বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আসসালামু আলাইকুম। দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার আসল ইমেইল এড্রেস দিয়ে এখানে আইডি খুলবেন না। আগে আসল ইমেইল আইডী দিয়ে থাকলে সেটাও পরিবর্তন করুন।
পাসওয়ার্ড ও ইমেইল এড্রেস পরিবর্তনের জন্য Settings - Edit Email and Password এ ক্লিক করুন।
আমাদের বর্তমান আইপি এড্রেসঃ https://82.221.139.185
***
বাংলা না দেখা গেলে, এখানে ক্লিক করুন
*****
ফোরামে সদস্য হতে চাইলে এখানে রেজিষ্টার করুন
*****
ফোরামের অনিওন এড্রেসঃ dawah4m4pnoir4ah.onion
*****
কোন এক এলাকার কিছু ভাইয়েরা বলেন যে প্রচলিত তাবলীগ করা ফরজ। আবার তারা দাবী করেন তারা ইমাম মাহদীর সৈনিক। তারা কোরআন হাদিসের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করেন।
ফোরামের বিজ্ঞ ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আসসালামুআলাইকুম ভাই। আমি অবশ্যই কোনো বিজ্ঞ মানুষ না। আপনারই মতো একজন সাধারণ তালেবে ইলম। ভাই আমর ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু অনুধাবন করতে পারি টা হচ্ছে প্রচলিত তাবলীগ জামাতের জিহাদ বিষয়ে অনেক বিভ্রান্তি আছে। তাঁরা জিহাদ এর হাদিসগুলোর অনেক অপবেক্ষা করে থাকেন। কোন দলই যত বিশুদ্ধ হোক না কেনো কোনোদিন সরাসরি জোড় দিয়ে বলবে না যে আমরাই ইমাম মাহদির দল। এইসব কথার মাধ্যমে কেবল একটা জিনিষই প্রকাশ পায় তা হচ্ছে অজ্ঞতা এবং দলান্ধ হওয়া। এখন আসি তাবলীগ করার ব্যাপারে, তাঁদের কিছু ভুল থাকলেও অবশ্যই কিছু ভালো দিকও রয়েছে তবে তাবলীগ করাটা ফরজ এর পর্যায়ে নয়। আপনি তাদের সাথে সময় কাটান সমস্যা নাই পারলে তাদের বিভ্রান্ত আকিদা গুলোর জবাব দিন যুক্তি দিয়ে। অবশ্যই হেকমতের সাথে দাওয়াত দিবেন। নিজে ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য ইলম চর্চা করবেন এবং সবসময় আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন "হে আল্লাহ আপনি আমাকে সহীহ বুঝ দান করুন। বদ আকীদাহ, বদ আমল এবং বদ সঙ্গ থেকে হেফাজত করুন"। ইখলাসের সাথে দোয়া করল ইনশাআল্লাহ অবশ্যই আপনি সঠিক পথের উপর থাকবেন।
কোন এক এলাকার কিছু ভাইয়েরা বলেন যে প্রচলিত তাবলীগ করা ফরজ। আবার তারা দাবী করেন তারা ইমাম মাহদীর সৈনিক। তারা কোরআন হাদিসের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করেন।
ফোরামের বিজ্ঞ ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
الجواب بإسم ملهم الصدق والصواب
প্রশ্নের তিনটি অংশ।
প্রথম অংশকোন এক এলাকার কিছু ভাইয়েরা বলেন যে প্রচলিত তাবলীগ করা ফরজ।)
এর জবাব:
এই দ্বীন প্রচার একটা সময় ফরজ ছিল কিন্তু এখন তা মুস্তাহাব। কারণ বর্তমান সময়ে ফরজ দাওয়াত সারা দুনিয়ায় পৌঁছে গেছে।যার কারণে এখন যুদ্ধের পূর্বেও যদি কাফেরদের দাওয়াত না দিয়েই আক্রমণ করা হয় তবে বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
عن إبن عون قال: كتبت إلى نافع أسأله عن الدعاء قبل القتال،قال:فكتب إلى: إنما كان ذلك في أول الإسلام
ইবনে আউন রহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন আমি নাফে (রহঃ)এর কাছে যুদ্ধের পূর্বে দাওয়াত দেয়ার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে লিখে পাঠালাম। তিনি( উত্তরে)বলেন: ইসলামের সূচনাকারে এটির বিধান (ফরয)ছিল।
( মুসলিম শরীফ, কিতাবুল জিহাদ)।
বর্তমানে দাওয়াত দেয়া মুস্তাহাব এটি দরসে তিরমিজি কিতাবুল জিহাদে ৫ নং খন্ডে ১৯৯ নং পৃষ্ঠায় শাইখুল ইসলাম মুফতী তাকী উসমানী সাহেব ও আলোচনা করেছেন। এছাড়া বিস্তারিত জানতে ফতোয়া শামী, ফতোয়া আলমীরিয়া/হিন্দিয়া, ফতোয়া তাতারখানিয়া, ফতোয়া বাজ্জাজিয়া, ফতোয়া কাজিখান,আল মুহিতুল বুরহানি এই সব গুলো কিতাবের কিতাবুল জিহাদে এই মাসআলাটি বিস্তারিত আছে দেখে বা জেনে নিতে পারেন।এই কিতাবগুলো সহ আরবি ফতোয়ার নির্ভরযোগ্য অন্যান্য কিতাবগুলোতে কিতাবুল জিহাদে দেখে নিতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
বর্তমান সময়ে জিহাদ ফরজে আইন।আর জিহাদ ফরযে আইন হলে তখন দাওয়াত দেওয়ার বিধান দূর হয়ে যায়,ইমামে রব্বানী, ফকিহুন নফস ,ইমাম আবু হানিফায়ে সানী(দ্বিতীয় ইমাম আবু হানিফা) আল্লামা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী রহঃ আল কাওকাবুদ দুর্রি নামক কিতাবে এভাবে একটি মত বর্ননা করেছেন যে,
وإن هجموا علينا سقطت الدعوة
যদি তারা (কাফেররা) আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় (অর্থাৎ যখন জিহাদ ফরযে আইনের অবস্থা হয়) তখন দাওয়াতের বিধান দূর হয়ে যায়।
দ্বিতীয়অংশআবার তারা দাবী করেন তারা ইমাম মাহদীর সৈনিক।)
এর জবাবে বলবো: কারা ইমাম মাহদী আঃ এর সৈনিক কোন দল বা ব্যক্তি নির্দিষ্ট করে বলতে পারবে না। তবে যারা ইমাম মাহদী আঃ এর সৈনিক হবেন তাদের অন্যতম একটি গুন হলো তারা হবেন মুজাহিদ ফি সাবিলিল্লাহ।যা বিভিন্ন হাদিস থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত।আর এই গুনটি বর্তমান প্রচলিত তাবলীগের ভাইদের মাঝে অনুপস্থিত।
তৃতীয় অংশতারা কোরআন হাদিসের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করেন।)
এই ব্যাপারে "আদ দীন আন নাসিহা বইটি পড়লে আশা করি কিছুটা হলেও ধারনা পাবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন এবং শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করে জান্নাতে একত্রিত হওয়ার তাওফীক দান করুন আমীন
والله أعلم بالصواب
Comment