চলমান সময়ে একটি আলোচিত বিষয়। যারা কোরআন পড়তে পারেনঃ তারা অনেকটাই বুঝার ক্ষেত্রে উদাসীন থাকেন।
শুধুই হাফেজ হয়ে থাকেন,
এক্ষেত্রে কোরআনের মূল ম্যাসেজটি তিনি অনেকটাই বুঝার চেষ্টা করেননা
কিন্তু দেখুন একজন মানুষ যখন পূর্ণ কোরআন সহীহ-শুদ্ধ ও সুন্দর তারতীলের সাথে কোরআন পাঠ করার পাশাপাশি
পূর্ণ কোরআনের তরজমাটাও পড়ার ও বুঝার চেষ্টা করে তখন সেটা তার জন্য কতবড় একটি সফলতা ও পূর্ণতা, তা সহজেই অনুমেয়।
যারা কোরআন বুঝার কথা বলেনঃ তাদের বক্তব্য অবশ্যই সঠিক,
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তাদের মেক্সিমাম'ই কোরআন এতটুকুও শুদ্ধ করে পড়তে পারেননা যার দ্বারা নামাজটা অন্তত পড়া যায়।
অসংখ্য সাহাবীদের মাঝে হাফেজ, মুফতি,মুফাসসীর কম পাওয়া যেতে পারে কিন্তু কারো যে কোরআন তিলওয়াত অশুদ্ধ ছিলো
এমনটি আমাদের জানা নেই।
সুতরাং আমার যেই ভাইটি কষ্ট করে কোরআনের তরজমা ও তাফসীর পড়ার চেষ্টা করছেন,
তাদের এমন কি'বা ক্ষতি হতো যদি তারা কোরআন শুদ্ধ, সহীহ ও তারতিলের সাথে সুমধুর কণ্ঠে রবের বানী পাঠ করবেন..?
প্রিয় ভাই! কোরআন পড়বো, শুধু পড়লেই বা কী ফায়দা?
না বুঝে পড়ার কোন অর্থ হতে পারে? ইত্যাদি প্রশ্ন আমাদের হৃদয়ে উদয় হচ্ছে।
আমরা বলি-
কোরআন পড়া ও বুঝা দুটিই শরীয়তের আলাদা নির্দেশনা।
শুধু তিলওয়াতের কথা ও এর গুরুত্ব ও এর ফজিলতের বিষয়ে কোরআন ও সুন্নাহে যথেষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
বিষয়টি এমন নয় যে একটি আরেকটির সাথে সাংঘর্ষিক বরং একটি আরেকটির সম্পূরক।
কেই যদি সারাটি জীবন শুধু কোরআন পড়েই যায় অর্থ না বুঝে, তাহলেও এটা এভাবে বলার অধিকার আমাদের নেই যে,
❝শুধু পড়লে কোন ফায়দা নেই, এতে কোন লাভ নেই❞।
কারণ মনে রাখা দরকার যে, ❝নামাজে কিন্তু অর্থ নয় শুধু তিলওয়াতই করতে হয়, বিষয়টি একেবারেই অগুরুত্বপূর্ণ হলে কখনই তা অনুমোদন দেয়া হতোনা।❞
❝আর কোরআনকে অন্য যে কোন কিতাব/বইয়ের সাথে তুলনা করলে সম্পূর্ণ ভুল হবে, কারণ কোরআন আল্লাহর সরাসরি “কথা”।
কোরআন আমাদের মত সৃষ্ট নয় বরং তা আল্লাহর একটি সিফাত/গুন❞
হাদিসে সরাসরি এসেছে কোরআনের একটি অক্ষরে দশ দশটি করে নেকি। এই হাদিস সম্পূর্ণ তিলওয়াত কেন্দ্রিক
❝অতএব একথা বলার এক চুলও সুযোগ নেই যে,
কোরআন পড়লাম কিন্তু বুঝলাম না এতে কোন ফায়দা নেই,
বরং পড়ার ফজিলত অবশ্যই আছে, যদিও সে না বুঝেই পড়ুকনা কেন,
এক্ষেত্রে আমরা যা বলতে পারি তা হলো যে ব্যক্তি কোরআন পড়তে ও বুঝতে কোনটিই পারেনা তাকে প্রথমে পড়ার ও পরে বুঝার এবং যে পড়তে পারে তাকে বুঝার এবং যে বুঝতে পারে তাকে পড়ার জন্য গুরুত্বারোপ করতে পারি❞
কোরআন পাঠ/তিলওয়াত যে শরীয়তের আলাদা নির্দেশনা তার কিছু প্রমাণ-
দলীলঃ১
নবী ইব্রাহিম আলাইহিসসালাম দোয়া করেছিলেন
❝হে রব! আপনি তাদের মাঝেই তাদের থেকে একজন রাসুল প্রেরণ করুন যে আপনার আয়াত তাদেরকে তিলওয়াত করে শুনাবে,
কিতাব শিক্ষা দিবে, হিকমাহ শিক্ষা দিবে এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবে❞
[বাকারা-আয়াত-১২৯]
এই আয়াতে হজরত ইবরাহীম আলাইহিসসালাম আল্লাহর কাছে মক্কাবাসীর জন্য নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রেরণের বিষয়ে দোয়া করেছেন। [তাফসীরের সারসংক্ষেপ]
দোয়াতে হজরত ইবরাহীম আলাইহিসসালাম চারটি কথা বলেছেন-
১। কিতাব শুধু তিলওয়াত করা
২। হুকুম আহকাম [বিধিবিধান] শিক্ষা দেয়া।
৩। সুন্নাহ, ফিকহা ইত্যাদি শিক্ষা দেয়া
৪। পরিশুদ্ধ করা
সুতরাং এখানে রাসুলের একটি স্বতন্ত্র কাজই হলো ❝শুধুমাত্র কোরআন তিলওয়াত করা❞
দলিল ২য়ঃ
নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কোরআনের একটি অক্ষর/হরফ তিলওয়াত করলে দশটি নেকি দেয়া হবে
[এখানে বুঝে বা না বুঝে পড়া কোনটিরই কথা উল্লেখ নেই]
তাই আমরা হাদিসটিকে সাধারণ ভাবেই রেখে দিবো এবং বলবো কেউ বুঝুক আর না বুঝুক তিলওয়াতের নিয়তে পড়লেই সওয়াব হবে।
[যদি সে মুসলিম হয়]
লোখা দীর্ঘ হচ্ছে, তাই আর কথা বাড়াবোনা।
বাকি এরকম আরো আয়াত ও হাদিস পাওয়া যাবে, সেখানে শুধুমাত্র তিলওয়াত করাকেই আলাদা বুঝানো হয়েছে।
সুতরাং 'তিলওয়াতকারীকে কোরআন না বুঝার জন্য তিরস্কার করা এই বলে যে শুধুমাত্র তিলওয়াতে কোন ফায়দা নেই' এমনটি বলা নিঃসন্দেহে বোকামি বৈ আর কিছুই না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন। ( আমীন )
~ এক মুওয়াহিদ
শুধুই হাফেজ হয়ে থাকেন,
এক্ষেত্রে কোরআনের মূল ম্যাসেজটি তিনি অনেকটাই বুঝার চেষ্টা করেননা
কিন্তু দেখুন একজন মানুষ যখন পূর্ণ কোরআন সহীহ-শুদ্ধ ও সুন্দর তারতীলের সাথে কোরআন পাঠ করার পাশাপাশি
পূর্ণ কোরআনের তরজমাটাও পড়ার ও বুঝার চেষ্টা করে তখন সেটা তার জন্য কতবড় একটি সফলতা ও পূর্ণতা, তা সহজেই অনুমেয়।
যারা কোরআন বুঝার কথা বলেনঃ তাদের বক্তব্য অবশ্যই সঠিক,
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তাদের মেক্সিমাম'ই কোরআন এতটুকুও শুদ্ধ করে পড়তে পারেননা যার দ্বারা নামাজটা অন্তত পড়া যায়।
অসংখ্য সাহাবীদের মাঝে হাফেজ, মুফতি,মুফাসসীর কম পাওয়া যেতে পারে কিন্তু কারো যে কোরআন তিলওয়াত অশুদ্ধ ছিলো
এমনটি আমাদের জানা নেই।
সুতরাং আমার যেই ভাইটি কষ্ট করে কোরআনের তরজমা ও তাফসীর পড়ার চেষ্টা করছেন,
তাদের এমন কি'বা ক্ষতি হতো যদি তারা কোরআন শুদ্ধ, সহীহ ও তারতিলের সাথে সুমধুর কণ্ঠে রবের বানী পাঠ করবেন..?
প্রিয় ভাই! কোরআন পড়বো, শুধু পড়লেই বা কী ফায়দা?
না বুঝে পড়ার কোন অর্থ হতে পারে? ইত্যাদি প্রশ্ন আমাদের হৃদয়ে উদয় হচ্ছে।
আমরা বলি-
কোরআন পড়া ও বুঝা দুটিই শরীয়তের আলাদা নির্দেশনা।
শুধু তিলওয়াতের কথা ও এর গুরুত্ব ও এর ফজিলতের বিষয়ে কোরআন ও সুন্নাহে যথেষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
বিষয়টি এমন নয় যে একটি আরেকটির সাথে সাংঘর্ষিক বরং একটি আরেকটির সম্পূরক।
কেই যদি সারাটি জীবন শুধু কোরআন পড়েই যায় অর্থ না বুঝে, তাহলেও এটা এভাবে বলার অধিকার আমাদের নেই যে,
❝শুধু পড়লে কোন ফায়দা নেই, এতে কোন লাভ নেই❞।
কারণ মনে রাখা দরকার যে, ❝নামাজে কিন্তু অর্থ নয় শুধু তিলওয়াতই করতে হয়, বিষয়টি একেবারেই অগুরুত্বপূর্ণ হলে কখনই তা অনুমোদন দেয়া হতোনা।❞
❝আর কোরআনকে অন্য যে কোন কিতাব/বইয়ের সাথে তুলনা করলে সম্পূর্ণ ভুল হবে, কারণ কোরআন আল্লাহর সরাসরি “কথা”।
কোরআন আমাদের মত সৃষ্ট নয় বরং তা আল্লাহর একটি সিফাত/গুন❞
হাদিসে সরাসরি এসেছে কোরআনের একটি অক্ষরে দশ দশটি করে নেকি। এই হাদিস সম্পূর্ণ তিলওয়াত কেন্দ্রিক
❝অতএব একথা বলার এক চুলও সুযোগ নেই যে,
কোরআন পড়লাম কিন্তু বুঝলাম না এতে কোন ফায়দা নেই,
বরং পড়ার ফজিলত অবশ্যই আছে, যদিও সে না বুঝেই পড়ুকনা কেন,
এক্ষেত্রে আমরা যা বলতে পারি তা হলো যে ব্যক্তি কোরআন পড়তে ও বুঝতে কোনটিই পারেনা তাকে প্রথমে পড়ার ও পরে বুঝার এবং যে পড়তে পারে তাকে বুঝার এবং যে বুঝতে পারে তাকে পড়ার জন্য গুরুত্বারোপ করতে পারি❞
কোরআন পাঠ/তিলওয়াত যে শরীয়তের আলাদা নির্দেশনা তার কিছু প্রমাণ-
দলীলঃ১
নবী ইব্রাহিম আলাইহিসসালাম দোয়া করেছিলেন
❝হে রব! আপনি তাদের মাঝেই তাদের থেকে একজন রাসুল প্রেরণ করুন যে আপনার আয়াত তাদেরকে তিলওয়াত করে শুনাবে,
কিতাব শিক্ষা দিবে, হিকমাহ শিক্ষা দিবে এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবে❞
[বাকারা-আয়াত-১২৯]
এই আয়াতে হজরত ইবরাহীম আলাইহিসসালাম আল্লাহর কাছে মক্কাবাসীর জন্য নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রেরণের বিষয়ে দোয়া করেছেন। [তাফসীরের সারসংক্ষেপ]
দোয়াতে হজরত ইবরাহীম আলাইহিসসালাম চারটি কথা বলেছেন-
১। কিতাব শুধু তিলওয়াত করা
২। হুকুম আহকাম [বিধিবিধান] শিক্ষা দেয়া।
৩। সুন্নাহ, ফিকহা ইত্যাদি শিক্ষা দেয়া
৪। পরিশুদ্ধ করা
সুতরাং এখানে রাসুলের একটি স্বতন্ত্র কাজই হলো ❝শুধুমাত্র কোরআন তিলওয়াত করা❞
দলিল ২য়ঃ
নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কোরআনের একটি অক্ষর/হরফ তিলওয়াত করলে দশটি নেকি দেয়া হবে
[এখানে বুঝে বা না বুঝে পড়া কোনটিরই কথা উল্লেখ নেই]
তাই আমরা হাদিসটিকে সাধারণ ভাবেই রেখে দিবো এবং বলবো কেউ বুঝুক আর না বুঝুক তিলওয়াতের নিয়তে পড়লেই সওয়াব হবে।
[যদি সে মুসলিম হয়]
লোখা দীর্ঘ হচ্ছে, তাই আর কথা বাড়াবোনা।
বাকি এরকম আরো আয়াত ও হাদিস পাওয়া যাবে, সেখানে শুধুমাত্র তিলওয়াত করাকেই আলাদা বুঝানো হয়েছে।
সুতরাং 'তিলওয়াতকারীকে কোরআন না বুঝার জন্য তিরস্কার করা এই বলে যে শুধুমাত্র তিলওয়াতে কোন ফায়দা নেই' এমনটি বলা নিঃসন্দেহে বোকামি বৈ আর কিছুই না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন। ( আমীন )
~ এক মুওয়াহিদ
Comment