★ এগুলো হিকমাহ নয় কি? ★ (2)
প্রশ্নঃ- এগুলো হিকমাহ নয় কি?
اُدۡعُ اِلٰی سَبِیۡلِ رَبِّکَ بِالۡحِکۡمَۃِ وَ الۡمَوۡعِظَۃِ الۡحَسَنَۃِ وَ جَادِلۡہُمۡ بِالَّتِیۡ ہِیَ اَحۡسَنُ ؕ اِنَّ رَبَّکَ ہُوَ اَعۡلَمُ بِمَنۡ ضَلَّ عَنۡ سَبِیۡلِہٖ وَ ہُوَ اَعۡلَمُ بِالۡمُہۡتَدِیۡنَ ﴿۱۲۵﴾
তুমি তোমার রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। নিশ্চয় একমাত্র তোমার রবই জানেন কে তার পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের তিনি খুব ভাল করেই জানেন।
প্রশ্নঃ- (1) ক্বিতালের (২৮৮) আয়াত এগুলো স্বরণ রাখার বিষয় নয় কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- (1) ক্বিতালের (২৮৮) আয়াত এগুলো হিকমাতের অন্তর্ভুক্ত নয় কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- (2) কুরআনের কোন কোন আয়াত হিকমাতের ভিতর আর কোনগুলো হিকমাতের বাহিরে বলবেন কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- (3) আপনি যে হিকমতের কথা বলে আল্লাহর বিরোধিতা করতেছেন তা বুঝতেছেন কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- (4) আপনি যে হিকমতের কথা বলে কুরআন থেকে সরে যাচ্ছেন তা বুঝতেছেন কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ-(5)আপনি যে হিকমতের কথা বলে ঈমান হারা হচ্ছেন তা বুঝতেছেন কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ-(6)আপনি যে হিকমতের কথা বলে মুনাফিকদের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন তা বুঝতেছেন কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- (7) আল্লাহ তাআলা বলেন
فَلَمۡ تَقۡتُلُوۡہُمۡ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ قَتَلَہُمۡ ۪ وَ مَا رَمَیۡتَ اِذۡ رَمَیۡتَ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ رَمٰی ۚ وَ لِیُبۡلِیَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ مِنۡہُ بَلَآءً حَسَنًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۱۷﴾
সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি নিক্ষেপ করনি যখন তুমি নিক্ষেপ করেছিলে; বরং আল্লাহই নিক্ষেপ করেছেন* এবং যাতে তিনি তাঁর পক্ষ থেকে মুমিনদেরকে পরীক্ষা করেন উত্তম পরীক্ষা। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
প্রশ্নঃ- "তুমি নিক্ষেপ করনি" এরপর যদি একথা না বলতেন যখন তুমি নিক্ষেপ করেছিলে"
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- আল্লাহ তাআলা নিজেই বলতেছেন তোমরা তাদেরকেও হত্যা করনি বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। !
উত্তরঃ-
★ ক্বিতালের আলোচনা অর্থাৎ আল্লাহর কাজগুলো করার কারণে তারা যদি জঙ্গি, জি এম বি, ইত্যাদি এ উপাধি গুলো দিয়ে তাদেরকে দূষি সাব্যস্ত করলেন তাহলে আপনি যে বিরোধিতা করলেন আপনে কি?
★ আল্লাহ তাআলার উপাধি কি দিবেন বলবেন কি?
★ হিকমাতের দোহাই দিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দূষি সাব্যস্ত করবেন কি?
★ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জঙ্গি, জি এম বি, করবেন কি?
★ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সন্ত্রাস বলবেন কি?
★ রাসূলকে দূষি সাব্যস্ত করে তাঁর উম্মতের দাবিদার হবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে ঈমান হারা হবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে মুনাফিকের তালিকায় নাম লিখাবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে বৈঈমানের তালিকায় নাম লিখাবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে মুরতাদদের তালিকায় নাম লিখাবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে মুরতাদদের অন্তর্ভুক্ত হবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে জিন্দিকের সাথে সম্পর্ক রাখবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে জিন্দিকের তালিকায় নাম লিখাবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে মাগদূ`ব আলাইহির অন্তর্ভুক্ত হবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে দা`ল্লীনদের সাথে মিলিত হবেন কি?
★★
وَ مَا رَمَیۡتَ اِذۡ رَمَیۡتَ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ رَمٰی ۚ
আর তুমি নিক্ষেপ করনি যখন তুমি নিক্ষেপ করেছিলে; বরং আল্লাহই নিক্ষেপ করেছেন*
★
প্রশ্নঃ- ( যারা নিক্ষেপে অংশ গ্রহণ/যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে অর্থাৎ আল্লাহর কাজগুলো করার কারণে তারা যদি জঙ্গি, জি এম বি, ইত্যাদি এ উপাধি গুলো দিয়ে তাদেরকে দূষি সাব্যস্ত করলেন ("বরং আল্লাহই নিক্ষেপ করেছেন") এক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার উপাধি কি দিবেন বলবেন কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- এ কঠিন বিধানগুলো আল্লাহ তাআলা কেন দিলেন?
উত্তরঃ- وَ لِیُبۡلِیَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ مِنۡہُ بَلَآءً حَسَنًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۱۷﴾ যাতে তিনি তাঁর পক্ষ থেকে মুমিনদেরকে পরীক্ষা করেন উত্তম পরীক্ষা। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
প্রশ্নঃ- হে ভাই হিকমাত ওয়ালা! হিকমাতের দোহাই দিয়ে ঈমান হারা হবেন কি? মুনাফিক হবেন কি? বেঈমান হবেন কি? মুরতাদ হবেন কি? জিন্দিক হবেন কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- বদরের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি কাজ করেছিলেন, ফলাফল কি প্রকাশ হয়েছিল?
উত্তরঃ- বদর যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একমুষ্টি মাটি নিয়ে মুশরিকদের উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন, সে ধূলিকণা তাদের প্রত্যেকেরই চোখে, মুখে ও নাকে গিয়ে পৌঁছেছিল। যার ফলে তারা দিগ্বিদিক জ্ঞান-শূন্য হয়ে ছুটাছুটি করে। ঐ সময়েই তাদের অনেকে নিহত আর অনেকে বন্দী হয় এবং পরাজয় বরণ করে। --তাফসীরে ফাতহুল কাদীর ও তাইসীরুল কারীমির রহমান।
প্রশ্নঃ- উক্ত আয়াতে বর্ণিত ঘটনা কি?
উত্তরঃ- এ আয়াতে যে ঘটনা বর্ণিত হয়েছে তা হচ্ছে, বদর যুদ্ধের দিন, যখন মক্কার এক হাজার জওয়ানের বাহিনী ময়দানে এসে উপস্থিত হয়, তখন মুসলিমদের সংখ্যাল্পতা এবং নিজেদের সংখ্যাধিক্যের কারণে তারা একান্ত গর্বিত ও সদম্ভ ভঙ্গিতে উপস্থিত হয়।
সে সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দো’আ করেনঃ
ইয়া আল্লাহ! আপনাকে মিথ্যা জ্ঞানকারী এই কুরাইশরা গর্ব ও দম্ভ নিয়ে এগিয়ে আসছে, আপনি বিজয়ের যে প্রতিশ্রুতি আমাকে দিয়েছেন, তা যথাশীঘ্রই পূরণ করুন। আর তখন জিবরাঈল আলাইহিস সালাম এসে নিবেদন করেনঃ
ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি একমুঠো মাটি তুলে নিয়ে শক্রবাহিনীর প্রতি নিক্ষেপ করুন। তিনি তাই করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার মাটি ও কাঁকরের মুঠো তুলে নেন এবং একবার শক্রবাহিনীর ডান অংশের উপর, একবার বাম অংশের উপর এবং একবার সামনের দিকে নিক্ষেপ করেন।ও
সেই এক কিংবা তিন মুঠি কাঁকরকে আল্লাহ তার একান্ত কুদরতে এমন বিস্তৃত করে দেন যে, প্রতিপক্ষের সৈন্যদের এমন একটি লোকও বাকী ছিল না, যার চোখ অথবা মুখমণ্ডলে এই ধুলি ও কাকর পৌঁছেনি। আর তারই প্রতিক্রিয়ায় গোটা শক্রবাহিনীর মাঝে এক ভীতির সঞ্চার হয়ে যায়। [তাবারী]
এভাবে মুসলিমগণ এই মহান বিজয় লাভে সমর্থ হন। আয়াতে মুসলিমদেরকে হেদায়াত দান করা হয় যে, নিজের চেষ্টা-চরিত্রের জন্য গর্ব করো না; যা কিছু ঘটেছে তা শুধুমাত্র তোমাদের চেষ্টা ও পরিশ্রমেরই ফসল নয়;
বরং এটা আল্লাহ্ তা'আলার একান্ত সাহায্য ও সহায়তারই ফল। তোমাদের হাতে যেসব শক্র নিহত হয়েছে প্রকৃতপক্ষে তাদেরকে তোমরা হত্যা করনি; বরং আল্লাহ্ তা'আলাই হত্যা করেছেন।
প্রশ্নঃ- কাঁকরের মুঠো নিক্ষেপ মূলত তা কি ? কার কাজ ছিল? এ ব্যপারে কিছু বলবেন কি?
উত্তরঃ- وَ مَا رَمَیۡتَ اِذۡ رَمَیۡتَ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ رَمٰی ۚ
অর্থাৎ আপনি যে কাঁকরের মুঠো নিক্ষেপ করেছেন প্রকৃতপক্ষে তা আপনি নিক্ষেপ করেননি, বরং স্বয়ং আল্লাহই নিক্ষেপ করেছেন। কাঁকর নিক্ষেপের এই কাজটি যদিও আপনার দ্বারা হয়েছিল, কিন্তু সেগুলো কাফেরদের চোখে-মুখে পৌঁছে দেয়ার কাজটি ছিল আল্লাহর। [সা'দী]
وَ لِیُبۡلِیَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ مِنۡہُ بَلَآءً حَسَنًا ؕ
অর্থাৎ আমি তো মুমিনগণকে এই মহাবিজয় দিয়েছি তাদের পরিশ্রমের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেয়ার উদ্দেশ্যে।
(بَلاءً)
এর শব্দগত অর্থ হল পরীক্ষা। অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা বিনা উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হতে পারে। [সা'দী]
(بَلاءً) দ্বারা নেয়ামতও উদ্দেশ্য হতে পারে। তখন অর্থ হবে, আমি তাদেরকে যে নে'আমত দান করেছি তারা যেন সেটার শুকরিয়া করে। [আইসারুত তাফসীর]
প্রশ্নঃ- এগুলো হিকমাহ নয় কি?
اُدۡعُ اِلٰی سَبِیۡلِ رَبِّکَ بِالۡحِکۡمَۃِ وَ الۡمَوۡعِظَۃِ الۡحَسَنَۃِ وَ جَادِلۡہُمۡ بِالَّتِیۡ ہِیَ اَحۡسَنُ ؕ اِنَّ رَبَّکَ ہُوَ اَعۡلَمُ بِمَنۡ ضَلَّ عَنۡ سَبِیۡلِہٖ وَ ہُوَ اَعۡلَمُ بِالۡمُہۡتَدِیۡنَ ﴿۱۲۵﴾
তুমি তোমার রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। নিশ্চয় একমাত্র তোমার রবই জানেন কে তার পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের তিনি খুব ভাল করেই জানেন।
প্রশ্নঃ- (1) ক্বিতালের (২৮৮) আয়াত এগুলো স্বরণ রাখার বিষয় নয় কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- (1) ক্বিতালের (২৮৮) আয়াত এগুলো হিকমাতের অন্তর্ভুক্ত নয় কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- (2) কুরআনের কোন কোন আয়াত হিকমাতের ভিতর আর কোনগুলো হিকমাতের বাহিরে বলবেন কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- (3) আপনি যে হিকমতের কথা বলে আল্লাহর বিরোধিতা করতেছেন তা বুঝতেছেন কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- (4) আপনি যে হিকমতের কথা বলে কুরআন থেকে সরে যাচ্ছেন তা বুঝতেছেন কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ-(5)আপনি যে হিকমতের কথা বলে ঈমান হারা হচ্ছেন তা বুঝতেছেন কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ-(6)আপনি যে হিকমতের কথা বলে মুনাফিকদের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন তা বুঝতেছেন কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- (7) আল্লাহ তাআলা বলেন
فَلَمۡ تَقۡتُلُوۡہُمۡ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ قَتَلَہُمۡ ۪ وَ مَا رَمَیۡتَ اِذۡ رَمَیۡتَ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ رَمٰی ۚ وَ لِیُبۡلِیَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ مِنۡہُ بَلَآءً حَسَنًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۱۷﴾
সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি নিক্ষেপ করনি যখন তুমি নিক্ষেপ করেছিলে; বরং আল্লাহই নিক্ষেপ করেছেন* এবং যাতে তিনি তাঁর পক্ষ থেকে মুমিনদেরকে পরীক্ষা করেন উত্তম পরীক্ষা। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
প্রশ্নঃ- "তুমি নিক্ষেপ করনি" এরপর যদি একথা না বলতেন যখন তুমি নিক্ষেপ করেছিলে"
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- আল্লাহ তাআলা নিজেই বলতেছেন তোমরা তাদেরকেও হত্যা করনি বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। !
উত্তরঃ-
★ ক্বিতালের আলোচনা অর্থাৎ আল্লাহর কাজগুলো করার কারণে তারা যদি জঙ্গি, জি এম বি, ইত্যাদি এ উপাধি গুলো দিয়ে তাদেরকে দূষি সাব্যস্ত করলেন তাহলে আপনি যে বিরোধিতা করলেন আপনে কি?
★ আল্লাহ তাআলার উপাধি কি দিবেন বলবেন কি?
★ হিকমাতের দোহাই দিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দূষি সাব্যস্ত করবেন কি?
★ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জঙ্গি, জি এম বি, করবেন কি?
★ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সন্ত্রাস বলবেন কি?
★ রাসূলকে দূষি সাব্যস্ত করে তাঁর উম্মতের দাবিদার হবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে ঈমান হারা হবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে মুনাফিকের তালিকায় নাম লিখাবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে বৈঈমানের তালিকায় নাম লিখাবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে মুরতাদদের তালিকায় নাম লিখাবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে মুরতাদদের অন্তর্ভুক্ত হবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে জিন্দিকের সাথে সম্পর্ক রাখবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে জিন্দিকের তালিকায় নাম লিখাবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে মাগদূ`ব আলাইহির অন্তর্ভুক্ত হবেন কি?
★ এরপর ও আপনি হিকমাতের দোহাই দিয়ে দা`ল্লীনদের সাথে মিলিত হবেন কি?
★★
وَ مَا رَمَیۡتَ اِذۡ رَمَیۡتَ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ رَمٰی ۚ
আর তুমি নিক্ষেপ করনি যখন তুমি নিক্ষেপ করেছিলে; বরং আল্লাহই নিক্ষেপ করেছেন*
★
প্রশ্নঃ- ( যারা নিক্ষেপে অংশ গ্রহণ/যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে অর্থাৎ আল্লাহর কাজগুলো করার কারণে তারা যদি জঙ্গি, জি এম বি, ইত্যাদি এ উপাধি গুলো দিয়ে তাদেরকে দূষি সাব্যস্ত করলেন ("বরং আল্লাহই নিক্ষেপ করেছেন") এক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার উপাধি কি দিবেন বলবেন কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- এ কঠিন বিধানগুলো আল্লাহ তাআলা কেন দিলেন?
উত্তরঃ- وَ لِیُبۡلِیَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ مِنۡہُ بَلَآءً حَسَنًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۱۷﴾ যাতে তিনি তাঁর পক্ষ থেকে মুমিনদেরকে পরীক্ষা করেন উত্তম পরীক্ষা। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
প্রশ্নঃ- হে ভাই হিকমাত ওয়ালা! হিকমাতের দোহাই দিয়ে ঈমান হারা হবেন কি? মুনাফিক হবেন কি? বেঈমান হবেন কি? মুরতাদ হবেন কি? জিন্দিক হবেন কি?
উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- বদরের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি কাজ করেছিলেন, ফলাফল কি প্রকাশ হয়েছিল?
উত্তরঃ- বদর যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একমুষ্টি মাটি নিয়ে মুশরিকদের উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন, সে ধূলিকণা তাদের প্রত্যেকেরই চোখে, মুখে ও নাকে গিয়ে পৌঁছেছিল। যার ফলে তারা দিগ্বিদিক জ্ঞান-শূন্য হয়ে ছুটাছুটি করে। ঐ সময়েই তাদের অনেকে নিহত আর অনেকে বন্দী হয় এবং পরাজয় বরণ করে। --তাফসীরে ফাতহুল কাদীর ও তাইসীরুল কারীমির রহমান।
প্রশ্নঃ- উক্ত আয়াতে বর্ণিত ঘটনা কি?
উত্তরঃ- এ আয়াতে যে ঘটনা বর্ণিত হয়েছে তা হচ্ছে, বদর যুদ্ধের দিন, যখন মক্কার এক হাজার জওয়ানের বাহিনী ময়দানে এসে উপস্থিত হয়, তখন মুসলিমদের সংখ্যাল্পতা এবং নিজেদের সংখ্যাধিক্যের কারণে তারা একান্ত গর্বিত ও সদম্ভ ভঙ্গিতে উপস্থিত হয়।
সে সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দো’আ করেনঃ
ইয়া আল্লাহ! আপনাকে মিথ্যা জ্ঞানকারী এই কুরাইশরা গর্ব ও দম্ভ নিয়ে এগিয়ে আসছে, আপনি বিজয়ের যে প্রতিশ্রুতি আমাকে দিয়েছেন, তা যথাশীঘ্রই পূরণ করুন। আর তখন জিবরাঈল আলাইহিস সালাম এসে নিবেদন করেনঃ
ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি একমুঠো মাটি তুলে নিয়ে শক্রবাহিনীর প্রতি নিক্ষেপ করুন। তিনি তাই করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার মাটি ও কাঁকরের মুঠো তুলে নেন এবং একবার শক্রবাহিনীর ডান অংশের উপর, একবার বাম অংশের উপর এবং একবার সামনের দিকে নিক্ষেপ করেন।ও
সেই এক কিংবা তিন মুঠি কাঁকরকে আল্লাহ তার একান্ত কুদরতে এমন বিস্তৃত করে দেন যে, প্রতিপক্ষের সৈন্যদের এমন একটি লোকও বাকী ছিল না, যার চোখ অথবা মুখমণ্ডলে এই ধুলি ও কাকর পৌঁছেনি। আর তারই প্রতিক্রিয়ায় গোটা শক্রবাহিনীর মাঝে এক ভীতির সঞ্চার হয়ে যায়। [তাবারী]
এভাবে মুসলিমগণ এই মহান বিজয় লাভে সমর্থ হন। আয়াতে মুসলিমদেরকে হেদায়াত দান করা হয় যে, নিজের চেষ্টা-চরিত্রের জন্য গর্ব করো না; যা কিছু ঘটেছে তা শুধুমাত্র তোমাদের চেষ্টা ও পরিশ্রমেরই ফসল নয়;
বরং এটা আল্লাহ্ তা'আলার একান্ত সাহায্য ও সহায়তারই ফল। তোমাদের হাতে যেসব শক্র নিহত হয়েছে প্রকৃতপক্ষে তাদেরকে তোমরা হত্যা করনি; বরং আল্লাহ্ তা'আলাই হত্যা করেছেন।
প্রশ্নঃ- কাঁকরের মুঠো নিক্ষেপ মূলত তা কি ? কার কাজ ছিল? এ ব্যপারে কিছু বলবেন কি?
উত্তরঃ- وَ مَا رَمَیۡتَ اِذۡ رَمَیۡتَ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ رَمٰی ۚ
অর্থাৎ আপনি যে কাঁকরের মুঠো নিক্ষেপ করেছেন প্রকৃতপক্ষে তা আপনি নিক্ষেপ করেননি, বরং স্বয়ং আল্লাহই নিক্ষেপ করেছেন। কাঁকর নিক্ষেপের এই কাজটি যদিও আপনার দ্বারা হয়েছিল, কিন্তু সেগুলো কাফেরদের চোখে-মুখে পৌঁছে দেয়ার কাজটি ছিল আল্লাহর। [সা'দী]
وَ لِیُبۡلِیَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ مِنۡہُ بَلَآءً حَسَنًا ؕ
অর্থাৎ আমি তো মুমিনগণকে এই মহাবিজয় দিয়েছি তাদের পরিশ্রমের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেয়ার উদ্দেশ্যে।
(بَلاءً)
এর শব্দগত অর্থ হল পরীক্ষা। অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা বিনা উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হতে পারে। [সা'দী]
(بَلاءً) দ্বারা নেয়ামতও উদ্দেশ্য হতে পারে। তখন অর্থ হবে, আমি তাদেরকে যে নে'আমত দান করেছি তারা যেন সেটার শুকরিয়া করে। [আইসারুত তাফসীর]