Announcement

Collapse
No announcement yet.

★ আপনি কি সিরাতে মুস্তাকীম (সঠিক পথ) এর পরিচয় জানতে ইচ্ছুক?★ (6)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ★ আপনি কি সিরাতে মুস্তাকীম (সঠিক পথ) এর পরিচয় জানতে ইচ্ছুক?★ (6)



    আপনি কি সিরাতে মুস্তাকিম (সঠিক পথ) এর পরিচয় জানতে ইচ্ছুক? (6),



    فَقَاتِلۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۚ لَا تُکَلَّفُ اِلَّا نَفۡسَکَ وَ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ عَسَی اللّٰہُ اَنۡ یَّکُفَّ بَاۡسَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ وَ اللّٰہُ اَشَدُّ بَاۡسًا وَّ اَشَدُّ تَنۡکِیۡلًا ﴿۸۴﴾

    অতএব তুমি আল্লাহর রাস্তায় লড়াই কর। তুমি শুধু তোমার নিজের ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং মুমিনদেরকে উদ্বুদ্ধ কর। আশা করা যায় আল্লাহ অচিরেই কাফিরদের শক্তি প্রতিহত করবেন। আর আল্লাহ শক্তিতে প্রবলতর এবং শাস্তিদানে কঠোরতর।


    প্রশ্নঃ -
    আল্লাহ! তুমি বল , আমি যুবক হই, বৃদ্ধ হই, সম্পদশালী হই, ফকির হই, বিবাহিত হই কিংবা অবিবাহিত হই, সুস্থ হই কিংবা অসুস্থ হই, ব্যস্ত থাকি কিংবা বেকার, বীর হই কিংবা কাপুরুষ হই আমাদেরকে কি সর্বাবস্থায় জিহাদের জন্য বের হতে হবে?

    উত্তরঃ- হ্যাঁ! সর্বাবস্থায় জিহাদের জন্য বের হতে হবে।
    যথা
    আল্লাহ তাআলা বলেন

    فَقَاتِلۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۚ لَا تُکَلَّفُ اِلَّا نَفۡسَکَ وَ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ عَسَی اللّٰہُ اَنۡ یَّکُفَّ بَاۡسَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ وَ اللّٰہُ اَشَدُّ بَاۡسًا وَّ اَشَدُّ تَنۡکِیۡلًا ﴿۸۴﴾



    প্রশ্নঃ- আল্লাহ !আমি একা , আমার কোন সাথি সঙ্গি নেই, এমতাবস্থায় কি করব?
    উত্তরঃ-

    فَقَاتِلۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۚ لَا تُکَلَّفُ اِلَّا نَفۡسَکَ وَ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ عَسَی اللّٰہُ اَنۡ یَّکُفَّ بَاۡسَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ وَ اللّٰہُ اَشَدُّ بَاۡسًا وَّ اَشَدُّ تَنۡکِیۡلًا ﴿۸۴﴾


    তাহলে দুইটি কাজ করতে হবে।

    আল্লাহ তাআলা বলেন


    فَقَاتِلۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۚ لَا تُکَلَّفُ اِلَّا نَفۡسَکَ


    [১] এ আয়াতের প্রথম বাক্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, “আপনি একাই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে পড়ুন; কেউ আপনার সাথে থাক বা নাই থাক।” কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে

    وَ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ
    (২) দ্বিতীয় বাক্যে এ কথাও বলা হয়েছে যে, অন্যান্য মুসলিমদেরকে এ ব্যাপারে উৎসাহ দানের কাজটিও পরিহার করবেন না। এভাবে উৎসাহ দানের পরেও যদি তারা যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ না হয়, তবে আপনার দায়িত্ব পালিত হয়ে গেল; তাদের কর্মের জন্য আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে না।

    যদি তারা যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ না হয়, তবে আপনার দায়িত্ব পালিত হয়ে গেল;

    তা নাহলে আপনি কিন্তু তাদের অভিযোগে পতিত হবেন
    (আল্লাহ তাআলা বলেন

    وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا رَبَّنَاۤ اَرِنَا الَّذَیۡنِ اَضَلّٰنَا مِنَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ نَجۡعَلۡہُمَا تَحۡتَ اَقۡدَامِنَا لِیَکُوۡنَا مِنَ الۡاَسۡفَلِیۡنَ ﴿۲۹﴾

    আর কাফিররা বলবে, ‘হে আমাদের রব, জিন ও মানুষের মধ্যে যারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে তাদেরকে আমাদের দেখিয়ে দিন। আমরা তাদের উভয়কে আমাদের পায়ের নীচে রাখব, যাতে তারা নিকৃষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়।)








    প্রশ্নঃ- একা যুদ্ধ করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের বিপদাশংকা দেখা দিতে পারে কি?
    উত্তরঃ-হ্যাঁ!
    একা যুদ্ধ করতে গিয়ে যেসব বিপদাশংকা দেখা দিতে পারে, তার প্রেক্ষিতে বলা হয়েছে -

    عَسَی اللّٰہُ اَنۡ یَّکُفَّ بَاۡسَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ وَ اللّٰہُ اَشَدُّ بَاۡسًا وَّ اَشَدُّ تَنۡکِیۡلًا ﴿۸۴﴾

    “আশা করা যায় আল্লাহ কাফেরদের যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন এবং তাদেরকে ভীত ও পরাজিত করে দেবেন। আর আপনাকে একাই জয়ী করবেন”। অতঃপর এই বিজয় প্রসঙ্গে প্রমাণ বর্ণনা করা হয়েছে যে, আপনার প্রতি যখন আল্লাহ তা’আলার সমর্থন রয়েছে, যার সমর শক্তি কাফেরদের শক্তি অপেক্ষা অসংখ্যগুণ বেশী, তখন আপনার বিজয়ই অবশ্যম্ভাবী। তারপর এই সুদৃঢ় প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে স্বীয় শাস্তির কঠোরতা বর্ণনা করা হয়েছে। এ শাস্তি কিয়ামতের দিনেই হোক, কিংবা পার্থিব জীবনেই হোক, যুদ্ধের ক্ষেত্রে যেমন আমার শক্তি অপরাজেয়, তেমনি শাস্তি দানের ক্ষেত্রেও আমার শাস্তি অত্যন্ত কঠোর।

    প্রশ্নঃ- আল্লাহ আপনি বলুন ক্বিতালের জন্য উদ্বুদ্ধ করা কি নবী ওয়ালা কাজ?
    উত্তরঃ- হ্যাঁ! ক্বিতালের জন্য উদ্বুদ্ধ করা নবী ওয়ালা কাজ।
    আল্লাহ তাআলা বলেন
    ১)
    یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ عَلَی الۡقِتَالِ ؕ
    ২)

    فَقَاتِلۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۚ لَا تُکَلَّفُ اِلَّا نَفۡسَکَ
    وَ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ

    প্রশ্নঃ- কিসের জন্য উদ্বুদ্ধ করবে?
    উত্তরঃ-
    [২] কিসে উদ্বুদ্ধ করা হবে, তা এ আয়াতে বলা হয় নি।
    অন্য আয়াতে এসেছে,

    یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ عَلَی الۡقِتَالِ ؕ

    ‘আর আপনি মুমিনদেরকে যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করুন’। [সূরা আল-আনফাল:৬৫]




    ********

    4:85

    مَنۡ یَّشۡفَعۡ شَفَاعَۃً حَسَنَۃً یَّکُنۡ لَّہٗ نَصِیۡبٌ مِّنۡہَا ۚ وَ مَنۡ یَّشۡفَعۡ شَفَاعَۃً سَیِّئَۃً یَّکُنۡ لَّہٗ کِفۡلٌ مِّنۡہَا ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ مُّقِیۡتًا ﴿۸۵﴾

    যে ভাল সুপারিশ করবে, তা থেকে তার জন্য একটি অংশ থাকবে এবং যে মন্দ সুপারিশ করবে তার জন্যও তা থেকে একটি অংশ থাকবে। আর আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের সংরক্ষণকারী।


    [১] এ আয়াতে ‘শাফা’আত’ অর্থাৎ সুপারিশকে ভাল ও মন্দ দু’ভাগে বিভক্ত করার পর এর স্বরূপ বর্ণনা করে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক সুপারিশ যেমন মন্দ নয়, তেমনি প্রত্যেক সুপারিশ ভালোও নয়। আরো বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি ভালো সুপারিশ করবে, সে সওয়াবের অংশ পাবে এবং যে ব্যক্তি মন্দ সুপারিশ করবে, সে আযাবের অংশ পাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি কারো বৈধ অধিকার ও বৈধ কাজের জন্য বৈধ পন্থায় সুপারিশ করবে, সেও সওয়াবের অংশ পাবে। তেমনিভাবে যে ব্যক্তি কোন অবৈধ কাজের জন্য অথবা অবৈধ পন্থায় সুপারিশ করবে, সে আযাবের অংশ পাবে। অংশ পাওয়ার অর্থ এই যে, যার কাছে সুপারিশ করা হয়, সে যখন এই উৎপীড়িতের কিংবা বঞ্চিতের কার্যোদ্ধার করে দেবে তখন কার্যোদ্ধারকারী ব্যক্তি যেমন সওয়াব পাবে, তেমনি সুপারিশকারীও সওয়াব পাবে। এমনিভাবে কোন অবৈধ কাজের সুপারিশকারীও গোনাহগার হবে। তবে সুপারিশকারীর সওয়াব কিংবা আযাব তার সুপারিশ কার্যকরী ও সফল হওয়ার উপর নির্ভরশীল নয়; বরং সর্বাবস্থায় সে নিজ অংশ পাবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘যে ব্যক্তি কোন সৎকাজে অপরকে উদ্বুদ্ধ করে, সেও ততটুকু সওয়াব পায়, যতটুকু সৎকর্মী পায়।’ [মুসলিমঃ ১৮৯৩]
    এতে জানা গেল যে, সৎকাজে কাউকে উদ্ভুদ্ধ করা যেমন একটি সৎকাজ তেমনি অসৎ ও পাপ কাজে কাউকে উদ্ভুদ্ধ করা কিংবা সহযোগিতা প্রদান করা সমান গোনাহ। এ সবই হচ্ছে দুনিয়ার সুপারিশের বিষয়। আখেরাতের সুপারিশের আলোচনা অন্যত্র করা হয়েছে।

    প্রশ্নঃ- (مُقِيْتٌ) শব্দের অর্থ কী?
    উত্তরঃ-
    [২] আভিধানিক দিক দিয়ে (مُقِيْتٌ) শব্দের অর্থ তিনটিঃ (এক) শক্তিশালী, সংরক্ষক ও ক্ষমতাবান, (দুই) উপস্থিত ও দর্শক এবং (তিন) রুমী বন্টনকারী। উল্লেখিত বাক্যে তিনটি অর্থই প্রযোজ্য।
    (১) প্রথম অর্থের দিক দিয়ে বাক্যের অর্থ হবে- আল্লাহ্ তা’আলা প্রত্যেক বস্তুর উপর ক্ষমতাবান। যে কাজ করে এবং যে সুপারিশ করে তাদেরকে প্রতিদান কিংবা শাস্তিদান তাঁর পক্ষে কঠিন নয়।

    (২) দ্বিতীয় অর্থের দিক দিয়ে বাক্যের অর্থ হবে-
    আল্লাহ্ তা’আলা প্রত্যেক বস্তুর পরিদর্শক।
    কে কোন নিয়তে সুপারিশ করে;
    আল্লাহর ওয়াস্তে মুসলিম ভাইয়ের সাহায্যার্থে করে, না ঘুষ হিসেবে তার কাছ থেকে কোন মতলব হাসিলের উদ্দেশ্যে করে, তিনি সে সবই জানেন।

    (৩) তৃতীয় অর্থের দিক দিয়ে বাক্যের মর্ম হবে রিযিক ও রুযী বন্টনের কাজে আল্লাহ্ স্বয়ংযিম্মাদার।
    যার জন্য যতটুকু লিখে দিয়েছেন, সে ততটুকু অবশ্যই পাবে।
    কারো সুপারিশে তিনি প্রভাবিত হবেন না; বরং যাকে যতটুকু ইচ্ছা দেবেন। তবে সুপারিশকারী ব্যক্তি মাঝখান থেকে সওয়াব পেয়ে যাবে। কেননা, এটা হচ্ছে দুর্বলের সাহায্য।
    হাদীসে বলা হয়েছেঃ ‘আল্লাহ তা’আলা ততক্ষণ পর্যন্ত বান্দার সাহায্য অব্যাহত রাখেন, যতক্ষণ সে কোন মুসলিম ভাইয়ের সাহায্যে ব্যাপৃত থাকে। তোমরা সুপারিশ কর, সওয়াব পাবে। অতঃপর আল্লাহ স্বীয় পয়গম্বরের মাধ্যমে যে ফয়সালা করেন তাতে সন্তুষ্ট থাক।’ [১৪৩২, মুসলিমঃ ২৬২৭]

    প্রশ্নঃ- সুপারিশের সওয়াব ও আযাব সুপারিশ সফল হওয়ার উপর নির্ভরশীল কি না?
    উত্তরঃ-
    কুরআনুল কারীমের ভাষায় ইঙ্গিত রয়েছে যে, সুপারিশের সওয়াব ও আযাব সুপারিশ সফল হওয়ার উপর নির্ভরশীল নয়, বরং সুপারিশ করলেই সর্বাবস্থায় সওয়াব অথবা আযাব হবে। আপনি ভাল সুপারিশ করলেই সওয়াবের অধিকারী হয়ে যাবেন এবং মন্দ সুপারিশ করলেই আযাবের যোগ্য হয়ে পড়বেন -আপনার সুপারিশ কার্যকরী হোক বা না হোক। তবে অন্যের কাছে সুপারিশ করেই সুপারিশকারী যেন ক্ষান্ত হয়ে যায়, তা গ্রহণ করতে বাধ্য করবে না। স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার মুক্ত করা বাদী বারীরা দাসী অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার পর তার স্বামী মুগীছের কাছ থেকে পৃথক হয়ে যান। মুগীছ বারীরার ভালবাসায় পাগলপারা হয়ে পড়লে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুগীছকে গ্রহণ করার জন্য বারীরার কাছে সুপারিশ করেন। বারীরা বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম! এটি আপনার নির্দেশ হলে শিরোধার্য, পক্ষান্তরে সুপারিশ হলে আমার মন তাতে সম্মত নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ নির্দেশ নয়, সুপারিশই। বারীরা জানতেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীতির বাইরে অসন্তুষ্ট হবেন না। তাই পরিস্কার ভাষায় বললেনঃ তাহলে আমি এ সুপারিশ গ্রহণ করবো না। [বুখারীঃ ৪৯৭৯]




    বিঃদ্রঃ- ভাল কাজের সুপারিশে ভালোর একটি অংশ থাকে
    এজন্য আমি ও চাই
    ভাল কাজের সুপারিশের মাধ্যমে উক্ত অংশের অংশিদার হতে।
    হে ওলামায়ে উম্মাহ!
    হে আসাতেযায়ে কেরাম!
    হে সত্যর সন্ধানি!
    আপনারা ক্বিতালের আয়াত গুলো অন্তরে বসান,

    فَقَاتِلۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۚ
    উক্ত আয়াতের উপর নিজে আমল করুন
    لَا تُکَلَّفُ اِلَّا نَفۡسَکَ
    এ আয়াত তো নিজের জন্য
    وَ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ
    দায়িত্ব থেকে মুক্তির জন্য নিজে আমলের পাশাপাশি অন্যকে উদ্বুদ্ধ করুন।

    প্রশ্নঃ- কিসের জন্য উদ্বুদ্ধ করবে?
    উত্তরঃ-
    [২] কিসে উদ্বুদ্ধ করা হবে, তা এ আয়াতে বলা হয় নি।
    অন্য আয়াতে এসেছে,

    یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ عَلَی الۡقِتَالِ ؕ

    ‘আর আপনি মুমিনদেরকে যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করুন’। [সূরা আল-আনফাল:৬৫]

    *****

    প্রশ্নঃ-
    আল্লাহ ! আপনি বলুন আমরা কার আদর্শ গ্রহণ করব?

    উত্তরঃ-
    আল্লাহ তাআলা বলেন
    لَقَدۡ کَانَ لَکُمۡ فِیۡ رَسُوۡلِ اللّٰہِ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ لِّمَنۡ کَانَ یَرۡجُوا اللّٰہَ وَ الۡیَوۡمَ الۡاٰخِرَ وَ ذَکَرَ اللّٰہَ کَثِیۡرًا ﴿ؕ۲۱﴾
    Bengali - Bayaan Foundation
    অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।




    [১] এরপর অকপট ও খাঁটি মুসলিমগণের বর্ণনা প্রসঙ্গে এদের অসম দৃঢ়তার প্রশংসা করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুসরণ অনুকরণের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্যতাকে মূলনীতিরূপে বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য রাসূলের মধ্যে উত্তম অনুপম আদর্শ রয়েছে'। এদ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণীসমূহ ও কার্যাবলী উভয়ই অনুসরণের হুকুম রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়। [দেখুন, মুয়াস্‌সার]

    প্রশ্নঃ- আপনি রাসূলের আদর্শ গ্রহণ করেছেন কি?

    কিতাবুল মাগাজি নিজে অন্তরে বসান
    এটা রাসূলের আদর্শ নয় কি?
    এর থেকে বিরত থাকা রাসূলের আদর্শ গ্রহণের নামে রাসূলের সাথে প্রতারণা নয় কি?

    ছাত্রদেরকে মাগাজির হক আদায় করে পড়ান
    এটা রাসূলের আদর্শ নয় কি?
    এর থেকে তালবাহা করে সরে রাসূলের আদর্শ থেকে সরা নয় কি?

    এ ব্যপারে আলোচনার প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও মুখ বন্দ রাখা ধোঁকা বাজি নয় কি?
    আল্লাহর বিধানের সাথে প্রতারণা নয় কি?

    সমস্ত উম্মতকে জান্নাত বাসি বানানোর ফিকির করা রাসূলের আদর্শ নয় কি?
    এর থেকে বিরত থাকা রাসূলের আদর্শ থেকে দূরে সরা নয় কি?

    হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে সিরাতে মুস্তাকীম এর পরিচয় দাও, এবং এর উপর অটল থাকার তৌফিক দাও। আমীন।



  • #2
    আমিন🤲
    ইয়া রাব্বাল আলামিন
    💐💐নিরাপত্তা নামক রাস্তাটির সূচনা হয় আগ্রাসন উঠিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে।।💐💐

    _______❣️শহিদ শাইখ ওসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ❣️_______

    Comment


    • #3
      এটাতো ৫ নাম্বার মনে হয়,
      কারন ৪ নাম্বারের পর এটা দিয়েছেন।
      বিদ্রোহী,বিপ্লবী,মৌলবাদী,আমি জঙ্গিবাদী।।

      Comment

      Working...
      X