(4) আপনি কি সিরাতে মুস্তাকিম (সঠিক পথ) এর পরিচয় জানতে ইচ্ছুক? (4)
وَ مَنۡ یُّطِعِ اللّٰہَ وَ الرَّسُوۡلَ فَاُولٰٓئِکَ مَعَ الَّذِیۡنَ اَنۡعَمَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمۡ مِّنَ النَّبِیّٖنَ وَ الصِّدِّیۡقِیۡنَ وَ الشُّہَدَآءِ وَ الصّٰلِحِیۡنَ ۚ وَ حَسُنَ اُولٰٓئِکَ رَفِیۡقًا ﴿ؕ۶۹﴾
আর যারা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করে তারা তাদের সাথে থাকবে, আল্লাহ যাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীলদের মধ্য থেকে। আর সাথী হিসেবে তারা হবে উত্তম।
প্রশ্ন ঃ- মুনআম আলাইহি কারা?
উত্তর ঃ-
' ১) আম্বিয়া,
২)সিদ্দীক,
৩) শহীদ ও
৪) সালেহীন।
******
مَنۡ یُّطِعِ الرَّسُوۡلَ فَقَدۡ اَطَاعَ اللّٰہَ ۚ وَ مَنۡ تَوَلّٰی فَمَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ عَلَیۡہِمۡ حَفِیۡظًا ﴿ؕ۸۰﴾
যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করিনি।
প্রশ্ন ঃ- রাসূলের আনুগত্যই আল্লাহর আনুগত্য, এর কিছু কারণ বলবেন কী?
উত্তর ঃ- (১) আল্লাহ তাআলা বাণী
مَنۡ یُّطِعِ الرَّسُوۡلَ فَقَدۡ اَطَاعَ اللّٰہَ ۚ
(২)
কারণ এই যে, আল্লাহ তাআলা যা নির্দেশ দিয়েছেন তিনি তাই বাস্তবায়ন করেছেন। তাতে কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন করেননি।
প্রশ্ন ঃ- যে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে রাসূলের অবাধ্য হলো তার হুকুম কী?
উত্তর ঃ- যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করিনি।
وَ مَنۡ تَوَلّٰی فَمَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ عَلَیۡہِمۡ حَفِیۡظًا ﴿ؕ۸۰﴾
প্রশ্ন ঃ- যদি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা মিথ্যা রচনা করত তাহলে কোন সমস্যা হত কী?
উত্তর ঃ- হ্যাঁ! অবশ্যই হত ।
তাহলে শুনুন।
আল্লাহ তাআলা বলেন
وَ لَوۡ تَقَوَّلَ عَلَیۡنَا بَعۡضَ الۡاَقَاوِیۡلِ ﴿ۙ۴۴﴾
যদি সে আমার নামে কোন মিথ্যা রচনা করত
, لَاَخَذۡنَا مِنۡہُ بِالۡیَمِیۡنِ ﴿ۙ۴۵﴾
তবে আমি তার ডান হাত পাকড়াও করতাম।
ثُمَّ لَقَطَعۡنَا مِنۡہُ الۡوَتِیۡنَ ﴿۫ۖ۴۶﴾
তারপর অবশ্যই আমি তার হৃদপিন্ডের শিরা কেটে ফেলতাম।
فَمَا مِنۡکُمۡ مِّنۡ اَحَدٍ عَنۡہُ حٰجِزِیۡنَ
﴿۴۷﴾ অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউই তাকে রক্ষা করার থাকত না।
প্রশ্ন ঃ- রাসূলের বাণী "আমার উম্মতের সব লোক জান্নাতে যাবে" উক্ত হাদীস শুনেছেন কি?
উত্তর ঃ-হ্যাঁ!
তা এই -
٢- [عن أبي هريرة:] كُلُّ أُمَّتي يَدْخُلُونَ الجَنَّةَ إِلّا مَن أَبى
، قالوا: يا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَن يَأْبى؟ قالَ: مَن أَطاعَنِي دَخَلَ الجَنَّةَ، وَمَن عَصانِي فقَدْ أَبى. البخاري (ت ٢٥٦)، صحيح البخاري ٧٢٨٠ • [صحيح]
• أخرجه البخاري (٧٢٨٠) • شرح الحديث
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মতের সকল লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। কিন্তু যে অস্বীকার করেছে
(সে জান্নাতবাসী হতে পারবে না)।
জিজ্ঞাসা করা হলঃ কে অস্বীকার করেছে, হে রাসূল!
উত্তরে বললেনঃ যে আমার অনুসরণ করল সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি আমার অনুসরণ করল না, সে অস্বীকার করল। [বুখারীঃ ৭২৮০]
প্রশ্ন ঃ- "অনুসরণকারী জান্নাতে যাবে" অনুসরণ এর অর্থ কী?
উত্তর ঃ- অনুসরণ এর অর্থ হলো রাসূল যা করেছেন তা করা এবং যার নির্দেশ দিয়েছেন তা বাস্তবে পরিণত করা।
যথা : রাসূল ১০ বসরে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য স্বয়ন ২৭টি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন।
৩৬/৪৬ যুদ্ধে সাহাবিদের প্রেরণ করেছেন ।
প্রশ্ন ঃ- আমি নিজে কোন যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করলাম না বা অনুসারীদের ও প্রেরণ করলাম না مَنۡ یُّطِعِ الرَّسُوۡلَ হবে কি?
উত্তর ঃ- রাসূলের আনুগত্য হবেনা। আর রাসূলের আনুগত্য না হওয়ার কারণে , আল্লাহর আনুগত্য ও হবেনা।
*****
وَ یَقُوۡلُوۡنَ طَاعَۃٌ ۫ فَاِذَا بَرَزُوۡا مِنۡ عِنۡدِکَ بَیَّتَ طَآئِفَۃٌ مِّنۡہُمۡ غَیۡرَ الَّذِیۡ تَقُوۡلُ ؕ وَ اللّٰہُ یَکۡتُبُ مَا یُبَیِّتُوۡنَ ۚ فَاَعۡرِضۡ عَنۡہُمۡ وَ تَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰہِ ؕ وَ کَفٰی بِاللّٰہِ وَکِیۡلًا ﴿۸۱﴾
আর তারা বলে, ‘আনুগত্য (করি)’; অতঃপর যখন তারা তোমার কাছ থেকে বের হয়ে যায়, তাদের একদল যা বলে, রাতে তার বিপরীত পরিকল্পনা করে। আর আল্লাহ লিখে রাখেন, তারা রাতে যা পরিকল্পনা করে। সুতরাং তুমি তাদেরকে এড়িয়ে চল এবং আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কর। কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
প্রশ্ন ঃ- আর তারা বলে, ‘আনুগত্য (করি)’; وَ یَقُوۡلُوۡنَ طَاعَۃٌ ۫ প্রশ্ন তারা সামনাসামনি আনুগত্য করি একথা কেন বলতো?
উত্তর ঃ- রাসূলকে সন্তুষ্টির জন্য বলত। সাহাবায়ে কেরামদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য।
প্রশ্ন ঃ- তারা এগুলো কেন করত ?
উত্তর ঃ- মুসলমানদের বোকা বানিয়ে কাফেরদের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করত।
প্রশ্ন ঃ- মুসলমানদের প্রতি তাদের ধারণা কি ছিল?
উত্তর ঃ- মুসলমানদেরকে তারা বোকা মনে করত।
প্রশ্ন ঃ- বোকা মনে করা এর কোন প্রমাণ আছে কি?
উত্তর ঃ- হ্যাঁ! আছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন
2:13 وَ اِذَا قِیۡلَ لَہُمۡ اٰمِنُوۡا کَمَاۤ اٰمَنَ النَّاسُ قَالُوۡۤا اَنُؤۡمِنُ کَمَاۤ اٰمَنَ السُّفَہَآءُ ؕ اَلَاۤ اِنَّہُمۡ ہُمُ السُّفَہَآءُ وَ لٰکِنۡ لَّا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۳﴾
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা ঈমান আন যেমন লোকেরা ঈমান এনেছে’, তারা বলে, ‘আমরা কি ঈমান আনব যেমন নির্বোধরা ঈমান এনেছে’?
জেনে রাখ, নিশ্চয় তারাই নির্বোধ; কিন্তু তারা জানে না।
প্রশ্ন ঃ- বাস্তবে বোকা/নির্বোধ কারা?
উত্তর ঃ- বাস্তবে তারাই বোকা/ নির্বোধ।
প্রশ্ন ঃ- বাস্তবে যে মুনাফিকরা নির্বোধ/ বোকা এর কোন প্রমাণ আছে কি?
উত্তর ঃ- হ্যাঁ! আছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন اَلَاۤ اِنَّہُمۡ ہُمُ السُّفَہَآءُ وَ لٰکِنۡ لَّا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۳﴾ ’ জেনে রাখ, নিশ্চয় তারাই নির্বোধ; কিন্তু তারা জানে না।
প্রশ্ন ঃ- মুনাফিকরা রাসূলের নিকট আসলে বলে কি? বাস্তবে করে কি? ?
উত্তর ঃ- وَ یَقُوۡلُوۡنَ طَاعَۃٌ ۫ فَاِذَا بَرَزُوۡا مِنۡ عِنۡدِکَ بَیَّتَ طَآئِفَۃٌ مِّنۡہُمۡ غَیۡرَ
الَّذِیۡ تَقُوۡلُ ؕ
[১] মুনাফিকরা যখন আপনার নিকট আসে, তখন বলে যে, আমরা আপনার নির্দেশ কবুল করে নিয়েছি। কিন্তু যখন তারা নাফরমানী করার উদ্দেশ্যে নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরোধিতা করত আর তা রাসূলের জন্য বড় কষ্ট ছিল।
প্রশ্ন ঃ- এ ব্যপারে কিছু বলবেন কি?
উত্তর ঃ- وَ اللّٰہُ یَکۡتُبُ مَا یُبَیِّتُوۡنَ ۚ فَاَعۡرِضۡ عَنۡہُمۡ وَ تَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰہِ ؕ وَ کَفٰی بِاللّٰہِ وَکِیۡلًا ﴿۸۱﴾
এ ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হেদায়াত দান করছেন যে, এসব বিষয়ে আপনি কোন পরোয়া করবেন না। আপনি আপনার যাবতীয় কাজ আল্লাহর উপর ভরসা করে চালিয়ে যেতে থাকুন।
কারণ, আপনার জন্য তিনিই যথেষ্ট।
প্রশ্ন ঃ- এর দ্বারা কি বুঝা গেল বলবেন কি?
উত্তর ঃ- এতে প্রতীয়মান হয় যে, যারা মানুষকে হেদায়াতের জন্য দাওয়াত দেবে তাদেরকে নানারকম জটিলতা অতিক্রম করতেই হবে। মানুষ তাদের প্রতি নানারকম উল্টা-সিধা অপবাদ আরোপ করবে। বন্ধুরূপী বহু শত্রুও থাকবে।
এসব সত্বেও সে সংকল্প ও দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর উপর ভরসা করে নিজের কাজে নিয়োজিত থাকা উচিত।
যদি তার লক্ষ্য ও কর্মপন্থা সঠিক হয়, তবে ইনশাআল্লাহ তারা কৃতকার্য হবেই।
আপনি ক্বিতাল বা বিধানের আয়াতগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন তাহলেই আপনি জঙ্গি, জি এম বি, ইত্যাদি উপাধি পেয়ে যাবেন ।
কারন মুসলমানদের সামনে এগুলো নিয়ে আলোচনা করলে বাস্তবতা বুঝে ফেলবে।
তাহলে তাদের দাদাগিরি চলে যাবে, নেতৃত্ব হারাবে, মুসলমান তাদের গোলামীর সিকল ভেঙ্গে ফেলবে।
তাদের পাচাটা থেকে সরে আসবে।
এজন্য তারা আপনাকে জঙ্গি, জি এম বি। ইত্যাদি বলে মুসলমানদেরকে ঘুমে রাখতে চায়।
****
আল্লাহ ! আমাদেরকে গণতন্ত্র নামক আলাদা ধর্ম থেকে বাঁচার তাওফিক দাও।
পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামে প্রবেশ করাও।
ইসলামের আলোতে আলোকিত কর।
আমাদের ঈমানের হিফাজত কর।
একলক্ষ ফতোয়া দারিদের সংশ্রব থেকে হেফাজত কর।
সিরাতে মুস্তাকীমের পরিচয় বুঝার তাওফীক দাও।
সিরাতে মুস্তাকীমের উপর অটল রাখো।
ঈমান বিক্রেতাদের থেকে হিফাজত কর।
দরবারি আলেমদের থেকে হিফাজত কর।
সরকারি আলেমদের থেকে হিফাজত কর।
পেট পুজারি আলেমদের থেকে হিফাজত কর।
জিহাদ বিরোধী আলেমদের থেকে হিফাজত কর।
আমিন। আমিন।
চলবে ইনশাআল্লাহ.....
وَ مَنۡ یُّطِعِ اللّٰہَ وَ الرَّسُوۡلَ فَاُولٰٓئِکَ مَعَ الَّذِیۡنَ اَنۡعَمَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمۡ مِّنَ النَّبِیّٖنَ وَ الصِّدِّیۡقِیۡنَ وَ الشُّہَدَآءِ وَ الصّٰلِحِیۡنَ ۚ وَ حَسُنَ اُولٰٓئِکَ رَفِیۡقًا ﴿ؕ۶۹﴾
আর যারা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করে তারা তাদের সাথে থাকবে, আল্লাহ যাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীলদের মধ্য থেকে। আর সাথী হিসেবে তারা হবে উত্তম।
প্রশ্ন ঃ- মুনআম আলাইহি কারা?
উত্তর ঃ-
' ১) আম্বিয়া,
২)সিদ্দীক,
৩) শহীদ ও
৪) সালেহীন।
******
مَنۡ یُّطِعِ الرَّسُوۡلَ فَقَدۡ اَطَاعَ اللّٰہَ ۚ وَ مَنۡ تَوَلّٰی فَمَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ عَلَیۡہِمۡ حَفِیۡظًا ﴿ؕ۸۰﴾
যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করিনি।
প্রশ্ন ঃ- রাসূলের আনুগত্যই আল্লাহর আনুগত্য, এর কিছু কারণ বলবেন কী?
উত্তর ঃ- (১) আল্লাহ তাআলা বাণী
مَنۡ یُّطِعِ الرَّسُوۡلَ فَقَدۡ اَطَاعَ اللّٰہَ ۚ
(২)
কারণ এই যে, আল্লাহ তাআলা যা নির্দেশ দিয়েছেন তিনি তাই বাস্তবায়ন করেছেন। তাতে কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন করেননি।
প্রশ্ন ঃ- যে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে রাসূলের অবাধ্য হলো তার হুকুম কী?
উত্তর ঃ- যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করিনি।
وَ مَنۡ تَوَلّٰی فَمَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ عَلَیۡہِمۡ حَفِیۡظًا ﴿ؕ۸۰﴾
প্রশ্ন ঃ- যদি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা মিথ্যা রচনা করত তাহলে কোন সমস্যা হত কী?
উত্তর ঃ- হ্যাঁ! অবশ্যই হত ।
তাহলে শুনুন।
আল্লাহ তাআলা বলেন
وَ لَوۡ تَقَوَّلَ عَلَیۡنَا بَعۡضَ الۡاَقَاوِیۡلِ ﴿ۙ۴۴﴾
যদি সে আমার নামে কোন মিথ্যা রচনা করত
, لَاَخَذۡنَا مِنۡہُ بِالۡیَمِیۡنِ ﴿ۙ۴۵﴾
তবে আমি তার ডান হাত পাকড়াও করতাম।
ثُمَّ لَقَطَعۡنَا مِنۡہُ الۡوَتِیۡنَ ﴿۫ۖ۴۶﴾
তারপর অবশ্যই আমি তার হৃদপিন্ডের শিরা কেটে ফেলতাম।
فَمَا مِنۡکُمۡ مِّنۡ اَحَدٍ عَنۡہُ حٰجِزِیۡنَ
﴿۴۷﴾ অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউই তাকে রক্ষা করার থাকত না।
প্রশ্ন ঃ- রাসূলের বাণী "আমার উম্মতের সব লোক জান্নাতে যাবে" উক্ত হাদীস শুনেছেন কি?
উত্তর ঃ-হ্যাঁ!
তা এই -
٢- [عن أبي هريرة:] كُلُّ أُمَّتي يَدْخُلُونَ الجَنَّةَ إِلّا مَن أَبى
، قالوا: يا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَن يَأْبى؟ قالَ: مَن أَطاعَنِي دَخَلَ الجَنَّةَ، وَمَن عَصانِي فقَدْ أَبى. البخاري (ت ٢٥٦)، صحيح البخاري ٧٢٨٠ • [صحيح]
• أخرجه البخاري (٧٢٨٠) • شرح الحديث
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মতের সকল লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। কিন্তু যে অস্বীকার করেছে
(সে জান্নাতবাসী হতে পারবে না)।
জিজ্ঞাসা করা হলঃ কে অস্বীকার করেছে, হে রাসূল!
উত্তরে বললেনঃ যে আমার অনুসরণ করল সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি আমার অনুসরণ করল না, সে অস্বীকার করল। [বুখারীঃ ৭২৮০]
প্রশ্ন ঃ- "অনুসরণকারী জান্নাতে যাবে" অনুসরণ এর অর্থ কী?
উত্তর ঃ- অনুসরণ এর অর্থ হলো রাসূল যা করেছেন তা করা এবং যার নির্দেশ দিয়েছেন তা বাস্তবে পরিণত করা।
যথা : রাসূল ১০ বসরে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য স্বয়ন ২৭টি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন।
৩৬/৪৬ যুদ্ধে সাহাবিদের প্রেরণ করেছেন ।
প্রশ্ন ঃ- আমি নিজে কোন যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করলাম না বা অনুসারীদের ও প্রেরণ করলাম না مَنۡ یُّطِعِ الرَّسُوۡلَ হবে কি?
উত্তর ঃ- রাসূলের আনুগত্য হবেনা। আর রাসূলের আনুগত্য না হওয়ার কারণে , আল্লাহর আনুগত্য ও হবেনা।
*****
وَ یَقُوۡلُوۡنَ طَاعَۃٌ ۫ فَاِذَا بَرَزُوۡا مِنۡ عِنۡدِکَ بَیَّتَ طَآئِفَۃٌ مِّنۡہُمۡ غَیۡرَ الَّذِیۡ تَقُوۡلُ ؕ وَ اللّٰہُ یَکۡتُبُ مَا یُبَیِّتُوۡنَ ۚ فَاَعۡرِضۡ عَنۡہُمۡ وَ تَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰہِ ؕ وَ کَفٰی بِاللّٰہِ وَکِیۡلًا ﴿۸۱﴾
আর তারা বলে, ‘আনুগত্য (করি)’; অতঃপর যখন তারা তোমার কাছ থেকে বের হয়ে যায়, তাদের একদল যা বলে, রাতে তার বিপরীত পরিকল্পনা করে। আর আল্লাহ লিখে রাখেন, তারা রাতে যা পরিকল্পনা করে। সুতরাং তুমি তাদেরকে এড়িয়ে চল এবং আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কর। কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
প্রশ্ন ঃ- আর তারা বলে, ‘আনুগত্য (করি)’; وَ یَقُوۡلُوۡنَ طَاعَۃٌ ۫ প্রশ্ন তারা সামনাসামনি আনুগত্য করি একথা কেন বলতো?
উত্তর ঃ- রাসূলকে সন্তুষ্টির জন্য বলত। সাহাবায়ে কেরামদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য।
প্রশ্ন ঃ- তারা এগুলো কেন করত ?
উত্তর ঃ- মুসলমানদের বোকা বানিয়ে কাফেরদের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করত।
প্রশ্ন ঃ- মুসলমানদের প্রতি তাদের ধারণা কি ছিল?
উত্তর ঃ- মুসলমানদেরকে তারা বোকা মনে করত।
প্রশ্ন ঃ- বোকা মনে করা এর কোন প্রমাণ আছে কি?
উত্তর ঃ- হ্যাঁ! আছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন
2:13 وَ اِذَا قِیۡلَ لَہُمۡ اٰمِنُوۡا کَمَاۤ اٰمَنَ النَّاسُ قَالُوۡۤا اَنُؤۡمِنُ کَمَاۤ اٰمَنَ السُّفَہَآءُ ؕ اَلَاۤ اِنَّہُمۡ ہُمُ السُّفَہَآءُ وَ لٰکِنۡ لَّا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۳﴾
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা ঈমান আন যেমন লোকেরা ঈমান এনেছে’, তারা বলে, ‘আমরা কি ঈমান আনব যেমন নির্বোধরা ঈমান এনেছে’?
জেনে রাখ, নিশ্চয় তারাই নির্বোধ; কিন্তু তারা জানে না।
প্রশ্ন ঃ- বাস্তবে বোকা/নির্বোধ কারা?
উত্তর ঃ- বাস্তবে তারাই বোকা/ নির্বোধ।
প্রশ্ন ঃ- বাস্তবে যে মুনাফিকরা নির্বোধ/ বোকা এর কোন প্রমাণ আছে কি?
উত্তর ঃ- হ্যাঁ! আছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন اَلَاۤ اِنَّہُمۡ ہُمُ السُّفَہَآءُ وَ لٰکِنۡ لَّا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۳﴾ ’ জেনে রাখ, নিশ্চয় তারাই নির্বোধ; কিন্তু তারা জানে না।
প্রশ্ন ঃ- মুনাফিকরা রাসূলের নিকট আসলে বলে কি? বাস্তবে করে কি? ?
উত্তর ঃ- وَ یَقُوۡلُوۡنَ طَاعَۃٌ ۫ فَاِذَا بَرَزُوۡا مِنۡ عِنۡدِکَ بَیَّتَ طَآئِفَۃٌ مِّنۡہُمۡ غَیۡرَ
الَّذِیۡ تَقُوۡلُ ؕ
[১] মুনাফিকরা যখন আপনার নিকট আসে, তখন বলে যে, আমরা আপনার নির্দেশ কবুল করে নিয়েছি। কিন্তু যখন তারা নাফরমানী করার উদ্দেশ্যে নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরোধিতা করত আর তা রাসূলের জন্য বড় কষ্ট ছিল।
প্রশ্ন ঃ- এ ব্যপারে কিছু বলবেন কি?
উত্তর ঃ- وَ اللّٰہُ یَکۡتُبُ مَا یُبَیِّتُوۡنَ ۚ فَاَعۡرِضۡ عَنۡہُمۡ وَ تَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰہِ ؕ وَ کَفٰی بِاللّٰہِ وَکِیۡلًا ﴿۸۱﴾
এ ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হেদায়াত দান করছেন যে, এসব বিষয়ে আপনি কোন পরোয়া করবেন না। আপনি আপনার যাবতীয় কাজ আল্লাহর উপর ভরসা করে চালিয়ে যেতে থাকুন।
কারণ, আপনার জন্য তিনিই যথেষ্ট।
প্রশ্ন ঃ- এর দ্বারা কি বুঝা গেল বলবেন কি?
উত্তর ঃ- এতে প্রতীয়মান হয় যে, যারা মানুষকে হেদায়াতের জন্য দাওয়াত দেবে তাদেরকে নানারকম জটিলতা অতিক্রম করতেই হবে। মানুষ তাদের প্রতি নানারকম উল্টা-সিধা অপবাদ আরোপ করবে। বন্ধুরূপী বহু শত্রুও থাকবে।
এসব সত্বেও সে সংকল্প ও দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর উপর ভরসা করে নিজের কাজে নিয়োজিত থাকা উচিত।
যদি তার লক্ষ্য ও কর্মপন্থা সঠিক হয়, তবে ইনশাআল্লাহ তারা কৃতকার্য হবেই।
আপনি ক্বিতাল বা বিধানের আয়াতগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন তাহলেই আপনি জঙ্গি, জি এম বি, ইত্যাদি উপাধি পেয়ে যাবেন ।
কারন মুসলমানদের সামনে এগুলো নিয়ে আলোচনা করলে বাস্তবতা বুঝে ফেলবে।
তাহলে তাদের দাদাগিরি চলে যাবে, নেতৃত্ব হারাবে, মুসলমান তাদের গোলামীর সিকল ভেঙ্গে ফেলবে।
তাদের পাচাটা থেকে সরে আসবে।
এজন্য তারা আপনাকে জঙ্গি, জি এম বি। ইত্যাদি বলে মুসলমানদেরকে ঘুমে রাখতে চায়।
****
আল্লাহ ! আমাদেরকে গণতন্ত্র নামক আলাদা ধর্ম থেকে বাঁচার তাওফিক দাও।
পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামে প্রবেশ করাও।
ইসলামের আলোতে আলোকিত কর।
আমাদের ঈমানের হিফাজত কর।
একলক্ষ ফতোয়া দারিদের সংশ্রব থেকে হেফাজত কর।
সিরাতে মুস্তাকীমের পরিচয় বুঝার তাওফীক দাও।
সিরাতে মুস্তাকীমের উপর অটল রাখো।
ঈমান বিক্রেতাদের থেকে হিফাজত কর।
দরবারি আলেমদের থেকে হিফাজত কর।
সরকারি আলেমদের থেকে হিফাজত কর।
পেট পুজারি আলেমদের থেকে হিফাজত কর।
জিহাদ বিরোধী আলেমদের থেকে হিফাজত কর।
আমিন। আমিন।
চলবে ইনশাআল্লাহ.....
Comment