Announcement

Collapse
No announcement yet.

তাবলিগি ভাইদের উদ্দ্যেশ্য ছোট্ট একটি লিখা।একটি আয়াতের আংশিক তাফসির বর্ণনা থেকে সতর্ক থাকা!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তাবলিগি ভাইদের উদ্দ্যেশ্য ছোট্ট একটি লিখা।একটি আয়াতের আংশিক তাফসির বর্ণনা থেকে সতর্ক থাকা!

    کُنۡتُمۡ خَیۡرَ اُمَّۃٍ اُخۡرِجَتۡ لِلنَّاسِ تَاۡمُرُوۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ تَنۡهَوۡنَ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰهِ ؕ وَ لَوۡ اٰمَنَ اَهۡلُ الۡکِتٰبِ لَکَانَ خَیۡرًا لَّهُمۡ ؕ مِنۡهُمُ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ وَ اَکۡثَرُهُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ
    অর্থঃতোমরাই সর্বোত্তম উম্মাত, মানবজাতির (সর্বাত্মক কল্যাণের) জন্য তোমাদের আবির্ভুত করা হয়েছে, তোমরা সৎকাজের আদেশ দাও এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ কর ও আল্লাহর প্রতি ঈমান রক্ষা করে চল। যদি আহলে কিতাব ঈমান আনত, তাহলে নিশ্চয়ই তাদের জন্য ভাল হত, তাদের মধ্যে কেউ কেউ মু’মিন এবং তাদের অধিকাংশই ফাসেক। সূরা আল ইমরানঃ আয়াত ১১০।

    আসরের সলাতের পর গাশতের আদব বর্ণনা করার সময় অথবা মাঝে মাঝেই আমাদের তাবলিগ জামাতে নিয়োজিত ভাইগণ এই আয়াত ব্যাবহার করেন।এর সরল অনুবাদ করেন এবং মানুষকে দাওয়াতে কাজে জান-মাল লাগানোল জন্য তাশকীল করেন।তবে এর ফলে প্রচ্ছন্ন ভাবে "শুধু দাওয়াতের কাজের দ্বারাই এই উম্মতের শ্রেষ্ঠত্ত্ব/এই আয়াতের মর্তবা শুধু দাওয়াতি কাজে নিয়োজিতদের জন্য "এটাই সাধারণ মানুষের মনে ঢুকে যায়,যা পুরো ভুল না হলেও ,পুরো সঠিকও নয়!

    পাকিস্তানের প্রখ্যাত মুফতি শফি রহিমাহুল্লাহ উনার বিশ্ববিখ্যাত তাফসির গ্রন্থ তাফসিরে মা'আরেফুল কুরআনে এই আয়াতের অত্যন্ত সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন। বাংলায় মাওলানা মুহিউদ্দীন খান এর অনুবাদকৃত সংক্ষেপিত তাফসির এর কিতাব থেকে তা তুলে ধরে হলো-

    আলোচ্য ১১০ নং আয়াতে মুসলিম সম্প্রদায়ের শ্রেষ্ঠতম সম্প্রদায় হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে,তারা মানব জাতির উপকারার্থে সম্মুখিত হয়েছে।আর তাদের প্রধান উপকার এই যে,মানব জাতির আধ্যাত্মিক ও চারিত্রিক সংশোধনের চেষ্টাই তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।পূর্ববর্তী সম্প্রদায়সমূহের তুলনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মাধ্যমে "সৎ কাজে আদেশ দান এবং অসৎ কাজে নিষেধ" করার দায়িত্ব অধিকতর পূর্ণত্ব লাভ করেছে।সহীহ হাদিসসমূহে বর্ণিত আছে যে, এ কর্তব্যটি পূর্ববর্তী সম্প্রদায়সমূহের দায়িত্বেও ন্যাস্ত ছিলো,কিন্তু বিগত অনেক সম্প্রদায়ের মধ্যে জিহাদের নির্দেশ ছিলো না।তাই তারা শুধু অন্তর ও মুখের দ্বারাই "সৎ কাজে আদেশ দান এবং অসৎ কাজে নিষেধ" এর কর্তব্য পালন করতে পারত।মুসলিম সম্প্রদায় বাহুবলেও এ কর্তব্য পালন করতে পারে।সব রকমের জেহাদের এবং রাষ্ট্রীয় শক্তির মাধ্যমে ইসলামি আইন কার্যকর করাও এর অন্তর্ভুক্ত।এছাড়া পূর্ববর্তী সম্প্রদায়সমূহের মধ্যে ব্যাপক ঔদাসীন্যের দরুন ধর্মের অন্যান্য বিশেষ কার্যাবলির ন্যায় সৎ কাজে আদেশ দান এবং অসৎ কাজে নিষেধ করার কর্তব্যটিও পরিত্যাক্ত হয়ে পড়েছিলো।কিন্তু এ সম্প্রদায়ের মধ্যে কিয়ামত পর্যন্ত এমন একটি দল থাকবে-যারা "সৎ কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ"-এর কর্তব্য পুরোপুরি পালন করে যাবে
    -তাফসিরে মা'আরেফুল কুরআন (সংক্ষেপিত বাংলা অনুবাদ-মাওলানা মুহিউদ্দীন খান) পৃষ্ঠা নংঃ ১৯৬;সূরা আল ইমরান এর ১১০ নাম্বার আয়াতের তাফসির দ্রষ্টব্য।







  • #2
    যাজাকুমুল্লাহ!

    আল্লাহ আপনার ইলমে, আমলে ও লিখনিতে বারাকাহ দিন।

    Comment


    • #3
      যে কাজে আনুষ্ঠানিকতা যুক্ত হয় তা আর সঠিক সিফাতে থাকে না, দ্বলালায় পর্যবসিত হয়! দাওয়াহ যদি হত ইনফিরাদি আমলে এবং আমর-নাহীর আয়াতগুলোর পূর্ণ তাফসীর ও ব্যাপকতা গ্রহণ করার মাধ্যমে তাহলে সমস্যা ছিল না বরং এটাই কাম্য ছিল। হে জিহাদের পথের ভাই, দোয়া করুন, আল্লাহ যেন আমাদেরকে মাহরুম না করে আল্লাহর পথে দাওয়াহর আমল থেকে! বিশেষত শিশু-কিশোর-যুবক ভাইয়েরা নানাবিধ ধ্বংসাত্মক ব্যাধিতে আসক্ত, তাদেরকে কিছু সময় দেয়া, সময়েরই দাবী।

      Comment


      • #4
        Originally posted by সাঈদ আব্দুল্লাহ View Post
        যাজাকুমুল্লাহ!

        আল্লাহ আপনার ইলমে, আমলে ও লিখনিতে বারাকাহ দিন।
        আমিন,ওয়া ইয়্যাকা।

        Comment


        • #5
          Originally posted by Sa'd Ibn Abi Waqqas View Post
          যে কাজে আনুষ্ঠানিকতা যুক্ত হয় তা আর সঠিক সিফাতে থাকে না, দ্বলালায় পর্যবসিত হয়! দাওয়াহ যদি হত ইনফিরাদি আমলে এবং আমর-নাহীর আয়াতগুলোর পূর্ণ তাফসীর ও ব্যাপকতা গ্রহণ করার মাধ্যমে তাহলে সমস্যা ছিল না বরং এটাই কাম্য ছিল। হে জিহাদের পথের ভাই, দোয়া করুন, আল্লাহ যেন আমাদেরকে মাহরুম না করে আল্লাহর পথে দাওয়াহর আমল থেকে! বিশেষত শিশু-কিশোর-যুবক ভাইয়েরা নানাবিধ ধ্বংসাত্মক ব্যাধিতে আসক্ত, তাদেরকে কিছু সময় দেয়া, সময়েরই দাবী।
          যুবকরা আজ আকাশ সংস্কৃতির করাল গ্রাসে মৃতপ্রায়।আম-খাস-দ্বীনদার কেউই মুক্ত নেই এখন। আলাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন,আমিন।

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল মতপার্থক্য সংশোধন করে, পুরো মুসলিম উম্মাহকে এক-কাতারে জালিম কুফফারদের বিরুদ্ধে ক্বিতাল করার তৌফিক দিন। আমীন

            Comment


            • #7
              Originally posted by আঁধার রাতের মুসাফির View Post
              আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল মতপার্থক্য সংশোধন করে, পুরো মুসলিম উম্মাহকে এক-কাতারে জালিম কুফফারদের বিরুদ্ধে ক্বিতাল করার তৌফিক দিন। আমীন
              আমিন।এই জন্য "দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদি মানহাজের হেফাজত" নামক মূল্যবান কিতাবটি সকলের পড়া উচিত।
              লিংকঃ
              https://gazwah.net/?p=33633

              Comment

              Working...
              X