Announcement

Collapse
No announcement yet.

(21) আপনি কি সিরাতে মুস্তাকীম (সঠিক পথ) এর পরিচয় জানতে ইচ্ছুক?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • (21) আপনি কি সিরাতে মুস্তাকীম (সঠিক পথ) এর পরিচয় জানতে ইচ্ছুক?

    (21) আপনি কি সিরাতে মুস্তাকীম (সঠিক পথ) এর পরিচয় জানতে ইচ্ছুক?

    وَ مَنۡ یَّقۡتُلۡ مُؤۡمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآؤُہٗ جَہَنَّمُ خٰلِدًا فِیۡہَا وَ غَضِبَ اللّٰہُ عَلَیۡہِ وَ لَعَنَہٗ وَ اَعَدَّ لَہٗ عَذَابًا عَظِیۡمًا ﴿۹۳﴾

    আর যে ইচ্ছাকৃত কোন মুমিনকে হত্যা করবে, তার প্রতিদান হচ্ছে জাহান্নাম, সেখানে সে স্থায়ী হবে। আর আল্লাহ তার উপর ক্রুদ্ধ হবেন, তাকে লা‘নত করবেন এবং তার জন্য বিশাল আযাব প্রস্তুত করে রাখবেন।

    প্রশ্নঃ- ইচ্ছাকৃত কোন মুমিনকে হত্যা করলে তার হুকুম কি হবে?

    উত্তরঃ- ইচ্ছাকৃত কোন মুমিনকে হত্যা করলে তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
    وَ مَنۡ یَّقۡتُلۡ مُؤۡمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآؤُہٗ جَہَنَّمُ خٰلِدًا فِیۡہَا

    আর যে ইচ্ছাকৃত কোন মুমিনকে হত্যা করবে, তার প্রতিদান হচ্ছে জাহান্নাম, সেখানে সে স্থায়ী হবে।

    প্রশ্নঃ- সে তাতে কতদিন থাকবে?

    উত্তরঃ- তার ঠিকানা স্থায়ী জাহান্নাম হবে।

    আল্লাহ তাআলা বলেন

    فَجَزَآؤُہٗ جَہَنَّمُ خٰلِدًا فِیۡہَا
    তার প্রতিদান হচ্ছে জাহান্নাম, সেখানে সে স্থায়ী হবে।

    প্রশ্নঃ- ইচ্ছাকৃত কোন মুমিনকে হত্যা করলে সে মুসলমান থাকবে কি?

    উত্তরঃ- আয়াত দ্বারা স্পষ্ট সে মুসলমান থাকবে না।
    কারণ মুসলমানদের জন্য স্থায়ীভাবে জাহান্নাম হয় না।

    আল্লাহ তাআলা বলেন
    وَ مَنۡ یَّقۡتُلۡ مُؤۡمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآؤُہٗ جَہَنَّمُ خٰلِدًا فِیۡہَا
    আর যে ইচ্ছাকৃত কোন মুমিনকে হত্যা করবে, তার প্রতিদান হচ্ছে জাহান্নাম, সেখানে সে স্থায়ী হবে।

    2) হাদীসে বর্ণিত আছে

    ١- [عن عبدالله بن عمر:] من قتل مؤمنًا متعمِّدًا فقد كفر باللهِ

    যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত কোন মুমিনকে হত্যা করে সে কাফের হয়ে যায়।

    প্রশ্নঃ- ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি কী?

    উত্তরঃ- উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা তার ৫ টি শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন।
    وَ مَنۡ یَّقۡتُلۡ مُؤۡمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآؤُہٗ جَہَنَّمُ خٰلِدًا فِیۡہَا وَ غَضِبَ اللّٰہُ عَلَیۡہِ وَ لَعَنَہٗ وَ اَعَدَّ لَہٗ عَذَابًا عَظِیۡمًا ﴿۹۳﴾

    আর যে ইচ্ছাকৃত কোন মুমিনকে হত্যা করবে,

    1) তার প্রতিদান হচ্ছে জাহান্নাম,

    2) সেখানে সে স্থায়ী হবে।

    3) আর আল্লাহ তার উপর ক্রুদ্ধ হবেন,

    4) তাকে লা‘নত করবেন এবং

    5) তার জন্য বিশাল আযাব প্রস্তুত করে রেখেছেন।

    [১] আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেনঃ

    যখন সূরা আল-ফুরকানের এ আয়াত নাযিল হল

    “আর তারা আল্লাহর সাথে কোন ইলাহকে ডাকে না। আল্লাহ যার হত্যা নিষেধ করেছেন, যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যে এগুলো করে, সে শাস্তি ভোগ করবে”। [আয়াতঃ ৬৮]

    তখন মক্কার মুশরিকরা বলতে লাগল, আমরা তো আল্লাহর হারাম করা আত্মাকে হত্যা করেছি, আল্লাহর সাথে অন্যান্য ইলাহকেও ডেকেছি এবং ব্যভিচারও করেছি।
    ফলে আল্লাহ তা’আলা নাযিল করলেন “তারা নয়, যারা তাওবা করে, ঈমান আনে” সুতরাং এই আয়াতটুকু ঐ সমস্ত লোকদের জন্য যাদের কথা পূর্বে এসেছে।
    কিন্তু সূরা আন-নিসার আয়াত “কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম; সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হবেন, তাকে লা’নত করবেন এবং তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত রাখবেন”।
    এখানে ঐ লোককে উদ্দেশ্য করা হয়েছে, যে ইসলামকে ভালভাবে জানল, শরী’আতকে বুঝল, তারপর কোন মুমিনকে হত্যা করল-
    তার শাস্তি হবে জাহান্নাম। [বুখারীঃ ৩৮৫৫, ৪৭৬৪-৪৭৬৬, মুসলিমঃ ৩০২৩]
    আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা আরো বলেনঃ এটি সর্বশেষ নাযিলকৃত আয়াতসমূহের অন্তর্ভুক্ত। একে কোন কিছু রহিত করেনি। [বুখারীঃ ৪৫৯০, মুসলিমঃ ৩০২৩]
    এতে বুঝা যায় যে, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমার মত হল, যদি কেউ কোন মুমিনকে জেনেশুনে ইচ্ছাকৃত হত্যা করে, তবে তার শাস্তি জাহান্নাম অবধারিত।
    আব্দুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লম বলেছেনঃ একজন মুমিন ব্যক্তি তার দ্বীনের ব্যাপারে মুক্তির সুযোগের মধ্যে থাকে যতক্ষন সে কোন ব্যক্তিকে অবৈধভাবে হত্যা না করে। [বুখারীঃ ৬৮৬২]

    প্রশ্নঃ- মোমেনদের হত্যাকারীর তাওবা কবুল হবে কি?

    উত্তরঃ- অন্য এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘আল্লাহ তা’আলা মুমিনের হত্যাকারীর জন্য তাওবাহ্‌ কবুল করতে আমার নিকট অস্বীকার করেছেন’। [আল-আহাদীসুল মুখতারাহঃ ৬/১৬৩, নং-২১৬৪]

    প্রশ্নঃ- হত্যাকারী ব্যক্তি ও হত্যাকৃত ব্যক্তি উভয় কি জাহান্নামের অধিবাসী হবে?

    উত্তরঃ- হ্যাঁ।
    অন্য হাদীসে এসেছে, আবু বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন দু’ মুসলিম তাদের অস্ত্র নিয়ে একে অপরের মুখোমুখি হয় তখন হত্যাকারী ব্যক্তি ও হত্যাকৃত ব্যক্তি উভয়ই জাহান্নামী।
    আবু বাকরাহ বলেন, আমি বললামঃ
    হে আল্লাহর রাসূল! হত্যাকারীর ব্যাপারটা তো স্পষ্ট,

    কিন্তু হত্যাকৃত ব্যক্তির কি অপরাধ? তিনি জবাব দিলেন যে, সে তার সাথীকে হত্যা করার লালস করছিল। [বুখারীঃ ৬৮৭৫, মুসলিমঃ ২৮৮৮]

    প্রশ্নঃ- কিয়ামত দিবসে সর্ব প্রথম কাদের বিচার অনুষ্ঠিত হবে?

    উত্তরঃ- হাদীসে আরো এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেয়ামতের দিন প্রথম বিচার অনুষ্ঠিত হবে মানুষের রক্তক্ষরণ তথা হত্যার ব্যাপারে। [বুখারীঃ ৬৮৬৪, মুসলিমঃ ১৬৭৮]

    প্রশ্নঃ- কিয়ামত দিবসে হত্যাকারীর অবস্থা কেমন হবে?

    উত্তরঃ- অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
    হত্যাকারী কিয়ামতের দিন এমনভাবে উপস্থিত হবে যে, হত্যাকৃত ব্যক্তি হত্যাকারীর মাথা ধরে রাখবে এবং বলবেঃ

    হে রব! আপনি একে প্রশ্ন করুন, কেন আমাকে হত্যা করেছে?

    [ইবন মাজাহঃ ২৬২১, মুসনাদে আহমাদঃ ১/২৪০]
Working...
X