(8) ★ আপনি কি সিরাতে মুস্তাকীম (সঠিক পথ) এর পরিচয় জানতে ইচ্ছুক?★ (8)
غَیۡرِ الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا الضَّآلِّیۡنَ ٪﴿۷﴾
যাদের উপর (আপনার) ক্রোধ আপতিত হয়নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়।
*****
প্রশ্নঃ- ইয়াহুদ সম্প্রদায় الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ কেন? (2)
উত্তরঃ- আল-মায়িদাহ
وَ اِذۡ قَالَ مُوۡسٰی لِقَوۡمِہٖ یٰقَوۡمِ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَۃَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ اِذۡ جَعَلَ فِیۡکُمۡ اَنۡۢبِیَآءَ وَ جَعَلَکُمۡ مُّلُوۡکًا ٭ۖ وَّ اٰتٰىکُمۡ مَّا لَمۡ یُؤۡتِ اَحَدًا مِّنَ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۲۰﴾
আর যখন মূসা তার কওমকে বলল, ‘হে আমার কওম, স্মরণ কর তোমাদের উপর আল্লাহর নিআমত, যখন তিনি তোমাদের মধ্যে নবী বানিয়েছেন এবং তোমাদেরকে রাজা-বাদশাহ বানিয়েছেন, আর তোমাদেরকে দান করেছেন এমন কিছু যা সকল সৃষ্টির মধ্যে কাউকে দান করেননি’।
***
প্রশ্নঃ- মুসা আঃ কোন কোন নিয়ামতের কথা স্বরণ করতে বলেছেন?
উত্তরঃ- ২] আল্লাহ বলেনঃ “তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামতকে স্বরণ কর। তিনি তোমাদের মধ্যে অনেক নবী পাঠিয়েছেন, তোমাদেরকে রাজ্যের অধিপতি করেছেন এবং তোমাদেরকে এমন নেয়ামত দিয়েছেন, যা বিশ্বজগতের কেউ পায়নি”। এতে তিনটি নেয়ামতের কথা বর্ণিত হয়েছে। একটি ঈমানী নেয়ামত; অর্থাৎ তার সম্প্রদায়ে অব্যাহতভাবে বহু নবী প্রেরণ। এর চাইতে বড় সম্মান আর কিছু হতে পারে না।
★ হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ইসরাইল বংশীয়দেরকে নবীরা শাসন করতেন। যখনই কোন নবী মারা যেত, তখনই অন্য নবী তার স্থলাভিষিক্ত হতেন’। [বুখারী ৩৪৫৫; মুসলিম: ১৮৪২]
বিঃদ্রঃ- এখানে তিনটি নেয়ামতের কথা এসেছে।
১) অনেক নবী পাঠানো,
২) রাজ্যের অধিপতি করা।
৩) ঈমানী নেয়ামত; অর্থাৎ তার সম্প্রদায়ে অব্যাহতভাবে বহু নবী প্রেরণ। এর চাইতে বড় সম্মান আর কিছু হতে পারে না।
***
" یٰقَوۡمِ ادۡخُلُوا الۡاَرۡضَ الۡمُقَدَّسَۃَ الَّتِیۡ کَتَبَ اللّٰہُ لَکُمۡ وَ لَا تَرۡتَدُّوۡا عَلٰۤی اَدۡبَارِکُمۡ فَتَنۡقَلِبُوۡا خٰسِرِیۡنَ ﴿۲۱﴾
‘হে আমার কওম, তোমরা পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ কর, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য লিখে দিয়েছেন এবং তোমরা তোমাদের পেছনে ফিরে যেয়ো না, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে’।
প্রশ্নঃ- নবী কী বলেছেন?
উত্তরঃ- یٰقَوۡمِ ادۡخُلُوا الۡاَرۡضَ الۡمُقَدَّسَۃَ الَّتِیۡ کَتَبَ اللّٰہُ لَکُمۡ
‘হে আমার কওম, তোমরা পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ কর, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য লিখে দিয়েছেন।
প্রশ্নঃ- মুসা আঃ কোন জিনিস থেকে নিষেধ করেছেন?
উত্তরঃ- وَ لَا تَرۡتَدُّوۡا عَلٰۤی اَدۡبَارِکُمۡ এবং তোমরা তোমাদের পেছনে ফিরে যেয়ো না,
প্রশ্নঃ- নবীর নিষেধ অমান্য করলে সমস্যা হবে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! فَتَنۡقَلِبُوۡا خٰسِرِیۡنَ ﴿۲۱﴾
তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে’।
****
قَالُوۡا یٰمُوۡسٰۤی اِنَّ فِیۡہَا قَوۡمًا جَبَّارِیۡنَ ٭ۖ وَ اِنَّا لَنۡ نَّدۡخُلَہَا حَتّٰی یَخۡرُجُوۡا مِنۡہَا ۚ فَاِنۡ یَّخۡرُجُوۡا مِنۡہَا فَاِنَّا دٰخِلُوۡنَ ﴿۲۲﴾
তারা বলল, ‘হে মূসা, নিশ্চয় সেখানে রয়েছে এক শক্তিশালী জাতি এবং আমরা নিশ্চয় সেখানে প্রবেশ করব না, যতক্ষণ না তারা সেখান থেকে বের হয়। অতঃপর যদি তারা সেখান থেকে বের হয়, তবে নিশ্চয় আমরা প্রবেশ করব’।
বিঃদ্রঃ- আল্লাহ তাআলার নির্দেশ তোমরা প্রবেশ কর
ادۡخُلُوا الۡاَرۡضَ الۡمُقَدَّسَۃَ الَّتِیۡ کَتَبَ اللّٰہُ لَکُمۡ ‘
আর তাদের কথা
وَ اِنَّا لَنۡ نَّدۡخُلَہَا حَتّٰی یَخۡرُجُوۡا مِنۡہَا ۚ فَاِنۡ یَّخۡرُجُوۡا مِنۡہَا فَاِنَّا دٰخِلُوۡنَ ﴿۲۲﴾
এবং আমরা নিশ্চয় সেখানে প্রবেশ করব না, যতক্ষণ না তারা সেখান থেকে বের হয়। অতঃপর যদি তারা সেখান থেকে বের হয়, তবে নিশ্চয় আমরা প্রবেশ করব’।
★ সরাসরি আল্লাহর কথার সাথে সাংঘর্ষিক/ বিরোধিতা করা। এ কারণেই ইয়াহুদ সম্প্রদায় الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ এর অন্তর্ভুক্ত।
★ বর্তমানে যারা ক্বিতালের আয়াত ও বিধানের
আয়াতগুলো আসলে,
পার্থিব সামান্য লোভে বিভিন্ন ধরনের বাহানা খুঁজে/ অথবা এগুলোর অপব্যাখ্যা করে,
ইয়াহুদীদের মনতুষ্টির আসা রাখে/ কিংবা একথা বলা যে, এখনো সময় হয়নি,।
আমাদের কী আর সেই ঈমান আছে?
আমরা দূর্বল, মিলে মিশে ই থাকতে হবে।
★ এরপর ও আপনি الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ এদের অন্তর্ভুক্ত নন কি?
★ ইয়াহুদ সম্প্রদায় الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ তারা কিন্তু বলেছিল
اِنَّ فِیۡہَا قَوۡمًا جَبَّارِیۡنَ ٭ۖ
বর্তমানে তা, আপনারা বলছেন /বলতেছেন,
তারা কিন্তু আপনি / আপনাদের মত কথাই বলেছিল।
তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ/গজব, লাঞ্ছনা, অবমাননা এসেছে।
আপনি/আপনারা, আমি/আমরা আল্লাহর অভিশাপ/গজব, লাঞ্ছনা, অবমাননা হতে বাঁচতে পারব কি?
কখনো না।
তবে হ্যাঁ ! পারব।
★ যদি রাসূলের আদর্শ গ্রহণ করে নেয়। তাহলে বিজয় আমাদের পদচুম্বণ করবে।
যথা-
আল্লাহ তাআলা বলেন 58:21
کَتَبَ اللّٰہُ لَاَغۡلِبَنَّ اَنَا وَ رُسُلِیۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ قَوِیٌّ عَزِیۡزٌ ﴿۲۱﴾
আল্লাহ লিখে দিয়েছেন যে, ‘আমি ও আমার রাসূলগণ অবশ্যই বিজয়ী হব।’ নিশ্চয় আল্লাহ মহা শক্তিমান, মহা পরাক্রমশালী।
প্রশ্নঃ- আপনি কি জানেন রাসূলের আদর্শ কি?
উত্তরঃ- তাহলে শুনুন! ١- [عن عائشة أم المؤمنين:] سُئِلَتْ عائشةُ عن خُلُقِ رسولِ اللهِ ﷺ، فقالت: كان خُلُقُهُ القرآنَ
অর্থাৎ আয়েশা রা. রাসূলের আদর্শ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন তার আদর্শ হল কুরআন।
****"
قَالَ رَجُلٰنِ مِنَ الَّذِیۡنَ یَخَافُوۡنَ اَنۡعَمَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمَا ادۡخُلُوۡا عَلَیۡہِمُ الۡبَابَ ۚ فَاِذَا دَخَلۡتُمُوۡہُ فَاِنَّکُمۡ غٰلِبُوۡنَ ۬ۚ وَ عَلَی اللّٰہِ فَتَوَکَّلُوۡۤا اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۲۳﴾
যারা ভয় করে, তাদের মধ্য থেকে এমন দু’ব্যক্তি বলল, ‘যাদের উপর আল্লাহ নিআমত দিয়েছেন, ‘তোমরা তাদের নিকট দরজা দিয়ে প্রবেশ কর। যখন সেখানে প্রবেশ করবে, তখন নিশ্চয় জয়ী হবে। আর আল্লাহর উপরই তাওয়াক্কুল কর, যদি তোমরা মুমিন হও’।
***
قَالُوۡا یٰمُوۡسٰۤی اِنَّا لَنۡ نَّدۡخُلَہَاۤ اَبَدًا مَّا دَامُوۡا فِیۡہَا فَاذۡہَبۡ اَنۡتَ وَ رَبُّکَ فَقَاتِلَاۤ اِنَّا ہٰہُنَا قٰعِدُوۡنَ ﴿۲۴﴾
তারা বলল, ‘হে মূসা, আমরা সেখানে কখনো প্রবেশ করব না, যতক্ষণ তারা সেখানে থাকে। সুতরাং, তুমি ও তোমার রব যাও এবং লড়াই কর। আমরা এখানেই বসে রইলাম’।
*****
প্রশ্নঃ- শহরে প্রবেশের ব্যপারে বনী ইসরাইল মুসা আঃ কে কী উত্তর দিল?
উত্তরঃ- قَالُوۡا یٰمُوۡسٰۤی اِنَّا لَنۡ نَّدۡخُلَہَاۤ اَبَدًا مَّا دَامُوۡا فِیۡہَا তারা বলল, ‘হে মূসা, আমরা সেখানে কখনো প্রবেশ করব না, যতক্ষণ তারা সেখানে থাকে।
প্রশ্নঃ- মুসা আঃ তাদেরকে কিতালের নির্দেশ শুনালে উত্তরে তারা কী বললেন?
উত্তরঃ- فَاذۡہَبۡ اَنۡتَ وَ رَبُّکَ فَقَاتِلَاۤ اِنَّا ہٰہُنَا قٰعِدُوۡنَ ﴿۲۴﴾ সুতরাং, তুমি ও তোমার রব যাও এবং লড়াই কর। আমরা এখানেই বসে রইলাম’।
**
★ কিন্তু মিকদাদ রা. বদরের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন: বনী ইসরাইলের মত আমরা বলব না যে, "সুতরাং, তুমি ও তোমার রব যাও এবং লড়াই কর। আমরা এখানেই বসে রইলাম’।" বরং বলব আপনি ও আপনার রব যান লড়াই করেন, অবশ্যই আমরা আপনাদের সাথে আছি।
١- [عن طارق بن شهاب:] أنَّ المقدادَ قال لرسولِ اللهِ ﷺ يومَ بدرٍ: يا رسولَ اللهِ إنا لا نقولُ لك كما قال بنو إسرائيلَ لموسى: {اذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقاتِلا إِنّا هاهُنا قاعِدُونَ}، ولكنِ اذهبْ أنتَ وربُّك فقاتِلا إنا معكم مقاتِلون.
★এটাই হলো বনী ইসরাইল ও সাহাবাদের মাঝে পার্থক্য।
★
প্রশ্নঃ- আপনি কি বনী ইসরাইলের মত বেয়াদব, অভিশাপ/গজব, লাঞ্ছনা, অবমাননার অধিকারী হবেন ?
না সাহাবাদের মত আদর্শবান হবেন?
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে বুঝার মানার ও এর উপর আমলের তৌফিক দাও। আমীন।
***
প্রশ্নঃ- মুসা আঃ আল্লাহর দরবারে কী নালিশ দিলেন?
উত্তরঃ- قَالَ رَبِّ اِنِّیۡ لَاۤ اَمۡلِکُ اِلَّا نَفۡسِیۡ وَ اَخِیۡ فَافۡرُقۡ بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَ الۡقَوۡمِ الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿۲۵﴾
সে বলল, ‘হে আমার রব, আমি আমার ও আমার ভাই ছাড়া কারো উপরে অধিকার রাখি না। সুতরাং আপনি আমাদের ও ফাসিক কওমের মধ্যে বিচ্ছেদ করে দিন।
****
প্রশ্নঃ- আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে কী শাস্তি আসল?
উত্তরঃ- قَالَ فَاِنَّہَا مُحَرَّمَۃٌ عَلَیۡہِمۡ اَرۡبَعِیۡنَ سَنَۃً ۚ یَتِیۡہُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ ؕ فَلَا تَاۡسَ عَلَی الۡقَوۡمِ الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿٪۲۶﴾
তিনি বললেন, ‘তাহলে নিশ্চয় তা তাদের জন্য চল্লিশ বছর নিষিদ্ধ; তারা যমীনে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরতে থাকবে। সুতরাং তুমি ফাসিক কওমের জন্য আফসোস করো না’।
প্রশ্নঃ- আল্লাহ তাআলা মুসা আঃ কে কী বললেন?
উত্তরঃ- ؕ فَلَا تَاۡسَ عَلَی الۡقَوۡمِ الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿٪۲۶﴾ সুতরাং তুমি ফাসিক কওমের জন্য আফসোস করো না’।
*****
غَیۡرِ الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا الضَّآلِّیۡنَ ٪﴿۷﴾
যাদের উপর (আপনার) ক্রোধ আপতিত হয়নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়।
*****
প্রশ্নঃ- ইয়াহুদ সম্প্রদায় الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ কেন? (2)
উত্তরঃ- আল-মায়িদাহ
وَ اِذۡ قَالَ مُوۡسٰی لِقَوۡمِہٖ یٰقَوۡمِ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَۃَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ اِذۡ جَعَلَ فِیۡکُمۡ اَنۡۢبِیَآءَ وَ جَعَلَکُمۡ مُّلُوۡکًا ٭ۖ وَّ اٰتٰىکُمۡ مَّا لَمۡ یُؤۡتِ اَحَدًا مِّنَ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۲۰﴾
আর যখন মূসা তার কওমকে বলল, ‘হে আমার কওম, স্মরণ কর তোমাদের উপর আল্লাহর নিআমত, যখন তিনি তোমাদের মধ্যে নবী বানিয়েছেন এবং তোমাদেরকে রাজা-বাদশাহ বানিয়েছেন, আর তোমাদেরকে দান করেছেন এমন কিছু যা সকল সৃষ্টির মধ্যে কাউকে দান করেননি’।
***
প্রশ্নঃ- মুসা আঃ কোন কোন নিয়ামতের কথা স্বরণ করতে বলেছেন?
উত্তরঃ- ২] আল্লাহ বলেনঃ “তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামতকে স্বরণ কর। তিনি তোমাদের মধ্যে অনেক নবী পাঠিয়েছেন, তোমাদেরকে রাজ্যের অধিপতি করেছেন এবং তোমাদেরকে এমন নেয়ামত দিয়েছেন, যা বিশ্বজগতের কেউ পায়নি”। এতে তিনটি নেয়ামতের কথা বর্ণিত হয়েছে। একটি ঈমানী নেয়ামত; অর্থাৎ তার সম্প্রদায়ে অব্যাহতভাবে বহু নবী প্রেরণ। এর চাইতে বড় সম্মান আর কিছু হতে পারে না।
★ হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ইসরাইল বংশীয়দেরকে নবীরা শাসন করতেন। যখনই কোন নবী মারা যেত, তখনই অন্য নবী তার স্থলাভিষিক্ত হতেন’। [বুখারী ৩৪৫৫; মুসলিম: ১৮৪২]
বিঃদ্রঃ- এখানে তিনটি নেয়ামতের কথা এসেছে।
১) অনেক নবী পাঠানো,
২) রাজ্যের অধিপতি করা।
৩) ঈমানী নেয়ামত; অর্থাৎ তার সম্প্রদায়ে অব্যাহতভাবে বহু নবী প্রেরণ। এর চাইতে বড় সম্মান আর কিছু হতে পারে না।
***
" یٰقَوۡمِ ادۡخُلُوا الۡاَرۡضَ الۡمُقَدَّسَۃَ الَّتِیۡ کَتَبَ اللّٰہُ لَکُمۡ وَ لَا تَرۡتَدُّوۡا عَلٰۤی اَدۡبَارِکُمۡ فَتَنۡقَلِبُوۡا خٰسِرِیۡنَ ﴿۲۱﴾
‘হে আমার কওম, তোমরা পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ কর, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য লিখে দিয়েছেন এবং তোমরা তোমাদের পেছনে ফিরে যেয়ো না, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে’।
প্রশ্নঃ- নবী কী বলেছেন?
উত্তরঃ- یٰقَوۡمِ ادۡخُلُوا الۡاَرۡضَ الۡمُقَدَّسَۃَ الَّتِیۡ کَتَبَ اللّٰہُ لَکُمۡ
‘হে আমার কওম, তোমরা পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ কর, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য লিখে দিয়েছেন।
প্রশ্নঃ- মুসা আঃ কোন জিনিস থেকে নিষেধ করেছেন?
উত্তরঃ- وَ لَا تَرۡتَدُّوۡا عَلٰۤی اَدۡبَارِکُمۡ এবং তোমরা তোমাদের পেছনে ফিরে যেয়ো না,
প্রশ্নঃ- নবীর নিষেধ অমান্য করলে সমস্যা হবে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! فَتَنۡقَلِبُوۡا خٰسِرِیۡنَ ﴿۲۱﴾
তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে’।
****
قَالُوۡا یٰمُوۡسٰۤی اِنَّ فِیۡہَا قَوۡمًا جَبَّارِیۡنَ ٭ۖ وَ اِنَّا لَنۡ نَّدۡخُلَہَا حَتّٰی یَخۡرُجُوۡا مِنۡہَا ۚ فَاِنۡ یَّخۡرُجُوۡا مِنۡہَا فَاِنَّا دٰخِلُوۡنَ ﴿۲۲﴾
তারা বলল, ‘হে মূসা, নিশ্চয় সেখানে রয়েছে এক শক্তিশালী জাতি এবং আমরা নিশ্চয় সেখানে প্রবেশ করব না, যতক্ষণ না তারা সেখান থেকে বের হয়। অতঃপর যদি তারা সেখান থেকে বের হয়, তবে নিশ্চয় আমরা প্রবেশ করব’।
বিঃদ্রঃ- আল্লাহ তাআলার নির্দেশ তোমরা প্রবেশ কর
ادۡخُلُوا الۡاَرۡضَ الۡمُقَدَّسَۃَ الَّتِیۡ کَتَبَ اللّٰہُ لَکُمۡ ‘
আর তাদের কথা
وَ اِنَّا لَنۡ نَّدۡخُلَہَا حَتّٰی یَخۡرُجُوۡا مِنۡہَا ۚ فَاِنۡ یَّخۡرُجُوۡا مِنۡہَا فَاِنَّا دٰخِلُوۡنَ ﴿۲۲﴾
এবং আমরা নিশ্চয় সেখানে প্রবেশ করব না, যতক্ষণ না তারা সেখান থেকে বের হয়। অতঃপর যদি তারা সেখান থেকে বের হয়, তবে নিশ্চয় আমরা প্রবেশ করব’।
★ সরাসরি আল্লাহর কথার সাথে সাংঘর্ষিক/ বিরোধিতা করা। এ কারণেই ইয়াহুদ সম্প্রদায় الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ এর অন্তর্ভুক্ত।
★ বর্তমানে যারা ক্বিতালের আয়াত ও বিধানের
আয়াতগুলো আসলে,
পার্থিব সামান্য লোভে বিভিন্ন ধরনের বাহানা খুঁজে/ অথবা এগুলোর অপব্যাখ্যা করে,
ইয়াহুদীদের মনতুষ্টির আসা রাখে/ কিংবা একথা বলা যে, এখনো সময় হয়নি,।
আমাদের কী আর সেই ঈমান আছে?
আমরা দূর্বল, মিলে মিশে ই থাকতে হবে।
★ এরপর ও আপনি الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ এদের অন্তর্ভুক্ত নন কি?
★ ইয়াহুদ সম্প্রদায় الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ তারা কিন্তু বলেছিল
اِنَّ فِیۡہَا قَوۡمًا جَبَّارِیۡنَ ٭ۖ
বর্তমানে তা, আপনারা বলছেন /বলতেছেন,
তারা কিন্তু আপনি / আপনাদের মত কথাই বলেছিল।
তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ/গজব, লাঞ্ছনা, অবমাননা এসেছে।
আপনি/আপনারা, আমি/আমরা আল্লাহর অভিশাপ/গজব, লাঞ্ছনা, অবমাননা হতে বাঁচতে পারব কি?
কখনো না।
তবে হ্যাঁ ! পারব।
★ যদি রাসূলের আদর্শ গ্রহণ করে নেয়। তাহলে বিজয় আমাদের পদচুম্বণ করবে।
যথা-
আল্লাহ তাআলা বলেন 58:21
کَتَبَ اللّٰہُ لَاَغۡلِبَنَّ اَنَا وَ رُسُلِیۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ قَوِیٌّ عَزِیۡزٌ ﴿۲۱﴾
আল্লাহ লিখে দিয়েছেন যে, ‘আমি ও আমার রাসূলগণ অবশ্যই বিজয়ী হব।’ নিশ্চয় আল্লাহ মহা শক্তিমান, মহা পরাক্রমশালী।
প্রশ্নঃ- আপনি কি জানেন রাসূলের আদর্শ কি?
উত্তরঃ- তাহলে শুনুন! ١- [عن عائشة أم المؤمنين:] سُئِلَتْ عائشةُ عن خُلُقِ رسولِ اللهِ ﷺ، فقالت: كان خُلُقُهُ القرآنَ
অর্থাৎ আয়েশা রা. রাসূলের আদর্শ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন তার আদর্শ হল কুরআন।
****"
قَالَ رَجُلٰنِ مِنَ الَّذِیۡنَ یَخَافُوۡنَ اَنۡعَمَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمَا ادۡخُلُوۡا عَلَیۡہِمُ الۡبَابَ ۚ فَاِذَا دَخَلۡتُمُوۡہُ فَاِنَّکُمۡ غٰلِبُوۡنَ ۬ۚ وَ عَلَی اللّٰہِ فَتَوَکَّلُوۡۤا اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۲۳﴾
যারা ভয় করে, তাদের মধ্য থেকে এমন দু’ব্যক্তি বলল, ‘যাদের উপর আল্লাহ নিআমত দিয়েছেন, ‘তোমরা তাদের নিকট দরজা দিয়ে প্রবেশ কর। যখন সেখানে প্রবেশ করবে, তখন নিশ্চয় জয়ী হবে। আর আল্লাহর উপরই তাওয়াক্কুল কর, যদি তোমরা মুমিন হও’।
***
قَالُوۡا یٰمُوۡسٰۤی اِنَّا لَنۡ نَّدۡخُلَہَاۤ اَبَدًا مَّا دَامُوۡا فِیۡہَا فَاذۡہَبۡ اَنۡتَ وَ رَبُّکَ فَقَاتِلَاۤ اِنَّا ہٰہُنَا قٰعِدُوۡنَ ﴿۲۴﴾
তারা বলল, ‘হে মূসা, আমরা সেখানে কখনো প্রবেশ করব না, যতক্ষণ তারা সেখানে থাকে। সুতরাং, তুমি ও তোমার রব যাও এবং লড়াই কর। আমরা এখানেই বসে রইলাম’।
*****
প্রশ্নঃ- শহরে প্রবেশের ব্যপারে বনী ইসরাইল মুসা আঃ কে কী উত্তর দিল?
উত্তরঃ- قَالُوۡا یٰمُوۡسٰۤی اِنَّا لَنۡ نَّدۡخُلَہَاۤ اَبَدًا مَّا دَامُوۡا فِیۡہَا তারা বলল, ‘হে মূসা, আমরা সেখানে কখনো প্রবেশ করব না, যতক্ষণ তারা সেখানে থাকে।
প্রশ্নঃ- মুসা আঃ তাদেরকে কিতালের নির্দেশ শুনালে উত্তরে তারা কী বললেন?
উত্তরঃ- فَاذۡہَبۡ اَنۡتَ وَ رَبُّکَ فَقَاتِلَاۤ اِنَّا ہٰہُنَا قٰعِدُوۡنَ ﴿۲۴﴾ সুতরাং, তুমি ও তোমার রব যাও এবং লড়াই কর। আমরা এখানেই বসে রইলাম’।
**
★ কিন্তু মিকদাদ রা. বদরের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন: বনী ইসরাইলের মত আমরা বলব না যে, "সুতরাং, তুমি ও তোমার রব যাও এবং লড়াই কর। আমরা এখানেই বসে রইলাম’।" বরং বলব আপনি ও আপনার রব যান লড়াই করেন, অবশ্যই আমরা আপনাদের সাথে আছি।
١- [عن طارق بن شهاب:] أنَّ المقدادَ قال لرسولِ اللهِ ﷺ يومَ بدرٍ: يا رسولَ اللهِ إنا لا نقولُ لك كما قال بنو إسرائيلَ لموسى: {اذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقاتِلا إِنّا هاهُنا قاعِدُونَ}، ولكنِ اذهبْ أنتَ وربُّك فقاتِلا إنا معكم مقاتِلون.
★এটাই হলো বনী ইসরাইল ও সাহাবাদের মাঝে পার্থক্য।
★
প্রশ্নঃ- আপনি কি বনী ইসরাইলের মত বেয়াদব, অভিশাপ/গজব, লাঞ্ছনা, অবমাননার অধিকারী হবেন ?
না সাহাবাদের মত আদর্শবান হবেন?
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে বুঝার মানার ও এর উপর আমলের তৌফিক দাও। আমীন।
***
প্রশ্নঃ- মুসা আঃ আল্লাহর দরবারে কী নালিশ দিলেন?
উত্তরঃ- قَالَ رَبِّ اِنِّیۡ لَاۤ اَمۡلِکُ اِلَّا نَفۡسِیۡ وَ اَخِیۡ فَافۡرُقۡ بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَ الۡقَوۡمِ الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿۲۵﴾
সে বলল, ‘হে আমার রব, আমি আমার ও আমার ভাই ছাড়া কারো উপরে অধিকার রাখি না। সুতরাং আপনি আমাদের ও ফাসিক কওমের মধ্যে বিচ্ছেদ করে দিন।
****
প্রশ্নঃ- আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে কী শাস্তি আসল?
উত্তরঃ- قَالَ فَاِنَّہَا مُحَرَّمَۃٌ عَلَیۡہِمۡ اَرۡبَعِیۡنَ سَنَۃً ۚ یَتِیۡہُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ ؕ فَلَا تَاۡسَ عَلَی الۡقَوۡمِ الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿٪۲۶﴾
তিনি বললেন, ‘তাহলে নিশ্চয় তা তাদের জন্য চল্লিশ বছর নিষিদ্ধ; তারা যমীনে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরতে থাকবে। সুতরাং তুমি ফাসিক কওমের জন্য আফসোস করো না’।
প্রশ্নঃ- আল্লাহ তাআলা মুসা আঃ কে কী বললেন?
উত্তরঃ- ؕ فَلَا تَاۡسَ عَلَی الۡقَوۡمِ الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿٪۲۶﴾ সুতরাং তুমি ফাসিক কওমের জন্য আফসোস করো না’।
*****
Comment