা হয় একত্রিত করা এবং একটি শব্দকে অপরটির সাথে সংযুক্ত করা এখানে অর্থ বুঝানোকে সংযুক্ত করা হয়নি এবং হাদিসের মধ্যে যেহেতু কেরাতের কথা বলা হয়েছে তাই কেউ শুধু না বুঝে পড়ে গেলেই দশ নেকি করে পাবে বুঝে পড়লে তো আরো অনেক বেশি সাওয়াব পাওয়া যাবে এবং আমরা জেনে থাকি যে কুরআন মাজিদের শব্দ সমূহ কুরআন মাজিদেরই অংশ আর কুরআন মাজিদ যখন বুঝে পড়লে সাওয়াব পাওয়া যায় তখন কুরআন মাজিদ না বুঝে পড়লেও সাওয়াব পাওয়া যাওয়ার কথা কারন না বুঝে কুরআন তিলাওয়াত করা বুঝে পড়ারই এক অংশ ।তবে কুরআন মাজিদ হল আল্লাহর কালাম আল্লাহ যেমন অসিম তাই আল্লাহর কালামও অসীম তাই মানুষ পূর্নাঙ্গ ভাবে কুরআনকে উপলব্ধি করতে অক্ষম তাই মানুষ যেহেতু পূর্নাঙ্গ ভাবে কুরআন মাজিদ বুঝে পড়তে অক্ষম এবং মানুষের মঝে বিভিন্ন শ্রেণীর লোক রয়েছে কারো জ্ঞান বেশি কারো জ্ঞান আবার কম আবার কারো জ্ঞান মধ্যম তাই কেউ ভালোভাবে কুরআন বুঝে আবার কেউ হালকাভাবে কুরআন বুঝে আবার কেউ বুঝেই না তাই বলে কি সবাই এই সাওয়াব অর্জন করতে পারবে না । অবশ্যই পারবে আল্লাহ তায়ালা সবকিছু বিবেচনা করে একটি নিন্মস্তরের সাওয়াবের কথা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে বলে দিয়েছেন যা সর্বজনীন হবে অর্থাৎ না বুঝে পড়লে প্রতি হরফে দশ নেকী আর বুঝে পড়লে এর সাওয়াব কেমন হবে তা আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে كِتٰبٌ أَنزَلنٰهُ إِلَيكَ مُبٰرَكٌ لِيَدَّبَّروا ءايٰتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُوا الأَلبٰبِ [29] এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে। এবং তিনি আরো বলেন যে وَلَقَد يَسَّرنَا القُرءانَ لِلذِّكرِ فَهَل مِن مُدَّكِرٍ [22] আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? এবং আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজিদে আরো বলেন যে [204] وَإِذا قُرِئَ القُرءانُ فَاستَمِعوا لَهُ وَأَنصِتوا لَعَلَّكُم تُرحَمونَ [204] আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়। এখানে থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে কেউ যখন কোরআন তেলাওয়াত করে তখন সেখানে কান লাগিয়ে শুনে থাকলে সে সামগ্রীক ভাবেই আল্লাহর করুণা প্রাপ্ত হবে সুতরাং কারো কুরআন তেলাওয়াত শুনলে সেখান থেকে সব কিছুই স্পষ্ট ভাবে অনেক সময় বুঝা যায় না তার পরও এখানে করুনা প্রাপ্তির কথা বলা হয়েছে সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম যে শুধু মাত্র কুরআনে সংস্পর্শে থাকলেই আল্লাহর করুণা পাওয়া যায় সে হিসেবে না বুঝে কুরআন তেলাওয়াত করলেও ব্যক্তি কুরআনের সংস্পর্শে থাকছে তাহলেও কি সে আল্লাহর করুণা প্রাপ্ত হবে না । এবং আমরা যখন দেখতে পারছি যে নামাজের মধ্যে কুরআন মাজিদ না বুঝে পড়লেই নামাজ হয়ে যাচ্ছে তখন না বুঝে পড়লেকি সে সাওয়াবের অধিকারী হবে না এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي مُنِيبٍ الْجُرَشِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ ‏"‏ ‏.‏ উসমান ইবন আবূ শায়বা (রহঃ) .... ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন কাওমের (সম্পদ্রয়ের) অনুসরণ-অনুকরন করবে, সে তাদের দলভুক্ত হবে। সুতরাং যে ব্যক্তি না বুঝে কুরআন তেলাওয়াত করছে সে যে ব্যক্তি বুঝে তেলাওয়াত করছে তার অনুকরণ করছে তাই সেও তাদের সাদৃশ্য তা অবলম্বন করার কারণে তাদের মত সাওয়াবের অধিকারী হবে এবং আল্লাহ তায়ালা অনেক ধনী তাই আল্লাহ এই পরিমাণ সাওয়াব দিলে আল্লাহর কোন কমতি হবে না।কারন হাদীসের মধ্যে রয়েছে যে حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنَّ لِلَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى مَلاَئِكَةً سَيَّارَةً فُضْلاً يَتَبَّعُونَ مَجَالِسَ الذِّكْرِ فَإِذَا وَجَدُوا مَجْلِسًا فِيهِ ذِكْرٌ قَعَدُوا مَعَهُمْ وَحَفَّ بَعْضُهُمْ بَعْضًا بِأَجْنِحَتِهِمْ حَتَّى يَمْلَئُوا مَا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَإِذَا تَفَرَّقُوا عَرَجُوا وَصَعِدُوا إِلَى السَّمَاءِ - قَالَ - فَيَسْأَلُهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَهُوَ أَعْلَمُ بِهِمْ مِنْ أَيْنَ جِئْتُمْ فَيَقُولُونَ جِئْنَا مِنْ عِنْدِ عِبَادٍ لَكَ فِي الأَرْضِ يُسَبِّحُونَكَ وَيُكَبِّرُونَكَ وَيُهَلِّلُونَكَ وَيَحْمَدُونَكَ وَيَسْأَلُونَكَ ‏.‏ قَالَ وَمَاذَا يَسْأَلُونِي قَالُوا يَسْأَلُونَكَ جَنَّتَكَ ‏.‏ قَالَ وَهَلْ رَأَوْا جَنَّتِي قَالُوا لاَ أَىْ رَبِّ ‏.‏ قَالَ فَكَيْفَ لَوْ رَأَوْا جَنَّتِي قَالُوا وَيَسْتَجِيرُونَكَ ‏.‏ قَالَ وَمِمَّ يَسْتَجِيرُونَنِي قَالُوا مِنْ نَارِكَ يَا رَبِّ ‏.‏ قَالَ وَهَلْ رَأَوْا نَارِي قَالُوا لاَ ‏.‏ قَالَ فَكَيْفَ لَوْ رَأَوْا نَارِي قَالُوا وَيَسْتَغْفِرُونَكَ - قَالَ - فَيَقُولُ قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ فَأَعْطَيْتُهُمْ مَا سَأَلُوا وَأَجَرْتُهُمْ مِمَّا اسْتَجَارُوا - قَالَ - فَيَقُولُونَ رَبِّ فِيهِمْ فُلاَنٌ عَبْدٌ خَطَّاءٌ إِنَّمَا مَرَّ فَجَلَسَ مَعَهُمْ قَالَ فَيَقُولُ وَلَهُ غَفَرْتُ هُمُ الْقَوْمُ لاَ يَشْقَى بِهِمْ جَلِيسُهُمْ ‏"‏ ‏.‏ মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ইবনু মায়মুন (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলার একদল ভ্রাম্যমান বিশেষ ফিরিশতা আছে। তারা যিকরের মজলিসসমূহ অনুসন্ধান করে বেড়ায়। তাঁরা যখন কোন যিকরের মজলিস পায় তখন সেখানে তাদের (যিকরকারীরদের) সঙ্গে বসে যায়। আর তারা একে অপরকে তাদের পাখা বিস্তার করে বেষ্টন করে নেয়। এমনিভাবে তাঁরা তাদের ও নিকটবর্তী আসমানের ফাঁকা স্থান পূর্ণ করে ফেলে। যিকরকারীরা যখন আলাদা হয়ে যায় তখন তাঁরা আসমানে আরোহণ করে। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ তা’আলা তাদের প্রশ্ন করেন, তোমরা কোথা হতে এসেছ? অথচ তিনি তাদের সম্পর্কে সর্বাধিক অবহিত। তখন তারা বলতে থাকেন, আমরা যমীনে অবস্থানকারী আপনার বান্দাদের নিকট থেকে এসেছি, যারা আপনার তাসবীহ পাঠ করে, তাকবীর পাঠ করে, (তাহলীল পাঠ করে) “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর যিকর করে, আপনার প্রশংসা ঘোষণা করে আর আপনার কাছে তাদের (কাঙ্খিত বস্তু) কামনা করে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দারা আমার কাছে কি চায়? তারা বলেন, তারা আপনার কাছে আপনার জান্নাত কামনা করে। তিনি বলেন, তারা কি আমার জান্নাত দেখেছে? তাঁরা বলেন, না; হে আমাদের প্রতিপালক! তিনি বলেন, যদি তারা আমার জান্নাত দেখতে পেত (তাহলে কী করত)? তাঁরা বলেন, তাহলে তারা আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করত। তিনি বলেন, কিসের থেকে তারা আমার কাছে পানাহ চাইত? তাঁরা বলেন, হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার জাহান্নাম থেকে। তিনি বলেন, তারা কি আমার জাহান্নাম দেখেছে? তারা বলেন, না; তারা দেখেননি। তিনি বলেন, যদি তারা আমার জাহান্নাম দেখতে পেত (তাহলে কী করত)? তারা বলেন, তাহলে তারা আপনার কাছে মাগফিরাত কামনা করত। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ বলবেন, আমি তাদের ক্ষমা করে দিলাম এবং তারা যা চাইছিল আমি তা তাদের দান করলাম। আর তারা যা থেকে আশ্রয় চাইছিল আমি তা থেকে তাদের নাজাত দিলাম। এরপর তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের মধ্যে তো অমুক গোনাহগার বান্দা ছিল, যে তাদের (যিকিরীনদের) সঙ্গে মজলিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বসেছিল। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ বলবেন, আমি তাকেও ক্ষমা করে দিলাম। তারা তো এমন একটি সম্প্রদায় যাদের সঙ্গে উপবেশনকারী ব্যক্তি দুর্ভাগা হতে পারে না। সর্বোপরি কেউ না বুঝে কুরআন তিলাওয়াত করলেও প্রতি আয়াত তেলাওয়াতের মাধ্যমে এই কথার স্বীকৃতি দিচ্ছে যে ইহা সত্য কালাম ইহা আল্লাহর কালাম সে হিসেবেও তো সে সাওয়াব পাবে।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment

    Working...
    X