(27) আপনি কি সিরাতে মুস্তাকীম (সঠিক পথ) এর পরিচয় জানতে ইচ্ছুক? (6)
اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ الۡعٰمِلِیۡنَ عَلَیۡہَا وَ الۡمُؤَلَّفَۃِ قُلُوۡبُہُمۡ وَ فِی الرِّقَابِ وَ الۡغٰرِمِیۡنَ وَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۶۰﴾
নিশ্চয় সদাকা হচ্ছে ফকীর ও মিসকীনদের জন্য এবং এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য; (তা বণ্টন করা যায়) দাস আযাদ করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
****
‘ফী সাবীলিল্লাহ’ (6)
****
9) সৌদিআরবের রাষ্ট্রীয় মুফতীবোর্ড (আললাজনাতুদ দায়িমা)-এর সিদ্ধান্ত
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মুফতীবোর্ড (আললাজনাতুদ দায়িমা) থেকে একটি প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে:
لا يجوز صرف الزكاة في بناء المساجد والمستشفيات والمؤسسات الخيرية، وقد صدر قرار من هيئة كبار العلماء في المملكة العربية السعودية في هذا الموضوع،… رأى أكثر أعضاء الهيئة الأخذ بقول جمهور العلماء من مفسرين ومحدثين وفقهاء: أن المراد بقوله تعالى {وَفِي سَبِيلِ اللهِ} في آية مصارف الزكاة: الغزاة المتطوعون بغزوهم.
মসজিদ নির্মাণ, হাসপাতাল নির্মাণ ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে যাকাত দেওয়া জায়েয নয়।
এ বিষয়ে সৌদিআরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হয়েছে।
… পরিষদের অধিকাংশের মতামত হল, উক্ত আয়াতে ‘সাবীলুল্লাহ’ দ্বারা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুফাসসির, মুহাদ্দিস ও ফকীহগণ যে মত গ্রহণ করেছেন সেটা গ্রহণ করা অর্থাৎ মুজাহিদগণ, যারা স্বেচ্ছায় জিহাদে গমনকারী, তারাই ‘সাবীলুল্লাহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য। [ফাতাওয়াল লাজনাতিদ দায়িমা ১০/৩৯]
শায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানী রাহ.–এর বক্তব্য যারা ‘সাবীলুল্লাহ‘কে ব্যাপক অর্থবোধক ধরে যে কোনো কল্যাণমূলক কাজ যেমন, ইসলামের জন্য দাওয়াতী প্রোগ্রাম, মসজিদ-মাদরাসা প্রতিষ্ঠা এবং অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কাজকে এর অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছেন
প্রসিদ্ধ সালাফী আলেম শায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানী রাহ.
তাদের খণ্ডনে বলেন:
وهذا التفسير تفسير محدث لا يعرفه السلف الصالح أولا ثم ينافي صريح الآية التي حصرت المصارف للزكاة في الأنواع الثمانية المذكورة فيها.
এই তাফসীরটি নবআবিষ্কৃত তাফসীর। সালাফ তথা পূর্বসূরীগণ এ তাফসীর জানতেনই না। এছাড়া এ ব্যাখ্যা যাকাতের আয়াতের সুস্পষ্ট বিরোধী, যেখানে যাকাতের খাতকে আট প্রকারের মাঝে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। [জামেউ তুরাসিল আল্লামা আলবানী ১০/৫৩০]
কূপ/জলাধার সম্পর্কে সৌদিআরবের রাষ্ট্রীয় মুফতীবোর্ডের ফতোয়া ওয়াক্ফকৃত একটি কূপ সংষ্কার করার কাজে যাকাতের অর্থ ব্যবহার করা সম্পর্কে সৌদিআরবের রাষ্ট্রীয় মুফতীবোর্ড আললাজনাতুদ দায়িমার নিকট প্রশ্ন করা হলে এই ফতোয়া দেওয়া হয়:
بين الله جل وعلا مصارف الزكاة بقوله تعالى: اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلْفُقَرَآءِ وَ الْمَسٰكِیْنِ وَ الْعٰمِلِیْنَ عَلَیْهَا وَ الْمُؤَلَّفَةِ قُلُوْبُهُمْ وَ فِی الرِّقَابِ وَ الْغٰرِمِیْنَ وَ فِیْ سَبِیْلِ اللهِ . فلا يجوز صرفها في غير المصارف التي ذكرها الله تبارك وتعالى، وبناء على ذلك فما جمعته من الزكاة ووجب عليك مستقبلا يجب عليك أن تصرفه في مصارفه الشرعية المبينة في هذه الآية، وليس البئر المذكورة من مصارف الزكاة.
আল্লাহ তাআলা اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلْفُقَرَآءِ وَ الْمَسٰكِیْنِ …
এ আয়াতে [সূরা তাওবা (০৯) : ৬০] যাকাতের খাতসমূহ বলে দিয়েছেন।
অতএব আল্লাহ তাআলার বর্ণিত খাতের বাইরে অন্যত্র যাকাতের অর্থ ব্যয় করা জায়েয নয়।
সুতরাং আপনি যাকাতের যে অর্থ জমা করেছেন এবং ভবিষ্যতে আরো যা জমা হবে, আপনার জন্য আবশ্যক হল, এ আয়াতে যে খাতের কথা বর্ণিত আছে সেখানেই তা খরচ করা।
আর ঐ কূপ যাকাতের খাতসমূহের মধ্যে পড়ে না। [ফাতাওয়াল লাজনাতিদ দায়িমা ১০/৪৩]
কূপ–জলাধার খনন এবং সরাইখানা ও মসজিদ ইত্যাদি নির্মাণে সালাফের কর্মপন্থা সাহাবা-তাবেয়ীন তথা আমাদের মহান পূর্বসূরী সালাফে সালেহীন এ ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজ নফল দান-সদকা, ওয়াক্ফ, হেবা, অসিয়ত ইত্যাদির মাধ্যমে করতেন।
ইসলামের ইতিহাসে নবীযুগে এবং খুলাফায়ে রাশেদীন ও সাহাবা-তাবেয়ীনের যুগে অসংখ্য কূপ/জলাধার তৈরি, মসজিদ নির্মাণ, খেজুর বাগান দান ইত্যাদির ঘটনা পাওয়া যায়।
কিন্তু হাদীস-আসারে এমন একটি বর্ণনাও পাওয়া যায় না যে, তারা যাকাতের অর্থ দিয়ে, মসজিদ-মাদরাসা-সরাইখানা নির্মাণ করেছেন।
বরং সহীহসূত্রে যা পাওয়া যায় তা হল, এসব তারা আল্লাহর রাস্তায় ওয়াক্ফ করে দিয়েছেন। সদকায়ে জারিয়ার উদ্দেশ্যে নফল দান হিসেবে করেছেন।
অথচ ‘ফী সাবীলিল্লাহ’র অর্থ নিঃসন্দেহে আমাদের চেয়ে তাঁরাই ভালো বুঝতেন। কুরআন-সুন্নাহর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সম্পর্কে পরবর্তীদের অপেক্ষা তারা অধিক জ্ঞাত।
শেষকথা হল, কুরআন-সুন্নাহ এবং সালাফের বক্তব্য ও মুজতাহিদ ইমামগণের উক্তির আলোকে এটি সুপ্রমাণিত যে, ‘ফী সাবীলিল্লাহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য হল, আল্লাহর পথে জিহাদকারী মুজাহিদ।
যাকাতের সপ্তম খাত দ্বারা সন্দেহাতীতভাবে তারাই উদ্দেশ্য। একটি মতানুযায়ী দরিদ্র হাজ্বীও এর অন্তর্ভুক্ত। এবং এও প্রমাণিত যে, যাকাত ব্যক্তির হক; কোনো প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কিংবা জনকল্যাণমূলক কোনো কাজ যাকাতের খাত নয়।
এসব কাজে যাকাত আদায় করলে কিছুতেই যাকাত আদায় হবে না।
আর টিভি চ্যানেল প্রতিষ্ঠার জন্য যারা যাকাত গ্রহণ জায়েয হওয়ার কথা বলেন তাদের কথা যে সম্পূর্ণ বাতিল, তা আর ভিন্ন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। যাকাতদাতাদের লক্ষ করা জরুরি যে, যাকাত একটি ইবাদত।
এ ইবাদত থেকে দায়মুক্তি তখনই সম্ভব হবে, যদি তা যথাযথভাবে সঠিক খাতে ব্যয় করা হয়।
অন্যথায় যাকাতের দায় থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।
*****
اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ الۡعٰمِلِیۡنَ عَلَیۡہَا وَ الۡمُؤَلَّفَۃِ قُلُوۡبُہُمۡ وَ فِی الرِّقَابِ وَ الۡغٰرِمِیۡنَ وَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۶۰﴾
নিশ্চয় সদাকা হচ্ছে ফকীর ও মিসকীনদের জন্য এবং এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য; (তা বণ্টন করা যায়) দাস আযাদ করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
****
‘ফী সাবীলিল্লাহ’ (6)
****
9) সৌদিআরবের রাষ্ট্রীয় মুফতীবোর্ড (আললাজনাতুদ দায়িমা)-এর সিদ্ধান্ত
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মুফতীবোর্ড (আললাজনাতুদ দায়িমা) থেকে একটি প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে:
لا يجوز صرف الزكاة في بناء المساجد والمستشفيات والمؤسسات الخيرية، وقد صدر قرار من هيئة كبار العلماء في المملكة العربية السعودية في هذا الموضوع،… رأى أكثر أعضاء الهيئة الأخذ بقول جمهور العلماء من مفسرين ومحدثين وفقهاء: أن المراد بقوله تعالى {وَفِي سَبِيلِ اللهِ} في آية مصارف الزكاة: الغزاة المتطوعون بغزوهم.
মসজিদ নির্মাণ, হাসপাতাল নির্মাণ ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে যাকাত দেওয়া জায়েয নয়।
এ বিষয়ে সৌদিআরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হয়েছে।
… পরিষদের অধিকাংশের মতামত হল, উক্ত আয়াতে ‘সাবীলুল্লাহ’ দ্বারা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুফাসসির, মুহাদ্দিস ও ফকীহগণ যে মত গ্রহণ করেছেন সেটা গ্রহণ করা অর্থাৎ মুজাহিদগণ, যারা স্বেচ্ছায় জিহাদে গমনকারী, তারাই ‘সাবীলুল্লাহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য। [ফাতাওয়াল লাজনাতিদ দায়িমা ১০/৩৯]
শায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানী রাহ.–এর বক্তব্য যারা ‘সাবীলুল্লাহ‘কে ব্যাপক অর্থবোধক ধরে যে কোনো কল্যাণমূলক কাজ যেমন, ইসলামের জন্য দাওয়াতী প্রোগ্রাম, মসজিদ-মাদরাসা প্রতিষ্ঠা এবং অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কাজকে এর অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছেন
প্রসিদ্ধ সালাফী আলেম শায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানী রাহ.
তাদের খণ্ডনে বলেন:
وهذا التفسير تفسير محدث لا يعرفه السلف الصالح أولا ثم ينافي صريح الآية التي حصرت المصارف للزكاة في الأنواع الثمانية المذكورة فيها.
এই তাফসীরটি নবআবিষ্কৃত তাফসীর। সালাফ তথা পূর্বসূরীগণ এ তাফসীর জানতেনই না। এছাড়া এ ব্যাখ্যা যাকাতের আয়াতের সুস্পষ্ট বিরোধী, যেখানে যাকাতের খাতকে আট প্রকারের মাঝে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। [জামেউ তুরাসিল আল্লামা আলবানী ১০/৫৩০]
কূপ/জলাধার সম্পর্কে সৌদিআরবের রাষ্ট্রীয় মুফতীবোর্ডের ফতোয়া ওয়াক্ফকৃত একটি কূপ সংষ্কার করার কাজে যাকাতের অর্থ ব্যবহার করা সম্পর্কে সৌদিআরবের রাষ্ট্রীয় মুফতীবোর্ড আললাজনাতুদ দায়িমার নিকট প্রশ্ন করা হলে এই ফতোয়া দেওয়া হয়:
بين الله جل وعلا مصارف الزكاة بقوله تعالى: اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلْفُقَرَآءِ وَ الْمَسٰكِیْنِ وَ الْعٰمِلِیْنَ عَلَیْهَا وَ الْمُؤَلَّفَةِ قُلُوْبُهُمْ وَ فِی الرِّقَابِ وَ الْغٰرِمِیْنَ وَ فِیْ سَبِیْلِ اللهِ . فلا يجوز صرفها في غير المصارف التي ذكرها الله تبارك وتعالى، وبناء على ذلك فما جمعته من الزكاة ووجب عليك مستقبلا يجب عليك أن تصرفه في مصارفه الشرعية المبينة في هذه الآية، وليس البئر المذكورة من مصارف الزكاة.
আল্লাহ তাআলা اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلْفُقَرَآءِ وَ الْمَسٰكِیْنِ …
এ আয়াতে [সূরা তাওবা (০৯) : ৬০] যাকাতের খাতসমূহ বলে দিয়েছেন।
অতএব আল্লাহ তাআলার বর্ণিত খাতের বাইরে অন্যত্র যাকাতের অর্থ ব্যয় করা জায়েয নয়।
সুতরাং আপনি যাকাতের যে অর্থ জমা করেছেন এবং ভবিষ্যতে আরো যা জমা হবে, আপনার জন্য আবশ্যক হল, এ আয়াতে যে খাতের কথা বর্ণিত আছে সেখানেই তা খরচ করা।
আর ঐ কূপ যাকাতের খাতসমূহের মধ্যে পড়ে না। [ফাতাওয়াল লাজনাতিদ দায়িমা ১০/৪৩]
কূপ–জলাধার খনন এবং সরাইখানা ও মসজিদ ইত্যাদি নির্মাণে সালাফের কর্মপন্থা সাহাবা-তাবেয়ীন তথা আমাদের মহান পূর্বসূরী সালাফে সালেহীন এ ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজ নফল দান-সদকা, ওয়াক্ফ, হেবা, অসিয়ত ইত্যাদির মাধ্যমে করতেন।
ইসলামের ইতিহাসে নবীযুগে এবং খুলাফায়ে রাশেদীন ও সাহাবা-তাবেয়ীনের যুগে অসংখ্য কূপ/জলাধার তৈরি, মসজিদ নির্মাণ, খেজুর বাগান দান ইত্যাদির ঘটনা পাওয়া যায়।
কিন্তু হাদীস-আসারে এমন একটি বর্ণনাও পাওয়া যায় না যে, তারা যাকাতের অর্থ দিয়ে, মসজিদ-মাদরাসা-সরাইখানা নির্মাণ করেছেন।
বরং সহীহসূত্রে যা পাওয়া যায় তা হল, এসব তারা আল্লাহর রাস্তায় ওয়াক্ফ করে দিয়েছেন। সদকায়ে জারিয়ার উদ্দেশ্যে নফল দান হিসেবে করেছেন।
অথচ ‘ফী সাবীলিল্লাহ’র অর্থ নিঃসন্দেহে আমাদের চেয়ে তাঁরাই ভালো বুঝতেন। কুরআন-সুন্নাহর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সম্পর্কে পরবর্তীদের অপেক্ষা তারা অধিক জ্ঞাত।
শেষকথা হল, কুরআন-সুন্নাহ এবং সালাফের বক্তব্য ও মুজতাহিদ ইমামগণের উক্তির আলোকে এটি সুপ্রমাণিত যে, ‘ফী সাবীলিল্লাহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য হল, আল্লাহর পথে জিহাদকারী মুজাহিদ।
যাকাতের সপ্তম খাত দ্বারা সন্দেহাতীতভাবে তারাই উদ্দেশ্য। একটি মতানুযায়ী দরিদ্র হাজ্বীও এর অন্তর্ভুক্ত। এবং এও প্রমাণিত যে, যাকাত ব্যক্তির হক; কোনো প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কিংবা জনকল্যাণমূলক কোনো কাজ যাকাতের খাত নয়।
এসব কাজে যাকাত আদায় করলে কিছুতেই যাকাত আদায় হবে না।
আর টিভি চ্যানেল প্রতিষ্ঠার জন্য যারা যাকাত গ্রহণ জায়েয হওয়ার কথা বলেন তাদের কথা যে সম্পূর্ণ বাতিল, তা আর ভিন্ন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। যাকাতদাতাদের লক্ষ করা জরুরি যে, যাকাত একটি ইবাদত।
এ ইবাদত থেকে দায়মুক্তি তখনই সম্ভব হবে, যদি তা যথাযথভাবে সঠিক খাতে ব্যয় করা হয়।
অন্যথায় যাকাতের দায় থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।
*****