সূরা রোমের আলোকে বিজয় বার্তা। আছো কি কেউ সেই বিজয়ে নিজেকে শামিল করবেঃ
আমরা মনে করে থাকি কুরআন এমন কিতাব যেটা পড়ে মানুষ ইমান আনবে ও কিছু ইবাদাত বন্দেগি করবে। কিন্তু না, কুরআন হলো এমন কিতাব যেটাতে আপনি প্রত্যেকটি বিষয়ের সমাধান পাবেন। যত সমস্যা আমাদের সামনে আছে সব সমস্যার সমাধান আপনি পাবেন। আর ভবিষ্যতে কার কি পরিনতি হতে পারে সেটাও কুরআনেই আছে। আসুন জেনে নিই সূরা রোমের আলোকে এক মহান বিজয় বার্তা। আশা করি লিখাটি পড়ার পর বুজবেন বিজয় আমাদের কত নিকটে।তবে লিখাটি পড়ার পর নিজেকে প্রশ্ন করুন, এই বিজয়ে আমার অবদান থাকবে তো নাকি আমি পিছে পড়াদের মধ্যে শামিল হবো।
মহান আল্লাহ বলেনঃ
الٓـمّٓ ۚ﴿۱﴾غُلِبَتِ الرُّوۡمُ ۙ﴿۲﴾ فِیۡۤ اَدۡنَی الۡاَرۡضِ وَ ہُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ غَلَبِہِمۡ سَیَغۡلِبُوۡنَ ۙ﴿۳﴾ فِیۡ بِضۡعِ سِنِیۡنَ ۬ؕ لِلّٰہِ الۡاَمۡرُ مِنۡ قَبۡلُ وَ مِنۡۢ بَعۡدُ ؕ وَ یَوۡمَئِذٍ یَّفۡرَحُ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ۙ﴿۴﴾ بِنَصۡرِ اللّٰہِ ؕ یَنۡصُرُ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ۙ﴿۵﴾
আলিফ-লাম-মীম,রোমকগণ পরাজিত হয়েছে।(আরবের) নিকটবর্তী অঞ্চলে। কিন্তু ওরা ওদের এ পরাজয়ের পর শীঘ্রই বিজয় লাভ করবে--কয়েক বছরের মধ্যেই, আগের ও পরের সকল সিদ্ধান্ত আল্লাহরই। সেদিন বিশ্বাসীরা আনন্দিত হবে;আল্লাহর সাহায্যে। তিনি যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনিই পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।(সুরা রুম ১-৫)
অত্র আয়াতে রোম ও পারস্যের যুদ্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে। এরা উভয় ছিলো কাফির। তবে তারা কাফির হলেও পারসিকরা ছিলো মুশরিক, আর রোমকরা ছিলো নাছারা বা আহলে কিতাব, যারা তুলনামুলক মুসলিমদের নিকটবর্তী ছিলো।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাক্কী জীবনে এদের মধ্যে যুদ্ব হয়। ফলে মুসলিমরা রোমকদের বিজয় চাইতো আর কাফিররা চাইতো মুশরিকদের।
কিন্তু দেখা গেল যুদ্বে পারসিকরা বিজয় লাভ করলো, ফলে মক্কার মুশরিকদের অহংকার আরো বেড়ে গেলো, তারা বলতে লাগলো, যেভাবে রোমকদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে সেভাবে আমরাও মুসলমানদের এক সময় নিশ্চিহ্ন করে দিবো।
এর পেক্ষিতে অত্র আয়াতে অচিরেই রোমকদের বিজয়ের বার্তা দেয়। ফলে কয়েক বছর পর আবার যুদ্ব বাঁধে তাদের মাঝে। তখন রোমকরা বিজয় লাভ করে।
কিন্তু এখানে একটা বিষয় হলো রোমকরাতো কাফির ছিলো, তাদের বিজয়ে মুসলিমদের আনন্দের কারণ কি? আয়াতে বলা হয়েছে রোমকদের বিজয়ের ফলে মুসলিমরা আনন্দিত হবে।রোমকরা বিজয় হবে এতটুকুই বললেই হতো। কেননা মুসলিমরাতো তাদের বিজয় চাইতো, আর তারা বিজয় হলে এমনিই মুসলিমরা খুশি হবে। কিন্তু আল্লাহ বিশেষ ভাবে বললেন তখন তোমরা খুশি হবে,তাও আবার কাফিরদের বিজয়ে খুশীর কথা বলেছেন৷
তাফসীরে এর কয়েকটা ব্যাখ্যা করা হয়েছে তা হলো রোমকরা যেদিন বিজয়ী হয়েছে সেদিন বদর প্রান্তরে মুসলিমরাও বিজয়ী হয়েছে।
আনন্দিত হওয়ার আরেকটা কারণ হলো ভবিষ্যতে মুসলিমরা এই রোমকদের সাথেও লড়াই করবে৷ তাদের মুকাবিলা করতে হবে৷ আর রোমকরা যদিও বিজয়ী হয়েছে কিন্তু যুদ্ধে উভয়ের শক্তি খর্ব হয়। আর তাই যুদ্ধে পারসিকদের উপর রোমকরা বিজয় লাভ করলেও রোমকদের শক্তি অনেকটা কমেছে আবার পারসিকদেরও কমেছে।
যার ফলে মুসলিমদের জন্য তৎকালিন সুপার পাওয়াদের ধ্বংস করা সহজ হয়েছে। নিকট অতিতে উসমানিয়দের ইতিহাস দেখুন। তারা ও মামুলকরা মিলে যখন তাতারীদের সাথে যুদ্ধে ব্যস্ত তখন খ্রিষ্টানরা খুব শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিলো।কিন্তু তার উল্টোটা হলো। খ্রিষ্টানরা নিজেরা নিজেরা লড়াই করা শুরু করে দিলো, এছাড়া মহামারী ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা তাদের একদম দূর্বল করে দিলো। ফলে একপর্যায়ে তারা এতটাই দূর্বল হলো যে, উসমানীয়দের সাথে একেক যুদ্বে তাদের এক লক্ষ বা দেড় লক্ষ সৈন্য হারাতে হতো।
এবার বর্তমানের দিকে তাকিয়ে দেখুন,আফগান,সিরিয়া, ইয়েমেনের মুজাহিদরা যখন আমরিকার সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত তখন রাশিয়া নিজেদেরকে গুছিয়ে নিয়ে পূর্বের পজিশনে যাওয়ার কথা ছিলো,এদিকে ভারতও খুব ভালো অবস্থানে যাওয়ার কথা ছিলো। কেননা আপাতত রাশিয়াকে কোন রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ব করতে হচ্ছে না। কিন্তু দেখুন অবস্থা কি হলো? এদিকে মুজাহিদদের সাথে যুদ্ধ করে আমেরিকা দূর্বল হয়ে গেলো, ফলে লেজ গুটিয়ে এখন পালাতে বাধ্য হচ্ছে।
অপরদিকে রাশিয়া এখন ইউক্রেনের উপর হামলা করে এতটাই দূর্বল হলো যে, আফগানের নিকট তার অস্রের সাহায্য চাওয়া লাগতেছে। অপরদিকে মহামারিতে ভারত এক প্রচন্ড ধাক্কা খায়।যেই ভারত কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে সেই ভারতই এখন তা আবার দিতে চাচ্ছে৷ এমনকি বিবিসি বাংলায় বলা হয়েছে তারা তাদের সব সৈন্য প্রত্যাহারের কথা ভাবছে। এখন আগের মত চোখ রাঙ্গায় না। আর এভাবে কুফরী শক্তির অবস্থা দিন দিন অবনতি হচ্ছে। আর মুসলিমদের অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ সেদিন বেশি দূরে নয় যেই দিন মুসলিমরা কাফেরদের সব শক্তি চূর্ণবিচূর্ণ করে দিবে।
বিঃদ্রঃ আমি বড় কোন আলিম না, তাই ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
আমরা মনে করে থাকি কুরআন এমন কিতাব যেটা পড়ে মানুষ ইমান আনবে ও কিছু ইবাদাত বন্দেগি করবে। কিন্তু না, কুরআন হলো এমন কিতাব যেটাতে আপনি প্রত্যেকটি বিষয়ের সমাধান পাবেন। যত সমস্যা আমাদের সামনে আছে সব সমস্যার সমাধান আপনি পাবেন। আর ভবিষ্যতে কার কি পরিনতি হতে পারে সেটাও কুরআনেই আছে। আসুন জেনে নিই সূরা রোমের আলোকে এক মহান বিজয় বার্তা। আশা করি লিখাটি পড়ার পর বুজবেন বিজয় আমাদের কত নিকটে।তবে লিখাটি পড়ার পর নিজেকে প্রশ্ন করুন, এই বিজয়ে আমার অবদান থাকবে তো নাকি আমি পিছে পড়াদের মধ্যে শামিল হবো।
মহান আল্লাহ বলেনঃ
الٓـمّٓ ۚ﴿۱﴾غُلِبَتِ الرُّوۡمُ ۙ﴿۲﴾ فِیۡۤ اَدۡنَی الۡاَرۡضِ وَ ہُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ غَلَبِہِمۡ سَیَغۡلِبُوۡنَ ۙ﴿۳﴾ فِیۡ بِضۡعِ سِنِیۡنَ ۬ؕ لِلّٰہِ الۡاَمۡرُ مِنۡ قَبۡلُ وَ مِنۡۢ بَعۡدُ ؕ وَ یَوۡمَئِذٍ یَّفۡرَحُ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ۙ﴿۴﴾ بِنَصۡرِ اللّٰہِ ؕ یَنۡصُرُ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ۙ﴿۵﴾
আলিফ-লাম-মীম,রোমকগণ পরাজিত হয়েছে।(আরবের) নিকটবর্তী অঞ্চলে। কিন্তু ওরা ওদের এ পরাজয়ের পর শীঘ্রই বিজয় লাভ করবে--কয়েক বছরের মধ্যেই, আগের ও পরের সকল সিদ্ধান্ত আল্লাহরই। সেদিন বিশ্বাসীরা আনন্দিত হবে;আল্লাহর সাহায্যে। তিনি যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনিই পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।(সুরা রুম ১-৫)
অত্র আয়াতে রোম ও পারস্যের যুদ্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে। এরা উভয় ছিলো কাফির। তবে তারা কাফির হলেও পারসিকরা ছিলো মুশরিক, আর রোমকরা ছিলো নাছারা বা আহলে কিতাব, যারা তুলনামুলক মুসলিমদের নিকটবর্তী ছিলো।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাক্কী জীবনে এদের মধ্যে যুদ্ব হয়। ফলে মুসলিমরা রোমকদের বিজয় চাইতো আর কাফিররা চাইতো মুশরিকদের।
কিন্তু দেখা গেল যুদ্বে পারসিকরা বিজয় লাভ করলো, ফলে মক্কার মুশরিকদের অহংকার আরো বেড়ে গেলো, তারা বলতে লাগলো, যেভাবে রোমকদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে সেভাবে আমরাও মুসলমানদের এক সময় নিশ্চিহ্ন করে দিবো।
এর পেক্ষিতে অত্র আয়াতে অচিরেই রোমকদের বিজয়ের বার্তা দেয়। ফলে কয়েক বছর পর আবার যুদ্ব বাঁধে তাদের মাঝে। তখন রোমকরা বিজয় লাভ করে।
কিন্তু এখানে একটা বিষয় হলো রোমকরাতো কাফির ছিলো, তাদের বিজয়ে মুসলিমদের আনন্দের কারণ কি? আয়াতে বলা হয়েছে রোমকদের বিজয়ের ফলে মুসলিমরা আনন্দিত হবে।রোমকরা বিজয় হবে এতটুকুই বললেই হতো। কেননা মুসলিমরাতো তাদের বিজয় চাইতো, আর তারা বিজয় হলে এমনিই মুসলিমরা খুশি হবে। কিন্তু আল্লাহ বিশেষ ভাবে বললেন তখন তোমরা খুশি হবে,তাও আবার কাফিরদের বিজয়ে খুশীর কথা বলেছেন৷
তাফসীরে এর কয়েকটা ব্যাখ্যা করা হয়েছে তা হলো রোমকরা যেদিন বিজয়ী হয়েছে সেদিন বদর প্রান্তরে মুসলিমরাও বিজয়ী হয়েছে।
আনন্দিত হওয়ার আরেকটা কারণ হলো ভবিষ্যতে মুসলিমরা এই রোমকদের সাথেও লড়াই করবে৷ তাদের মুকাবিলা করতে হবে৷ আর রোমকরা যদিও বিজয়ী হয়েছে কিন্তু যুদ্ধে উভয়ের শক্তি খর্ব হয়। আর তাই যুদ্ধে পারসিকদের উপর রোমকরা বিজয় লাভ করলেও রোমকদের শক্তি অনেকটা কমেছে আবার পারসিকদেরও কমেছে।
যার ফলে মুসলিমদের জন্য তৎকালিন সুপার পাওয়াদের ধ্বংস করা সহজ হয়েছে। নিকট অতিতে উসমানিয়দের ইতিহাস দেখুন। তারা ও মামুলকরা মিলে যখন তাতারীদের সাথে যুদ্ধে ব্যস্ত তখন খ্রিষ্টানরা খুব শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিলো।কিন্তু তার উল্টোটা হলো। খ্রিষ্টানরা নিজেরা নিজেরা লড়াই করা শুরু করে দিলো, এছাড়া মহামারী ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা তাদের একদম দূর্বল করে দিলো। ফলে একপর্যায়ে তারা এতটাই দূর্বল হলো যে, উসমানীয়দের সাথে একেক যুদ্বে তাদের এক লক্ষ বা দেড় লক্ষ সৈন্য হারাতে হতো।
এবার বর্তমানের দিকে তাকিয়ে দেখুন,আফগান,সিরিয়া, ইয়েমেনের মুজাহিদরা যখন আমরিকার সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত তখন রাশিয়া নিজেদেরকে গুছিয়ে নিয়ে পূর্বের পজিশনে যাওয়ার কথা ছিলো,এদিকে ভারতও খুব ভালো অবস্থানে যাওয়ার কথা ছিলো। কেননা আপাতত রাশিয়াকে কোন রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ব করতে হচ্ছে না। কিন্তু দেখুন অবস্থা কি হলো? এদিকে মুজাহিদদের সাথে যুদ্ধ করে আমেরিকা দূর্বল হয়ে গেলো, ফলে লেজ গুটিয়ে এখন পালাতে বাধ্য হচ্ছে।
অপরদিকে রাশিয়া এখন ইউক্রেনের উপর হামলা করে এতটাই দূর্বল হলো যে, আফগানের নিকট তার অস্রের সাহায্য চাওয়া লাগতেছে। অপরদিকে মহামারিতে ভারত এক প্রচন্ড ধাক্কা খায়।যেই ভারত কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে সেই ভারতই এখন তা আবার দিতে চাচ্ছে৷ এমনকি বিবিসি বাংলায় বলা হয়েছে তারা তাদের সব সৈন্য প্রত্যাহারের কথা ভাবছে। এখন আগের মত চোখ রাঙ্গায় না। আর এভাবে কুফরী শক্তির অবস্থা দিন দিন অবনতি হচ্ছে। আর মুসলিমদের অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ সেদিন বেশি দূরে নয় যেই দিন মুসলিমরা কাফেরদের সব শক্তি চূর্ণবিচূর্ণ করে দিবে।
বিঃদ্রঃ আমি বড় কোন আলিম না, তাই ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
Comment