(11) ★ আপনি কি সিরাতে মুস্তাকীম (সঠিক পথ) এর পরিচয় জানতে ইচ্ছুক?★ (11)
غَیۡرِ الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا الضَّآلِّیۡنَ ٪﴿۷﴾
যাদের উপর (আপনার) ক্রোধ আপতিত হয়নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়।
*****
প্রশ্নঃ- ইয়াহুদ সম্প্রদায় الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ তাদের শাস্তির ব্যপারে কিছু বলবেন কি? (5)
****
وَ ضُرِبَتۡ عَلَیۡہِمُ الذِّلَّۃُ وَ الۡمَسۡکَنَۃُ ٭ وَ بَآءُوۡ بِغَضَبٍ مِّنَ اللّٰہِ ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ کَانُوۡا یَکۡفُرُوۡنَ بِاٰیٰتِ اللّٰہِ وَ یَقۡتُلُوۡنَ النَّبِیّٖنَ بِغَیۡرِ الۡحَقِّ ؕ ذٰلِکَ بِمَا عَصَوۡا وَّ کَانُوۡا یَعۡتَدُوۡنَ ﴿٪۶۱﴾
আর তাদের উপর আরোপ করা হয়েছে লাঞ্ছনা ও দারিদ্র্য এবং তারা আল্লাহর ক্রোধের শিকার হল। তা এই কারণে যে, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত এবং অন্যায়ভাবে নবীদেরকে হত্যা করত। তা এই কারণে যে, তারা নাফরমানী করেছিল এবং তারা সীমালঙ্ঘন করত।
***"
প্রশ্নঃ- তাদের ন্যায় আমাদের উপর ও শাস্তি আসবে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! অবশ্যই আসবে।
কুরআন কিন্তু কোন কিচ্ছা কাহিনীর বই নয়।
বরং আল্লাহ তাআলা তা আমাদেরকে দিয়েছেন শিক্ষা গ্রহনের জন্য। অর্থাৎ পূর্বেকার লোকেরা যে ধরনের অন্যায় করেছে এ উম্মত ও এ ধরনের অন্যায় করবে।
পূর্বেকার লোকদের যে ধরনের শাস্তি হয়েছিল, এ উম্মতের ও এ ধরনের শাস্তি হবে।
এ উম্মত(আমরা) সতর্ক হওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে কুরআনে কারীমের মাধ্যমে তা জানিয়ে দিয়েছেন।
প্রশ্নঃ- পূর্বেকার লোকদের কী ধরনের শাস্তি হয়েছিল?
উত্তরঃ- আল্লাহ তাআলা বলেন
الحشر আল-হাশর
ہُوَ الَّذِیۡۤ اَخۡرَجَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ مِنۡ دِیَارِہِمۡ لِاَوَّلِ الۡحَشۡرِ ؕؔ مَا ظَنَنۡتُمۡ اَنۡ یَّخۡرُجُوۡا وَ ظَنُّوۡۤا اَنَّہُمۡ مَّانِعَتُہُمۡ حُصُوۡنُہُمۡ مِّنَ اللّٰہِ فَاَتٰىہُمُ اللّٰہُ مِنۡ حَیۡثُ لَمۡ یَحۡتَسِبُوۡا ٭ وَ قَذَفَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمُ الرُّعۡبَ یُخۡرِبُوۡنَ بُیُوۡتَہُمۡ بِاَیۡدِیۡہِمۡ وَ اَیۡدِی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ٭ فَاعۡتَبِرُوۡا یٰۤاُولِی الۡاَبۡصَارِ ﴿۲﴾
আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তিনিই তাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছিলেন প্রথমবারের মত। তোমরা ধারণাও করনি যে, তারা বেরিয়ে যাবে। আর তারা ধারণা করেছিল যে, তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করবে। কিন্তু আল্লাহর আযাব এমন এক দিক থেকে আসল যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি এবং তিনি তাদের অন্তরসমূহে ত্রাসের সঞ্চার করলেন, ফলে তারা তাদের বাড়ী-ঘর আপন হাতে ও মুমিনদের হাতে ধ্বংস করতে শুরু করল। অতএব হে দৃষ্টিমান লোকেরা তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।’
****
وَ لَوۡ لَاۤ اَنۡ کَتَبَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمُ الۡجَلَآءَ لَعَذَّبَہُمۡ فِی الدُّنۡیَا ؕ وَ لَہُمۡ
فِی الۡاٰخِرَۃِ عَذَابُ النَّارِ ﴿۳﴾
আর আল্লাহ যদি তাদের জন্য নির্বাসন লিপিবদ্ধ না করতেন, তবে তিনি তাদেরকে দুনিয়াতে শাস্তি দিতেন এবং তাদের জন্য আখিরাতে রয়েছে আগুনের শাস্তি।
প্রশ্নঃ- উক্ত আয়াত আমাদের মাঝে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! যুগ যুগ ধরে বাস্তবায়ন হচ্ছে ভবিষ্যতেও হবে বুঝা যাচ্ছে।
প্রশ্নঃ- এর থেকে উত্তোলনের কোন সুরত আছে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! আছে। আর তা হল আল্লাহর বিধান কিতাল বাস্তবায়ন এবং রসূলের আদর্শের(বদর, উহুদ,খন্দক ইত্যাদির মাধ্যমে) অনুসরণ।
****
ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ شَآقُّوا اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ ۚ وَ مَنۡ یُّشَآقِّ اللّٰہَ فَاِنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ﴿۴﴾
এটি এ জন্য যে, তারা সত্যিই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছিল। আর যে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ আযাব প্রদানে কঠোর।
প্রশ্নঃ- আপনি কি জানেন এ শাস্তি কেন হয়েছিল?
উত্তরঃ- কারণ ! তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছিল।
*****
★
প্রশ্নঃ- এ উম্মতের ও এ ধরনের শাস্তি হবে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! অবশ্যই। কারন
(1) নামাজ প্রতিষ্ঠা না করে তা'বীল ও তাহরীফ শুরু করে দিয়েছে। এ উম্মতের ও এ ধরনের শাস্তি দীর্ঘদিন যাবত হইতেছিল, বর্তমানে ও হইতেছে, ভবিষ্যতে ও হবে ধারণা করা হচ্ছে।
যথা
১) জেরুজালেমে তিন হাজার ইহুদি বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা : দু’ভাগে বিভক্ত হবে পশ্চিম তীর ইহুদিদের এই (ধরনের পরিকল্পনা পূর্বে বাস্তবায়িত হয়েছে) নতুন পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বাড়িঘর মুসলিমদের হাতেই ভেঙে ফেলার মতো বর্বর নজির স্থাপন করছে ও করবে। মুসলিমদের নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত করছে, করতেছে ও করবে। ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে অভিযান চালিয়ে তাদের বন্দী করছে বা ইচ্ছে হলে গুলি করে লাশটিও নিয়ে যাচ্ছে ও যাবে।
২) বার্মা
৩) ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে। আসাম, কাশ্মীর
৪) চীনের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে উইগুর
৫) আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল
৬) বাংলাদেশ ও কিন্তু এর থেকে মুক্ত নয়।
৭) সিরিয়া ইত্যাদি
আল্লাহ তাআলা বলেন
قُلۡ سِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَانۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الۡمُجۡرِمِیۡنَ ﴿۶۹﴾ বল, ‘তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর, তারপর দেখ, কিরূপ হয়েছিল অপরাধীদের পরিণতি।’
******
উত্তরঃ- কারন
(2) এই যে, মুসলমানরা ধারণা করেছিল , আল্লাহ তাআলার ফরজ বিধান "কিতাল" বাদ দিয়ে গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে।
অথচ আল্লাহ তাআলা বলেন
1) فَقَاتِلۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۚ لَا تُکَلَّفُ اِلَّا نَفۡسَکَ وَ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ عَسَی اللّٰہُ اَنۡ یَّکُفَّ بَاۡسَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ وَ اللّٰہُ اَشَدُّ بَاۡسًا وَّ اَشَدُّ تَنۡکِیۡلًا ﴿۸۴﴾ অতএব তুমি আল্লাহর রাস্তায় লড়াই কর। তুমি শুধু তোমার নিজের ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং মুমিনদেরকে উদ্বুদ্ধ কর। আশা করা যায় আল্লাহ অচিরেই কাফিরদের শক্তি প্রতিহত করবেন। আর আল্লাহ শক্তিতে প্রবলতর এবং শাস্তিদানে কঠোরতর।
2) یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ عَلَی الۡقِتَالِ ؕ নবী, তুমি মুমিনদেরকে লড়াইয়ে উৎসাহ দাও,
প্রশ্নঃ- সারা বিশ্বে শুধু মুসলমানদের উপর এত নির্জাতনের কারণ কী?
উত্তরঃ- উক্ত হাদীসের উপর দৃষ্টি করলেই সহজে বুঝে আসবে।
١- [عن ثوبان مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم:] يُوشَكُ أن تَداعى عليكم الأممُ كما تداعى الأكلةُ على قصعتِها، قيل: يا رسولَ اللهِ أمِن قلةٍ بنا؟ قال: لا ولكنَّكم غثاءٌ كغثاءِ السيلِ تُنزَعُ المهابةُ من قلوبِ عدوِّكم منكم ويُوضعُ في قلوبِكم الوهنُ، قالوا: يا رسولَ اللهِ وما الوهنُ؟ قال: حبُّ الدنيا وكراهيةُ الموتِ
ছাওবান রা. হতে বর্ণিত: তিনি বলেন: অতি নিকটেই তোমাদের (মুসলমানদের) বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতিকে ডাকা হবে, যেমন দস্তখানে খানা রেখে বিভিন্ন জনকে ডাকা হয়।
জিঙ্গাসা করা হল: তা কি আমাদের লোক সংখ্যা ঐসময় কম হওয়ায় কারণে হবে? তিনি বলেন: না। তবে তোমরা হবে স্রুতের সাথে ভেসে যাওয়া শুকনো খড় কুটোর ন্যয় খড় কুটো। দুশমনের অন্তর থেকে তোমাদের ভয় উঠিয়ে নেওয়া হবে। এবং তোমাদের অন্তরে ওহান ঢেলে দেওয়া হবে। সাহাবারা জিঙ্গাসা করলেন: হে আল্লাহর রাসূল ওহান কী? তিনি বললেন : দুনিয়ার মহব্বত ও মৃত্যুকে অপছন্দ করা।
****
اِذۡ یُوۡحِیۡ رَبُّکَ اِلَی الۡمَلٰٓئِکَۃِ اَنِّیۡ مَعَکُمۡ فَثَبِّتُوا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ؕ سَاُلۡقِیۡ فِیۡ قُلُوۡبِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوا الرُّعۡبَ فَاضۡرِبُوۡا فَوۡقَ الۡاَعۡنَاقِ وَ اضۡرِبُوۡا مِنۡہُمۡ کُلَّ بَنَانٍ ﴿ؕ۱۲﴾
স্মরণ কর, যখন তোমার রব ফেরেশতাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেন যে, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের সাথে আছি। সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তোমরা তাদেরকে অনড় রাখ’। অচিরেই আমি ভীতি ঢেলে দেব তাদের হৃদয়ে যারা কুফরী করেছে। অতএব তোমরা আঘাত কর ঘাড়ের উপরে এবং আঘাত কর তাদের প্রত্যেক আঙুলের অগ্রভাগে।
[১] আলোচ্য আয়াতে আরেকটি নেয়ামতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে; যা বদরের সমরাঙ্গনে মুসলিমদেরকে দেয়া হয়েছে।
তা হলো, আল্লাহ তা'আলা যেসব ফিরিশতাকে মুসলিমদের সাহায্যের জন্য পাঠিয়েছিলেন তাদের সম্বোধন করে বলা হয়েছেঃ আমি তোমাদের সঙ্গে রয়েছি, তোমরা ঈমানদারদিগকে সাহস যোগাতে।
আমি এখনই কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দিচ্ছি।
তোমরা কাফেরদের গর্দানের উপর অস্ত্রের আঘাত হান; তাদের হত্যা কর দলে দলে। এভাবে ফিরিশতাদেরকে দুটি কাজের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। প্রথমতঃ মুসলিমদের সাহস বৃদ্ধি করবে। এ কাজটি ফিরিশতাগণ কর্তৃক মুসলিমদের সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে দলবৃদ্ধি করে কিংবা তাদের সাথে মিলে যুদ্ধ করার মাধ্যমেও হতে পারে এবং নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে মুসলিমদের অন্তরসমূহকে সুদৃঢ় ও শক্তিশালী করেও হতে পারে।
তাদের উপর দ্বিতীয় দায়িত্ব অর্পণ করা হয় যে, ফিরিশতাগণ নিজেরাও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন এবং কাফেরদের উপর আক্রমণও করবেন। সুতরাং এ আয়াতের দ্বারা একথাই প্রতীয়মান হয় যে, ফিরিশতাগণ উভয় দায়িত্বই যথাযথ সম্পাদন করেছেন। [ইবন কাসীর সা’দী]
*****
উক্ত আয়াত ও হাদীসের মাঝে চিন্তা ফিকিরের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্যস্থলে পৌঁছা সম্ভব।
تُنزَعُ المهابةُ من قلوبِ عدوِّكم منكم ويُوضعُ في قلوبِكم الوهنُ، قالوا:
يا رسولَ اللهِ وما الوهنُ؟ قال: حبُّ الدنيا وكراهيةُ الموتِ
১) দুশমনের অন্তর থেকে তোমাদের ভয় উঠিয়ে নেওয়া হবে।
২) এবং তোমাদের অন্তরে ওহান ঢেলে দেওয়া হবে।
★★
আল্লাহর হুকুম কেতালকে ছেড়ে দেওয়ার কারণে তাদের উপর এ দুইটি শাস্তি চাপিয়ে দিয়েছেন।
অর্থাৎ ১) কিতাল ছেড়ে দেওয়ার কারণে আল্লাহ তাআলা দুশমনদের অন্তর থেকে মুসলমানদের ভয় উঠিয়ে নিয়েছেন।
২) এবং মুসলমানদের অন্তরে ওহান ঢেলে দিয়েছেন ।
ওহান এর অর্থ হল দুনিয়ার মহব্বত ও মৃত্যুকে অপছন্দ করা। এধরনের শাস্তির মূল কারণ আল্লাহর হুকুম কিতাল ছেড়ে দেওয়া।
******
سَاُلۡقِیۡ فِیۡ قُلُوۡبِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوا الرُّعۡبَ
অচিরেই আমি ভীতি ঢেলে দেব তাদের হৃদয়ে যারা কুফরী করেছে।
★★ আল্লাহর হুকুম আঁকড়িয়ে ধরার কারণে কী কী সহযোগিতা এসেছে শুনতে ইচ্ছুক নয় কি?
তাহলে শুনুন!
১) ফেরেশতাদের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন।
২) স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের সাথে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
৩) এবং মুসলমানদেরকে অনড় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ও
৪) কাফেরদের অন্তরে ভয় ঢেলে দিয়েছেন ।
*****
প্রশ্নঃ- তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে না পারার কারণ কী?
উত্তরঃ- কারণ কয়েকটি।
আল্লাহ তাআলা বলেন
১) فَاَتٰىہُمُ اللّٰہُ مِنۡ حَیۡثُ لَمۡ یَحۡتَسِبُوۡا ٭
কিন্তু আল্লাহর আযাব এমন এক দিক থেকে আসল যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি
২) وَ قَذَفَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمُ الرُّعۡبَ
এবং তিনি তাদের অন্তরসমূহে ত্রাসের সঞ্চার করলেন,
প্রশ্নঃ- এর ফলাফল কী ধারাল?
উত্তরঃ- یُخۡرِبُوۡنَ بُیُوۡتَہُمۡ بِاَیۡدِیۡہِمۡ ফলে তারা তাদের বাড়ী-ঘর আপন হাতে وَ اَیۡدِی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ٭ ও মুমিনদের হাতে ধ্বংস করতে শুরু করল।
★ তেমনিভাবে আল্লাহর বিধান রাসূলের আদর্শ ছেড়ে দেওয়ার কারণে মুসলমানদের উপর এ বিপদ চলতেছে ।
প্রশ্নঃ- এর থেকে মুক্তির সূরত কি?
উত্তরঃ-
١- [عن عبدالله بن عمر:] إذا تبايعتُم بالعِينةِ، وأخذتُم أذنابَ البقرِ، ورضِيتُم بالزَّرعِ، وتركتُمُ الجهادَ سلَّط اللهُ عليكم ذُلًّا، لا يَنزِعُه حتى ترجِعوا إلى دِينِكم
যখন তোমরা সূদী লেন দেন করবে ,এবং গরুর লেজ ধরবে, কৃষির উপর সন্তুষ্ট থাকবে, এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর লাঞ্ছনা অবমাননা চাপিয়ে দিবেন , এমন লাঞ্ছনা অবমাননা যার থেকে তোমরা বের হতে পারবেনা, যতক্ষন না তোমরা তোমাদের দ্বীনের দিকে অর্থাৎ (জিহাদের দিকে) ফিরে আসবে।
★ যারাই কিতালকে আঁকড়িয়ে ধরেছে তারাই শান্তিতে আছে আলহামদুলিল্লাহ।
যথা :
আফগানিস্তান, সোমালিয়া, মালি, ইয়েমেন ,বুরকিনা ফাসো, সিরিয়া। ইত্যাদি।
হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে তোমার বিধান কিতালকে আঁকড়িয়ে ধরার তৌফিক দাও।
লাঞ্ছনা অবমাননা হতে মুক্তির ব্যবস্থা কর। আমীন।
******
غَیۡرِ الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا الضَّآلِّیۡنَ ٪﴿۷﴾
যাদের উপর (আপনার) ক্রোধ আপতিত হয়নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়।
*****
প্রশ্নঃ- ইয়াহুদ সম্প্রদায় الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ তাদের শাস্তির ব্যপারে কিছু বলবেন কি? (5)
****
وَ ضُرِبَتۡ عَلَیۡہِمُ الذِّلَّۃُ وَ الۡمَسۡکَنَۃُ ٭ وَ بَآءُوۡ بِغَضَبٍ مِّنَ اللّٰہِ ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ کَانُوۡا یَکۡفُرُوۡنَ بِاٰیٰتِ اللّٰہِ وَ یَقۡتُلُوۡنَ النَّبِیّٖنَ بِغَیۡرِ الۡحَقِّ ؕ ذٰلِکَ بِمَا عَصَوۡا وَّ کَانُوۡا یَعۡتَدُوۡنَ ﴿٪۶۱﴾
আর তাদের উপর আরোপ করা হয়েছে লাঞ্ছনা ও দারিদ্র্য এবং তারা আল্লাহর ক্রোধের শিকার হল। তা এই কারণে যে, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত এবং অন্যায়ভাবে নবীদেরকে হত্যা করত। তা এই কারণে যে, তারা নাফরমানী করেছিল এবং তারা সীমালঙ্ঘন করত।
***"
প্রশ্নঃ- তাদের ন্যায় আমাদের উপর ও শাস্তি আসবে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! অবশ্যই আসবে।
কুরআন কিন্তু কোন কিচ্ছা কাহিনীর বই নয়।
বরং আল্লাহ তাআলা তা আমাদেরকে দিয়েছেন শিক্ষা গ্রহনের জন্য। অর্থাৎ পূর্বেকার লোকেরা যে ধরনের অন্যায় করেছে এ উম্মত ও এ ধরনের অন্যায় করবে।
পূর্বেকার লোকদের যে ধরনের শাস্তি হয়েছিল, এ উম্মতের ও এ ধরনের শাস্তি হবে।
এ উম্মত(আমরা) সতর্ক হওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে কুরআনে কারীমের মাধ্যমে তা জানিয়ে দিয়েছেন।
প্রশ্নঃ- পূর্বেকার লোকদের কী ধরনের শাস্তি হয়েছিল?
উত্তরঃ- আল্লাহ তাআলা বলেন
الحشر আল-হাশর
ہُوَ الَّذِیۡۤ اَخۡرَجَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ مِنۡ دِیَارِہِمۡ لِاَوَّلِ الۡحَشۡرِ ؕؔ مَا ظَنَنۡتُمۡ اَنۡ یَّخۡرُجُوۡا وَ ظَنُّوۡۤا اَنَّہُمۡ مَّانِعَتُہُمۡ حُصُوۡنُہُمۡ مِّنَ اللّٰہِ فَاَتٰىہُمُ اللّٰہُ مِنۡ حَیۡثُ لَمۡ یَحۡتَسِبُوۡا ٭ وَ قَذَفَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمُ الرُّعۡبَ یُخۡرِبُوۡنَ بُیُوۡتَہُمۡ بِاَیۡدِیۡہِمۡ وَ اَیۡدِی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ٭ فَاعۡتَبِرُوۡا یٰۤاُولِی الۡاَبۡصَارِ ﴿۲﴾
আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তিনিই তাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছিলেন প্রথমবারের মত। তোমরা ধারণাও করনি যে, তারা বেরিয়ে যাবে। আর তারা ধারণা করেছিল যে, তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করবে। কিন্তু আল্লাহর আযাব এমন এক দিক থেকে আসল যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি এবং তিনি তাদের অন্তরসমূহে ত্রাসের সঞ্চার করলেন, ফলে তারা তাদের বাড়ী-ঘর আপন হাতে ও মুমিনদের হাতে ধ্বংস করতে শুরু করল। অতএব হে দৃষ্টিমান লোকেরা তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।’
****
وَ لَوۡ لَاۤ اَنۡ کَتَبَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمُ الۡجَلَآءَ لَعَذَّبَہُمۡ فِی الدُّنۡیَا ؕ وَ لَہُمۡ
فِی الۡاٰخِرَۃِ عَذَابُ النَّارِ ﴿۳﴾
আর আল্লাহ যদি তাদের জন্য নির্বাসন লিপিবদ্ধ না করতেন, তবে তিনি তাদেরকে দুনিয়াতে শাস্তি দিতেন এবং তাদের জন্য আখিরাতে রয়েছে আগুনের শাস্তি।
প্রশ্নঃ- উক্ত আয়াত আমাদের মাঝে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! যুগ যুগ ধরে বাস্তবায়ন হচ্ছে ভবিষ্যতেও হবে বুঝা যাচ্ছে।
প্রশ্নঃ- এর থেকে উত্তোলনের কোন সুরত আছে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! আছে। আর তা হল আল্লাহর বিধান কিতাল বাস্তবায়ন এবং রসূলের আদর্শের(বদর, উহুদ,খন্দক ইত্যাদির মাধ্যমে) অনুসরণ।
****
ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ شَآقُّوا اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ ۚ وَ مَنۡ یُّشَآقِّ اللّٰہَ فَاِنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ﴿۴﴾
এটি এ জন্য যে, তারা সত্যিই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছিল। আর যে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ আযাব প্রদানে কঠোর।
প্রশ্নঃ- আপনি কি জানেন এ শাস্তি কেন হয়েছিল?
উত্তরঃ- কারণ ! তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছিল।
*****
★
প্রশ্নঃ- এ উম্মতের ও এ ধরনের শাস্তি হবে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! অবশ্যই। কারন
(1) নামাজ প্রতিষ্ঠা না করে তা'বীল ও তাহরীফ শুরু করে দিয়েছে। এ উম্মতের ও এ ধরনের শাস্তি দীর্ঘদিন যাবত হইতেছিল, বর্তমানে ও হইতেছে, ভবিষ্যতে ও হবে ধারণা করা হচ্ছে।
যথা
১) জেরুজালেমে তিন হাজার ইহুদি বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা : দু’ভাগে বিভক্ত হবে পশ্চিম তীর ইহুদিদের এই (ধরনের পরিকল্পনা পূর্বে বাস্তবায়িত হয়েছে) নতুন পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বাড়িঘর মুসলিমদের হাতেই ভেঙে ফেলার মতো বর্বর নজির স্থাপন করছে ও করবে। মুসলিমদের নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত করছে, করতেছে ও করবে। ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে অভিযান চালিয়ে তাদের বন্দী করছে বা ইচ্ছে হলে গুলি করে লাশটিও নিয়ে যাচ্ছে ও যাবে।
২) বার্মা
৩) ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে। আসাম, কাশ্মীর
৪) চীনের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে উইগুর
৫) আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল
৬) বাংলাদেশ ও কিন্তু এর থেকে মুক্ত নয়।
৭) সিরিয়া ইত্যাদি
আল্লাহ তাআলা বলেন
قُلۡ سِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَانۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الۡمُجۡرِمِیۡنَ ﴿۶۹﴾ বল, ‘তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর, তারপর দেখ, কিরূপ হয়েছিল অপরাধীদের পরিণতি।’
******
উত্তরঃ- কারন
(2) এই যে, মুসলমানরা ধারণা করেছিল , আল্লাহ তাআলার ফরজ বিধান "কিতাল" বাদ দিয়ে গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে।
অথচ আল্লাহ তাআলা বলেন
1) فَقَاتِلۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۚ لَا تُکَلَّفُ اِلَّا نَفۡسَکَ وَ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ عَسَی اللّٰہُ اَنۡ یَّکُفَّ بَاۡسَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ وَ اللّٰہُ اَشَدُّ بَاۡسًا وَّ اَشَدُّ تَنۡکِیۡلًا ﴿۸۴﴾ অতএব তুমি আল্লাহর রাস্তায় লড়াই কর। তুমি শুধু তোমার নিজের ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং মুমিনদেরকে উদ্বুদ্ধ কর। আশা করা যায় আল্লাহ অচিরেই কাফিরদের শক্তি প্রতিহত করবেন। আর আল্লাহ শক্তিতে প্রবলতর এবং শাস্তিদানে কঠোরতর।
2) یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ عَلَی الۡقِتَالِ ؕ নবী, তুমি মুমিনদেরকে লড়াইয়ে উৎসাহ দাও,
প্রশ্নঃ- সারা বিশ্বে শুধু মুসলমানদের উপর এত নির্জাতনের কারণ কী?
উত্তরঃ- উক্ত হাদীসের উপর দৃষ্টি করলেই সহজে বুঝে আসবে।
١- [عن ثوبان مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم:] يُوشَكُ أن تَداعى عليكم الأممُ كما تداعى الأكلةُ على قصعتِها، قيل: يا رسولَ اللهِ أمِن قلةٍ بنا؟ قال: لا ولكنَّكم غثاءٌ كغثاءِ السيلِ تُنزَعُ المهابةُ من قلوبِ عدوِّكم منكم ويُوضعُ في قلوبِكم الوهنُ، قالوا: يا رسولَ اللهِ وما الوهنُ؟ قال: حبُّ الدنيا وكراهيةُ الموتِ
ছাওবান রা. হতে বর্ণিত: তিনি বলেন: অতি নিকটেই তোমাদের (মুসলমানদের) বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতিকে ডাকা হবে, যেমন দস্তখানে খানা রেখে বিভিন্ন জনকে ডাকা হয়।
জিঙ্গাসা করা হল: তা কি আমাদের লোক সংখ্যা ঐসময় কম হওয়ায় কারণে হবে? তিনি বলেন: না। তবে তোমরা হবে স্রুতের সাথে ভেসে যাওয়া শুকনো খড় কুটোর ন্যয় খড় কুটো। দুশমনের অন্তর থেকে তোমাদের ভয় উঠিয়ে নেওয়া হবে। এবং তোমাদের অন্তরে ওহান ঢেলে দেওয়া হবে। সাহাবারা জিঙ্গাসা করলেন: হে আল্লাহর রাসূল ওহান কী? তিনি বললেন : দুনিয়ার মহব্বত ও মৃত্যুকে অপছন্দ করা।
****
اِذۡ یُوۡحِیۡ رَبُّکَ اِلَی الۡمَلٰٓئِکَۃِ اَنِّیۡ مَعَکُمۡ فَثَبِّتُوا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ؕ سَاُلۡقِیۡ فِیۡ قُلُوۡبِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوا الرُّعۡبَ فَاضۡرِبُوۡا فَوۡقَ الۡاَعۡنَاقِ وَ اضۡرِبُوۡا مِنۡہُمۡ کُلَّ بَنَانٍ ﴿ؕ۱۲﴾
স্মরণ কর, যখন তোমার রব ফেরেশতাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেন যে, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের সাথে আছি। সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তোমরা তাদেরকে অনড় রাখ’। অচিরেই আমি ভীতি ঢেলে দেব তাদের হৃদয়ে যারা কুফরী করেছে। অতএব তোমরা আঘাত কর ঘাড়ের উপরে এবং আঘাত কর তাদের প্রত্যেক আঙুলের অগ্রভাগে।
[১] আলোচ্য আয়াতে আরেকটি নেয়ামতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে; যা বদরের সমরাঙ্গনে মুসলিমদেরকে দেয়া হয়েছে।
তা হলো, আল্লাহ তা'আলা যেসব ফিরিশতাকে মুসলিমদের সাহায্যের জন্য পাঠিয়েছিলেন তাদের সম্বোধন করে বলা হয়েছেঃ আমি তোমাদের সঙ্গে রয়েছি, তোমরা ঈমানদারদিগকে সাহস যোগাতে।
আমি এখনই কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দিচ্ছি।
তোমরা কাফেরদের গর্দানের উপর অস্ত্রের আঘাত হান; তাদের হত্যা কর দলে দলে। এভাবে ফিরিশতাদেরকে দুটি কাজের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। প্রথমতঃ মুসলিমদের সাহস বৃদ্ধি করবে। এ কাজটি ফিরিশতাগণ কর্তৃক মুসলিমদের সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে দলবৃদ্ধি করে কিংবা তাদের সাথে মিলে যুদ্ধ করার মাধ্যমেও হতে পারে এবং নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে মুসলিমদের অন্তরসমূহকে সুদৃঢ় ও শক্তিশালী করেও হতে পারে।
তাদের উপর দ্বিতীয় দায়িত্ব অর্পণ করা হয় যে, ফিরিশতাগণ নিজেরাও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন এবং কাফেরদের উপর আক্রমণও করবেন। সুতরাং এ আয়াতের দ্বারা একথাই প্রতীয়মান হয় যে, ফিরিশতাগণ উভয় দায়িত্বই যথাযথ সম্পাদন করেছেন। [ইবন কাসীর সা’দী]
*****
উক্ত আয়াত ও হাদীসের মাঝে চিন্তা ফিকিরের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্যস্থলে পৌঁছা সম্ভব।
تُنزَعُ المهابةُ من قلوبِ عدوِّكم منكم ويُوضعُ في قلوبِكم الوهنُ، قالوا:
يا رسولَ اللهِ وما الوهنُ؟ قال: حبُّ الدنيا وكراهيةُ الموتِ
১) দুশমনের অন্তর থেকে তোমাদের ভয় উঠিয়ে নেওয়া হবে।
২) এবং তোমাদের অন্তরে ওহান ঢেলে দেওয়া হবে।
★★
আল্লাহর হুকুম কেতালকে ছেড়ে দেওয়ার কারণে তাদের উপর এ দুইটি শাস্তি চাপিয়ে দিয়েছেন।
অর্থাৎ ১) কিতাল ছেড়ে দেওয়ার কারণে আল্লাহ তাআলা দুশমনদের অন্তর থেকে মুসলমানদের ভয় উঠিয়ে নিয়েছেন।
২) এবং মুসলমানদের অন্তরে ওহান ঢেলে দিয়েছেন ।
ওহান এর অর্থ হল দুনিয়ার মহব্বত ও মৃত্যুকে অপছন্দ করা। এধরনের শাস্তির মূল কারণ আল্লাহর হুকুম কিতাল ছেড়ে দেওয়া।
******
سَاُلۡقِیۡ فِیۡ قُلُوۡبِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوا الرُّعۡبَ
অচিরেই আমি ভীতি ঢেলে দেব তাদের হৃদয়ে যারা কুফরী করেছে।
★★ আল্লাহর হুকুম আঁকড়িয়ে ধরার কারণে কী কী সহযোগিতা এসেছে শুনতে ইচ্ছুক নয় কি?
তাহলে শুনুন!
১) ফেরেশতাদের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন।
২) স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের সাথে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
৩) এবং মুসলমানদেরকে অনড় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ও
৪) কাফেরদের অন্তরে ভয় ঢেলে দিয়েছেন ।
*****
প্রশ্নঃ- তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে না পারার কারণ কী?
উত্তরঃ- কারণ কয়েকটি।
আল্লাহ তাআলা বলেন
১) فَاَتٰىہُمُ اللّٰہُ مِنۡ حَیۡثُ لَمۡ یَحۡتَسِبُوۡا ٭
কিন্তু আল্লাহর আযাব এমন এক দিক থেকে আসল যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি
২) وَ قَذَفَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمُ الرُّعۡبَ
এবং তিনি তাদের অন্তরসমূহে ত্রাসের সঞ্চার করলেন,
প্রশ্নঃ- এর ফলাফল কী ধারাল?
উত্তরঃ- یُخۡرِبُوۡنَ بُیُوۡتَہُمۡ بِاَیۡدِیۡہِمۡ ফলে তারা তাদের বাড়ী-ঘর আপন হাতে وَ اَیۡدِی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ٭ ও মুমিনদের হাতে ধ্বংস করতে শুরু করল।
★ তেমনিভাবে আল্লাহর বিধান রাসূলের আদর্শ ছেড়ে দেওয়ার কারণে মুসলমানদের উপর এ বিপদ চলতেছে ।
প্রশ্নঃ- এর থেকে মুক্তির সূরত কি?
উত্তরঃ-
١- [عن عبدالله بن عمر:] إذا تبايعتُم بالعِينةِ، وأخذتُم أذنابَ البقرِ، ورضِيتُم بالزَّرعِ، وتركتُمُ الجهادَ سلَّط اللهُ عليكم ذُلًّا، لا يَنزِعُه حتى ترجِعوا إلى دِينِكم
যখন তোমরা সূদী লেন দেন করবে ,এবং গরুর লেজ ধরবে, কৃষির উপর সন্তুষ্ট থাকবে, এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর লাঞ্ছনা অবমাননা চাপিয়ে দিবেন , এমন লাঞ্ছনা অবমাননা যার থেকে তোমরা বের হতে পারবেনা, যতক্ষন না তোমরা তোমাদের দ্বীনের দিকে অর্থাৎ (জিহাদের দিকে) ফিরে আসবে।
★ যারাই কিতালকে আঁকড়িয়ে ধরেছে তারাই শান্তিতে আছে আলহামদুলিল্লাহ।
যথা :
আফগানিস্তান, সোমালিয়া, মালি, ইয়েমেন ,বুরকিনা ফাসো, সিরিয়া। ইত্যাদি।
হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে তোমার বিধান কিতালকে আঁকড়িয়ে ধরার তৌফিক দাও।
লাঞ্ছনা অবমাননা হতে মুক্তির ব্যবস্থা কর। আমীন।
******