কুরআন দ্বারা জীবন পরিচালনা - ২
আলেমরা অপরাধ থেকে বাধা না দেয়াঃ ফলাফল ও শাস্তি
আলেমরা অপরাধ থেকে বাধা না দেয়াঃ ফলাফল ও শাস্তি
قال الله تعالى : وَتَرَىٰ كَثِيرًا مِنْهُمْ يُسَارِعُونَ فِي الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَأَكْلِهِمُ السُّحْتَ ۚ لَبِئْسَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ * لَوْلَا يَنْهَاهُمُ الرَّبَّانِيُّونَ وَالْأَحْبَارُ عَنْ قَوْلِهِمُ الْإِثْمَ وَأَكْلِهِمُ السُّحْتَ ۚ لَبِئْسَ مَا كَانُوا يَصْنَعُونَ
আপনি তাদের অনেককে দেখবেন যে, দৌড়ে দৌড়ে পাপে, সীমালঙ্ঘনে এবং হারাম ভক্ষনে পতিত হয়। তারা অত্যন্ত মন্দ কাজ করছে। দরবেশ ও আলেমরা কেন তাদেরকে পাপ কথা বলতে এবং হারাম ভক্ষণ করতে নিষেধ করে না? তারা খুবই মন্দ কাজ করছে। (মায়েদাহঃ ৬২-৬৩)
কতই না মহান যিনি উলামা ও স্বাধারনের উপর দলীল প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন।
সাধারনের গোনাহ ও অপরাধে লিপ্ত হওয়াকে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন عملا বা কাজ। ( لبئس ما كانوا يعملون) তারা কতই খারাপ কাজ করছে। কিন্তু আলেম ও রাব্বানীদের ইহা ব্যপারে চুপ থাকা এবং বাধা দেয়া ছেড়ে দেয়াকে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: صنعة নিজের বানানো জিনিস ( لبئس ما كانوا يصنعون )। ইহার কারণ হচ্ছে কোন কাজকে নিজের আবিস্কার বলা হয় না, যতক্ষন না তা পূর্ন বিশ্বাস, প্রশান্তি ও নিশ্চয়তার সাথে করা হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ ( صنع الله الذي أتقن كل شئ ) এটা আল্লাহর কারিগরী, যিনি সবকিছুকে করেছেন সুসংহত।
সুতরাং ইতক্বানকে সুন"অ এর সাথে সম্পর্ক করা হয়েছে। তার মানে স্বাধারনরা গোনাহ ও অপরাধে লিপ্ত হওয়া হচ্ছে "কাজ" কিন্তু উলামাদের এই ব্যপারে চুপ থাকা ও বাধা না দেয়া হচ্ছে দৃঢ়তা অর্থাৎ অপরাধকে দৃঢ়তা ও নিশ্চিয়তা দেয়া হচ্ছে এবং নতুনত্ব আনা হচ্ছে।
হাদীসে এসেছে যখন কোন জাতি গোনাহের কাজে বাধা না দেয়, তখন সেই ব্যাক্তিদের উপর ব্যপক ভাবে আল্লাহর গজব নেমে আসে।
আল্লাহই আমাদের সহায়, ঐ সমস্ত আলেম ও জাদুকরদের ব্যপারে যারা নিজেদেরকে আলেম দাবী করে। কিন্তু খারাপ কাজে বাধা তো দেয়ই না, উলটো বাতিলের প্রচলন ঘটায় এবং বাতিলকে হাক হিসেবে ঘোষানা করে ও ফতোয়া দেয়।
পূর্বের পর্বঃ কুরআন দ্বারা জীবন পরিচালনা - ১ আল্লাহ তায়ালার বিধান পেয়ে খুশি হওয়া
Comment