আল্লাহ তায়ালা কত আশ্চর্য জনক ভাবে এক মাটি ও পানি থেকে অনেক প্রকারের ফল তৈরি করেছেন। তিনি সকল ফল কত নিপুণ ভাবে সৃষ্টি করেছেন। এক প্রকারের ফলের স্বাধের সাথে অপর প্রকারের ফলের স্বাধের মিল নেই। এক প্রকারের ফলের মধ্যে অপর প্রকার ফলের কোন অংশ নেই। তাই যিনি এক মাটি ও পানি থেকে এত অশ্চর্য জনক ভাবে এত প্রকারের ফল তৈরি করতে পারেন । তিনি কি আমাদের মৃত্যুর পর এবং আমরা মাটির সাথে মিশে যাওয়ার পর আশ্চার্য জনক ভাবে এই মাটি থেকে আমাদের পুনরায় বের করতে পারবেন না। কারণ তিনি বলেন। [4] وَفِى الأَرضِ قِطَعٌ مُتَجٰوِرٰتٌ وَجَنّٰتٌ مِن أَعنٰبٍ وَزَرعٌ وَنَخيلٌ صِنوانٌ وَغَيرُ صِنوانٍ يُسقىٰ بِماءٍ وٰحِدٍ وَنُفَضِّلُ بَعضَها عَلىٰ بَعضٍ فِى الأُكُلِ ۚ إِنَّ فى ذٰلِكَ لَءايٰتٍ لِقَومٍ يَعقِلونَ [4] এবং যমিনে বিভিন্ন শস্য ক্ষেত্র রয়েছে-একটি অপরটির সাথে সংলগ্ন এবং আঙ্গুরের বাগান আছে আর শস্য ও খজ্জêুর রয়েছে-একটির মূল অপরটির সাথে মিলিত এবং কতক মিলিত নয়। এগুলো কে একই পানি দ্বারা সেচ করা হয়। আর আমি স্বাদে একটিকে অপরটির চাইতে উৎকৃষ্টতর করে দেই। এগুলোর মধ্যে নিদর্শণ রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তা ভাবনা করে। [5] ۞ وَإِن تَعجَب فَعَجَبٌ قَولُهُم أَءِذا كُنّا تُرٰبًا أَءِنّا لَفى خَلقٍ جَديدٍ ۗ أُولٰئِكَ الَّذينَ كَفَروا بِرَبِّهِم ۖ وَأُولٰئِكَ الأَغلٰلُ فى أَعناقِهِم ۖ وَأُولٰئِكَ أَصحٰبُ النّارِ ۖ هُم فيها خٰلِدونَ [5] যদি আপনি বিস্ময়ের বিষয় চান, তবে তাদের একথা বিস্ময়কর যে, আমরা যখন মাটি হয়ে যাব, তখনও কি নতুন ভাবে সৃজিত হব? এরাই স্বীয় পালনকর্তার সত্তায় অবিশ্বাসী হয়ে গেছে, এদের গর্দানেই লৌহ-শৃংখল পড়বে এবং এরাই দোযখী এরা তাতে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি মানুষকে এমন প্রোগ্রাম দিয়ে সৃষ্টি করেছেন যে, প্রতিটি মানুষ অটোমেটিক ভাবেই বুঝতে পারে যে, আল্লাহ তায়ালা এক। তার সাথে কোন শরীক নেই কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন।40] قُل أَرَءَيتَكُم إِن أَتىٰكُم عَذابُ اللَّهِ أَو أَتَتكُمُ السّاعَةُ أَغَيرَ اللَّهِ تَدعونَ إِن كُنتُم صٰدِقينَ [40] বলুন, বলতো দেখি, যদি তোমাদের উপর আল্লাহর শাস্তি পতিত হয় কিংবা তোমাদের কাছে কিয়ামত এসে যায়, তবে তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে ডাকবে যদি তোমরা সত্যবাদী হও। [41] بَل إِيّاهُ تَدعونَ فَيَكشِفُ ما تَدعونَ إِلَيهِ إِن شاءَ وَتَنسَونَ ما تُشرِكونَ [41] বরং তোমরা তো তাঁকেই ডাকবে। অতঃপর যে বিপদের জন্যে তাঁকে ডাকবে, তিনি ইচ্ছা করলে তা দুরও করে দেন। যাদেরকে অংশীদার করছ, তখন তাদেরকে ভুলে যাবে। এবং আমরা জানি যে ঈমান আনয়নের জন্য প্রথমে আল্লাহর উপর ঈমান আনতে হয় , তারপর তার ফেরেস্তাদের উপর ঈমান আনতে হয়, তারপর তার কিতাব সমূহের উপর ঈমান আনতে হয়, তারপর তার রাসূলগনের উপর ঈমান আনতে হয়, তারপর কিয়ামতের দিনের উপর ঈমান আনতে হয়, তারপর ভালোমন্দ তাকদিরের উপর ঈমান আনতে হয়, তার পর কিয়ামতের দিনের উপর ঈমান আনতে হয় তারপর মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হওয়ার উপর ঈমান আনতে হয় । এর মধ্য থেকে যে কোনো একটি বিষয়ের উপর কুফরী করলে সে কাফের হিসেবে গণ্য হবে। যদিও সে আল্লাহর উপর ঈমান রাখে। কিন্তু এমনটি কেন হবে? সে তো আল্লাহর প্রতি কুফরী করল না। এর উত্তর হল সে যদিও আল্লাহর উপর কূফরী করল না। কিন্তু উপরোক্ত সাতটি বিষয়ের যে কোন একটিকে অস্বীকার করে আল্লাহর দেওয়া কোন সংবাদকে অস্বীকার করেছে। এবং এর মাধ্যমে সে আল্লাহর ক্ষমতাকে ত্রুটিপূর্ণ সাব্যস্ত করেছে। তাই সে যেন আল্লাহর প্রতি কুফরী করেছে। তাই সে কাফের হিসেবে বিবেচিত হবে।
Announcement
Collapse
No announcement yet.
আল্লাহর কুদরতের পরিচিতি।
Collapse
X
-
মাশা-আল্লাহ। জাযাকাল্লাহ খাইরান। তবে ভাই লেখার মাঝে প্যারা দিয়ে লিখলে পাঠকগণ পড়তে বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করবে । যেমনঃ
আল্লাহ তায়ালা কত আশ্চর্য জনক ভাবে এক মাটি ও পানি থেকে অনেক প্রকারের ফল তৈরি করেছেন। তিনি সকল ফল কত নিপুণ ভাবে সৃষ্টি করেছেন। এক প্রকারের ফলের স্বাধের সাথে অপর প্রকারের ফলের স্বাধের মিল নেই। এক প্রকারের ফলের মধ্যে অপর প্রকার ফলের কোন অংশ নেই। তাই যিনি এক মাটি ও পানি থেকে এত অশ্চর্য জনক ভাবে এত প্রকারের ফল তৈরি করতে পারেন । তিনি কি আমাদের মৃত্যুর পর এবং আমরা মাটির সাথে মিশে যাওয়ার পর আশ্চার্য জনক ভাবে এই মাটি থেকে আমাদের পুনরায় বের করতে পারবেন না। কারণ তিনি বলেন।
[4] وَفِى الأَرضِ قِطَعٌ مُتَجٰوِرٰتٌ وَجَنّٰتٌ مِن أَعنٰبٍ وَزَرعٌ وَنَخيلٌ صِنوانٌ وَغَيرُ صِنوانٍ يُسقىٰ بِماءٍ وٰحِدٍ وَنُفَضِّلُ بَعضَها عَلىٰ بَعضٍ فِى الأُكُلِ ۚ إِنَّ فى ذٰلِكَ لَءايٰتٍ لِقَومٍ يَعقِلونَ [4]
অর্থঃ এবং যমিনে বিভিন্ন শস্য ক্ষেত্র রয়েছে-একটি অপরটির সাথে সংলগ্ন এবং আঙ্গুরের বাগান আছে আর শস্য ও খজ্জêুর রয়েছে-একটির মূল অপরটির সাথে মিলিত এবং কতক মিলিত নয়। এগুলো কে একই পানি দ্বারা সেচ করা হয়। আর আমি স্বাদে একটিকে অপরটির চাইতে উৎকৃষ্টতর করে দেই। এগুলোর মধ্যে নিদর্শণ রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তা ভাবনা করে।
[5] ۞ وَإِن تَعجَب فَعَجَبٌ قَولُهُم أَءِذا كُنّا تُرٰبًا أَءِنّا لَفى خَلقٍ جَديدٍ ۗ أُولٰئِكَ الَّذينَ كَفَروا بِرَبِّهِم ۖ وَأُولٰئِكَ الأَغلٰلُ فى أَعناقِهِم ۖ وَأُولٰئِكَ أَصحٰبُ النّارِ ۖ هُم فيها خٰلِدونَ [5]
অর্থঃ যদি আপনি বিস্ময়ের বিষয় চান, তবে তাদের একথা বিস্ময়কর যে, আমরা যখন মাটি হয়ে যাব, তখনও কি নতুন ভাবে সৃজিত হব? এরাই স্বীয় পালনকর্তার সত্তায় অবিশ্বাসী হয়ে গেছে, এদের গর্দানেই লৌহ-শৃংখল পড়বে এবং এরাই দোযখী এরা তাতে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি মানুষকে এমন প্রোগ্রাম দিয়ে সৃষ্টি করেছেন যে, প্রতিটি মানুষ অটোমেটিক ভাবেই বুঝতে পারে যে, আল্লাহ তায়ালা এক। তার সাথে কোন শরীক নেই কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন
।40] قُل أَرَءَيتَكُم إِن أَتىٰكُم عَذابُ اللَّهِ أَو أَتَتكُمُ السّاعَةُ أَغَيرَ اللَّهِ تَدعونَ إِن كُنتُم صٰدِقينَ [40]
অর্থঃ বলুন, বলতো দেখি, যদি তোমাদের উপর আল্লাহর শাস্তি পতিত হয় কিংবা তোমাদের কাছে কিয়ামত এসে যায়, তবে তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে ডাকবে যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
[41] بَل إِيّاهُ تَدعونَ فَيَكشِفُ ما تَدعونَ إِلَيهِ إِن شاءَ وَتَنسَونَ ما تُشرِكونَ [41]
অর্থঃ বরং তোমরা তো তাঁকেই ডাকবে। অতঃপর যে বিপদের জন্যে তাঁকে ডাকবে, তিনি ইচ্ছা করলে তা দুরও করে দেন। যাদেরকে অংশীদার করছ, তখন তাদেরকে ভুলে যাবে।
এবং আমরা জানি যে ঈমান আনয়নের জন্য প্রথমে আল্লাহর উপর ঈমান আনতে হয় , তারপর তার ফেরেস্তাদের উপর ঈমান আনতে হয়, তারপর তার কিতাব সমূহের উপর ঈমান আনতে হয়, তারপর তার রাসূলগনের উপর ঈমান আনতে হয়, তারপর কিয়ামতের দিনের উপর ঈমান আনতে হয়, তারপর ভালোমন্দ তাকদিরের উপর ঈমান আনতে হয়, তার পর কিয়ামতের দিনের উপর ঈমান আনতে হয় তারপর মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হওয়ার উপর ঈমান আনতে হয় । এর মধ্য থেকে যে কোনো একটি বিষয়ের উপর কুফরী করলে সে কাফের হিসেবে গণ্য হবে। যদিও সে আল্লাহর উপর ঈমান রাখে। কিন্তু এমনটি কেন হবে? সে তো আল্লাহর প্রতি কুফরী করল না। এর উত্তর হল সে যদিও আল্লাহর উপর কূফরী করল না। কিন্তু উপরোক্ত সাতটি বিষয়ের যে কোন একটিকে অস্বীকার করে আল্লাহর দেওয়া কোন সংবাদকে অস্বীকার করেছে। এবং এর মাধ্যমে সে আল্লাহর ক্ষমতাকে ত্রুটিপূর্ণ সাব্যস্ত করেছে। তাই সে যেন আল্লাহর প্রতি কুফরী করেছে। তাই সে কাফের হিসেবে বিবেচিত হবে।
ভাই, আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুণ এবং আপনার দিলে উম্মাহর প্রতি দরদ জারি রাখুক।
- Likes 1
Comment