Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহর মাঝে থাকা একটি সমস্যা হলো নারীদের ইলম অর্জন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহর মাঝে থাকা একটি সমস্যা হলো নারীদের ইলম অর্জন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া।

    নবম সমস্যা হলো নারীদের ইলম অর্জনের সুযোগ নাই।মূসা আঃ এর বাহিনীর সাথে কাফেররা না পেরে তারা নারী দিয়ে মূসা আঃ এর বাহিনী কে শেষ করে দিতে চাইছে। যার কারনে মূসা আঃ এর বাহিনীর মাত্র একজন নারীর ফেতনায় পড়ে যিনার করার পর ৭০ হাজার বনী ইসরাইল প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

    আজ ও কাফেররা নারীদের হাতিয়ার দিয়ে সমাজটা শেষ করে দিচ্ছে। কিন্তু আগের যুগে তারা নিজেদের মেয়ে দের দিয়ে মুসলিমদের ক্ষতি করতো, কিন্তু আজ তারা মুসলিমদের মেয়েদের দিয়েই মুসলিমদের শেষ করে দিচ্ছে। অপরদিকে আমরা মুসলিমরাও নারীদের ইলম অর্জন থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছি। তাদের ইলম অর্জনের পথ বন্ধ করে রেখেছি। অথচ বাস্তবতা হলো একজন নারী যদি ইলম অর্জর করতে পারে তাহলে পুরুষের তুলনায় বেশি আমল করে। বেশি বেশি নফল আদায় করে। নারীরা জাহান্নাম সম্পর্কে জানলে পুরুষের তুলনায় বেশি ভয় করে। তাছাড়া তাদের মনটাও অনেক নরম। কিন্তু আপসোস কে তাদের কুরআন হাদিস জানাবে?তারাও জুমার খুতবা মসজিদে এসে শুনতে পারে না। কিন্তু তাদের জন্য বিশেষ কোন জায়গায় ওয়াজ নসীহাহর কোন ব্যবস্থা ও করা হয় না। প্রতিটি জুমার পর যদি কোন একটি বাড়ির উঠানে বা পুরুষ শুন্য মসজিদের তাদের জন্য ইলমী আলোচনার ব্যবস্থা করা হতো কতই না ভালো হতো। রাসূল সাঃ কি নারীদের জন্য আলাদা ওয়াজ করতেন না?

    সহীহ বুখারীতে আবূ সা'ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:

    «جاءت امرأة إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقالت: يا رسول الله ذهب الرجال تحديثات، فاجعل لنا من نفسك يوما تأتيك فيه، تعلمنا مما علمات الله فقال: اجتمعن في يوم كذا وكذا، في مكان كذا وكذا، فاجتمعن، فأنا هن رسول الله صلى الله عليه وسلم، فعلتهن مما علمه الله ...

    “জনৈকা মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বলল: হে আল্লাহর রাসূল! আপনার হাদীস তো শুধু পুরুষ লোকেরাই শুনতে পায়। সুতরাং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একটি দিন নির্দিষ্ট করে দিন, যে দিন আমরা আপনার নিকট আসব, আল্লাহ আপনাকে যা কিছু শিক্ষা দিয়েছেন, তা থেকে আপনি আমাদের শিক্ষা দেবেন। তখন তিনি বললেন, তোমরা অমুক অমুক দিন অমুক অমুক স্থানে সমবেত হবে। তারপর (নির্দিষ্ট দিনে) তাঁরা সমবেত হলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে এলেন এবং আল্লাহ তাঁকে যা শিক্ষা দিয়েছেন, তা থেকে তাদের শিক্ষা দিলেন......।( বুখারী ৬৮৮০)

    আজ সহশিক্ষা কে অনেকে হালাল মনে করে, আবার কেউ বলেন পর্দার সাথে জায়েজ। অথচ রাসূল সাঃ পুরুষ সাহাবীদের নারীদের শিক্ষা না দিয়ে আলাদা ব্যাবস্থা করলেন। কিন্তু আজ নারীরা বেপর্দা হয়ে দুনিয়াবী ইলম অর্জনের জন্য সব জায়গায় যেতে পারে। কিন্তু দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য মসজিদে আসলে সবার অনেকের মাথাব্যাথা শুরু হয়ে যায়। নারীরা কি মসজিদে আসা হারাম? পুরুষহীন মসজিদে আসলে কি অসুবিধা? আর যদি সেটাতেও অসুবিধা হয় তাহলে অন্তত কোন বাড়ির উঠানের পর্দার সাথে দ্বীনি ইলমের অর্জন করার ব্যবস্থা কি করা যায় না?

    আপনি সমাজের যুবকদের পরিবর্তন করতে হলে, নারীদের পরিবর্তন করারও চেষ্টা করতে হবে। নারীদের বেপর্দায় রেখে পুরুষদের পরিবর্তন করা যায় না। করলেও সেটা অল্পই হয়। কত খারাপ যুবক দেখা যায় নেককার স্ত্রী পেয়ে ভালো হয়ে গেছে। আবার এমন অনেক দ্বীনদ্বার আছে যারা বিয়ের আগে খুব ভালো দ্বীন পালন করতো, কিন্তু বদকার স্ত্রী বিয়ে করে নষ্ট হয়ে গেছে। এমন ঘটনা সমাজে অহরহ ঘটে থাকে। তাই নারীদের ইলম অর্জনের ব্যবস্থা করা আবশ্যক , তাদের উপরেওতো ইলম অর্জন করা ফরয। আর নারীরা সাধারনত আলেমদের একটু আলাদা চোখে দেখে। পুরুষদের তুলনায় নারীরা আলিমদের বেশিই ভালোবাসে।

    আজ দেখুন, এনজিওরা নারী ছাড়া লোন দেয় না।পশ্চিমারা নারীদের বেপর্দা করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কেননা একজন সুন্দরী নারী যদি বেপর্দা হয়ে রাস্তায় বের হয়, বা কোন প্রতিষ্ঠানে যায়। তখন যত যুবক তার দিকে চোখ পড়ে সবার মনেই কুমন্ত্রণা তৈরী হয়।
    যদি একটন মদের দিকে কোন দ্বীনদ্বার যুবকের চোখ পড়ে তাহলে কোন দ্বীনদ্বার যুবকের খাওয়ার ইচ্ছেতো জাগবেই না, উল্টো ঘৃনা জাগবে। কিন্তু কত নারীর ফেতনায় পড়ে অনেকে মদ ও নেশার পথ বেচে নিয়েছে তার কোন হিসেব নাই। কত যুবক বেনামাজি হয়েছে তার কোন হিসেব নাই। তাই সমাজের পুরুষদের পরিবর্তনের পাশাপাশি নারীদের পরিবর্তন করার চিন্তা করতে হবে।

  • #2
    আলহামদুলিল্লাহ "আমাদের এলাকায় আলেমা এসে পর্দার সহিত তালিম, দেয়,

    তবে দ্বীনের মৌলিক বিষয়ে ততটা গুরুত্ব তো আর হয়না,, মূল সমস্যা তালিম ঠিকই চলে তবে, পর্দার দিকে গুরুত্ব নেই,,।তালিম শেষ বাসায় এসে আগের পরিবেশে ফিরে যায়,।
    যদিও সবাই না।

    তবে আমাদের উচিত হবে, বিশেষ নসীহত করা, বিশেষ করে, পর্দার গুরুত্ব দেওয়া,, কারণ যুবসমাজ ধ্বংস হচ্ছে,, আর পরকিয়া করছে এই, পর্দা না করার কারণে।।

    আর আমাদের নিজ নিজ বোন মা চাচীদের পর্দা নসিহত করা, এবং তাদের মাধ্যমে অন্যান্য নিকটাত্মীয়দের ও নসিহত করা।।
    সর্বোত্তম আমল হলো
    আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
    আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

    Comment

    Working...
    X