Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুসলিম দেশে কুরআনের আইন না থাকার ভয়াবহতা।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুসলিম দেশে কুরআনের আইন না থাকার ভয়াবহতা।

    মুসলমানের দেশে কুরআনের আইন না থাকাঃ একজন শিক্ষক যখন ক্লাসে যায় তখন তার জন্য আলাদা বসার জায়গা থাকে। কোন ছাত্র শিক্ষককে ছাত্রের আসনে বসতে বলে না৷ কেননা এটা বেয়াদবি।আবার যখন কোন দেশের প্রধান কোথাও যায় তখন তার আলাদা আসন থাকে, সম্মানের জায়গা থাকে। যদি যোগ্য ব্যক্তি যোগ্য আসন প্রধান না করা হয় তাহলে এটা যোগ্যদের জন্য খুবই অসম্মানির। এবার আপনার নিকট প্রশ্ন হলো কুরআন হলো শ্রেষ্ট কিতাব, স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালার সুমহান বানী, কিন্তু এ কুরআন কি আমরা সম্মানিত জায়গায় রাখতে পেরেছি? কুরআনের যথাযথ সম্মান আমরা করতে পেরেছি? কুরআনের সম্মান না করার মানে হলো মহান আল্লাহর বানীর অসম্মান। যদি মানুষে ভরপুর একটা রুমে একজন সম্মানিত মানুষ আপনাকে একটা আদেশ করেন, আর আপনি যদি সেই আদেশ টির দিকে ভ্রুক্ষেপ না করেন তাহলে ওই সম্মানিত ব্যক্তিটি কি লজ্জা পাবেন না? তাহলে ভেবে দেখুন কোটি কোটি মাখলুকের সামনে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে চোরের শাস্তি, হত্যার শাস্তি, যিনার শাস্তির ব্যাপারে অনেক আদেশ দিয়ে রেখেছেন, কিন্তু যদি আপনি নিজেকে মুসলিম দাবী করার পরেও সে আদেশ পালন না করেন, সমাজে আল্লাহর আদেশগুলো প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা না করেন। তাহলে মহান আল্লাহর আদেশের সাথে কত বড় অসম্মানি হয়। একটা দেশের সবচেয়ে সম্মানিত মানুষ হলো যারা দেশের মূল ক্ষমতায় থাকে আর এই ক্ষমতাবানদের থেকেও বেশি সম্মানিত সংবিধান।এজন্য কোন দেশের এমপি মন্ত্রীও কথা বার্তা বলার সময় সংবিধান বিরুধী কোন কথা বলে না। কেননা এটা রাষ্ট্রীয় অপরাধ। চিন্তা করুন সংবিধান কতটা সম্মানিত। আর মুসলিমদের সংবিধান হবে কুরআন। সবচেয়ে সম্মানের জায়গায় থাকবে কুরআন, কেননা কুরআনই সবচেয়ে সম্মানিত কিতাব। এখন বলুন কুরআনকে সেই সম্মানের জায়গায় নেওয়ার জন্য আমরা কি করেছি? আপনার চোখের সামনে কোন রাস্তায় যদি কোরআনের একটা পৃষ্ঠা পড়ে থাকে তখন আপনি কি করবেন? আপনি সাথে সেটা উঠিয়ে চুমো খাবেন, ভালো জায়গায় রেখে দিবেন। অথচ কুরআন শুধু তেলোয়াত করার জন্য নাযিল হয় নি, দোকান বা ঘরের আলমারির সাধারন আসবাবের সাথে দিনের পর দিন রাখার জন্য নাযিল হয় নি বরং এ কুরআন থাকবে দেশের সবচেয়ে সম্মানিত জায়গায় এবং দেশের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তিরা কুরআনের আলোকে দেশ চালাবেন।অথচ তা কি হচ্ছে? কুরআন যে জায়গায় থাকার কথা সে জায়গায় যদি না থাকে তাহলে এটাই হলো কুরআনের প্রতি সবচেয়ে বড় অসম্মানি।।আমাদের চোখের সামনেই কুরআনের এই অসম্মানি হচ্ছে, অথচ আমরা কুরআনের বিধান বাস্তবায়নের জন্য কিছুই করছি না, ক্ষেত্র বিশেষ বহু মানুষ বিরুদ্বে অবস্থান নিচ্ছে। যারাই এই কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে অথবা কোরআনের কিছু আয়াতের উপর ইমান আনবে এবং কিছু আয়াতের উপর ইমান আনবে না তাদের জন্যই রয়েছে অপমান। اَفَتُؤۡمِنُوۡنَ بِبَعۡضِ الۡکِتٰبِ وَ تَکۡفُرُوۡنَ بِبَعۡضٍ ۚ فَمَا جَزَآءُ مَنۡ یَّفۡعَلُ ذٰلِکَ مِنۡکُمۡ اِلَّا خِزۡیٌ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۚ وَ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ یُرَدُّوۡنَ اِلٰۤی اَشَدِّ الۡعَذَابِ ؕ وَ مَا اللّٰہُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۸۵﴾ তবে কি তোমরা ধর্মগ্রন্থের কিছু অংশে বিশ্বাস আর কিছু অংশকে অবিশ্বাস কর? অতএব তোমাদের যেসব লোক এমন কাজ করে, তাদের প্রতিফল পার্থিক জীবনে লাঞ্ছনাভোগ ছাড়া আর কি হতে পারে? আর কিয়ামতের (শেষ বিচারের) দিন কঠিনতম শাস্তির দিকে নিক্ষিপ্ত হবে। তারা যা করে সে সম্বন্ধে আল্লাহ অনবহিত নন।( সুরা বাকারা ৮৫) যারা কিতাবের কিছু অংশের উপর ইমান আনবে এবং কিছু অংশের উপর ইমান আনবে না তাদের জন্যই রয়েছে লাঞ্ছনা। এখন অনেকেই বলবেন, আমিতো কুরআনের সব বিধানের উপর ইমান এনেছি।কিন্তু না ইমান শুধু বিশ্বাসের নাম নয়, বরং অন্তরে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা ও কাজে বাস্তবায়নের করাই হলো ইমান। আপনি কুরআনের সব আয়াতের উপর ইমান এনেছেন,কিন্তু আপনি চান আল্লাহর জমীনে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত না হোক তাহলে আপনার এ বিশ্বাস ধোকাবাজি ছাড়া কিছুই নয়। আপনি আপনার কাছের এক বন্ধুকে খুব বিশ্বাস করেন এবং আপনি জানেন সে আসলেই ভালো, আপনার আমানত যথাযথ ঠিক রাখবে।কিন্তু আপনি তার কাছে আমানত না রেখে দূরের কোন বন্ধুর কাছে আমানত রাখেন, এখন প্রশ্ন হলো আপনি কি আসলেই আপনার কাছের বন্ধুকে বিশ্বাস করেন? অবশ্যই না। আপনি বিশ্বাস করেন তখনই প্রমান হতো যখন আপনি তার নিকট আমানত রাখতেন। আপনার কাছে কুরআন আছে, আপনি জানেন কুরআন রবের কিতাব এবং এটাতেই মুক্তি ও শান্তি। কিন্তু এসব স্বীকার করার পরেও আপনি যখন ব্রিটিশদের আইনকে প্রাধান্য দেন বা কোন মানবরচিত আইনকে প্রাধান্য দেন, তাদের আইন কে ভালো মনে করেন তার মানে হলো আপনি কুরআনের উপর ইমান আনেন নি।আপনি নামায রোজার আয়াতের উপর ইমান এনেছেন কিন্তু হদ, কিসাস সম্পর্কিত আয়াতের উপর আপনি ইমান আনেন নি। আর আপনার জন্যই রয়েছে লাঞ্ছনা ও পরকালীন শাস্তি। একটা বিষয় আপনি চিন্তা করে দেখুন,আপনি নিজেকে মুসলিম দাবী করেন, অথচ আপনি যখন পবিত্র কুরআনের আইন বাদ দিয়ে অন্য আইনকে প্রাধান্য দেন তখন এর দ্বারা কোটি কোটি অমুসলিমদের কাছে আপনি এই ম্যাসেজ পৌঁছাচ্ছেন যে,আমি মুসলিম হলেও কুরআনের সব বিধান মানুষের জন্য উপযুক্ত মনে করি না। (নাউজুবিল্লাহ) আপনি যখন কোন মানুষকে নেতা মানেন তখন যদি তারা কিছু আদেশ মানেন এবং কিছু না মানেন তাহলে এর দ্বারা প্রমানিত হয় যে,নেতার কিছু আদেশ আপনার দৃষ্টিতে ভালো আর কিছু আদেশ আপনার দৃষ্টিতে ভুল। তাই আপনি মানেন না। তেমনি কেউ যখন নিজেকে মুসলিম হিসেবে দাবী করার পরেও রাসূল সাঃ কে সব ক্ষেত্রে না মানে, কিছু ক্ষেত্রে মানে আর কিছু ক্ষেত্রে নেতা হিসাবে না মানে তাহলে এর দ্বারা সে প্রমান করে রাসূল সাঃ এর সব কিছু মানা যাবে না।(নাউজুবিল্লাহ) আর যারা এমনটিই করবে তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ রয়েছে অপমান। মনে রাখবেন আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য বিধান যেমন মানা যাবে না, ঠিক তেমনি এ বিধান বাস্তবায়নের পদ্বতি রাসূল সাঃ এর আনীত পদ্বতিতে হতে হবে।অন্য পদ্বতিতে হলে হবে না। যারাই রাসূল সাঃ এর পদ্বতি বাদ দিবে তারা এর দ্বারা এটাই প্রমান করবে যে, রাসূল সাঃ এর পদ্বতির চেয়ে তাদের পদ্বতি শ্রেষ্ঠ। ইসলামে পরিপূর্ণ প্রবেশ করতে হবে। কেউ নামায পড়ে অথচ হারাম খায়। তার এই নামায হবে না। তেমনি কেউ আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য কোন বিধান মানে না। কিন্তু আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের পদ্ধতি আল্লাহর দেওয়া পদ্বতি বাদ দিয়ে যদি অন্য কোন পদ্বতিতে বাস্তবায়ন করতে চায় তাহলে সেও আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করতে পারবে না। আল্লাহর বিধান যেমন শ্রেষ্ঠ বিধান, তেমনি এই বিধান বাস্তবায়নের যে পদ্বতি মহান আল্লাহ দিয়েছেন সেই পদ্বতি ই হলো শ্রেষ্ঠ পদ্বতি।আর সে পদ্বতি কোন পদ্বতি তা জানতে রাসূল সাঃ এর জীবনি পড়ুন। আরো পড়ুন সাইয়্যেদ কুতুব (রহঃ) এর লিখিত "আগামী বিপ্লবের ঘোষনাপত্র"।

  • #2
    আল্লাহর বিধান যেমন শ্রেষ্ঠ বিধান
    তেমনি এই বিধান বাস্তবায়নের যে পদ্বতি মহান আল্লাহ দিয়েছেন সেই পদ্বতি ই হলো শ্রেষ্ঠ পদ্বতি।

    আর সে পদ্বতি কোন পদ্বতি তা জানতে রাসূল সাঃ এর জীবনি পড়ুন।

    Comment


    • #3
      দ্বীন কায়েমের সঠিক পথ হলো দাওয়াহ জিহাদ+ক্বিতাল,
      আর এভাবেই আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হবে।

      কোন কুফরি গণতন্ত্রের মাধ্যমে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্টিত হবেনা।

      মুসলমান ধোকা খাবেন না ধোকা দিবেন ও না।
      সর্বোত্তম আমল হলো
      আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
      আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুক ।
        আমিন।

        Comment

        Working...
        X