Announcement

Collapse
No announcement yet.

কুরআন ত্যাগ করার ধরণসমূহ:

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কুরআন ত্যাগ করার ধরণসমূহ:

    কুরআন ত্যাগ করার ধরণসমূহ:


    কুরআন ত্যাগ করার অনেক ধরণ রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে:

    প্রথমত: কুরআন শ্রবণ না করা,এর প্রতি ঈমান না আনা এবং কুরআনের প্রতি মনোযোগ না দেওয়া

    দ্বিতীয়ত: কুরআন অনুযায়ী আমল ত্যাগ করা, কুরআনের হালাল ও হারামের কাছে অবস্থান না করা; যদিও সে কুরআন তিলাওয়াত করে এবং এর প্রতি ঈমান আনে।

    তৃতীয়ত: কুরআন অনুযায়ী শাসনকার্য পরিচালনা না করা কুরআনের ফয়সালা না মানা

    চতুর্থত: কুরআন নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা ও বুঝে পড়া পরিত্যাগ করা এবং কুরআন থেকে আল্লাহর উদ্দেশ্য বুঝা বাদ দেওয়া।

    পঞ্চমত: অন্তরের সব রোগ-ব্যাধির নিরাময়ে কুরআনকে ঔষধ হিসেবে গ্রহণ করা পরিত্যাগ করা। যার ফলে সে কুরআন ছেড়ে অন্য কিছু দ্বারা আরোগ্য লাভে চেষ্টা করে এবং কুরআন দ্বারা চিকিৎসা করানো না মানা।

    উপরোক্ত সব প্রকার নিম্নোক্ত আয়াতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

    وَقَالَ ٱلرَّسُولُ يَٰرَبِّ إِنَّ قَوۡمِي ٱتَّخَذُواْ هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانَ مَهۡجُورٗا٭ [الفرقان: ٣٠]

    “আর রাসূল বলবে, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমার কওম এ কুরআনকে পরিত্যাজ্য গণ্য করেছে।” [সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ৩০]

    যদিও কতিপয় পরিত্যাগ একটির তুলনায় অন্যটি বেশি জঘন্য।

    এ সব লোকদের অন্তরে কুরআনের দ্বারা সংকীর্ণতা সৃষ্টি হয়। আর তারা নিজেরা তা বুঝতে পারে এবং এ জটিলতা তারা অন্তরে অনুভব করে। দীনের মধ্যে বিদ‘আত সৃষ্টিকারী এমন কাউকে পাবে না, উক্ত বিদ‘আত করার সময় যার অন্তরে কিছু আয়াতের ব্যাপারে সংকীর্ণতা আসে না, বিশেষ করে যে সব আয়াত তাদের ও তাদের কাজের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

    অতএব, এ বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে চিন্তা-গবেষণা করো। অতঃপর নিজের জন্য যেটা পছন্দ করো সেটি গ্রহণ করো।

    মুখতাসারুল ফাওয়ায়েদ; (ইবনুল কাইয়্যেম রহ.-এর আল-ফাওয়ায়েদ অবলম্বনে)​


    সংগৃহীত
    Last edited by Rakibul Hassan; 1 day ago.


  • #2
    হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে দ্বীনের ধারক বাহক বানাও।
    যারা কুরআন ত্যাগ করে তাদের অন্তর্ভুক্ত বানিও না

    আল্লাহ
    আল ফুরকান, আয়াতঃ ৩০

    وَقَالَ الرَّسُوۡلُ یٰرَبِّ اِنَّ قَوۡمِی اتَّخَذُوۡا ہٰذَا الۡقُرۡاٰنَ مَہۡجُوۡرًا

    অর্থঃ
    মুফতী তাকী উসমানী
    আর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমার সম্প্রদায় এ কুরআনকে বিলকুল পরিত্যাগ করেছিল। ১৬

    মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
    রসূল বললেনঃ হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় এই কোরআনকে প্রলাপ সাব্যস্ত করেছে।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশন
    রাসূল বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার সম্প্রদায় তো এই কুরআনকে পরিত্যাজ্য মনে করে।’

    ---------------------

    তাফসীর (মুফতী তাকী উসমানী) (Bangla)

    ১৬. আলোচনার ধারাবাহিকতার প্রতি লক্ষ করলে যদিও বোঝা যায়, এখানে ‘সম্প্রদায়’ বলে কাফেরদের প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে, কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে বক্তব্য আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, মুসলিমদের জন্যও তা ভয়ের কারণ। কেননা মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও যদি কুরআন মাজীদকে অবহেলা করা হয় এবং জীবনের পথ চলায় তার হেদায়াত ও নির্দেশনাকে আমলে নেওয়া না হয়, তবে এ কঠিন বাক্যটির আওতায় তাদেরও পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এমনও হতে পারে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুপারিশ না করে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়েই দাঁড়িয়ে যাবেন। (আল্লাহ তাআলা তা থেকে রক্ষা করুন)।​

    Comment

    Working...
    X