Announcement

Collapse
No announcement yet.

√(১)কোরআনের আহবান:- فَاسْأَلُواْ أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ (অতএব যদ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • √(১)কোরআনের আহবান:- فَاسْأَلُواْ أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ (অতএব যদ

    কোরআনের আহবান:- فَاسْأَلُواْ أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ (অতএব যদি তোমাদের জানা না থাকে তোমরা জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর {সূরাতুন নাহল, আয়াত নং ৪৩}


    الحمد لله وكفى وسلام على عباده الذين اصطفى أما بعد- কোরআন মাজিদে জিহাদ সম্পর্কিত আয়াতগুলো চার ভাগে বিভক্ত:- (১) মাদানী সূরাগুলুতে জিহাদ সম্পর্কিত আয়াত সমুহ। (২) মাদানী সূরাগুলোতে জিহাদের প্রতি ইঙ্গিতবাচঁক আয়াত সমুহ। (৩) মাক্কী সূরাগুলোতে জিহাদের প্রতি ইঙ্গিত বহণকারী আয়াত সমুহ। (৪) জিহাদের প্রতি দূর সম্পর্কে ইঙ্গিত বহণকারী আয়াত সমুহ।


    أَعُوْذُ بِاللّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
    سورة البقرة
    সূরাতুল বাক্বারাহ
    بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ


    وَدَّ كَثِيرٌ مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يَرُدُّونَكُم مِّن بَعْدِ إِيمَانِكُمْ كُفَّاراً حَسَدًا مِّنْ عِندِ أَنفُسِهِم مِّن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْحَقُّ فَاعْفُواْ وَاصْفَحُواْ حَتَّى يَأْتِيَ اللّهُ بِأَمْرِهِ إِنَّ اللّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

    (১) আহলে কিতাবদের অনেকেই প্রতিহিংসাবশতঃ চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদেরকে কোন রকমে কাফের বানিয়ে দেয়। তাদের কাছে সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর (তারা এটা চায়)। যাক তোমরা আল্লাহর নির্দেশ আসা পর্যন্ত তাদের ক্ষমা কর এবং উপেক্ষা কর। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (১০৯)

    এ আয়াত থেকে শিক্ষা:-
    (১) এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের কে সতর্ক করছেন এবং জানিয়ে দিচ্ছেন যে, ইয়াহুদী খ্রীস্টান ও কাফেররা মুসলমানদেরকে মুরতাদ বানানোর চেষ্টায় সর্বদা লিপ্ত। তারা মুসলমানদের প্রকাশ্য ও গোপন শত্রু। তারা মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে এবং হিংসা করে। {তারা মুসলমানদের উপর কখনও সন্তুষ্ট/খুশি হবে না। যেমন অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন:-
    وَلَن تَرْضَى عَنكَ الْيَهُودُ وَلاَ النَّصَارَى حَتَّى تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمْ قُلْ إِنَّ هُدَى اللّهِ هُوَ الْهُدَى وَلَئِنِ اتَّبَعْتَ أَهْوَاءهُم بَعْدَ الَّذِي جَاءكَ مِنَ الْعِلْمِ مَا لَكَ مِنَ اللّهِ مِن وَلِيٍّ وَلاَ نَصِيرٍ ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন। বলে দিন, যে পথ আল্লাহ প্রদর্শন করেন, তাই হল সরল পথ। যদি আপনি তাদের আকাঙ্খাসমূহের অনুসরণ করেন, ঐ জ্ঞান লাভের পর, যা আপনার কাছে পৌঁছেছে, তবে কেউ আল্লাহর কবল থেকে আপনার উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী নেই। সূরাতুল বাক্বারাহ, ১২০}

    (২) মুসলমানরা যেন ফিলহাল {যখন আয়াত অবতির্ণ হয়েছিল} সবর করে এবং নামাজ যাকাত ইত্যাদী আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে নিজের সম্পর্ক মজবুত করে নেয়। আর যখন জিহাদের আয়াত অবতির্ণ হবে তখন যেন ফিছপাঁ হয়ে না থাকে। এমন যেন না হয় যেমনটি আল্লাহ তায়ালা কোরআন মাজিদে ইরশাদ করেছেন:-أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ قِيلَ لَهُمْ كُفُّواْ أَيْدِيَكُمْ وَأَقِيمُواْ الصَّلاَةَ وَآتُواْ الزَّكَاةَ فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ الْقِتَالُ إِذَا فَرِيقٌ مِّنْهُمْ يَخْشَوْنَ النَّاسَ كَخَشْيَةِ اللّهِ أَوْ أَشَدَّ خَشْيَةً وَقَالُواْ رَبَّنَا لِمَ كَتَبْتَ عَلَيْنَا الْقِتَالَ لَوْلا أَخَّرْتَنَا إِلَى أَجَلٍ قَرِيبٍ قُلْ مَتَاعُ الدَّنْيَا قَلِيلٌ وَالآخِرَةُ خَيْرٌ لِّمَنِ اتَّقَى وَلاَ تُظْلَمُونَ فَتِيلاًতুমি কি সেসব লোককে দেখনি, যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ, নামায কায়েম কর এবং যাকাত দিতে থাক? অতঃপর যখন তাদের প্রতি জেহাদের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি তার চেয়েও অধিক ভয়। আর বলতে লাগল, হায় পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করলে! আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল অবকাশ দান করলে না। ( হে রসূল) তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব করা হবে না। (সূরাতুন নিসা, ৭৭)

    (৩) ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধাচরণকারীদের চিকিৎসা স্বরুপ জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ এর বিধান অবতির্ণ হবে {যা পরবর্তিতে অবতির্ণ হয়েছে} । জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ হল পুরা বিশ্বে নিরাপত্তা বাস্তবায়নকারী একমাত্র বিধান।

    (৪) মুসলমান যেন নিজেদের দুর্বলতা আর শত্রুর শক্তি দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত না হয়। যখন জিহাদের বিধান অবতির্ণ হবে আর মুসলমানরা তার উপর আমল করবে তখন আর মুসলমানরা একা থাকবে না বরং মহান আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে এবং বিজয়ী করতে সক্ষম।

    (৫) জিহাদ আমরুল্লাহ তথা আল্লাহর হুকুম।

    শানে নুযুল:-
    (১) কিছু ইয়াহুদী দিন-রাত বিভিন্ন ধরনের চেষ্টা করে বন্ধুত্ব ও কল্যানকামীতার বাহানা করে মুসলমানদেরকে ইসলাম থেকে দূরে সরানোর পায়তারা করতে থাকে এবং নাকাম/অসফল হওয়া সত্তেও নিজেদের ধোকাবাজি থেকে ফিরে আসতে ছিলনা। তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের উক্ত অপকর্ম সম্পর্কে মুসলমানদেরকে অবহিত করে দিলেন। (বয়ানুল কুরআন)

    (١) عن ابن عباس رضى الله عنهما قال: كان حي بن اخطب وابو ياسر بن اخطب من أشد اليهود للعرب حسدا، إذ خصهم الله الله برسوله صلى الله عليه وسلم وكانا جاهدين في رد الناس عن الإسلام ما استطاعا فأنزل الله فيهما .(إبن كثير).
    (২) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, ইয়াহুদীদের থেকে হুই ইবনে আখতাব এবং আবু ইয়াসির ইবনে আখতাব আরবদের উপর কঠিন বিদ্ধেষ পোষণ করত। কারণ, আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় হাবিব মুহাম্মদে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আরবদের মাঝে পাঠিয়েছেন। আর তারা উভয়ে মানুষদেরকে ইসলাম থেকে ফিরানোর সর্বাত্বক চেষ্টা করত। এদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা এ আয়াত অবতির্ণ করেন। (ইবনে কাছির)

    ###################
    حتى يأتي الله.بأمره
    "আল্লাহ তায়ালার হুকুম" এর ব্যাখ্যা অধিকাংশ তাফসীরবিদ "জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ এর বিধান" দ্বারা করেছেন। এবং তাতে বনু নযির, বনু কুরাইজা ও অন্যান্য যুদ্ধের দিকেও ইঙ্গিত রয়েছে।

    حتى يأتي الله.بأمره يعني قتل بني قريظة واجلاء. بني نضير (قرطبي)
    (১) অর্থাৎ আল্লাহর হুকুম দ্বারা উদ্দেশ্য হল, বনু কুরায়জার যুদ্ধ আর বনু নযিরের দেশ থেকে বহিস্কার। (কুরতুবী)

    هو واحد الأوامر.والمراد به الأمر. بالقتال(روح المعانى)
    (২) أمر হল أوامر এর বহুবচন। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, যুদ্ধের নির্দেশ। (রুহুল মাআনী)

    وهو قول أكثر الصحابة والتابعين انه الأمر. بالقتال (تفسير كبير)
    (৩) অধিকাংশ সাহাবী এবং তাবেয়ীর মতে তার দ্বারা উদ্দেশ্য হল যুদ্ধের নির্দেশ। (তাফসীরে কাবির)

    ٠(بأمره) فيهم من القتال
    (৪) অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা তাদের ব্যাপারে যুদ্ধের নির্দেশ অবতির্ণ করবেন। (জালালাইন)

    (৫) আয়াতে এ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, তাদের অপকর্মের চিকিৎসা ও পুরা বিশ্বের নিরাপওা বিধানের জন্য জিহাদ ও জিজিয়ার বিধান অবতির্ণ হবে। (বয়ানুল কুরআন)

    ###################
    إن الله علي كل شيئ قدير

    وفيه إشعار بالإنتقام من الكفار ووعد المؤمنين بالنصرة والتمكين (روح المعاني)
    নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের শাস্তি দেয়া, মুমিনদের কে সাহায্য করা এবং বিজয়ী করার উপর পরিপুর্ণ ক্ষমতাবান। (রুহুল মাআনী)

    ###################
    فَاعْفُواْ وَاصْفَحُواْ

    আল্লামা কুরতুবী রহঃ বলেন, هذه الآية منسوخة بقول الله عز وجل:-قَاتِلُواْ الَّذِينَ لاَ يُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَلاَ بِالْيَوْمِ الآخِرِ وَلاَ يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللّهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُواْ الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُواْ الْجِزْيَةَ عَن يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ
    এ আয়াত আল্লাহ তায়ালার বাণী:- তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। অবতির্ণ হওয়ার মাধ্যমে রহিত হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ইমাম রাজি রঃ তাফসীরে কাবীরে, আল্লামা আলুসী রঃ তাফসীরে রুহুল মাআনী তে বিস্তর আলোচনা করেছেন।

    ###################
    পরবর্তি আয়াতে তথা ১১০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ ফরমান:-وَأَقِيمُواْ الصَّلاَةَ وَآتُواْ الزَّكَاةَ وَمَا تُقَدِّمُواْ لأَنفُسِكُم مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِندَ اللّهِ إِنَّ اللّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ ""তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাকাত দাও। তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ তা প্রত্যক্ষ করেন। "" এর দ্বারা একথা বুঝে আসে, নেক-আমলের মাঝে বিজয়ী হওয়ার প্রভাব রয়েছে। অর্থাৎ নামাজ রোজা এবং অন্যান্য নেক আমলের বরকতে তোমরা জিহাদ করা এবং শত্রুর উপর বিজয়ী হওয়ার যুগ্য হয়ে যাবে।

    সূতরাং হে আমার দ্বীনি মুজাহিদ ভাইয়েরা! আসুন আমরা আমাদের আমলগুলোকে আরো সুন্দর করে নেই। আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে তাওফিক দান করুণ আমিন! হে আমার প্রাণ-প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা! বর্তমানেও সে ইয়াহুদীর জাতী বসে নেই বরং তারা মুসলমানদেরকে ইসলাম থেকে দূরে সরানোর জন্য সর্বাওক চেষ্টা করেই যাচ্ছে। মুসলমানদের উপর নির্যাতন করেই যাচ্ছে। বসে থাকার সময় নেই। জিহাদের ডাক এসে গেছে। ইমাম মাহদীর বাহিনী প্রস্তুত হয়ে গেছে, দ্রুত সে বাহিনীতে যোগ দাও! না হয় অজান্তে দাজ্জালের বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। ইয়া আল্লাহ তুমি আমাদেরকে সকল ধরণের ফেতনা থেকে হেফাজত করুণ! কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে পরওয়া না করে ইমাম মাহদীর বাহিনী তে যোগ দেয়ার তাওফিক দান করুণ! আমিন!
    Last edited by shamer pothik; 11-13-2016, 05:07 PM.

  • #2
    চলবে ইনশাআল্লাহ

    Comment


    • #3
      Originally posted by shamer pothik View Post
      চলবে ইনশাআল্লাহ

      জাযাকাল্লাহু ফিদ দারাইন...
      আল্লাহ্* আপনাকে উত্তম তাওফীক দান করুন। আমীন
      বর্বর হিংস্র হায়েনার বিষাক্ত থাবায় আমাদের মা-বোন আর ভাইদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে আমাদেরই নিজ ভূমি। আর তুমি........তবুও তুমি বসে থাকবে ? জেনে রেখো! তোমাকে অবশ্যই এ নির্যাতিত উম্মার রবের সামনে দাঁড়াতে হবে।

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ

        Comment

        Working...
        X