জিহাদকারী সৈনিকদের সাহায্যকারী আল্লাহ (প্রথম পর্ব)
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
قَدۡ کَانَ لَکُمۡ اٰیَۃٌ فِیۡ فِئَتَیۡنِ الۡتَقَتَا ؕ فِئَۃٌ تُقَاتِلُ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَاُخۡرٰی کَافِرَۃٌ یَّرَوۡنَہُمۡ مِّثۡلَیۡہِمۡ رَاۡیَ الۡعَیۡنِ ؕ وَاللّٰہُ یُؤَیِّدُ بِنَصۡرِہٖ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَعِبۡرَۃً لِّاُولِی الۡاَبۡصَارِ
দুইটি দলের পরস্পর সম্মুখীন হওয়ার মধ্যে তোমাদের জন্যে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে। একদল আল্লাহর পথে যুদ্ধ করছিল, অন্যদল কাফির ছিল ; এরা তাদেরকে চোখের দেখায় দ্বিগুণ দেখছিল। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা নিজ সাহায্য দিয়ে শক্তিশালী করেন। নিশ্চয় এতে অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন লোকের জন্যে শিক্ষা আছে।
(আল ইমরান - ১৩)
আয়াতের মর্ম,বস্তুবাদী শক্তি মূলত এটা কোনো শক্তিই না। সাহায্য এবং বিজয় সংখ্যাধিক্য ও রসাঞ্জন বেশি থাকলেই হই না। সাহায্য এবং বিজয় কেবল আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে ও তার সূদৃঢ় করার কারনেই হয়ে থাকে। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,إِن یَنصُركُم الله فَلا غاَلِبَ لَكُم (সুতরাং এ বিজয়ে আমাদের অহংকার করা কিছুই নেই, اذ رمیت و ما رمیت)
صفوة التفاسیر ج١)
لَنۡ یَّضُرُّوۡکُمۡ اِلَّاۤ اَذًی ؕ وَاِنۡ یُّقَاتِلُوۡکُمۡ یُوَلُّوۡکُمُ الۡاَدۡبَارَ ۟ ثُمَّ لَا یُنۡصَرُوۡنَ
সামান্য ক্লেশ দেওয়া ছাড়া তারা তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। যদি তারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তবে তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে; এরপর তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না।
(আল ইমরান - ১১১)
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা তার মুমিন বান্দাদের সুসংবাদ দিয়ে বলছেন যে, আহলে কিতাব কাফের, মুলহিদদের বিরুদ্ধে সাহায্য এবং বিজয় কেবল মাত্র মুমিনদের জন্য।
আর এই সুসংবাদ আমরা ইতিপূর্বেও দেখেছি এখনও দেখছি সামনেও দেখব ইনশাআল্লাহ।
যেমন, খায়বরের দিন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে অপদস্ত করেছেন, মদিনার ইয়াহুদিদের লাঞ্চনা করেছেন, সামের খৃষ্টানদের হটিয়ে মুসলমানদের রাজত্ব কায়েম করা।(এরকম শত শত ঘটনা আমাদের সামনে। আর বর্তমানের উদাহরণ দিতে হলো আমাদেরকে আফগানিস্তানের তালেবান মুজাহিদিনের দিয়েই দিতে হবে এবং মালি, সুমালির আল-কায়েদা মুজাহিদিনের দিয়েই দিতে হবে। আর ভবিষ্যৎেও সময় আসছে ইনশাআল্লাহ।)
(المصباح المنیر فی تهذیب تفسیر ابن كثیر)
وَاللّٰہُ اَعۡلَمُ بِاَعۡدَآئِکُمۡ ؕ وَکَفٰی بِاللّٰہِ وَلِیًّا ٭۫ وَّکَفٰی بِاللّٰہِ نَصِیۡرًا
আল্লাহ তোমাদের শত্রুদেরকে ভালভাবে জানেন। অভিভাবকত্বে আল্লাহই যথেষ্ট আর সাহায্যে আল্লাহই যথেষ্ট।
(আন নিসা - ৪৫)
আর আল্লাহ তায়ালা ঐ সমস্ত ভ্রষ্ট ইয়াহুদীদের ব্যপারে অধিক ভালো জানেন, সুতরাং তোমরা তাদেরকে সতর্ক কর, ভিতসন্ত্রস্ত করে রাখ। আর জেনে রাখ, আল্লাহ তায়ালাই তোমাদের জন্য অভিভাবক এবং সাহায্যকারী হিসেবে যথেষ্ট। তাই তোমরা তাকেই আকরে ধরে রাখ, এবং একমাত্র তার উপরই ভরসা কর।
(صفوة التفاسیر ج١)
کَمَاۤ اَخۡرَجَکَ رَبُّکَ مِنۡۢ بَیۡتِکَ بِالۡحَقِّ ۪ وَاِنَّ فَرِیۡقًا مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ لَکٰرِہُوۡنَ ۙ
এটা এরূপ, যেমন তোমার প্রতিপালক তোমাকে ন্যায়ভাবে তোমার গৃহ হতে বের করেছিলেন অথচ মু’মিনদের এক দল এটা(যুদ্ধে বের হওয়া) পছন্দ করে নাই।(মৃত্যুর ভয়ে অথবা প্রস্তুতি না থাকার কারনে)
(আল আনফাল - ৫)
یُجَادِلُوۡنَکَ فِی الۡحَقِّ بَعۡدَمَا تَبَیَّنَ کَاَنَّمَا یُسَاقُوۡنَ اِلَی الۡمَوۡتِ وَہُمۡ یَنۡظُرُوۡنَ ؕ
সত্য স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হওয়ার পরও তারা তোমার সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয়। মনে হচ্ছিল তারা যেন মৃত্যুর দিকে চালিত হচ্ছে আর তারা যেন তা প্রত্যক্ষ করছে।
(আল আনফাল - ৬)
وَاِذۡ یَعِدُکُمُ اللّٰہُ اِحۡدَی الطَّآئِفَتَیۡنِ اَنَّہَا لَکُمۡ وَتَوَدُّوۡنَ اَنَّ غَیۡرَ ذَاتِ الشَّوۡکَۃِ تَکُوۡنُ لَکُمۡ وَیُرِیۡدُ اللّٰہُ اَنۡ یُّحِقَّ الۡحَقَّ بِکَلِمٰتِہٖ وَیَقۡطَعَ دَابِرَ الۡکٰفِرِیۡنَ ۙ
স্মরণ কর, আল্লাহ্ তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, দুই দলের একদল তোমাদের আয়ত্তাধীন হবে; অথচ তোমরা চাচ্ছিলে, নিরস্ত্র দলটি তোমাদের আয়ত্তাধীন হোক। আর আল্লাহ চাচ্ছিলেন যে, তিনি সত্যকে তাঁর বাণী দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন আর কাফিরদেরকে নির্মূল করেন;
(আল আনফাল - ৭)
لِیُحِقَّ الۡحَقَّ وَیُبۡطِلَ الۡبَاطِلَ وَلَوۡ کَرِہَ الۡمُجۡرِمُوۡنَ ۚ
এটা এজন্য যে, তিনি সত্যকে সত্য ও অসত্যকে অসত্য প্রতিপন্ন করেন, যদিও অপরাধীরা এটা পছন্দ করে না।
(আল আনফাল - ৮)
اِذۡ تَسۡتَغِیۡثُوۡنَ رَبَّکُمۡ فَاسۡتَجَابَ لَکُمۡ اَنِّیۡ مُمِدُّکُمۡ بِاَلۡفٍ مِّنَ الۡمَلٰٓئِکَۃِ مُرۡدِفِیۡنَ
স্মরণ কর, যখন তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেছিলে; তখন তিনি তোমাদেরকে জবাব দিয়েছিলেন, ‘আমি তোমাদেরকে সাহায্য করব এক সহস্র ফেরেশতা দিয়ে, যারা একের পর এক আসবে।’
(আল আনফাল - ৯)
وَمَا جَعَلَہُ اللّٰہُ اِلَّا بُشۡرٰی وَلِتَطۡمَئِنَّ بِہٖ قُلُوۡبُکُمۡ ۚ وَمَا النَّصۡرُ اِلَّا مِنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ ٪
আল্লাহ্ এটা করেন কেবল শুভ সংবাদ দেওয়ার জন্যে আর এ উদ্দেশ্যে, যাতে তোমাদের চিত্ত প্রশান্তি লাভ করে; আর সাহায্য তো শুধু আল্লাহর নিকট হতেই আসে; নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
(আল আনফাল - ১০)
এই সমস্ত আয়াত আমাদের উৎসাহ দেই। কতইনা উত্তম আল্লাহ তায়ালার কথা, আর তার ওয়াদা। আল্লাহ তায়ালা তার ওয়াদা সত্যে পরিনত করে দেখিয়েছেন। আর তারাও আল্লাহ তায়ালার সাথে করা প্রতিজ্ঞা পূরণ করেছেন।
সুতরাং এখনো যদি আমরা আল্লাহ তায়ালার দেয়া প্রতিজ্ঞা মেনে চলি তাহলে আল্লাহ তায়ালাও আমাদেরকে দেয়া ওয়াদা পূর্ণ করবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালার ওয়াদা চির সত্য। তিনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।
আরো দেখুন,
اِذۡ یُغَشِّیۡکُمُ النُّعَاسَ اَمَنَۃً مِّنۡہُ وَیُنَزِّلُ عَلَیۡکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ مَآءً لِّیُطَہِّرَکُمۡ بِہٖ وَیُذۡہِبَ عَنۡکُمۡ رِجۡزَ الشَّیۡطٰنِ وَلِیَرۡبِطَ عَلٰی قُلُوۡبِکُمۡ وَیُثَبِّتَ بِہِ الۡاَقۡدَامَ ؕ
স্মরণ কর, তিনি তাঁর পক্ষ হতে স্বস্তির জন্যে তোমাদেরকে তন্দ্রায় আচ্ছন্ন করেন আর আকাশ হতে তোমাদের ওপর বারি বর্ষণ করেন এটা দিয়ে তোমাদেরকে পবিত্র করার জন্যে, তোমাদের মধ্য হতে শয়তানের কুমন্ত্রণা অপসারণের জন্যে, তোমাদের হৃদয় দৃঢ় করার জন্যে আর তোমাদের পা স্থির রাখার জন্যে।(এভাবেই আল্লাহ তায়ালা মু'মিনদের সাহায্য করেন, সুবহানাল্লাহ)
اِذۡ یُوۡحِیۡ رَبُّکَ اِلَی الۡمَلٰٓئِکَۃِ اَنِّیۡ مَعَکُمۡ فَثَبِّتُوا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ؕ سَاُلۡقِیۡ فِیۡ قُلُوۡبِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوا الرُّعۡبَ فَاضۡرِبُوۡا فَوۡقَ الۡاَعۡنَاقِ وَاضۡرِبُوۡا مِنۡہُمۡ کُلَّ بَنَانٍ ؕ
স্মরণ কর, তোমাদের প্রতিপালক ফেরেশতাগণের প্রতি প্রত্যাদেশ করেন,(যাদের দ্বারা আল্লাহ আমাকে মুসলিমদের সাহায্য করবেন) ‘আমি(আল্লাহ স্বয়ং সাহায্য করার জন্য) তোমাদের সঙ্গে আছি, সুতরাং মু’মিনগণকে অবিচলিত রাখ।’(সাহায্য ও সুসংবাদের মাধ্যমে)। যারা কুফরী করে আমি তাদের হৃদয়ে ভীতির সঞ্চার করব ; সুতরাং তোমরা আঘাত কর তাদের কাঁধে ও আঘাত কর তাদের প্রত্যেক আঙ্গুলের অগ্রভাগে।
ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ شَآقُّوا اللّٰہَ وَرَسُوۡلَہٗ ۚ وَمَنۡ یُّشَاقِقِ اللّٰہَ وَرَسُوۡلَہٗ فَاِنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ
এসব আযাব এ কারণে যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করে আর কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করলে আল্লাহ তো শাস্তিদানে কঠোর।
ذٰلِکُمۡ فَذُوۡقُوۡہُ وَاَنَّ لِلۡکٰفِرِیۡنَ عَذَابَ النَّارِ
সুতরাং এর আস্বাদ গ্রহণ কর(হে দুনিয়ার কাফেরেরা!)আর (আখেরাতে) কাফিরদের জন্যে দোজখের শাস্তি আছে।
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا لَقِیۡتُمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا زَحۡفًا فَلَا تُوَلُّوۡہُمُ الۡاَدۡبَارَ ۚ
হে মু’মিনগণ! তোমরা যখন কাফির বাহিনীর সম্মুখীন হবে তখন তোমরা তাদের পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে না;
وَمَنۡ یُّوَلِّہِمۡ یَوۡمَئِذٍ دُبُرَہٗۤ اِلَّا مُتَحَرِّفًا لِّقِتَالٍ اَوۡ مُتَحَیِّزًا اِلٰی فِئَۃٍ فَقَدۡ بَآءَ بِغَضَبٍ مِّنَ اللّٰہِ وَمَاۡوٰىہُ جَہَنَّمُ ؕ وَبِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ
সেদিন যুদ্ধ-কৌশল অবলম্বন কিংবা দলে স্থান নেওয়া ব্যতীত কেউ তাদেরকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করলে সে তো আল্লাহর বিরাগভাজন হবে এবং তার আশ্রয় জাহান্নাম, আর তা কত নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল!
فَلَمۡ تَقۡتُلُوۡہُمۡ وَلٰکِنَّ اللّٰہَ قَتَلَہُمۡ ۪ وَمَا رَمَیۡتَ اِذۡ رَمَیۡتَ وَلٰکِنَّ اللّٰہَ رَمٰی ۚ وَلِیُبۡلِیَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ مِنۡہُ بَلَآءً حَسَنًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ
তোমরা(বদর প্রান্তরে তোমাদের শক্তির দ্বারা) তাদেরকে হত্যা কর নাই, আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন, আর তুমি যখন নিক্ষেপ করেছিলে তখন তুমি নিক্ষেপ কর নাই, আল্লাহই নিক্ষেপ করেছিলেন, এবং এটা মু’মিনগণকে আল্লাহর পক্ষ হতে উত্তমরূপে পরীক্ষা করার জন্যে ; আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
ذٰلِکُمۡ وَاَنَّ اللّٰہَ مُوۡہِنُ کَیۡدِ الۡکٰفِرِیۡنَ
এটাই তোমাদের জন্যে, আল্লাহ কাফিরদের ষড়যন্ত্র দুর্বল করেন।
اِنۡ تَسۡتَفۡتِحُوۡا فَقَدۡ جَآءَکُمُ الۡفَتۡحُ ۚ وَاِنۡ تَنۡتَہُوۡا فَہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ ۚ وَاِنۡ تَعُوۡدُوۡا نَعُدۡ ۚ وَلَنۡ تُغۡنِیَ عَنۡکُمۡ فِئَتُکُمۡ شَیۡئًا وَّلَوۡ کَثُرَتۡ ۙ وَاَنَّ اللّٰہَ مَعَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ٪
. তোমরা মীমাংসা চেয়েছিলে, তা তো তোমাদের নিকট এসেছে; যদি তোমরা বিরত হও তবে তা তোমাদের জন্যে কল্যাণকর ; যদি তোমরা পুনরায় কর তাতে আমিও পুনরায় শাস্তি দিব এবং তোমাদের দল সংখ্যায় অধিক হলেও তোমাদের কোন কাজে আসবে না, আর নিশ্চয়ই আল্লাহ মু’মিনদের সঙ্গে আছেন।
(আল আনফাল
১১,১২,১৩,২৪,১৫,১৬,১৭,১৮, ১৯)
প্রিয় মুজাহিদিন ভাইয়েরা! আমরা আবার খিলাফা আলা মিনহাজিন নবুয়্যাহ-র দিকে এগিয়ে চলেছি। আল্লাহ তায়ালার লাখ-কটি(কোটি) শুকরিয়া। সুতরাং আমাদের জন্য আবশ্যক হল, আমাদের প্রতিটি অবস্থায় আল্লাহ-রাসূলের দেখানো পথে চলা। পরিপূর্ণ শরিয়াহ অনুযায়ী কাজ করা। আমাদের আগের থেকে আরো বেশি সর্তক থাকতে হবে যেন, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো মা'সিয়াত হয়ে না যায়।
[আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দিন, আমিন]
চলবে..ইনশাআল্লাহ
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
قَدۡ کَانَ لَکُمۡ اٰیَۃٌ فِیۡ فِئَتَیۡنِ الۡتَقَتَا ؕ فِئَۃٌ تُقَاتِلُ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَاُخۡرٰی کَافِرَۃٌ یَّرَوۡنَہُمۡ مِّثۡلَیۡہِمۡ رَاۡیَ الۡعَیۡنِ ؕ وَاللّٰہُ یُؤَیِّدُ بِنَصۡرِہٖ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَعِبۡرَۃً لِّاُولِی الۡاَبۡصَارِ
দুইটি দলের পরস্পর সম্মুখীন হওয়ার মধ্যে তোমাদের জন্যে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে। একদল আল্লাহর পথে যুদ্ধ করছিল, অন্যদল কাফির ছিল ; এরা তাদেরকে চোখের দেখায় দ্বিগুণ দেখছিল। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা নিজ সাহায্য দিয়ে শক্তিশালী করেন। নিশ্চয় এতে অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন লোকের জন্যে শিক্ষা আছে।
(আল ইমরান - ১৩)
আয়াতের মর্ম,বস্তুবাদী শক্তি মূলত এটা কোনো শক্তিই না। সাহায্য এবং বিজয় সংখ্যাধিক্য ও রসাঞ্জন বেশি থাকলেই হই না। সাহায্য এবং বিজয় কেবল আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে ও তার সূদৃঢ় করার কারনেই হয়ে থাকে। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,إِن یَنصُركُم الله فَلا غاَلِبَ لَكُم (সুতরাং এ বিজয়ে আমাদের অহংকার করা কিছুই নেই, اذ رمیت و ما رمیت)
صفوة التفاسیر ج١)
لَنۡ یَّضُرُّوۡکُمۡ اِلَّاۤ اَذًی ؕ وَاِنۡ یُّقَاتِلُوۡکُمۡ یُوَلُّوۡکُمُ الۡاَدۡبَارَ ۟ ثُمَّ لَا یُنۡصَرُوۡنَ
সামান্য ক্লেশ দেওয়া ছাড়া তারা তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। যদি তারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তবে তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে; এরপর তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না।
(আল ইমরান - ১১১)
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা তার মুমিন বান্দাদের সুসংবাদ দিয়ে বলছেন যে, আহলে কিতাব কাফের, মুলহিদদের বিরুদ্ধে সাহায্য এবং বিজয় কেবল মাত্র মুমিনদের জন্য।
আর এই সুসংবাদ আমরা ইতিপূর্বেও দেখেছি এখনও দেখছি সামনেও দেখব ইনশাআল্লাহ।
যেমন, খায়বরের দিন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে অপদস্ত করেছেন, মদিনার ইয়াহুদিদের লাঞ্চনা করেছেন, সামের খৃষ্টানদের হটিয়ে মুসলমানদের রাজত্ব কায়েম করা।(এরকম শত শত ঘটনা আমাদের সামনে। আর বর্তমানের উদাহরণ দিতে হলো আমাদেরকে আফগানিস্তানের তালেবান মুজাহিদিনের দিয়েই দিতে হবে এবং মালি, সুমালির আল-কায়েদা মুজাহিদিনের দিয়েই দিতে হবে। আর ভবিষ্যৎেও সময় আসছে ইনশাআল্লাহ।)
(المصباح المنیر فی تهذیب تفسیر ابن كثیر)
وَاللّٰہُ اَعۡلَمُ بِاَعۡدَآئِکُمۡ ؕ وَکَفٰی بِاللّٰہِ وَلِیًّا ٭۫ وَّکَفٰی بِاللّٰہِ نَصِیۡرًا
আল্লাহ তোমাদের শত্রুদেরকে ভালভাবে জানেন। অভিভাবকত্বে আল্লাহই যথেষ্ট আর সাহায্যে আল্লাহই যথেষ্ট।
(আন নিসা - ৪৫)
আর আল্লাহ তায়ালা ঐ সমস্ত ভ্রষ্ট ইয়াহুদীদের ব্যপারে অধিক ভালো জানেন, সুতরাং তোমরা তাদেরকে সতর্ক কর, ভিতসন্ত্রস্ত করে রাখ। আর জেনে রাখ, আল্লাহ তায়ালাই তোমাদের জন্য অভিভাবক এবং সাহায্যকারী হিসেবে যথেষ্ট। তাই তোমরা তাকেই আকরে ধরে রাখ, এবং একমাত্র তার উপরই ভরসা কর।
(صفوة التفاسیر ج١)
کَمَاۤ اَخۡرَجَکَ رَبُّکَ مِنۡۢ بَیۡتِکَ بِالۡحَقِّ ۪ وَاِنَّ فَرِیۡقًا مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ لَکٰرِہُوۡنَ ۙ
এটা এরূপ, যেমন তোমার প্রতিপালক তোমাকে ন্যায়ভাবে তোমার গৃহ হতে বের করেছিলেন অথচ মু’মিনদের এক দল এটা(যুদ্ধে বের হওয়া) পছন্দ করে নাই।(মৃত্যুর ভয়ে অথবা প্রস্তুতি না থাকার কারনে)
(আল আনফাল - ৫)
یُجَادِلُوۡنَکَ فِی الۡحَقِّ بَعۡدَمَا تَبَیَّنَ کَاَنَّمَا یُسَاقُوۡنَ اِلَی الۡمَوۡتِ وَہُمۡ یَنۡظُرُوۡنَ ؕ
সত্য স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হওয়ার পরও তারা তোমার সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয়। মনে হচ্ছিল তারা যেন মৃত্যুর দিকে চালিত হচ্ছে আর তারা যেন তা প্রত্যক্ষ করছে।
(আল আনফাল - ৬)
وَاِذۡ یَعِدُکُمُ اللّٰہُ اِحۡدَی الطَّآئِفَتَیۡنِ اَنَّہَا لَکُمۡ وَتَوَدُّوۡنَ اَنَّ غَیۡرَ ذَاتِ الشَّوۡکَۃِ تَکُوۡنُ لَکُمۡ وَیُرِیۡدُ اللّٰہُ اَنۡ یُّحِقَّ الۡحَقَّ بِکَلِمٰتِہٖ وَیَقۡطَعَ دَابِرَ الۡکٰفِرِیۡنَ ۙ
স্মরণ কর, আল্লাহ্ তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, দুই দলের একদল তোমাদের আয়ত্তাধীন হবে; অথচ তোমরা চাচ্ছিলে, নিরস্ত্র দলটি তোমাদের আয়ত্তাধীন হোক। আর আল্লাহ চাচ্ছিলেন যে, তিনি সত্যকে তাঁর বাণী দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন আর কাফিরদেরকে নির্মূল করেন;
(আল আনফাল - ৭)
لِیُحِقَّ الۡحَقَّ وَیُبۡطِلَ الۡبَاطِلَ وَلَوۡ کَرِہَ الۡمُجۡرِمُوۡنَ ۚ
এটা এজন্য যে, তিনি সত্যকে সত্য ও অসত্যকে অসত্য প্রতিপন্ন করেন, যদিও অপরাধীরা এটা পছন্দ করে না।
(আল আনফাল - ৮)
اِذۡ تَسۡتَغِیۡثُوۡنَ رَبَّکُمۡ فَاسۡتَجَابَ لَکُمۡ اَنِّیۡ مُمِدُّکُمۡ بِاَلۡفٍ مِّنَ الۡمَلٰٓئِکَۃِ مُرۡدِفِیۡنَ
স্মরণ কর, যখন তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেছিলে; তখন তিনি তোমাদেরকে জবাব দিয়েছিলেন, ‘আমি তোমাদেরকে সাহায্য করব এক সহস্র ফেরেশতা দিয়ে, যারা একের পর এক আসবে।’
(আল আনফাল - ৯)
وَمَا جَعَلَہُ اللّٰہُ اِلَّا بُشۡرٰی وَلِتَطۡمَئِنَّ بِہٖ قُلُوۡبُکُمۡ ۚ وَمَا النَّصۡرُ اِلَّا مِنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ ٪
আল্লাহ্ এটা করেন কেবল শুভ সংবাদ দেওয়ার জন্যে আর এ উদ্দেশ্যে, যাতে তোমাদের চিত্ত প্রশান্তি লাভ করে; আর সাহায্য তো শুধু আল্লাহর নিকট হতেই আসে; নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
(আল আনফাল - ১০)
এই সমস্ত আয়াত আমাদের উৎসাহ দেই। কতইনা উত্তম আল্লাহ তায়ালার কথা, আর তার ওয়াদা। আল্লাহ তায়ালা তার ওয়াদা সত্যে পরিনত করে দেখিয়েছেন। আর তারাও আল্লাহ তায়ালার সাথে করা প্রতিজ্ঞা পূরণ করেছেন।
সুতরাং এখনো যদি আমরা আল্লাহ তায়ালার দেয়া প্রতিজ্ঞা মেনে চলি তাহলে আল্লাহ তায়ালাও আমাদেরকে দেয়া ওয়াদা পূর্ণ করবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালার ওয়াদা চির সত্য। তিনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।
আরো দেখুন,
اِذۡ یُغَشِّیۡکُمُ النُّعَاسَ اَمَنَۃً مِّنۡہُ وَیُنَزِّلُ عَلَیۡکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ مَآءً لِّیُطَہِّرَکُمۡ بِہٖ وَیُذۡہِبَ عَنۡکُمۡ رِجۡزَ الشَّیۡطٰنِ وَلِیَرۡبِطَ عَلٰی قُلُوۡبِکُمۡ وَیُثَبِّتَ بِہِ الۡاَقۡدَامَ ؕ
স্মরণ কর, তিনি তাঁর পক্ষ হতে স্বস্তির জন্যে তোমাদেরকে তন্দ্রায় আচ্ছন্ন করেন আর আকাশ হতে তোমাদের ওপর বারি বর্ষণ করেন এটা দিয়ে তোমাদেরকে পবিত্র করার জন্যে, তোমাদের মধ্য হতে শয়তানের কুমন্ত্রণা অপসারণের জন্যে, তোমাদের হৃদয় দৃঢ় করার জন্যে আর তোমাদের পা স্থির রাখার জন্যে।(এভাবেই আল্লাহ তায়ালা মু'মিনদের সাহায্য করেন, সুবহানাল্লাহ)
اِذۡ یُوۡحِیۡ رَبُّکَ اِلَی الۡمَلٰٓئِکَۃِ اَنِّیۡ مَعَکُمۡ فَثَبِّتُوا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ؕ سَاُلۡقِیۡ فِیۡ قُلُوۡبِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوا الرُّعۡبَ فَاضۡرِبُوۡا فَوۡقَ الۡاَعۡنَاقِ وَاضۡرِبُوۡا مِنۡہُمۡ کُلَّ بَنَانٍ ؕ
স্মরণ কর, তোমাদের প্রতিপালক ফেরেশতাগণের প্রতি প্রত্যাদেশ করেন,(যাদের দ্বারা আল্লাহ আমাকে মুসলিমদের সাহায্য করবেন) ‘আমি(আল্লাহ স্বয়ং সাহায্য করার জন্য) তোমাদের সঙ্গে আছি, সুতরাং মু’মিনগণকে অবিচলিত রাখ।’(সাহায্য ও সুসংবাদের মাধ্যমে)। যারা কুফরী করে আমি তাদের হৃদয়ে ভীতির সঞ্চার করব ; সুতরাং তোমরা আঘাত কর তাদের কাঁধে ও আঘাত কর তাদের প্রত্যেক আঙ্গুলের অগ্রভাগে।
ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ شَآقُّوا اللّٰہَ وَرَسُوۡلَہٗ ۚ وَمَنۡ یُّشَاقِقِ اللّٰہَ وَرَسُوۡلَہٗ فَاِنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ
এসব আযাব এ কারণে যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করে আর কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করলে আল্লাহ তো শাস্তিদানে কঠোর।
ذٰلِکُمۡ فَذُوۡقُوۡہُ وَاَنَّ لِلۡکٰفِرِیۡنَ عَذَابَ النَّارِ
সুতরাং এর আস্বাদ গ্রহণ কর(হে দুনিয়ার কাফেরেরা!)আর (আখেরাতে) কাফিরদের জন্যে দোজখের শাস্তি আছে।
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا لَقِیۡتُمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا زَحۡفًا فَلَا تُوَلُّوۡہُمُ الۡاَدۡبَارَ ۚ
হে মু’মিনগণ! তোমরা যখন কাফির বাহিনীর সম্মুখীন হবে তখন তোমরা তাদের পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে না;
وَمَنۡ یُّوَلِّہِمۡ یَوۡمَئِذٍ دُبُرَہٗۤ اِلَّا مُتَحَرِّفًا لِّقِتَالٍ اَوۡ مُتَحَیِّزًا اِلٰی فِئَۃٍ فَقَدۡ بَآءَ بِغَضَبٍ مِّنَ اللّٰہِ وَمَاۡوٰىہُ جَہَنَّمُ ؕ وَبِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ
সেদিন যুদ্ধ-কৌশল অবলম্বন কিংবা দলে স্থান নেওয়া ব্যতীত কেউ তাদেরকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করলে সে তো আল্লাহর বিরাগভাজন হবে এবং তার আশ্রয় জাহান্নাম, আর তা কত নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল!
فَلَمۡ تَقۡتُلُوۡہُمۡ وَلٰکِنَّ اللّٰہَ قَتَلَہُمۡ ۪ وَمَا رَمَیۡتَ اِذۡ رَمَیۡتَ وَلٰکِنَّ اللّٰہَ رَمٰی ۚ وَلِیُبۡلِیَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ مِنۡہُ بَلَآءً حَسَنًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ
তোমরা(বদর প্রান্তরে তোমাদের শক্তির দ্বারা) তাদেরকে হত্যা কর নাই, আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন, আর তুমি যখন নিক্ষেপ করেছিলে তখন তুমি নিক্ষেপ কর নাই, আল্লাহই নিক্ষেপ করেছিলেন, এবং এটা মু’মিনগণকে আল্লাহর পক্ষ হতে উত্তমরূপে পরীক্ষা করার জন্যে ; আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
ذٰلِکُمۡ وَاَنَّ اللّٰہَ مُوۡہِنُ کَیۡدِ الۡکٰفِرِیۡنَ
এটাই তোমাদের জন্যে, আল্লাহ কাফিরদের ষড়যন্ত্র দুর্বল করেন।
اِنۡ تَسۡتَفۡتِحُوۡا فَقَدۡ جَآءَکُمُ الۡفَتۡحُ ۚ وَاِنۡ تَنۡتَہُوۡا فَہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ ۚ وَاِنۡ تَعُوۡدُوۡا نَعُدۡ ۚ وَلَنۡ تُغۡنِیَ عَنۡکُمۡ فِئَتُکُمۡ شَیۡئًا وَّلَوۡ کَثُرَتۡ ۙ وَاَنَّ اللّٰہَ مَعَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ٪
. তোমরা মীমাংসা চেয়েছিলে, তা তো তোমাদের নিকট এসেছে; যদি তোমরা বিরত হও তবে তা তোমাদের জন্যে কল্যাণকর ; যদি তোমরা পুনরায় কর তাতে আমিও পুনরায় শাস্তি দিব এবং তোমাদের দল সংখ্যায় অধিক হলেও তোমাদের কোন কাজে আসবে না, আর নিশ্চয়ই আল্লাহ মু’মিনদের সঙ্গে আছেন।
(আল আনফাল
১১,১২,১৩,২৪,১৫,১৬,১৭,১৮, ১৯)
প্রিয় মুজাহিদিন ভাইয়েরা! আমরা আবার খিলাফা আলা মিনহাজিন নবুয়্যাহ-র দিকে এগিয়ে চলেছি। আল্লাহ তায়ালার লাখ-কটি(কোটি) শুকরিয়া। সুতরাং আমাদের জন্য আবশ্যক হল, আমাদের প্রতিটি অবস্থায় আল্লাহ-রাসূলের দেখানো পথে চলা। পরিপূর্ণ শরিয়াহ অনুযায়ী কাজ করা। আমাদের আগের থেকে আরো বেশি সর্তক থাকতে হবে যেন, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো মা'সিয়াত হয়ে না যায়।
[আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দিন, আমিন]
চলবে..ইনশাআল্লাহ
Comment