Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইমান ভঙ্গের দশটি কারণ। রেফারেন্স সহকারে।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইমান ভঙ্গের দশটি কারণ। রেফারেন্স সহকারে।


    ঈমান ভঙ্গের ১০ টি কারণ।

    অজু সালাত/নামাজ ও রোজা ভঙ্গের যেমন কারণ রয়েছে, তেমনি কিছু কারণে ঈমানও নষ্ট হয়ে যায়।

    ঈমান ভঙ্গের কারণগুলো মূলত তিন প্রকার। বিশ্বাসগত, কর্মগত এবং উক্তিগত। প্রত্যেক মুমিনের জন্য ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলো জানা অতীব জরুরি।
    উলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে অনে
    ক লম্বা আলোচনা করেছেন।

    ১) আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা
    ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে অংশীদার করা ক্ষমা করেন না; তা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যে কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে সে এক মহাপাপ করে।’ (সুরা নিসা: ৪৮)

    ‘কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করলে অবশ্যই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করবেন এবং তার আবাস জাহান্নাম। আর জালেমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।’ (সুরা মায়েদা: ৭২)


    ২) নিজের ও আল্লাহর মধ্যে মধ্যস্থতাকারী নির্ধারণ করা
    ‘তারা আল্লাহকে ছাড়া যার ইবাদত করে তা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। তারা বলে, এরা আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী। বলুন, তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিচ্ছ, যা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র এবং তারা যাকে শরিক করে তা হতে তিনি ঊর্ধ্বে।’ (সুরা ইউনুস: ১৮)

    ‘জেনে রাখ, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য। যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা বলে, “আমরা তো এদের পূজা এজন্যই করি যে, এরা আমাদেরকে আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।” তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফের আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ (সুরা জুমার: ৩)


    ৩) মুশরিক-কাফেরদের কাফের মনে না করা
    যার কাফের হওয়ার ব্যাপারে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত একমত, যেমন ইহুদি-খ্রিস্টান-মুশরিক ছাড়াও প্রকাশ্যে আল্লাহ, রাসুল বা দীনের কোনো অকাট্য ব্যাপার নিয়ে কটূক্তিকারী; যাদের কুফরির ব্যাপারে হকপন্থি আলেমগণ একমত। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের (কথাকে) অমান্য করবে এবং তাঁর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে আল্লাহ তাকে জাহান্নামে দাখিল করবেন। সে তাতে চিরকাল থাকবে এবং অবমাননাকর শাস্তি ভোগ করবে।’ (সুরা নিসা: ১৪)

    যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (স.) কথাকে অবিশ্বাস করে তারা সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের মতে কাফের। আর আমরা যদি তা বিশ্বাস না করি তাহলে আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের কথাকে অবিশ্বাস করার কারণে কাফের হয়ে যাবো। নাউজুবিল্লাহ।

    ৪) নবীজি (স.)-এর ফায়সালার তুলনায় অন্য কারও ফয়সালাকে উত্তম মনে করা
    ‘আপনি কি তাদের দেখেননি, যারা দাবি করে যে, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছে, আমরা তার ওপর ঈমান এনেছি। তারা বিচার-ফয়সালা নিয়ে যেতে চায় তাগুতের কাছে, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা তাকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদের প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়।’ (সুরা নিসা: ৬০)

    ৫) মুহাম্মদ (স.)-এর আনিত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা
    ‘অতএব, আপনার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে আপনাকে বিচারক বলে মনে না করে। এরপর আপনার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।’ (সুরা নিসা: ৬৫)

    ৬) দীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা
    ‘আপনি তাদের প্রশ্ন করলে তারা নিশ্চয়ই বলবে, ‘আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতূক করছিলাম।’ বলেন, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রাসুলকে বিদ্রূপ করছিলে?’ তোমরা অজুহাত দেওয়ার চেষ্টা করো না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফুরি করেছ।” (সুরা তওবা: ৬৫-৬৬)

    ৭) জাদু করা
    ‘সুলায়মান কুফরি করেনি, কুফরি তো করেছিল শয়তানরাই। তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত…।’ (সুরা বাকারা: ১০২)

    ৮) মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহযোগিতা করা
    ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভাইও যদি ঈমানের বিপরীতে কুফরিকে বেছে নেয়, তবে তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করে, তারাই সীমা লঙ্ঘনকারী।’ (সুরা তাওবা: ২৩)

    ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন বলে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ (সুরা মায়েদা: ৫১)
    ৯) কাউকে দীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা
    ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়েদা: ৩)

    ১০) দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া
    ‘যে ব্যক্তি তার রবের আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশপ্ৰাপ্ত হয়ে, আবার তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার চেয়ে বড় জালেম আর কে? নিশ্চয় আমি অপরাধীদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী। (সুরা সাজদাহ: ২২)

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দীনের সঠিক বুঝ দান করুন। ঈমানহারা হওয়া থেকে রক্ষা করুন। আন্তরিক তওবা ও কালেমা রহমতের চাঁদরে ঘিরে রাখুন। আমিন।

    যে ব্যক্তি নবীকে গালি দেয়,তাকে হত্যা কর।
    জামেউল আহাদীস হাদীস নং-২২৩৬৬

  • #2
    দলীল গুলো ডিরেক্ট নস দিয়ে দেয়া হয়েছে, যদি কেন ফিক্বহি কিতাব থেকে, নস গুলোর ব্যাখ্যা সহকারে দেয়া যেত তাহলে খুব ভালো হতো।
    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

    Comment


    • #3
      Originally posted by ALQALAM View Post
      দলীল গুলো ডিরেক্ট নস দিয়ে দেয়া হয়েছে, যদি কেন ফিক্বহি কিতাব থেকে, নস গুলোর ব্যাখ্যা সহকারে দেয়া যেত তাহলে খুব ভালো হতো।
      আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

      প্রিয় ভাই,এগুলো অনেক সময় লাগবে,
      আর এতো সময় পাইনা,,।। তবুও চেষ্টা করবো একত্রিত করে থ্রেড দেওয়ার জন্য।
      আর এখানে যেটা দেওয়া হয়েছে জাস্ট রেফারেন্স, যারা হুটহাট করে বলে দলীল দেন "তাদের জন্য এই পোস্ট, এখান থেকে কপি করে দলীল দিয়ে দিবেন, সবাই।

      আর আভিধানিক অর্থেও বোঝা যাচ্ছে। এবং বিস্তারিত ভাবে শাইখ তামিম আল আদনানী হাফিজাহুল্লাহ ও শাইখুল হাদীস জসিমউদ্দিন রহমানী ফাক্কাল্লাহু আসরাহু আলোচনা করেছেন সেগুলো শোনা যেতে পারে।

      জাঝাকাল্লাহ খায়রান, আপনার মন্তব্যের জন্য।
      যে ব্যক্তি নবীকে গালি দেয়,তাকে হত্যা কর।
      জামেউল আহাদীস হাদীস নং-২২৩৬৬

      Comment


      • #4
        এটা আমরা বেশী বেশী প্রচার করবো সবাই ইনশা আল্লাহ।
        জাঝাকুমুল্লাহ খায়রান
        সর্বোত্তম আমল হলো
        আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
        আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

        Comment

        Working...
        X