(10) ★ আপনি কি সিরাতে মুস্তাকীম (সঠিক পথ) এর পরিচয় জানতে ইচ্ছুক?★ (10)
غَیۡرِ الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا الضَّآلِّیۡنَ ٪﴿۷﴾
যাদের উপর (আপনার) ক্রোধ আপতিত হয়নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়।
*****
প্রশ্নঃ- ইয়াহুদ সম্প্রদায় الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ তাদের শাস্তির ব্যপারে কিছু বলবেন কি? (4)
প্রশ্নঃ- তাদের শাস্তি কি হয়েছিল?
উত্তরঃ- তাদের শাস্তির নমুনা এই- 59:2
ہُوَ الَّذِیۡۤ اَخۡرَجَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ مِنۡ دِیَارِہِمۡ لِاَوَّلِ الۡحَشۡرِ ؕؔ مَا ظَنَنۡتُمۡ اَنۡ یَّخۡرُجُوۡا وَ ظَنُّوۡۤا اَنَّہُمۡ مَّانِعَتُہُمۡ حُصُوۡنُہُمۡ مِّنَ اللّٰہِ فَاَتٰىہُمُ اللّٰہُ مِنۡ حَیۡثُ لَمۡ یَحۡتَسِبُوۡا ٭ وَ قَذَفَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمُ الرُّعۡبَ یُخۡرِبُوۡنَ بُیُوۡتَہُمۡ بِاَیۡدِیۡہِمۡ وَ اَیۡدِی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ٭ فَاعۡتَبِرُوۡا یٰۤاُولِی الۡاَبۡصَارِ ﴿۲﴾
আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তিনিই তাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছিলেন প্রথমবারের মত। তোমরা ধারণাও করনি যে, তারা বেরিয়ে যাবে।
আর তারা ধারণা করেছিল যে, তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করবে। কিন্তু আল্লাহর আযাব এমন এক দিক থেকে আসল যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি এবং তিনি তাদের অন্তরসমূহে ত্রাসের সঞ্চার করলেন, ফলে তারা তাদের বাড়ী-ঘর আপন হাতে ও মুমিনদের হাতে ধ্বংস করতে শুরু করল। অতএব হে দৃষ্টিমান লোকেরা তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।’
প্রশ্নঃ- তোমরা তাদের বাড়ি ঘর থেকে বের হওয়ার কল্পনা করেছিলে কি?
উত্তরঃ- না।
আল্লাহ তাআলা বলেন
مَا ظَنَنۡتُمۡ اَنۡ یَّخۡرُجُوۡا
তোমরা ধারণাও করনি যে, তারা বেরিয়ে যাবে।
প্রশ্নঃ- তারা নিজেদের ব্যপারে কী ধারণা করত?
উত্তরঃ-
وَ ظَنُّوۡۤا اَنَّہُمۡ مَّانِعَتُہُمۡ حُصُوۡنُہُمۡ مِّنَ اللّٰہِ
আর তারা ধারণা করেছিল যে, তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করবে।
প্রশ্নঃ- তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে পেরেছে কি?
উত্তরঃ- না। রক্ষা করতে পারেনি।
فَاَتٰىہُمُ اللّٰہُ مِنۡ حَیۡثُ لَمۡ یَحۡتَسِبُوۡا ٭
কিন্তু আল্লাহর আযাব এমন এক দিক থেকে আসল যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি
প্রশ্নঃ- তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে না পারার কারণ কী?
উত্তরঃ- কারণ কয়েকটি।
আল্লাহ তাআলা বলেন
১) فَاَتٰىہُمُ اللّٰہُ مِنۡ حَیۡثُ لَمۡ یَحۡتَسِبُوۡا ٭
কিন্তু আল্লাহর আযাব এমন এক দিক থেকে আসল যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি
২) وَ قَذَفَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمُ الرُّعۡبَ
এবং তিনি তাদের অন্তরসমূহে ত্রাসের সঞ্চার করলেন,
প্রশ্নঃ- এর ফলাফল কী ধারাল?
উত্তরঃ- یُخۡرِبُوۡنَ بُیُوۡتَہُمۡ بِاَیۡدِیۡہِمۡ
ফলে তারা তাদের বাড়ী-ঘর আপন হাতে
وَ اَیۡدِی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ٭
ও মুমিনদের হাতে ধ্বংস করতে শুরু করল।
প্রশ্নঃ- আহলে কিতাবদেরকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে কেন বের করেছিল?
উত্তরঃ- কুফরি করার কারণে
প্রশ্নঃ- মুসলমানদের অবস্থা এমন হবে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! অবশ্যই হবে যখন তারা আল্লাহ তাআলার ফরজ বিধান ছেড়ে দিবে।
প্রশ্নঃ- এমন অবস্থা হয়েছে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! হয়েছে। বর্তমানে ও চলতেছে। ভবিষ্যতে ও এ ধারাবাহিকতা বাকি থাকবে মনে হচ্ছে।
★★
১) হ্যাঁ! হয়েছে।
যথা ১) বার্মা
২) ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে। আসাম, কাশ্মীর
৩) ফিলিস্তিন
৪) চীনের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে উইগুর
৫) আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল
৬) বাংলাদেশ ও কিন্তু মুক্ত নয়।
৭) সিরিয়া
৮) তিউনিসিয়া
৯) মিশর
ইত্যাদি
★ বর্তমানে ও চলতেছে।
যথা
১) বার্মা
২) ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে। আসাম, কাশ্মীর
৩) ফিলিস্তিন ৪) চীনের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে উইগুর
৫) আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল
৬) বাংলাদেশ ও কিন্তু মুক্ত নয়।
৭) সিরিয়া
৮) তিউনিসিয়া
৯) মিশর
ইত্যাদি
বিঃদ্রঃ- যদি আমরা গণতন্ত্র নামক খবীছ বৃক্ষ থেকে বের না হই ,
আর আল্লাহর বিধান কিতালকে আঁকড়িয়ে না ধরি ।
ভবিষ্যতে ও এ ধারাবাহিকতা বাকি থাকবে মনে হচ্ছে।
প্রশ্নঃ- এ অবস্থা হওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ-
[عن عبدالله بن عمر:]
إذا تبايعتُم بالعِينةِ، وأخذتُم أذنابَ البقرِ
، ورضِيتُم بالزَّرعِ، وتركتُمُ الجهادَ سلَّط اللهُ عليكم ذُلًّا، لا يَنزِعُه حتى ترجِعوا إلى دِينِكم
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন যখন তোমরা সুদি লেনদেন করবে,গরুর লেজ ধরবে,কৃষির উপর সন্তুষ্ট থাকবে, এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে ঐ সময় আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর লাঞ্ছনা, অবমাননা চাপিয়ে দিবেন, তিনি তা তোমাদের থেকে সরাবেন না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের দ্বীনে ফিরে আস। অর্থাৎ জিহাদের দিকে ফিরে আস।
প্রশ্নঃ- এর থেকে বাঁচার কোন উপায় আছে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! আল্লাহর ফরজ বিধান কিতালকে আঁকড়িয়ে ধর। বিজয় তোমার পদচোম্বন করবে ।
প্রশ্নঃ- আল্লাহ তাআলার ফরজ বিধান কোন টা ছেড়ে দিল ? কিভাবে শাস্তি হয়েছে বুঝিয়ে বলবেন কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! তাহলে শুনুন।
1) আল্লাহ তাআলার ফরজ বিধান কিতাল ছেড়ে দিল
کُتِبَ عَلَیۡکُمُ الۡقِتَالُ وَ ہُوَ کُرۡہٌ لَّکُمۡ ۚ وَ عَسٰۤی اَنۡ تَکۡرَہُوۡا شَیۡئًا وَّ ہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ ۚ وَ عَسٰۤی اَنۡ تُحِبُّوۡا شَیۡئًا وَّ ہُوَ شَرٌّ لَّکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۲۱۶﴾٪
তোমাদের উপর লড়াইয়ের বিধান দেয়া হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয় এবং হতে পারে কোন বিষয় তোমরা অপছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হতে পারে কোন বিষয় তোমরা পছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।
2) কতদিন করতে হবে তাও তিনি বলে দিলেন
وَ قَاتِلُوۡہُمۡ حَتّٰی لَا تَکُوۡنَ فِتۡنَۃٌ وَّ یَکُوۡنَ الدِّیۡنُ کُلُّہٗ لِلّٰہِ ۚ فَاِنِ انۡتَہَوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۳۹﴾
আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। তবে যদি তারা বিরত হয় তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ তারা যা করে সে বিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা।
প্রশ্নঃ- আপনি কি জানেন ফিতনা অর্থ কি?
উত্তরঃ- ফিতনা এর অর্থ হলো কুফর, শিরক।
*****