জরুরী নোটিশ!ওযুবিহীন অবস্থায় স্কিনে আয়াতের মূল অংশে স্পর্শ করা হারাম।
یٰۤاَیُّہَا الۡاِنۡسَانُ مَا غَرَّکَ بِرَبِّکَ الۡکَرِیۡمِ ۙ الَّذِیۡ خَلَقَکَ فَسَوّٰىکَ فَعَدَلَکَ ۙ فِیۡۤ اَیِّ صُوۡرَۃٍ مَّا شَآءَ رَکَّبَکَ ؕ
হে মানুষ! কোন জিনিস তোমাকে তোমার সেই মহান প্রতিপালক সম্বন্ধে ধোঁকায় ফেলেছে
যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তোমাকে সুগঠিত করেছেন ও তোমাকে সুসমঞ্জস করেছেন।
যেই আকৃতিতে তিনি চেয়েছেন, তোমাকে গঠন করেছেন।
—সূরা আল ইন্ফিতার (৬ - ৮)
একটু ফিকির করি ! কোন জিনিস আমাদের দয়াময় রব সমন্ধে ধোঁকায় ফেলেছে? যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন , আমাদের হায়াত-মওত , সুখ-দুঃখ সব তাঁর হাতে, আমরা কেন হাবিব নাজ্জারের মত দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি না!
وَمَا لِیَ لَاۤ اَعۡبُدُ الَّذِیۡ فَطَرَنِیۡ وَاِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ . ءَاَتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اٰلِہَۃً اِنۡ یُّرِدۡنِ الرَّحۡمٰنُ بِضُرٍّ لَّا تُغۡنِ عَنِّیۡ شَفَاعَتُہُمۡ شَیۡئًا وَّلَا یُنۡقِذُوۡنِ ۚ
আমার কী যুক্তি আছে যে, আমি সেই সত্তার ইবাদত করব না, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন? এবং তারই দিকে তোমাদের সকলকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
আমি কি তাকে ছেড়ে এমন সব মাবুদ গ্রহণ করব, দয়াময় আল্লাহ আমার কোন অনিষ্ট করতে চাইলে যাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবে না এবং যারা আমাকে উদ্ধারও করতে পারবে না?
— সূরা ইয়াসীন - (২২,২৩)
তিনি দয়া করে নিজের পছন্দমত আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তাই তো , প্রত্যেকের কাছে নিজের চেহারা সুন্দর দেখায়, আয়নার সামনে দাঁড়ালে কাহারো নিজের চেহারা খারাপ লাগে না, যদি যার যার চেহারা তার নিজের হাতে বানাতে বলা হত, আমরা হয়ত গোটা জীবনেও নিজ আকৃতির ব্যাপারে খুশি হতে পারতাম না!
যাইহোক, মহান রবের ব্যাপারে আমরা কেমন ধোঁকায় পড়ে আছি, তার কিছুটা কুরআনের আয়াতে আয়াতে তালাশের চেষ্টা করি;
আল্লাহ বলেন:
قُلۡ یٰعِبَادِیَ الَّذِیۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّہٗ ہُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ
বলে দাও, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজ সত্তার উপর সীমালংঘন করেছে, (প্রথমত আল্লাহ গুনাহগাদেরকে নিজের দিকে নেসবত করে বলছেন, হে 'আমার' ওই সকল বান্দা যারা গুনাহ করেছ , সীমালংঘন করে ফেলেছ;
এরপর আল্লাহ কি তাদের বলেন, শাস্তি দিবেন না অন্য কি বলেন একটু মনোযোগী হই রবের পরের কথায়)
لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰہِ ؕ
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। ( আমার বান্দা! তোমরা আমার রহমত থেকে কখনোই নৈরাশ হবে না!
নামাজ বাদ দিয়েছ? রোযা ছেড়েছ? সম্পদের হক্ব আদায় করনি? হজ্জে যেতে গড়িমসি করেছ? জিহাদ ফরয জেনেও ঘরে বসে থেকেছ? সুযোগ থাকা সত্বেও কোন পদক্ষেপ নেওনি? অন্যায় দেখে মুখ বুজে থেকেছ? মা-বাবার সাথে খারাপ আচরণ করেছ? নবীর অসম্মানে চুপ থেকেছ? তাওহীদের দাওয়াত দেয়া থেকে বিরত থেকেছ? আমিরের আনুগত্বে গাফলতি করেছ? সত্য এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছ? অন্যের হক্ব নষ্ট করেছ? অহংকার, হিংসা , গিবত ও অন্য মুসলিমের কুৎসা রটনা করেছ? শরাব পান করেছ? যেনা-ব্যভিচার করেছ? নির্জন মুহূর্তে বড় বড় গুনাহ করেছ? যাই করে থাক না কেন বান্দা আমার রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না , কোন অবস্থাতেই না, এমনকি কুফর-শিরকের মত জঘন্যতম গুনাহ থেকেও যদি তাওবা করতে চাও তোমাদের তাওবা কবুল করা হবে, নিরাশ হয়ো না কিছুতেই !)
{কেননা }
اِنَّ اللّٰہَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّہٗ ہُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ
নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত পাপ ক্ষমা করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
—সূরা যুমার - ৫৩
এরপরের আয়াতে আল্লাহ আমাদের আবারও ডেকে বলছেন:
وَاَنِیۡبُوۡۤا اِلٰی رَبِّکُمۡ وَاَسۡلِمُوۡا لَہٗ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ الۡعَذَابُ ثُمَّ لَا تُنۡصَرُوۡنَ
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হয়ে যাও এবং তাঁর সমীপে আনুগত্য প্রকাশ কর তোমাদের নিকট শাস্তি আসার আগে, যার পর আর তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না।
—আয্-যুমার - ৫৪
যার যা পাপ আছে তা থেকে ফিরে এসো,এবং আল্লাহর পরিপূর্ণ বিধানের আনুগত্য করতে থাক।
এখানে আমাদেরকে পাপাচার প্রত্যাবর্তন ও রবের সামনে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে, শাস্তি আসার আগেই!
কিন্তু শাস্তি কখন আসবে?
পরের আয়াতে আল্লাহ তা জানিয়ে দিচ্ছেন:
وَاتَّبِعُوۡۤا اَحۡسَنَ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکُمۡ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ الۡعَذَابُ بَغۡتَۃً وَّاَنۡتُمۡ لَا تَشۡعُرُوۡنَ ۙ
এবং তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমাদের উপর উত্তম যা-কিছু অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ কর তোমাদের কাছে অতর্কিতভাবে শাস্তি আসার আগে, অথচ তোমরা তা জানতেও পারবে না।
—আয্-যুমার - ৫৫
হঠাৎকরে বিনা নোটিশে চলে আসবে, এই মুহূর্তেও আসতে পারে ! কাজেই সাবধান হে গুনাহগার!
আচ্ছা যদি শাস্তি বা মৃত্যু আসার আগে আত্মসমর্পণ না করি তাহলে?
তখন কি হবে , আমরা কী বলব ওই সময়! তা পরের আয়াতে আল্লাহ জানাচ্ছেন;
اَنۡ تَقُوۡلَ نَفۡسٌ یّٰحَسۡرَتٰی عَلٰی مَا فَرَّطۡتُّ فِیۡ جَنۡۢبِ اللّٰہِ وَاِنۡ کُنۡتُ لَمِنَ السّٰخِرِیۡنَ ۙ
যাতে কাউকে বলতে না হয় যে, হায়! আল্লাহর ব্যাপারে আমি যে অবহেলা করেছি তার জন্য আফসোস! প্রকৃতপক্ষে আমি (আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধান নিয়ে) ঠাট্টাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছিলাম।
—আয্-যুমার - ৫৬
আরও কি কি ওজর আমরা দেখাব তাও আল্লাহ জানিয়েছেন:
اَوۡ تَقُوۡلَ لَوۡ اَنَّ اللّٰہَ ہَدٰىنِیۡ لَکُنۡتُ مِنَ الۡمُتَّقِیۡنَ ۙ
অথবা কাউকে বলতে না হয় যে, আল্লাহ যদি আমাকে হেদায়াত দিতেন তবে আমিও মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতাম।
اَوۡ تَقُوۡلَ حِیۡنَ تَرَی الۡعَذَابَ لَوۡ اَنَّ لِیۡ کَرَّۃً فَاَکُوۡنَ مِنَ الۡمُحۡسِنِیۡنَ
অথবা শাস্তি চাক্ষুষ দেখার পর যেন কাউকে বলতে না হয়, আহা! আমার যদি একটিবার ফিরে যাওয়ার সুযোগ হত, তবে আমি সৎকর্মশীলদের একজন হয়ে যেতাম।
—আয্-যুমার ৫৭, ৫৮
ওযর গৃহিত হবে আমাদের বা আরেকবার সুযোগ পাব কি আমরা!
দেখি পরের আয়াতে :
بَلٰی قَدۡ جَآءَتۡکَ اٰیٰتِیۡ فَکَذَّبۡتَ بِہَا وَاسۡتَکۡبَرۡتَ وَکُنۡتَ مِنَ الۡکٰفِرِیۡنَ
অবশ্যই (তোমাকে হেদায়াত দেওয়া হয়েছিল)। আমার নিদর্শনাবলী তোমার কাছে এসেছিল, কিন্তু তুমি তাকে মিথ্যা বলেছিলে এবং অহমিকা দেখিয়েছিলে আর তুমি ছিলে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত।
—আয্-যুমার - ৫৯
হায় ! আফসোস কোন ওযরই তো খাটল না! এখন!
হায় ! হায়! আফসোস! শত আফসোস!
وَیَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ تَرَی الَّذِیۡنَ کَذَبُوۡا عَلَی اللّٰہِ وُجُوۡہُہُمۡ مُّسۡوَدَّۃٌ ؕ اَلَیۡسَ فِیۡ جَہَنَّمَ مَثۡوًی لِّلۡمُتَکَبِّرِیۡنَ
কিয়ামতের দিন তুমি দেখবে, যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিল, তাদের চেহারা কালো হয়ে গেছে। এরূপ অহংকারীদের ঠিকানা কি জাহান্নামে নয়?
—আয্-যুমার - ৬০
তাহলে মুক্তি কিভাবে পাব? আমি তো অনন্তকালের জন্য কালো চেহারা ও দোজখের আগুন সহ্য করতে পারব না! হে আল্লাহ আমার কি উপায় হবে? আমি এখন কি করতে পারি! কারা মুক্তি পাবে যদি জানাতেন!
পরবর্তী আয়াতে দয়াময় প্রভু আমাদের মুক্তির উপায় জানিয়ে দিচ্ছেন:
وَیُنَجِّی اللّٰہُ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا بِمَفَازَتِہِمۡ ۫ لَا یَمَسُّہُمُ السُّوۡٓءُ وَلَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ
যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, আল্লাহ তাদেরকে মুক্তি দেবেন তাদের আমলসহ। কোন কষ্ট তাদেরকে স্পর্শ করবে না এবং তাদের থাকবে না কোন দুঃখ।
—আয্-যুমার - ৬১
তাক্বওয়ার ব্যাখ্যায় উলামায়ে কেরামগণ বলেন: 'আল্লাহকে ভয় করা এবং আল্লাহর ভয়ে সকল নাফরমানী থেকে বিরত থাকা।'
সেই প্রথমের কথা , বান্দা! আগে যা করেছ তো করেছ, আমার রহমতের ব্যাপারে আশাহত হয়ো না, ওগুলো মাফ হওয়ার ব্যাপারে নিরাশ থেকো না, যা হওয়ার হয়েছে, এখন আমার দিকে ফিরে এসো, আংশিক নয় বরং পরিপূর্ণভাবে আমার বিধানের সামনে আত্মসমর্পণ করো , মৃত্যু আসার আগেই, আর যেকোন মৃত্যু সময় আসতে পারে।
তাই এখনই প্রত্যাবর্তন করো !
এই কথাই সূরা হাদিদে আরও স্নেহের সাথে ডেকে বলেন:
اَلَمۡ یَاۡنِ لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَنۡ تَخۡشَعَ قُلُوۡبُہُمۡ لِذِکۡرِ اللّٰہِ وَمَا نَزَلَ مِنَ الۡحَقِّ ۙ وَلَا یَکُوۡنُوۡا کَالَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلُ فَطَالَ عَلَیۡہِمُ الۡاَمَدُ فَقَسَتۡ قُلُوۡبُہُمۡ ؕ وَکَثِیۡرٌ مِّنۡہُمۡ فٰسِقُوۡنَ
যারা ঈমান এনেছে, তাদের জন্য কি এখনও সেই সময় আসেনি যে, আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তাদের অন্তর বিগলিত হবে? এবং তারা তাদের মত হবে না, যাদেরকে পূর্বে কিতাব দেওয়া হয়েছিল অতঃপর যখন তাদের উপর দিয়ে দীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হল, তখন তাদের অন্তর শক্ত হয়ে গেল এবং (আজ) তাদের অধিকাংশই অবাধ্য।
—আল হাদীদ - ১৬
এর পরের আয়াতেই আল্লাহ ঘোষণা করেন:
اِعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ یُحۡیِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِہَا ؕ قَدۡ بَیَّنَّا لَکُمُ الۡاٰیٰتِ لَعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ
জেনে রেখ, আল্লাহই ভূমিকে তার মৃত্যুর পর জীবন দান করেন। আমি তোমাদের জন্য নিদর্শনাবলী সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করে দিয়েছি, যাতে তোমরা বুদ্ধিকে কাজে লাগাও।
—আল হাদীদ - ১৭
এই আয়াতের তাফসিরে আল্লামা তাকি উসমানী বলেন:
"অর্থাৎ যে সকল মুসলিমের দ্বারা কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়ে গেছে এবং তারা ঈমানের সকল দাবী পূরণ করতে পারেনি, তাদের হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। আল্লাহ তাআলা যেভাবে মৃত ভূমিকে পুনর্জীবিত করেন, তেমনিভাবে তিনি তাওবাকারীগণকেও তাদের তাওবা কবুল করে নতুন জীবন দান করেন।"
কাজেই যিনি মৃত জমিন তাজা করেন মরা অন্তরও তো তিনিই জীবন্ত করে তুলবেন, চিন্তার কি আছে, আমার শুধু হিম্মত করে আল্লাহর পথে অগ্রসর হওয়াই বাকি!
আরও দুইটা আয়াত উল্লেখ করছি , এগুলো সম্পর্কে কিছু বলবো না আমরা নিজেরাই শুধু একটু ভাববো!
وَمَنۡ یَّعۡمَلۡ سُوۡٓءًا اَوۡ یَظۡلِمۡ نَفۡسَہٗ ثُمَّ یَسۡتَغۡفِرِ اللّٰہَ یَجِدِ اللّٰہَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا
যে ব্যক্তি কোনও মন্দ কাজ করে ফেলে বা নিজের প্রতি জুলুম করে বসে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, সে অবশ্যই আল্লাহকে অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালুই পাবে।
সূরা আন-নিসা - ১১০
وَالَّذِیۡنَ اِذَا فَعَلُوۡا فَاحِشَۃً اَوۡ ظَلَمُوۡۤا اَنۡفُسَہُمۡ ذَکَرُوا اللّٰہَ فَاسۡتَغۡفَرُوۡا لِذُنُوۡبِہِمۡ ۪ وَمَنۡ یَّغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ اِلَّا اللّٰہُ ۪۟ وَلَمۡ یُصِرُّوۡا عَلٰی مَا فَعَلُوۡا وَہُمۡ یَعۡلَمُوۡنَ
এবং তারা সেই সকল লোক, যারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে বা (অন্য কোনওভাবে) নিজেদের প্রতি জুলুম করলে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার ফলশ্রুতিতে নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে আর আল্লাহ ছাড়া আর কেইবা আছে, যে গুনাহ ক্ষমা করতে পারে? আর তারা জেনেশুনে তাদের কৃতকর্মে অবিচল থাকে না।
—সূরা আলে ইমরান , আয়াত:১৩৫
পরিশেষে সূরা মুরাসালাতের আখেরী আয়াত টা দিয়ে আমাদের তাদাব্বুর শেষ করছি:
فَبِاَیِّ حَدِیۡثٍۭ بَعۡدَہٗ یُؤۡمِنُوۡنَ
সুতরাং এরপর আর এমন কী কথা আছে, যার উপর তারা ঈমান আনবে?
—আল মুরসালাত - ৫০
یٰۤاَیُّہَا الۡاِنۡسَانُ مَا غَرَّکَ بِرَبِّکَ الۡکَرِیۡمِ ۙ الَّذِیۡ خَلَقَکَ فَسَوّٰىکَ فَعَدَلَکَ ۙ فِیۡۤ اَیِّ صُوۡرَۃٍ مَّا شَآءَ رَکَّبَکَ ؕ
হে মানুষ! কোন জিনিস তোমাকে তোমার সেই মহান প্রতিপালক সম্বন্ধে ধোঁকায় ফেলেছে
যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তোমাকে সুগঠিত করেছেন ও তোমাকে সুসমঞ্জস করেছেন।
যেই আকৃতিতে তিনি চেয়েছেন, তোমাকে গঠন করেছেন।
—সূরা আল ইন্ফিতার (৬ - ৮)
একটু ফিকির করি ! কোন জিনিস আমাদের দয়াময় রব সমন্ধে ধোঁকায় ফেলেছে? যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন , আমাদের হায়াত-মওত , সুখ-দুঃখ সব তাঁর হাতে, আমরা কেন হাবিব নাজ্জারের মত দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি না!
وَمَا لِیَ لَاۤ اَعۡبُدُ الَّذِیۡ فَطَرَنِیۡ وَاِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ . ءَاَتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اٰلِہَۃً اِنۡ یُّرِدۡنِ الرَّحۡمٰنُ بِضُرٍّ لَّا تُغۡنِ عَنِّیۡ شَفَاعَتُہُمۡ شَیۡئًا وَّلَا یُنۡقِذُوۡنِ ۚ
আমার কী যুক্তি আছে যে, আমি সেই সত্তার ইবাদত করব না, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন? এবং তারই দিকে তোমাদের সকলকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
আমি কি তাকে ছেড়ে এমন সব মাবুদ গ্রহণ করব, দয়াময় আল্লাহ আমার কোন অনিষ্ট করতে চাইলে যাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবে না এবং যারা আমাকে উদ্ধারও করতে পারবে না?
— সূরা ইয়াসীন - (২২,২৩)
তিনি দয়া করে নিজের পছন্দমত আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তাই তো , প্রত্যেকের কাছে নিজের চেহারা সুন্দর দেখায়, আয়নার সামনে দাঁড়ালে কাহারো নিজের চেহারা খারাপ লাগে না, যদি যার যার চেহারা তার নিজের হাতে বানাতে বলা হত, আমরা হয়ত গোটা জীবনেও নিজ আকৃতির ব্যাপারে খুশি হতে পারতাম না!
যাইহোক, মহান রবের ব্যাপারে আমরা কেমন ধোঁকায় পড়ে আছি, তার কিছুটা কুরআনের আয়াতে আয়াতে তালাশের চেষ্টা করি;
আল্লাহ বলেন:
قُلۡ یٰعِبَادِیَ الَّذِیۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّہٗ ہُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ
বলে দাও, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজ সত্তার উপর সীমালংঘন করেছে, (প্রথমত আল্লাহ গুনাহগাদেরকে নিজের দিকে নেসবত করে বলছেন, হে 'আমার' ওই সকল বান্দা যারা গুনাহ করেছ , সীমালংঘন করে ফেলেছ;
এরপর আল্লাহ কি তাদের বলেন, শাস্তি দিবেন না অন্য কি বলেন একটু মনোযোগী হই রবের পরের কথায়)
لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰہِ ؕ
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। ( আমার বান্দা! তোমরা আমার রহমত থেকে কখনোই নৈরাশ হবে না!
নামাজ বাদ দিয়েছ? রোযা ছেড়েছ? সম্পদের হক্ব আদায় করনি? হজ্জে যেতে গড়িমসি করেছ? জিহাদ ফরয জেনেও ঘরে বসে থেকেছ? সুযোগ থাকা সত্বেও কোন পদক্ষেপ নেওনি? অন্যায় দেখে মুখ বুজে থেকেছ? মা-বাবার সাথে খারাপ আচরণ করেছ? নবীর অসম্মানে চুপ থেকেছ? তাওহীদের দাওয়াত দেয়া থেকে বিরত থেকেছ? আমিরের আনুগত্বে গাফলতি করেছ? সত্য এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছ? অন্যের হক্ব নষ্ট করেছ? অহংকার, হিংসা , গিবত ও অন্য মুসলিমের কুৎসা রটনা করেছ? শরাব পান করেছ? যেনা-ব্যভিচার করেছ? নির্জন মুহূর্তে বড় বড় গুনাহ করেছ? যাই করে থাক না কেন বান্দা আমার রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না , কোন অবস্থাতেই না, এমনকি কুফর-শিরকের মত জঘন্যতম গুনাহ থেকেও যদি তাওবা করতে চাও তোমাদের তাওবা কবুল করা হবে, নিরাশ হয়ো না কিছুতেই !)
{কেননা }
اِنَّ اللّٰہَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّہٗ ہُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ
নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত পাপ ক্ষমা করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
—সূরা যুমার - ৫৩
এরপরের আয়াতে আল্লাহ আমাদের আবারও ডেকে বলছেন:
وَاَنِیۡبُوۡۤا اِلٰی رَبِّکُمۡ وَاَسۡلِمُوۡا لَہٗ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ الۡعَذَابُ ثُمَّ لَا تُنۡصَرُوۡنَ
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হয়ে যাও এবং তাঁর সমীপে আনুগত্য প্রকাশ কর তোমাদের নিকট শাস্তি আসার আগে, যার পর আর তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না।
—আয্-যুমার - ৫৪
যার যা পাপ আছে তা থেকে ফিরে এসো,এবং আল্লাহর পরিপূর্ণ বিধানের আনুগত্য করতে থাক।
এখানে আমাদেরকে পাপাচার প্রত্যাবর্তন ও রবের সামনে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে, শাস্তি আসার আগেই!
কিন্তু শাস্তি কখন আসবে?
পরের আয়াতে আল্লাহ তা জানিয়ে দিচ্ছেন:
وَاتَّبِعُوۡۤا اَحۡسَنَ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکُمۡ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ الۡعَذَابُ بَغۡتَۃً وَّاَنۡتُمۡ لَا تَشۡعُرُوۡنَ ۙ
এবং তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমাদের উপর উত্তম যা-কিছু অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ কর তোমাদের কাছে অতর্কিতভাবে শাস্তি আসার আগে, অথচ তোমরা তা জানতেও পারবে না।
—আয্-যুমার - ৫৫
হঠাৎকরে বিনা নোটিশে চলে আসবে, এই মুহূর্তেও আসতে পারে ! কাজেই সাবধান হে গুনাহগার!
আচ্ছা যদি শাস্তি বা মৃত্যু আসার আগে আত্মসমর্পণ না করি তাহলে?
তখন কি হবে , আমরা কী বলব ওই সময়! তা পরের আয়াতে আল্লাহ জানাচ্ছেন;
اَنۡ تَقُوۡلَ نَفۡسٌ یّٰحَسۡرَتٰی عَلٰی مَا فَرَّطۡتُّ فِیۡ جَنۡۢبِ اللّٰہِ وَاِنۡ کُنۡتُ لَمِنَ السّٰخِرِیۡنَ ۙ
যাতে কাউকে বলতে না হয় যে, হায়! আল্লাহর ব্যাপারে আমি যে অবহেলা করেছি তার জন্য আফসোস! প্রকৃতপক্ষে আমি (আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধান নিয়ে) ঠাট্টাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছিলাম।
—আয্-যুমার - ৫৬
আরও কি কি ওজর আমরা দেখাব তাও আল্লাহ জানিয়েছেন:
اَوۡ تَقُوۡلَ لَوۡ اَنَّ اللّٰہَ ہَدٰىنِیۡ لَکُنۡتُ مِنَ الۡمُتَّقِیۡنَ ۙ
অথবা কাউকে বলতে না হয় যে, আল্লাহ যদি আমাকে হেদায়াত দিতেন তবে আমিও মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতাম।
اَوۡ تَقُوۡلَ حِیۡنَ تَرَی الۡعَذَابَ لَوۡ اَنَّ لِیۡ کَرَّۃً فَاَکُوۡنَ مِنَ الۡمُحۡسِنِیۡنَ
অথবা শাস্তি চাক্ষুষ দেখার পর যেন কাউকে বলতে না হয়, আহা! আমার যদি একটিবার ফিরে যাওয়ার সুযোগ হত, তবে আমি সৎকর্মশীলদের একজন হয়ে যেতাম।
—আয্-যুমার ৫৭, ৫৮
ওযর গৃহিত হবে আমাদের বা আরেকবার সুযোগ পাব কি আমরা!
দেখি পরের আয়াতে :
بَلٰی قَدۡ جَآءَتۡکَ اٰیٰتِیۡ فَکَذَّبۡتَ بِہَا وَاسۡتَکۡبَرۡتَ وَکُنۡتَ مِنَ الۡکٰفِرِیۡنَ
অবশ্যই (তোমাকে হেদায়াত দেওয়া হয়েছিল)। আমার নিদর্শনাবলী তোমার কাছে এসেছিল, কিন্তু তুমি তাকে মিথ্যা বলেছিলে এবং অহমিকা দেখিয়েছিলে আর তুমি ছিলে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত।
—আয্-যুমার - ৫৯
হায় ! আফসোস কোন ওযরই তো খাটল না! এখন!
হায় ! হায়! আফসোস! শত আফসোস!
وَیَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ تَرَی الَّذِیۡنَ کَذَبُوۡا عَلَی اللّٰہِ وُجُوۡہُہُمۡ مُّسۡوَدَّۃٌ ؕ اَلَیۡسَ فِیۡ جَہَنَّمَ مَثۡوًی لِّلۡمُتَکَبِّرِیۡنَ
কিয়ামতের দিন তুমি দেখবে, যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিল, তাদের চেহারা কালো হয়ে গেছে। এরূপ অহংকারীদের ঠিকানা কি জাহান্নামে নয়?
—আয্-যুমার - ৬০
তাহলে মুক্তি কিভাবে পাব? আমি তো অনন্তকালের জন্য কালো চেহারা ও দোজখের আগুন সহ্য করতে পারব না! হে আল্লাহ আমার কি উপায় হবে? আমি এখন কি করতে পারি! কারা মুক্তি পাবে যদি জানাতেন!
পরবর্তী আয়াতে দয়াময় প্রভু আমাদের মুক্তির উপায় জানিয়ে দিচ্ছেন:
وَیُنَجِّی اللّٰہُ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا بِمَفَازَتِہِمۡ ۫ لَا یَمَسُّہُمُ السُّوۡٓءُ وَلَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ
যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, আল্লাহ তাদেরকে মুক্তি দেবেন তাদের আমলসহ। কোন কষ্ট তাদেরকে স্পর্শ করবে না এবং তাদের থাকবে না কোন দুঃখ।
—আয্-যুমার - ৬১
তাক্বওয়ার ব্যাখ্যায় উলামায়ে কেরামগণ বলেন: 'আল্লাহকে ভয় করা এবং আল্লাহর ভয়ে সকল নাফরমানী থেকে বিরত থাকা।'
সেই প্রথমের কথা , বান্দা! আগে যা করেছ তো করেছ, আমার রহমতের ব্যাপারে আশাহত হয়ো না, ওগুলো মাফ হওয়ার ব্যাপারে নিরাশ থেকো না, যা হওয়ার হয়েছে, এখন আমার দিকে ফিরে এসো, আংশিক নয় বরং পরিপূর্ণভাবে আমার বিধানের সামনে আত্মসমর্পণ করো , মৃত্যু আসার আগেই, আর যেকোন মৃত্যু সময় আসতে পারে।
তাই এখনই প্রত্যাবর্তন করো !
এই কথাই সূরা হাদিদে আরও স্নেহের সাথে ডেকে বলেন:
اَلَمۡ یَاۡنِ لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَنۡ تَخۡشَعَ قُلُوۡبُہُمۡ لِذِکۡرِ اللّٰہِ وَمَا نَزَلَ مِنَ الۡحَقِّ ۙ وَلَا یَکُوۡنُوۡا کَالَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلُ فَطَالَ عَلَیۡہِمُ الۡاَمَدُ فَقَسَتۡ قُلُوۡبُہُمۡ ؕ وَکَثِیۡرٌ مِّنۡہُمۡ فٰسِقُوۡنَ
যারা ঈমান এনেছে, তাদের জন্য কি এখনও সেই সময় আসেনি যে, আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তাদের অন্তর বিগলিত হবে? এবং তারা তাদের মত হবে না, যাদেরকে পূর্বে কিতাব দেওয়া হয়েছিল অতঃপর যখন তাদের উপর দিয়ে দীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হল, তখন তাদের অন্তর শক্ত হয়ে গেল এবং (আজ) তাদের অধিকাংশই অবাধ্য।
—আল হাদীদ - ১৬
এর পরের আয়াতেই আল্লাহ ঘোষণা করেন:
اِعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ یُحۡیِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِہَا ؕ قَدۡ بَیَّنَّا لَکُمُ الۡاٰیٰتِ لَعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ
জেনে রেখ, আল্লাহই ভূমিকে তার মৃত্যুর পর জীবন দান করেন। আমি তোমাদের জন্য নিদর্শনাবলী সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করে দিয়েছি, যাতে তোমরা বুদ্ধিকে কাজে লাগাও।
—আল হাদীদ - ১৭
এই আয়াতের তাফসিরে আল্লামা তাকি উসমানী বলেন:
"অর্থাৎ যে সকল মুসলিমের দ্বারা কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়ে গেছে এবং তারা ঈমানের সকল দাবী পূরণ করতে পারেনি, তাদের হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। আল্লাহ তাআলা যেভাবে মৃত ভূমিকে পুনর্জীবিত করেন, তেমনিভাবে তিনি তাওবাকারীগণকেও তাদের তাওবা কবুল করে নতুন জীবন দান করেন।"
কাজেই যিনি মৃত জমিন তাজা করেন মরা অন্তরও তো তিনিই জীবন্ত করে তুলবেন, চিন্তার কি আছে, আমার শুধু হিম্মত করে আল্লাহর পথে অগ্রসর হওয়াই বাকি!
আরও দুইটা আয়াত উল্লেখ করছি , এগুলো সম্পর্কে কিছু বলবো না আমরা নিজেরাই শুধু একটু ভাববো!
وَمَنۡ یَّعۡمَلۡ سُوۡٓءًا اَوۡ یَظۡلِمۡ نَفۡسَہٗ ثُمَّ یَسۡتَغۡفِرِ اللّٰہَ یَجِدِ اللّٰہَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا
যে ব্যক্তি কোনও মন্দ কাজ করে ফেলে বা নিজের প্রতি জুলুম করে বসে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, সে অবশ্যই আল্লাহকে অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালুই পাবে।
সূরা আন-নিসা - ১১০
وَالَّذِیۡنَ اِذَا فَعَلُوۡا فَاحِشَۃً اَوۡ ظَلَمُوۡۤا اَنۡفُسَہُمۡ ذَکَرُوا اللّٰہَ فَاسۡتَغۡفَرُوۡا لِذُنُوۡبِہِمۡ ۪ وَمَنۡ یَّغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ اِلَّا اللّٰہُ ۪۟ وَلَمۡ یُصِرُّوۡا عَلٰی مَا فَعَلُوۡا وَہُمۡ یَعۡلَمُوۡنَ
এবং তারা সেই সকল লোক, যারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে বা (অন্য কোনওভাবে) নিজেদের প্রতি জুলুম করলে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার ফলশ্রুতিতে নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে আর আল্লাহ ছাড়া আর কেইবা আছে, যে গুনাহ ক্ষমা করতে পারে? আর তারা জেনেশুনে তাদের কৃতকর্মে অবিচল থাকে না।
—সূরা আলে ইমরান , আয়াত:১৩৫
পরিশেষে সূরা মুরাসালাতের আখেরী আয়াত টা দিয়ে আমাদের তাদাব্বুর শেষ করছি:
فَبِاَیِّ حَدِیۡثٍۭ بَعۡدَہٗ یُؤۡمِنُوۡنَ
সুতরাং এরপর আর এমন কী কথা আছে, যার উপর তারা ঈমান আনবে?
—আল মুরসালাত - ৫০