(16) আপনি কি সিরাতে মুস্তাকীম (সঠিক পথ) এর পরিচয় জানতে ইচ্ছুক? (16)
لَعَلَّکَ بَاخِعٌ نَّفۡسَکَ اَلَّا یَکُوۡنُوۡا مُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۳﴾
তারা মুমিন হবে না বলে হয়ত তুমি আত্মবিনাশী হয়ে পড়বে।
প্রশ্নঃ- কিভাবে রাসূলের আদর্শ বাস্তবায়ন করব?
উত্তরঃ-
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়ন করেছেন।
আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়নেই রাসূলের আদর্শ বাস্তবায়ন হবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন
لَقَدۡ کَانَ لَکُمۡ فِیۡ رَسُوۡلِ اللّٰہِ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ لِّمَنۡ کَانَ یَرۡجُوا اللّٰہَ وَ الۡیَوۡمَ الۡاٰخِرَ وَ ذَکَرَ اللّٰہَ کَثِیۡرًا ﴿ؕ۲۱﴾
অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।
******
আয়েশা রা. হাদীস ও স্পষ্ট যে কুরআনে কারীম ই রাসূলের আদর্শ
٣- [عن عائشة أم المؤمنين:] سأَلتُ عائشةَ: عن خُلُقِ رسولِ اللهِ ﷺ، قالَتْ: كان خُلُقُ رسولِ اللهِ ﷺ القرآنَ، ثم قرأَتْ
{وَإِنَّكَ لَعَلى خُلُقٍ عَظِيمٍ}
আয়েশা রা. বলেন কুরআনই রাসূলের আদর্শ অতঃপর তিনি উক্ত আয়াত তেলাওয়াত করেন
وَ اِنَّکَ لَعَلٰی خُلُقٍ عَظِیۡمٍ ﴿۴﴾
আর নিশ্চয় তুমি মহান চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত।
প্রশ্নঃ- উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করবেন কি?
উত্তরঃ- উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা সাহাবাদের জবানে শুনুন
[১] আয়াতে উল্লেখিত, “মহৎ চরিত্র” এর অর্থ নির্ধারণে কয়েকটি মত বর্ণিত আছে।
★
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, মহৎ চরিত্রের অর্থ মহৎ দ্বীন। কেননা, আল্লাহ তা‘আলার কাছে ইসলাম অপেক্ষা অধিক প্রিয় কোনো দ্বীন নেই।
★
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, স্বয়ং কুরআন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর “মহৎ চরিত্র”। অর্থাৎ কুরআন পাক যেসব উত্তম কর্ম ও চরিত্র শিক্ষা দেয়, তিনি সেসবের বাস্তব নমুনা।
★
আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “মহৎ চরিত্র” বলে কুরআনের শিষ্টাচার বোঝানো হয়েছে; অর্থাৎ যেসব শিষ্টাচার কুরআন শিক্ষা দিয়েছে। [কুরতুবী]
★
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নৈতিক চরিত্রের সর্বোত্তম সংজ্ঞা দিয়েছেন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা। তিনি বলেছেন, কুরআনই ছিলো তার চরিত্র। [মুসনাদে আহমাদ: ৬/৯১]
★
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বৰ্ণনা করেছেন, “আমি দশ বছর যাবত রাসূলুল্লাহ্র খেদমতে নিয়োজিত ছিলাম। আমার কোন কাজ সম্পর্কে তিনি কখনো উহ! শব্দ পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি। আমার কোন কাজ দেখে কখনো বলেননি, তুমি এ কাজ করলে কেন? কিংবা কোন কাজ না করলে কখনো বলেননি, তুমি এ কাজ করলে না কেন? [বুখারী: ৬০৩৮, মুসলিম: ২৩০৯]
★
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সত্তায় আল্লাহ্ তা‘আলা যাবতীয় উত্তম চরিত্র পূর্ণমাত্রায় সন্নিবেশিত করে দিয়েছিলেন। তিনি নিজেই বলেন, “আমি উত্তম চরিত্রকে পূর্ণতা দান করার জন্যই প্রেরিত হয়েছি।” [মুসনাদে আহমাদ: ২/৩৮১, মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/৬৭০]
প্রশ্নঃ- এর দ্বারা কি বুঝে আসছে তা বলবেন কি?
উত্তরঃ- হুদুদের বিধান বাস্তবায়ন, কিছাছের বিধান বাস্তবায়ন, দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য কিতাল করা, একাধিক বিবাহ যা আমাদের দেশে ঘৃণার চোখে দেখে, কিতালের জন্য উদ্বুদ্ধ করা। ইত্যাদি । সবগুলোই রাসূলের আদর্শ।
*****
প্রশ্নঃ- কাফের সম্প্রদায় মুসলমানদের সাথে কেন লড়াই করে?
উত্তরঃ- তাদের মত কাফের বানানোর জন্য
وَدُّوۡا لَوۡ تَکۡفُرُوۡنَ کَمَا کَفَرُوۡا فَتَکُوۡنُوۡنَ سَوَآءً
তারা কামনা করে, যদি তোমরা কুফরী করতে যেভাবে তারা কুফরী করেছে। অতঃপর তোমরা সমান হয়ে যেতে।
********
وَ لَا یَزَالُوۡنَ یُقَاتِلُوۡنَکُمۡ حَتّٰی یَرُدُّوۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِکُمۡ اِنِ اسۡتَطَاعُوۡا ؕ وَ مَنۡ یَّرۡتَدِدۡ مِنۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِہٖ فَیَمُتۡ وَ ہُوَ کَافِرٌ فَاُولٰٓئِکَ حَبِطَتۡ اَعۡمَالُہُمۡ فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ۚ وَ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۲۱۷﴾
আর তারা তোমাদের সাথে লড়াই করতে থাকবে, যতক্ষণ না তোমাদেরকে তোমাদের দীন থেকে ফিরিয়ে দেয়, তারা যদি পারে। আর যে তোমাদের মধ্য থেকে তাঁর দীন থেকে ফিরে যাবে, অতঃপর কাফির অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে, বস্তুত এদের আমলসমূহ দুনিয়া ও আখিরাতে বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং তারাই আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।
প্রশ্নঃ- মুসলমানদেরকে কাফেরদের সাথে জান্নামের অধিবাসী বানানোর জন্য কাফের সম্প্রদায় কতদিন লড়াই করবে?
উত্তরঃ- আল্লাহ তাআলা বলেন
وَ لَا یَزَالُوۡنَ یُقَاتِلُوۡنَکُمۡ حَتّٰی یَرُدُّوۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِکُمۡ اِنِ اسۡتَطَاعُوۡا ؕ আর তারা তোমাদের সাথে লড়াই করতে থাকবে, যতক্ষণ না তোমাদেরকে তোমাদের দীন থেকে ফিরিয়ে দেয়, তারা যদি পারে। -
প্রশ্নঃ- সকল মুসলমান এক সাথে দ্বীন থেকে সরে যাবে কি?
অর্থাৎ অমুসলিম হয়ে যাবে কি?
উত্তরঃ- না। কখনো না।
প্রশ্নঃ- কিভাবে বুঝলেন যে সকল মুসলমান একসাথে দীন থেকে সরবে না?
উত্তরঃ- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
٨- لا تزالُ طائفةٌ من أمتي على الحقِّ منصورةٌ
ابن باز (ت ١٤١٩)، مجموع فتاوى ابن باز ٣٢٥/٣ • صحيح • شرح رواية أخرى
আমার উম্মতের একটা দল সাহায্য প্রাপ্ত , সর্বদা হক্বের উপর থাকবে
প্রশ্নঃ- মুসলমানদের সাথে কাফেরদের লড়াইয়ের কোন সময়সীমা আছে কি?
উত্তরঃ-
عن عمران بن حصين أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: لا تزال طائفة من أمتي يقاتلون على الحق ظاهرين على من ناوأهم حتى يقاتل آخرهم المسيح الدجال.
(مسند أحمد، 33/149، رقم الحديث: 19920، سنن أبي داود، كتاب الجهاد،
‘ইমরান ইবন হুসাইন (রাযি) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মুসলিমদের একদল সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে/সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য শত্রুদের উপর বিজয়ী হয়ে তাদের সর্বশেষ দল দাজ্জালের সঙ্গে যুদ্ধ করা পর্যন্ত সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে যাবে’। (মুসনাদে আহমাদ, ৩৩/১৪৯, হাদীস নং: ১৯৯২০, সুনানে আবু দাউদ, পৃ: ৫৪৯, হাদীস নং: ২৪৮৪, মুসতাদরাকে হাকীম, ২/২০১-২০২, হাদীস নং: ২৪৩৯ ও ৫/৩৬৩, হাদীস নং: ৮৫৬৩)
*****
প্রশ্নঃ- (আমরা) মুসলমানগণ কাফেরদের সাথে কতদিন লড়াই করব?
উত্তরঃ- ফিতনার অবসান হওয়া এবং দীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যাওয়া পর্যন্ত।
8:39 وَ قَاتِلُوۡہُمۡ حَتّٰی لَا تَکُوۡنَ فِتۡنَۃٌ وَّ یَکُوۡنَ الدِّیۡنُ کُلُّہٗ لِلّٰہِ ۚ فَاِنِ انۡتَہَوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۳۹﴾
আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। তবে যদি তারা বিরত হয় তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ তারা যা করে সে বিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা।
প্রশ্নঃ- ফেৎনা ও দ্বীন সম্পর্কে কিছু বলবেন কি?
উত্তরঃ- [১] এ আয়াতে বর্ণিত ফেৎনা ও দ্বীন শব্দ দুটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ব্যবহার অনুযায়ী আয়াতে শব্দ দুটির একাধিক অর্থ করা হয়ে থাকেঃ
##
এক. ফেৎনা অর্থ কুফর ও শির্ক আর দ্বীন অর্থ ইসলাম।
★ আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও এই বিশ্লেষণই বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং এই তাফসীর অনুযায়ী আয়াতের অর্থ হবে, মুসলিমদেরকে কাফেরদের বিরুদ্ধে ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ করে যেতে হবে যতক্ষণ না শির্ক ও কুফর নিঃশেষিত হয়ে যায়। [তাবারী; ইবন কাসীর]
এক্ষেত্রে এ নির্দেশের উদ্দেশ্য হবে কিয়ামত পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে জিহাদ চালিয়ে যাওয়া যতক্ষণ না দুনিয়া থেকে শির্ক ও কুফর নিঃশেষিত না হবে বা শির্কের প্রভাব কমে না যাবে।
##
দুই, যা আব্দুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা প্রমূখ সাহাবায়ে কেরামের উদ্ধৃতিতে বর্ণিত হয়েছে, তা হচ্ছে, ফেৎনা হচ্ছে দুঃখ-দুর্দশা ও বিপদাপদের ধারা, পক্ষান্তরে ‘দ্বীন’ শব্দের অর্থ প্রভাব ও বিজয়। মক্কার কাফেররা সদাসর্বদা মুসলিমদের উপর এ ফেৎনা অব্যাহত রেখেছিল যতক্ষণ পর্যন্ত তারা মক্কায় অবস্থান করছিলেন। প্রতি মুহুর্তে তাদের অবরোধে আবদ্ধ থেকে নানা রকম কষ্ট সহ্য করে গেছেন। তারপর যখন তারা মদীনায় হিজরত করেন, তারপরও গোটা মদীনা আক্রমণের মাধ্যমে তাদের হিংসা-রোষই প্রকাশ পেতে থাকে। এ ক্ষেত্রে আয়াতের ব্যাখ্যা হবে যে, মুসলিমগণকে কাফেরদের বিরুদ্ধে ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ করতে থাকা কর্তব্য, যতক্ষণ না তারা অন্যায়-অত্যাচার-উৎপীড়ন থেকে মুক্তি লাভ করতে সমর্থ হন, মুসলিমগণ আপন দ্বীন পালন করতে কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন না হয়। [ইবন কাসীর]
তিন. আয়াতের তৃতীয় আরেকটি অর্থ হচ্ছে, এখানে জিহাদ করার আসল উদ্দেশ্য ব্যক্ত করা হয়েছে।
এ উদ্দেশ্যের নেতিবাচক দিক হচ্ছে ফেৎনা না থাকা
আর ইতিবাচক দিক হচ্ছে দ্বীন সম্পূর্ণরূপে কেবল আল্লাহর জন্য হবে।
কেবলমাত্র এ সর্বাত্মক উদ্দেশ্যের জন্য লড়াই করাই মুসলিমদের জন্য জায়েয বরং ফরয।
তা ব্যতীত অপর কোন উদ্দেশ্যে লড়াই করা মোটেই জায়েয নহে। তাতে অংশগ্রহণও ঈমানদার লোকদের শোভা পায় না। এ মতের সমর্থন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদীসে পাই, তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কি? আমাদের কেউ কেউ ক্রোধের বশবর্তী হয়ে যুদ্ধ করে, আবার কেউ নিজস্ব অহমিকা (চাই তা গোত্রীয় বা জাতিগত যাই হোক তা) ঠিক রাখার জন্য যুদ্ধ করে।
তখন রাসূল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশ্নকারীর প্রতি মাথা উঠিয়ে বললেনঃ "যে আল্লাহর কালেমা (তাওহীদ/দ্বীন/কুরআন) কে বুলন্দ করার জন্য যুদ্ধ করে সে মহান আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করল। [বুখারীঃ ১২৩]
কোন কোন মুফাসসির এখানে উপরোক্ত তিনটি অর্থই গ্রহণ করেছেন। [মুয়াসসার]।
******
প্রশ্নঃ- কিতাল কেন করব?
উত্তরঃ- আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়নের জন্য করব।
আল্লাহ তাআলা বলেন
আত-তাওবাহ
قَاتِلُوۡہُمۡ یُعَذِّبۡہُمُ اللّٰہُ بِاَیۡدِیۡکُمۡ وَ یُخۡزِہِمۡ وَ یَنۡصُرۡکُمۡ عَلَیۡہِمۡ وَ یَشۡفِ صُدُوۡرَ قَوۡمٍ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿ۙ۱۴﴾
তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, আল্লাহ তোমাদের হাতে তাদেরকে আযাব দেবেন এবং তাদেরকে অপদস্থ করবেন, আর তোমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য করবেন এবং মুমিন কওমের অন্তরসমূহকে চিন্তামুক্ত করবেন।
وَ یُذۡہِبۡ غَیۡظَ قُلُوۡبِہِمۡ ؕ وَ یَتُوۡبُ اللّٰہُ عَلٰی مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۱۵﴾
আর তাদের অন্তরসমূহের ক্রোধ দূর করবেন এবং আল্লাহ যাকে চান তার তাওবা কবুল করেন। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
*****
হে আল্লাহ তুমি আমাদের সবাইকে দীনের জন্য কবুল কর।
শুহাদাদের অন্তর্ভুক্ত কর। আমীন।
لَعَلَّکَ بَاخِعٌ نَّفۡسَکَ اَلَّا یَکُوۡنُوۡا مُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۳﴾
তারা মুমিন হবে না বলে হয়ত তুমি আত্মবিনাশী হয়ে পড়বে।
প্রশ্নঃ- কিভাবে রাসূলের আদর্শ বাস্তবায়ন করব?
উত্তরঃ-
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়ন করেছেন।
আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়নেই রাসূলের আদর্শ বাস্তবায়ন হবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন
لَقَدۡ کَانَ لَکُمۡ فِیۡ رَسُوۡلِ اللّٰہِ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ لِّمَنۡ کَانَ یَرۡجُوا اللّٰہَ وَ الۡیَوۡمَ الۡاٰخِرَ وَ ذَکَرَ اللّٰہَ کَثِیۡرًا ﴿ؕ۲۱﴾
অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।
******
আয়েশা রা. হাদীস ও স্পষ্ট যে কুরআনে কারীম ই রাসূলের আদর্শ
٣- [عن عائشة أم المؤمنين:] سأَلتُ عائشةَ: عن خُلُقِ رسولِ اللهِ ﷺ، قالَتْ: كان خُلُقُ رسولِ اللهِ ﷺ القرآنَ، ثم قرأَتْ
{وَإِنَّكَ لَعَلى خُلُقٍ عَظِيمٍ}
আয়েশা রা. বলেন কুরআনই রাসূলের আদর্শ অতঃপর তিনি উক্ত আয়াত তেলাওয়াত করেন
وَ اِنَّکَ لَعَلٰی خُلُقٍ عَظِیۡمٍ ﴿۴﴾
আর নিশ্চয় তুমি মহান চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত।
প্রশ্নঃ- উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করবেন কি?
উত্তরঃ- উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা সাহাবাদের জবানে শুনুন
[১] আয়াতে উল্লেখিত, “মহৎ চরিত্র” এর অর্থ নির্ধারণে কয়েকটি মত বর্ণিত আছে।
★
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, মহৎ চরিত্রের অর্থ মহৎ দ্বীন। কেননা, আল্লাহ তা‘আলার কাছে ইসলাম অপেক্ষা অধিক প্রিয় কোনো দ্বীন নেই।
★
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, স্বয়ং কুরআন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর “মহৎ চরিত্র”। অর্থাৎ কুরআন পাক যেসব উত্তম কর্ম ও চরিত্র শিক্ষা দেয়, তিনি সেসবের বাস্তব নমুনা।
★
আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “মহৎ চরিত্র” বলে কুরআনের শিষ্টাচার বোঝানো হয়েছে; অর্থাৎ যেসব শিষ্টাচার কুরআন শিক্ষা দিয়েছে। [কুরতুবী]
★
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নৈতিক চরিত্রের সর্বোত্তম সংজ্ঞা দিয়েছেন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা। তিনি বলেছেন, কুরআনই ছিলো তার চরিত্র। [মুসনাদে আহমাদ: ৬/৯১]
★
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বৰ্ণনা করেছেন, “আমি দশ বছর যাবত রাসূলুল্লাহ্র খেদমতে নিয়োজিত ছিলাম। আমার কোন কাজ সম্পর্কে তিনি কখনো উহ! শব্দ পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি। আমার কোন কাজ দেখে কখনো বলেননি, তুমি এ কাজ করলে কেন? কিংবা কোন কাজ না করলে কখনো বলেননি, তুমি এ কাজ করলে না কেন? [বুখারী: ৬০৩৮, মুসলিম: ২৩০৯]
★
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সত্তায় আল্লাহ্ তা‘আলা যাবতীয় উত্তম চরিত্র পূর্ণমাত্রায় সন্নিবেশিত করে দিয়েছিলেন। তিনি নিজেই বলেন, “আমি উত্তম চরিত্রকে পূর্ণতা দান করার জন্যই প্রেরিত হয়েছি।” [মুসনাদে আহমাদ: ২/৩৮১, মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/৬৭০]
প্রশ্নঃ- এর দ্বারা কি বুঝে আসছে তা বলবেন কি?
উত্তরঃ- হুদুদের বিধান বাস্তবায়ন, কিছাছের বিধান বাস্তবায়ন, দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য কিতাল করা, একাধিক বিবাহ যা আমাদের দেশে ঘৃণার চোখে দেখে, কিতালের জন্য উদ্বুদ্ধ করা। ইত্যাদি । সবগুলোই রাসূলের আদর্শ।
*****
প্রশ্নঃ- কাফের সম্প্রদায় মুসলমানদের সাথে কেন লড়াই করে?
উত্তরঃ- তাদের মত কাফের বানানোর জন্য
وَدُّوۡا لَوۡ تَکۡفُرُوۡنَ کَمَا کَفَرُوۡا فَتَکُوۡنُوۡنَ سَوَآءً
তারা কামনা করে, যদি তোমরা কুফরী করতে যেভাবে তারা কুফরী করেছে। অতঃপর তোমরা সমান হয়ে যেতে।
********
وَ لَا یَزَالُوۡنَ یُقَاتِلُوۡنَکُمۡ حَتّٰی یَرُدُّوۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِکُمۡ اِنِ اسۡتَطَاعُوۡا ؕ وَ مَنۡ یَّرۡتَدِدۡ مِنۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِہٖ فَیَمُتۡ وَ ہُوَ کَافِرٌ فَاُولٰٓئِکَ حَبِطَتۡ اَعۡمَالُہُمۡ فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ۚ وَ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۲۱۷﴾
আর তারা তোমাদের সাথে লড়াই করতে থাকবে, যতক্ষণ না তোমাদেরকে তোমাদের দীন থেকে ফিরিয়ে দেয়, তারা যদি পারে। আর যে তোমাদের মধ্য থেকে তাঁর দীন থেকে ফিরে যাবে, অতঃপর কাফির অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে, বস্তুত এদের আমলসমূহ দুনিয়া ও আখিরাতে বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং তারাই আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।
প্রশ্নঃ- মুসলমানদেরকে কাফেরদের সাথে জান্নামের অধিবাসী বানানোর জন্য কাফের সম্প্রদায় কতদিন লড়াই করবে?
উত্তরঃ- আল্লাহ তাআলা বলেন
وَ لَا یَزَالُوۡنَ یُقَاتِلُوۡنَکُمۡ حَتّٰی یَرُدُّوۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِکُمۡ اِنِ اسۡتَطَاعُوۡا ؕ আর তারা তোমাদের সাথে লড়াই করতে থাকবে, যতক্ষণ না তোমাদেরকে তোমাদের দীন থেকে ফিরিয়ে দেয়, তারা যদি পারে। -
প্রশ্নঃ- সকল মুসলমান এক সাথে দ্বীন থেকে সরে যাবে কি?
অর্থাৎ অমুসলিম হয়ে যাবে কি?
উত্তরঃ- না। কখনো না।
প্রশ্নঃ- কিভাবে বুঝলেন যে সকল মুসলমান একসাথে দীন থেকে সরবে না?
উত্তরঃ- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
٨- لا تزالُ طائفةٌ من أمتي على الحقِّ منصورةٌ
ابن باز (ت ١٤١٩)، مجموع فتاوى ابن باز ٣٢٥/٣ • صحيح • شرح رواية أخرى
আমার উম্মতের একটা দল সাহায্য প্রাপ্ত , সর্বদা হক্বের উপর থাকবে
প্রশ্নঃ- মুসলমানদের সাথে কাফেরদের লড়াইয়ের কোন সময়সীমা আছে কি?
উত্তরঃ-
عن عمران بن حصين أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: لا تزال طائفة من أمتي يقاتلون على الحق ظاهرين على من ناوأهم حتى يقاتل آخرهم المسيح الدجال.
(مسند أحمد، 33/149، رقم الحديث: 19920، سنن أبي داود، كتاب الجهاد،
‘ইমরান ইবন হুসাইন (রাযি) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মুসলিমদের একদল সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে/সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য শত্রুদের উপর বিজয়ী হয়ে তাদের সর্বশেষ দল দাজ্জালের সঙ্গে যুদ্ধ করা পর্যন্ত সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে যাবে’। (মুসনাদে আহমাদ, ৩৩/১৪৯, হাদীস নং: ১৯৯২০, সুনানে আবু দাউদ, পৃ: ৫৪৯, হাদীস নং: ২৪৮৪, মুসতাদরাকে হাকীম, ২/২০১-২০২, হাদীস নং: ২৪৩৯ ও ৫/৩৬৩, হাদীস নং: ৮৫৬৩)
*****
প্রশ্নঃ- (আমরা) মুসলমানগণ কাফেরদের সাথে কতদিন লড়াই করব?
উত্তরঃ- ফিতনার অবসান হওয়া এবং দীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যাওয়া পর্যন্ত।
8:39 وَ قَاتِلُوۡہُمۡ حَتّٰی لَا تَکُوۡنَ فِتۡنَۃٌ وَّ یَکُوۡنَ الدِّیۡنُ کُلُّہٗ لِلّٰہِ ۚ فَاِنِ انۡتَہَوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۳۹﴾
আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। তবে যদি তারা বিরত হয় তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ তারা যা করে সে বিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা।
প্রশ্নঃ- ফেৎনা ও দ্বীন সম্পর্কে কিছু বলবেন কি?
উত্তরঃ- [১] এ আয়াতে বর্ণিত ফেৎনা ও দ্বীন শব্দ দুটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ব্যবহার অনুযায়ী আয়াতে শব্দ দুটির একাধিক অর্থ করা হয়ে থাকেঃ
##
এক. ফেৎনা অর্থ কুফর ও শির্ক আর দ্বীন অর্থ ইসলাম।
★ আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও এই বিশ্লেষণই বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং এই তাফসীর অনুযায়ী আয়াতের অর্থ হবে, মুসলিমদেরকে কাফেরদের বিরুদ্ধে ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ করে যেতে হবে যতক্ষণ না শির্ক ও কুফর নিঃশেষিত হয়ে যায়। [তাবারী; ইবন কাসীর]
এক্ষেত্রে এ নির্দেশের উদ্দেশ্য হবে কিয়ামত পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে জিহাদ চালিয়ে যাওয়া যতক্ষণ না দুনিয়া থেকে শির্ক ও কুফর নিঃশেষিত না হবে বা শির্কের প্রভাব কমে না যাবে।
##
দুই, যা আব্দুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা প্রমূখ সাহাবায়ে কেরামের উদ্ধৃতিতে বর্ণিত হয়েছে, তা হচ্ছে, ফেৎনা হচ্ছে দুঃখ-দুর্দশা ও বিপদাপদের ধারা, পক্ষান্তরে ‘দ্বীন’ শব্দের অর্থ প্রভাব ও বিজয়। মক্কার কাফেররা সদাসর্বদা মুসলিমদের উপর এ ফেৎনা অব্যাহত রেখেছিল যতক্ষণ পর্যন্ত তারা মক্কায় অবস্থান করছিলেন। প্রতি মুহুর্তে তাদের অবরোধে আবদ্ধ থেকে নানা রকম কষ্ট সহ্য করে গেছেন। তারপর যখন তারা মদীনায় হিজরত করেন, তারপরও গোটা মদীনা আক্রমণের মাধ্যমে তাদের হিংসা-রোষই প্রকাশ পেতে থাকে। এ ক্ষেত্রে আয়াতের ব্যাখ্যা হবে যে, মুসলিমগণকে কাফেরদের বিরুদ্ধে ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ করতে থাকা কর্তব্য, যতক্ষণ না তারা অন্যায়-অত্যাচার-উৎপীড়ন থেকে মুক্তি লাভ করতে সমর্থ হন, মুসলিমগণ আপন দ্বীন পালন করতে কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন না হয়। [ইবন কাসীর]
তিন. আয়াতের তৃতীয় আরেকটি অর্থ হচ্ছে, এখানে জিহাদ করার আসল উদ্দেশ্য ব্যক্ত করা হয়েছে।
এ উদ্দেশ্যের নেতিবাচক দিক হচ্ছে ফেৎনা না থাকা
আর ইতিবাচক দিক হচ্ছে দ্বীন সম্পূর্ণরূপে কেবল আল্লাহর জন্য হবে।
কেবলমাত্র এ সর্বাত্মক উদ্দেশ্যের জন্য লড়াই করাই মুসলিমদের জন্য জায়েয বরং ফরয।
তা ব্যতীত অপর কোন উদ্দেশ্যে লড়াই করা মোটেই জায়েয নহে। তাতে অংশগ্রহণও ঈমানদার লোকদের শোভা পায় না। এ মতের সমর্থন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদীসে পাই, তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কি? আমাদের কেউ কেউ ক্রোধের বশবর্তী হয়ে যুদ্ধ করে, আবার কেউ নিজস্ব অহমিকা (চাই তা গোত্রীয় বা জাতিগত যাই হোক তা) ঠিক রাখার জন্য যুদ্ধ করে।
তখন রাসূল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশ্নকারীর প্রতি মাথা উঠিয়ে বললেনঃ "যে আল্লাহর কালেমা (তাওহীদ/দ্বীন/কুরআন) কে বুলন্দ করার জন্য যুদ্ধ করে সে মহান আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করল। [বুখারীঃ ১২৩]
কোন কোন মুফাসসির এখানে উপরোক্ত তিনটি অর্থই গ্রহণ করেছেন। [মুয়াসসার]।
******
প্রশ্নঃ- কিতাল কেন করব?
উত্তরঃ- আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়নের জন্য করব।
আল্লাহ তাআলা বলেন
আত-তাওবাহ
قَاتِلُوۡہُمۡ یُعَذِّبۡہُمُ اللّٰہُ بِاَیۡدِیۡکُمۡ وَ یُخۡزِہِمۡ وَ یَنۡصُرۡکُمۡ عَلَیۡہِمۡ وَ یَشۡفِ صُدُوۡرَ قَوۡمٍ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿ۙ۱۴﴾
তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, আল্লাহ তোমাদের হাতে তাদেরকে আযাব দেবেন এবং তাদেরকে অপদস্থ করবেন, আর তোমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য করবেন এবং মুমিন কওমের অন্তরসমূহকে চিন্তামুক্ত করবেন।
وَ یُذۡہِبۡ غَیۡظَ قُلُوۡبِہِمۡ ؕ وَ یَتُوۡبُ اللّٰہُ عَلٰی مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۱۵﴾
আর তাদের অন্তরসমূহের ক্রোধ দূর করবেন এবং আল্লাহ যাকে চান তার তাওবা কবুল করেন। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
*****
হে আল্লাহ তুমি আমাদের সবাইকে দীনের জন্য কবুল কর।
শুহাদাদের অন্তর্ভুক্ত কর। আমীন।
Comment