আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লহি ওয়াবারাকাতুহু৷
প্রিয় দ্বীনী ভাইয়েরা... কুরআন হাদীসের আলোকে মানুষের দুশমন ৩ প্রকার৷
১,নফসে আম্মারা(কুপ্রবৃত্তি)৷
২,জ্বীন শয়তান৷
৩,মানব শয়তান৷
প্রথম ২ প্রকার দুশমনের প্রতিরোধের জন্য আমরা নিয়মিত সকাল-সন্ধায় আমল করে থাকি,আলহামদুলিল্লাহ৷
কিন্তু অনেকেই হয়তোবা ৩য় প্রকার দুশমন তথা মানব দুশমনের প্রতিরোধক জানেননা৷
তাই (মহা মহিমের দরবারে প্ৰতিদান লাভের আশায়) ভাইদেরকে কিছু আমল করার জন্য অনুরোধ করছি৷ যা আমাদেরকে আল্লাহর কাছে আত্বসমর্পনকারি এবং তাঁর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে আশা করি,ইনশাআল্লহ৷
※২য় পর্বঃ
★দুশমনের দৃষ্টি থেকে গোপন থাকার আমলঃ
হযরত কাব রাঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সঃ যখন মুশরিকদের দৃষ্টি থেকে আত্নগোপন করতে চাইতেন,তখন কোরআনের ৩টি আয়াত পাঠ করতেন৷ এর প্রভাবে শত্রুরা তাকে দেখতে পেতনা৷ আয়াতত্রয় নিম্নরুপঃ
১,সূরা কাহাফের ৫৭ নং আয়াত৷
إِنَّا جَعَلْنَا عَلَى قُلُوبِهِمْ أَكِنَّةً أَن يَفْقَهُوهُ وَفِي آذَانِهِمْ وَقْرًا ـ
২,সূরা নাহলের ১০৮ নং আয়াত৷
اُوَْلٰئِكَ اَللَّذِيْنَ طَبَعَ اللّهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ وَسَمْعِهِمْ وَأَبْصَارِهِمْ وَأُوْلٰئِكَ هُمُ الْغَافِلُونْ ـ
৩,সূরা জাসিয়ার ২৩ নং আয়াত৷
أَفَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلَهَهُ هَوَاهُ وَأَضَلَّهُ اللَّهُ عَلَى عِلْمٍ وَخَتَمَ عَلَى سَمْعِهِ وَقَلْبهِ وَجَعَلَ عَلَى بَصَرِهِ غِشَاوَةً ـ
হযরত কাব বলেন, রাসূলুল্লাহ সঃ এর এই ব্যাপারটি আমি সিরিয়ার জনৈক ব্যক্তির কাছে বর্ণনা করি৷ তিনি কোন প্রয়োজন বশতঃ রোম দেশে গমন করেন৷ বেশ কিছুদিন সেখানে অবস্থান করার পর তিনি রোমীয় কাফেরদের নির্যাতনের শিকার হয়ে পড়লে প্রানের ভয়ে সেখান থেকে পলায়ন করেন৷ শত্রুরা তার পশ্চাদ্বন করে৷ এহেন সংকটময় মুহূর্তে হঠাৎ হাদীসটি তার মনে পড়ে৷ তিনি কাল বিলম্ব না করে আয়াতত্রয় পাঠ করতেই শত্রুদের দৃষ্টির সামনে পর্দা পড়ে যায়৷ যে রাস্তায় তিনি চলছিলেন, শত্রুরাও সেই রাস্তায় চলছিল,কিন্তু তারা তাকে দেখতে পাচ্ছিল না৷ ইমাম কুরতুবি বলেন, এ আয়াতত্রয়ের সাথে সূরা ইয়াসীনের এ আয়াত গুলোও (১-৯ পর্যন্ত) মেলানো উচিত যে আয়াত গুলো রাসূলুল্লাহ সঃ হিজরতের সময় পাঠ করেছিলেন৷
সূরা ইয়াসীনের আয়াত গুলো হলোঃ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ - یس ـ(١) وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ ـ(٢) أِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ ـ(٣) عَلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ ـ(٤) تَنْزِيْلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ ـ(٥) لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ ـ(٦) لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَى أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ ـ(٧) اِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلاَلاً فَهِيَ إِلَى الأَذْقَانِ فَهُم مُّقْمَحُونَ ـ(٨) وَجَعَلْنَا مِن بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لاَ يُبْصِرُونَ ـ(٩)
ইমাম কুরতুবী বলেন, আমি স্বদেশ আন্দালুসে কর্ডোভার নিকটবর্তী মনসুর দুর্গে নিজেই এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলাম৷ অবশেষে নিরুপায় অবস্থায় আনি শত্রুদের সম্মুখ দিয়ে দৌড়ে এক জায়গায় বসে গেলাম৷ শত্রুরা দু'জন অশ্বারোহীকে আমার পশ্চাদ্বাবন করার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে৷ আমি সম্পূর্ণ খোলা মাঠেই ছিলাম৷ আড়াল করার মতো কোন বস্তুই ছিল না৷ আমি তখন বসে বসে সূরা ইয়াসীনের আয়াতগুলো পাঠ করছিলাম৷ অশ্বারোহী ব্যক্তিদ্বয় আমার সম্মুখ দিয়ে "লোকটি শয়তান হবে" বলতে বলতে যেখান থেকে এসেছিল সেখানেই ফিরে গেল৷
বলা বাহুল্য তারা অবশ্যই আমাকে দেখেনি৷ আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে আমার দিক থেকে অন্ধ করে দিয়েছিলেন৷ (কুরতুবী)
তথ্যসূত্রঃ মা'আরেফুল কুরআন৷ ৭৮০ পৃঃ
☞☞ সকল ভাইদরকে, বিশেষ করে নিরাপত্তাহীনতায় যারা ভুগছেন তাদেরকে এই আমল করার জন্য অনুরোধ করছি৷
হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে আপনার সাহায্য পাওয়ার জন্য যোগ্য করে দিন৷ আমীন৷
প্রিয় দ্বীনী ভাইয়েরা... কুরআন হাদীসের আলোকে মানুষের দুশমন ৩ প্রকার৷
১,নফসে আম্মারা(কুপ্রবৃত্তি)৷
২,জ্বীন শয়তান৷
৩,মানব শয়তান৷
প্রথম ২ প্রকার দুশমনের প্রতিরোধের জন্য আমরা নিয়মিত সকাল-সন্ধায় আমল করে থাকি,আলহামদুলিল্লাহ৷
কিন্তু অনেকেই হয়তোবা ৩য় প্রকার দুশমন তথা মানব দুশমনের প্রতিরোধক জানেননা৷
তাই (মহা মহিমের দরবারে প্ৰতিদান লাভের আশায়) ভাইদেরকে কিছু আমল করার জন্য অনুরোধ করছি৷ যা আমাদেরকে আল্লাহর কাছে আত্বসমর্পনকারি এবং তাঁর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে আশা করি,ইনশাআল্লহ৷
※২য় পর্বঃ
★দুশমনের দৃষ্টি থেকে গোপন থাকার আমলঃ
হযরত কাব রাঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সঃ যখন মুশরিকদের দৃষ্টি থেকে আত্নগোপন করতে চাইতেন,তখন কোরআনের ৩টি আয়াত পাঠ করতেন৷ এর প্রভাবে শত্রুরা তাকে দেখতে পেতনা৷ আয়াতত্রয় নিম্নরুপঃ
১,সূরা কাহাফের ৫৭ নং আয়াত৷
إِنَّا جَعَلْنَا عَلَى قُلُوبِهِمْ أَكِنَّةً أَن يَفْقَهُوهُ وَفِي آذَانِهِمْ وَقْرًا ـ
২,সূরা নাহলের ১০৮ নং আয়াত৷
اُوَْلٰئِكَ اَللَّذِيْنَ طَبَعَ اللّهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ وَسَمْعِهِمْ وَأَبْصَارِهِمْ وَأُوْلٰئِكَ هُمُ الْغَافِلُونْ ـ
৩,সূরা জাসিয়ার ২৩ নং আয়াত৷
أَفَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلَهَهُ هَوَاهُ وَأَضَلَّهُ اللَّهُ عَلَى عِلْمٍ وَخَتَمَ عَلَى سَمْعِهِ وَقَلْبهِ وَجَعَلَ عَلَى بَصَرِهِ غِشَاوَةً ـ
হযরত কাব বলেন, রাসূলুল্লাহ সঃ এর এই ব্যাপারটি আমি সিরিয়ার জনৈক ব্যক্তির কাছে বর্ণনা করি৷ তিনি কোন প্রয়োজন বশতঃ রোম দেশে গমন করেন৷ বেশ কিছুদিন সেখানে অবস্থান করার পর তিনি রোমীয় কাফেরদের নির্যাতনের শিকার হয়ে পড়লে প্রানের ভয়ে সেখান থেকে পলায়ন করেন৷ শত্রুরা তার পশ্চাদ্বন করে৷ এহেন সংকটময় মুহূর্তে হঠাৎ হাদীসটি তার মনে পড়ে৷ তিনি কাল বিলম্ব না করে আয়াতত্রয় পাঠ করতেই শত্রুদের দৃষ্টির সামনে পর্দা পড়ে যায়৷ যে রাস্তায় তিনি চলছিলেন, শত্রুরাও সেই রাস্তায় চলছিল,কিন্তু তারা তাকে দেখতে পাচ্ছিল না৷ ইমাম কুরতুবি বলেন, এ আয়াতত্রয়ের সাথে সূরা ইয়াসীনের এ আয়াত গুলোও (১-৯ পর্যন্ত) মেলানো উচিত যে আয়াত গুলো রাসূলুল্লাহ সঃ হিজরতের সময় পাঠ করেছিলেন৷
সূরা ইয়াসীনের আয়াত গুলো হলোঃ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ - یس ـ(١) وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ ـ(٢) أِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ ـ(٣) عَلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ ـ(٤) تَنْزِيْلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ ـ(٥) لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ ـ(٦) لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَى أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ ـ(٧) اِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلاَلاً فَهِيَ إِلَى الأَذْقَانِ فَهُم مُّقْمَحُونَ ـ(٨) وَجَعَلْنَا مِن بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لاَ يُبْصِرُونَ ـ(٩)
ইমাম কুরতুবী বলেন, আমি স্বদেশ আন্দালুসে কর্ডোভার নিকটবর্তী মনসুর দুর্গে নিজেই এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলাম৷ অবশেষে নিরুপায় অবস্থায় আনি শত্রুদের সম্মুখ দিয়ে দৌড়ে এক জায়গায় বসে গেলাম৷ শত্রুরা দু'জন অশ্বারোহীকে আমার পশ্চাদ্বাবন করার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে৷ আমি সম্পূর্ণ খোলা মাঠেই ছিলাম৷ আড়াল করার মতো কোন বস্তুই ছিল না৷ আমি তখন বসে বসে সূরা ইয়াসীনের আয়াতগুলো পাঠ করছিলাম৷ অশ্বারোহী ব্যক্তিদ্বয় আমার সম্মুখ দিয়ে "লোকটি শয়তান হবে" বলতে বলতে যেখান থেকে এসেছিল সেখানেই ফিরে গেল৷
বলা বাহুল্য তারা অবশ্যই আমাকে দেখেনি৷ আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে আমার দিক থেকে অন্ধ করে দিয়েছিলেন৷ (কুরতুবী)
তথ্যসূত্রঃ মা'আরেফুল কুরআন৷ ৭৮০ পৃঃ
☞☞ সকল ভাইদরকে, বিশেষ করে নিরাপত্তাহীনতায় যারা ভুগছেন তাদেরকে এই আমল করার জন্য অনুরোধ করছি৷
হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে আপনার সাহায্য পাওয়ার জন্য যোগ্য করে দিন৷ আমীন৷
Comment