Announcement

Collapse
No announcement yet.

ঈমানের ৭৭== শাখা== পর্ব ২

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ঈমানের ৭৭== শাখা== পর্ব ২

    ঈমানের ৭৭ শাখা======= পর্ব ২
    তাওহিদুর রুবুবিয়াত
    “রব” এটি আরবি শব্দ যার অর্থ বাদশা, মনিব, প্রতপালক। ইত্যাদি। তবে বাস্তবতা হল ‘রব” এমন একটা শব্দ, যার একক অর্থে বাংলায় কোন অনুবাদ করা যায় না।
    কারন “রব” মানে হল, যিনি যাবতীয় সব কাজ আঞ্জাম দেন এবং সবকিছু পরিচালনা করেন। সুতরাং তাওহিদুর রুবুবিয়াত এর অর্থ হল এ কথার সাক্ষ দেয়া যে, সমস্ত ক্ষমতার মালিক একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। যেমন,
    ১/ তিনি সৃষ্টি কর্তা> দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে, আসমান- যমিন, গাছ- পালা, নদী- নালা, খাল-বিল, পাহাড়- পর্বত, পশু-পক্ষি, জিন-ইনসান মোটকথা দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে সব একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই সৃষ্টি করেছেন। এগুলো সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে তার সাথে অন্য কেউ শরিক নেই। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
    إِنَّ رَبَّكُمُ اللّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْس والقمر وَالنُّجُومَ مُسَخَّرَاتٍ بِأَمْرِهِ أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ تَبَارَكَ اللّهُ رَبُّ الْعَالَمِين .(الاعراف(54)
    অর্থ, নিশ্চয় তোমাদের রব আল্লাহ, যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে। অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্টিত হয়েছেন। তিনি দিনকে ঢেকে দেন রাতের দ্বারা, রাত দ্রুতগতিতে দিনের পশ্চাদ্ধাবন করে চলে আসে। এবং ( সৃষ্টি করেছেন ) সুর্য, চন্দ্র ও তারকারাজি, যেগুলো তাঁর হুকুমের অনুগত। জেনে রাখ, সৃষ্টি করা ও হুকুম দেয়া তাঁরই এখতিয়ারে। আল্লাহ বড় বরকতময়, যিনি বিশ্বজগতের রব। ( সুরা আ‘রাফ ৫৪)
    ২/ সবকিছুর মালিকানা তার> তার মালিকানার সাথে অন্য কেউ শরিক নেই। তিনি বলেন:
     وَلِلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ  [ النور : 42 ] .
    অর্থ, “আসমান-জমিনের রাজত্ব একমাত্র তারই।”
    ৩/ রিযিকদাতা তিনি> দুনিয়ার মধ্যে মানুষ থেকে নিয়ে একেবারে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র যত প্রাণী আছে, সবকিছুকে একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই রিযিক দান করেন তার সাথে অন্য কেউ শরিক নেই। তিনি বলেন:
    {أَمَّن يَبْدَأُ الْخَلْقَ ثُمَّ يُعيدُهُ وَمَن يَرْزُقُكُم مِّنَ السَّمَآءِ والاٌّرْضِ أإِلَهٌ مَّعَ اللَّهِ قُلْ هَاتُواْ بُرْهَانَكُمْ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ} (سورة النمل. (64(
    অর্থ, “আচ্ছা, কে সৃষ্টির সূচনা করবেন, অতঃপর তার পুনারাবৃত্তি করবেন? আর কে তোমাদের আসমান ও যমীন থেকে রিযিক দান করেন? অতঃএব আল্লাহর সাথে আর কোন প্রভু আছে কি? আপনি বলুন, তোমরা তোমদের প্রমাণ পেশ কর, যদি তোমরা সত্যবাদি হও।”
    {مَا أُرِيدُ مِنْهُمْ مِنْ رِزْقٍ وَمَا أُرِيدُ أَنْ يُطْعِمُونِ, إِنَّ اللَّهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ} (سورة الذاريات.57,58)
    অর্থ, “আমি তদের নিকট কোন জীবিকা চাই না এবং এও চাই না যে, তারা আমাকে খাওয়াবে। নিশ্চয় আল্লাহই তো রিযিকদাতা, শক্তিশালী, পরাক্রান্ত।”
    ৪/ হুকুমদাতা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা> তার সাথে কোন শরিক নেই। তিনি বলেন:
    {أَفَغَيْرَ اللَّهِ أَبْتَغِي حَكَمًا وَهُوَ الَّذِي أَنْزَلَ إِلَيْكُمُ الْكِتَابَ مُفَصَّلًا وَالَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَعْلَمُونَ أَنَّهُ مُنَزَّلٌ مِنْ رَبِّكَ بِالْحَقِّ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِينَ} (الانعام(114)
    অর্থ: (আপনি বলুন) ‘তবে আমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ফায়সালাকারি চাইবো, অথচ তিনিই তোমাদের প্রতি অবতির্ন করেছেন সুস্পষ্ট কিতাব? আর যাদের আমি কিতাব দান করেছি,তারা যানে যে, এ আপনার রবের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে নাযিলকৃত।’ অতঃএব আপনি সন্দিহানদের অন্তুর্ভুক্ত হবেন না।
    وَإِنْ كَانَ طَائِفَةٌ مِنْكُمْ آمَنُوا بِالَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ وَطَائِفَةٌ لَمْ يُؤْمِنُوا فَاصْبِرُوا حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَنَا وَهُوَ خَيْرُ الْحَاكِمِينَا (الاعراف (87)
    অর্থ: ‘ যা দিয়ে আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে, তার প্রতি যদি তোমার একদল ঈমান আনে আর একদল ঈমান না আনে, তবে তোমরা ধৈর্য ধারন কর, যে পর্যন্ত না আল্লহ আমাদের মধ্যে ফায়সালা করে দিচ্ছেন। আর তিনি সর্বশ্রেষ্ট ফায়সালাকারী।
    { أَلَيْسَ اللَّهُ بِأَحْكَمِ الْحَاكِمِينَ} ( التين.8)
    অর্থ: আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট বিচারক নন?

    মোটকথা পুরো কায়েনাতকে পরিচালনার জন্য যাবতীয় যা কিছু প্রয়োজন সবাকছুর মালিক একমাত্র, শুধুমাত্র, কেবলমাত্র আল্লাহ তায়ালাই তার সাথে আর কোন শরিক নেই। এ কথার বিশ্বাস দিলের মধ্যে দৃঢ়ভাবে রাখতে হবে। এবং মুখে স্বীকিৃতি দিতে হবে। (পরবর্তি পর্বে আসছে তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ)


  • #2
    হে আল্লাহ। তুমি আমাদের ঈমান বাড়িয়ে দাও।
    ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

    Comment


    • #3
      zajakallah

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ

        Comment

        Working...
        X