দারসুল কুরআন-২
الٓمٓ
ذَٰلِكَ ٱلْكِتَٰبُ لَا رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
ٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِٱلْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَمِمَّا رَزَقْنَٰهُمْ يُنفِقُونَ
وَٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِٱلْءَاخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ
أُو۟لَٰٓئِكَ عَلَىٰ هُدًى مِّن رَّبِّهِمْ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ
অর্থঃ আলিফ লাম মীম।
এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,
যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে। তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথপ্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম।
(সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ১-৫)
আয়াতের হেদায়েত/শিক্ষা;
👉👉 আল্লাহ তাআলার প্রতি ঈমান মজবুত করা।
👉👉 কুরআনুল কারীম থেকে হেদায়েত অনুসন্ধান করা।
👉👉 তাক্বওয়া ও মুত্তাকি'র মর্যাদা উপলব্ধি করা।
👉👉 হেদায়েতপ্রাপ্ত বান্দাদের গুণাবলী অর্জন করতে উৎসাহ দেওয়া।যেন তারা তাদের পথ অনুসরণ করে দুনিয়া ও আখেরাতে হেদায়েতপ্রাপ্ত ও সফল হতে পারে।
إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ سَوَآءٌ عَلَيْهِمْ ءَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
خَتَمَ ٱللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ وَعَلَىٰ سَمْعِهِمْ وَعَلَىٰٓ أَبْصَٰرِهِمْ غِشَٰوَةٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
অর্থঃ নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না। আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য কঠোর শাস্তি।
(সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ৬-৭)
আয়াতের হেদায়েত/শিক্ষা;
👉👉 হঠকারী ও অহংকারীদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার রীতি হলো, তিনি তাদেরকে হেদায়েত থেকে বঞ্চিত করেন। তাদের ইন্দ্রীয়সমূহকে নিষ্ক্রিয় করে দেন, ফলে তারা এগুলো দ্বারা উপকৃত হতে পারে না, ঈমান আনতে পারে না।
👉👉 কুফর-জুলুমের উপর অটল না থাকা ,যা কঠিন আযাবের কারণ হয়।
وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَقُولُ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَبِٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَمَا هُم بِمُؤْمِنِينَ
يُخَٰدِعُونَ ٱللَّهَ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَمَا يَخْدَعُونَ إِلَّآ أَنفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ
فِى قُلُوبِهِم مَّرَضٌ فَزَادَهُمُ ٱللَّهُ مَرَضًا وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌۢ بِمَا كَانُوا۟ يَكْذِبُونَ
অর্থঃ আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।
তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন।
(সুরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ৮-১০)
আয়াতের হেদায়েত/শিক্ষা;
👉👉 মিথ্যা,নেফাক ও ধোঁকাবাজি থেকে দূরে থাকা, কেননা ধোঁকা পরিশেষে ধোঁকাবাজকেই ধ্বংস করে।
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا تُفْسِدُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ قَالُوٓا۟ إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ أَلَآ إِنَّهُمْ هُمُ ٱلْمُفْسِدُونَ وَلَٰكِن لَّا يَشْعُرُونَ
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ ءَامِنُوا۟ كَمَآ ءَامَنَ ٱلنَّاسُ قَالُوٓا۟ أَنُؤْمِنُ كَمَآ ءَامَنَ ٱلسُّفَهَآءُ أَلَآ إِنَّهُمْ هُمُ ٱلسُّفَهَآءُ وَلَٰكِن لَّا يَعْلَمُونَ
অর্থঃ আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি। মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না।
(সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ১১-১৩)
আয়াতের হেদায়েত/শিক্ষা;
👉👉 মিথ্যা দাবী করা মুনাফিকদের স্বভাব।
👉👉 পৃথিবীতে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয় আল্লাহ তাআলা ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্যের মাধ্যমে। অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় আল্লাহ তাআলা ও তার রাসুলের অবাধ্যতার কারণে।
👉👉 বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা সবসময় নিজেদেরকে শান্তিকামী হিসেবে প্রচার করে।
الٓمٓ
ذَٰلِكَ ٱلْكِتَٰبُ لَا رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
ٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِٱلْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَمِمَّا رَزَقْنَٰهُمْ يُنفِقُونَ
وَٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِٱلْءَاخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ
أُو۟لَٰٓئِكَ عَلَىٰ هُدًى مِّن رَّبِّهِمْ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ
অর্থঃ আলিফ লাম মীম।
এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,
যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে। তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথপ্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম।
(সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ১-৫)
আয়াতের হেদায়েত/শিক্ষা;
👉👉 আল্লাহ তাআলার প্রতি ঈমান মজবুত করা।
👉👉 কুরআনুল কারীম থেকে হেদায়েত অনুসন্ধান করা।
👉👉 তাক্বওয়া ও মুত্তাকি'র মর্যাদা উপলব্ধি করা।
👉👉 হেদায়েতপ্রাপ্ত বান্দাদের গুণাবলী অর্জন করতে উৎসাহ দেওয়া।যেন তারা তাদের পথ অনুসরণ করে দুনিয়া ও আখেরাতে হেদায়েতপ্রাপ্ত ও সফল হতে পারে।
إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ سَوَآءٌ عَلَيْهِمْ ءَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
خَتَمَ ٱللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ وَعَلَىٰ سَمْعِهِمْ وَعَلَىٰٓ أَبْصَٰرِهِمْ غِشَٰوَةٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
অর্থঃ নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না। আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য কঠোর শাস্তি।
(সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ৬-৭)
আয়াতের হেদায়েত/শিক্ষা;
👉👉 হঠকারী ও অহংকারীদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার রীতি হলো, তিনি তাদেরকে হেদায়েত থেকে বঞ্চিত করেন। তাদের ইন্দ্রীয়সমূহকে নিষ্ক্রিয় করে দেন, ফলে তারা এগুলো দ্বারা উপকৃত হতে পারে না, ঈমান আনতে পারে না।
👉👉 কুফর-জুলুমের উপর অটল না থাকা ,যা কঠিন আযাবের কারণ হয়।
وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَقُولُ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَبِٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَمَا هُم بِمُؤْمِنِينَ
يُخَٰدِعُونَ ٱللَّهَ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَمَا يَخْدَعُونَ إِلَّآ أَنفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ
فِى قُلُوبِهِم مَّرَضٌ فَزَادَهُمُ ٱللَّهُ مَرَضًا وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌۢ بِمَا كَانُوا۟ يَكْذِبُونَ
অর্থঃ আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।
তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন।
(সুরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ৮-১০)
আয়াতের হেদায়েত/শিক্ষা;
👉👉 মিথ্যা,নেফাক ও ধোঁকাবাজি থেকে দূরে থাকা, কেননা ধোঁকা পরিশেষে ধোঁকাবাজকেই ধ্বংস করে।
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا تُفْسِدُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ قَالُوٓا۟ إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ أَلَآ إِنَّهُمْ هُمُ ٱلْمُفْسِدُونَ وَلَٰكِن لَّا يَشْعُرُونَ
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ ءَامِنُوا۟ كَمَآ ءَامَنَ ٱلنَّاسُ قَالُوٓا۟ أَنُؤْمِنُ كَمَآ ءَامَنَ ٱلسُّفَهَآءُ أَلَآ إِنَّهُمْ هُمُ ٱلسُّفَهَآءُ وَلَٰكِن لَّا يَعْلَمُونَ
অর্থঃ আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি। মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না।
(সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ১১-১৩)
আয়াতের হেদায়েত/শিক্ষা;
👉👉 মিথ্যা দাবী করা মুনাফিকদের স্বভাব।
👉👉 পৃথিবীতে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয় আল্লাহ তাআলা ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্যের মাধ্যমে। অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় আল্লাহ তাআলা ও তার রাসুলের অবাধ্যতার কারণে।
👉👉 বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা সবসময় নিজেদেরকে শান্তিকামী হিসেবে প্রচার করে।
Comment