Announcement

Collapse
No announcement yet.

দিকে দিকে আজ সুন্নাতুল্লাহর বাস্তবায়ন; কিন্তু আমাদের অবস্থান কি?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দিকে দিকে আজ সুন্নাতুল্লাহর বাস্তবায়ন; কিন্তু আমাদের অবস্থান কি?

    দিকে দিকে আজ সুন্নাতুল্লাহর বাস্তবায়ন; কিন্তু আমাদের অবস্থান কি?

    কাফের-মুনাফিকদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালার রীতি এটাই যে, তিনি দুনিয়াতেই তাদের শাস্তি দিবেন, ধ্বংস করবেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন,

    لَئِنْ لَمْ يَنْتَهِ الْمُنَافِقُونَ وَالَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ وَالْمُرْجِفُونَ فِي الْمَدِينَةِ لَنُغْرِيَنَّكَ بِهِمْ ثُمَّ لَا يُجَاوِرُونَكَ فِيهَا إِلَّا قَلِيلًا مَلْعُونِينَ أَيْنَمَا ثُقِفُوا أُخِذُوا وَقُتِّلُوا تَقْتِيلًا سُنَّةَ اللَّهِ فِي الَّذِينَ خَلَوْا مِنْ قَبْلُ وَلَنْ تَجِدَ لِسُنَّةِ اللَّهِ تَبْدِيلًا -الأحزاب: 60 - 62

    মুনাফেকগণ, যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে এবং যারা নগরে গুজব রটিয়ে বেড়ায় তারা যদি বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই এমন করবো যে, তুমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, ফলে তারা এ নগরে তোমার সাথে অল্প কিছুদিনই অবস্থান করতে পারবে- অভিশপ্তরূপে। অতপর তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে পাকড়াও করা হবে এবং তাদেরকে এক-এক করে হত্যা করে হবে।এটা আল্লাহর রীতি যা পূর্বে গত হওয়া (কাফেরদের) ক্ষেত্রেও কার্যকর ছিল। তুমি কখনোই আল্লাহর রীতিতে পরিবর্তন পাবে না। -সূরা আহযাব: ৬০-৬২

    সুতরাং আজ আফগান-ইয়ামান-মালি-সোমালিয়ায় যে কাফের ও মুসলিম নামধারী মুনাফিকরা নিহত হচ্ছে, তা আল্লাহ তায়ালার এই সুন্নাহ বা রীতিরই বাস্তবায়ন। তা আমাদের ভালো লাগুক বা নাই লাগুক এবং কাফেদের তৈরি তথাকথিত মানবতার মাপকাঠিতে তা উত্তীর্ণ হোক না না হোক, এতে কিছু আসে যায় না। আল্লাহ তায়ালা তার একদল বান্দাদের দিয়ে এই রীতি চালু রাখবেনই। কারণ এ এক অমোঘ ও অপরিবর্তনীয় রীতি। হাঁ এর পদ্ধতি পরিবর্তিত হয়েছে। পূর্ববর্তী উম্মতদের আল্লাহ তায়ালা সরাসরি শাস্তি দিয়ে ধ্বংস করেছেন। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের পর হতে আল্লাহ তায়ালা কাফের-মুনাফিকদের সরাসরি শাস্তি দিবেন না, বরং আমাদের মাধ্যমে শাস্তি দিবেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন,

    {قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللَّهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنْصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَيُذْهِبْ غَيْظَ قُلُوبِهِمْ وَيَتُوبُ اللَّهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ- التوبة: 14، 15

    “তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করো, যাতে আল্লাহ তোমাদের হাতে তাদেরকে শাস্তি দান করবেন, তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং মুমিনদের অন্তর জুড়িয়ে দেন। এবং তাদের মনের ক্ষোভ দূর করবেন। আল্লাহ যার প্রতি ইচ্ছা তার তাওবা কবুল করেন। আল্লাহর জ্ঞানও পরিপূর্ণ, তাঁর হিকমত পরিপূর্ণ। -সূরা তাওবা: ১৪-১৫

    এজন্য বর্তমানে এই সুন্নাতুল্লাহর ক্ষেত্রে আমরা তিনটি অবস্থানের কোন একটি গ্রহণ করতে পারি, বুদ্ধিমান যেন ভেবে দেখেন, তিনি কোনটি গ্রহণ করবেন:-

    ১. এ সুন্নাহর বিরোধিতা করা। বিশ্বে চলমান সকল জিহাদকে শরিয়তবিরোধী সন্ত্রাস আখ্যা দেয়া। জিহাদের মনগড়া নানা শর্ত আবিষ্কার করে তার ভিত্তিতে বর্তমান জিহাদকে অবৈধ ঘোষণা দেয়া। নিঃসন্দেহে এটা হবে আল্লাহ তায়ালার সুন্নাহ ও রীতির বিরোধিতা। তার বিপক্ষে অবস্থান। এ অবস্থান গ্রহণ করলে অযথাই আমাদের আখেরাত বরবাদ হবে, কারণ দুনিয়াতে নিরাপদ থাকার জন্য এমন অবস্থানগ্রহণ জরুরী নয়। বরং এ হলো নিরেট অহংকার। কেউ আমাদের চেয়ে দ্বীনি কাজে এগিয়ে গেছে তা মেনে নিতে কষ্ট হওয়া। নিজেদের দুর্বলতা ও কাপুরুষতা স্বীকার করার পরিবর্তে তাকেই দূরদর্শিতার মোড়কে পেশ করা। যেমনটা উহুদের যুদ্ধের সময় মুনাফিকরা করেছিল। তারা যুদ্ধে রওয়ানা হওয়ার পর মাঝপথ হতে এ কথা বলে ফিরে এসেছিল, لَوْ نَعْلَمُ قِتَالا لاتَّبَعْنَاكُمْ ‘যদি আমরা এটাকে যুদ্ধ মনে করতাম, তাহলে আমরা যুদ্ধে শরিক হতাম’। অর্থাৎ এটা তো যুদ্ধ না, বরং আত্মহত্যা, যুদ্ধ তো হয় উভয় পক্ষের শক্তি সমান হলে। (দেখুন, সূরা আলে ইমরান: ১৬৭ তাফসীরে আবুস সাউদ: ২/১২০ তাওযীহুল কুরআন: ১/২১৯)

    ২. আল্লাহ তায়ালার এই সুন্নাহ বাস্তবায়নে সক্রিয় কর্মী হওয়া। যেহেতু আল্লাহ তায়ালা আমাদের হাতেই এর বাস্তবায়ন করবেন, তো যদি আমরা এর বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ করতে পারি তাহলে তা হবে মহাসৌভাগ্য। এর মাধ্যমে আমরা মৌখিক ইমানকে কর্মে রূপান্তরিত করে সিদ্দিকিনদের (যারা কথাকে কাজের মাধ্যমে সত্যায়ন করে) অন্তর্ভুক্ত হতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা বলেন,

    ِاِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا وَجَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ -الحجرات: 15

    মুমিন তো তারা, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অন্তর দিয়ে স্বীকার করেছে, তারপর কোন সন্দেহে পড়েনি এবং তাদের জান-মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে। তারাই তো সত্যবাদী। -সূরা হুজুরাত: ১৫

    অপর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,

    مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا لِيَجْزِيَ اللَّهُ الصَّادِقِينَ بِصِدْقِهِمْ وَيُعَذِّبَ الْمُنَافِقِينَ إِنْ شَاءَ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا - الأحزاب: 23، 24

    ‘মুমিনদের মধ্যে এমন লোকও আছে, যারা আল্লাহর সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতিকে সত্যে পরিণত করেছে এবং তাদের মধ্যে এমন লোকও আছে, যারা তাদের নজরানা আদায় করেছে (শাহাদাত বরণ করেছে) এবং আছে এমন কিছু লোক, যারা এখনও (শাহাদাতের) প্রতীক্ষায় আছে। আর তারা (তাদের ইচ্ছার ভেতর) কিছুমাত্র পরিবর্তন ঘটায়নি। (এ ঘটনা ঘটানোর কারণ) আল্লাহ সত্যনিষ্ঠদেরকে তাদের সততার পুরস্কার দিবেন এবং মুনাফিকদেরকে ইচ্ছা করলে শাস্তি দিবেন অথবা তাদের তাওবা কবুল করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। -সূরা আহযাব: ২৩-২৪

    গ. শুধু আন্তরিক সমর্থন জানানো। অর্থাৎ এ সুন্নাহকে সমর্থন করা স্বত্বেও নিজেদের দুর্বলতার কারণে সক্রিয় কোন ভূমিকা না রাখা। শুধু অন্তরে সমর্থন জানানো। এতে যদিও আমাদের ফরয তরকের গুনাহ হবে, তবে যদি আমরা এর কারণে অনুতপ্ত হই, ইস্তেগফার করি, নিজেদের নিরাপত্তা শতভাগ ঠিক রেখে যতটুকু সমর্থন করা যায় ততটুকু করি, বা কমপক্ষে বিরোধিতা না করি, তবে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা আমাদের ক্ষমা করে দিবেন। নিশ্চয়ই সকলের ইমান ও সাহস সমান না। ইলম শিখা অনেকের জন্য সম্ভব হলেও তা প্রকাশ করার মতো বুকের পাটা সবার থাকে না। তাই যদি আলেমগণ কমপক্ষে এ অবস্থান গ্রহণ করতেন, তবেই আমরা সন্তুষ্ট থাকতাম। কিন্তু তারা সুন্নাতুল্লাহর সম্পূর্ণরূপে বিরোধিতা করে বসলেন। কাফেরদের সাথে শান্তি ও সম্প্রীতিতে বসবাসের দিবাস্বপ্নে বিভোর হলেন। বরং আরো বেড়ে শাসকদের পক্ষাবলম্বন শুরু করলেন। অথচ মানবরচিত বিধান দ্বারা দেশ পরিচালনাকারী এ শাসকদের তাগুত ও মুনাফিক হওয়া তো কুরআন-সুন্নাহ হতে স্পষ্ট। আর মুজাহিদদের বিপক্ষে তাগুতের পক্ষাবলম্বন তো অত্যন্ত ভয়াবহ। ইরশাদ হয়েছে,

    الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا . (سورة النساء:76)

    “যারা ইমানদার তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাস্তায়। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে তাগুতের পক্ষে। সুতরাং তোমরা যুদ্ধ করতে থাক শয়তানের পক্ষালবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে-(দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত নিতান্তই দুর্বল।” –সূরা নিসা: ৭৬

    الجهاد محك الإيمان

    জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

  • #2
    মাশা আল্লাহ, অনেক উপকারী একটি পোস্ট।
    আল্লাহ কবুল করুন। বারাকাল্লাহু ফিক। আমীন।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 09-09-2020, 04:15 PM.
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি। ইদানীং ছাত্রসমাজ অনেকেই দ্বীন কায়েমের প্রেরণা নিয়ে/ জিহাদের প্রেরণা নিয়ে পড়ালেখা করে না। আমি দেখেছি অনেক ভালো আলিম হয়েছেন, অনেক যোগ্যতা,আরবীতে অনেক মাহের কিন্তু জিহাদের পথে আসেন না। ওদের ইলম অর্জনের মাকছাদ কী ছিলো? দাওয়ারার(দাওরার) পরে অনেকে ইফতা করে, অনেকে কুল্লিয়া/ আরবি পড়ে। এরপর চাকরি খুজা(খোঁজা) শুরু করে দেন। চাকরি তো করাই লাগবে কিন্তু ইলম অর্জনের মাকছাদ ভুলে গিয়ে চাকরি করলে এমন বোঝা যায় যে, ইলম অর্জন করেছে টাকার জন্য। কেউ কেউ সমকালীন ওয়াজের মাঠ দখল করার জন্য ব্যস(ব্যস্ত) হয়ে পড়েন। আর ওয়াজ করে রিজভীদের বিরুদ্ধে, আর জামাতের বিরুদ্ধে। কতখানি কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে। আর ত্বাগুত সরকারের কাছে কাদিয়ানীরা কাফের আইন করার জন্য শ্লোগান দেয়!! নিজেরাই ত্বাগুতকে আইন করার জন্য বলে। অথচন আইন করার অধিকার একমাত্র আল্লাহর। এরপর ত্বাগুত তাদের কথায় কোনই কান দেয় না। যারা কাদিয়ানীদের প্রতিপালন করে তাদের কাছে কাফের ঘোষণার আইন করার আন্দোলন করে! কাদিয়ানীরা জিন্দেগ(জিন্দিক), আর জিন্দিগের(জিন্দিকের) একমাত্র শাস্তি হলো হত্যা করা। তা না করে আইন করার আন্দোলন করে। কিন্তু ত্বাগুত তাদের কথার কোন পাত্তাই দেয় না। একটি মাদ্রাসায় দু-একজন যারাই থাকে জিহাদের পক্ষে তাদেরকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে কার্যক্রম বন্ধ রাখে/ শিক্ষককে বহিষ্কার করে। ছাত্র হলে তো কোন কথায় নেই ধরা খাওয়ার সাথে সাথে বহিষ্কার। এক জায়গায় দেখেছি বিশ্বের মুজাহিদ ভাইদের এক লোক দুয়া করে কিন্তু এদেশীয় মুজাহিদ ভাইদের বহিষ্কার করতে ঐ লোকই সাহায্য করে। আস্তাগফিরুল্লাহ।
      আর কেউ কেউ ফারেগের পরে ব্যবসায় লেগে যায় এবং দ্বীন কায়েমের দায়িত্বটুকু ভুলে যায়। আল্লাহ যে, মানুষকে খলিফা হিসেবে প্রেরণ করেছিলো সেই খলিফার দায়িত্ব আদায় করার ইচ্ছাটুকুও ভুলে যায়। আবার কেউ কেউ আছেন পীর-মুরিদিতে লিপ্ত হয়ে যায়। এবং মানুষের বানান(বানানো) বিদাতে(বিদ‘আতে) লিপ্ত হয়ে যায়। আল্লাহ যাদের ইচ্ছা সঠিক পথে অবিচল রাখেন। আল্লাহ যাদের কল্যাণ চাই তারাই হকের উপর অটল থাকে। হে রব আমাদেরকে হকের উপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন আমীন।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

      Comment


      • #4
        হায়! আমাদের অবস্থান কি?
        হে আল্লাহ! আমাদেরকে এই সুন্নাহ বাস্তবায়নে সক্রিয় কর্মী হিসাবে কবুল করুন। আমীন
        প্রিয় ভাই- খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। জাযাকাল্লাহ
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          কিছুদিন পূর্বে টিটিপির মুজাহিদ ভাইদের প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিডিও আমাদের ফোরামে আপলোড হয়েছে, আমি ডাউনলোড করে কয়েকবার দেখে ফেলেছি, যতই দেখি ততই মনে প্রশ্ন উদয় হয় আমার জীবনও তো অতিবাহিত হচ্ছে, তাদের জীবনও অতিবাহিত হচ্ছে, তবে কত ফারাকক। আমি ব্যস্ত আছি দুনিয়াকে নিয়ে, আর ভাইয়েরা ব্যস্ত আখিরাত / ইসলামকে নিয়ে। আ'দ, সামূদ, এ-ই দুই সসম্প্রদায়ের লোকেরা অনেক শান্তিতে ছিলো, কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ড ছিলো আল্লাহদ্রোহী, ফলে আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন। আজকে আমরাও শান্তির পেছনে দৌড়াচ্ছি, কিন্তু ধরতে পারছি না। কারণ আমরা প্রকৃত শান্তির পথ ছেড়ে ভিন্ন পথে হাঠছি।
          সম্মান নেইকো নাচে গানে,
          আছে মর্যাদা বিনিদ্র রজনী ও রণে।

          Comment


          • #6
            হায়! আমাদের অবস্থা কি?
            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ, খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন ।
              "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

              Comment


              • #8
                জাযাকাল্লাহু খাইরান, চমৎকার আলোচনা, আল্লাহ তা`আলা আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুক, আমীন।
                দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
                জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

                Comment


                • #9
                  আমরা ধারণা করি তাগুত সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যাবে না, কারণ হুজ্জাহ কায়েম হতে হবে, সামরিক বাহিনীর অনেক সদস্য প্রাকটিসিং, দ্বীনদার, নামাযী,, ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ এরা দলগত মুরতাদ। দলগত মুরতাদের ক্ষেত্রে প্রতিটা ব্যাক্তির উপর হুজ্জাহ কায়েম চাওয়া অনাবশ্যক নয় কি? এর কোনই আবশ্যকতা নেই। হুজ্জাত কায়েম চাওয়ার চেয়ে মুজাহিদদের অ্যামবুশে তাদের কয়েকটা কুকুর-শেয়ালের মতো রাস্তায় মরে পড়ে থাকলে এটাই হবে পরবর্তীদের জন্য বড় নিদর্শন, বড় হুজ্জাহ।
                  সুতরাং আজ আফগান-ইয়ামান-মালি-সোমালিয়ায় যে কাফের ও মুসলিম নামধারী মুনাফিকরা নিহত হচ্ছে, তা আল্লাহ তায়ালার এই সুন্নাহ বা রীতিরই বাস্তবায়ন। তা আমাদের ভালো লাগুক বা নাই লাগুক এবং কাফেদের তৈরি তথাকথিত মানবতার মাপকাঠিতে তা উত্তীর্ণ হোক না না হোক, এতে কিছু আসে যায় না। আল্লাহ তায়ালা তার একদল বান্দাদের দিয়ে এই রীতি চালু রাখবেনই। কারণ এ এক অমোঘ ও অপরিবর্তনীয় রীতি।
                  আল্লাহ আপনাকে সুস্থ ও সুখী রাখুন। আমাদেরকে আপনাদের থেকে আরও বেশি উপকৃত করুন। আমিন।
                  মুসলিম উম্মাহ তো জিহাদের উম্মাহ!

                  Comment

                  Working...
                  X