بسم الله الرحمن الىحيم
ان الحمد لله والصلا والسلام علي من لا نبي بعده اما بعد
হামদ ও সালাতের পর
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য, যেন আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি, যেন এই জমিনে প্রথিষ্ঠা(প্রতিষ্ঠা) করি তাওহিদ।
আল্লাহ তায়ালা আদম আঃ কে সৃষ্টি করেছিলেন এই তাওহীদ প্রথিষ্ঠা(প্রতিষ্ঠা) করার জন্য।
তাওহিদের রয়েছেন অনেক গুরত্ব(গুরুত্ব)।
তাওহীদের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতে গেলে বলতে হয়,
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোর'আনে সর্বপ্রথম যেই সূরা দান করেছেন, যেই সূরা শুধুমাত্র এই উম্মাহকেই দিয়েছেন অর্থাৎ সূরা ফাতেহা, এই সূরা ফাতেহার মধ্যে আল্লাহ তায়ালা তাওহীদ নিয়েই আলোচনা করেছেন।
১। আমরা পবিত্র কোর'আন শুরু করার পূর্বে পরি(পড়ি)
اعوذ بالله من الشيطان الرجيم
অর্থাৎ বিতারিত(বিতাড়িত) শয়তান থেকে আমি আল্লাহ তায়ালার নিকট আস্রয়(আশ্রয়) চাইতেছি।
এর দ্বারা উদ্দিশ্য হল আমি সমস্ত প্রকারের তাগুত থেকে আল্লাহ তায়ালার নিকট আশ্রয় চাই। আমি সকস্ত প্রকার তাগুতকে বর্জন করলাম।
কারন(কারণ) হল এখানে শয়তানের কথা এনেছেন আর আমরা জানি যে, সর্ব প্রথক(প্রথম) তাগুতই হল শয়তান, শয়তানই সর্ব প্রথম আল্লাহ তায়ালার সাথে কুফুরি করেছিল, আর যত মানুষ কুফুরি করে, সীমালঙ্গন(সীমালঙ্ঘন) করে তা শয়তানের মাধ্যমেই করে। অতএব শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়া, শয়তানকে বর্জন করা এর মানে হল সমস্ত তাগুতকে বর্জন করা।
২। এর পর আমরা পাঠ করি
بسم الله الرحمن الرحيم
পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করতেছি
এর দ্বারা উদ্দিশ্য(উদ্দেশ্য) হল আমি একমাত্র আল্লাহ তায়ালা কেই মানি,তাঁর নামেই শুরু করেছি।
👉অতএব স্পষ্ট হয়ে গেল যে, আমরা পবিত্র কোর'আন শুরুই করি আউজুবিল্লাহ এর মাধ্যমে তাগুত কে বর্জনের ঘোষনা(ঘোষণা) দিয়ে আর বিসমিল্লাহির এর মাধ্যমে এক আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের ঘোষণা দিয়ে।
আল্লাহ তায়ালা যত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের আলোচনা এনেছে সেখানেই তাগুতকে বর্জন করা ও এক আল্লাহ কে বিশ্বাস করার কথা ডাইরেক বা ইন্ডাইরেক উল্যেখ(উল্লেখ) করেছেন।
তুমি ইসলামে প্রবেশ করবা ত কালিমার মাধ্যমে প্রথমে ঘোষনা(ঘোষণা) দাও যে, তাগুত কে বর্জন করে এক আল্লাহ কে বিশ্বাস করেছ কি না? কোর'আন পড়বা ত আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহর মাধ্যমে ঘোষনা(ঘোষণা) দাও যে, তাগুত কে বর্জন করে এক আল্লাহর নামে শুরু করেছ কি না?
ফরজ নামাজ পড়বা ত আজানের মাধ্যমে ঘোষণা দাও তুমি তাগুত কে বর্জন করেছ কি না?
৩। এরপর পবিত্র কোর'আনের সর্ব প্রথক(প্রথম) সূরার সর্ব প্রথম আয়াত হল
الحمد لله رب العالمين
সমস্ত প্রসংশা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি সমস্ত পৃথিবীর রব।
এই আয়াতের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা الله শব্দ উল্যেখ(উল্লেখ) করে আমাদের কে توحيد بوجود الله শিক্ষা দিয়েছেন।
رب العالمين এই অংশ দ্বারা আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে توحيد ربوبية শিক্ষা দিয়েছেন
কারন(কারণ) হল তাওহীদে রবুবিয়ত বলা হয়
ﻭﻫﻮ " ﺇﻓﺮﺍﺩ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ ﺑﺎﻟﺨﻠﻖ، ﻭﺍﻟﻤﻠﻚ، ﻭﺍﻟﺘﺪﺑﻴﺮ
অর্থাৎ সৃষ্টি, বাদশাহি, ও রক্ষনাবেক্ষনার ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা কে এক মনে করা।
আর رب শব্দের অর্থও হল
المطاع المالك، المدبر
অর্থাৎ রবের অর্থ হল মালিক, রক্ষনাবেক্ষনা করী ও যার আনুগত্য করা হয়।
অতএব জীবন দেওয়ার মালিক আল্লাহ তায়ালা, কেউ যদি বলে যে, আল্লাহ ব্যতিত কোন ব্যক্তি বা কোন বুজুর্গ বা কোন পীর সাহেব জীবন দিতে পারে, কোন পীর সাহেব রুহ দিতে পারে সে তাওহীদে রুবুবিয়াত কে অস্বীকার করেছে।
ঠিক তেমনিভাবে বিধান দেওয়ার মালিক আল্লাহ তায়ালা, বিধান দেওয়ার কাজ আল্লাহ তায়ালার, তিনি বলেন
ان الحكم الا لله
অর্থাৎ বিধান একমাত্র আল্লাহ তায়ালারই
কেউ যদি বলে আল্লাহ তায়ালার বিধান এই ভূমিতে চলবে না, এই ভূমিতে আমার বিধানই চলবে, আল্লাহর আইন ত মধ্যযুগীয় আইন, রিজিক দেওয়ার মালিক আল্লাহ তায়ালা না বরং মা দূর্গা গদে(গজে) চরে(চড়ে) এসেছে বলেই ফসল ফলেছে, এগুলু(এগুলো) সহ আরো যা আছে যেগুলুর(যেগুলোর) সম্পর্ক আল্লাহর সাথে এগুলু(এগুলো) কে বান্ধার(বান্দার) সাথে শরিক করাই হল তাওহীদে রুবুবিয়তের সাথে শিরিক। যা মক্কার কাফেররাও সাহস পেত না।
অতএব বোঝা গেল যে, رب العالمين এর মাধ্যমে তাওহীদে রুবুবিয়াত শিক্ষা দিয়েছেন।
الرحمن الرحيم، مالك يوم الدين
এই আয়তের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা توحيد الاسماء والصفات শিক্ষা দিয়েছেন।
অতএব আমরা আল্লাহ তায়ালার সিফাতের মধ্যে কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করব না, কোন মাখলুকের সাথে সাদৃশ্য দিব না, কোন ব্যক্ষা(ব্যাখ্যা) করতে যাব না। কেউ যদি এগুলুর(এগুলোর) মধ্যে তাহরিফ করে তার তাওহীদে আসমা উস সিফাত নষ্ট।
যা স্পষ্ট।
৪।এর পর আল্লাহ তায়ালা বলেন
اياك نعبد و اياك نستعين
অর্থাৎ আমরা আপনারই ইবাদত করি আর আপনার নিকটই সাহায্য চাই।
এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে তাওহীদে উলুহিয়াত শিক্ষা দিয়েছেন।
কারন(কারণ) হল তাওহীদে উলুহিয়াত বলা হয়
ﻭﻫﻮ " ﺇﻓﺮﺍﺩ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ ﺑﺎﻟﻌﺒﺎﺩﺓ
অর্থাৎ ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা কে এক সাব্যস্ত করা।
অতএব কেউ যদি ইবাদত করে মূর্তি বা কোন পির বা কোন সরকারের তাহলে তার তাওহীদে উলুহিয়াত নষ্ট হয়ে যাবে।
আর আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে এই আয়াতের মাধ্যমে তাওহীদে উলুহিয়াত শিক্ষা দিয়েছেন, আমরা বলি যে, ইবাদতের ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহ তায়ালা কেই এক মানি, একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি।
এই ব্যপারে(ব্যাপারে) রাসুল সাঃ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একটি প্রসিদ্ধ হাদিস
عن أبي العباس عبد الله بن عباس رضي الله عنهما قال : كنت خلف النبي صلى الله عليه وسلم يوما ، فقال : ( يا غلام ، إني أُعلمك كلمات : احفظ الله يحفظك ، احفظ الله تجده تجاهك ، إذا سأَلت فاسأَل الله ، وإذا استعنت فاستعن بالله ، واعلم أن الأُمة لو اجتمعت على أَن ينفعـوك بشيء ، لم ينفعوك إلا بشيء قد كتبه الله لك ، وإن اجتمعوا على أن يضروك بشيء ، لم يضروك إلا بشيء قد كتبه الله عليك، رفعت الأقلام وجفت الصحف ) رواه الترمذي وقال : حديث حسن صحيح
অর্থা ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্নিত তিনি বলেন আমি একদিন রাসুল সাঃ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পিছনে ছিলাম তিনি তখন আমাকে বলেন
হে ছেলে! তুমি আল্লাহ (র বিধান গুলুকে(গুলোকে)) হেফাজত কর আল্লাহ তায়ালা তোমাকে হেফাজত করবে, আল্লাহত বিধান গুলু(গুলো) হেফাজত কর তুমি তাকে তোমার সামনেই পাইবে। যখন তুমি কোন কিছু চাইবে তা আল্লাহর নিকটই চাও, যখন সাহায্য চাওয়ার প্রয়োজন হয় তখন তুমি আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাও।
যেনে(জেনে) রাখ! সমস্ত জাতি যদি একত্র হয় তোমার উপকার করতে সামান্যতম উপকারও করতে পারবে না, তবে আল্লাহ তায়ালা যতটুকু চায় ততটুকুই করতে পারবে। সমস্ত জাতি যদি চায় তোমাকে কোন ক্ষতি করতে কেউ একটুও ক্ষতি করতে পারবে না তবে আল্লাহ তায়ালা যতটুকু চায় ততটুকুই পারবে। কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে আর কালি শুকিয়ে গেছে। (অর্থাৎ যা হবার হবেই, ভাগ্য পরিবর্তন হবে না।)
(সুনানে তিরমিজি)
অতএব এখানে আল্লাহর বিধান হেফাজত অর্থাৎ তাঁর ইবাদত এবং তাঁর কাছেই চাইতে বলেছে যেমন বলেছে সূরা ফাতেহার উক্ত আয়াতে।
👉 আল্লাহ তায়ালা এই পর্যন্ত আমাদের কে এই ৩ প্রকার শিক্ষা দিয়েছেন, এর পর আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে শিক্ষা দিতেছেন যে, যেন আমরা আল্লাহ তায়ালার নিকট চাই যে, কারা তাওহীদের পথে চলে গেছে আর কারা তাওহীদ কে ভঙ্গ করেছে
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে ইহা শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেন
اهدنا الصراط المستقيم
অর্থাৎ আমাদের কে সিরাতে মুস্তাকিম দেখান।
অর্থাৎ আমাদের কে দেখান যে, কারা তাওহীদ বোঝেছে আর কারা বোঝে নাই। কারা তাওহীদের উপর অটল ছিল আর কারা ছিল না। যেন আমরা তাদের পথে চলতে পারি যারা তাওহীদ বোঝেছে, আর যারা বোঝে নাই তাদের থেকে বেচে(বেঁচে) থাকতে পারি।
👉 এর পর আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে দেখিয়েছেন যে, কারা তাওহীদের পথে চলেছে, তাই তিনি বলেন
صراط الذين انعمت عليهم
যাদের উপর আপনি নিয়ামত দান করেছেন তাদের রাস্তা দেখান।
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা শিক্ষা দিয়ছেন যে, যাদের কে নিয়ামত দিয়েছেন তারা তাওহীদ বোঝেছে অতএব তাদের রাস্তা দেখান,
👉প্রশ্ন হল আল্লাহ তায়ালা কাদের উপর নিয়ামত দান করেছেন?
এর উত্তর হল --আল্লাহ তায়ালা বলেন
فَأُو۟لَـٰۤىِٕكَ مَعَ ٱلَّذِینَ أَنۡعَمَ ٱللَّهُ عَلَیۡهِم مِّنَ ٱلنَّبِیِّـۧنَ وَٱلصِّدِّیقِینَ وَٱلشُّهَدَاۤءِ وَٱلصَّـٰلِحِینَۚ
অর্থাৎ (যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করবে তারা তাদের সাথে থাকবে যাদের উপর আল্লাহ তায়ালা নিয়ামত দিয়েছেন অর্থাৎ নবী, সিদ্দিক শহীদ ও সলিহিনদের সাথে থাকবে।
সিদ্দিকের অনেকে ব্যক্ষা(ব্যাখ্যা) করেছে সাহাবায়ে কেরাম।
অতএব বোঝা গেল যে, যাদের উপর আল্লাহ তায়ালা নিয়ামত দিয়েছে তারা তাওহীদ বোঝেছে আর নিয়ামত সর্ব প্রথম দিয়েছেন নবীদের কে অতএব সর্ব প্রথম তাওহীদ বোঝেছেন নবীগন(গণ) এর পর বোঝেছেন সাহাবায়ে কেরামগন(গণ) এর পর বোঝেছে শহীদ গন(গণ) এর পর বোঝেছেন সলেহিনগন(গণ)।
এখন যেহেতু নবী ও সাহাবী গন(গণ) নাই তাই আমরা ধারনা করতে পারি যে, বর্তমানে তাওহীদ বোঝেছেন শহীদগন(গণ) এরপর সালিহিনগন(গণ)।
প্রশ্ন হতে পারে যে, সালিহীন কারা? যারা বর্তমানে জিহাদ ব্যতিত ইবাদত করতেছে তারা সালিহিনদের অন্তর্ভুক্ত হবে? এর উত্তর আসবে যে, জিহাদ ফরজে কিফায়া থাকা অবস্থায় যারা জিহাদ করেছে বা করে নাই সকলেই সালিহিন কিন্তু জিহাদ ফরজে আইন হওয়া অবস্থায় যারা জিহাদ করবে না তারা সালিহিনদের অন্তর্ভুক্ত না বরং ফাসেক।
যেমনটা মুসা আঃ এর উম্মতের বেলায় বলেছিলেন
فافرق بيننا و بين القوم الفاسقين
অর্থাৎ আমাদের মধ্যে ও ফাসেকদের মধ্যে পার্থক্য করে দেন।
সূরা মায়েদা, আয়াত ২৫
এখানে তারা ইবাদত করত কিন্তু জিহাদ না করার কারনে(কারণে) তাদের কে ফাসেক বলা হয়েছে।
👉 এর পর আল্লাহ তায়ালা শিক্ষা দিয়েছেন যেন আমরা তাদের রাস্তা থেকে পানাহ চাই যারা তাওহীদ কে ভঙ্গ করেছেন অত:পর বলেছেন
غير المغضوب عليهم ولا الضالين
অর্থাৎ যাদের উপর গজব নাজিল হয়েছে এবমগ(এবং) যারা পথভ্রষ্ট তাদের রাস্তা দেখিয়েন না।
১।এখানে মাগদুব দ্বারা উদ্দিশ্য(উদ্দেশ্য) ইহুদী আর দল্লিন দ্বারা উদ্দিশ্য(উদ্দেশ্য) নাসারা।
(তাফিসিরে জালালাইন)
২। রাসুল সাঃ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই আয়াতের তাফসিরের ক্ষেত্রে বলেন
عن عديّ بن حاتم، قال: قال لي رسول الله ﷺ: المغضوبُ عليهم، اليهود
অর্থাৎ আদি ইবনে হাতেম রাঃ থেকে বর্নিত তিনি বলেন আমাকে রাসুল সাঃ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন মাগদুবি আলাইহিম দ্বারা উদ্দিশ্য (উদ্দেশ্য) ইহুদী।
(তাফসিরে তবারী)
৩। রাসুল ও(আরও) বলেন
عن عدي بن حاتم، قال: قالَ لي رسول الله ﷺ: "إن الضَّالين: النَّصارى
অর্থাৎ আদি ইবনে হাতেম রাঃ থেকে বর্নিত আল্লাহর রাসুল আমাকে বলেন, দল্লিন দ্বারা উদ্দিশ্য(উদ্দেশ্য) হল খৃষ্টান।
(তাফসিরে তবারী)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে বোঝিয়েছেন যে, ইহুদী ও নাসারারা আমার সাথে শিরিক করে তাওহীদ ভঙ্গ করেছে অতএব তোমরা তাদের থেকে পানাহ চাও। তাদের রাস্তায় চলিও না।
ইহুদীরা উজাইর আঃ কে আল্লাহর পুত্র আর নাসারারা ইসাহ(ঈসা) আঃ কে আল্লাহর পুত্র বলে অতএব তাদের রাস্তা থেকে বিরত থাক। তোমরা ব্যক্তিগত জীবন থেকে রাষ্ট্রিয় (রাষ্ট্রীয়) জীবন পর্যন্তু নবী, সাহাবা, শহিদ ও সালিহীনিদের পথ ধর।
কোন ইহুদী কিংবা নাসারাদের পথ ধরিয়ও না।
الله اعلم بالصواب
যেই যেই কিতাব অধ্যায়ন করে লেখাগুলু(গুলো) লেখেছি
١(١)شرح فقه الاكبر لملا علي قاري
(٢)تفسير الكبير
(٣)تفسير جلالين
(٤) مدارج السالكين لابن قيم
(۵) شرح عقيدة الطحاوي لابن البطة الحنفي
এই তাফসির ও আকিদার কিতাবগুলু(গুলো) সহ আরো কিছু কিতাব থেকে নিয়েছি।
ان الحمد لله والصلا والسلام علي من لا نبي بعده اما بعد
হামদ ও সালাতের পর
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য, যেন আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি, যেন এই জমিনে প্রথিষ্ঠা(প্রতিষ্ঠা) করি তাওহিদ।
আল্লাহ তায়ালা আদম আঃ কে সৃষ্টি করেছিলেন এই তাওহীদ প্রথিষ্ঠা(প্রতিষ্ঠা) করার জন্য।
তাওহিদের রয়েছেন অনেক গুরত্ব(গুরুত্ব)।
তাওহীদের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতে গেলে বলতে হয়,
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোর'আনে সর্বপ্রথম যেই সূরা দান করেছেন, যেই সূরা শুধুমাত্র এই উম্মাহকেই দিয়েছেন অর্থাৎ সূরা ফাতেহা, এই সূরা ফাতেহার মধ্যে আল্লাহ তায়ালা তাওহীদ নিয়েই আলোচনা করেছেন।
১। আমরা পবিত্র কোর'আন শুরু করার পূর্বে পরি(পড়ি)
اعوذ بالله من الشيطان الرجيم
অর্থাৎ বিতারিত(বিতাড়িত) শয়তান থেকে আমি আল্লাহ তায়ালার নিকট আস্রয়(আশ্রয়) চাইতেছি।
এর দ্বারা উদ্দিশ্য হল আমি সমস্ত প্রকারের তাগুত থেকে আল্লাহ তায়ালার নিকট আশ্রয় চাই। আমি সকস্ত প্রকার তাগুতকে বর্জন করলাম।
কারন(কারণ) হল এখানে শয়তানের কথা এনেছেন আর আমরা জানি যে, সর্ব প্রথক(প্রথম) তাগুতই হল শয়তান, শয়তানই সর্ব প্রথম আল্লাহ তায়ালার সাথে কুফুরি করেছিল, আর যত মানুষ কুফুরি করে, সীমালঙ্গন(সীমালঙ্ঘন) করে তা শয়তানের মাধ্যমেই করে। অতএব শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়া, শয়তানকে বর্জন করা এর মানে হল সমস্ত তাগুতকে বর্জন করা।
২। এর পর আমরা পাঠ করি
بسم الله الرحمن الرحيم
পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করতেছি
এর দ্বারা উদ্দিশ্য(উদ্দেশ্য) হল আমি একমাত্র আল্লাহ তায়ালা কেই মানি,তাঁর নামেই শুরু করেছি।
👉অতএব স্পষ্ট হয়ে গেল যে, আমরা পবিত্র কোর'আন শুরুই করি আউজুবিল্লাহ এর মাধ্যমে তাগুত কে বর্জনের ঘোষনা(ঘোষণা) দিয়ে আর বিসমিল্লাহির এর মাধ্যমে এক আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের ঘোষণা দিয়ে।
আল্লাহ তায়ালা যত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের আলোচনা এনেছে সেখানেই তাগুতকে বর্জন করা ও এক আল্লাহ কে বিশ্বাস করার কথা ডাইরেক বা ইন্ডাইরেক উল্যেখ(উল্লেখ) করেছেন।
তুমি ইসলামে প্রবেশ করবা ত কালিমার মাধ্যমে প্রথমে ঘোষনা(ঘোষণা) দাও যে, তাগুত কে বর্জন করে এক আল্লাহ কে বিশ্বাস করেছ কি না? কোর'আন পড়বা ত আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহর মাধ্যমে ঘোষনা(ঘোষণা) দাও যে, তাগুত কে বর্জন করে এক আল্লাহর নামে শুরু করেছ কি না?
ফরজ নামাজ পড়বা ত আজানের মাধ্যমে ঘোষণা দাও তুমি তাগুত কে বর্জন করেছ কি না?
৩। এরপর পবিত্র কোর'আনের সর্ব প্রথক(প্রথম) সূরার সর্ব প্রথম আয়াত হল
الحمد لله رب العالمين
সমস্ত প্রসংশা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি সমস্ত পৃথিবীর রব।
এই আয়াতের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা الله শব্দ উল্যেখ(উল্লেখ) করে আমাদের কে توحيد بوجود الله শিক্ষা দিয়েছেন।
رب العالمين এই অংশ দ্বারা আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে توحيد ربوبية শিক্ষা দিয়েছেন
কারন(কারণ) হল তাওহীদে রবুবিয়ত বলা হয়
ﻭﻫﻮ " ﺇﻓﺮﺍﺩ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ ﺑﺎﻟﺨﻠﻖ، ﻭﺍﻟﻤﻠﻚ، ﻭﺍﻟﺘﺪﺑﻴﺮ
অর্থাৎ সৃষ্টি, বাদশাহি, ও রক্ষনাবেক্ষনার ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা কে এক মনে করা।
আর رب শব্দের অর্থও হল
المطاع المالك، المدبر
অর্থাৎ রবের অর্থ হল মালিক, রক্ষনাবেক্ষনা করী ও যার আনুগত্য করা হয়।
অতএব জীবন দেওয়ার মালিক আল্লাহ তায়ালা, কেউ যদি বলে যে, আল্লাহ ব্যতিত কোন ব্যক্তি বা কোন বুজুর্গ বা কোন পীর সাহেব জীবন দিতে পারে, কোন পীর সাহেব রুহ দিতে পারে সে তাওহীদে রুবুবিয়াত কে অস্বীকার করেছে।
ঠিক তেমনিভাবে বিধান দেওয়ার মালিক আল্লাহ তায়ালা, বিধান দেওয়ার কাজ আল্লাহ তায়ালার, তিনি বলেন
ان الحكم الا لله
অর্থাৎ বিধান একমাত্র আল্লাহ তায়ালারই
কেউ যদি বলে আল্লাহ তায়ালার বিধান এই ভূমিতে চলবে না, এই ভূমিতে আমার বিধানই চলবে, আল্লাহর আইন ত মধ্যযুগীয় আইন, রিজিক দেওয়ার মালিক আল্লাহ তায়ালা না বরং মা দূর্গা গদে(গজে) চরে(চড়ে) এসেছে বলেই ফসল ফলেছে, এগুলু(এগুলো) সহ আরো যা আছে যেগুলুর(যেগুলোর) সম্পর্ক আল্লাহর সাথে এগুলু(এগুলো) কে বান্ধার(বান্দার) সাথে শরিক করাই হল তাওহীদে রুবুবিয়তের সাথে শিরিক। যা মক্কার কাফেররাও সাহস পেত না।
অতএব বোঝা গেল যে, رب العالمين এর মাধ্যমে তাওহীদে রুবুবিয়াত শিক্ষা দিয়েছেন।
الرحمن الرحيم، مالك يوم الدين
এই আয়তের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা توحيد الاسماء والصفات শিক্ষা দিয়েছেন।
অতএব আমরা আল্লাহ তায়ালার সিফাতের মধ্যে কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করব না, কোন মাখলুকের সাথে সাদৃশ্য দিব না, কোন ব্যক্ষা(ব্যাখ্যা) করতে যাব না। কেউ যদি এগুলুর(এগুলোর) মধ্যে তাহরিফ করে তার তাওহীদে আসমা উস সিফাত নষ্ট।
যা স্পষ্ট।
৪।এর পর আল্লাহ তায়ালা বলেন
اياك نعبد و اياك نستعين
অর্থাৎ আমরা আপনারই ইবাদত করি আর আপনার নিকটই সাহায্য চাই।
এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে তাওহীদে উলুহিয়াত শিক্ষা দিয়েছেন।
কারন(কারণ) হল তাওহীদে উলুহিয়াত বলা হয়
ﻭﻫﻮ " ﺇﻓﺮﺍﺩ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ ﺑﺎﻟﻌﺒﺎﺩﺓ
অর্থাৎ ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা কে এক সাব্যস্ত করা।
অতএব কেউ যদি ইবাদত করে মূর্তি বা কোন পির বা কোন সরকারের তাহলে তার তাওহীদে উলুহিয়াত নষ্ট হয়ে যাবে।
আর আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে এই আয়াতের মাধ্যমে তাওহীদে উলুহিয়াত শিক্ষা দিয়েছেন, আমরা বলি যে, ইবাদতের ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহ তায়ালা কেই এক মানি, একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি।
এই ব্যপারে(ব্যাপারে) রাসুল সাঃ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একটি প্রসিদ্ধ হাদিস
عن أبي العباس عبد الله بن عباس رضي الله عنهما قال : كنت خلف النبي صلى الله عليه وسلم يوما ، فقال : ( يا غلام ، إني أُعلمك كلمات : احفظ الله يحفظك ، احفظ الله تجده تجاهك ، إذا سأَلت فاسأَل الله ، وإذا استعنت فاستعن بالله ، واعلم أن الأُمة لو اجتمعت على أَن ينفعـوك بشيء ، لم ينفعوك إلا بشيء قد كتبه الله لك ، وإن اجتمعوا على أن يضروك بشيء ، لم يضروك إلا بشيء قد كتبه الله عليك، رفعت الأقلام وجفت الصحف ) رواه الترمذي وقال : حديث حسن صحيح
অর্থা ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্নিত তিনি বলেন আমি একদিন রাসুল সাঃ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পিছনে ছিলাম তিনি তখন আমাকে বলেন
হে ছেলে! তুমি আল্লাহ (র বিধান গুলুকে(গুলোকে)) হেফাজত কর আল্লাহ তায়ালা তোমাকে হেফাজত করবে, আল্লাহত বিধান গুলু(গুলো) হেফাজত কর তুমি তাকে তোমার সামনেই পাইবে। যখন তুমি কোন কিছু চাইবে তা আল্লাহর নিকটই চাও, যখন সাহায্য চাওয়ার প্রয়োজন হয় তখন তুমি আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাও।
যেনে(জেনে) রাখ! সমস্ত জাতি যদি একত্র হয় তোমার উপকার করতে সামান্যতম উপকারও করতে পারবে না, তবে আল্লাহ তায়ালা যতটুকু চায় ততটুকুই করতে পারবে। সমস্ত জাতি যদি চায় তোমাকে কোন ক্ষতি করতে কেউ একটুও ক্ষতি করতে পারবে না তবে আল্লাহ তায়ালা যতটুকু চায় ততটুকুই পারবে। কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে আর কালি শুকিয়ে গেছে। (অর্থাৎ যা হবার হবেই, ভাগ্য পরিবর্তন হবে না।)
(সুনানে তিরমিজি)
অতএব এখানে আল্লাহর বিধান হেফাজত অর্থাৎ তাঁর ইবাদত এবং তাঁর কাছেই চাইতে বলেছে যেমন বলেছে সূরা ফাতেহার উক্ত আয়াতে।
👉 আল্লাহ তায়ালা এই পর্যন্ত আমাদের কে এই ৩ প্রকার শিক্ষা দিয়েছেন, এর পর আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে শিক্ষা দিতেছেন যে, যেন আমরা আল্লাহ তায়ালার নিকট চাই যে, কারা তাওহীদের পথে চলে গেছে আর কারা তাওহীদ কে ভঙ্গ করেছে
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে ইহা শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেন
اهدنا الصراط المستقيم
অর্থাৎ আমাদের কে সিরাতে মুস্তাকিম দেখান।
অর্থাৎ আমাদের কে দেখান যে, কারা তাওহীদ বোঝেছে আর কারা বোঝে নাই। কারা তাওহীদের উপর অটল ছিল আর কারা ছিল না। যেন আমরা তাদের পথে চলতে পারি যারা তাওহীদ বোঝেছে, আর যারা বোঝে নাই তাদের থেকে বেচে(বেঁচে) থাকতে পারি।
👉 এর পর আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে দেখিয়েছেন যে, কারা তাওহীদের পথে চলেছে, তাই তিনি বলেন
صراط الذين انعمت عليهم
যাদের উপর আপনি নিয়ামত দান করেছেন তাদের রাস্তা দেখান।
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা শিক্ষা দিয়ছেন যে, যাদের কে নিয়ামত দিয়েছেন তারা তাওহীদ বোঝেছে অতএব তাদের রাস্তা দেখান,
👉প্রশ্ন হল আল্লাহ তায়ালা কাদের উপর নিয়ামত দান করেছেন?
এর উত্তর হল --আল্লাহ তায়ালা বলেন
فَأُو۟لَـٰۤىِٕكَ مَعَ ٱلَّذِینَ أَنۡعَمَ ٱللَّهُ عَلَیۡهِم مِّنَ ٱلنَّبِیِّـۧنَ وَٱلصِّدِّیقِینَ وَٱلشُّهَدَاۤءِ وَٱلصَّـٰلِحِینَۚ
অর্থাৎ (যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করবে তারা তাদের সাথে থাকবে যাদের উপর আল্লাহ তায়ালা নিয়ামত দিয়েছেন অর্থাৎ নবী, সিদ্দিক শহীদ ও সলিহিনদের সাথে থাকবে।
সিদ্দিকের অনেকে ব্যক্ষা(ব্যাখ্যা) করেছে সাহাবায়ে কেরাম।
অতএব বোঝা গেল যে, যাদের উপর আল্লাহ তায়ালা নিয়ামত দিয়েছে তারা তাওহীদ বোঝেছে আর নিয়ামত সর্ব প্রথম দিয়েছেন নবীদের কে অতএব সর্ব প্রথম তাওহীদ বোঝেছেন নবীগন(গণ) এর পর বোঝেছেন সাহাবায়ে কেরামগন(গণ) এর পর বোঝেছে শহীদ গন(গণ) এর পর বোঝেছেন সলেহিনগন(গণ)।
এখন যেহেতু নবী ও সাহাবী গন(গণ) নাই তাই আমরা ধারনা করতে পারি যে, বর্তমানে তাওহীদ বোঝেছেন শহীদগন(গণ) এরপর সালিহিনগন(গণ)।
প্রশ্ন হতে পারে যে, সালিহীন কারা? যারা বর্তমানে জিহাদ ব্যতিত ইবাদত করতেছে তারা সালিহিনদের অন্তর্ভুক্ত হবে? এর উত্তর আসবে যে, জিহাদ ফরজে কিফায়া থাকা অবস্থায় যারা জিহাদ করেছে বা করে নাই সকলেই সালিহিন কিন্তু জিহাদ ফরজে আইন হওয়া অবস্থায় যারা জিহাদ করবে না তারা সালিহিনদের অন্তর্ভুক্ত না বরং ফাসেক।
যেমনটা মুসা আঃ এর উম্মতের বেলায় বলেছিলেন
فافرق بيننا و بين القوم الفاسقين
অর্থাৎ আমাদের মধ্যে ও ফাসেকদের মধ্যে পার্থক্য করে দেন।
সূরা মায়েদা, আয়াত ২৫
এখানে তারা ইবাদত করত কিন্তু জিহাদ না করার কারনে(কারণে) তাদের কে ফাসেক বলা হয়েছে।
👉 এর পর আল্লাহ তায়ালা শিক্ষা দিয়েছেন যেন আমরা তাদের রাস্তা থেকে পানাহ চাই যারা তাওহীদ কে ভঙ্গ করেছেন অত:পর বলেছেন
غير المغضوب عليهم ولا الضالين
অর্থাৎ যাদের উপর গজব নাজিল হয়েছে এবমগ(এবং) যারা পথভ্রষ্ট তাদের রাস্তা দেখিয়েন না।
১।এখানে মাগদুব দ্বারা উদ্দিশ্য(উদ্দেশ্য) ইহুদী আর দল্লিন দ্বারা উদ্দিশ্য(উদ্দেশ্য) নাসারা।
(তাফিসিরে জালালাইন)
২। রাসুল সাঃ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই আয়াতের তাফসিরের ক্ষেত্রে বলেন
عن عديّ بن حاتم، قال: قال لي رسول الله ﷺ: المغضوبُ عليهم، اليهود
অর্থাৎ আদি ইবনে হাতেম রাঃ থেকে বর্নিত তিনি বলেন আমাকে রাসুল সাঃ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন মাগদুবি আলাইহিম দ্বারা উদ্দিশ্য (উদ্দেশ্য) ইহুদী।
(তাফসিরে তবারী)
৩। রাসুল ও(আরও) বলেন
عن عدي بن حاتم، قال: قالَ لي رسول الله ﷺ: "إن الضَّالين: النَّصارى
অর্থাৎ আদি ইবনে হাতেম রাঃ থেকে বর্নিত আল্লাহর রাসুল আমাকে বলেন, দল্লিন দ্বারা উদ্দিশ্য(উদ্দেশ্য) হল খৃষ্টান।
(তাফসিরে তবারী)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে বোঝিয়েছেন যে, ইহুদী ও নাসারারা আমার সাথে শিরিক করে তাওহীদ ভঙ্গ করেছে অতএব তোমরা তাদের থেকে পানাহ চাও। তাদের রাস্তায় চলিও না।
ইহুদীরা উজাইর আঃ কে আল্লাহর পুত্র আর নাসারারা ইসাহ(ঈসা) আঃ কে আল্লাহর পুত্র বলে অতএব তাদের রাস্তা থেকে বিরত থাক। তোমরা ব্যক্তিগত জীবন থেকে রাষ্ট্রিয় (রাষ্ট্রীয়) জীবন পর্যন্তু নবী, সাহাবা, শহিদ ও সালিহীনিদের পথ ধর।
কোন ইহুদী কিংবা নাসারাদের পথ ধরিয়ও না।
الله اعلم بالصواب
যেই যেই কিতাব অধ্যায়ন করে লেখাগুলু(গুলো) লেখেছি
١(١)شرح فقه الاكبر لملا علي قاري
(٢)تفسير الكبير
(٣)تفسير جلالين
(٤) مدارج السالكين لابن قيم
(۵) شرح عقيدة الطحاوي لابن البطة الحنفي
এই তাফসির ও আকিদার কিতাবগুলু(গুলো) সহ আরো কিছু কিতাব থেকে নিয়েছি।
Comment